Today women are excelling in every sphere: PM Modi
It is important to recognise the talent of women and provide them with the right opportunities: PM Modi
Self Help Groups have immensely benefitted people in rural areas, especially women: PM Modi
To strengthen the network of Self Help Groups across the country, Government is helping them economically as well as by providing training: PM

নমস্কার।

 

আজ আমাকে আশীর্বাদ দেওয়ার জন্য দূরদূরান্তের গ্রামগুলিতে কয়েক কোটি মায়েরা সমবেত হয়েছেন। এমন কে আছেন, যিনি এই সৌভাগ্য থেকে প্রাণশক্তি ও কাজ করার সাহস আহরণ করবেন না! হ্যাঁ, আপনাদের আশীর্বাদ ও ভালোবাসাই আমাকে সর্বদা দেশের জন্য কিছু না কিছু করার নতুন শক্তি যোগায়। আপনারা প্রত্যেকেই নিজস্ব সংকল্পে ঋদ্ধ এবং উদ্যমে সমর্পিত। আপনারা টিম হিসাবে কাজ করেন। আপনাদের মধ্যে অনেকেরই দারিদ্র্যের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করার সৌভাগ্য হয়নি। কিন্তু আমি মনে করি, বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আমার ভারতের গরিব মা ও বোনেদের কাছ থেকে এই ‘টিম স্পিরিট’ ও মিলেমিশে কাজ করার অভিজ্ঞতা, কাজ ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে কিভাবে সাফল্য পাওয়া যায়, তা নিয়ে গবেষণা করতে পারে।

 

আমরা যখন নারী ক্ষমতায়নের কথা বলি, তখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন হ’ল মহিলাদের অভ্যন্তরীণ শক্তি, যোগ্যতা এবং দক্ষতাকে চিহ্নিত করার সুযোগ ও পরিবেশ তৈরি করা। মহিলাদের কিছু শেখানোর প্রয়োজন পড়ে না। তাঁদের ভেতরে অনেক কিছু থাকে কিন্তু সেগুলি বিকশিত হওয়ার সুযোগ পায় না। কিন্তু যেদিন আমাদের মা ও বোনেরা সুযোগ পেয়ে যান, তাঁরা চূড়ান্ত সাফল্য অর্জনের জন্য যে কোনও বাধা অতিক্রম করতে পারেন। মহিলা কি  না সামলান! কাকভোর থেকে রাত পর্যন্ত কত ধরণের কাজই তাঁদের করতে হয়! নিজের পরিবার, গ্রাম ও সামাজিক জীবনে পরিবর্তনের জন্য তাঁদের পক্ষে যতটা সম্ভব, তারচেয়ে বেশিই করেন। আমাদের দেশের মহিলাদের সামর্থ্য আছে, শক্তি আছে, লড়াই করার অদম্য সাহস আছে। আমার মতে, নারী ক্ষমতায়নের জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হ’ল আর্থিক স্বনির্ভরতা। একজন মহিলা আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হলে, তাঁর ইতিবাচক ভূমিকা পরিবারটিকেও ইতিবাচক করে তোলে। সন্তানদেরও তিনি বলেন – এটা কর, এটা করবে না। স্বামীকেও যথাযথ পরামর্শ দিতে পারেন। মহিলাদের আর্থিক সামর্থ্য বৃদ্ধি পেলে সামাজিক জীবনের কুসংস্কার দূরীকরণেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। তখন আর তাঁরা কুসংস্কারের সঙ্গে সমঝোতা করেন না। আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য না থাকলে অনেক সময়েই অনেক অন্যায়ের সামনে মাথা নত করতে হয়। কিন্তু আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য তাঁদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা এনে দেয়। আজ দেশে যে কোনও ক্ষেত্রে মহিলারা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। আমাদের মা ও বোনেদের উদ্যোগ ছাড়া পশুপালনের কথা কেউ কি কল্পনাও করতে পারেন? তাঁদের সক্রিয় অংশীদারিত্ব ছাড়া কৃষিকাজ কি চলতে পারে? অনেকেই হয়তো জানেন না, তাঁরা গ্রামে গেলে বুঝতে পারবেন যে মেয়েরা সারাদিন কত কাজ করেন। পশুপালন ও দুগ্ধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে মায়েরাই প্রায় ১০০ শতাংশ দায়িত্ব পালন করেন। পশুপালনে যথেষ্ট পরিশ্রম রয়েছে। সেজন্য দেশের গ্রামে গ্রামে আমাদের মায়েরা একত্রিত হয়ে কোনও উদ্যম নেন, সেই মিলিত উদ্যমের সাফল্যই আজ সারা দেশে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে।

 

ভারত সরকার দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনা,

 

