প্রধানমন্ত্রী মোদী দিল্লিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলিকে সহায়তা ও সুবিধা প্রদানে বিশেষ কর্মসূচির সূচনা করেন
অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে উন্নয়ন, বিস্তার ও সুবিধা প্রদানের জন্য ১২টি মূল উদ্যোগের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
এই ১২টি মূল উদ্যোগ ভারতের অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রের জন্য দীপাবলীর উপহার: প্রধানমন্ত্রী মোদী
১২টি মূল উদ্যোগের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী
অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে সহজে ঋণদানের জন্য ৫৯ মিনিটে ঋণদানের পোর্টাল
অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের কাছ থেকে কেন্দ্রীয় ও অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে বাধ্যতামূলকভাবে ২৫ শতাংশ ক্রয় করতে হবে
কোম্পানি আইনের আওতায় ছোটখাটো অপরাধের জন্য সহজ ব্যবস্থার অধ্যাদেশ

আমার মন্ত্রিসভার সহযোগী অরুণ জেটলি মহোদয়, গিরিরাজ সিংহ মহোদয়, শিবপ্রতাপ শুক্লা মহোদয়, পোন রাধাকৃষ্ণন মহোদয় ও অন্যান্য মাননীয় সহযোগীরা। ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্র ও অন্যান্য আর্থিক, বাণিজ্য ও শিল্প জগৎ থেকে আগত সকল মাননীয় ব্যক্তিবর্গ এবং সমগ্র দেশ থেকে আগত ক্ষুদ্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ।

 দেশের ক্ষুদ্র শিল্পের প্রয়োজনে সমর্পিত এই অনুষ্ঠানে আপনাদের সকলকে এবং দেশের অন্যান্য ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত শিল্পপতি বন্ধুদের হৃদয় থেকে স্বাগত জানাই, অভিনন্দন জানাই।

সবার আগে আপনাদের সবাইকে দীপাবলি এবং নতুন সম্বত বর্ষের অগ্রিম শুভেচ্ছা। আমরা জানি যে দীপাবলি এবং নতুন বছরের আমাদের দেশে কতটা গুরুত্ব। এই গুরুত্ব এখন বিশ্ববাসীও উপলব্ধি করতে শুরু করেছে। বিশেষ করে, আমাদের ব্যবসায়ী ভাই-বোনেরা এদিন এই আশা নিয়ে নতুন খাতা খোলেন যে দীপাবলির শুভ লগ্নে খাতা খুললে গোটা বছর ভালো কাটবে।

তাছাড়া, এই সময়েই আমাদের দেশে কৃষি এবং কৃষিজাত দ্রব্য বাজারে চলে যায়। এই সময়ে যে বিকি-কিনি হয় তা আগামী বছরের বাজারের প্রবৃদ্ধিও নির্ধারণ করে। সেজন্যই দীপাবলি এ দেশের জন্য এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যতটা বাজেটের সময় হয়। এই সময়ে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি আমাদের ভবিষ্যতে অনেক বড় প্রভাব ফেলে।

আজ এই বিশেষ আয়োজনে আপনাদের সামনে ক্ষুদ্র শিল্প সংক্রান্ত সরকারের ১২টি বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে বিস্তারিত জানাতে চাই। বিগত কয়েক সপ্তাহে ভারত সরকারের কয়েকটি মন্ত্রক মিলে এই সিদ্ধান্তগুলি নিয়েছে। এর জন্য বিগত কিছুদিন ধরে বেশ কিছু ফসলের ক্ষেত্রে ছোট স্তরে প্রয়োগ করে একটি ট্রায়াল রানের আয়োজন করা হয়েছিল। সমস্ত সমীক্ষার পর আজ দেশের জনগণের সামনে আমি এই ঐতিহাসিক ১২টি সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে চাই।

বন্ধুগণ, এই ১২টি সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে প্রচলিত স্বতন্ত্র সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরিবর্তে মিলিত সিদ্ধান্ত গ্রহণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

স্বতন্ত্র সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই গতিহীনতার শিকার হতে হয়। আর, আপনাদের সমস্ত স্বপ্ন ফাইল চাপা পড়ে থাকে। কিন্তু মিলিত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আধিকারিকরা নিজে ফাইল নিয়ে এগিয়ে এসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেন।

এই ১২টি সিদ্ধান্ত দেশের ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের জন্য একটি বড় দীপাবলির উপহার। এর মাধ্যমে দেশের ক্ষুদ্র শিল্প একটি নতুন যুগে পা রাখতে চলেছে।

ভাই ও বোনেরা, ভবিষ্যতের ছবি তুলে ধরার আগে আমি আপনাদের সামনে অতীত এবং বর্তমান নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই। এটা এজন্য প্রয়োজন কারণ যে অতীত আমাদের গৌরমের ভ্রমে আচ্ছন্ন করে রাখে, আর যে বর্তমান আমাদের উৎসাহ বর্ধন করে, তার উল্লেখ অবশ্যই করা উচিৎ।

বন্ধুগণ, এটা আমরা খুব ভালোভাবেই জানি যে, ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ আমাদের কোটি কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের উপায়। ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ আমাদের দেশের অর্থ ব্যবস্থায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ কৃষির পর কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সবচাইতে বড় ক্ষেত্র। কৃষি যদি ভারতের অর্থ ব্যবস্থার মেরুদণ্ড হয়, তাহলে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ হল এ দেশের অর্থ ব্যবস্থার শক্তিশালী পা যা দেশের প্রগতিকে ত্বরান্বিত করার কাজ করে।

হস্তশিল্প থেকে শুরু করে ওষুধ উৎপাদন, চাষের ক্ষেত থেকে শুরু করে খেলার মাঠ পর্যন্ত, বস্ত্র থেকে অস্ত্রশস্ত্র, উল থেকে শুরু করে শক্তি উৎপাদন – এরকম অনেক ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের অবদান অনস্বীকার্য।

