Quoteনতুন ভারতে আয়ুষ্মান ভারত একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ
Quoteআয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প ১৩০ কোটি দেশবাসীর জন্য সংকল্প ও শক্তির প্রতীক: প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quoteদেশ জুড়ে সুস্বাস্থ্যের লক্ষ্যে আয়ুষ্মান ভারত সমষ্টিগতভাবে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ: প্রধানমন্ত্রী

মঞ্চে উপস্থিত আমার মন্ত্রিসভার সদস্য ডঃ হর্ষ বর্ধনজী, অশ্বিনী কুমার চৌবেজী, বিভিন্ন রাজ্য ও প্রতিষ্ঠান থেকে সমাগত প্রতিনিধিবৃন্দ, আয়ুষ্মান ভারতের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বন্ধুরা এবং এখানে যে সমস্ত সুফলভোগীরা উপস্থিত হয়েছেন,

ভাই ও বোনেরা, আজ তৃতীয় নবরাত্রি। আজ মা’কে চন্দ্রঘটা রূপে পুজো করা হয়। শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে, দশভূজা দেবী চন্দ্রঘটা চাঁদের শীতলতা ও সৌম্যতা নিয়ে সমগ্র জগতের ব্যথা দূর করেন। ভারতের ৫০ কোটিরও বেশি গরিব মানুষের রোগ-শোক দূর করা আয়ুষ্মান ভারত যোজনার প্রথম বছরের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আলোচনা করার এরচেয়ে ভালো সুযোগ আর কি হতে পারে!

বন্ধুগণ, আয়ুষ্মান ভারতের এই প্রথম বছর ছিল সংকল্প, সমর্পণ এবং শিক্ষার। দেশবাসীর সংকল্প শক্তির জোরেই আমরা ভারতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্পটি সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে চলেছি। এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে – সমর্পণ ও সদ্ভাবনা। এই সমর্পণ দেশের প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের হাজার হাজার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলির, এই সমর্পণ দেশের প্রত্যেক স্বাস্থ্যকর্মী, আয়ুষ্মান মিত্র, আশা কর্মী নানা সামাজিক সংগঠন ও জনপ্রতিনিধিদের সকলের।

ভাই ও বোনেরা, এই সমর্পনের ফলেই আজ দেশবাসী প্রত্যয়ের সঙ্গে সগর্বে বলছে, – বছর এক – আয়ুষ্মান অনেক।

সারা দেশের গরিব, ৪৬ লক্ষ গরিব পরিবারের মনে অসুস্থতার নিরাশা থেকে সুস্থ জীবনের আশা জাগানোর এই বিরাট সাফল্য এসেছে। এই এক বছরে যদি একজন মানুষেরও জায়গা-জমি-বাড়ি কিংবা গহনা অসুস্থতার কারণে বিক্রি হওয়া থেকে কিংবা বন্ধক রাখা থেকে বাঁচানো সম্ভব হয়ে থাকে, সেটাই হ’ল আয়ুষ্মান ভারতের সবচেয়ে বড় সাফল্য।

|

বন্ধুগণ, একটু আগেই এমন কয়েকজন সুফলভোগীর সঙ্গে কথা বলার সৌভাগ্য হয়েছে। বিগত এক বছরে, এমনকি, নির্বাচনের সময়ও আমি সারা দেশে এমন অসংখ্য সুফলভোগীর সঙ্গে কথা বলার নিয়মিত প্রচেষ্টা চালিয়েছি, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছি যে, আয়ুষ্মান ভারত পিএমজেএওয়াই গরিব মানুষের জীবনে কী পরিবর্তন আনছে! আসলে এই প্রকল্প আজ গরিবদের জয়গাঁথা রচনা করছে। যখন গরিব শিশু সুস্থ হয়ে ওঠে, যখন বাড়ির একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি সুস্থ হয়ে কাজে যোগদান করেন, তখন আয়ুষ্মান হওয়ার অর্থ বোঝা যায়। সেজন্য আয়ুষ্মান ভারত পিএমজেএওয়াই – এর সাফল্যের জন্য সমর্পিত প্রাণ প্রত্যেক ব্যক্তি ও সংস্থার সঙ্গে রয়েছে দেশের কোটি কোটি গরিব মানুষের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। এই মহান কাজে যুক্ত থাকা প্রত্যেক বন্ধুকে আমি অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

