Quoteপ্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে, তাঁর সরকার জন ধন, বন ধন এবং গোবর্ধন-এর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে
Quoteসর্দার প্যাটেলের প্রদর্শিত পথে প্রীতম রায় দেশাইজি আমেদাবাদে কো-অপারেটিভ হাউজিংয়ে ব্যাপকভাবে কাজ করেছেন। এই প্রচেষ্টার ফলে অনেক মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়েছে: আনন্দে বললেন প্রধানমন্ত্রী
Quoteআমূল কেবলমাত্র দুগ্ধজাত খাদ্য প্রক্রিয়াকরণেরই সংস্হা নয়, আমূল ক্ষমতায়ণের আর্দশ মডেল: প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quoteসর্দার প্যাটেল কো-অপারেটিভ হাউজিংয়ে ব্যাপকভাবে কাজ করেছেন: প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quoteএখন, উদ্ভাবন ও মূল্য সংযুক্তিকরণকে গুরুত্ব দেওয়ার সময় এসেছে: আনন্দে বললেন প্রধানমন্ত্রী

মঞ্চে উপস্থিত সকল সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ এবং বিপুল সংখ্যায় উপস্থিত ভাই ও বোনেরা,

কেমন আছেন? আমি দেখতে পাচ্ছি যে, এত বড় প্যান্ডেলেও স্থান সংকুলান হচ্ছে না, ওখানে অনেকে রোদে দাঁড়িয়ে আছেন। আপনারা সবাই এত বিপুল সংখ্যায় আশীর্বাদ দিতে এসেছেন, সেজন্য আমরা সবাই আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আজ আপনারা আমাকে প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প উদ্বোধন কিংবা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সুযোগ করে দিয়েছেন। আপনারা আমাকে এই যে সম্মান দিয়েছেন, এর জন্যও সমবায় আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত আমার সমস্ত কৃষক পরিবারকে সাদর প্রণাম ও ধন্যবাদ জানাই।

আজা বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে আমূল ব্র্যান্ডের একটি বিশেষ পরিচয় গড়ে উঠেছে। বিশ্বের অনেক দেশে সফরে গিয়ে সেদেশের ভারতীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর, তাঁদের দেশে আমূল প্রোডাক্ট পাঠানোর ব্যবস্থা করা যায় কিনা – এ ধরণের অনুরোধ শুনে অবাক হয়েছি। আর এসব অনুরোধ শুনে গর্বিত হয়েছি যে, সাত দশক ধরে কৃষকদের সমবায় আন্দোলনের সাফল্যই দেশে-বিদেশে আমূলকে এত বিখ্যাত করে তুলেছে। অনেকের কাছেই এখন আমূল একটি প্রেরণা, একটি অনিবার্যতায় পর্যবসিত হয়েছে – এই সিদ্ধি কম কথা নয়। এটি অনেক বড় সাফল্য। আমূল নিছকই কোনও উৎপাদনকারী সংস্থা নয়, শুধু দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ নয়; এটি একটি বিকল্প অর্থনীতির মডেল হিসাবেও সুপ্রতিষ্ঠিত। একদিকে সমাজবাদী অর্থনীতি, অন্যদিকে পুঁজিবাদী অর্থনীতি, একদিকে সরকার নিয়ন্ত্রিত অর্থ ব্যবস্থা, অন্যদিকে ধনী ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রিত অর্থ ব্যবস্থা – বিশ্ব এই দুই অর্থ ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত। কিন্তু আমাদের দেশে সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের মতো মহাপুরুষরা এমন একটি বীজ বপণ করে গেছেন, যা আজ তৃতীয় অর্থ ব্যবস্থার রূপ ধারণ করে মহীরূহে পরিণত হয়েছে। এতে সরকারের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে না, ধনী ব্যবসায়ীদেরও নিয়ন্ত্রণ থাকে না; তা সমবায় আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কৃষক ও সাধারণ মানুষের নিয়ন্ত্রণাধীন অর্থ ব্যবস্থা রূপে অঙ্কুরিত হয়, বৃদ্ধি পায় এবং সকলেই এর অংশীদার হন।