রাষ্ট্রীয় গ্রামীণ আজীবিকা মিশনের মাধ্যমে দেশের গ্রামাঞ্চলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং শ্রমিকদের জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে তোলা হচ্ছে। আমি দেখেছি যে, একদম লেখাপড়া জানেন না, সেরকম মহিলাদেরও যদি জিজ্ঞেস করা হয়, তাঁরা সহজেই ‘সেলফ হেল্প গ্রুপ’ – এই ইংরাজিটি বলতে পারেন। এর মানে এই শব্দবন্ধটি জনমানসে কতটা গভীরে পৌঁছেছে – তা কল্পনা করা যায়। ‘স্বনির্ভর গোষ্ঠী’ বললে বরং অনেকে বুঝতেই পারেন না। এই গোষ্ঠীগুলি দেশের গ্রামে গ্রামে দরিদ্র মহিলাদের সচেতন করছে, তাঁদের আর্থিক উন্নতির ভিত্তি স্থাপন করছে, সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাঁদের ক্ষমতায়ন করছে। দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনা, রাষ্ট্রীয় গ্রামীণ আজীবিকা মিশনের মাধ্যমে সারা দেশে আড়াই লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েতে কোটি কোটি গ্রামীণ দরিদ্র পরিবারে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছে এবং সফলও হয়েছে। তাঁদের স্থায়ী উপার্জনে সুযোগ তৈরি করেছে। দেশের প্রত্যেকটি রাজ্য এই প্রকল্প বাস্তবায়নে এগিয়ে এসেছে। সেজন্য আমি প্রত্যেক রাজ্য ও সেখানকার আধিকারিকদের অভিনন্দন জানাতে চাই। তাঁরা এই প্রকল্পগুলিকে লক্ষ-কোটি মহিলাদের কাছে পৌঁছে দিয়ে তাঁদের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে, আমি জেলাস্তরের আধিকারিকদের অনুরোধ করব যে, আপনাদের জেলায় এই ধরণের কাজে যে আবেগপূর্ণ বাস্তব কাহিনী রয়েছে, সেগুলি সংগ্রহ করুন এবং সেগুলি লিখে সংকলন প্রকাশ করুন। সরকারি নথির মতো লিখবেন না। সহজভাবে লিখবেন, তা হলে দেখবেন, তাঁরা ও তাঁদের পরিবারের মানুষজন কত আনন্দ পাবেন। অন্যরাও জানতে পারবেন যে, কেমন অসাধারণ কাজ তাঁরা করেছেন। আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, ইতিমধ্যেই দেশের প্রায় ৫ কোটি মহিলা সক্রিয়ভাবে যুক্ত থেকে প্রায় ৪৫ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে তুলেছেন। এভাবে এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি দেশে ৫ কোটি পরিবারের কর্মসংস্থান করেছে। অনেকের ক্ষেত্রে এটি পরিবারের বিকল্প আয়ের সুযোগ গড়ে তুলেছে। এ ব্যাপারে আমি আপনাদের কিছু পরিসংখ্যান দিতে চাই।

আমরা সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার আগে সারা দেশে ২০১১ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ৫ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে উঠেছিল। এগুলির মাধ্যমে মাত্র ৫০-৫২ লক্ষ পরিবার যুক্ত হয়েছিল। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০১৪-১৮ সালের মধ্যে এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়ায় ২০ লক্ষেরও বেশি নতুন স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে উঠেছে আর ২ কোটি ২৫ লক্ষেরও বেশি পরিবার এই গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ আগের তুলনায় চার গুণ বেশি পরিবার উপকৃত হয়েছে। এটা প্রমাণ করে যে, বর্তমান সরকারের গতি, জনকল্যাণের স্বার্থে আমাদের দায়বদ্ধতা এবং মায়েদের ক্ষমতায়নকে আমরা কতটা অগ্রাধিকার দিয়েছি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গরিব মহিলাদের গোষ্ঠীকে দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ প্রদান থেকে শুরু করে অর্থের ব্যবস্থা করা এবং তাঁদের উৎপাদিত পণ্যে বাজারজাত করা।

 

আমি আগেই বলেছি, আজ এই ভিডিও ব্রিজে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি একজন করে সদস্য আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। আমি দেশের আর্থিক উন্নয়নে অংশগ্রহণকারী, পরিবারের আর্থিক সমৃদ্ধি এবং নতুন নতুন পদ্ধতিতে অর্থ সাশ্রয়কারী, দলবদ্ধভাবে কর্মরত, প্রথগত শিক্ষা না থাকা সত্ত্বেও এরকম সাফল্যের অধিকারীনী সকল মা ও বোনেদের কথা শোনার জন্য অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি।

 

দেখুন, তাঁদের সকলের জীবনে কত পরিবর্তন এসেছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি কত বড় ভূমিকা পালন করছে, আমরা তার জলজ্যান্ত উদাহরণ দেখতে পেলাম। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির নেটওয়ার্ক সারা দেশে বিস্তৃত এবং ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্র ও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। সরকার তাদের এগিয়ে যাওয়ার পথকে সহজ করতে গরিব মহিলাদের গোষ্ঠীকে দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ প্রদান থেকে শুরু করে অর্থের ব্যবস্থা করা এবং তাঁদের উৎপাদিত পণ্যে বাজারজাত করার ক্ষেত্রে সাহায্য করছে।

 

স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মাধ্যমে মহিলা কৃষক ও কৃষি ক্ষেত্র নিয়ে একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এই ‘মহিলা কিষাণ সশক্তিকরণ পরিযোজনা’-এর মাধ্যমে সারা দেশে ৩৩ লক্ষেরও বেশি মহিলা কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ২৫ হাজারেরও বেশি ‘কম্যুনিটি লিভলিহুড রিসোর্স পার্সন’ নির্বাচন করা হয়েছে, যাঁরা গ্রামস্তরে ২৪X৭ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন। আজ যে কোনও ক্ষেত্রে, বিশেষ করে, কৃষিতে মূল্য সংযোজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হইয়ে উঠেছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আজ দেশের কৃষকরা এই মূল্য সংযোজনের গুরুত্ব বুঝতে শুরু করেছেন এবং এর মাধ্যমে উপকৃতও হচ্ছেন। অনেক রাজ্যে কিছু বিশেষ উৎপাদন যেমন – ভুট্টা, আম, ফুলের চাষ ও নানা ডেয়ারিজাত পণ্যের জন্য মূল্য সংযোজন শৃঙ্খলা চালু হয়েছে। এগুলির জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি থেকে ২ লক্ষ সদস্যকে সাহায্য করা হয়েছে। এখনই আমরা বিহারের পাটলিপুত্র অঞ্চলের অমৃতাদেবীর কথা শুনে জানতে পেরেছি যে, কিভাবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর সেখানকার গরিব মহিলাদের জীবনে পরিবর্তন এসেছে, তাঁদের পরিবারগুলি কিভাবে উপকৃত হয়েছে। আমি আপনাদের বিহারেরই আরও কয়েকটি উদাহরণ দিচ্ছি। বিহারে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির আড়াই লক্ষেরও বেশি সদস্য উন্নত পদ্ধতিতে ধান উৎপাদনের প্রশিক্ষণ নিয়ে উপকৃত হয়েছেন। এভাবে আরও ২ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য নতুন পদ্ধতিতে শাকসব্জির চাষ করে উপকৃত হয়েছেন। এছাড়া, বিহারের লাক্ষ্মা দিয়ে চুড়ি নির্মাণকারীদের জন্য ‘ক্লাস্টার’ স্থাপন করা হয়েছে এবং উৎপাদক গোষ্ঠী গড়ে তোলা হয়েছে। আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারি যে, বিহারের লাক্ষ্মা নির্মিত চুড়ির ডিজাইন দেশে-বিদেশে প্রসিদ্ধ। একটু আগেই ছত্তিশগড়ের মীনা মাঝি বলছিলেন যে, কিভাবে ইঁট বানিয়ে তাঁরা নিজেদের জীবনের মান বৃদ্ধি করেছেন। ছত্তিশগড়ে ইঁট বানানোর অনেকগুলি ইউনিট স্থাপিত হয়েছে আর প্রায় ২ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী এই ইঁট নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। আমরা শুনে অবাক হয়েছি যে, এদের বার্ষিক লাভ কয়েক কোটি টাকা। এভাবে ছত্তিশগড়ের ২২টি জেলায় ১২২টি ‘বিহান বাজার আউটলেট’ গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি দ্বারা নির্মিত ২০০টি পণ্য বিক্রি করা হয়।

