QuoteMahatma Gandhi always highlighted the importance of villages and spoke about 'Gram Swaraj': PM Modi
QuoteUrge people to focus on the education of their children: PM Modi
QuoteOur efforts are towards self-reliance in the agriculture sector: PM
QuoteJan Dhan, Van Dhan, Gobar Dhan trio aimed at empowering the tribal and farm communities: PM Modi
QuoteA transformation of villages would ensure a transformation of India: PM Modi

মঞ্চে উপস্থিত মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রীমতী আনন্দী বেন প্যাটেল, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী শিবরাজ পাটিল মহোদয়, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের সঙ্গী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমার মহোদয়, শ্রী পুরুষোত্তম রুপালা মহোদয়, রাজ্য সরকারের মন্ত্রী গোপালজি, ওমপ্রকাশজি, সঞ্জয়জি, সংসদ সদস্য শ্রী ফগ্‌গন সিং কুলস্তেজি, শ্রীমতী সম্পত্তিয়া ভি.কে.জি এবং ভারতীয় জনতা পার্টির সদ্য নির্বাচিত অধ্যক্ষ এবং আমাদের জব্বলপুরের সাংসদ শ্রী রাকেশ সিংজি, মন্ডলা জেলা পঞ্চায়েতের অধ্যক্ষ শ্রীমতী সরস্বতী মরাওয়ী মহোদয়া আর আজ আমি অত্যন্ত গর্বের সহিত যাঁর সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করাতে চাই, আমাদের মাঝে বসে আছেন ত্রিপুরার সদ্য নির্বাচিত উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা। সম্প্রতি ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ইনি ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছেন। সেখানকার সাধারণ মানুষ ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ত্রিপুরায় ভারতীয় জনতা পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করেছেন।

ত্রিপুরায় অধিকাংশ জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ থাকেন। আপনাদের এখানে যেমন গৌন্ড পরম্পরার ইতিহাস রয়েছে, তেমনই আদি জনজাতিদের রাজ্য শাসনের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। আমি আজ অত্যন্ত আনন্দিত যে, আজ সেই ত্রিপুরার নবনির্বাচিত উপ-মুখ্যমন্ত্রী আমাদের মধ্যে রয়েছেন, তিনি সেই জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ, সেই রাজ পরিবারের বংশধর যাঁরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রতিস্পর্ধা দেখিয়েছিলেন; আজ এখানে এই মধ্যপ্রদেশের মাটিতে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে আমি গর্ববোধ করছি।

ভাই ও বোনেরা, আমরা সবাই আজ মা নর্মদার কোলে একত্রিত হয়েছি। সবার আগে আমি প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ মা নর্মদা, এখান থেকে শুরু হয়ে গুজরাটের সমুদ্রতট পর্যন্ত প্রবাহিত। মা নর্মদা আমাদের কোটি কোটি মানুষের জীবনকে লালন-পালন করেন। আমাদের পশুপালন, কৃষি, আমাদের গ্রামীণ জীবন শতাব্দী পর শতাব্দীকাল ধরে মা নর্মদার স্পর্শে নতুন জীবন লাভ করেছে। আজ আমি সেই মা নর্মদাকে প্রণাম জানাই।

আগেও এই অঞ্চলে অনেকবার আসার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। রানী দুর্গাবতীর পরাক্রমগাঁথা, ত্যাগ ও বলিদানে গাঁথা আমাদের সবাইকে প্রেরণা যোগাতে থাকে। আমাদের দেশের বৈশিষ্ট্য হ’ল রানী দুর্গাবতী কিংবা অবন্তী বাঈরা সমাজের জন্য লড়াই করেছেন, বিদেশি শাসকের সামনে মাথা নত করেননি। এই পরম্পরাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ আমরা এই মাটি থেকেই আদি জনজাতিদের স্বার্থে একটি সম্মানজনক কর্মসূচি শুরু করছি।

পাশাপাশি, আজ পঞ্চায়েত দিবস। শ্রদ্ধেয় বাপুর স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ আজ আমাদের কাছে এসেছে। মহাত্মা গান্ধী বার বার বলেছেন যে, ভারতের পরিচয় ভারতের গ্রামে। সেজন্য গ্রাম স্বরাজের কল্পনা করেছিলেন। মহাত্মা গান্ধী গ্রামোদয় থেকে রাষ্ট্রদ্বয়ের পথ প্রশস্ত করার জন্য প্রেরণা যুগিয়েছেন। আর আজ পঞ্চায়েত রাজ দিবসে আমি প্রায় ২ লক্ষ ৪০ হাজার পঞ্চায়েতকে এবং এই পঞ্চায়েতগুলিতে বসবাসকারী আমার কোটি কোটি দেশবাসীকে, এই পঞ্চায়েতগুলি থেকে নির্বাচিত ৩০ লক্ষেরও বেশি জনপ্রতিনিধিকে যাঁদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি আমাদের মা-বোনেরা রয়েছেন; যাঁরা আজ সাফল্যের সঙ্গে দেশের গ্রামীণ জীবনের নেতৃত্ব প্রদান করেছেন, তাঁদের সকলকে আজ পঞ্চায়েতি রাজ দিবস উপলক্ষে প্রণাম জানাই, অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