ভাই ও বোনেরা, সংকল্প ও সমর্পণের পাশাপাশি, এই প্রথম বছরের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। এখানে আসার আগে যে প্রদর্শনীটি শুরু হয়েছে, সেখানে এই এক বছরের সাফল্যকে প্রত্যক্ষ করেছি। কিভাবে সময়ের সঙ্গে আমরা প্রতিটি সমস্যার মোকাবিলা করেছি, প্রযুক্তির নিরন্তর বিস্তারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যমে সমস্ত বিপত্তি ও আশঙ্কাকে দূর করতে পেরেছি। এই শিক্ষা, বার্তালাপ ও সংস্কারের ক্রম ভবিষ্যতেও নিরন্তর চলতে থাকবে।

বন্ধুগণ, এই প্রকল্পের পরিধি, তদারকিকে কিভাবে আরও কার্যকর করা যায়, সুবিধাভোগীদের জন্য কিভাবে আরও একে সুগম করে তোলা যায়, হাসপাতালগুলির নানা সমস্যা কিভাবে দূর করা যায়, তা নিয়ে এখানে দু’দিন ধরে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা হয়েছে। উৎকর্ষ থেকে শুরু করে ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা হয়েছে। বিশেষভাবে, সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার এই প্রকল্পের আওতায় কিভাবে প্রতিটি পরিবারকে আনা যায়, তা নিয়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিরা যেভাবে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন, তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনার প্রয়োজন রয়েছে। এটা আমাদের সকলের দায়িত্ব যে, কঠিন সময়ে হাসপাতালের দরজা দেশের প্রত্যেক গরিব মানুষের জন্য, প্রত্যেক দেশবাসীর জন্য খোলা রাখতে হবে, উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

|

ভাই ও বোনেরা, আয়ুষ্মান ভারত নতুন ভারতের বিপ্লবী পদক্ষেপগুলির অন্যতম। এই প্রকল্প শুধু সাধারণ মানুষ তথা গরিবদের জীবন রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে না, এই প্রকল্প ভারতের ১৩০ কোটি মানুষের মিলিত সংকল্প এবং সামর্থ্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে। একথা এজন্য বলছি যে, আমাদের দেশে গরিবদের সুলভে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের প্রচেষ্টা আগেও হয়েছে। প্রত্যেক রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তাদের সীমিত ক্ষমতার মধ্যে যথাসম্ভব চেষ্টা করেছে। রাজ্যগুলির সমস্ত সদ্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও গরিব মানুষরা যথাযথ সুফল পাচ্ছিলেন না, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ক্ষেত্রেও তেমন উন্নতি হয়নি। কিন্তু আয়ুষ্মান ভারত এটা প্রমাণ করে দিয়েছে যে, ভারতের মিলিত শক্তি দিয়ে যদি কোনও কাজ করা যায়, তা হলে তার লাভ এবং ফলাফল অত্যন্ত ব্যাপক ও বিরাট হয়। আয়ুষ্মান ভারত দেশের যে কোনও অঞ্চলের হাসপাতালে যে কোনও রোগীর চিকিৎসা সুনিশ্চিত করে। আগে এটা অসম্ভব ছিল। সেজন্য গত এক বছরে প্রায় ৫০ হাজার সুবিধাভোগী ভিন্ন রাজ্যে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে উপকৃত হয়েছেন।

