Quoteনতুন ভারতে আয়ুষ্মান ভারত একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ
Quoteআয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প ১৩০ কোটি দেশবাসীর জন্য সংকল্প ও শক্তির প্রতীক: প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quoteদেশ জুড়ে সুস্বাস্থ্যের লক্ষ্যে আয়ুষ্মান ভারত সমষ্টিগতভাবে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ: প্রধানমন্ত্রী

মঞ্চে উপস্থিত আমার মন্ত্রিসভার সদস্য ডঃ হর্ষ বর্ধনজী, অশ্বিনী কুমার চৌবেজী, বিভিন্ন রাজ্য ও প্রতিষ্ঠান থেকে সমাগত প্রতিনিধিবৃন্দ, আয়ুষ্মান ভারতের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বন্ধুরা এবং এখানে যে সমস্ত সুফলভোগীরা উপস্থিত হয়েছেন,

ভাই ও বোনেরা, আজ তৃতীয় নবরাত্রি। আজ মা’কে চন্দ্রঘটা রূপে পুজো করা হয়। শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে, দশভূজা দেবী চন্দ্রঘটা চাঁদের শীতলতা ও সৌম্যতা নিয়ে সমগ্র জগতের ব্যথা দূর করেন। ভারতের ৫০ কোটিরও বেশি গরিব মানুষের রোগ-শোক দূর করা আয়ুষ্মান ভারত যোজনার প্রথম বছরের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আলোচনা করার এরচেয়ে ভালো সুযোগ আর কি হতে পারে!

বন্ধুগণ, আয়ুষ্মান ভারতের এই প্রথম বছর ছিল সংকল্প, সমর্পণ এবং শিক্ষার। দেশবাসীর সংকল্প শক্তির জোরেই আমরা ভারতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্পটি সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে চলেছি। এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে – সমর্পণ ও সদ্ভাবনা। এই সমর্পণ দেশের প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের হাজার হাজার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলির, এই সমর্পণ দেশের প্রত্যেক স্বাস্থ্যকর্মী, আয়ুষ্মান মিত্র, আশা কর্মী নানা সামাজিক সংগঠন ও জনপ্রতিনিধিদের সকলের।

ভাই ও বোনেরা, এই সমর্পনের ফলেই আজ দেশবাসী প্রত্যয়ের সঙ্গে সগর্বে বলছে, – বছর এক – আয়ুষ্মান অনেক।

সারা দেশের গরিব, ৪৬ লক্ষ গরিব পরিবারের মনে অসুস্থতার নিরাশা থেকে সুস্থ জীবনের আশা জাগানোর এই বিরাট সাফল্য এসেছে। এই এক বছরে যদি একজন মানুষেরও জায়গা-জমি-বাড়ি কিংবা গহনা অসুস্থতার কারণে বিক্রি হওয়া থেকে কিংবা বন্ধক রাখা থেকে বাঁচানো সম্ভব হয়ে থাকে, সেটাই হ’ল আয়ুষ্মান ভারতের সবচেয়ে বড় সাফল্য।

|

বন্ধুগণ, একটু আগেই এমন কয়েকজন সুফলভোগীর সঙ্গে কথা বলার সৌভাগ্য হয়েছে। বিগত এক বছরে, এমনকি, নির্বাচনের সময়ও আমি সারা দেশে এমন অসংখ্য সুফলভোগীর সঙ্গে কথা বলার নিয়মিত প্রচেষ্টা চালিয়েছি, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছি যে, আয়ুষ্মান ভারত পিএমজেএওয়াই গরিব মানুষের জীবনে কী পরিবর্তন আনছে! আসলে এই প্রকল্প আজ গরিবদের জয়গাঁথা রচনা করছে। যখন গরিব শিশু সুস্থ হয়ে ওঠে, যখন বাড়ির একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি সুস্থ হয়ে কাজে যোগদান করেন, তখন আয়ুষ্মান হওয়ার অর্থ বোঝা যায়। সেজন্য আয়ুষ্মান ভারত পিএমজেএওয়াই – এর সাফল্যের জন্য সমর্পিত প্রাণ প্রত্যেক ব্যক্তি ও সংস্থার সঙ্গে রয়েছে দেশের কোটি কোটি গরিব মানুষের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। এই মহান কাজে যুক্ত থাকা প্রত্যেক বন্ধুকে আমি অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

ভাই ও বোনেরা, সংকল্প ও সমর্পণের পাশাপাশি, এই প্রথম বছরের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। এখানে আসার আগে যে প্রদর্শনীটি শুরু হয়েছে, সেখানে এই এক বছরের সাফল্যকে প্রত্যক্ষ করেছি। কিভাবে সময়ের সঙ্গে আমরা প্রতিটি সমস্যার মোকাবিলা করেছি, প্রযুক্তির নিরন্তর বিস্তারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যমে সমস্ত বিপত্তি ও আশঙ্কাকে দূর করতে পেরেছি। এই শিক্ষা, বার্তালাপ ও সংস্কারের ক্রম ভবিষ্যতেও নিরন্তর চলতে থাকবে।