·         কাঞ্চিপুরমের শাড়ি হোক কিংবা পানিপথের তাঁতশিল্প,

·         লুধিয়ানার হোসিয়ারি হোক কিংবা মুরাদাবাদের পিতল,

·         বেনারসের শাড়ি হোক কিংবা আলিগড়ের তালা,

·         জামশেদপুর এবং পুণের অটো শিল্প হোক, ভারুচের রাসায়নিক শিল্প হোক কিংবা কোয়েম্বাটোরের বিদ্যুৎচালিত পাম্প,

·         যোধপুর, কিষাণগড়ের হস্তশিল্প এবং পাথরের কাজ হোক কিংবা কটকের গহনা শিল্প,

·         মধুবনীর চিত্রশিল্প হোক কিংবা মেরঠের ক্রীড়া সরঞ্জাম শিল্প

 

পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণ – এগুলি আমাদের জন্য নিছকই শিল্পোদ্যোগ নয়, এগুলি আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের পরম্পরা, আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশেষ বিশেষ ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ অনেক শহরের পরিচয় গড়ে তুলেছে।

আমি যদি বলি যে, দেশের প্রত্যেক জেলার সঙ্গে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ একটি বিশেষ পরিচয় জুড়ে দিয়েছে তাহলে হয়তো অত্যুক্তি হবে না! সময়ের সঙ্গে এই ঐতিহ্য আমাদের ক্ষুদ্র শিল্পকে উন্নত করার মাধ্যমে দেশের অর্থব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করেছে।

বন্ধুগণ, আজ ভারত বিশ্ব অর্থনীতির আকাশে একটি উজ্জ্বল তারকা হয়ে উঠেছে। গোটা বিশ্বের নজর ভারতের দিকে, বিশ্বের বাণিজ্যিক আলোচনার কেন্দ্রে পৌঁছে যাওয়া এই নতুন ভারতে যে কোনও সংকল্পকে সাকার করার শক্তি এবং ১৩০ কোটি ভারতবাসীর আশা ও আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়িত করার সামর্থ্য রয়েছে।

ভারতকে এই উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার কৃতিত্ব, দেশকে নতুন প্রাণশক্তিতে তরতাজা করে তোলার কৃতিত্ব আমাদের ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের রয়েছে। আপনাদের পরিশ্রমের ফলেই আজ ভারত বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম একটি শক্তিকেন্দ্র হয়ে উঠেছে।

বিগত চার-সাড়ে চার বছরে ভারতে যেসব পরিবর্তন এসেছে আপনারাই তার সবচাইতে বড় অংশীদার। আপনারা আনুষ্ঠানিকতার লক্ষ্যে অনেক চেষ্টা করেছেন। ডিজিটাল লেনদেনে অভ্যস্ত হয়েছে, ই-কমার্সের মতো নতুন ব্যবস্থায় নিজেরা সামিল হয়েছেন, জিএসটি-র মতো দেশের এতবড় কর সংস্কার ব্যবস্থাকে আপন করে নিয়েছেন। আপনারা নিজেদের প্রজ্ঞা এবং সাহসের সঙ্গে বিশ্ব বাজারের মোকাবিলাও করছেন।

দেশে এই পরিবর্তনগুলির ফলেই আজ ভারত চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব প্রদানের মাধ্যমে নতুন যুগে প্রবেশ করতে চলেছে।আজ আমরা এক নতুন উদ্যমে নতুন যুগে প্রবেশ করতে চলেছি। দেশের ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ এই পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করার ফলেই এই সমস্ত কিছু সম্ভব হচ্ছে। আপনাদের এই সাহসকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য সরকারও আপনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

গত চার-সাড়ে চার বছরে দেশে অনেক সংস্কার এবং নতুন নতুন সিদ্ধান্তের ফলে আজ ভারতে ব্যবসা করা খুব সহজ হয়ে উঠেছে। দু’দিন আগেই বিশ্ব ব্যাঙ্ক যে ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’-এর র‍্যাঙ্কিং ঘোষণা করেছে, তাতে আমরা গত বছরের তুলনায় আরও ২৩ ধাপ এগিয়ে গিয়েছি। চার বছর আগে আমরা ১৪২তম স্থানে ছিলাম। বিগত চার বছরে আমরা ৬৫ ধাপ এগিয়ে এখন ৭৭তম স্থানে পৌঁছে গিয়েছি। আর যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অধিকাংশ রাজ্য সরকার তার প্রত্যেক বিভাগে একের পর এক নতুন নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে, আমার দৃঢ় বিশ্বাস এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০টি দেশের মধ্যে পৌঁছতে আমাদের আর বেশি দেরি লাগবে না।

‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’-এর ক্ষেত্রে প্রক্রিয়া যত সহজ হয়, এর দ্বারা ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলি সবচাইতে বেশি লাভবান হয়। নির্মাণের ক্ষেত্রে অনুমতি, বিদ্যুৎ সংযোগ ও অন্যান্য অনুমতির ক্ষেত্রে আমাদের ক্ষুদ্র শিল্পগুলি সবসময়ই অনেক সমস্যার সম্মুখীন হত। আমরা একদমই তৃণমূলস্তরে গিয়ে বিভিন্ন আইন সংস্কার করে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের পথ আরও সহজ করে তুলেছি।

তাছাড়া, বিগত চার-সাড়ে চার বছরে এক্ষেত্রে বিশেষ লক্ষ্য রেখে আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে যে ব্যাপক রদবদল করা হয়েছে তাও ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগকে নতুন শক্তি দিয়েছে।

বন্ধুগণ, ক্ষুদ্র শিল্পকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে কিছু উপাদান অত্যন্ত প্রয়োজন। আমি সেগুলিকে ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করেছি।

ক) মূলধনের যোগান, সহজ শর্তে ঋণদানের মাধ্যমে অর্থ প্রবাহ জারি রাখা,

খ) উৎপাদিত পণ্যের বাজার, ই-কমার্সের মতো মঞ্চে আপনাদের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি,

গ) প্রযুক্তির উন্নতি ঘটানো,

ঘ) সরকারি দখলদারি কম করে ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’কে নিশ্চিত করা এবং