 

ছত্তিশগড় নিয়ে আমার একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আপনাদের বলতে চাই। আপনারা হয়তো টিভিতে দেখেছেন যে, কিছুদিন আগে আমি ছত্তিশগড়ে গিয়েছিলাম। সেখানে একটি মহিলা চালিত ই-রিক্‌শায় সফর করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। ছত্তিশগড়ের ঐ অঞ্চল আগে নকশালবাদ ও মাওবাদে আক্রান্ত ছিল। সেখানে আসা-যাওয়ার কোনও ব্যবস্থা ছিল না। কিন্তু সরকারের চেষ্টায় আজ সেখানে রাস্তাও নির্মিত হয়েছে আর ই-রিক্‌শাও চালু হয়েছে। দেশে এরকম অনেক দুর্গম গ্রামাঞ্চলে যাতায়াতের কোনও বন্দোবস্ত নেই। এই কর্মসূচির মাধ্যমে সেসব অঞ্চলে গ্রামীণ পরিবারগুলিকে বাহন কেনার জন্য অর্থের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে যাতায়াত সহজ হওয়ার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট গ্রামীণ পরিবারগুলির আয় বৃদ্ধিরও সুযোগ তৈরি হয়েছে।

 

একটু আগেই আমরা রেবতী এবং বন্দনার কাছ থেকে বিস্তারিত শুনেছি যে, কিভাবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন তাঁদের জীবনে পরিবর্তন এনেছে। দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনার মাধ্যমে গ্রামীণ যুবক-যুবতীদের দক্ষতা নির্মাণকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কর্মসংস্থান এবং স্বরোজগারের জন্য তাঁদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে, যাতে দেশেরত যুবসম্প্রদায় নিজেদের আশা-আকাঙ্খা পূরণে এগিয়ে যেতে পারে। এভাবে নবীন প্রজন্মের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে। দেশের প্রত্যেক জেলায় ‘গ্রামীণ স্বরোজগার প্রশিক্ষণ সংস্থান’ স্থাপন করা হয়েছে, যাতে যুবসম্প্রদায় তাঁদের বাড়ির কাছেই প্রশিক্ষণের সুবিধা পান। ঐ কেন্দ্রগুলিতে গ্রামীণ যুবক-যুবতীদের অর্থ উপার্জনক্ষম করে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ বছরের মে মাস পর্যন্ত দেশে প্রায় ৬০০ ‘গ্রামীণ স্বরোজগার প্রশিক্ষণ সংস্থান’ কাজ করছে।এগুলির মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ২৮ লক্ষ যুবক-যুবতী প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৯-২০ লক্ষ যুবক-যুবতীদের ইতিমধ্যেই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একটু আগেই আমরা মধ্যপ্রদেশের সুধা বাঘেলের কথা শুনেছি। তিনি সেনাটারি ন্যাপকিন প্যাকেজিং-এর কাজ করেন। মধ্যপ্রদেশে সেনেটারি প্যাড ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট গড়ে তোলা হয়েছে – এটি ৩৫টি জেলায় কাজ করছে। এই কাজে যুক্ত রয়েছেন সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য। মধ্যপ্রদেশের আরেকটি উদাহরণ আমি দিতে চাই। সেখানে প্রায় ৫০০টি আজীবিকা ফ্রেস স্টোর খোলা হয়েছিল। সেগুলিতে বছরের ১ টনেরও বেশি আজীবিকা মশলা বিক্রি হয়। মধ্যপ্রদেশে ‘আজীবিকা’ একটি নতুন ব্র্যান্ড হিসাবে জনপ্রিয় হয়েছে। একটু আগেই আমরা রেখাদেবীর কথা শুনে জানতে পেরেছি, কিভাবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের একটি প্রয়োগ সফল হয়েছে। গ্রাম ও দূরদূরান্তের অঞ্চলগুলিতে ব্যাঙ্কিং বা আর্থিক লেনদেন পরিষেবা পৌঁছে দিতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা ‘ব্যাঙ্ক মিত্র’ এবং ‘ব্যাঙ্ক সখী’ রূপে নিযুক্ত হয়েছেন। আজ প্রায় ২ হাজারটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী সারা দেশে ব্যাঙ্ক মিত্র অথবা ব্যাঙ্ক সখী রূপে ব্যাঙ্কিং সহায়তার কাজ করছে। আমাকে বলা হয়েছে যে, এর মাধ্যমে প্রায় সাড়ে তিনশো কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।

 

