PM Modi inaugurates the Mohanpura Irrigation Project & several other projects in Rajgarh, Madhya Pradesh
It is my privilege to inaugurate the Rs. 4,000 crore Mohanpura Irrigation project for the people of Madhya Pradesh, says PM Modi
Under the leadership of CM Shivraj Singh Chouhan, Madhya Pradesh has written the new saga of development: PM Modi
In Madhya Pradesh, 40 lakh women have been benefitted from #UjjwalaYojana, says PM Modi in Rajgarh
Double engines of Bhopal, New Delhi are pushing Madya Pradesh towards newer heights: PM Modi

বিপুল সংখ্যায় আগত রাজগড় অঞ্চলের প্রিয় ভাই ও বোনেরা রাম রামজি,

 

জুন মাসের এই ভয়ানক গরমে আপনাদের এই বিপুল উপস্থিতি আমাদের সকলের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। আপনাদের ভালোবাসাকে আমি প্রণাম জানাই। আপনাদের এই প্রাণশক্তি আমাকে প্রেরণা যোগায়।

 

আমার সৌভাগ্য যে আজ ৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে মোহনপুরা সেচ প্রকল্প উদ্বোধনের পাশাপাশি আরও তিনটি প্রকল্প সূচনার সৌভাগ্য হয়েছে। এই সেচ প্রকল্পগুলির সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তি, যাঁরা মাথায় করে ইঁট-বালি-সিমেন্ট বহন করেছেন, কোদাল চালিয়েছেন, ছোট ছোট যন্ত্র থেকে শুরু করে বড় যন্ত্র চালনা করেছেন, তাঁদের সকলকে এই সাফল্যের জন্য প্রণাম ও অভিনন্দন জানাই।

 

রোদে পুড়ে, জলে ভিজে দেশ নির্মাণের পুণ্য কর্মে আপনাদের এই বিরামহীন পরিশ্রম অতুলনীয়। আমার প্রিয় ভাইবোনেরা বোতাম টিমে উদ্বোধন নেহাতই একটি আনুষ্ঠানিকতা। এই প্রকল্পগুলির আসল উদ্বোধন তো আপনাদের ঘাম ও শ্রম দিয়ে হয়েছে।

 

আপনাদের মতো কোটি কোটি মানুষের এই শ্রম ও আশীর্বাদের শক্তিতে বলীয়ান। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার সাফল্যের সঙ্গে একের পর এক জনকল্যাণমূলক সিদ্ধান্ত নিয়ে চার বছর পূর্ণ করল। আপনাদের এই বিপুল সংখ্যায় আগমন এটা প্রমাণ করে যে, সরকারের নীতির ওপর আপনাদের কতটা আস্থা রয়েছে। যাঁরা দেশে গুজব রটান, মিথ্যে বলেন, হতাশার পরিবেশ সৃষ্টি করেন, তাঁরা এই বাস্তবের মাটি থেকে কতটা বিচ্ছিন্ন, আপনাদের এই বিপুল উপস্থিতি তা প্রমাণ করে।

 

আজ ২৩ শে জুন। আজকের দিনে কাশ্মীরে বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির সন্দেহজনক মৃত্যু হয়েছিল। আজ এই উপলক্ষে আমি ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জিকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই।

ভাই ও বোনেরা, ডঃ মুখার্জি বলতেন, ‘কোনও দেশ শুধু প্রাণশক্তি দিয়েই নিরাপদ থাকতে পারে’। দেশের প্রতিভাবান মানুষ ও প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর তাঁর অগাধ আস্থা ছিল।

 

স্বাধীনতার পর দেশকে হতাশা থেকে তুলে আনার জন্য তাঁর দূরদৃষ্টি আজও কোটি কোটি মানুষকে প্রেরণা যোগায়। দেশের প্রথম শিল্প মন্ত্রী হিসাবে তিনি দেশের প্রথম শিল্প নীতি রচনা করেছিলেন। তিনি বলতেন – ‘যদি সরকার, দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলি সম্মিলিতভাবে শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যায়, তা হলে দেশ অদূর ভবিষ্যতেই অর্থনৈতিক স্বনির্ভর হয়ে উঠবে’।