ঙ) কর্মচারীদের নিরাপত্তা ভাবনা সুনিশ্চিত করা।

 এগুলি সম্পর্কে আমি আপনাদের বিস্তারিত বলতে চাই।

 প্রথম শ্রেণী ‘ক’-এর ক্ষেত্রে মূলধনের যোগান, সহজ শর্তে ঋণদানের মাধ্যমে অর্থ প্রবাহ জারি রাখতেই আপনাদের যেন ব্যাঙ্কের দরজায় বেশি না ঘুরতে হয় তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করা হচ্ছে। যে কোন ব্যবসার জন্য এটাই আপনাদের প্রাথমিক প্রয়োজনীয়তা। অনেক মানুষ নিজের পুঁজি সম্বল করে ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু ব্যবসা বিস্তারের ক্ষেত্রে ঋণ নিতেই হয়। এখন আপনাদের এই প্রয়োজন মেটাচ্ছে ব্যাঙ্কগুলি।

তৃণমূলস্তরে আপনাদের যাদের বার্ষিক লেনদেন ২০ লক্ষ থেকে ৫ কোটির মধ্যে রয়েছে, তাদের ঋণ পেতে খুব সমস্যা হত। ব্যালান্স শিটের আকার ছোট হওয়ার ফলে ব্যাঙ্কগুলি আপনাদের ঋণ দিতে দ্বিধাগ্রস্ত থাকত, দেরি করত এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঋণও দিত না। বিশেষ করে, যে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলিকে বৃহৎ শিল্পক্ষেত্রে তাদের উৎপাদিত পণ্য সরবরাহ করতে হয়, তাদেরও বড় কোম্পানিতে বিল গ্রহণ করা থেকে টাকা পাওয়া পর্যন্ত বিলম্ব আর্থিক সমস্যাকে আরও গভীর করে তুলত। এই বিলম্বের প্রত্যক্ষ প্রভাব আপনাদের আর্থিক লেনদেনকে সঙ্কটাপন্ন করে তুলত।

আপনাদের এই সমস্যা দূর করার জন্য আমি আজকের প্রথম ঘোষণা করছি, সেটি হল দেশে ৫৯ মিনিট লোন পোর্টাল চালু করা। অর্থাৎ, এখন সকালে বাড়ি থেকে অফিস পৌঁছতে আপনাদের যতটা সময় লাগবে কিংবা সন্ধ্যায় খাতা মেলাতে যতটা সময় লাগবে, সেই সময়ের মধ্যেই আপনাদের ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তগত মঞ্জুরি পাবেন।

বন্ধুগণ, কিছুদিন আগে জেটলিজির নির্দেশে একটি প্রচেষ্টার সূত্রপাত হয়েছে। তখন আমি আধিকারিকদের বলি যে আপনারা ট্রায়াল হিসেবে শুরু করছেন বটে, কিন্তু আমি আপনাদের যে লক্ষ্য দেব সেই লক্ষ্য পূরণ করতে পারবেন?

ভাই ও বোনেরা, এ বছর ভারতের স্বাধীনতার ৭২ বছর পূর্তি হল। আমি তাদের বলেছিলাম, যে যেদিন আপনারা এই পোর্টাল সারা দেশের জন্য জারি করবেন, সেদিনের মধ্যে কি আপনারা ৭২ হাজার ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগপতিদের ঋণ মঞ্জুর করতে পারবেন?

বন্ধুগণ, এই মুহূর্তে যখন আমি আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি, আপনাদের সামনে ঐ যে কাউন্টার দেখতে পাচ্ছেন, সেখানে যে ঘড়িটা দেখতে পাচ্ছেন, তার সংখ্যার দিকে তাকিয়ে দেখুন। কত ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগপতিদের এই পোর্টালের মাধ্যমে ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে কিংবা পুনর্নবীকরণ করা হয়েছে তার সংখ্যা এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন কিভাবে লাগাতার এই সংখ্যা পরিবর্তন হচ্ছে।

তার মানে দূরে কোথাও দেশের যে কোন প্রান্তে আপনাদের ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগপতি ভাই কিংবা বোনের জন্য মাত্র ৫৯ মিনিটে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ মঞ্জুর হচ্ছে। ভাবুন, মাত্র ৫৯ মিনিট! আমি ইচ্ছে করেই তাদেরকে এক ঘন্টা সময় দিইনি। কারণ, এক থেকে দুই আর দুই থেকে তিন হতে সময় লাগে না। সেজন্য আমি এই ৫৯ মিনিটের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করেছি। 

ভাই ও বোনেরা, এই কাজ পূর্ববর্তী কোনও সরকারও করতে পারতো! কিন্তু এ ধরণের কাজের জন্য সদিচ্ছা ও সততা থাকতে হয়। ‘ন্যূনতম সরকার, অধিকতম প্রশাসন’-এর মূলমন্ত্র নিয়ে এগিয়ে চলা আমাদের সরকার, প্রত্যেক পদক্ষেপে আপনাদের আইনের বেড়াজাল থেকে মুক্তি প্রদানের কাজ করছে।

আমার মনে আছে যে যখন আমি পোর্টাল নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছিলাম, তখন তাঁদের বলেছিলাম যে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের বার্ষিক লেনদেনের তথ্য আপনাদের কাছে জমা পড়া জিএসটি রিটার্ন এবং আয়কর রিটার্নের মাধ্যমে পেয়ে যান, তাহলে এগুলি বিশ্লেষণের মাধ্যমে তাদেরকে ব্যাঙ্ক ঋণ কেন দেওয়া যাবে না? আমি এটাও বলেছিলাম যে এই পরিষেবা যাতে অধিকাংশ শিল্পপতি পেতে পারেন, সেজন্য এর সঙ্গে আমাদের ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের আর্থিক লেনদেনের সংযোগ রয়েছে তেমন পোর্টালের লিঙ্ক থাকা উচিৎ। যেমন জিএসটি পোর্টাল।

