মঞ্চে উপস্থিত আমার মন্ত্রিসভার সদস্য ডঃ হর্ষ বর্ধনজী, অশ্বিনী কুমার চৌবেজী, বিভিন্ন রাজ্য ও প্রতিষ্ঠান থেকে সমাগত প্রতিনিধিবৃন্দ, আয়ুষ্মান ভারতের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বন্ধুরা এবং এখানে যে সমস্ত সুফলভোগীরা উপস্থিত হয়েছেন,
ভাই ও বোনেরা, আজ তৃতীয় নবরাত্রি। আজ মা’কে চন্দ্রঘটা রূপে পুজো করা হয়। শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে, দশভূজা দেবী চন্দ্রঘটা চাঁদের শীতলতা ও সৌম্যতা নিয়ে সমগ্র জগতের ব্যথা দূর করেন। ভারতের ৫০ কোটিরও বেশি গরিব মানুষের রোগ-শোক দূর করা আয়ুষ্মান ভারত যোজনার প্রথম বছরের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আলোচনা করার এরচেয়ে ভালো সুযোগ আর কি হতে পারে!
বন্ধুগণ, আয়ুষ্মান ভারতের এই প্রথম বছর ছিল সংকল্প, সমর্পণ এবং শিক্ষার। দেশবাসীর সংকল্প শক্তির জোরেই আমরা ভারতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্পটি সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে চলেছি। এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে – সমর্পণ ও সদ্ভাবনা। এই সমর্পণ দেশের প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের হাজার হাজার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলির, এই সমর্পণ দেশের প্রত্যেক স্বাস্থ্যকর্মী, আয়ুষ্মান মিত্র, আশা কর্মী নানা সামাজিক সংগঠন ও জনপ্রতিনিধিদের সকলের।
ভাই ও বোনেরা, এই সমর্পনের ফলেই আজ দেশবাসী প্রত্যয়ের সঙ্গে সগর্বে বলছে, – বছর এক – আয়ুষ্মান অনেক।
সারা দেশের গরিব, ৪৬ লক্ষ গরিব পরিবারের মনে অসুস্থতার নিরাশা থেকে সুস্থ জীবনের আশা জাগানোর এই বিরাট সাফল্য এসেছে। এই এক বছরে যদি একজন মানুষেরও জায়গা-জমি-বাড়ি কিংবা গহনা অসুস্থতার কারণে বিক্রি হওয়া থেকে কিংবা বন্ধক রাখা থেকে বাঁচানো সম্ভব হয়ে থাকে, সেটাই হ’ল আয়ুষ্মান ভারতের সবচেয়ে বড় সাফল্য।
বন্ধুগণ, একটু আগেই এমন কয়েকজন সুফলভোগীর সঙ্গে কথা বলার সৌভাগ্য হয়েছে। বিগত এক বছরে, এমনকি, নির্বাচনের সময়ও আমি সারা দেশে এমন অসংখ্য সুফলভোগীর সঙ্গে কথা বলার নিয়মিত প্রচেষ্টা চালিয়েছি, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছি যে, আয়ুষ্মান ভারত পিএমজেএওয়াই গরিব মানুষের জীবনে কী পরিবর্তন আনছে! আসলে এই প্রকল্প আজ গরিবদের জয়গাঁথা রচনা করছে। যখন গরিব শিশু সুস্থ হয়ে ওঠে, যখন বাড়ির একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি সুস্থ হয়ে কাজে যোগদান করেন, তখন আয়ুষ্মান হওয়ার অর্থ বোঝা যায়। সেজন্য আয়ুষ্মান ভারত পিএমজেএওয়াই – এর সাফল্যের জন্য সমর্পিত প্রাণ প্রত্যেক ব্যক্তি ও সংস্থার সঙ্গে রয়েছে দেশের কোটি কোটি গরিব মানুষের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। এই মহান কাজে যুক্ত থাকা প্রত্যেক বন্ধুকে আমি অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।
ভাই ও বোনেরা, সংকল্প ও সমর্পণের পাশাপাশি, এই প্রথম বছরের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। এখানে আসার আগে যে প্রদর্শনীটি শুরু হয়েছে, সেখানে এই এক বছরের সাফল্যকে প্রত্যক্ষ করেছি। কিভাবে সময়ের সঙ্গে আমরা প্রতিটি সমস্যার মোকাবিলা করেছি, প্রযুক্তির নিরন্তর বিস্তারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যমে সমস্ত বিপত্তি ও আশঙ্কাকে দূর করতে পেরেছি। এই শিক্ষা, বার্তালাপ ও সংস্কারের ক্রম ভবিষ্যতেও নিরন্তর চলতে থাকবে।