আমি আপনাদেরকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, আপনাদের নিজেদের গ্রামের উন্নয়নে, গ্রামবাসীদের ক্ষমতায়নের জন্য নিজেদের গ্রামকে সমস্যামুক্ত করার জন্য আপনারা যে কোনও সংকল্প গ্রহণ করলে তা বাস্তবায়নের স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকারও আপনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। আপনাদের স্বপ্নগুলির সঙ্গে আমাদের স্বপ্নগুলি মিলেমিশে গেলেই ১২৫ কোটি ভারতবাসীর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে পারব। এই ভাবনা নিয়ে আসুন আজ পঞ্চায়েত রাজ দিবসে নিজের গ্রামের জন্য কিছু করার সংকল্প গ্রহণ করি।

আগে যখন এই মন্ডলায় আসতাম, তখন দেখেছি এখানকার মানুষ ঐ দুর্গটি নিয়ে গর্ব করে এখানকার রাজ পরিবারের ইতিহাস নিয়ে গর্ব করে বুক ফুলিয়ে বলেন, কয়েক শতাব্দী আগে গৌন্ড রাজারা কত বড় কাজ করেছিলেন, কত বড় ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন, যা ছিল অত্যন্ত গণমুখী!

এখন দেশে গণতান্ত্রিক আবহে একটি নিশ্চিত অবধি পর্যন্ত গ্রামের মানুষ আমাদেরকে যে দায়িত্ব দিচ্ছেন, আমাদের ওপর যে ভরসা রাখছেন, তা যেন আমরা গ্রামের জন্য নিজেদের কর্মকালের মধ্যে পাঁচটি ভালো কাজ কিংবা দশ-পনেরোটি ভালো কাজ করে যাই, যাতে ২০-৩০ বছর পর যখন আপনারা বৃদ্ধ হবেন, তখন আপনার নাতি-নাতনিদের বলতে পারবেন যে, ২৫ বছর আগে আমি যখন পঞ্চায়েত প্রধান ছিলাম, তখন এই পুকুরটি খনন করিয়েছিলাম, স্কুলের মাঠে ঐ গাছটি লাগিয়েছিলাম, পানীয় জলের জন্য ঐ কুয়োটি কাটিয়েছিলাম~! আপনারা নিশ্চয়ই চাইবেন যে, নিজেদের কর্মকালের মধ্যে এমন কিছু কাজ করে যান, যাতে ভবিষ্যতে নাতি-নাতনিদের বুক ফুলিয়ে বলতে পারেন।

আমি আপনাদের মনের সেই ইচ্ছাকে জোরদার করতে চাই। আপনাদের মজবুত সংকল্পে ধনী করে তুলতে চাই। গ্রামের জন্য কিছু করার ইচ্ছে আর যে ৫ বছর সময় আপনারা পান, সেই ৫ বছরের প্রতিই মুহূর্ত যদি জনগণের জন্য কাজ করার পণ নিয়ে কাজ করতে থাকেন, তাহলে বিশ্বের যে কোনও শক্তি, যে কোনও প্রতিস্পর্ধা, যে কোনও বিপত্তিকে জয় করে আপনারা গ্রামের জীবন বদলে দিতে পারবেন।

কখনও গ্রামের উন্নয়নের প্রসঙ্গ উঠলে অনেকে বাজেট বরাদ্দের প্রসঙ্গ তোলেন। একটা সময় ছিল যখন বাজেটবরাদ্দ অপর্যাপ্ত থাকার ফলে কাজ করতে সমস্যা হত, কিন্তু আজ বাজেটের সমস্যা নেই, এখন সমস্যা হল – প্রাপ্ত অর্থের সদুপযোগ কেমন করে হবে! নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সঠিক মানুষদের জন্য কিভাবে যথাযথভাবে সৎ পথে টাকা খরচ করা হবে? সেই কাজে স্বচ্ছতা থাকবে, গ্রামের প্রত্যেকে জানতে পারবেন যে – এই কাজ এতটা, এত টাকা খরচ করে হয়েছে, গ্রামবাসীর কাছে এই হিসেব দিচ্ছি! এই স্বভাব গড়ে তুলতে পারলে কখনও অর্থের অভাব হবে না। আসলে অর্থের অভাব কখনই হয় না। আমাদের অগ্রাধিকারই কখনও কখনও সমস্যা তৈরি করে।