দেখুন, কম্যুনিটি রিসোর্স পার্সনরা কিভাবে কাজ করেন, তা আপনারা খুব ভালোভাবেই জানেন। যাঁরা দক্ষতার সঙ্গে স্বনির্ভর গোষ্ঠী পরিচালনা করেন, তেমন মহিলারাই নতুন নতুন গ্রামে গিয়ে মহিলাদের সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাঁদের গোষ্ঠীর কাজে যোগদানের প্রেরণা যোগান। ইতিমধ্যে সারা দেশে ২ লক্ষ কম্যুনিটি রিসোর্স পার্সন এই কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সদস্য সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দীনদয়াল উপাধ্যায় যোজনার মাধ্যমে সরকারি অনুদান ছাড়াও ব্যাঙ্কগুলির মাধ্যমে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যথাসময়ে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেলে ব্যবসা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়। আরেকটি কথা শুনলে আপনারা খুব খুশি হবেন যে, এক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলির যথাসময়ে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ অত্যন্ত সন্তোষজনক।

 

আমি দেখেছি যে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি কখনই দেরীতে ঋণ পরিশোধ করে না। ব্যাঙ্কগুলি যত ঋণ দিয়েছে, তার ৯৯ শতাংশই পরিশোধ হয়ে গেছে। এটাই আমাদের গরিব পরিবারগুলির সংস্কার। এটাই এদেশের গরিবদের অন্তরের ঐশ্বর্য। একটু আগেই লক্ষ্মীদেবীর কথা শুনছিলাম। কিভাবে তিনি আরও ৩০ জন মহিলাকে নিয়ে পাঁপড় বানিয়ে ও বিক্রি করে লাভের মুখ দেখেছে। এখানে আমি আপনাদের বলতে চাই যে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির উৎপাদিত পণ্য যাতে সঠিক মূল্যে বিক্রি হয়, আজ সরকার সেদিকে গুরুত্ব সহকারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তাঁদের উৎপাদিত পণ্যেরর জন্য বাজারের ব্যবস্থা করেছে, প্রতি বছর প্রত্যেক রাজ্যে ২টি করে সরস মেলা আয়োজনের মাধ্যমে। ফলে প্রতি বছর স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। গোষ্ঠীগুলির বার্ষিক আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে জিইএম বা ই-মার্কেটের সঙ্গে যুক্ত করে স্বচ্ছ ব্যবস্থা গড়ে তুলে সরকার ডিজিটাল মাধ্যমে পণ্যের বেচাকেনাকে উৎসাহিত করছে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে দরপত্র আহ্বান করে সরকারি দপ্তরগুলির জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য কেনা হচ্ছে। সেজন্য আপনারা যাঁরা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে যুক্ত, সেইসব বোনেদের আমি অনুরোধ জানাব যে, আপনারা এই জিইএম পোর্টালের সঙ্গে নিজেদের গোষ্ঠীকে নথিভুক্ত করুন, যাতে আপনারাও সরকারি নিয়ম মেনে নিজেদের উৎপাদিত পণ্য সরকারি দপ্তরগুলিতে বিক্রি করতে পারেন।

 

যাঁরা মেষ প্রতিপালক এবং উল বিক্রি করেন, তাঁদের জনয আমার একটি পরামর্শ রয়েছে। আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখন একটি পরীক্ষা করে দেখেছিলাম – আমরা যখন সেলুনে যাই, তখন নাপিত এক ধরণের মেশিন দিয়ে চুল ও দাড়ি ছেঁটে দেন। কাঁচির তুলনায় অনেক কম সময়ে সমান দৈর্ঘ্যের চুল কিংবা দাড়ি কাটতে এই মেশিনগুলি অত্যন্ত উপযোগী। আমি গুজরাটের মেষপালকদের বলি, উল কাটার সময়েন কাঁচির বদলে চুল কাটার মেশিন ব্যবহার করে দেখুন। কাঁচির তুলনায় ঐ ট্রিমার মেশিনে উল কাটলে তুলনামূলক কম অপচয় হবে ও উলের দৈর্ঘ্যও বেশি হবে। আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে, এর ফলে মেষপালকদের পরিশ্রম যেমন কমে যায়, তেমনই ভেড়াগুলির কষ্ট লাঘব হয়। আর লম্বা ও উৎকৃষ্ট উল বাজারে সরবরাহ হতে থাকে। আপনাদের মধ্যে যে বোনেরা মেষপালকের কাজ করেন, তাঁরা এই ট্রিমার মেশিনে উল কাটার প্রশিক্ষণ নিলে উপকৃত হবেন। আপনাদের রোজগারও বাড়বে। আমি প্রথম কাশ্মীরের কূপওয়াড়া জেলার মেষপালকদের এরকম ট্রিমার মেশিন দিয়ে উল কাটতে দেখেছিলাম। এতে ভেড়ার কষ্ট লাঘব হওয়ায় দুগ্ধ উৎপাদনও বেড়েছে।

 