এই অর্থ ব্যবস্থার অভিনব মডেলটি সমাজবাদ ও পুঁজিবাদকে একটি সার্থক বিকল্প প্রদান করে। আমরা সবাই ভালোভাবে জানি যে, স্বাধীনতার প্রায় এক বছর আগে এই আমূলের একটি আইনসম্মত রূপ গড়ে উঠেছিল, কিন্তু সমবায় আন্দোলন তার আগে থেকেই চলছিল। খুব কম মানুষই জানেন যে, সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল যখন আমেদাবাদ মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন আমেদাবাদের কর্পোরেশন ছিল না, নগরপালিকা ছিল …… সেই নগরপালিকায় সর্দার সাহেব দরিয়াপুর থেকে নির্বাচনে জিতে এসেছিলেন, সেই দরিয়াপুর থেকে আগে কৌশিকভাই জিততেন, কিন্তু সেবার সর্দার সাহেব মাত্র এক ভোটে কৌশিকভাইকে হারিয়ে নির্বাচনে জেতার পর মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান হয়েছিলেন।

তিনি চেয়ারম্যান থাকার সময়েই গুজরাটে প্রথমবার নগরোন্নয়নের পরিকল্পনা পেশ করা হয়েছিল। আর তখনই তিনি প্রথমবার ‘কো-অপারেটিভ হাউসিং সোসাইটি’র প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। এটি ছিল সমবায়-ভিত্তিক গৃহ নির্মাণের কাজ মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির জন্য গৃহ নির্মাণের প্রস্তাব। এই প্রস্তাব পাশ হওয়ার পর সর্দার সাহেব গুজরাটের ওয়রদেশ-এ প্রথম হাউসিং সোসাইটি নির্মাণের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। ঐ মিউনিসিপ্যালিটির নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি প্রীতম রায় দেশাইকে। তাঁরই নেতৃত্বে ঐ কো-অপারেটিভ হাউসিং সোসাইটি গড়ে ওঠার পর ১৯২৭ সালে ২৮ জানুয়ারি সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল সেটির উদ্বোধন করেছিলেন। এই উদ্বোধনের মাধ্যমেই দেশের সামনে একটি নতুন উন্নয়নের মডেল দৃষ্টান্ত হিসাবে স্থাপিত হয়। সর্দার সাহেব প্রীতম রায় দেশাইয়ের নামেই সেই সোসাইটির নাম রাখেন প্রীতম নগর। আজও আমেদাবাদে ঐ প্রীতমনগর সমবায় আন্দোলনের প্রথম সফল প্রয়োগ রূপে গোটা দেশকে পথ দেখাচ্ছে। সেই আন্দোলন পরবর্তী সময়ে গুজরাট ও মহারাষ্ট্রে আরও সাফল্যলাভ করে; সে সময়ে ছিল বৃহৎ মহারাষ্ট্র। এই গোটা অঞ্চলে সমবায় নিছকই একটি ব্যবস্থা নয়, নিয়ম-নির্ধারিত কোনও সৃষ্টি নয়, একটি সংস্কার রূপে এখানকার মানুষের মনে স্থান করে নেয়। আর তারই পরিণাম স্বরূপ আজ গুজরাট সমবায় আন্দোলনে সারা দেশের সামনে দৃষ্টান্ত স্বরূপ সাফল্য অর্জন করেছে।

|

আমূলের আগে উত্তর গুজরাটে এই দুগ্ধ সমবায় আন্দোলন শুরু হয়েছিল। দুগ্ধসাগর ডেয়ারি এবং বনাস ডেয়ারি বেশ সুনাম অর্জন করে। আমি মনে করি, এই দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষদের নেতৃত্বে সমবায় আন্দোলন আগে যে গুজরাটে প্রতি ১০ বছরের মধ্যে ৭ বছরই খরাক্রান্ত হয়ে পড়তো, এখানকার কৃষক ও পশুপালকদের অনেকটাই সেই পরিস্থিতির মোকাবিলায় সাহায্য করবে।