বন্ধুগণ, এই প্রকল্পের পরিধি, তদারকিকে কিভাবে আরও কার্যকর করা যায়, সুবিধাভোগীদের জন্য কিভাবে আরও একে সুগম করে তোলা যায়, হাসপাতালগুলির নানা সমস্যা কিভাবে দূর করা যায়, তা নিয়ে এখানে দু’দিন ধরে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা হয়েছে। উৎকর্ষ থেকে শুরু করে ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা হয়েছে। বিশেষভাবে, সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার এই প্রকল্পের আওতায় কিভাবে প্রতিটি পরিবারকে আনা যায়, তা নিয়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিরা যেভাবে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন, তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনার প্রয়োজন রয়েছে। এটা আমাদের সকলের দায়িত্ব যে, কঠিন সময়ে হাসপাতালের দরজা দেশের প্রত্যেক গরিব মানুষের জন্য, প্রত্যেক দেশবাসীর জন্য খোলা রাখতে হবে, উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
ভাই ও বোনেরা, আয়ুষ্মান ভারত নতুন ভারতের বিপ্লবী পদক্ষেপগুলির অন্যতম। এই প্রকল্প শুধু সাধারণ মানুষ তথা গরিবদের জীবন রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে না, এই প্রকল্প ভারতের ১৩০ কোটি মানুষের মিলিত সংকল্প এবং সামর্থ্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে। একথা এজন্য বলছি যে, আমাদের দেশে গরিবদের সুলভে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের প্রচেষ্টা আগেও হয়েছে। প্রত্যেক রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তাদের সীমিত ক্ষমতার মধ্যে যথাসম্ভব চেষ্টা করেছে। রাজ্যগুলির সমস্ত সদ্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও গরিব মানুষরা যথাযথ সুফল পাচ্ছিলেন না, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ক্ষেত্রেও তেমন উন্নতি হয়নি। কিন্তু আয়ুষ্মান ভারত এটা প্রমাণ করে দিয়েছে যে, ভারতের মিলিত শক্তি দিয়ে যদি কোনও কাজ করা যায়, তা হলে তার লাভ এবং ফলাফল অত্যন্ত ব্যাপক ও বিরাট হয়। আয়ুষ্মান ভারত দেশের যে কোনও অঞ্চলের হাসপাতালে যে কোনও রোগীর চিকিৎসা সুনিশ্চিত করে। আগে এটা অসম্ভব ছিল। সেজন্য গত এক বছরে প্রায় ৫০ হাজার সুবিধাভোগী ভিন্ন রাজ্যে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে উপকৃত হয়েছেন।
ভাই ও বোনেরা, দেশের কোনও মানুষ চিকিৎসার জন্য নিজের বাড়ি, জেলা কিংবা রাজ্য থেকে দূরে যেতে চান না। বাধ্য হয়েই তাঁদের এরকম পদক্ষেপ নিতে হয়। প্রত্যেক নাগরিকের বাড়ির কাছেই যাতে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকে, আয়ুষ্মান ভারত – এর মাধ্যমে প্রতিটি রাজ্য সেই চেষ্টাই করছে। এটা সত্যি যে, দেশের যে অঞ্চলগুলিতে উন্নত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো রয়েছে, সেই অঞ্চলগুলিতে এখন রোগীর চাপ বেড়েছে। এটা প্রত্যেক ভারতবাসীর দায়িত্ব যে, দেশের কোনও নাগরিক যেন আধুনিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন। আয়ুষ্মান ভারত এই ভাবনাকে আরও জোড়ালো করছে।
বন্ধুগণ, আয়ুষ্মান ভারত গোটা দেশের জন্য মিলিত সমাধানের পাশাপাশি, সুস্থ ভারতের লক্ষ্যে সামগ্রিক সমাধানের একটি প্রকল্প। এটি সরকারের সেই ভাবনার বিস্তার, যার মাধ্যমে আমরা ভারতের বিভিন্ন সমস্যার মোকাবিলা বিচ্ছিন্নভাবে না করে পূর্ণ শক্তি নিয়ে সামগ্রিকভাবে করতে চাই। কিছুদিন আগে রাষ্ট্রসংঘে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে একটি কর্মসূচিতে আমার ভারত সম্পর্কে বলার সৌভাগ্য হয়েছিল। আমরা ভারতে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে যেভাবে সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে কাজ করছি, যে মাত্রায় কাজ করছি – তা বিশ্ববাসীর কাছে একটি বিস্ময়।