 

শিক্ষা সংক্রান্ত নানা বিষয়, নারী ক্ষমতায়ন, দেশের পরমাণু নীতি ও লক্ষ্য স্থাপনে তিনি যে কাজ করেছেন, যেরকম ভাবনাচিন্তা করেছেন – তা তাঁর সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে। দেশের উন্নয়নে গণঅংশীদারিত্বের গুরুত্ব বুঝে তিনি যে পথ দেখিয়ে গেছেন, তা আজও ততটাই গুরুত্বপূর্ণ।

 

বন্ধুগণ, ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বলতেন, ‘প্রশাসনের প্রথম কর্তব্য নির্ধন, গৃহহীণ জনগণের সেবা এবং তাঁদের জীবনযাত্রার মানকে উন্নত করা’। সেজন্য তিনি শিল্প মন্ত্রী হওয়ার আগে যখন বাংলার অর্থমন্ত্রী ছিলেন, তখন ব্যাপকভাবে ভূমি সংস্কারের কাজ করেছিলেন। তিনি মনে করতেন যে, ‘ইংরেজদের পদ্ধতি মেনে সরকার চালালে চলবে না, জনগণের স্বপ্ন পূরণের জন্য উৎসর্গীকৃত হতে হবে’। ডঃ মুখার্জি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলতেন, ‘প্রত্যেক শিশুর জন্য প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষার পরিকাঠামো গঠনের মাধ্যমে তাদের প্রতিভা উন্মেষের উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলা হ’ল সরকারের প্রধান কাজ, যাতে আমাদের যুবক-যুবতীরা নিজেদের গ্রাম ও শহরকে উপযুক্ত সেবা করার জন্য যোগ্য হয়ে ওঠে’। ডঃ মুখার্জির জীবন বিদ্যা, বিত্ত ও বিকাশ – এই তিন মূলধন নিয়ে ভাবনাচিন্তার সঙ্গমসাধন করেছে।

 

আমাদের দেশের দুর্ভাগ্য যে, একটি পরিবারের মহিমা কীর্তন করতে গিয়ে দেশের অনেক মহাপুরুষ ও তাঁদের অবদানকে ইচ্ছাকৃতভাবে ছোট করে দেখানো হয়েছে, ভুলিয়ে দেবার চেষ্টা করা হয়েছে।

 

বন্ধুগণ, আজ কেন্দ্র হোক কিংবা দেশের যে যে রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার রয়েছে, আমরা ডঃ মুখার্জির দর্শনকে অনুসরণ করি। যুবকদের জন্য দক্ষ ভারত মিশন, স্টার্ট আপ প্রকল্প, স্বরোজগারের জন্য কোনও রকম গ্যারান্টি ছাড়া ব্যাঙ্ক ঋণের সুবিধাকারী মুদ্রা যোজনা কিংবা মেক ইন ইন্ডিয়া – এই সমস্ত কাজে আপনারা ডঃ মুখার্জির ভাবনার প্রতিফলন দেখতে পাবেন।

 

আপনাদের রাজগড় জেলাও এখন এই দৃষ্টি অনুসরণ করেই নিজেদের ‘পিছিয়ে পড়া’ পরিচয় ত্যাগ করতে চলেছে। সরকার একে উচ্চাভিলাষী জেলা হিসাবে উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ফলে, এখন আপনাদের জেলায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পুষ্টি, জলসংরক্ষণ, কৃষি ও পরিচ্ছন্নতার মতো ক্ষেত্রে দ্রুত করা হবে।