ভাই ও বোনেরা, দেশের কোনও মানুষ চিকিৎসার জন্য নিজের বাড়ি, জেলা কিংবা রাজ্য থেকে দূরে যেতে চান না। বাধ্য হয়েই তাঁদের এরকম পদক্ষেপ নিতে হয়। প্রত্যেক নাগরিকের বাড়ির কাছেই যাতে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকে, আয়ুষ্মান ভারত – এর মাধ্যমে প্রতিটি রাজ্য সেই চেষ্টাই করছে। এটা সত্যি যে, দেশের যে অঞ্চলগুলিতে উন্নত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো রয়েছে, সেই অঞ্চলগুলিতে এখন রোগীর চাপ বেড়েছে। এটা প্রত্যেক ভারতবাসীর দায়িত্ব যে, দেশের কোনও নাগরিক যেন আধুনিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন। আয়ুষ্মান ভারত এই ভাবনাকে আরও জোড়ালো করছে।

বন্ধুগণ, আয়ুষ্মান ভারত গোটা দেশের জন্য মিলিত সমাধানের পাশাপাশি, সুস্থ ভারতের লক্ষ্যে সামগ্রিক সমাধানের একটি প্রকল্প। এটি সরকারের সেই ভাবনার বিস্তার, যার মাধ্যমে আমরা ভারতের বিভিন্ন সমস্যার মোকাবিলা বিচ্ছিন্নভাবে না করে পূর্ণ শক্তি নিয়ে সামগ্রিকভাবে করতে চাই। কিছুদিন আগে রাষ্ট্রসংঘে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে একটি কর্মসূচিতে আমার ভারত সম্পর্কে বলার সৌভাগ্য হয়েছিল। আমরা ভারতে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে যেভাবে সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে কাজ করছি, যে মাত্রায় কাজ করছি – তা বিশ্ববাসীর কাছে একটি বিস্ময়।

|

ভাই ও বোনেরা, রাষ্ট্রসংঘের সেই কর্মসূচিতে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা প্রতিনিধিদের আমি বলেছি, কিভাবে আমরা চারটি শক্তিশালী স্তম্ভের ওপর সুস্থ ভারতকে গড়ে তুলছি। প্রথমত – প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য পরিষেবা, দ্বিতীয়ত – সুলভ স্বাস্থ্য পরিষেবা, তৃতীয়ত – সরবরাহ ব্যবস্থায় উন্নতি এবং চতুর্থত – রাষ্ট্রীয় পুষ্টি অভিযানের মতো মিশনমোডে কাজ করার মাধ্যমে।

প্রথম স্তম্ভটির কথা যদি বলি, আজ পরিচ্ছন্নতা, যোগ, আয়ুষ, টিকাকরণ এবং ফিটনেসকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে, যাতে জীবনরেখার সঙ্গে যুক্ত অসুখ-বিসুখ ন্যূনতম করা যায়। শুধু তাই নয়, গৃহপালিত পশুদের মাধ্যমে সংক্রামিত রোগগুলিও মানুষকে বিপদে ফেলে। সেজন্য আমরা পশুদের পা থেকে মুখ অবধি যে সমস্ত রোগ হয়, সেগুলি থেকে ভারতকে মুক্ত করা। অর্থাৎ আমরা পশুদের কথাও ভুলিনি।

দ্বিতীয় স্তম্ভ প্রসঙ্গে আমরা বলেছি, দেশের সাধারণ মানুষকে সুলভে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের নিরন্তর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

ভাই ও বোনেরা, এই দুটি স্তম্ভকে আয়ুষ্মান ভারত যোজনা অত্যন্ত শক্তিশালী করে তুলছে। সারা দেশে দেড় লক্ষেরও বেশি হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার নির্মাণের মাধ্যমে এবং প্রতি বছর ৫ লক্ষেরও বেশি বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা আয়ুষ্মান ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য।