ভাই ও বোনেরা, রাষ্ট্রসংঘের সেই কর্মসূচিতে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা প্রতিনিধিদের আমি বলেছি, কিভাবে আমরা চারটি শক্তিশালী স্তম্ভের ওপর সুস্থ ভারতকে গড়ে তুলছি। প্রথমত – প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য পরিষেবা, দ্বিতীয়ত – সুলভ স্বাস্থ্য পরিষেবা, তৃতীয়ত – সরবরাহ ব্যবস্থায় উন্নতি এবং চতুর্থত – রাষ্ট্রীয় পুষ্টি অভিযানের মতো মিশনমোডে কাজ করার মাধ্যমে।
প্রথম স্তম্ভটির কথা যদি বলি, আজ পরিচ্ছন্নতা, যোগ, আয়ুষ, টিকাকরণ এবং ফিটনেসকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে, যাতে জীবনরেখার সঙ্গে যুক্ত অসুখ-বিসুখ ন্যূনতম করা যায়। শুধু তাই নয়, গৃহপালিত পশুদের মাধ্যমে সংক্রামিত রোগগুলিও মানুষকে বিপদে ফেলে। সেজন্য আমরা পশুদের পা থেকে মুখ অবধি যে সমস্ত রোগ হয়, সেগুলি থেকে ভারতকে মুক্ত করা। অর্থাৎ আমরা পশুদের কথাও ভুলিনি।
দ্বিতীয় স্তম্ভ প্রসঙ্গে আমরা বলেছি, দেশের সাধারণ মানুষকে সুলভে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের নিরন্তর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
ভাই ও বোনেরা, এই দুটি স্তম্ভকে আয়ুষ্মান ভারত যোজনা অত্যন্ত শক্তিশালী করে তুলছে। সারা দেশে দেড় লক্ষেরও বেশি হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার নির্মাণের মাধ্যমে এবং প্রতি বছর ৫ লক্ষেরও বেশি বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা আয়ুষ্মান ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য।
বন্ধুগণ, আয়ুষ্মান ভারত আমাদের তৃতীয় স্তম্ভ অর্থাৎ সরবরাহ ব্যবস্থার শক্তি বৃদ্ধিরও ভিত্তি হয়ে উঠেছে। আয়ুষ্মান ভারতের মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন সেই গরিব রোগীও হাসপাতালে যাচ্ছেন, যিনি আগে কখনও হাসপাতালের কথা ভাবতেও পারতেন না। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার কথা তো কল্পনাও করতে পারতেন না। আজ পিএমজেএওয়াই পরিষেবা প্রদানকারী ১৮ হাজারেরও বেশি হাসপাতালের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার হাসপাতাল অর্থাৎ অর্ধেকেরও বেশি বেসরকারি ক্ষেত্রের হাসপাতাল গরিবদের জন্য তাদের দরজা খুলে দিয়েছে। আগামী দিনে এই অংশীদারিত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে।
বন্ধুগণ, যেভাবে চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনই দেশে ছোট শহরগুলিতে আধুনিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। আগামী দিনে অনেক নতুন হাসপাতাল গড়ে উঠবে, নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। একটি অনুমান অনুযায়ী, আগামী ৫ – ৭ বছরে শুধু আয়ুষ্মান ভারত যোজনার চাহিদা থেকেই প্রায় ১১ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান হবে। এটা কত বড় পরিসংখ্যান, তা একটি উদাহরণ থেকে আন্দাজ করা যেতে পারে যে, দেশে একমাত্র রেল-ই এর থেকে বেশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে।
ভাই ও বোনেরা, কর্মসংস্থানের এই সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের নবীন বন্ধুদের প্রশিক্ষিত করে তোলার প্রয়োজন রয়েছে। সেজন্য চিকিৎসা শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত পরিকাঠামো বিস্তারিত করা হচ্ছে। প্রয়োজন অনুযায়ী নীতি পরিবর্তন করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা ক্ষেত্রে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ভর্তি থেকে শুরু করে সমস্ত নিয়মনীতিতে একটি সিমলেস এবং স্বচ্ছ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। সারা দেশে ৭৫টি নতুন মেডিকেল কলেজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত থেকে শুরু করে দেশে নতুন ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন গঠন করা হয়েছে। এর ফলে, নিশ্চিতভাবেই স্বাস্থ্য ক্ষেত্র অত্যন্ত লাভবান হবে।
ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন দেশের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিস্তারে গতি আনবে, উৎকর্ষ বৃদ্ধি করবে এবং দুর্নীতি হ্রাসে কার্যকরি ভূমিকা পালন করবে।
বন্ধুগণ, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পকে ব্যবহার-বন্ধব এবং ত্রুটিমুক্ত করে তোলার জন্য নিরন্তর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমাকে বলা হয়েছে যে, এর সঙ্গে যুক্ত তথ্য প্রযুক্তি ব্যবস্থাকে পিএমজেএওয়াই ২.০ রূপে উন্নত করা হচ্ছে। আজ যে অ্যাপটির উদ্বোধন করা হচ্ছে, তার মাধ্যমে সুফলভোগীরা উপকৃত হবেন। কিন্তু বন্ধুগণ, এই প্রকল্পকে আরও সক্ষম এবং ব্যাপক করে তুলতে আমাদের আরও অনেক বেশি প্রযুক্তির সাহায্য নিতে হবে। আয়ুষ্মান ভারতের ভিন্ন ভিন্ন উপাদানকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য একটি প্রভাবশালী এবং সুগম ব্যবস্থার প্রয়োজন রয়েছে। হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারগুলি থেকে শুরু করে বড় হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার পর্যন্ত, রোগ নির্ণয়, ‘রেফারেল’ এবং পরবর্তী চিকিৎসার একটি প্রযুক্তি-নির্ভর ব্যবস্থা আমাদের গড়ে তুলতে হবে। আমাদের সেই অবস্থায় পৌঁছতে হবে, যখন গ্রামের হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারে নিবন্ধীকৃত রোগীর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা তথ্য সেই ব্যক্তির রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার কাজে লাগে। এই একই তথ্য বড় হাসপাতালে রেফার করার সময় পরবর্তী চিকিৎসার ক্ষেত্রে কার্যকরি ভূমিকা পালন করে। সেজন্য আমাদের সবাইকে ভাবতে হবে যে, নতুন প্রজন্মের মেধাকে কাজে লাগাতে হবে।
বন্ধুগণ, সেজন্য আজ আমরা যে পিএমজেএওয়াই স্টার্ট আপ গ্র্যান্ড চ্যালেঞ্জ উদ্বোধন করেছি, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমি দেশের নবীন প্রজন্মকে, বিশেষ করে, তথ্য প্রযুক্তি পেশাদারদের অনুরোধ জানাই যে, এই মানবতার কাজকে আপনারা চ্যালেঞ্জ হিসাবে গ্রহণ করুন আর আগামী দিনে উন্নত সমাধান নিয়ে আসুন। এর মাধ্যমে সারা দেশে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কর্মরত স্টার্ট আপগুলিকে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পগুলির সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। আমি দেশের সমস্ত তরুণ শিল্পোদ্যোগী ও উদ্ভাবকদের এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার জন্য আরেকবার আমন্ত্রণ জানাই।
ভাই ও বোনেরা, নতুন ভারতের স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থা নিশ্চিতভাবেই সমগ্র বিশ্বের সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চলেছে। এক্ষেত্রে আয়ুষ্মান ভারত যোজনার গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকবে। দেশের কোটি কোটি মানুষকে আয়ুষ্মান করে তুলতে আমাদের দায়বদ্ধতা আরও শক্তিশালী হোক, আমাদের প্রত্যেক প্রচেষ্টা সফল হোক – এই আশা নিয়ে আপনাদের সবাইকে হৃদয় থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, অনেক অনেক শুভেচ্ছা।