এই উচ্চাভিলাষী জেলাগুলির গ্রামে গ্রামে এখন রাষ্ট্রীয় গ্রাম স্বরাজ অভিযানের মাধ্যমে জরুরি পরিষেবা পৌঁছনোর কাজ চালু হয়েছে। সরকার এটা নিশ্চিত করতে চায় যে, আগামীদিনে এই জেলাগুলির প্রত্যেক গ্রামে, প্রতি পরিবারে উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে রান্নার গ্যাস সংযোগ, সৌভাগ্য যোজনার মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ, জন ধন যোজনার মাধ্যমে প্রত্যেক নাগরিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ইন্দ্রধনুষ যোজনার মাধ্যমে প্রত্যেক গর্ভবতী মহিলা ও শিশুর টিকাকরণ ও সকলের জন্য সুরক্ষা বিমার সুবিধা থাকবে।

 

বন্ধুগণ, এই কাজগুলি আগেও হতে পারতো কিন্তু দেশের দুর্ভাগ্য যে দীর্ঘকাল যে দল দেশ শাসন করেছে, তাঁরা আপনাদের পরিশ্রম ও সামর্থ্যের ওপর আস্থা রাখেননি। আপনারা বলুন বিগত চার বছরে কেন্দ্রীয় সরকার কি কখনও হতাশার কথা বলেছে? আমার চেষ্টার ত্রুটি রাখিনি। ফল যেমনই আসুক না কেন, আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে সংকল্প নিয়ে ভালো করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি এবং তা বাস্তবায়নের আপ্রাণ চেষ্টা করেছি।

 

ভাই ও বোনেরা, আমরা আশা ও বিশ্বাস নিয়ে দেশের প্রয়োজন বুঝে দেশের জনগণের ওপর আস্থা রেখে দেশকে একবিংশ শতাব্দীর নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

 

বিগত চার বছরে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিগত ১৩ বছর ধরে মধ্যপ্রদেশের গরিব, পিছিয়ে পড়া, শোষিত, বঞ্চিত ও কৃষকদের ক্ষমতায়নের কাজ করছে। গত পাঁচ বছরে মধ্যপ্রদেশে কৃষি বিকাশের হার বছরে ১৮ শতাংশ, যা দেশের মধ্যে সর্বাধিক। ডাল, তিল, ছোলা, সয়াবিন, টোমাটো ও রসুন উৎপাদনে মধ্যপ্রদেশ দেশের মধ্যে এক নম্বরে। গম, অড়হর, সর্ষে, আমলকি ও ধনে উৎপাদনেও দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

 

শিবরাজ চৌহানের নেতৃত্বে মধ্যপ্রদেশের উন্নয়ন নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আজ এখানে মোহনপুরা সেচ প্রকল্পের উদ্বোধন এবং তিনটি জল সরবরাহ প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়া এই উন্নয়নযজ্ঞের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৭২৫টি গ্রামের কৃষক ভাইবোনেরা সরাসরি লাভবান হবেন। আগামীদিন এই গ্রামগুলি ১ লক্ষ ২৫ হাজার হেক্টরেরও অধিক জমিতে সেচের সমস্যা দূর হবে আর ৪০০টি গ্রামে পানীয় জলের সমস্যা দূর হবে। জলকষ্ট যে কি, তা মা-বোনেরাই বেশি বোঝেন। এই প্রকল্পের সফল রূপায়ণে মা-বোনেরা সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন।

 

এই প্রকল্প শুধু দ্রুত উন্নয়নের উদাহরণ নয়, সরকারের কাজ করার পদ্ধতিরও প্রমাণস্বরূপ। মাত্র চার বছরের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এতে ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ উন্মুক্ত সেচের নালা নয়, পাইপ লাইন বিছিয়ে প্রত্যেকের জমিতে জল পৌঁছে দেওয়াকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

 