|

মনে করুন, গ্রামে একটি স্কুল আছে। স্কুল বাড়িটি খুব সুন্দর, সেখানে শিক্ষিত মাস্টারমশাই আছেন, তিনি মাস গেলে ঠিক্টহাক বেতন পান, প্রতিদিন ঠিক সময়ে স্কুল হয়। কিন্তু তা সত্বেও আমার গ্রামের ৫-২৫টি বাচ্চা স্কুলে যায় না, লুকিয়ে থাকে, নিরক্ষর থেকে যায়। আপনারা কি মনে করেন যে, এই নিরক্ষরতার পেছনে বাজেট সমস্যা ছিল? মাস্টার মশাইয়ের কোনও খামতি ছিল? আমি মনে করি, ছিল না। আমাদের গ্রামবাসীদের বোঝাতে হবে যে, স্কুল আছে, মাস্টারমশাই আছেন, সরকার অনুদান দেয়, সরকার থেকে ছেলেমেয়েদের স্কুলের পোশাক দেওয়া হয়, মধ্যাহ্ন ভোজনের ব্যবস্থা রয়েছে। আসুন, আমরা মিলেমিশে এমন কাজ করি, যাতে আমাদের গ্রামের একটি শিশুও আর স্কুলছুট না হয়। আমরা কি এরকম সিদ্ধান্ত নিতে পারি?

আমাদের বাবা-মা হয়তো লেখাপড়া জানেন না, তাঁদের হয়তো সেই সৌভাগ্যই হয়নি। সেই সময়ে সমস্ত সরকারি সুবিধা থাকা সত্ত্বেও তাঁরা লেখাপড়ার সুযোগ পাননি। কিন্তু এখন আপনারা পঞ্চায়েতে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন। রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকার আপনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চায়। তাঁরা ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করতে আগ্রহী, বিশেষ করে মেয়েদেরকে; সেই শিশুটি বড় হয়ে বলবে, আমি তো গরিব মায়ের সন্তান ছিলাম, মায়ের সঙ্গে কাজ করতে যেতাম কিন্তু অমুক যখন গ্রামপ্রধান হলেন, তিনি আমাকে ক্ষেত থেকে হাত ধরে এনে স্কুলে ঢুকিয়ে বলেন, বাবা এটা তোর ক্ষেতে কাজ করার বয়স নয়, পড়াশুনা করতে হবে। তারই কল্যাণে আজ আমি ডাক্তার হয়েছি, ইঞ্জিনিয়ার হয়েছি কিংবা আজ আমি আইএএস অফিসার হয়েছি, আমার পরিবারের জীবন বদলে গেছে। অর্থাৎ, একজন গ্রামপ্রধান একটি জীবন বদলে দিতে পারেন, অসংখ্য মানুষকে প্রেরণা যোগাতে পারেন, গোটা ভারতের জীবন পরিবর্তনে সঠিক পথ দেখাতে পারেন।

সেজন্য আমার প্রিয় গ্রাম প্রতিনিধিগণ, এই পঞ্চায়েত রাজ দিবস আমাদের সংকল্প দিবস হয়ে উঠুক। আজ আরোগ্য ক্ষেত্রে সুদিন এসেছে। সঠিক সময়ে শিশুদের পোলিও-র প্রতিষেধক খাওয়াতে পারলে আমাদের গ্রামের বাচ্চারা আর দিব্যাঙ্গ হয়ে উঠবে না, পোলিও নির্মূল হবে। এই পোলিও-র প্রতিষেধক খাওয়াতে কি বাজেট বরাদ্দের প্রয়োজন হয়? ডাক্তার আসেন, সরকারি খরচে প্রতিষেধক আসে, যে তারিখে খাওয়ানো হবে, টিভি ও খবরের কাগজে তা আগে থেকে জানানো হয়। আমি কি নির্বাচিত নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের কাছে এই পোলিও প্রতিষেধক খাওয়ানোর ব্যাপারে সঠিক তদারকির অনুরোধ করতে পারি?

আপনাদের মনে হতে পারে যে, এটা সরকারি বাবুদের কাজ, আমাদের নয়। আরে মশাই, আপনারা জনপ্রতিনিধি, জনগণের সেবক। আপনারা সরকারের সেবক নন। আমরা জনপ্রতিনিধিরা জনতার সুখ-সুবিধা সুনিশ্চিত করার জন্য নির্বাচিত হয়ে এসেছি। আমাদের সমস্ত শক্তি ও সময় যদি সেই কাজে নিয়োজিত করি, তা হলে আমরা গ্রামের জীবন বদলে দিতে পারব।

|

আমি আপনাদের সঙ্গে এই ছোট ছোট বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলছি, কারণ, ছোট ছোট বিষয়ে পরিবর্তন আনতে পারলেই দেখতে দেখতে গ্রাম পরিবর্তিত হয়ে যায়।