এই পোর্টালের সঙ্গে যে সৎ করদাতারা যুক্ত হবেন, তাঁদের ঋণ পেতে সমস্যা হবে কেন? সেজন্যই আপনারা যখনই জিএসটি পোর্টালে নিজেদের রিটার্ন ফাইল করবেন, তখনও আপনারা এই পরিষেবা পাবেন। আপনি যখনই এই পোর্টালে যাবেন আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হবে যে আপনি কি ঋণ চান? যদি আপনি হ্যাঁ বলেন, তাহলে ৫৯ মিনিট লোন পোর্টাল-এর পরিষেবা আপনি পাবেন।

বন্ধুগণ, আমরা চাই সরকার যেন জিএসটি-র সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক শিল্পপতি, প্রত্যেক ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগপতিদের দরজায় সরকারি পরিষেবা পৌঁছয়। আজ আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে এই সমস্ত সুবিধাসম্পন্ন ৫৯ মিনিট লোন পোর্টাল আপনাদের সমর্পণ করছি এবং আজ থেকে এ দেশের প্রত্যেক ক্ষেত্রের ক্ষুদ্র শিল্পপতিরা এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন। এই নতুন ভারতে বারবার ব্যাঙ্কে যাওয়ার প্রক্রিয়া সমাপ্ত করতে চাই।

বন্ধুগণ, এখন আমি দ্বিতীয় ঘোষণায় আসছি। এখন আপনারা ৫৯ মিনিটের মধ্যে ঋণপ্রাপ্তির সিদ্ধান্তগত মঞ্জুরি পেলেন। কিন্তু সুদের হার কত হবে এটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন আমি যে কথা বলতে যাচ্ছি সেটা মনযোগ দিয়ে শুনুন।

ভাই ও বোনেরা, এটা নিশ্চিত যে জিএসটি নিবন্ধীকৃত প্রত্যেক ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগপতি ১ কোটি টাকা পর্যন্ত নতুন ঋণ কিংবা ইনক্রিমেন্টাল ঋণ নিলে সুদের ক্ষেত্রে ২ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে

আমি একটু আগেই আপনাদের সততা প্রতিষ্ঠার কথা বলেছি, এটি তারই বিস্তার। এখন জিএসটি-র সঙ্গে যুক্ত হওয়া এবং কর প্রদান আপনাদের শক্তির কারণ হয়ে উঠবে, আপনারা এর মাধ্যমে ২ শতাংশ সুদে ছাড় পাবেন।

শুধু তাই নয়, রপ্তানিকারকদের জন্যও দীপাবলির উপহার রয়েছে। রপ্তানিকারকদের পণ্য ছাড়ার আগে থেকে পণ্য পাঠানোর পরবর্তী সময়ের মধ্যে যে ঋণ প্রদান করা হয়, তার সুদ ছাড়ের হারও সরকার ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে

ভাই ও বোনেরা, দেশে রপ্তানী ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের বড় অবদান রয়েছে। দেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৪০ শতাংশ আপনারাই করে থাকেন। সেজন্য ভারতের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক সম্পর্ক দ্বারা যাতে আপনাদের মতো ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগপতি রপ্তানিকারকরা উপকৃত হন, সেকথা মাথায় রেখে এই সুদের হারে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আমার আশা, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের রপ্তানিকারকদের অংশীদারিত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে।

বন্ধুগণ, এতক্ষণ পর্যন্ত যে দুটি ঘোষণা করেছি তার মাধ্যমে ঋণ পাওয়া সহজ হবে, ব্যাঙ্কে কম যেতে হবে এবং সুদের হার হ্রাস পাবে। কিন্তু আমি চাই, যেসব কারণে আপনাদের সাধারণত ঋণ নিতে হয়, সেসব সমস্যা নিরসন করতে।

আমি জানি যে, ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলি বড় কোম্পানিগুলিকে তাদের উৎপাদিত পণ্য সরবরাহ করে। কিন্তু সেই কোম্পানিগুলি থেকে উৎপাদিত পণ্যের মূল্য পেতে তাদের অনেক মাস অপেক্ষা করতে হয়। সেক্ষেত্রে আপনাদের ব্যবসা চালু রাখতে ঋণ নিতে হয়।

আমার আজকের তৃতীয় ঘোষণা এই সমস্যা সমাধান সম্পর্কিত। যে কোম্পানিগুলির বার্ষিক লেনদেন ৫০০ কোটি টাকার বেশি, তাদেরকে এখন ‘ট্রেড রিসিভেবল্‌স ই-ডিসকাউন্টিং সিস্টেম’ কিংবা ‘ট্রেড্‌স’ প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে যাতে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলির সরবরাহ করা পণ্যের মূল্য পেতে সমস্যা না হয়।

আপনারা অনেকেই জানেন, এই ‘ট্রেড্‌স’ এমনই একটি মঞ্চ, যেখানে কিছু ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ রয়েছে আর কিছু সরকারি পিএসইউ রয়েছে, ব্যাঙ্কও রয়েছে আর ক্ষুদ্র শিল্পজাত পণ্য যেসব বড় কোম্পানিতে সরবরাহ করা হয়, সেরকম কিছু কোম্পানিও রয়েছে।

এখন সরকার, এই মঞ্চকে আরও সম্মানিত ও বিকশিত করতে চায়। সরকারি সমস্ত পিএসইউ-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তারা নিজেদের অধীন সমস্ত বিভাগকে ‘ট্রেড্‌স’-এর অন্তর্গত করে।

এখন আমি আপনাদের বলব যে এই ৫০০ কোটি টাকারও বেশি লেনদেনকারী কোম্পানিগুলি ‘ট্রেড্‌স’-এর সাথে যুক্ত হলে কিভাবে উপকৃত হবে। মনে করুন কোন বড় কোম্পানি কোন ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ থেকে ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের পণ্য কিনেছে। সেই ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগপতির কাছে সাপ্লাই অর্ডারের কনফার্মড রিসিট আছে আর তিনি যথারীতি পণ্য সরবরাহ করেছেন। এক্ষেত্রে কোন কারণে তার টাকা দীর্ঘ সময়ের জন্য আটকে গেলে ‘ট্রেড্‌স’ সেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে সাহায্য করবে।