আপনাদের অভিজ্ঞতা সিঞ্চিত এই কাহিনীগুলি যাঁরাই শুনবেন, আমার মনে হয়, তাঁরা যদি খোলা মনে শোনেন, আপনাদের অভিজ্ঞতাগুলি যদি তাঁদের ভাবনার খোরাক যোগায় – তা হলে উপকৃত হবেন। আমাদের দেশের মা-বোনেদের সামর্থ্য কত, সামান্য সাহায্য পেলেই তাঁরা কিভাবে নিজস্ব দুনিয়া গড়ে তুলতে পারেন। কত সুন্দরভাবে তাঁরা মিলেমিশে কাজ করতে পারেন, কত ভালো নেতৃত্ব দিতে পারেন। এক নতুন ভারতের ভিত্তি স্থাপনের জন্য তাঁরা কত পরিশ্রম করছেন। আমি মনে করি, আমরা যাঁরা শুনছি প্রত্যেকের জন্যই এই বোনেদের প্রত্যেকের কাহিনী অনেক প্রেরণা যোগাবে। ফলে, দেশে কাজ করার উৎসাহ বাড়বে। আমাদের দেশের প্রত্যেক মহিলা নতুন কিছু করার পথ খুঁজে পাবেন, উৎসাহ পাবেন। দেশে নিরাশা সৃষ্টিকারীদের সংখ্যা কম নয়। তাঁদের কথায় কান না দিয়ে যা কিছু ভালো বলে মনে হয়, সেপথেই চলুন। যাঁরা পরিশ্রম করেন, তাঁদেরই পুজো করুন। আপনারা প্রত্যেকে নিজের পায়ে দাঁড়ালে, নিজের উন্নতির পাশাপাশি পরিবারেরও উন্নতি হবে। ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া শিখবে, কঠিন জীবনযাপন থেকে তাঁদের মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্যে আপনারা নিরাশার বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি সঞ্চয় করুন। তবেই আপনারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। আমি এই বোনেদের কথা শুনে প্রেরণা পাই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আজকের এই কর্মসূচি আপনাদেরও তেমনই প্রেরণা যুগিয়েছে। আজকের প্রত্যেক বক্তা কিভাবে নানা প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে পথ খুঁজে নিয়ে নিজের পরিশ্রম ও সাহস দিয়ে পরিস্থিতিকে নিজেদের অনুকূলে এনেছেন, তা থেকে আমরা প্রত্যেকেই শিক্ষা নিতে পারি। এর কৃতিত্ব আরও কারও নয়, এর কৃতিত্ব সম্পূর্ণ আপনাদের। আপনারাই পরস্পরের প্রেরণা হয়ে উঠুন। যে বোনেরা আরও কিছু বলতে চেয়েছিলেন, অথবা যাঁরা বলতেই পারেননি আমি তাঁদের কথাও শুনতে চাই। আমি চাই যে, আপনারা আমাকে বলবেন। আপনাদের কাছ থেকে নতুন যা কিছু শিখেছি, তা আমি আমার ‘মন কি বাত’-এও বলব, যাতে গোটা দেশ আপনাদের কথা থেকে প্রেরণা পেতে পারে। যাঁদের কান্নাকাটি করার স্বভাব তাঁরা করতেই থাকবেন। কিন্তু যাঁরা ভালো কাজ করেন, তাঁরা অন্যদেরও প্রেরণা যোগান। আমরা কাজ করার দলে। আমি আপনাদের বিনীত অনুরোধ জানাই যে …….. আমি জানি ইতিমধ্যেই আপনারা মোবাইল ফোন ব্যবহারে সিদ্ধ হস্ত হয়ে উঠেছেন। আপনারা নিজেদের মোবাইল ফোনে নরেন্দ্র মোদী অ্যাপ ডাউনলোড করে নিজেদের গ্রুপ ফটো আপলোড করুন। যাঁরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারেন না, তাঁরা পঞ্চায়েতে চালু হওয়া কমনসার্ভিস সেন্টারে গিয়ে এই কাজ করতে পারেন। আপনারা নরেন্দ্র মোদী অ্যাপ-এ আপনাদের গোষ্ঠীর বোনেদের সাক্ষাৎকার রেকর্ড করে আপলোড করে দিন। কী কাজ করেছেন এবং কীভাবে করেছেন। কী কী সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন এবং কীভাবে সাফল্য পেয়েছেন! আমি আপনাদের আপলোড করা প্রত্যেকটি সাক্ষাৎকার দেখব, পড়ব এবং শুনব। সুযোগ পেলেই আপনাদের আপলোড করা সাক্ষাৎকারগুলি থেকে নির্বাচিত কিছু অংশ ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে বলব। আপনারা নিজেদের জন্য যেটা করেছেন, তা দেশের কোটি কোটি বোনেদের নতুন সাহস ও শক্তি যোগাবে। আমি জানি যে, ইতিমধ্যেই দেশে ৩ লক্ষ গ্রামে স্থাপিত কমনসার্ভিস সেন্টারগুলি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এখন তো আমাদের মেয়েরাই কমনসার্ভিস সেন্টারগুলি পরিচালনা করছেন। সেখানে গিয়ে আপনারা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেদের সাফল্যগাথা অবশ্যই আমাকে পাঠান, যাতে গোটা দেশ এবং বিশ্ব সেগুলি দেখতে পায়, কিভাবে আমাদের দূরদূরান্তে গ্রামে বসবাসকারী মা ও বোনেরা অসাধারণ সব কাজ করছেন, কেমন নতুন নতুন পদ্ধতি খুঁজে বের করছেন! আজ আপনাদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়ে খুব ভালো লাগল। আপনারা এত বিপুল সংখ্যায় আমাকে আশীর্বাদ দিয়েছেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

 

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report

Media Coverage

India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM’s address at the Odisha Parba
November 24, 2024
Delighted to take part in the Odisha Parba in Delhi, the state plays a pivotal role in India's growth and is blessed with cultural heritage admired across the country and the world: PM
The culture of Odisha has greatly strengthened the spirit of 'Ek Bharat Shreshtha Bharat', in which the sons and daughters of the state have made huge contributions: PM
We can see many examples of the contribution of Oriya literature to the cultural prosperity of India: PM
Odisha's cultural richness, architecture and science have always been special, We have to constantly take innovative steps to take every identity of this place to the world: PM
We are working fast in every sector for the development of Odisha,it has immense possibilities of port based industrial development: PM
Odisha is India's mining and metal powerhouse making it’s position very strong in the steel, aluminium and energy sectors: PM
Our government is committed to promote ease of doing business in Odisha: PM
Today Odisha has its own vision and roadmap, now investment will be encouraged and new employment opportunities will be created: PM

जय जगन्नाथ!

जय जगन्नाथ!