আমাদের গ্রামের কৃষকরা জানেন যে, চাষের ক্ষেত তাঁদের অন্নদাতা সেই ক্ষেতের মাটির স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে ধরিত্রী মাতা আজ যতটা ফসল দেন, ততটা ফসল দেওয়া বন্ধ করে দেবেন। সেক্ষেত্রে আমরা তো খিদেতে মরবই, অন্যরাও মারা যাবেন। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দারিদ্র্যক্লিষ্ট হয়ে পড়বে। কখনও কি ভেবেছেন যে, আমরা অনেক সময়ে অন্যের দেখাদেখি কাজ করে ক্ষেতের বারোটা বাজাই। অমুকে যতটা ইউরিয়া মাটিতে মিশিয়েছেন, আমিও মিশিয়ে দিলাম। প্রতিবেশী লালওষুধ দিলে আমিও দিয়ে দিলাম। ক্ষেতের প্রকৃতি না জেনে এভাবে অন্ধের মতো কাজ করলে লাভের বদলে ক্ষতির সম্ভাবনাই বৃদ্ধি পায়।

গ্রামের সবাই মিলে যদি সিদ্ধান্ত নিই যে, সারা গ্রামে ৫০টি ব্যাগ ইউরিয়া আসে, আমরা সবাই মাটিতে কম কম ইউরিয়া মিশিয়ে ৪০টি ব্যাগ দিয়েই কাজ চালিয়ে দেব। তা হলে ১০টি ব্যাগের পয়সা বাঁচবে কি বাঁচবে না? পয়সাও বাঁচবে, ধরিত্রীমাতাও খুশি হবেন। ধীরে ধীরে ফসলও ভালো হবে। আমি আপনাদেরকে জিজ্ঞেস করতে চাই যে, আমার জনজাতি ভাইদের কাছে জানতে চাই যে, আমরা কি এভাবে নিজেদের অর্থ ও মৃত্তিকার স্বাস্থ্য রক্ষা করতে পারি? এখন তো সরকারও একটা খুব ভালো নিয়ম করে দিয়েছে। মন্ডলার অরণ্যের কোলে দাঁড়িয়ে আনন্দের সঙ্গে কথা বলছি, এখানে আপনারা বাঁশের চাষ করেন, একটা সময় ছিল, যখন আমদের দেশে বাঁশকে গাছ বলে মানা হ’ত। আমি জানি না, এত বছর কেন আমাদের আইনে বাঁশকে গাছ করে রাখা হয়েছিল? আমার জনজাতি ভাই ও বোনেরা যথেচ্ছ বাঁশ কেটে বিক্রি করতে পারতেন না। বন দপ্তরের আধিকারিকদের চোখে পড়লে জরিমানা দিতে হ’ত। আমরা সরকারে এসে সেই আইন বদলে দিয়েছি। এখন যা বৈজ্ঞানিক সত্য, সেটাই আইনে স্থান পেয়েছে। আইনগতভাবে বাঁশ এখন ঘাস হিসাবে বিবেচিত হবে। আপনারা যত খুশি চাষ করুন আর বাজারে বিক্রি করে লাভবান হন।

আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে, আমাদের দেশে এত বাঁশ উৎপন্ন হওয়া সত্ত্বেও প্রতি বছর ১২ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা বাঁশ আমদানি করতে হ’ত। ধূপকাঠি, দেশলাই কাঠি বানানোর জন্য, ঘুড়ির কাঠি, বাড়ি-ঘর নির্মাণের জন্য বাঁশ আমদানি করে এত হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে চলে যেত।

আজ আমি জনজাতি ভাইদের অনুরোধ জানাই যে, এখন আপনারা উৎকৃষ্ট প্রকৃতির বাঁশ নিজেদের ক্ষেতে ফলান। দু-তিন বছরের মধ্যেই আপনাদের রোজগার শুরু হবে।

পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের অনুরোধ জানাই, আমাদের গ্রামের কৃষকদের আত্মনির্ভর করে তুলুন। আমাদের রাজ্যপাল দেবব্রতজি নিজের পদমর্যাদা ভুলে চাষীদের সঙ্গে সময় কাটান আর তাঁদের জিরো বাজেটে উন্নতমানের চাষবাস সেখান। একজন কৃষকের একটি গরু আর দুই একর জমি থাকলে কিভাবে বিনামূল্যে চাষবাস করা যায়, তা শিখিয়ে তিনি অনেক কৃষককে আত্মনির্ভর করে তুলেছেন। আমাদের পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা এই পদ্ধতি শিখে নিজের গ্রামের কৃষকদের সঠিক পথ দেখাতে পারবেন কি?