কোন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর জন্য ১০ লক্ষ টাকা অনেক বড় অর্থ। তাঁরা ‘ট্রেড্‌স’ প্ল্যাটফর্মে ঐ বড় কোম্পানি থেকে পাওয়া পণ্য সরবরাহের কনফার্মড রিসিট আপলোড করলে, দু-তিন মাসের মধ্যে ঐ বড় কোম্পানি থেকে অর্থ পাবেই।

বড় কোম্পানির কনফার্মড রিসিট থাকলে, ব্যাঙ্কও সেই বিলের ভিত্তিতে যথোচিত অর্থ প্রদান করবে। পরবর্তী সময়ে যখন কোম্পানি থেকে টাকা আসবে, তখন ব্যাঙ্ক সেই টাকা নিয়ে নেবে। এভাবে ব্যবসা চলতে থাকবে।

বন্ধুগণ, এর মাধ্যমে সবচাইতে বড় লাভ হবে, আপনার যে টাকা এই ব্যবস্থায় খাটছে, সেই টাকা কখনও কোথাও আটকাবে না। আজ এই ঘোষণার পাশাপাশি আমি বড় কোম্পানিগুলিকেও অনুরোধ করব যে আপনারা ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ থেকে সরবরাহ করা পণ্যের বিল দ্রুত মঞ্জুর করুন যাতে তাদের টাকা পেতে দেরি না হয়।

ভাই ও বোনেরা, তারপরও যদি আপনাদের টাকা পেতে দেরি হয় সেজন্য বিকল্প তৈরি আছে। ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ মন্ত্রকের ‘সমাধান’ পোর্টালে ক্ষুদ্র শিল্পপতিরা নিজেদের অভিযোগ জানাতে পারবেন। এর সমাধান নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সরকারি উদ্যোগে করা হবে। সরকার ঐ টাকা দ্রুত দিয়ে দেওয়ার জন্য বড় কোম্পানিগুলিকে প্রেরণা দেবে।

বন্ধুগণ, আপনারা যাতে দ্রুত ঋণ পান, সেই ঋণে যাতে সুদ কম থাকে, ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের রপ্তানিকারকরাও যাতে সুদে ছাড় পায়, টাকার চক্র যাতে চালু থাকে – এইসব কিছুকেই আমাদের সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। আমার প্রথম তিনটি ঘোষণা এই লক্ষ্যে।

এখন আমি ‘খ’ শ্রেণীর কথা বলব। সেটি হল দেশের ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ ক্ষেত্রের জন্য নতুন বাজার গড়ে তোলা। এই লক্ষ্যে সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। তার মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আজ আমি ঘোষণা করতে চলেছি।

ভাই ও বোনেরা, গত বছরে সরকারি কোম্পানিগুলি তাদের প্রয়োজন মাফিক প্রায় ১ লক্ষ ১৪ হাজার কোটি টাকার পণ্য বিভিন্ন ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ থেকে কিনেছে। এতদিন পর্যন্ত যে নিয়ম ছিল সেই অনুযায়ী সরকারি কোম্পানিগুলিকে তাদের ২০ শতাংশ কেনাকাটা ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ থেকে করতে হত।

আমার আজকের চতুর্থ ঘোষণা এই কেনাকাটা সংক্রান্ত। আমরা ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ থেকে সরকারি সংস্থাগুলির ক্রয়ের পরিমাণ বাধ্যতামূলকভাবে ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করছি।

এই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমার আজকের গুরুত্বপূর্ণ পঞ্চম ঘোষণা মহিলা উদ্যোগপতিদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট। সরকারি কোম্পানিগুলির মোট কেনাকাটার ৩ শতাংশ মহিলা উদ্যোগপতিদের দ্বারা পরিচালিত ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ থেকেই করতে হবে।

আমি মনে করি, আজকের এই সিদ্ধান্ত দেশের মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং উইমেন আন্ত্রেপ্রেনিউরশিপকে আরও শক্তিশালী করবে।

বন্ধুগণ, ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ উৎপাদিত পণ্যের বাজার সুনিশ্চিত করার জন্য সরকার ই-মার্কেট প্লেস বা ‘জেম’ গড়ে তুলেছে এখন থেকে দু-আড়াই বছর আগেই। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল, কেনাকাটায় স্বচ্ছতা আনা। গত দু-আড়াই বছরে দেশের ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলি এই স্বচ্ছতার ফলে অত্যন্ত উপকৃত হচ্ছে। আমার আজও মনে পড়ে তামিলনাড়ুর সেই মহিলার কথা যিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি ছোট থার্মাস বিক্রি করেছিলেন আর যথাসময়ে টাকা পেয়ে গিয়েছিলেন। এরকম অসংখ্য ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগপতিদের এই পোর্টাল নতুন সুযোগ দিয়েছে, তাঁদের জীবনে নতুন প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে। না হলে আগে কি কেউ ভাবত পারতো যে বড় বড় সরবরাহ কোম্পানিগুলিকে টপকে তারা কখনও সরকারি দপ্তরগুলিতে পণ্য সরবরাহ করতে পারবে? কখনই না। কিন্তু এইসব কিছু সম্ভব হয়েছে ‘জেম’ পোর্টালের মাধ্যমে।

বন্ধুগণ, ইতিমধ্যেই এই ‘জেম’-এর সঙ্গে যে দেড় লক্ষেরও বেশি সরবরাহকারী যুক্ত হয়েছেন, তার মধ্যে রয়েছে ৪০হাজার ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ। এর মাধ্যমে ইতিমধ্যে ৯ লক্ষ অর্ডার দেওয়া হয়েছে আর প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্যসম্পন্ন হয়েছে।

আপনারা ভাবুন, কোনো দালালকে কমিশন না দিয়েই শিল্পপতিরা এই সাহায্য পেয়েছেন।

ভাই ও বোনেরা, এই ‘জেম’ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সিদ্ধান্তটি আপনাদের জন্য দীপাবলির উপহার রূপে আমার ষষ্ঠ ঘোষণা

