আমাদের দেশ ও বিশ্বে ডাকটিকিটের একটি নিজস্ব গুরুত্বরয়েছে। ডাকটিকিট একরকমভাবে ইতিহাসকে নিজের মধ্যে সঞ্জীবিত রেখেছে। আর ডাকটিকিট একহিসেবে রাজদূতের কাজ করে। বিশ্বের যে কোনও দেশে আমাদের চিঠিপত্র গেলে তাতে আমাদেরদেশের ডাকটিকিট লাগানো থাকে। সারা পৃথিবীতে অনেক মানুষ এই ডাকটিকিটগুলি সংগ্রহকরেন। সেগুলি দেখলে বোঝা যায় যে কোনও নির্দিষ্ট দেশে কখন কিরকম পরিবর্তন এসেছে।অর্থাৎ , ডাকটিকিট একপ্রকারদেশের পরিচায়ক হয়ে ওঠে। ভারতের ডাকবিভাগও এক্ষেত্রে নিরন্তর অবদান রেখেছে।
আজ প্রভু রামচন্দ্রের জীবন সম্পর্কিত একটি ডাকটিকিটেরআবরণ ঊন্মোচন হল। এই উন্মোচনপর্ব দিল্লির বিজ্ঞান ভবন কিম্বা প্রধানমন্ত্রী বাসভবনেওঅনুষ্ঠিত হতে পারতো! কিন্তু মনে হল যে নবরাত্রির পবিত্র উৎসব শুরু হয়েছে। শ্রীরামচন্দ্রেরজীবনে নবরাত্রি আর বিজয়া দশমীর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আর যেখানে তুলসীদাসেরশ্রুতিগুলি আজও জীবন্ত , এই ডাকটিকিট প্রকাশের জন্য সেই মানস মন্দিরের থেকে ভালজায়গা আর কী হতে পারে! আমার কাশীতে সরকারি কাজ ছিল , সেজন্যে ডাকবিভাগের সঙ্গে কথা বলে এই ইচ্ছা বাস্তবায়িতকরি। শ্রীরামচন্দ্রকে নিয়ে ডাকটিকিট আগেও অনেক প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু এটি প্রথমটিকিট সংগ্রহ যেখানে তাঁর জীবনের নানা দিক আলাদা আলাদা ডাকটিকিটে প্রদর্শিত হয়েছে।এই একটি টিকিটের মধ্যে অনেক-কটা আলাদা টিকিট সম্মিলিত রয়েছে। প্রভু রামের জীবননিয়ে এরকম ডাকটিকিট আগে কখনো প্রকাশিত হয়নি। আজ প্রথমবার এরকম হচ্ছে। আমি আনন্দিতযে মানসের এই পবিত্র ভূমিতে এর প্রকাশ অনুষ্ঠান করার সুযোগ পেয়েছি। প্রভু রামেরজীবন প্রত্যেক মানুষের জীবনে প্রেরণাস্বরূপ।
আমরা যদি মহাত্মা গান্ধীকে স্মরণ করি , শৈশবেই তাঁর জীবনে রাম একটি মন্ত্রেপরিণত হয়েছিল। এহেন মহাপুরুষ , এহেন চেতনাপুরুষের জীবনেরপ্রতিটি দিক আমাদের সবাইকে প্রেরণা জোগাতে পারে। আমি প্রভু রামচন্দ্রকে প্রণামজানিয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে নবরাত্রির এই পবিত্র উৎসবের দিনে এই ডাকটিকিট প্রকাশ করেনিজের আনন্দ প্রকাশ করছি।
আপনাদের সবাইকে এখানে উপস্থিতথাকার জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।