বন্ধুগণ, এই প্রকল্পের পরিধি, তদারকিকে কিভাবে আরও কার্যকর করা যায়, সুবিধাভোগীদের জন্য কিভাবে আরও একে সুগম করে তোলা যায়, হাসপাতালগুলির নানা সমস্যা কিভাবে দূর করা যায়, তা নিয়ে এখানে দু’দিন ধরে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা হয়েছে। উৎকর্ষ থেকে শুরু করে ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা হয়েছে। বিশেষভাবে, সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার এই প্রকল্পের আওতায় কিভাবে প্রতিটি পরিবারকে আনা যায়, তা নিয়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিরা যেভাবে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন, তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনার প্রয়োজন রয়েছে। এটা আমাদের সকলের দায়িত্ব যে, কঠিন সময়ে হাসপাতালের দরজা দেশের প্রত্যেক গরিব মানুষের জন্য, প্রত্যেক দেশবাসীর জন্য খোলা রাখতে হবে, উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

|

ভাই ও বোনেরা, আয়ুষ্মান ভারত নতুন ভারতের বিপ্লবী পদক্ষেপগুলির অন্যতম। এই প্রকল্প শুধু সাধারণ মানুষ তথা গরিবদের জীবন রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে না, এই প্রকল্প ভারতের ১৩০ কোটি মানুষের মিলিত সংকল্প এবং সামর্থ্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে। একথা এজন্য বলছি যে, আমাদের দেশে গরিবদের সুলভে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের প্রচেষ্টা আগেও হয়েছে। প্রত্যেক রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তাদের সীমিত ক্ষমতার মধ্যে যথাসম্ভব চেষ্টা করেছে। রাজ্যগুলির সমস্ত সদ্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও গরিব মানুষরা যথাযথ সুফল পাচ্ছিলেন না, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ক্ষেত্রেও তেমন উন্নতি হয়নি। কিন্তু আয়ুষ্মান ভারত এটা প্রমাণ করে দিয়েছে যে, ভারতের মিলিত শক্তি দিয়ে যদি কোনও কাজ করা যায়, তা হলে তার লাভ এবং ফলাফল অত্যন্ত ব্যাপক ও বিরাট হয়। আয়ুষ্মান ভারত দেশের যে কোনও অঞ্চলের হাসপাতালে যে কোনও রোগীর চিকিৎসা সুনিশ্চিত করে। আগে এটা অসম্ভব ছিল। সেজন্য গত এক বছরে প্রায় ৫০ হাজার সুবিধাভোগী ভিন্ন রাজ্যে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে উপকৃত হয়েছেন।

ভাই ও বোনেরা, দেশের কোনও মানুষ চিকিৎসার জন্য নিজের বাড়ি, জেলা কিংবা রাজ্য থেকে দূরে যেতে চান না। বাধ্য হয়েই তাঁদের এরকম পদক্ষেপ নিতে হয়। প্রত্যেক নাগরিকের বাড়ির কাছেই যাতে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকে, আয়ুষ্মান ভারত – এর মাধ্যমে প্রতিটি রাজ্য সেই চেষ্টাই করছে। এটা সত্যি যে, দেশের যে অঞ্চলগুলিতে উন্নত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো রয়েছে, সেই অঞ্চলগুলিতে এখন রোগীর চাপ বেড়েছে। এটা প্রত্যেক ভারতবাসীর দায়িত্ব যে, দেশের কোনও নাগরিক যেন আধুনিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন। আয়ুষ্মান ভারত এই ভাবনাকে আরও জোড়ালো করছে।

বন্ধুগণ, আয়ুষ্মান ভারত গোটা দেশের জন্য মিলিত সমাধানের পাশাপাশি, সুস্থ ভারতের লক্ষ্যে সামগ্রিক সমাধানের একটি প্রকল্প। এটি সরকারের সেই ভাবনার বিস্তার, যার মাধ্যমে আমরা ভারতের বিভিন্ন সমস্যার মোকাবিলা বিচ্ছিন্নভাবে না করে পূর্ণ শক্তি নিয়ে সামগ্রিকভাবে করতে চাই। কিছুদিন আগে রাষ্ট্রসংঘে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে একটি কর্মসূচিতে আমার ভারত সম্পর্কে বলার সৌভাগ্য হয়েছিল। আমরা ভারতে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে যেভাবে সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে কাজ করছি, যে মাত্রায় কাজ করছি – তা বিশ্ববাসীর কাছে একটি বিস্ময়।

|

ভাই ও বোনেরা, রাষ্ট্রসংঘের সেই কর্মসূচিতে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা প্রতিনিধিদের আমি বলেছি, কিভাবে আমরা চারটি শক্তিশালী স্তম্ভের ওপর সুস্থ ভারতকে গড়ে তুলছি। প্রথমত – প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য পরিষেবা, দ্বিতীয়ত – সুলভ স্বাস্থ্য পরিষেবা, তৃতীয়ত – সরবরাহ ব্যবস্থায় উন্নতি এবং চতুর্থত – রাষ্ট্রীয় পুষ্টি অভিযানের মতো মিশনমোডে কাজ করার মাধ্যমে।

প্রথম স্তম্ভটির কথা যদি বলি, আজ পরিচ্ছন্নতা, যোগ, আয়ুষ, টিকাকরণ এবং ফিটনেসকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে, যাতে জীবনরেখার সঙ্গে যুক্ত অসুখ-বিসুখ ন্যূনতম করা যায়। শুধু তাই নয়, গৃহপালিত পশুদের মাধ্যমে সংক্রামিত রোগগুলিও মানুষকে বিপদে ফেলে। সেজন্য আমরা পশুদের পা থেকে মুখ অবধি যে সমস্ত রোগ হয়, সেগুলি থেকে ভারতকে মুক্ত করা। অর্থাৎ আমরা পশুদের কথাও ভুলিনি।