বন্ধুগণ, আয়ুষ্মান ভারত আমাদের তৃতীয় স্তম্ভ অর্থাৎ সরবরাহ ব্যবস্থার শক্তি বৃদ্ধিরও ভিত্তি হয়ে উঠেছে। আয়ুষ্মান ভারতের মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন সেই গরিব রোগীও হাসপাতালে যাচ্ছেন, যিনি আগে কখনও হাসপাতালের কথা ভাবতেও পারতেন না। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার কথা তো কল্পনাও করতে পারতেন না। আজ পিএমজেএওয়াই পরিষেবা প্রদানকারী ১৮ হাজারেরও বেশি হাসপাতালের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার হাসপাতাল অর্থাৎ অর্ধেকেরও বেশি বেসরকারি ক্ষেত্রের হাসপাতাল গরিবদের জন্য তাদের দরজা খুলে দিয়েছে। আগামী দিনে এই অংশীদারিত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে।

বন্ধুগণ, যেভাবে চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনই দেশে ছোট শহরগুলিতে আধুনিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। আগামী দিনে অনেক নতুন হাসপাতাল গড়ে উঠবে, নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। একটি অনুমান অনুযায়ী, আগামী ৫ – ৭ বছরে শুধু আয়ুষ্মান ভারত যোজনার চাহিদা থেকেই প্রায় ১১ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান হবে। এটা কত বড় পরিসংখ্যান, তা একটি উদাহরণ থেকে আন্দাজ করা যেতে পারে যে, দেশে একমাত্র রেল-ই এর থেকে বেশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে।

|

ভাই ও বোনেরা, কর্মসংস্থানের এই সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের নবীন বন্ধুদের প্রশিক্ষিত করে তোলার প্রয়োজন রয়েছে। সেজন্য চিকিৎসা শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত পরিকাঠামো বিস্তারিত করা হচ্ছে। প্রয়োজন অনুযায়ী নীতি পরিবর্তন করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা ক্ষেত্রে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ভর্তি থেকে শুরু করে সমস্ত নিয়মনীতিতে একটি সিমলেস এবং স্বচ্ছ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। সারা দেশে ৭৫টি নতুন মেডিকেল কলেজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত থেকে শুরু করে দেশে নতুন ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন গঠন করা হয়েছে। এর ফলে, নিশ্চিতভাবেই স্বাস্থ্য ক্ষেত্র অত্যন্ত লাভবান হবে।

ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন দেশের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিস্তারে গতি আনবে, উৎকর্ষ বৃদ্ধি করবে এবং দুর্নীতি হ্রাসে কার্যকরি ভূমিকা পালন করবে।

বন্ধুগণ, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পকে ব্যবহার-বন্ধব এবং ত্রুটিমুক্ত করে তোলার জন্য নিরন্তর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমাকে বলা হয়েছে যে, এর সঙ্গে যুক্ত তথ্য প্রযুক্তি ব্যবস্থাকে পিএমজেএওয়াই ২.০ রূপে উন্নত করা হচ্ছে। আজ যে অ্যাপটির উদ্বোধন করা হচ্ছে, তার মাধ্যমে সুফলভোগীরা উপকৃত হবেন। কিন্তু বন্ধুগণ, এই প্রকল্পকে আরও সক্ষম এবং ব্যাপক করে তুলতে আমাদের আরও অনেক বেশি প্রযুক্তির সাহায্য নিতে হবে। আয়ুষ্মান ভারতের ভিন্ন ভিন্ন উপাদানকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য একটি প্রভাবশালী এবং সুগম ব্যবস্থার প্রয়োজন রয়েছে। হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারগুলি থেকে শুরু করে বড় হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার পর্যন্ত, রোগ নির্ণয়, ‘রেফারেল’ এবং পরবর্তী চিকিৎসার একটি প্রযুক্তি-নির্ভর ব্যবস্থা আমাদের গড়ে তুলতে হবে। আমাদের সেই অবস্থায় পৌঁছতে হবে, যখন গ্রামের হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারে নিবন্ধীকৃত রোগীর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা তথ্য সেই ব্যক্তির রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার কাজে লাগে। এই একই তথ্য বড় হাসপাতালে রেফার করার সময় পরবর্তী চিকিৎসার ক্ষেত্রে কার্যকরি ভূমিকা পালন করে। সেজন্য আমাদের সবাইকে ভাবতে হবে যে, নতুন প্রজন্মের মেধাকে কাজে লাগাতে হবে।

