লোকসভার অধ্যক্ষ শ্রী ওম বিড়লা জি, রাজ্যসভার উপসভাপতি শ্রী হরিবংশজি, আমার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য শ্রী প্রহলাদ জোশীজি, শ্রী হরদীপ সিংহ পুরীজি, হাউস কমিটির অধ্যক্ষ ভাই সি. আর পাটিলজি, শ্রী ওমজি মাথুরজি, উপস্হিত সমস্ত সাংসদ, আমার মন্ত্রিপরিষদের সদস্যগণ এবং মহানুভব ব্যক্তিবর্গ,
সাধারণতঃ দেখা গেছে যে প্রত্যেকবার যখনই নতুন অধিবেশন শুরু হয়, তখন সাংসদদের থাকার অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। দীর্ঘ সময়ের জন্য হোটেল বুক করতে হয়। আর যখন তাদের নিধারিত থাকার জায়গাগুলি খালি হয় তখন আগে থেকে সেগুলি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করিয়ে তারপর থাকার ব্যবস্হা করতে হয়। এই অব্যবস্হা থেকে বেরিয়ে আসতে বর্তমান সময়ের অনুকূল ব্যবস্হা গড়ে তোলার জন্যই এই প্রচেষ্টা। সাংসদের নিজের জন্য একটাই ঘর যথেষ্ট। কিন্তু যখন তাঁর এলাকা তখন দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসেন তখন তাদের থাকার ব্যবস্হা করতে নানা সমস্যা সামলাতে হয়। যাঁরা রাজনীতি করেন, তাঁরা কাউকে ফিরিয়ে দিতে পারেন না।
এই সমস্যা বাইরের কারো পক্ষে বোঝা মুশকিল। কিন্তু সাংসদরা জানেন যে, তাদের কত প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়। সেজন্য বিগত অধিবেশনের সময় থেকেই সুচিন্তিত ব্যবস্হা নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত পূর্ববর্তী আবাসনগুলি এতই পুরোনো হয়ে গেছে যে সেগুলিতে নিয়মিত কিছু না কিছু মেরামতি করতে হয়। সেজন্য বসবাসকারীদের যেমন অসুবিধা হয় তেমনি ব্যবস্হা গ্রহণকারীদেরও অসুবিধা হয়। এই সমস্যার স্হায়ী সমাধানের চেষ্টাও করা হয়েছে। আগামী দিনে আরও আবাসন নির্মাণ করা হবে। আজকাল কোনও সরকারি বিভাগ এক ভাল কাজ করলে সবাই আশ্চর্য হয়। যারা এই প্রকল্পের কাজ এত সুন্দরভাবে সম্পন্ন করেছেন সেই সরকারি আধিকারিক, কর্মচারী ও নির্মাণকর্মীদের আমি অভিনন্দন জানাই। সাধারণত সরকারি কাজ মানেই দেরিতে সম্পন্ন হওয়া। এটা জিজ্ঞেস করাই দস্তুর যে, ভাই কতটা দেরিতে চলছে?কবেসম্পূর্ণ হবে? এই প্রকল্পটি সবাইকে অবাক করে দিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই সম্পন্ন হয়েছে। সরকারি কাজের ক্ষেত্রে ধরে নেওয়া হয় যে, বাজেট তো বাড়তেই থাকবে! কিন্তু এই প্রকল্পটি বাজেট বরাদ্দ থেকে কম খরচে সম্পন্ন হয়েছে। উৎকর্ষে কোনওরকম সমঝোতা করা হয়নি। সময়ের সাশ্রয়, অর্থসাশ্রয় এবং পরিষেবার ক্ষেত্রে সতর্ক নজর রেখে এই আবাসন নির্মাণে যারা অংশগ্রহণ করেছেন, প্রশাসনিক ক্ষেত্রের সংশ্লিষ্ট সব আধিকারিকদের আমি অভিনন্দন জানাই।
এবারের অধিবেশনে আমরা দেখেছি যে সাংসদ কত সুচারুভাবে কাজ করেছে। এরজন্য সমস্ত রাজনৈতিক দল, সমস্ত সাংসদরা অভিনন্দনযোগ্য। পদাধিকারী ব্যক্তিরাও অভিনন্দনযোগ্য। কিন্তু অধিবেশন শেষ হওয়ার আগেই সভা থেকে একটি আওয়াজ উঠেছে; মাননীয় অধ্যক্ষ বলেছেন, আর উপরাষ্ট্রপতি মহোদয়ও বলেছেন যে, ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির আগে আমাদের সংসদেও কিছু সংস্কারের কাজ হওয়া উচিত।
একথা সত্যি, আমি বিগত পাঁচ বছর ধরে সাংসদের আর্জি শুনে আসছি, সংবাদমাধ্যমের বন্ধুরাও বারবার বলছিলেন যে, সবকিছু অনেক পুরনো হয়ে গেছে, এবার খোলনলচে বদলাতে হবে। আধুনিক পরিষেবা উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে। সংসদের এই দাবিকে সরকার গুরুত্ব দিয়েছে। এই সংসদ ভবনকে আগের মতো রেখেই এতে কিভাবে আধুনিক ব্যবস্হা বিকশিত করা যায়, যাতে অন্যত্র স্হানান্তরিত না হতে হয়, সেই চেষ্টায় প্রযুক্তিবিদরা কাজ করে চলেছেন। আমি তাদের অনুরোধ জানিয়েছি যাতে ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির আগেই এই কাজ সম্পূর্ণ হয়। হাতে সময় খুবই কম রয়েছে। তবুও সবাই মিলে চেষ্টা করলে অবশ্যই সুফল পাবেন। আমি আরেকবার সমস্ত সাসংদদের নতুন ব্যবস্হা উন্নয়নের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।
মঞ্চাসীন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিবর্গ কোনও না কোনওভাবে এক্ষেত্রে বড় অবদান রেখেছেন। সেজন্য তাদেরকেও অনেক ধন্যবাদ জানাই।
ধন্যবাদ সাথীরা…