দ্বিতীয় স্তম্ভ প্রসঙ্গে আমরা বলেছি, দেশের সাধারণ মানুষকে সুলভে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের নিরন্তর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

ভাই ও বোনেরা, এই দুটি স্তম্ভকে আয়ুষ্মান ভারত যোজনা অত্যন্ত শক্তিশালী করে তুলছে। সারা দেশে দেড় লক্ষেরও বেশি হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার নির্মাণের মাধ্যমে এবং প্রতি বছর ৫ লক্ষেরও বেশি বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা আয়ুষ্মান ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য।

বন্ধুগণ, আয়ুষ্মান ভারত আমাদের তৃতীয় স্তম্ভ অর্থাৎ সরবরাহ ব্যবস্থার শক্তি বৃদ্ধিরও ভিত্তি হয়ে উঠেছে। আয়ুষ্মান ভারতের মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন সেই গরিব রোগীও হাসপাতালে যাচ্ছেন, যিনি আগে কখনও হাসপাতালের কথা ভাবতেও পারতেন না। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার কথা তো কল্পনাও করতে পারতেন না। আজ পিএমজেএওয়াই পরিষেবা প্রদানকারী ১৮ হাজারেরও বেশি হাসপাতালের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার হাসপাতাল অর্থাৎ অর্ধেকেরও বেশি বেসরকারি ক্ষেত্রের হাসপাতাল গরিবদের জন্য তাদের দরজা খুলে দিয়েছে। আগামী দিনে এই অংশীদারিত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে।

বন্ধুগণ, যেভাবে চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনই দেশে ছোট শহরগুলিতে আধুনিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। আগামী দিনে অনেক নতুন হাসপাতাল গড়ে উঠবে, নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। একটি অনুমান অনুযায়ী, আগামী ৫ – ৭ বছরে শুধু আয়ুষ্মান ভারত যোজনার চাহিদা থেকেই প্রায় ১১ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান হবে। এটা কত বড় পরিসংখ্যান, তা একটি উদাহরণ থেকে আন্দাজ করা যেতে পারে যে, দেশে একমাত্র রেল-ই এর থেকে বেশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে।

|

ভাই ও বোনেরা, কর্মসংস্থানের এই সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের নবীন বন্ধুদের প্রশিক্ষিত করে তোলার প্রয়োজন রয়েছে। সেজন্য চিকিৎসা শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত পরিকাঠামো বিস্তারিত করা হচ্ছে। প্রয়োজন অনুযায়ী নীতি পরিবর্তন করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা ক্ষেত্রে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ভর্তি থেকে শুরু করে সমস্ত নিয়মনীতিতে একটি সিমলেস এবং স্বচ্ছ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। সারা দেশে ৭৫টি নতুন মেডিকেল কলেজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত থেকে শুরু করে দেশে নতুন ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন গঠন করা হয়েছে। এর ফলে, নিশ্চিতভাবেই স্বাস্থ্য ক্ষেত্র অত্যন্ত লাভবান হবে।

ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন দেশের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিস্তারে গতি আনবে, উৎকর্ষ বৃদ্ধি করবে এবং দুর্নীতি হ্রাসে কার্যকরি ভূমিকা পালন করবে।

বন্ধুগণ, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পকে ব্যবহার-বন্ধব এবং ত্রুটিমুক্ত করে তোলার জন্য নিরন্তর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমাকে বলা হয়েছে যে, এর সঙ্গে যুক্ত তথ্য প্রযুক্তি ব্যবস্থাকে পিএমজেএওয়াই ২.০ রূপে উন্নত করা হচ্ছে। আজ যে অ্যাপটির উদ্বোধন করা হচ্ছে, তার মাধ্যমে সুফলভোগীরা উপকৃত হবেন। কিন্তু বন্ধুগণ, এই প্রকল্পকে আরও সক্ষম এবং ব্যাপক করে তুলতে আমাদের আরও অনেক বেশি প্রযুক্তির সাহায্য নিতে হবে। আয়ুষ্মান ভারতের ভিন্ন ভিন্ন উপাদানকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য একটি প্রভাবশালী এবং সুগম ব্যবস্থার প্রয়োজন রয়েছে। হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারগুলি থেকে শুরু করে বড় হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার পর্যন্ত, রোগ নির্ণয়, ‘রেফারেল’ এবং পরবর্তী চিকিৎসার একটি প্রযুক্তি-নির্ভর ব্যবস্থা আমাদের গড়ে তুলতে হবে। আমাদের সেই অবস্থায় পৌঁছতে হবে, যখন গ্রামের হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারে নিবন্ধীকৃত রোগীর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা তথ্য সেই ব্যক্তির রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার কাজে লাগে। এই একই তথ্য বড় হাসপাতালে রেফার করার সময় পরবর্তী চিকিৎসার ক্ষেত্রে কার্যকরি ভূমিকা পালন করে। সেজন্য আমাদের সবাইকে ভাবতে হবে যে, নতুন প্রজন্মের মেধাকে কাজে লাগাতে হবে।