পরবর্তী সময়ে এমন সময়ও আসে, যখন কোনও না কোনও কারণে গান্ধীনগরে ক্ষমতাসীন রাজ্য সরকার এই সমবায় আন্দোলন ও ডেয়ারি উদ্যোগকে খর্ব করার জন্য আইন প্রণয়ন করে। ফলে, কচ্ছ-সৌরাষ্ট্রে ডেয়ারি গড়ে তোলা ও পরিচালনা করা বোঝাস্বরূপ হয়ে ওঠে। অথচ গুজরাটে অধিকাংশ পশুপালকরাই থাকেন কচ্ছ-সৌরাষ্ট্রে। গুজরাটের জনগণ যখন আমাদের হাতে রাজ্যের প্রশাসন তুলে দেন, তখন আমরা আবার এই চিত্রটি বদলে দিই। ডেয়ারি উদ্যোগে আবার সুদিন ফিরে আসে।

কেউ কেউ নিজেদের ভীষণ জ্ঞানী বলে মনে করেন, কিন্তু তাঁদের এক্তিয়ারের বাইরে কিছু উপস্থিত হলে মনের অহঙ্কার থেকে সেটাকে স্বীকার করতে প্রস্তুত থাকেন না, বিরোধিতারও সাহস নেই আর সেজন্য বিদ্রুপ করার পথ অনুসরণ করেন।

আমার মনে পড়ে, যখন কচ্ছ-এ ‘হোয়াইট ডেজার্ট – রান উৎসব’ চালু করছিলাম, ভয়ানক ভূমিকম্পের পর কচ্ছের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বহুবিধ প্রকল্প রচনার মাধ্যমে ঐ বিধ্বস্ত অঞ্চলটিকে উন্নয়নের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে চাইছিলাম, তখন আমার একটি ভাষণে বলেছিলাম যে, উটের দুধে অনেক বেশি পুষ্টিমূল্য থাকে। আমাদের শিশুদের পুষ্টি বিকাশে উটের দুধ উপযোগী ভূমিকা পালন করতে পারে। জানি না কেন, তখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একথা বলে কি পাপ করেছিল যে, তাকে নিয়ে উট ও উটের দুধ মিলিয়ে কার্টুন ছাপা হ’ত, সংবাদ মাধ্যমে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা হ’ত, জনসভায় আজেবাজে মন্তব্য করা হ’ত। আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আমূল উৎপাদিত উটের দুধ থেকে তৈরি চকোলেটের চাহিদা ক্রমবর্ধমান। একটু আগেই রামসিং ভাই আমাকে বলছিলেন যে, এখন উটের দুধের দাম গরুর দুধের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে।

কখনও অজ্ঞানতার বশে মানুষ কী কী করতে পারে, এটা তার উদাহরণ। এখন মরু অঞ্চলে বসবাসকারী উটপালকেরা এত বড় বাজার পেলে তাঁদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আমূল আজ আমার এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত করেছে। আমি মনে করতাম যে আমাদের দেশে পুষ্টি বৃদ্ধির জন্যে অনেক কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে।

আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখনও পুষ্টি আন্দোলন গড়ে তুলতে অনেক উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কারণ আমার মতে, মা ও শিশুর পুষ্টি বৃদ্ধি হলে দেশ স্বাস্থ্যবান হবে।

আরেকটি কারণে আমি আজ খুব খুশি, এখানে আজ সৌরশক্তি এবং সমবায় আন্দোলনের সমন্বয়সাধন করা হয়েছে। ক্ষেতে ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি এখন বিদ্যুৎ-ও উৎপাদিত হবে। যে ১১ জন কৃষক একত্রে সমবায় সমিতি গড়ে তুলে চাষের ক্ষেতকে ব্যবহার করে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করছেন, আমি তাঁদের অভিনন্দন জানাই। নীতি পরিবর্তনের মাধ্যমে তাঁদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বর্তমান রাজ্য সরকার কিনে নিচ্ছে। আমাকে বলা হয়েছে যে, এই সৌরবিদ্যুৎ থেকে এই কো-অপারেটিভ এক বছরে ৫০ হাজার টাকা অতিরিক্ত উপার্জন করবে। সমবায় ক্ষেত্রে এই চতুর্মুখী বিকাশ কৃষকদের মনে যে কোনও মুহূর্তে যে কোনও ধরণের সমস্যা মোকাবিলার সাহস গড়ে তুলছে।