केंद्रीय मंत्रिमंडल के मेरे सहयोगी श्रीमान धर्मेन्द्र प्रधान जी, अश्विनी वैष्णव जी, उड़िया समाज संस्था के अध्यक्ष श्री सिद्धार्थ प्रधान जी, उड़िया समाज के अन्य अधिकारी, ओडिशा के सभी कलाकार, अन्य महानुभाव, देवियों और सज्जनों।

ओडिशा र सबू भाईओ भउणी मानंकु मोर नमस्कार, एबंग जुहार। ओड़िया संस्कृति के महाकुंभ ‘ओड़िशा पर्व 2024’ कू आसी मँ गर्बित। आपण मानंकु भेटी मूं बहुत आनंदित।

मैं आप सबको और ओडिशा के सभी लोगों को ओडिशा पर्व की बहुत-बहुत बधाई देता हूँ। इस साल स्वभाव कवि गंगाधर मेहेर की पुण्यतिथि का शताब्दी वर्ष भी है। मैं इस अवसर पर उनका पुण्य स्मरण करता हूं, उन्हें श्रद्धांजलि देता हूँ। मैं भक्त दासिआ बाउरी जी, भक्त सालबेग जी, उड़िया भागवत की रचना करने वाले श्री जगन्नाथ दास जी को भी आदरपूर्वक नमन करता हूं।

ओडिशा निजर सांस्कृतिक विविधता द्वारा भारतकु जीबन्त रखिबारे बहुत बड़ भूमिका प्रतिपादन करिछि।

साथियों,

ओडिशा हमेशा से संतों और विद्वानों की धरती रही है। सरल महाभारत, उड़िया भागवत...हमारे धर्मग्रन्थों को जिस तरह यहाँ के विद्वानों ने लोकभाषा में घर-घर पहुंचाया, जिस तरह ऋषियों के विचारों से जन-जन को जोड़ा....उसने भारत की सांस्कृतिक समृद्धि में बहुत बड़ी भूमिका निभाई है। उड़िया भाषा में महाप्रभु जगन्नाथ जी से जुड़ा कितना बड़ा साहित्य है। मुझे भी उनकी एक गाथा हमेशा याद रहती है। महाप्रभु अपने श्री मंदिर से बाहर आए थे और उन्होंने स्वयं युद्ध का नेतृत्व किया था। तब युद्धभूमि की ओर जाते समय महाप्रभु श्री जगन्नाथ ने अपनी भक्त ‘माणिका गौउडुणी’ के हाथों से दही खाई थी। ये गाथा हमें बहुत कुछ सिखाती है। ये हमें सिखाती है कि हम नेक नीयत से काम करें, तो उस काम का नेतृत्व खुद ईश्वर करते हैं। हमेशा, हर समय, हर हालात में ये सोचने की जरूरत नहीं है कि हम अकेले हैं, हम हमेशा ‘प्लस वन’ होते हैं, प्रभु हमारे साथ होते हैं, ईश्वर हमेशा हमारे साथ होते हैं।

साथियों,

ओडिशा के संत कवि भीम भोई ने कहा था- मो जीवन पछे नर्के पडिथाउ जगत उद्धार हेउ। भाव ये कि मुझे चाहे जितने ही दुख क्यों ना उठाने पड़ें...लेकिन जगत का उद्धार हो। यही ओडिशा की संस्कृति भी है। ओडिशा सबु जुगरे समग्र राष्ट्र एबं पूरा मानब समाज र सेबा करिछी। यहाँ पुरी धाम ने ‘एक भारत श्रेष्ठ भारत’ की भावना को मजबूत बनाया। ओडिशा की वीर संतानों ने आज़ादी की लड़ाई में भी बढ़-चढ़कर देश को दिशा दिखाई थी। पाइका क्रांति के शहीदों का ऋण, हम कभी नहीं चुका सकते। ये मेरी सरकार का सौभाग्य है कि उसे पाइका क्रांति पर स्मारक डाक टिकट और सिक्का जारी करने का अवसर मिला था।

साथियों,

उत्कल केशरी हरे कृष्ण मेहताब जी के योगदान को भी इस समय पूरा देश याद कर रहा है। हम व्यापक स्तर पर उनकी 125वीं जयंती मना रहे हैं। अतीत से लेकर आज तक, ओडिशा ने देश को कितना सक्षम नेतृत्व दिया है, ये भी हमारे सामने है। आज ओडिशा की बेटी...आदिवासी समुदाय की द्रौपदी मुर्मू जी भारत की राष्ट्रपति हैं। ये हम सभी के लिए बहुत ही गर्व की बात है। उनकी प्रेरणा से आज भारत में आदिवासी कल्याण की हजारों करोड़ रुपए की योजनाएं शुरू हुई हैं, और ये योजनाएं सिर्फ ओडिशा के ही नहीं बल्कि पूरे भारत के आदिवासी समाज का हित कर रही हैं।

साथियों,

ओडिशा, माता सुभद्रा के रूप में नारीशक्ति और उसके सामर्थ्य की धरती है। ओडिशा तभी आगे बढ़ेगा, जब ओडिशा की महिलाएं आगे बढ़ेंगी। इसीलिए, कुछ ही दिन पहले मैंने ओडिशा की अपनी माताओं-बहनों के लिए सुभद्रा योजना का शुभारंभ किया था। इसका बहुत बड़ा लाभ ओडिशा की महिलाओं को मिलेगा। उत्कलर एही महान सुपुत्र मानंकर बिसयरे देश जाणू, एबं सेमानंक जीबन रु प्रेरणा नेउ, एथी निमन्ते एपरी आयौजनर बहुत अधिक गुरुत्व रहिछि ।

साथियों,

इसी उत्कल ने भारत के समुद्री सामर्थ्य को नया विस्तार दिया था। कल ही ओडिशा में बाली जात्रा का समापन हुआ है। इस बार भी 15 नवंबर को कार्तिक पूर्णिमा के दिन से कटक में महानदी के तट पर इसका भव्य आयोजन हो रहा था। बाली जात्रा प्रतीक है कि भारत का, ओडिशा का सामुद्रिक सामर्थ्य क्या था। सैकड़ों वर्ष पहले जब आज जैसी टेक्नोलॉजी नहीं थी, तब भी यहां के नाविकों ने समुद्र को पार करने का साहस दिखाया। हमारे यहां के व्यापारी जहाजों से इंडोनेशिया के बाली, सुमात्रा, जावा जैसे स्थानो की यात्राएं करते थे। इन यात्राओं के माध्यम से व्यापार भी हुआ और संस्कृति भी एक जगह से दूसरी जगह पहुंची। आजी विकसित भारतर संकल्पर सिद्धि निमन्ते ओडिशार सामुद्रिक शक्तिर महत्वपूर्ण भूमिका अछि।