বন্ধুগণ, সেজন্য আজ আমরা যে পিএমজেএওয়াই স্টার্ট আপ গ্র্যান্ড চ্যালেঞ্জ উদ্বোধন করেছি, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমি দেশের নবীন প্রজন্মকে, বিশেষ করে, তথ্য প্রযুক্তি পেশাদারদের অনুরোধ জানাই যে, এই মানবতার কাজকে আপনারা চ্যালেঞ্জ হিসাবে গ্রহণ করুন আর আগামী দিনে উন্নত সমাধান নিয়ে আসুন। এর মাধ্যমে সারা দেশে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কর্মরত স্টার্ট আপগুলিকে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পগুলির সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। আমি দেশের সমস্ত তরুণ শিল্পোদ্যোগী ও উদ্ভাবকদের এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার জন্য আরেকবার আমন্ত্রণ জানাই।

ভাই ও বোনেরা, নতুন ভারতের স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থা নিশ্চিতভাবেই সমগ্র বিশ্বের সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চলেছে। এক্ষেত্রে আয়ুষ্মান ভারত যোজনার গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকবে। দেশের কোটি কোটি মানুষকে আয়ুষ্মান করে তুলতে আমাদের দায়বদ্ধতা আরও শক্তিশালী হোক, আমাদের প্রত্যেক প্রচেষ্টা সফল হোক – এই আশা নিয়ে আপনাদের সবাইকে হৃদয় থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

Media Coverage

"Huge opportunity": Japan delegation meets PM Modi, expressing their eagerness to invest in India
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Today, India is not just a Nation of Dreams but also a Nation That Delivers: PM Modi in TV9 Summit
March 28, 2025
QuoteToday, the world's eyes are on India: PM
QuoteIndia's youth is rapidly becoming skilled and driving innovation forward: PM
Quote"India First" has become the mantra of India's foreign policy: PM
QuoteToday, India is not just participating in the world order but also contributing to shaping and securing the future: PM
QuoteIndia has given Priority to humanity over monopoly: PM
QuoteToday, India is not just a Nation of Dreams but also a Nation That Delivers: PM

श्रीमान रामेश्वर गारु जी, रामू जी, बरुन दास जी, TV9 की पूरी टीम, मैं आपके नेटवर्क के सभी दर्शकों का, यहां उपस्थित सभी महानुभावों का अभिनंदन करता हूं, इस समिट के लिए बधाई देता हूं।

TV9 नेटवर्क का विशाल रीजनल ऑडियंस है। और अब तो TV9 का एक ग्लोबल ऑडियंस भी तैयार हो रहा है। इस समिट में अनेक देशों से इंडियन डायस्पोरा के लोग विशेष तौर पर लाइव जुड़े हुए हैं। कई देशों के लोगों को मैं यहां से देख भी रहा हूं, वे लोग वहां से वेव कर रहे हैं, हो सकता है, मैं सभी को शुभकामनाएं देता हूं। मैं यहां नीचे स्क्रीन पर हिंदुस्तान के अनेक शहरों में बैठे हुए सब दर्शकों को भी उतने ही उत्साह, उमंग से देख रहा हूं, मेरी तरफ से उनका भी स्वागत है।

साथियों,

आज विश्व की दृष्टि भारत पर है, हमारे देश पर है। दुनिया में आप किसी भी देश में जाएं, वहां के लोग भारत को लेकर एक नई जिज्ञासा से भरे हुए हैं। आखिर ऐसा क्या हुआ कि जो देश 70 साल में ग्यारहवें नंबर की इकोनॉमी बना, वो महज 7-8 साल में पांचवे नंबर की इकोनॉमी बन गया? अभी IMF के नए आंकड़े सामने आए हैं। वो आंकड़े कहते हैं कि भारत, दुनिया की एकमात्र मेजर इकोनॉमी है, जिसने 10 वर्षों में अपने GDP को डबल किया है। बीते दशक में भारत ने दो लाख करोड़ डॉलर, अपनी इकोनॉमी में जोड़े हैं। GDP का डबल होना सिर्फ आंकड़ों का बदलना मात्र नहीं है। इसका impact देखिए, 25 करोड़ लोग गरीबी से बाहर निकले हैं, और ये 25 करोड़ लोग एक नियो मिडिल क्लास का हिस्सा बने हैं। ये नियो मिडिल क्लास, एक प्रकार से नई ज़िंदगी शुरु कर रहा है। ये नए सपनों के साथ आगे बढ़ रहा है, हमारी इकोनॉमी में कंट्रीब्यूट कर रहा है, और उसको वाइब्रेंट बना रहा है। आज दुनिया की सबसे बड़ी युवा आबादी हमारे भारत में है। ये युवा, तेज़ी से स्किल्ड हो रहा है, इनोवेशन को गति दे रहा है। और इन सबके बीच, भारत की फॉरेन पॉलिसी का मंत्र बन गया है- India First, एक जमाने में भारत की पॉलिसी थी, सबसे समान रूप से दूरी बनाकर चलो, Equi-Distance की पॉलिसी, आज के भारत की पॉलिसी है, सबके समान रूप से करीब होकर चलो, Equi-Closeness की पॉलिसी। दुनिया के देश भारत की ओपिनियन को, भारत के इनोवेशन को, भारत के एफर्ट्स को, जैसा महत्व आज दे रहे हैं, वैसा पहले कभी नहीं हुआ। आज दुनिया की नजर भारत पर है, आज दुनिया जानना चाहती है, What India Thinks Today.