ভাই ও বোনেরা, এখানকার মালোয়ার অঞ্চলে একটি পুরনো প্রবাদ রয়েছে – ‘মালব ধরতি গগন গম্ভীর, ডগ ডগ রোটি, পগ পগ নীর’। অর্থাৎ, একটা সময় ছিল, যখন মালোয়ার মাটিতে ধান ও জলের অভাব ছিল না। কিন্তু পূর্ববর্তী সরকারগুলি যে পদ্ধতিতে কাজ করেছে, এই অঞ্চলে জলের সমস্যার পাশাপাশি, প্রবাদটিও সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়েছে। কিন্তু বিগত বছরগুলিতে শিবরাজ চৌহানের নেতৃত্বে বিজেপি সরকার মালোয়া তথা মধ্যপ্রদেশের পুরনো পরিচয় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছে।

 

বন্ধুগণ, ২০০৭ সালে মধ্যপ্রদেশে মাত্রা ৭.৫ লক্ষ হেক্টর জমিতে সেচের জল পৌঁছাতো। শিবরাজজি দায়িত্ব গ্রহণের পর, কঠিন পরিশ্রম করে ইতিমধ্যেই ৪০ লক্ষ হেক্টর জমিতে সেচের জল পৌঁছে দিয়েছেন। ২০২৪ সালের মধ্যে রাজ্য সরকার এই লক্ষকে দ্বিগুণ করে নিয়েছে। ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের বিস্তারের জন্য ইতিমধ্যেই ৭০ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।

 

আমি আপনাদের সকলকে আশ্বস্ত করতে চাই, যে লক্ষ্য রাজ্য সরকার স্থির করেছে তার চেয়েও বেশি সাফল্য আসবে এবং কেন্দ্রীয় সরকার আপনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে। প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই যোজনা থেকেও মধ্যপ্রদেশ সম্পূর্ণ সাহায্য পাচ্ছে। রাজ্যে এই যোজনার অন্তর্গত ১৪টি প্রকল্পের কাজ চালু রয়েছে। তাছাড়া, এই প্রকল্প বাবদ মধ্যপ্রদেশ সরকারকে প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ‘প্রতি বিন্দুতে অধিক শস্য’ মিশনকেও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

 

চার বছরের পরিশ্রমের ফলস্বরূপ সারা দেশে ক্ষুদ্র সেচের পরিধি ২৫ লক্ষ হেক্টর পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। এর মধ্যে দেড় লক্ষ হেক্টরেরও বেশি জমি এই মধ্যপ্রদেশে।

 

বন্ধুগণ, আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন যে, আধুনিক প্রযুক্তি এবং নমো অ্যাপের মাধ্যমে আমি সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সাফল্য যাচাই করতে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলছি। তিন দিন আগে আমি সারা দেশের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছি। সেই সময়ে এখানকার ঝাবুয়ার কৃষক ভাইবোনেদের সঙ্গেও কথা বলার সৌভাগ্য হয়েছে। এখানকার এক কৃষক বোন আমাকে বিস্তারিত জানিয়েছেন কিভাবে ড্রিপ সেচের মাধ্যমে তিনি টমেটো চাষে বিপুল সাফল্য পেয়েছেন।

 

বন্ধুগণ, নতুন ভারতের নতুন স্বপ্নে দেশের গ্রাম ও কৃষকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেজন্য নতুন ভারতে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্য পূরণের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। সেজন্য বীজ থেকে বাজার পর্যন্ত সমস্ত ক্ষেত্রে একের পর এক অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

 

বন্ধুগণ, বিগত চার বছরে দেশে প্রায় ১৪ কোটি মৃত্তিকা স্বাস্থ্য কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশের ১ কোটি ২৫ লক্ষ কৃষক রয়েছেন। তাঁরা সহজেই জানতে পারছেন যে, তাঁর কোন জমিতে কোন ফসলের ফলন ভালো হবে আর কি ধরণের সার প্রয়োগ করতে হবে। এভাবেই প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার মাধ্যমে মধ্যপ্রদেশের ২৫ লক্ষেরও বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন।