বন্ধুগণ, সেজন্য আজ আমরা যে পিএমজেএওয়াই স্টার্ট আপ গ্র্যান্ড চ্যালেঞ্জ উদ্বোধন করেছি, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমি দেশের নবীন প্রজন্মকে, বিশেষ করে, তথ্য প্রযুক্তি পেশাদারদের অনুরোধ জানাই যে, এই মানবতার কাজকে আপনারা চ্যালেঞ্জ হিসাবে গ্রহণ করুন আর আগামী দিনে উন্নত সমাধান নিয়ে আসুন। এর মাধ্যমে সারা দেশে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কর্মরত স্টার্ট আপগুলিকে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পগুলির সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। আমি দেশের সমস্ত তরুণ শিল্পোদ্যোগী ও উদ্ভাবকদের এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার জন্য আরেকবার আমন্ত্রণ জানাই।

ভাই ও বোনেরা, নতুন ভারতের স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থা নিশ্চিতভাবেই সমগ্র বিশ্বের সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চলেছে। এক্ষেত্রে আয়ুষ্মান ভারত যোজনার গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকবে। দেশের কোটি কোটি মানুষকে আয়ুষ্মান করে তুলতে আমাদের দায়বদ্ধতা আরও শক্তিশালী হোক, আমাদের প্রত্যেক প্রচেষ্টা সফল হোক – এই আশা নিয়ে আপনাদের সবাইকে হৃদয় থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
'Operation Sindoor on, if they fire, we fire': India's big message to Pakistan

Media Coverage

'Operation Sindoor on, if they fire, we fire': India's big message to Pakistan
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi's address to the nation
May 12, 2025
QuoteToday, every terrorist knows the consequences of wiping Sindoor from the foreheads of our sisters and daughters: PM
QuoteOperation Sindoor is an unwavering pledge for justice: PM
QuoteTerrorists dared to wipe the Sindoor from the foreheads of our sisters; that's why India destroyed the very headquarters of terror: PM
QuotePakistan had prepared to strike at our borders,but India hit them right at their core: PM
QuoteOperation Sindoor has redefined the fight against terror, setting a new benchmark, a new normal: PM
QuoteThis is not an era of war, but it is not an era of terrorism either: PM
QuoteZero tolerance against terrorism is the guarantee of a better world: PM
QuoteAny talks with Pakistan will focus on terrorism and PoK: PM

প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। আমরা সবাই বিগত দিনগুলিতে দেশের সামর্থ্য ও সংযম উভয় দেখেছি। আমি সবার আগে ভারতের পরাক্রমী সেনাদের, সশস্ত্র সেনাদলগুলিকে... আমাদের গোয়েন্দা এজেন্সি গুলিকে, আমাদের বিজ্ঞানীদের প্রত্যেক ভারতবাসীর পক্ষ থেকে স্যালুট জানাই। আমাদের বীর সৈনিকেরা অপারেশন সিঁদুরের বিভিন্ন লক্ষ্য সাধনের জন্য অসীম শৌর্য প্রদর্শন করেছেন।

আমি তাদের বীরত্বকে, তাদের সাহসকে, তাদের পরাক্রমকে আজ সমর্পণ করছি, আমাদের দেশের প্রত্যেক মা-কে দেশের প্রত্যেক বোনকে আর দেশের প্রত্যেক কন্যাকে এই পরাক্রম সমর্পণ করছি।