|

साथियों,

भारत आज, वर्ल्ड ऑर्डर में सिर्फ पार्टिसिपेट ही नहीं कर रहा, बल्कि फ्यूचर को शेप और सेक्योर करने में योगदान दे रहा है। दुनिया ने ये कोरोना काल में अच्छे से अनुभव किया है। दुनिया को लगता था कि हर भारतीय तक वैक्सीन पहुंचने में ही, कई-कई साल लग जाएंगे। लेकिन भारत ने हर आशंका को गलत साबित किया। हमने अपनी वैक्सीन बनाई, हमने अपने नागरिकों का तेज़ी से वैक्सीनेशन कराया, और दुनिया के 150 से अधिक देशों तक दवाएं और वैक्सीन्स भी पहुंचाईं। आज दुनिया, और जब दुनिया संकट में थी, तब भारत की ये भावना दुनिया के कोने-कोने तक पहुंची कि हमारे संस्कार क्या हैं, हमारा तौर-तरीका क्या है।

साथियों,

अतीत में दुनिया ने देखा है कि दूसरे विश्व युद्ध के बाद जब भी कोई वैश्विक संगठन बना, उसमें कुछ देशों की ही मोनोपोली रही। भारत ने मोनोपोली नहीं बल्कि मानवता को सर्वोपरि रखा। भारत ने, 21वीं सदी के ग्लोबल इंस्टीट्यूशन्स के गठन का रास्ता बनाया, और हमने ये ध्यान रखा कि सबकी भागीदारी हो, सबका योगदान हो। जैसे प्राकृतिक आपदाओं की चुनौती है। देश कोई भी हो, इन आपदाओं से इंफ्रास्ट्रक्चर को भारी नुकसान होता है। आज ही म्यांमार में जो भूकंप आया है, आप टीवी पर देखें तो बहुत बड़ी-बड़ी इमारतें ध्वस्त हो रही हैं, ब्रिज टूट रहे हैं। और इसलिए भारत ने Coalition for Disaster Resilient Infrastructure - CDRI नाम से एक वैश्विक नया संगठन बनाने की पहल की। ये सिर्फ एक संगठन नहीं, बल्कि दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं के लिए तैयार करने का संकल्प है। भारत का प्रयास है, प्राकृतिक आपदा से, पुल, सड़कें, बिल्डिंग्स, पावर ग्रिड, ऐसा हर इंफ्रास्ट्रक्चर सुरक्षित रहे, सुरक्षित निर्माण हो।

साथियों,

भविष्य की चुनौतियों से निपटने के लिए हर देश का मिलकर काम करना बहुत जरूरी है। ऐसी ही एक चुनौती है, हमारे एनर्जी रिसोर्सेस की। इसलिए पूरी दुनिया की चिंता करते हुए भारत ने International Solar Alliance (ISA) का समाधान दिया है। ताकि छोटे से छोटा देश भी सस्टेनबल एनर्जी का लाभ उठा सके। इससे क्लाइमेट पर तो पॉजिटिव असर होगा ही, ये ग्लोबल साउथ के देशों की एनर्जी नीड्स को भी सिक्योर करेगा। और आप सबको ये जानकर गर्व होगा कि भारत के इस प्रयास के साथ, आज दुनिया के सौ से अधिक देश जुड़ चुके हैं।

साथियों,

बीते कुछ समय से दुनिया, ग्लोबल ट्रेड में असंतुलन और लॉजिस्टिक्स से जुड़ी challenges का सामना कर रही है। इन चुनौतियों से निपटने के लिए भी भारत ने दुनिया के साथ मिलकर नए प्रयास शुरु किए हैं। India–Middle East–Europe Economic Corridor (IMEC), ऐसा ही एक महत्वाकांक्षी प्रोजेक्ट है। ये प्रोजेक्ट, कॉमर्स और कनेक्टिविटी के माध्यम से एशिया, यूरोप और मिडिल ईस्ट को जोड़ेगा। इससे आर्थिक संभावनाएं तो बढ़ेंगी ही, दुनिया को अल्टरनेटिव ट्रेड रूट्स भी मिलेंगे। इससे ग्लोबल सप्लाई चेन भी और मजबूत होगी।

|

साथियों,

ग्लोबल सिस्टम्स को, अधिक पार्टिसिपेटिव, अधिक डेमोक्रेटिक बनाने के लिए भी भारत ने अनेक कदम उठाए हैं। और यहीं, यहीं पर ही भारत मंडपम में जी-20 समिट हुई थी। उसमें अफ्रीकन यूनियन को जी-20 का परमानेंट मेंबर बनाया गया है। ये बहुत बड़ा ऐतिहासिक कदम था। इसकी मांग लंबे समय से हो रही थी, जो भारत की प्रेसीडेंसी में पूरी हुई। आज ग्लोबल डिसीजन मेकिंग इंस्टीट्यूशन्स में भारत, ग्लोबल साउथ के देशों की आवाज़ बन रहा है। International Yoga Day, WHO का ग्लोबल सेंटर फॉर ट्रेडिशनल मेडिसिन, आर्टिफिशियल इंटेलीजेंस के लिए ग्लोबल फ्रेमवर्क, ऐसे कितने ही क्षेत्रों में भारत के प्रयासों ने नए वर्ल्ड ऑर्डर में अपनी मजबूत उपस्थिति दर्ज कराई है, और ये तो अभी शुरूआत है, ग्लोबल प्लेटफॉर्म पर भारत का सामर्थ्य नई ऊंचाई की तरफ बढ़ रहा है।