বন্ধুগণ, এখন কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন সমস্ত কোম্পানি ‘জেম’-এর সদস্য হওয়া আবশ্যক করা হয়েছে। আর, আপনারা যারা এই মঞ্চে ‘ভেন্ডার্স এমএসএমই’ রূপে নিজেদের নিবন্ধীকৃত করেছেন, তারাই বেশি উপকৃত হবেন। এই সিদ্ধান্ত আজ আরও বিস্তারিত হতে যাচ্ছে। নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে ‘জেম’-এর মতোই ই-কমার্স এবং অনলাইন মার্কেটিং-এর মাধ্যমে আপনাদের উৎপাদিত পণ্য যত বিক্রি হবে, তার জন্য উৎকর্ষ শংসাপত্র গ্রহণ আবশ্যক করা হয়েছে। এই শংসায়নের মাধ্যমে আপনারা যাতে উপকৃত হতে পারেন সেজন্য সরকার বিভিন্ন সার্টিফিকেশন এজেন্সির সঙ্গে মিলে কাজ করছে।

এগ্রিগেটরের এই মডেল আমরা ক্ষুদ্র শিল্পগুলিকে বেসরকারি ক্ষেত্রে অন্যান্য কোম্পানিগুলির সঙ্গেও যুক্ত করার ক্ষেত্রে চালু করেছি।

বন্ধুগণ, এখন আমি ‘গ’ শ্রেণীর দিকে এগবো। মূলধন এবং বাজার ছাড়া আমাদের ক্ষুদ্র শিল্পপতিদের সামনে আরেকটি বড় সমস্যা হল প্রযুক্তি উন্নয়ন। আমাদের অনেক ক্ষুদ্র শিল্প যথাসময়ে আধুনিক প্রযুক্তি দ্বারা উপকৃত হওয়ার সুযোগ পায় না।

দেশে এখন যত টুলরুম বা কারিগরীকেন্দ্র রয়েছে, সেগুলি আপনাদের পণ্যের নকশা তৈরি করতে এবং সংস্কার করতে সাহায্য করছে। এই টুলরুমগুলিতে আপনারা এমন উন্নত প্রযুক্তির পণ্য তৈরি করতে পারেন যেগুলির মেশিন আপনাদের কাছে নেই।

সরকার বিগত চার বছরে এই টুলরুমগুলির সুযোগ-সুবিধা উন্নত করার কাজ করেছে। এই টুলরুমগুলির মাধ্যমে বিগত সরকারের শেষ চার বছরে সারা দেশে যেখানে ৩ লক্ষ মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল, সেখানে আমাদের সরকার প্রায় দ্বিগুণ, ৬ লক্ষ মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ করেছে।

আমার আজকের সপ্তম ঘোষণা এই প্রযুক্তি উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত।

ভাই ও বোনেরা, সরকার সারা দেশে এই টুলরুম ব্যবস্থা আরও বিস্তারিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর জন্য সারা দেশে ২০টি হাব গড়ে তোলা হবে। আর টুলরুমের মতো সারা দেশে ১০০টি স্পোক স্থাপন করা হবে। আমি আজ এই গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য ৬ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করছি।

এর মাধ্যমে উন্নত নকশা থেকে শুরু করে উৎকর্ষ, প্রশিক্ষণ এবং সর্বক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের উপদেশ গ্রহণের মাধ্যমে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলি অত্যন্ত লাভবান হবে।

ভাই ও বোনেরা, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পর এখন আমি ‘ঘ’ শ্রেণীর দিকে এগিয়ে যাব। সেটি হল ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’।

আপনাদের মধ্যে অনেকেই ওষধি উৎপাদনের কাজ করেন। সেগুলি রপ্তানিও করেন। আমাদের যে ছোট ছোট কোম্পানিগুলি গুরুত্বপূর্ণ জীবনদায়ী ওষুধ উৎপাদন করে, সেই কোম্পানিগুলিতে যে মেধাবী কেমিস্টরা রয়েছেন, তাঁদের উৎপাদিত ওষুধ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বড় কোম্পানিগুলির মাধ্যমে বিক্রি করতে হয়।

আমার আজকের অষ্টম ঘোষণা এই ওষুধ কোম্পানিগুলির স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট। ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি ওষুধ কোম্পানিগুলির ব্যবসা সহজ করতে তাদের উৎপাদিত পণ্য যাতে সরাসরি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছতে পারে, তা সুনিশ্চিত করতে তাদের ক্লাস্টার গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ আমি এই ক্লাস্টার গড়ে তুলতে ৭০ শতাংশ খরচ কেন্দ্রীয় সরকারের বহনের কথা ঘোষণা করছি। সরকারের এই সিদ্ধান্ত ওষুধ উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

বন্ধুগণ, আপনারা হয়তো অনুভব করেছেন যে আমি যখন থেকে বলা শুরু করেছি, অনেকবার প্রযুক্তি, জিএসটি, অনলাইন পোর্টাল, ফর্মালাইজেশন, ট্রেড, জেম, পোর্টাল – এরকম অনেক শব্দ ব্যবহার করেছি। আসলে এই সমস্ত ব্যবস্থা আপনাদের নানা ঢিমেতেতাল প্রক্রিয়ার জাল থেকে মুক্তি প্রদানের ব্যবস্থা।

জিএসটি দেশের অর্থ ব্যবস্থাকে সুসংগঠিত করেছে, সুনিয়ন্ত্রিত করেছে। এর মাধ্যমে ব্যবসায় আধুনিক প্রযুক্তিকে ‘বিগ ডেটা অ্যানালিটিক্স’-এর সঙ্গে যুক্ত করা সহজ হয়ে উঠেছে। এই তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ আরও সহজ হবে। আপনাদের দরজায় পরিষেবা পৌঁছতে আরও সহায়ক হবে।

আমি মনে করি যে এই সিদ্ধান্ত নতুন ভারতের নতুন ব্যবসার আবহ গড়ে তোলার ভিত্তি হয়ে উঠবে এবং সততাকে উৎসাহ প্রদান করবে।