বন্ধুগণ, ২২শে এপ্রিল পহেলগামে সন্ত্রাসবাদীরা যে বর্বরতা দেখিয়েছিল, তা দেশ ও বিশ্বকে প্রবলভাবে নাড়িয়ে দিয়েছিল। যারা ছুটি কাটাতে এসেছিলেন সেই নির্দোষ অসহায় নাগরিকদের ধর্ম জিজ্ঞেস করে... তাদের পরিবারের সামনে, তাদের শিশুদের সামনে নৃশংসভাবে হত্যা করা... এটা সন্ত্রাসের অত্যন্ত বীভৎস চেহারা ছিল... ক্রুরতা ছিল। এটা ছিল দেশের সদ্ভাব নষ্ট করার ঘৃণ্য প্রচেষ্টাও। আমার জন্য ব্যক্তিগতভাবে এই পীড়া ছিল অসহনীয়। এই সন্ত্রাসবাদী হামলার পর গোটা দেশ... প্রত্যেক নাগরিক... প্রত্যেক সমাজ... প্রত্যেক গোষ্ঠী... প্রতিটি রাজনৈতিক দল... এক স্বরে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠিন প্রত্যাঘাতের জন্য উঠে দাঁড়িয়েছিল... আমরা সন্ত্রাসবাদীদের ধূলিসাৎ করার জন্য আমাদের সেনাবাহিনীকে পূর্ণ অধিকার দিয়েছিলাম। আর আজ প্রত্যেক সন্ত্রাসবাদী, প্রতিটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে যে আমাদের বোন ও কন্যাদের সিঁথি থেকে সিঁদুর মোছার পরিণাম কী হয়।

বন্ধুগণ, অপারেশন সিঁদুর... এটা শুধুই একটা নাম নয়... এটি দেশের কোটি কোটি জনগণের ভাবনার প্রতিধ্বনি। অপারেশন সিঁদুর... ন্যায়ের অখণ্ড প্রতিজ্ঞা...

৬ই মে’র রাত...৭ মে’র সকাল... গোটা বিশ্ব এই প্রতিজ্ঞাকে পরিণামে বদলাতে দেখেছেন। ভারতের সেনারা পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের ডেরাগুলিকে, তাদের ট্রেনিং সেন্টারগুলিকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদীরা স্বপ্নেও ভাবেনি যে ভারত এতবড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে... কিন্তু যখন দেশ একজোট হয়ে, nation first-এর ভাবনায় সম্পৃক্ত হয়... রাষ্ট্র সর্বোপরি থাকে... তখনই কঠিন সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া যায়, যা ফলদায়ক হয়। যখন পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী ডেরাগুলিকে ভারতীয় মিসাইলগুলি আক্রমণ হানে, ভারতের ড্রোনগুলি আক্রমণ হানে... তখন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির বাড়িগুলি শুধু থরথর করে কাঁপে না, তাদের সাহসও ধূলিসাত হয়ে যায়। বহাওয়ালপুর এবং মুরিদকের মতো সন্ত্রাসবাদী ডেরাগুলিতে এক প্রকার global terrorism-এর university চলত। বিশ্বের যেকোন জায়গায় যখন বড় বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে, সেগুলির তার কোথাও না কোথাও এই সন্ত্রাসবাদী ঠিকানাগুলির সাথে জুড়েছিল।

সন্ত্রাসবাদীরা আমাদের বোনেদের সিঁদুর মুছেছিল, সেজন্য ভারত সন্ত্রাসবাদের এই head quarterগুলি ধ্বংস করে দিয়েছে। ভারতের এই আক্রমণে ১০০-রও বেশি ভয়ানক সন্ত্রাসবাদীকে মেরে ফেলা হয়েছে। সন্ত্রাসের অনেক মনিব বিগত আড়াই তিন দশক ধরে মুক্তভাবে পাকিস্তানে ঘুরে বেড়াচ্ছিল... যারা ভারতের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করেছে... তাদেরকে ভারত এক ঝটকায় শেষ করে দিয়েছে।

বন্ধুগণ, ভারতের এই প্রত্যাঘাত পাকিস্তানকে ঘোর নিরাশার অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে, হতাশার অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে, ফলে তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আর এই মাথা খারাপ হওয়াতেই তারা একটি দুঃসাহস করে। সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ভারতের প্রত্যাঘাতকে সমর্থন করার বদলে পাকিস্তান ভারতের ওপর হামলা করা শুরু করে।