साथियों,

21वीं सदी के 25 साल बीत चुके हैं। इन 25 सालों में 11 साल हमारी सरकार ने देश की सेवा की है। और जब हम What India Thinks Today उससे जुड़ा सवाल उठाते हैं, तो हमें ये भी देखना होगा कि Past में क्या सवाल थे, क्या जवाब थे। इससे TV9 के विशाल दर्शक समूह को भी अंदाजा होगा कि कैसे हम, निर्भरता से आत्मनिर्भरता तक, Aspirations से Achievement तक, Desperation से Development तक पहुंचे हैं। आप याद करिए, एक दशक पहले, गांव में जब टॉयलेट का सवाल आता था, तो माताओं-बहनों के पास रात ढलने के बाद और भोर होने से पहले का ही जवाब होता था। आज उसी सवाल का जवाब स्वच्छ भारत मिशन से मिलता है। 2013 में जब कोई इलाज की बात करता था, तो महंगे इलाज की चर्चा होती थी। आज उसी सवाल का समाधान आयुष्मान भारत में नजर आता है। 2013 में किसी गरीब की रसोई की बात होती थी, तो धुएं की तस्वीर सामने आती थी। आज उसी समस्या का समाधान उज्ज्वला योजना में दिखता है। 2013 में महिलाओं से बैंक खाते के बारे में पूछा जाता था, तो वो चुप्पी साध लेती थीं। आज जनधन योजना के कारण, 30 करोड़ से ज्यादा बहनों का अपना बैंक अकाउंट है। 2013 में पीने के पानी के लिए कुएं और तालाबों तक जाने की मजबूरी थी। आज उसी मजबूरी का हल हर घर नल से जल योजना में मिल रहा है। यानि सिर्फ दशक नहीं बदला, बल्कि लोगों की ज़िंदगी बदली है। और दुनिया भी इस बात को नोट कर रही है, भारत के डेवलपमेंट मॉडल को स्वीकार रही है। आज भारत सिर्फ Nation of Dreams नहीं, बल्कि Nation That Delivers भी है।

साथियों,

जब कोई देश, अपने नागरिकों की सुविधा और समय को महत्व देता है, तब उस देश का समय भी बदलता है। यही आज हम भारत में अनुभव कर रहे हैं। मैं आपको एक उदाहरण देता हूं। पहले पासपोर्ट बनवाना कितना बड़ा काम था, ये आप जानते हैं। लंबी वेटिंग, बहुत सारे कॉम्प्लेक्स डॉक्यूमेंटेशन का प्रोसेस, अक्सर राज्यों की राजधानी में ही पासपोर्ट केंद्र होते थे, छोटे शहरों के लोगों को पासपोर्ट बनवाना होता था, तो वो एक-दो दिन कहीं ठहरने का इंतजाम करके चलते थे, अब वो हालात पूरी तरह बदल गया है, एक आंकड़े पर आप ध्यान दीजिए, पहले देश में सिर्फ 77 पासपोर्ट सेवा केंद्र थे, आज इनकी संख्या 550 से ज्यादा हो गई है। पहले पासपोर्ट बनवाने में, और मैं 2013 के पहले की बात कर रहा हूं, मैं पिछले शताब्दी की बात नहीं कर रहा हूं, पासपोर्ट बनवाने में जो वेटिंग टाइम 50 दिन तक होता था, वो अब 5-6 दिन तक सिमट गया है।

साथियों,

ऐसा ही ट्रांसफॉर्मेशन हमने बैंकिंग इंफ्रास्ट्रक्चर में भी देखा है। हमारे देश में 50-60 साल पहले बैंकों का नेशनलाइजेशन किया गया, ये कहकर कि इससे लोगों को बैंकिंग सुविधा सुलभ होगी। इस दावे की सच्चाई हम जानते हैं। हालत ये थी कि लाखों गांवों में बैंकिंग की कोई सुविधा ही नहीं थी। हमने इस स्थिति को भी बदला है। ऑनलाइन बैंकिंग तो हर घर में पहुंचाई है, आज देश के हर 5 किलोमीटर के दायरे में कोई न कोई बैंकिंग टच प्वाइंट जरूर है। और हमने सिर्फ बैंकिंग इंफ्रास्ट्रक्चर का ही दायरा नहीं बढ़ाया, बल्कि बैंकिंग सिस्टम को भी मजबूत किया। आज बैंकों का NPA बहुत कम हो गया है। आज बैंकों का प्रॉफिट, एक लाख 40 हज़ार करोड़ रुपए के नए रिकॉर्ड को पार कर चुका है। और इतना ही नहीं, जिन लोगों ने जनता को लूटा है, उनको भी अब लूटा हुआ धन लौटाना पड़ रहा है। जिस ED को दिन-रात गालियां दी जा रही है, ED ने 22 हज़ार करोड़ रुपए से अधिक वसूले हैं। ये पैसा, कानूनी तरीके से उन पीड़ितों तक वापिस पहुंचाया जा रहा है, जिनसे ये पैसा लूटा गया था।