साथियों,

ओडिशा को नई ऊंचाई तक ले जाने के लिए 10 साल से चल रहे अनवरत प्रयास....आज ओडिशा के लिए नए भविष्य की उम्मीद बन रहे हैं। 2024 में ओडिशावासियों के अभूतपूर्व आशीर्वाद ने इस उम्मीद को नया हौसला दिया है। हमने बड़े सपने देखे हैं, बड़े लक्ष्य तय किए हैं। 2036 में ओडिशा, राज्य-स्थापना का शताब्दी वर्ष मनाएगा। हमारा प्रयास है कि ओडिशा की गिनती देश के सशक्त, समृद्ध और तेजी से आगे बढ़ने वाले राज्यों में हो।

साथियों,

एक समय था, जब भारत के पूर्वी हिस्से को...ओडिशा जैसे राज्यों को पिछड़ा कहा जाता था। लेकिन मैं भारत के पूर्वी हिस्से को देश के विकास का ग्रोथ इंजन मानता हूं। इसलिए हमने पूर्वी भारत के विकास को अपनी प्राथमिकता बनाया है। आज पूरे पूर्वी भारत में कनेक्टिविटी के काम हों, स्वास्थ्य के काम हों, शिक्षा के काम हों, सभी में तेजी लाई गई है। 10 साल पहले ओडिशा को केंद्र सरकार जितना बजट देती थी, आज ओडिशा को तीन गुना ज्यादा बजट मिल रहा है। इस साल ओडिशा के विकास के लिए पिछले साल की तुलना में 30 प्रतिशत ज्यादा बजट दिया गया है। हम ओडिशा के विकास के लिए हर सेक्टर में तेजी से काम कर रहे हैं।

साथियों,

ओडिशा में पोर्ट आधारित औद्योगिक विकास की अपार संभावनाएं हैं। इसलिए धामरा, गोपालपुर, अस्तारंगा, पलुर, और सुवर्णरेखा पोर्ट्स का विकास करके यहां व्यापार को बढ़ावा दिया जाएगा। ओडिशा भारत का mining और metal powerhouse भी है। इससे स्टील, एल्युमिनियम और एनर्जी सेक्टर में ओडिशा की स्थिति काफी मजबूत हो जाती है। इन सेक्टरों पर फोकस करके ओडिशा में समृद्धि के नए दरवाजे खोले जा सकते हैं।

साथियों,

ओडिशा की धरती पर काजू, जूट, कपास, हल्दी और तिलहन की पैदावार बहुतायत में होती है। हमारा प्रयास है कि इन उत्पादों की पहुंच बड़े बाजारों तक हो और उसका फायदा हमारे किसान भाई-बहनों को मिले। ओडिशा की सी-फूड प्रोसेसिंग इंडस्ट्री में भी विस्तार की काफी संभावनाएं हैं। हमारा प्रयास है कि ओडिशा सी-फूड एक ऐसा ब्रांड बने, जिसकी मांग ग्लोबल मार्केट में हो।

साथियों,

हमारा प्रयास है कि ओडिशा निवेश करने वालों की पसंदीदा जगहों में से एक हो। हमारी सरकार ओडिशा में इज ऑफ डूइंग बिजनेस को बढ़ावा देने के लिए प्रतिबद्ध है। उत्कर्ष उत्कल के माध्यम से निवेश को बढ़ाया जा रहा है। ओडिशा में नई सरकार बनते ही, पहले 100 दिनों के भीतर-भीतर, 45 हजार करोड़ रुपए के निवेश को मंजूरी मिली है। आज ओडिशा के पास अपना विज़न भी है, और रोडमैप भी है। अब यहाँ निवेश को भी बढ़ावा मिलेगा, और रोजगार के नए अवसर भी पैदा होंगे। मैं इन प्रयासों के लिए मुख्यमंत्री श्रीमान मोहन चरण मांझी जी और उनकी टीम को बहुत-बहुत बधाई देता हूं।

साथियों,

ओडिशा के सामर्थ्य का सही दिशा में उपयोग करके उसे विकास की नई ऊंचाइयों पर पहुंचाया जा सकता है। मैं मानता हूं, ओडिशा को उसकी strategic location का बहुत बड़ा फायदा मिल सकता है। यहां से घरेलू और अंतर्राष्ट्रीय बाजार तक पहुंचना आसान है। पूर्व और दक्षिण-पूर्व एशिया के लिए ओडिशा व्यापार का एक महत्वपूर्ण हब है। Global value chains में ओडिशा की अहमियत आने वाले समय में और बढ़ेगी। हमारी सरकार राज्य से export बढ़ाने के लक्ष्य पर भी काम कर रही है।

साथियों,

ओडिशा में urbanization को बढ़ावा देने की अपार संभावनाएं हैं। हमारी सरकार इस दिशा में ठोस कदम उठा रही है। हम ज्यादा संख्या में dynamic और well-connected cities के निर्माण के लिए प्रतिबद्ध हैं। हम ओडिशा के टियर टू शहरों में भी नई संभावनाएं बनाने का भरपूर हम प्रयास कर रहे हैं। खासतौर पर पश्चिम ओडिशा के इलाकों में जो जिले हैं, वहाँ नए इंफ्रास्ट्रक्चर से नए अवसर पैदा होंगे।

साथियों,

हायर एजुकेशन के क्षेत्र में ओडिशा देशभर के छात्रों के लिए एक नई उम्मीद की तरह है। यहां कई राष्ट्रीय और अंतर्राष्ट्रीय इंस्टीट्यूट हैं, जो राज्य को एजुकेशन सेक्टर में लीड लेने के लिए प्रेरित करते हैं। इन कोशिशों से राज्य में स्टार्टअप्स इकोसिस्टम को भी बढ़ावा मिल रहा है।