পাকিস্তান আমাদের স্কুল, কলেজে, গুরুদ্বারে, মন্দিরগুলিতে সাধারণ মানুষের বাড়িগুলিকে নিশানা করে। পাকিস্তান আমাদের সৈন্য ঠিকানা গুলিকেও নিশানা করে, কিন্তু এক্ষেত্রেও পাকিস্তানের নিজের মুখোশ খুলে যায়। বিশ্ববাসী দেখে, কীভাবে পাকিস্তানের ড্রোন এবং মিসাইলগুলি ভারতের সামনে খড়ের টুকরোর মত ছড়িয়ে পরে। ভারতের শক্তিশালী air defence system সেগুলিকে আকাশেই নষ্ট করে দেয়। পাকিস্তানের প্রস্তুতি ছিল সীমান্তে আক্রমণ করার... কিন্তু ভারত পাকিস্তানের বুকে আক্রমণ করে। ভারতের ড্রোন... ভারতের মিসাইলগুলি নির্ভুল গন্তব্যে আক্রমণ হানে। পাকিস্তানি বায়ু সেনার সেই এয়ারবেসগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে যেগুলি নিয়ে পাকিস্তানের অনেক অহঙ্কার ছিল।

ভারত প্রথম তিনদিনেই পাকিস্তানকে এমন তছনছ করে দেয় যা তারা কল্পনাও করতে পারেনি... সেজন্য... ভারতের ভয়ানক প্রত্যাঘাতের পর পাকিস্তান বাঁচার রাস্তা খুঁজতে থাকে। পাকিস্তান সারা পৃথিবীতে তাদের রক্ষা করার জন্য বার্তা পাঠাতে থাকে। আর ভীষণরকম ভাবে মার খাবার পর অসহায়ের মতো ১০ই মে দুপুরে পাকিস্তানের সেনা আমাদের DGMO-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে। ততক্ষণে আমরা সন্ত্রাসবাদের পরিকাঠামোগুলিকে ধ্বংস করে দিয়েছিলাম। সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুমুখে ঠেলে দিয়েছিলাম। পাকিস্তানের বুকে বাসা বাঁধা সন্ত্রাসবাদী ডেরাগুলিকে আমরা ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে দিয়েছিলাম। সেজন্য যখন পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আর্ত চিৎকার শোনা গেল... পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যখন বলা হল যে তাদের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে কোন সন্ত্রাসবাদী ক্রিয়াকলাপ এবং দুঃসাহস দেখানো হবে না, তখন ভারত সে বিষয় নিয়ে ভাবনাচিন্তা করে। আর আমি আর একবার বলছি, আমরা পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী এবং সৈন্য ঠিকানাগুলিকে আমাদের প্রত্যাঘাতগুলিকে শুধুমাত্র স্থগিত রেখেছি।

আগামীদিনে... আমরা পাকিস্তানের প্রতিটি পদক্ষেপকে দাঁড়িপাল্লায় মাপবো। তাদের গতিবিধির ওপর লক্ষ্য রাখব।

বন্ধুগণ, ভারতের তিনটি বাহিনী আমাদের Airforce, আমাদের Army, আমাদের Navy, আমাদের Border Security ফরচে, BSF ভারতের সমস্ত আধা সামরিক বাহিনী লাগাতার এলার্ট থাকবে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং এয়ার স্ট্রাইক-এর পর অপারেশন সিঁদুর এখন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের নীতি।

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অপারেশন সিঁদুর একটি নতুন রেখা টেনে দিয়েছে...

একটি নতুন মাত্রা, একটি নিউ নর্মাল স্থাপন করা হয়েছে।

প্রথমত- ভারতের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হলে, উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।

আমরা আমাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে, আমাদের নিজস্ব শর্তে প্রত্যাঘাত হানবো। সন্ত্রাসবাদের শিকড় যেখান থেকে বেরিয়ে আসবে, আমরা সেখানেই কঠোর ব্যবস্থা নেব।

দ্বিতীয়ত- ভারত কোনও পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল সহ্য করবে না। ভারত পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইলের আড়ালে গড়ে ওঠা সন্ত্রাসবাদী আস্তানাগুলির ওপর একটি সুনির্দিষ্ট এবং সিদ্ধান্তমূলক আক্রমণ শুরু করবে।

তৃতীয়ত, আমরা সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতাকারী সরকার এবং সন্ত্রাসবাদের প্রভুদের আলাদা সত্তা হিসেবে দেখব না।

অপারেশন সিন্দুরের সময়...