साथियों,

Efficiency से गवर्नमेंट Effective होती है। कम समय में ज्यादा काम हो, कम रिसोर्सेज़ में अधिक काम हो, फिजूलखर्ची ना हो, रेड टेप के बजाय रेड कार्पेट पर बल हो, जब कोई सरकार ये करती है, तो समझिए कि वो देश के संसाधनों को रिस्पेक्ट दे रही है। और पिछले 11 साल से ये हमारी सरकार की बड़ी प्राथमिकता रहा है। मैं कुछ उदाहरणों के साथ अपनी बात बताऊंगा।

|

साथियों,

अतीत में हमने देखा है कि सरकारें कैसे ज्यादा से ज्यादा लोगों को मिनिस्ट्रीज में accommodate करने की कोशिश करती थीं। लेकिन हमारी सरकार ने अपने पहले कार्यकाल में ही कई मंत्रालयों का विलय कर दिया। आप सोचिए, Urban Development अलग मंत्रालय था और Housing and Urban Poverty Alleviation अलग मंत्रालय था, हमने दोनों को मर्ज करके Housing and Urban Affairs मंत्रालय बना दिया। इसी तरह, मिनिस्ट्री ऑफ ओवरसीज़ अफेयर्स अलग था, विदेश मंत्रालय अलग था, हमने इन दोनों को भी एक साथ जोड़ दिया, पहले जल संसाधन, नदी विकास मंत्रालय अलग था, और पेयजल मंत्रालय अलग था, हमने इन्हें भी जोड़कर जलशक्ति मंत्रालय बना दिया। हमने राजनीतिक मजबूरी के बजाय, देश की priorities और देश के resources को आगे रखा।

साथियों,

हमारी सरकार ने रूल्स और रेगुलेशन्स को भी कम किया, उन्हें आसान बनाया। करीब 1500 ऐसे कानून थे, जो समय के साथ अपना महत्व खो चुके थे। उनको हमारी सरकार ने खत्म किया। करीब 40 हज़ार, compliances को हटाया गया। ऐसे कदमों से दो फायदे हुए, एक तो जनता को harassment से मुक्ति मिली, और दूसरा, सरकारी मशीनरी की एनर्जी भी बची। एक और Example GST का है। 30 से ज्यादा टैक्सेज़ को मिलाकर एक टैक्स बना दिया गया है। इसको process के, documentation के हिसाब से देखें तो कितनी बड़ी बचत हुई है।

साथियों,

सरकारी खरीद में पहले कितनी फिजूलखर्ची होती थी, कितना करप्शन होता था, ये मीडिया के आप लोग आए दिन रिपोर्ट करते थे। हमने, GeM यानि गवर्नमेंट ई-मार्केटप्लेस प्लेटफॉर्म बनाया। अब सरकारी डिपार्टमेंट, इस प्लेटफॉर्म पर अपनी जरूरतें बताते हैं, इसी पर वेंडर बोली लगाते हैं और फिर ऑर्डर दिया जाता है। इसके कारण, भ्रष्टाचार की गुंजाइश कम हुई है, और सरकार को एक लाख करोड़ रुपए से अधिक की बचत भी हुई है। डायरेक्ट बेनिफिट ट्रांसफर- DBT की जो व्यवस्था भारत ने बनाई है, उसकी तो दुनिया में चर्चा है। DBT की वजह से टैक्स पेयर्स के 3 लाख करोड़ रुपए से ज्यादा, गलत हाथों में जाने से बचे हैं। 10 करोड़ से ज्यादा फर्ज़ी लाभार्थी, जिनका जन्म भी नहीं हुआ था, जो सरकारी योजनाओं का फायदा ले रहे थे, ऐसे फर्जी नामों को भी हमने कागजों से हटाया है।

साथियों,

 

हमारी सरकार टैक्स की पाई-पाई का ईमानदारी से उपयोग करती है, और टैक्सपेयर का भी सम्मान करती है, सरकार ने टैक्स सिस्टम को टैक्सपेयर फ्रेंडली बनाया है। आज ITR फाइलिंग का प्रोसेस पहले से कहीं ज्यादा सरल और तेज़ है। पहले सीए की मदद के बिना, ITR फाइल करना मुश्किल होता था। आज आप कुछ ही समय के भीतर खुद ही ऑनलाइन ITR फाइल कर पा रहे हैं। और रिटर्न फाइल करने के कुछ ही दिनों में रिफंड आपके अकाउंट में भी आ जाता है। फेसलेस असेसमेंट स्कीम भी टैक्सपेयर्स को परेशानियों से बचा रही है। गवर्नेंस में efficiency से जुड़े ऐसे अनेक रिफॉर्म्स ने दुनिया को एक नया गवर्नेंस मॉडल दिया है।

साथियों,

पिछले 10-11 साल में भारत हर सेक्टर में बदला है, हर क्षेत्र में आगे बढ़ा है। और एक बड़ा बदलाव सोच का आया है। आज़ादी के बाद के अनेक दशकों तक, भारत में ऐसी सोच को बढ़ावा दिया गया, जिसमें सिर्फ विदेशी को ही बेहतर माना गया। दुकान में भी कुछ खरीदने जाओ, तो दुकानदार के पहले बोल यही होते थे – भाई साहब लीजिए ना, ये तो इंपोर्टेड है ! आज स्थिति बदल गई है। आज लोग सामने से पूछते हैं- भाई, मेड इन इंडिया है या नहीं है?