বন্ধুগণ, ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ স্থাপন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকারি প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে আমি আজকের নবম ঘোষণা করতে যাচ্ছি। আপনাদের যাতে ন্যূনতম ফর্ম এবং রিটার্ন ভরতে হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আটটি শ্রম আইন এবং দশটি কেন্দ্রীয় নিয়মের মাধ্যমে এখন থেকে আপনাদের বছরে দু’বারের বদলে মাত্র একবার রিটার্ন জমা দিতে হবে।

সরকার, ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ করে তুলতে হিউম্যান ইন্টারভেনশন কমানোকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। আয়কর সম্পর্কে বলতে গিয়ে একটু আগেই অরুণজি একথা উল্লেখ করেছেন। আমার দশম ঘোষণার বিষয়ও এটাই।

অনাবশ্যক যাচাই থেকে মুক্তি প্রদানের জন্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এখন থেকে ইন্সপেক্টররা কবে কোন কোম্পানিতে যাবেন, তার সিদ্ধান্ত একটি কম্পিউটারচালিত র‍্যান্ডম অ্যালটমেন্ট-এর মাধ্যমে হবে। আর তাঁদের সফর বৃত্তান্ত ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পোর্টালে আপলোড করতে হবে। তাঁরা নিজেদের ইচ্ছামতো যে কোন কোম্পানিতে যেতে পারবেন না।

ভাই ও বোনেরা, ক্ষুদ্র শিল্পকে ইন্সপেক্টর রাজ থেকে মুক্তি প্রদানের জন্য এই সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হবে। সরকার আপনাদের বিশ্বাস করে। দেশের প্রত্যেক নাগরিককে বিশ্বাস করে। সেজন্য বিগত চার বছরে অনেক জায়গায় এফিডেভিট জমা করার প্রথা এবং সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কয়েকটি শ্রেণীতে ইন্টারভিউ প্রথা রদ করে স্ব-শংসায়ন চালু করা হয়েছে।

আজ আমি ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য পরিবেশ সংক্রান্ত আইনে একটি বড় সংস্কারের ঘোষণা করতে যাচ্ছি। এটি হল আপনাদের জন্য আমার ১১তম দীপাবলির উপহার, আমার একাদশ ঘোষণা। এই ঘোষণা পরিবেশ সংক্রান্ত ক্লিয়ারেন্সের প্রক্রিয়াকে সরল করবে এবং স্ব- শংসায়ন কে উৎসাহ জোগাবে।

বন্ধুগণ, আপনারা সবাই জানেন যে, এতদিন পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্রের ক্ষেত্রে অনুমতি পেতে দুটি স্তর পার করতে হত। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে বায়ু প্রদুষণ এবং জল প্রদুষণ আইনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের জন্য এখন থেকে এই দুটোকে মিলিয়ে একটাই অনুমতি নিতে হবে। তার সঙ্গে সরকার আপনাদের স্ব-শংসায়ন রিটার্ন মঞ্জুর করবে। শ্রম বিভাগের মতোই পরিবেশের ক্ষেত্রেও নিয়মিত নজরদারি সমাপ্ত হবে এবং ১০ শতাংশ ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগরই নজরদারি হবে।

সরকার এই সিদ্ধান্তও নিয়েছে যে, সবুজ এবং সাদা শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। টুলরুম থেকে শুরু করে স্ব-শংসায়ন, আপনারা গোড়াতেই লালকেল্লার প্রাকার থেকে আমার বক্তব্য শুনেছেন। আমি ‘জিরো ডিফেক্ট, জিরো এফেক্ট’ উৎপাদন এবং বাজারজাত করাতে জোর দিয়েছি। আপনারাও উৎপাদনের ক্ষেত্রে পরিবেশের ওপর কোনরকম কুপ্রভাব যাতে না পড়ে, সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।

সরকার সাধারণ মানুষকে বিশ্বাস করে, সকল ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগপতিদের বিশ্বাস করার ফলে যেভাবে দেশে গণ-অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে, তার পরিণামস্বরূপ দেশে অরণ্য এলাকা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বন্ধুগণ, সরকার ব্যবসা ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়া সরল করতে সর্বদা সচেষ্ট। গতকালই এই লক্ষ্যে আরেকটি বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সিদ্ধান্তটি আমার আজকের দ্বাদশতম ঘোষণা। সরকার, কোম্পানি আইনে একটি বড় পরিবর্তন এনে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলিকে আইনি জটিলতা থেকে স্বস্তি দিয়েছে।

ভাই ও বোনেরা, কোম্পানি আইন অনুসারে এতদিন ছোট ছোট ভুলের জন্য বা অনিচ্ছাকৃত উল্লঙ্ঘনের জন্য আপনাদের অপরাধী সাব্যস্ত করা হত। অনেক ব্যবসায়িকে জেলেও যেতে হয়েছে। আর প্রায় প্রত্যেককেই আদালতে নিজেদের মূল্যবান সময় নষ্ট করতে হয়েছে। আপনাদের এই মূল্যবান সময় এবং অর্থ যাতে নষ্ট না হয় আর মান-সম্মান বজায় থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে সরকার একটি অধ্যাদেশ জারি করেছে। এখন থেকে আর ছোট ছোট ভুলের জন্য আপনাদের আদালতে যেতে হবে না। সংশ্লিষ্ট বিভাগে গিয়ে কিছু সহজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজেদের ভুল শুধরাতে পারবেন।

ফলস্বরূপ, ৬০ শতাংশেরও বেশি মামলা যেগুলি বিশেষ আদালতে চলছে সেগুলির সহজ সমাধান হয়ে যাবে। আমাকে বলা হয়েছে যে সারা দেশে এরকম মামলার সংখ্যা কয়েক লক্ষ। সেজন্য এগুলি ন্যাশনাল কোম্পানি ল’ ট্রাইব্যুনালের (এনসিএলটি) ক্ষেত্রীয় নির্দেশকদের অধিকারে চলে যাবে। এক্ষেত্রে মামলাগুলির নিষ্পত্তি ত্বরান্বিত হবে।