সম্প্রতি আমরা মধু উৎপাদন ও মৌ উৎপাদনের আন্দোলন শুরু করেছি। যে কোনও ছোট কৃষক তাঁর ক্ষেতের চারপাশে ৫০টি মৌমাছির বক্স বসিয়ে দিয়ে এক বছরে দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকার মধু বিক্রি করতে পারেন। যদি বিক্রি না হয়, তা হলে বাড়িতে রেখে খেলেও শরীরের জোর বাড়বে। আপনারা বলুন, তা হলে কৃষকের রোজগার বাড়বে কি বাড়বে না? অথচ, এর জন্য কোনও বাজেটেরও প্রয়োজন নেই, নিজে থেকেই হতে পারে। শুধু আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এখন গ্রামে গ্রামে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে মনরেগার টাকা পাঠানো হয়। আমরা কি ঠিক করতে পারি যে, এপ্রিল, মে এবং জুন – এই তিন মাস গ্রামে জল বাঁচানোর জন্য কী কী করতে পারি; পুকুরের গভীরতা বাড়ানো কিংবা ছোট ছোট ‘চেক ড্যাম’ গড়ে তুলে কয়েক মাস পরেই যখন বর্ষা আসবে, তখন যেন প্রত্যেক বিন্দু জল আপনার গ্রামের মাটিতেই থেকে যায়, অনায়াসে বেরিয়ে যেতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করব। 

আপনারা বলুন, গ্রামের জল গ্রামে থেকে গেলে প্রত্যেক বৃষ্টিবিন্দুকে গ্রামের মাটিতে ধারণ করতে পারলে আমাদের মাটির নিচের জলস্তর বাড়বে, পাশাপাশি সংস্কার করা জলস্রোতগুলি গ্রামের মাটিকে অনেক বেশি উর্বর করে তুলবে কি তুলবে না? যদি বৃষ্টি তেমন না হয়, সেক্ষেত্রেও মাটির নিচের জলস্তর আমাদের চাষের কাজকে বৃথা হতে দেবে না! গ্রামবাসীদেরও না খেয়ে মরতে হবে না।

এমন নয় যে প্রকল্প নেই, এমন নয় যে অর্থের অভাব রয়েছে, আমি গ্রাম প্রতিনিধিদের অনুরোধ করি যে, আপনারা ঠিক করুন – শিক্ষা, আরোগ্য, জলসঞ্চয়, কৃষিতে পরিবর্তন – কোন্‌ কোন্‌ ক্ষেত্রে আপনারা এরকম কোনও নতুন বাজেট বরাদ্দ ছাড়াই কাজ করে গ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।

আরেকটি কথা আমি বলতে চাইব, আমরা একটি প্রকল্প চালু করেছিলাম জন ধন যোজনা। এই যোজনার মাধ্যমে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা এবং আরেকটি প্রকল্প ছিল মাত্র ৯০ পয়সায় বিমা যোজনা। আমি একথা বিশ্বাস করি না যে, দেশের দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম ব্যক্তিও ৯০ পয়সা খরচ করতে পারবে না। কারও যদি বিড়ি খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তা হলে সে দিনে ২ টাকার বিড়িই খেয়ে নেন। কাজেই ৯০ পয়সা জমা করা কোনও ব্যাপারই নয়।

আপনারা দেখেছেন, আজ এই মঞ্চ থেকে আজ এই মঞ্চ থেকে একজন জনজাতি সম্প্রদায়ের মা-কে ২ লক্ষ টাকা দেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। তাঁর স্বামী ৯০ পয়সার বিমা করিয়েছিলেন, তাঁর মৃত্যুতে পরিবারে বিপর্যয় এলে ভদ্রমহিলা এই ২ লক্ষ বিমার টাকা পেয়েছেন। বিপদের সময় এক দরিদ্র মা যদি হাতে ২ লক্ষ টাকা পান, এই টাকা তাঁর পরিবারটিকে রক্ষার ক্ষেত্রে কতটা কাজে লাগবে!

আমাদের জনপ্রতিনিধিরা কি আমাকে এটা সুনিশ্চিত করতে পারেন যে আপনাদের গ্রামে কমপক্ষে ৯০ পয়সার বিমা করা হয়নি – এরকম কোনও পরিবার নেই! যদি থেকে থাকে তাহলে তাঁদেরকে যত শীঘ্র সম্ভব এর আওতায় নিয়ে আসুন! পারিবারিক বিপত্তির সময় ঐ পরিবার ২ লক্ষ টাকা হাতে পাবে। গ্রামের জন্য বোঝা হয়ে উঠবে না! আপনারা কি এটা করতে পারেন?