|

কেন্দ্রীয় সরকারের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হ’ল জন ধন, বন ধন এবং গোবর্ধন। বর্জ্য থেকে সম্পদ, পশুর মলমূত্র থেকেও সম্পদ আহরণের জন্য গোবর থেকে গ্যাস উৎপাদন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, সার উৎপাদন। আমার স্পষ্ট মনে আছে, ড্যাকর উমরেথের কাছাকাছি ১০-১২টি গ্রাম থেকে গোবর সংগ্রহ করে আমাদের একজন উৎসাহী আধিকারিক প্রথম একটি প্রকল্প চালু করেছিলেন। সেই প্রকল্প থেকে গোবর গ্যাস উৎপাদন করে তিনি ঐ ১০-১২টি গ্রাম ছাড়াও আশেপাশের আরও গ্রামে গ্যাস সরবরাহ শুরু করেছিলেন। আজ যেমন ১১ জন কৃষক একত্রিত হয়ে একটি সৌর পাম্পের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারছেন, তেমনই প্রত্যেক ১০-১১টি গ্রাম একত্রিত হয়ে এই ধরণের বড় গোবর্ধন আন্দোলন গড়ে তুলে উপার্জন বৃদ্ধি করতে পারেন।

আমি আজ চরোতর-এর মাটিতে এসেছি, সর্দার সাহেবের তপস্যায়, অনেক সমবায় আন্দোলনের নেতাদের তপস্যায় এখানকার জনমানসে যে সংস্কার গড়ে উঠেছে, আশা করি আগামীদিনে আমূল পথ দেখাবে, গোবর্ধন যোজনা পথ দেখাবে, গোবর্ধন যোজনাই সঠিক অর্থে স্বচ্ছ ভারত অভিযানেরই অংগ, বর্জ্য থেকে সম্পদ আহরণ হবে, পরিবেশবান্ধব জ্বালানী উৎপাদিত হবে; বিদেশ থেকে যা বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয় – তার উপর নির্ভরতা কমবে। ফলে যে অর্থ সাশ্রয় হবে তা দিয়ে দেশের মানুষকে সেবা করার সুযোগও বাড়বে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আগামীদিনেও আপনারা এরকম নিজেদের দেশের সামনে আরও দৃষ্টান্ত স্থাপনে সক্ষম হবে।

আর দু’বছর পর আমূল-এর ৭৫ বছর পূর্ণ হবে, আর ২০২২এ ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ হবে। আমি অনুভব করেছি যে আমূল কখনও থামতে পারে না, নতুন ভাবনা, নতুন উদ্যম, নতুন কিছু করার সাহসই আমূল-এর প্রকৃতি। এখানকার সমস্ত সদস্য, এখানকার কর্মসংস্কৃতি, এই ব্যবস্থাকে নেতৃত্ব প্রদানকারীদের পেশাদারিত্ব, এখানকার সমবায় আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে আমি ভালভাবে চিনি। আমি তাঁদের সকলের সঙ্গে অনেক বছর ধরে যুক্ত। তাঁরা প্রত্যেকেই অত্যন্ত সাহসী এবং নতুন কিছু করা তাঁদের স্বভাবজাত।

আমি আমূলের সমস্ত পেশাদারদের সমবায় আন্দোলনের সমস্ত নেতাদের একটি অনুরোধ জানাতে এসেছি, দু’বছর পর যখন আমূলের ৭৫ বছর পূর্ণ হবে, আর তারপরই ২০২২ সালে যখন ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ হবে – এই দুই বিশেষ উপলক্ষ্যকে মাথায় রেখে আমূল কী নতুন কোনও লক্ষ্য স্থির করতে পারে? আমাদের হাতে মাত্র কয়েকটি বছর সময় রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আমরা লক্ষ্য স্থির করে দেশ ও বিশ্বের সামনে নতুন কোনও দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারি কি না?