 

কৃষকদের ফসলের ন্যায্য মূল্য সুনিশ্চিত করতে দেশের বাজারগুলিকে অনলাইন বাজারে যুক্ত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৫৭৫টিরও বেশি বাজারকে ই-ন্যাম মঞ্চে যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশের ৭৮টি মাণ্ডিও রয়েছে। সেদিন আর দূরে যখন দেশের অধিকাংশ কৃষক সরাসরি গ্রামের কমন সার্ভিস সেন্টার কিংবা নিজের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দেশের যে কোনও পছন্দমতো বাজারে নিজের ফসল বিক্রি করতে পারবেন।

এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটিরও বেশি মা-বোনেদের রান্নাঘরে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস সংযোগ পৌঁছে গেছে। এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশের ৪০ লক্ষ মহিলা রয়েছেন।

 

বন্ধুগণ, বর্তমান সরকার শ্রমের সম্মান দিতে জানে। দেশে বেশি সংখ্যক কর্মসংস্থান প্রদানকারী শিল্পোদ্যোগী ও ব্যবসায়ীরা কিভাবে এগিয়ে যাবেন, কেন্দ্রীয় সরকার তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। শ্রমের প্রতি হাতে গোনা কিছু মানুষের ইতিবাচক মনোভাব না থাকলেও, আমাদের এই প্রচেষ্টার সাফল্য আজ সকলের সামনে। দেশে আজ মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে ছোট ছোট ব্যবসায়ী ও শিল্পদ্যোগীদের কোনরকম গ্যারান্টি ছাড়াই ঋণ দেওয়া হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশের ৮৫ লক্ষেরও বেশি ব্যবসায়ী এর দ্বারা উপকৃত হয়েছেন।

 

ভাই ও বোনেরা, দিল্লি ও ভোপালের উন্নয়নের এই ডবল ইঞ্জিন পূর্ণ শক্তি দিয়ে মধ্যপ্রদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

 

আমার মনে আছে, একটা সময় মধ্যপ্রদেশের পরিস্থিতি এমন ছিল যে, তাকে দেশের রুগ্ন রাজ্যের আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। রাজ্যে দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস সরকার এই শব্দে কেন অপমানিত বোধ করতেন না – তা ভেবে আমি অবাক হই। আসলে তাঁরা জনগণকে নিজেদের প্রজা ভাবতেন। তাঁরা চাইতেন যে, জনগণ সর্বদাই তাদের জয়জয়কার করুক।

 

রাজ্যকে সেই পরিস্থিতি থেকে তুলে এনে দেশের উন্নয়নের অন্যতম প্রধান অংশীদার করে তোলার কাজ ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার করেছে। শিবরাজ চৌহানকে আপনারা মুখ্যমন্ত্রীর পদ দিয়েছেন। কিন্তু তিনি একজন সেবকের মতো এই মহান রাজ্যের জনগণের সেবা করে যাচ্ছেন। আজ মধ্যপ্রদেশ সফলতার যে পথে এগিয়ে চলেছে, তার জন্য এই রাজ্যের জনগণ ও সরকারকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই।

 

আরেকবার আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি। এই সভায় বিপুল সংখ্যায় আসার জন্য আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমার সঙ্গে দু’হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করে জোরে বলুন –

 

ভারতমাতা কি – জয়

ভারতমাতা কি – জয়

ভারতমাতা কি – জয়

 

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...

Prime Minister Shri Narendra Modi paid homage today to Mahatma Gandhi at his statue in the historic Promenade Gardens in Georgetown, Guyana. He recalled Bapu’s eternal values of peace and non-violence which continue to guide humanity. The statue was installed in commemoration of Gandhiji’s 100th birth anniversary in 1969.

Prime Minister also paid floral tribute at the Arya Samaj monument located close by. This monument was unveiled in 2011 in commemoration of 100 years of the Arya Samaj movement in Guyana.