ভাই ও বোনেরা, আমি তিনটি বিষয়ের প্রতি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই! এক – জন ধন, দুই – বন ধন, তিন – গোবর ধন। এই তিনটি বিষয় গ্রামের অর্থব্যবস্থায় একটি অনেক বড় পরিবর্তন আনতে পারে! জনধন যোজনার মাধ্যমে আমরা গ্রামের পরিবারগুলিকে, প্রত্যেক নাগরিককে অর্থব্যবস্থার মুখ্যধারায় নিয়ে আসতে পারি!

বন ধন – আমাদের দেশে যে বনসম্পদ, প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে, তার মূল্য বুঝতে হবে। গ্রামে যে নিম গাছ আছে, দরিদ্র মহিলারা সেই নিমের ফলই কুড়িয়ে একত্রিত করে, তা থেকে তেল বের করতে পারেন। সেই তেল ইউরিয়াতে নিম কোটিং-এর জন্য কিনে নেওয়া হবে। মহিলাদের রোজগার হবে, তার মানে যে নিমফল গাছ থেকে ঝরে পড়ে মাটিতে মিশে যায়, সেটাই আজ বন ধন-এ পরিণত হতে পারে। আমি অরণ্যবাসী সমস্ত জনজাতি বন্ধুদের বলতে চাই, সংশ্লিষ্ট সমস্ত সরকারকে বলতে চাই – এভাবে চেষ্টা করলে আমরা অনেক পরিবর্তন আনতে পারব। আজ এখানে মধ্যপ্রদেশ রাজ্য সরকার, জনজাতি সম্প্রদায়ের জন্য একটি অনেক বড় প্রকল্প শুরু করল। এই প্রকল্প বন ধন-এর গুরুত্ব উপলব্ধি করেই গড়ে উঠেছে।

তৃতীয়ত, গোবর ধন – গ্রামের পশুদের গোবর বৈজ্ঞানিক উপায়ে ব্যবহার করা হয় না। সেই গোবর ও গ্রামের আবর্জনাকে যদি আমরা সম্পত্তি ভাবি, তা হলে সেগুলি থেকে গ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব। সেই গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব আর সেই গোবর ও আবর্জনা থেকে জৈব সার উৎপাদনও সম্ভব। ইউরিয়া প্রয়োগ না করেই, সেই জৈব সার ক্ষেতে প্রয়োগ করলে ফলনও ভালো হয় আর তা আমাদের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে এবং মাটির স্বাস্থ্যও ভালো রাখে।

সেজন্য ভাই ও বোনেরা, আজ মা নর্মদা তীরবর্তী মন্ডলার মাটি থেকে, মাতা দুর্বাবতীর আশীর্বাদধন্য এই পুণ্যভূমি থেকে দেশের ২ লক্ষ ৪০ হাজার গ্রামের মানুষদের অনুরোধ জানাই। আসুন আমরা সংকল্প গ্রহণ করি ২০২২ সালে যখন দেশ স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি পালন করবে, আর তার আগে এ বছর ২ অক্টোবরে মহাত্মা গান্ধী জন্মসার্ধ শতবর্ষ পালন শুরু হবে। আসুন, এই উপলক্ষে আমরা সবাই মিলে দেশের প্রতিটি গ্রামকে মহাত্মা গান্ধীর স্বপ্নের গ্রামে পরিণত করি।

একটু আগেই একটি প্রকল্প আমি উদ্বোধন করেছি, যার মাধ্যমে যথাযথভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে আপনার গ্রামে কত সরকারি টাকা আসছে, কোন্‌ কাজে আসছে, সেই কাজ কতটা হয়েছে, আদৌ হয়েছে কিনা, যেখানে হওয়ার কথা ছিল, সেখানে হয়েছে কিনা – এই সমস্ত খুঁটিনাটি আপনারা নিজেদের মোবাইল ফোনে দেখতে পাবেন। আপনারা বুঝতে পারবেন, গ্রামের কূপ খননের জন্য যে টাকা এসেছে, তা দিয়ে অন্য কোনও কাজ করা হচ্ছে কিনা, যদি মোবাইল ফোনে পাওয়া তথ্যের সাথে বাস্তবের কোনও মিল না থাকে, তা হলে জনগণ জনপ্রতিনিধিদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারবেন, প্রশাসনও নড়েচড়ে বসতে বাধ্য, কাজ করতে বাধ্য। আপনারাই বলুন, এই স্পষ্টতা সৎ পথে গ্রামের উন্নয়ন সুনিশ্চিত করবে কি করবে না, প্রত্যেক পয়সার হিসাব দিতে হবে কি হবে না?