আজ গোটা বিশ্বে আমরা দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণে ১০ নম্বর স্থানে রয়েছি। আমূল যদি চায়, সংকল্প করে যে, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির আগেই আমরা দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণে এগিয়ে দেশকে ১০ থেকে ৩ নম্বর স্থানে পৌঁছে দেব, আর সেই লক্ষ্যে কাজ করতে থাকি, তা হলে আমার মনে হয় এটা অসম্ভব নয়।

|

একটা সময় ছিল, যখন আমাদের দেশবাসী নানারকম অভাব নিয়ে বাঁচতেন। নানা অভাব থেকে মানুষের জীবনে যেসব সমস্যা সৃষ্টি হ’ত, সেগুলির বিরুদ্ধে লড়তে হ’ত। তখন সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া, ভাবনাচিন্তা এবং কর্মসংস্কৃতি ভিন্ন ছিল। আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর দ্রুতগতিতে দেশকে সেসব সমস্যা থেকে বের করে আনতে সক্ষম হই। আজ আমাদের সামনে অভাব কোনও সঙ্কট নয়। আজ দেশের সামনে প্রধান সমস্যা হ’ল বিপুলতা। দেশের কৃষকরা এত এত শস্য ফলান যে কখনও কখনও বাজার পড়ে যায়। আর বাজার পড়ে গেলে কৃষকের যে লোকসান হয়, তার মূলে কোনও অভাব নয়, ফলনের বিপুলতাই দায়ী।

আগে উৎপাদন কম হ’ত, বিদেশ থেকে গম আমদানি করতে হ’ত। কৃষি বিপ্লবের ফলে দেশের অন্ন ভাণ্ডার স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠে। তেমনই, শ্বেত বিপ্লবের ফলে দেশে দুধের সমস্যাও মেটে। এখন আমাদের প্রয়োজন থেকেও বেশি কিছু উৎপাদনকে নিয়ন্ত্রণের সমস্যায় আমরা ভুগছি। এই পরিস্থিতি থেকে বেরোনোর একমাত্র উপায় হ’ল মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে নানা রকমভাবে প্রক্রিয়াকরণ। আমাদের ডেয়ারি উদ্যোগ, প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে দুধের নানা রকম সামগ্রী, পশুপালকদের উপার্জন বৃদ্ধি না করলে পশু পালন ছেড়ে দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না।

তেমনই, কৃষিজাত পণ্যের ক্ষেত্রেও মূল্য সংযোজন অনেক প্রয়োজন। আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, এখানেই একদিন কৃষি মহোৎসব উপলক্ষে এসেছিলাম। এখানে আমার এক পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়ে যায়। তাঁকে কোট-প্যান্ট-টাই পরিহিত অবস্থায় দেখে আমি অবাক হয়ে বলি, তুমি তো অনেক বদলে গেছো। কি করছো আজকাল?

তিনি জবাব দেন, আমি দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে পাউডার বানিয়ে বিক্রি করা শুরু করে লাভবান হয়েছি।

এর মানে মূল্য সংযোজন। পাউডার দুধের পুষ্টিমূল্য দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় – এই ধারণাই অনেকের ভাগ্য বদলে দিয়েছে। আমাদের প্রত্যেকটি কৃষিজাত পণ্যের সেই শক্তি রয়েছে। টমেটোর ফলন বেশি হলে এর বাজার পড়ে যায়। কারণ, টমেটো ২-৩ দিনের মধ্যেই পচে যায়। কিন্তু মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে টমেটোর প্রক্রিয়াকরণ করে সস্‌ উৎপাদন করলে ভালো বোতলে প্যাকিং হলে মাসের পর মাস খারাপ হয় না। আর দেশ তথা বিশ্বের বাজারে ভালো দামে বিক্রি হয়। আমাদের কৃষকদের লোকসান হয় না। সেজন্য আমাদের দুধের মতো প্রতিটি কৃষিজাত পণ্যের মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণ করে নানারকম রপ্তানিযোগ্য পণ্য উৎপাদনের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী কৃষি সম্পদা যোজনার মাধ্যমে নানাভাবে সাহায্য করছে।