বিশ্ব আবারও পাকিস্তানের কুৎসিত সত্যটি দেখেছে...

যখন মৃত সন্ত্রাসবাদীদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য করা হয়...

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা ছুটে আসেন।

এটি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত সন্ত্রাসবাদের একটি বড় প্রমাণ।

ভারত এবং আমাদের নাগরিদের যেকোনো হুমকি থেকে রক্ষা করার জন্য আমরা সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত রাখব।

বন্ধুরা,

আমরা প্রতিবারই যুদ্ধক্ষেত্রে পাকিস্তানকে পরাজিত করেছি। আর এবার অপারেশন সিন্দুর একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আমরা মরুভূমি এবং পাহাড়ে আমাদের দক্ষতা উজ্জ্বলভাবে প্রদর্শন করেছি... এবং এছাড়া... নতুন যুগের যুদ্ধেও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছি। এই অভিযানের সময়...আমাদের ভারতে তৈরি অস্ত্রের ক্ষমতা প্রমাণিত হয়েছে। আজ বিশ্ব দেখছে... একবিংশ শতাব্দীর যুদ্ধের জন্য ভারতে তৈরি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম... সময় এসেছে।

বন্ধুরা,

সকল ধরণের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্য... আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। এটা অবশ্যই যুদ্ধের যুগ নয়... কিন্তু এটা সন্ত্রাসবাদের যুগও নয়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা... এটিই একটি উন্নত বিশ্বের গ্যারান্টি।

বন্ধুরা,

পাকিস্তানি সেনাবাহিনী... পাকিস্তান সরকার... যেভাবে সন্ত্রাসবাদকে লালন করা হচ্ছে... একদিন তারা পাকিস্তানকেই ধ্বংস করে দেবে। পাকিস্তান যদি টিঁকে থাকতে চায়, তাহলে তাদের সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো ধ্বংস করতে হবে। এ ছাড়া শান্তির আর কোনো উপায় নেই। ভারতের অবস্থান খুবই স্পষ্ট... সন্ত্রাস আর আলাপ-আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না।... সন্ত্রাস এবং বাণিজ্য একসঙ্গে চলতে পারে না। এবং... এমনকি জল এবং রক্তও একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না। আমি আজ বিশ্ব সম্প্রদায়কে বলতে চাই...

আমাদের ঘোষিত নীতি হল…

যদি পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা হ্য়...তাহলে তা হবে কেবল সন্ত্রাসবাদ নিয়ে…যদি পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা হয়, তাহলে তা হবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর...শুধুমাত্র পাক-অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে।

প্রিয় দেশবাসী,

আজ বুদ্ধ পূর্ণিমা।

ভগবান বুদ্ধ আমদের শান্তির পথ দেখিয়েছেন।

শান্তির পথও ক্ষমতার মধ্য দিয়ে যায়।

মানবতা...শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যায়…

প্রত্যেক ভারতবাসী যাতে শান্তিতে বসবাস করতে পারে…

উন্নত ভারতের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে…

এর জন্য ভারতের শক্তিশালী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ…

এবং প্রয়োজনে এই ক্ষমতা ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ।

আর গত কয়েকদিন ধরে ভারত ঠিক তাই করেছে।

আমি আবারও ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনীকে স্যালুট জানাই।

আমরা ভারতীয়দের সাহস এবং প্রত্যেক ভারতীয়র ঐক্যকে আমি অভিবাদন জানাই।

ধন্যবাদ…

ভারত মাতা দীর্ঘজীবী হোক!!!

ভারত মাতা দীর্ঘজীবী হোক!!!

ভারত মাতা দীর্ঘজীবী হোক!!!