ভাই ও বোনেরা, সরকার ক্ষুদ্র শিল্প এবং একজনের মালিকানাধীন কোম্পানির ক্ষেত্রে আরও কিছু ছাড় দিয়েছে। অনেক বিষয়ে আগে যত জরিমানা দিতে হত, তা এখন অর্ধেক করে দেওয়া হয়েছে।

বন্ধুগণ, এখন আমি ‘ঙ’ শ্রেণীর দিকে এগবো। সরকারের এই বড় সিদ্ধান্ত এবং প্রচেষ্টার মাঝে আমাদের এটাও খেয়াল রাখতে হবে যে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ পরিচালনা করার সময় আমাদের শ্রমিক ও কারিগরদের সামাজিক সুরক্ষা সুরক্ষিত করতে হবে।

সেজন্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, সারা দেশে অভিযান চালিয়ে এক্ষেত্রে কর্মরত কারিগরদের সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পগুলির সঙ্গে যুক্ত করা হবে। সরকার এটা সুনিশ্চিত করবে যাতে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলিতে কর্মরত শ্রমিকদের প্রত্যেকের জন ধন অ্যাকাউন্ট থাকে। তাঁরা প্রত্যেকেই ‘প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা’ এবং ‘প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা’য় নিবন্ধীকৃত থাকেন। কোম্পানি বড় হলে তাঁরা কর্মচারী ভবিষ্যনিধি তহবিল এবং ইএসআই-এর পরিষেবাও যাতে পান, তা সুনিশ্চিত করা হবে। এভাবে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের মাধ্যমে যাঁদের কর্মসংস্থান হবে তাঁরা যাতে প্রধানমন্ত্রী রোজগার প্রোৎসাহন যোজনা দ্বারা উপকৃত হন, সেটাও সুনিশ্চিত করা হবে।

বন্ধুগণ, বিশ্বায়নের যুগে এই ১২টি সিদ্ধান্ত ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলিকে সুদৃঢ়করণের মাধ্যমে একটি নতুন অধ্যায় রচনা করবে।

মাত্র ৫৯ মিনিটে ঋণ পাওয়া, জিএসটি পোর্টালের মাধ্যমে ঋণ নিলে সুদে ছাড়, সস্তা ‘এক্সপোর্ট ক্রেডিট’ ট্রেডের মাধ্যমে সমস্ত সরকারি কোম্পানিগুলির ৫০০ কোটিরও বেশি বার্ষিক লেনদেনকারী বড় কোম্পানিগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা। সরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ থেকে ২৫ শতাংশ কেনাকাটা মহিলা ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগপতিদের থেকে কমপক্ষে ৩ শতাংশ কেনাকাটার নিশ্চয়তা ‘জেম’-এ সমস্ত সরকারি কোম্পানিগুলির নথিভুক্তিকরণ, প্রযুক্তি উন্নয়নের জন্য সারা দেশে ২০টি হাব এবং ১০০টি স্পোক, দেশে ওষধ ক্লাস্টার্স গড়ে তোলা, শ্রম আইনে পরিবর্তন, রিটার্ন প্রক্রিয়া সহজ করা, ৪৮ ঘন্টায় তদারকির রিপোর্ট, পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়া সরলীকরণ এবং কোম্পানি আইনে বড় রদবদল – এই সমস্ত সিদ্ধান্ত ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করবে, নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে।

রাষ্ট্র নির্মাণের এই মহাযজ্ঞে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের কর্মচারীরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। এই সিদ্ধান্তগুলির মাধ্যমে আপনাদের প্রচেষ্টা সুফলদায়ী হবে। সারা দেশের ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলি উপকৃত হবে।

বন্ধুগণ, আমার টিম যখন এই সমস্ত দায়িত্ব পালন করবে, এত পরিশ্রম করবে, তখন আমারও কিছু পরিশ্রমের মাধ্যমে এক্ষেত্রে অবদান রাখার ইচ্ছে জাগে। সেজন্য আমি নিজে ১০০টি জেলায় যেখানে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের সঙ্গে একটি ঐতিহ্য যুক্ত রয়েছে, সেখানে নিজে সমীক্ষায় যাব। যে টিম তৃণমূলস্তরে কাজ করছে, তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আগামী ১০০ দিন আমার ব্যক্তিগত তদারকিতে কাজ হবে।

বন্ধুগণ, ভারতে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ, আপনারা সবাই বাস্তবে স্বপ্নের ভারত গড়ে তুলতে, উচ্চাকাঙ্ক্ষী ভারত গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। আপনাদের পরিশ্রমের ফল নিজের চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছেন। এই ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের বীজ ভবিষ্যতে বড় শিল্প হয়ে ওঠে এবং আপনাদের নতুন শিল্প যে আনন্দ দেয়, আপনারা তাকে লালন করেন।

ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ সরকারের সেই ভাবনার প্রতীক যার মূলে রয়েছে কর্মসংস্থান। তার মূলে রয়েছে দেশের নবীন প্রজন্মকেকর্মপ্রার্থী না করে কর্মদাতা করে গড়ে তুলতে। আপনারা এখন নিছকই শিল্পপতি নন, আপনারা নতুন ভারতের গুরুত্বপূর্ণ নির্মাতাদের অন্যতম

আশা করি এই অভিযান ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য লাভদায়ক হবে। আর এই সিদ্ধান্তগুলি দ্বারা দেশের ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলি লাভবান হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলি ভবিষ্যতে দেশের শিল্প বিপ্লবকে একটি নতুন রূপ, নতুন মাত্রা প্রদান করবে ও প্রযুক্তিচালিত স্বচ্ছ ব্যবসার ভিত্তি হয়ে উঠবে।

সরকারের এই যাবতীয় সংস্কার আপনাদের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ অভিযানকে গতি প্রদান করবে, প্রাণশক্তিতে ভরপুর করে তুলবে এই কামনা নিয়েই আমি আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি।

আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে এই দীপাবলি আপনাদের সকলের জন্য, গোটা দেশের ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ ক্ষেত্রের জন্য শুভ হবে, লাভজনক হবে এবং নতুন সুযোগ নিয়ে আসবে।

আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

অনেক অনেক ধন্যবাদ!

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।