साथियों,

ओडिशा अपनी सांस्कृतिक समृद्धि के कारण हमेशा से ख़ास रहा है। ओडिशा की विधाएँ हर किसी को सम्मोहित करती है, हर किसी को प्रेरित करती हैं। यहाँ का ओड़िशी नृत्य हो...ओडिशा की पेंटिंग्स हों...यहाँ जितनी जीवंतता पट्टचित्रों में देखने को मिलती है...उतनी ही बेमिसाल हमारे आदिवासी कला की प्रतीक सौरा चित्रकारी भी होती है। संबलपुरी, बोमकाई और कोटपाद बुनकरों की कारीगरी भी हमें ओडिशा में देखने को मिलती है। हम इस कला और कारीगरी का जितना प्रसार करेंगे, उतना ही इस कला को संरक्षित करने वाले उड़िया लोगों को सम्मान मिलेगा।

साथियों,

हमारे ओडिशा के पास वास्तु और विज्ञान की भी इतनी बड़ी धरोहर है। कोणार्क का सूर्य मंदिर… इसकी विशालता, इसका विज्ञान...लिंगराज और मुक्तेश्वर जैसे पुरातन मंदिरों का वास्तु.....ये हर किसी को आश्चर्यचकित करता है। आज लोग जब इन्हें देखते हैं...तो सोचने पर मजबूर हो जाते हैं कि सैकड़ों साल पहले भी ओडिशा के लोग विज्ञान में इतने आगे थे।

साथियों,

ओडिशा, पर्यटन की दृष्टि से अपार संभावनाओं की धरती है। हमें इन संभावनाओं को धरातल पर उतारने के लिए कई आयामों में काम करना है। आप देख रहे हैं, आज ओडिशा के साथ-साथ देश में भी ऐसी सरकार है जो ओडिशा की धरोहरों का, उसकी पहचान का सम्मान करती है। आपने देखा होगा, पिछले साल हमारे यहाँ G-20 का सम्मेलन हुआ था। हमने G-20 के दौरान इतने सारे देशों के राष्ट्राध्यक्षों और राजनयिकों के सामने...सूर्यमंदिर की ही भव्य तस्वीर को प्रस्तुत किया था। मुझे खुशी है कि महाप्रभु जगन्नाथ मंदिर परिसर के सभी चार द्वार खुल चुके हैं। मंदिर का रत्न भंडार भी खोल दिया गया है।

साथियों,

हमें ओडिशा की हर पहचान को दुनिया को बताने के लिए भी और भी इनोवेटिव कदम उठाने हैं। जैसे....हम बाली जात्रा को और पॉपुलर बनाने के लिए बाली जात्रा दिवस घोषित कर सकते हैं, उसका अंतरराष्ट्रीय मंच पर प्रचार कर सकते हैं। हम ओडिशी नृत्य जैसी कलाओं के लिए ओडिशी दिवस मनाने की शुरुआत कर सकते हैं। विभिन्न आदिवासी धरोहरों को सेलिब्रेट करने के लिए भी नई परम्पराएँ शुरू की जा सकती हैं। इसके लिए स्कूल और कॉलेजों में विशेष आयोजन किए जा सकते हैं। इससे लोगों में जागरूकता आएगी, यहाँ पर्यटन और लघु उद्योगों से जुड़े अवसर बढ़ेंगे। कुछ ही दिनों बाद प्रवासी भारतीय सम्मेलन भी, विश्व भर के लोग इस बार ओडिशा में, भुवनेश्वर में आने वाले हैं। प्रवासी भारतीय दिवस पहली बार ओडिशा में हो रहा है। ये सम्मेलन भी ओडिशा के लिए बहुत बड़ा अवसर बनने वाला है।

साथियों,

कई जगह देखा गया है बदलते समय के साथ, लोग अपनी मातृभाषा और संस्कृति को भी भूल जाते हैं। लेकिन मैंने देखा है...उड़िया समाज, चाहे जहां भी रहे, अपनी संस्कृति, अपनी भाषा...अपने पर्व-त्योहारों को लेकर हमेशा से बहुत उत्साहित रहा है। मातृभाषा और संस्कृति की शक्ति कैसे हमें अपनी जमीन से जोड़े रखती है...ये मैंने कुछ दिन पहले ही दक्षिण अमेरिका के देश गयाना में भी देखा। करीब दो सौ साल पहले भारत से सैकड़ों मजदूर गए...लेकिन वो अपने साथ रामचरित मानस ले गए...राम का नाम ले गए...इससे आज भी उनका नाता भारत भूमि से जुड़ा हुआ है। अपनी विरासत को इसी तरह सहेज कर रखते हुए जब विकास होता है...तो उसका लाभ हर किसी तक पहुंचता है। इसी तरह हम ओडिशा को भी नई ऊचाई पर पहुंचा सकते हैं।

साथियों,

आज के आधुनिक युग में हमें आधुनिक बदलावों को आत्मसात भी करना है, और अपनी जड़ों को भी मजबूत बनाना है। ओडिशा पर्व जैसे आयोजन इसका एक माध्यम बन सकते हैं। मैं चाहूँगा, आने वाले वर्षों में इस आयोजन का और ज्यादा विस्तार हो, ये पर्व केवल दिल्ली तक सीमित न रहे। ज्यादा से ज्यादा लोग इससे जुड़ें, स्कूल कॉलेजों का participation भी बढ़े, हमें इसके लिए प्रयास करने चाहिए। दिल्ली में बाकी राज्यों के लोग भी यहाँ आयें, ओडिशा को और करीबी से जानें, ये भी जरूरी है। मुझे भरोसा है, आने वाले समय में इस पर्व के रंग ओडिशा और देश के कोने-कोने तक पहुंचेंगे, ये जनभागीदारी का एक बहुत बड़ा प्रभावी मंच बनेगा। इसी भावना के साथ, मैं एक बार फिर आप सभी को बधाई देता हूं।

आप सबका बहुत-बहुत धन्यवाद।

जय जगन्नाथ!