সেজন্য আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, সঠিক সময়ে সঠিক কাজ হচ্ছে কিনা সেদিকে যদি আপনারা লক্ষ্য রাখেন, তা হলে দেখবেন, আপনাদের পাঁচ বছরের কার্যকাল একটি সোনালী সময় বলে পরিগণিত হবে। গ্রামবাসী আপনাকে মনে রাখবে যে,  অমুক যখন গ্রামপ্রধান ছিলেন, কিংবা তমুক যখন আমাদের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন, তখন তিনি গ্রামের কায়াকল্প করে দিয়েছেন। আজ এখানে আমার একটি এলপিজি প্ল্যান্টেরও উদ্বোধন করার সৌভাগ্য হয়েছে। এখানে ১২০ কোটি বিনিয়োগে একটি গ্যাস সিলিন্ডার ভরার কারখানা গড়ে উঠবে। ফলে, পার্শ্ববর্তী পান্না, সৎনা, রিওয়া, সিঙ্গরৌলি, শেহডোল, উমরিয়া, ডিন্ডরি, অনুপুর, মন্ডলা, সিওয়ন, বালাঘাট, জব্বলপুর, কটনি, দমোহ জেলাগুলিতে গ্যাস সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়ার কাজ সরল হয়ে যাবে। এখানকার স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থান হবে আর আপনারা একটি নতুন দুনিয়া আস্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন।

ভাই ও বোনেরা, আরও অনেক বিষয়েই আলোচনা করতে পারতাম। কিন্তু আমি গ্রাম-কেন্দ্রীক জয় জওয়ান, জয় কিষাণ, জয় বিজ্ঞান – এই মন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

একটু আগেই শিবরাজজি বলছিলেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার কন্যাদের সঙ্গে যাঁরা দুর্ব্যবহার করে সেই রাক্ষুষে মনবৃত্তি মানুষদের এখন ফাঁসিতে ঝোলানোর আইন প্রণয়ন করেছে। আর মুখ্যমন্ত্রী যখন এই প্রস্তাব রেখেছেন, তখন আমরা লক্ষ্য করেছি যে, গোটা মন্ডপে হাততালির শব্দ গুঞ্জরিত হয়েছে। সেই তালির শব্দ থামছিলই না। আজ দিল্লিতে আপনারা এমন সরকার এনেছেন, যাঁরা আপনাদের অন্তরের আওয়াজ শুনতে পায় আর সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়।

আমি বলব যে, আমরা পরিবারেও যেন মেয়েদের সম্মান দিতে শিখি। প্রতিটি পরিবারে মেয়েদের গুরুত্ব বাড়ুক আর পাশাপাশি ছেলেদের দায়িত্ব শেখাতে শুরু করি। ছেলেদের দায়িত্ব শেখাতে পারলে মেয়েদের নিরাপদ রাখা কঠিন হবে না। আর যারা বেইমানি করবে, অন্যায় করবে, তাদের ফাঁসিতে ঝোলানো হবে। কিন্তু আমাদের নিজের পরিবারের মেয়েদের সম্মান প্রদর্শনের দায়িত্ব নিজেদেরই নিতে হবে। একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তবেই আমরা সবাই মিলে দেশকে এই লজ্জাজনক পরিস্থিতি থেকে বের করে আনতে পারব।

ভাই ও বোনেরা, সরকার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজের কথা ভেবেছে, আমাদের দেশের দুর্ভাগ্য যে, স্বাধীনতা সংগ্রামের কৃতিত্ব দেশের কয়েকটি পরিবারকেই দেওয়া হয়। সত্যিকারের অবদান যাঁদের রয়েছে, তাঁদের নাম ইতিহাসের পাতায় তুলে দেওয়ার পর থেকে আমরা কোন্‌ কোন্‌ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি – তা আমি জানি না!

১৮৫৭ সাল থেকেই যদি দেখি, অবশ্য তার আগে ১০০ বছরের দাসত্বের ইতিহাসেও এমন কোনও বছর ছিল না যখন ভারতে কোনও না কোনও প্রান্তে ঐ অঞ্চলের আত্মসম্মান ও সংস্কৃতি রক্ষার জন্য আমাদের পূর্বজরা স্বাধীনতার স্পৃহা নিয়ে আত্মবলিদান দিয়েছেন। কিন্তু আমরা যদি ১৮৫৭ সাল থেকেই দেখি, খুব কম মানুষই জানেন আমাদের বিভিন্ন জনজাতির পূর্বজরা স্বাধীনতার জন্য দেশের প্রত্যেক প্রান্তে কত আত্মবলিদান করেছেন। ভারতের সম্মানের জন্য কত বড় বড় লড়াই লড়েছেন, দুর্গাবতী, অবন্তীবাই, বিরসা মুণ্ডাদের নাম আমরা জানি, তাঁদেরকে আমরা স্মরণ করি, কিন্তু এমন আরও অসংখ্য আছেন, যাদের নাম আমরা জানি না!