साथियों,

आज हम भारत की मैन्युफैक्चरिंग एक्सीलेंस का एक नया रूप देख रहे हैं। अभी 3-4 दिन पहले ही एक न्यूज आई है कि भारत ने अपनी पहली MRI मशीन बना ली है। अब सोचिए, इतने दशकों तक हमारे यहां स्वदेशी MRI मशीन ही नहीं थी। अब मेड इन इंडिया MRI मशीन होगी तो जांच की कीमत भी बहुत कम हो जाएगी।

|

साथियों,

आत्मनिर्भर भारत और मेक इन इंडिया अभियान ने, देश के मैन्युफैक्चरिंग सेक्टर को एक नई ऊर्जा दी है। पहले दुनिया भारत को ग्लोबल मार्केट कहती थी, आज वही दुनिया, भारत को एक बड़े Manufacturing Hub के रूप में देख रही है। ये सक्सेस कितनी बड़ी है, इसके उदाहरण आपको हर सेक्टर में मिलेंगे। जैसे हमारी मोबाइल फोन इंडस्ट्री है। 2014-15 में हमारा एक्सपोर्ट, वन बिलियन डॉलर तक भी नहीं था। लेकिन एक दशक में, हम ट्वेंटी बिलियन डॉलर के फिगर से भी आगे निकल चुके हैं। आज भारत ग्लोबल टेलिकॉम और नेटवर्किंग इंडस्ट्री का एक पावर सेंटर बनता जा रहा है। Automotive Sector की Success से भी आप अच्छी तरह परिचित हैं। इससे जुड़े Components के एक्सपोर्ट में भी भारत एक नई पहचान बना रहा है। पहले हम बहुत बड़ी मात्रा में मोटर-साइकल पार्ट्स इंपोर्ट करते थे। लेकिन आज भारत में बने पार्ट्स UAE और जर्मनी जैसे अनेक देशों तक पहुंच रहे हैं। सोलर एनर्जी सेक्टर ने भी सफलता के नए आयाम गढ़े हैं। हमारे सोलर सेल्स, सोलर मॉड्यूल का इंपोर्ट कम हो रहा है और एक्सपोर्ट्स 23 गुना तक बढ़ गए हैं। बीते एक दशक में हमारा डिफेंस एक्सपोर्ट भी 21 गुना बढ़ा है। ये सारी अचीवमेंट्स, देश की मैन्युफैक्चरिंग इकोनॉमी की ताकत को दिखाती है। ये दिखाती है कि भारत में कैसे हर सेक्टर में नई जॉब्स भी क्रिएट हो रही हैं।

साथियों,

TV9 की इस समिट में, विस्तार से चर्चा होगी, अनेक विषयों पर मंथन होगा। आज हम जो भी सोचेंगे, जिस भी विजन पर आगे बढ़ेंगे, वो हमारे आने वाले कल को, देश के भविष्य को डिजाइन करेगा। पिछली शताब्दी के इसी दशक में, भारत ने एक नई ऊर्जा के साथ आजादी के लिए नई यात्रा शुरू की थी। और हमने 1947 में आजादी हासिल करके भी दिखाई। अब इस दशक में हम विकसित भारत के लक्ष्य के लिए चल रहे हैं। और हमें 2047 तक विकसित भारत का सपना जरूर पूरा करना है। और जैसा मैंने लाल किले से कहा है, इसमें सबका प्रयास आवश्यक है। इस समिट का आयोजन कर, TV9 ने भी अपनी तरफ से एक positive initiative लिया है। एक बार फिर आप सभी को इस समिट की सफलता के लिए मेरी ढेर सारी शुभकामनाएं हैं।

मैं TV9 को विशेष रूप से बधाई दूंगा, क्योंकि पहले भी मीडिया हाउस समिट करते रहे हैं, लेकिन ज्यादातर एक छोटे से फाइव स्टार होटल के कमरे में, वो समिट होती थी और बोलने वाले भी वही, सुनने वाले भी वही, कमरा भी वही। TV9 ने इस परंपरा को तोड़ा और ये जो मॉडल प्लेस किया है, 2 साल के भीतर-भीतर देख लेना, सभी मीडिया हाउस को यही करना पड़ेगा। यानी TV9 Thinks Today वो बाकियों के लिए रास्ता खोल देगा। मैं इस प्रयास के लिए बहुत-बहुत अभिनंदन करता हूं, आपकी पूरी टीम को, और सबसे बड़ी खुशी की बात है कि आपने इस इवेंट को एक मीडिया हाउस की भलाई के लिए नहीं, देश की भलाई के लिए आपने उसकी रचना की। 50,000 से ज्यादा नौजवानों के साथ एक मिशन मोड में बातचीत करना, उनको जोड़ना, उनको मिशन के साथ जोड़ना और उसमें से जो बच्चे सिलेक्ट होकर के आए, उनकी आगे की ट्रेनिंग की चिंता करना, ये अपने आप में बहुत अद्भुत काम है। मैं आपको बहुत बधाई देता हूं। जिन नौजवानों से मुझे यहां फोटो निकलवाने का मौका मिला है, मुझे भी खुशी हुई कि देश के होनहार लोगों के साथ, मैं अपनी फोटो निकलवा पाया। मैं इसे अपना सौभाग्य मानता हूं दोस्तों कि आपके साथ मेरी फोटो आज निकली है। और मुझे पक्का विश्वास है कि सारी युवा पीढ़ी, जो मुझे दिख रही है, 2047 में जब देश विकसित भारत बनेगा, सबसे ज्यादा बेनिफिशियरी आप लोग हैं, क्योंकि आप उम्र के उस पड़ाव पर होंगे, जब भारत विकसित होगा, आपके लिए मौज ही मौज है। आपको बहुत-बहुत शुभकामनाएं।

धन्यवाद।