আমার স্বপ্ন হল, ভারতের প্রত্যেক রাজ্যে, যেখানে যেখানে আমাদের বিভিন্ন জনজাতির পূর্বজরা স্বাধীনতার জন্য আত্মবলিদান করেছেন, সেই রাজ্যগুলিতে তাঁদের বীরগাঁথা প্রদর্শনকারী আধুনিক মিউজিয়াম গড়ে তোলা! ঐ রাজ্যগুলির ছাত্রছাত্রীদের আমরা সেই সংগ্রহশালা গুলিতে নিয়ে যাব, তাঁদের বলব, দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে তাঁরা কিভাবে গৌরবান্বিত করেছেন।

ভাই ও বোনেরা, আসুন, আজ আমরা এই মন্ডলার মাটি থেকে মা দুর্গাবতীকে স্মরণ করে সংকল্প গ্রহণ করি। তবেই, পঞ্চায়েত রাজের এই গুরুত্বপূর্ণ পর্বে আমাদের পঞ্চায়েতগুলির ক্ষমতায়ন সুনিশ্চিত হবে আমাদের গণতন্ত্রের শিকড় মজবুত হবে, আমাদের জনপ্রতিনিধিরা দেশের কল্যাণে আমাদের গ্রামের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করবেন – এই আশা রেখে আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। শ্রী তোমারজি, শ্রীমতী রুপালাজি এবং তাঁদের বিভাগের সমস্ত আধিকারিকদের আমি অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ, তাঁরা সারা দেশে গ্রাম স্বরাজ অভিযান শুরু করেছেন।

আগামী ৩০ এপ্রিল আয়ুষ্মান ভারতের লোকজাগরণ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২ মে কৃষকদের জন্য কর্মশালা আয়োজিত হবে, গ্রামে গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বিষয় সেখানে উঠে আসবে। আপনারা সবাই অত্যন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে এতে অংশগ্রহণ করবেন। এই আশা রেখে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।

  • krishangopal sharma Bjp December 20, 2024

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
  • Mangala parasharam Shinde January 18, 2024

    सबका साथ सबका विकास 👌🙏👍
  • Babla sengupta December 23, 2023

    Babla sengupta
  • Laxman singh Rana June 20, 2022

    नमो नमो 🇮🇳🌷
  • Laxman singh Rana June 20, 2022

    नमो नमो 🇮🇳
  • G.shankar Srivastav June 13, 2022

    G.shankar Srivastav
  • शिवकुमार गुप्ता January 19, 2022

    हर हर मोदी🙏
  • शिवकुमार गुप्ता January 19, 2022

    जय भारत
  • शिवकुमार गुप्ता January 19, 2022

    जय हिंद
  • शिवकुमार गुप्ता January 19, 2022

    जय श्री सीताराम
Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Blood boiling but national unity will steer Pahalgam response: PM Modi

Media Coverage

Blood boiling but national unity will steer Pahalgam response: PM Modi
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM to participate in YUGM Conclave on 29th April
April 28, 2025
QuoteIn line with Prime Minister’s vision of a self-reliant and innovation-led India, key projects related to Innovation will be initiated during the Conclave
QuoteConclave aims to catalyze large-scale private investment in India’s innovation ecosystem
QuoteDeep Tech Startup Showcase at the Conclave will feature cutting-edge innovations from across India

Prime Minister Shri Narendra Modi will participate in YUGM Conclave on 29th April, at around 11 AM, at Bharat Mandapam, New Delhi. He will also address the gathering on the occasion.

YUGM (meaning “confluence” in Sanskrit) is a first-of-its-kind strategic conclave convening leaders from government, academia, industry, and the innovation ecosystem. It will contribute to India's innovation journey, driven by a collaborative project of around Rs 1,400 crore with joint investment from the Wadhwani Foundation and Government Institutions.

In line with Prime Minister’s vision of a self-reliant and innovation-led India, various key projects will be initiated during the conclave. They include Superhubs at IIT Kanpur (AI & Intelligent Systems) and IIT Bombay (Biosciences, Biotechnology, Health & Medicine); Wadhwani Innovation Network (WIN) Centers at top research institutions to drive research commercialization; and partnership with Anusandhan National Research Foundation (ANRF) for jointly funding late-stage translation projects and promoting research and innovation.

The conclave will also include High-level Roundtables and Panel Discussions involving government officials, top industry and academic leaders; action-oriented dialogue on enabling fast-track translation of research into impact; a Deep Tech Startup Showcase featuring cutting-edge innovations from across India; and exclusive networking opportunities across sectors to spark collaborations and partnerships.

The Conclave aims to catalyze large-scale private investment in India’s innovation ecosystem; accelerate research-to-commercialization pipelines in frontier tech; strengthen academia-industry-government partnerships; advance national initiatives like ANRF and AICTE Innovation; democratize innovation access across institutions; and foster a national innovation alignment toward Viksit Bharat@2047.