আমি একদিন ডেয়ারি ব্যবস্থাপকদের কাছে এরকম কিছু আবেদন রেখেছিলাম, আমরেলি এবং বনাস ডেয়ারি আমার আবেদনে সারা দিয়ে এগিয়ে এসেছিল, আমার অজান্তে আরও কোনও কোনও ডেয়ারিও এগিয়ে এসে থাকতে পারে। আমি বলেছিলাম যে, শ্বেত বিপ্লবের মতোই এখন আমাদের মিষ্টি বিপ্লব গড়ে তোলা উচিৎ। আমাদের পশুপালক বন্ধুদের আপনারা মউ পালনের প্রশিক্ষণ দিন। তাঁদের উৎপাদিত মধু আপনাদের দুধের কাউন্টার থেকে বিক্রি করুন। আপনাদের প্ল্যান্টে বিভিন্ন দুগ্ধজাত পণ্যের যেমন প্যাকেজিং করেন, মধুরও সেরকমই প্যাকেজিং করুন। আমরেলি এবং বনাস এই দুটি বড় ডেয়ারি সংগঠন আমার কথায় সারা দিয়ে মধু উৎপাদনে এতটাই সাফল্য পেয়েছে যে, এখন ভারত আগের তুলনায় অনেক গুণ মধু উৎপাদন শুরু করেছে। আগে যে মধু বিদেশ থেকে আমদানি করতে হ’ত, এখন আমাদের দেশ থেকে মধু রপ্তানি হচ্ছে। মধু এমন একটি জিনিস, তা যদি ঠিক সময়ে বিক্রি না হয়, নষ্ট হয়ে যাবে না। বাড়ির ছেলেমেয়েরা মধু খেলে তাঁদের পুষ্টি বৃদ্ধি হবে। মধু উৎপাদনের জন্য কোনও পরিশ্রম করতে হয় না। যত ছোট চাষের ক্ষেতই হোক না কেন, মউ পালন সম্ভব। তেমনই সোলার প্যানেলও যে কোনও মাপের চাষের ক্ষেতে লাগানো যায়। এভাবেই আমরা ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির আগেই ভারতের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার জন্য তাঁদেরকে অনেক অনেক প্রকল্পে যুক্ত করছি।

আমি আশা করি যে, আপনারা সবাই এর সঙ্গে যুক্ত হবেন। আরেকটি অনুরোধ আমি করেছিলাম, যা আমি মুখ্যমন্ত্রী থাকা অবস্থায় বাস্তবায়িত হয়নি। এখনও হয়নি, কিন্তু আমরা করতে পারি। যেমন, এখানে ‘টেক হোম রেশন’ এ বিষয়ে অনেক কাজ হয়েছে। আপনাদের ‘বাল আমূল’ প্রকল্প দেশে শিশুদের পুষ্টিবর্ধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেশে মিড-ডে-মিল প্রকল্পে আপনাদের উৎপাদিত পণ্য আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। যে গ্রামগুলিতে আমরা দুধ সংগ্রহ করতে যাই, কেন্দ্রীয়ভাবে যদি রান্নার ব্যবস্থা করা যায়, তা হলে দুধের গাড়িতে করেই স্কুলে-স্কুলে শিশুদের জন্য পুষ্টিকর ও উপাদেয় মিড-ডে-মিল পৌঁছে দিতে পারি। পরের দিন দুধের গাড়িতে তাদের খালি টিফিন বক্স ফেরৎ আসতে পারে। এভাবে কোনও রকম অতিরিক্ত পরিবহণ খরচ ছাড়াই খুব সহজে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পুষ্টিবর্ধনে আমরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারি। আমাদের দুগ্ধ মণ্ডলী যেখানে যেখানে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে, সেখানকার স্কুলগুলি মিড-ডে-মিল বাবদ সরকার প্রদত্ত অর্থ দিয়ে এই টাটকাতাজা খাদ্য কিনতে পারে। শুধু সঠিক সমন্বয় ও ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন।

আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি যে, ইস্কন যেভাবে সাফল্যের সঙ্গে অত্যাধুনিক মিড-ডে-মিল প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, আমাদের ডেয়ারি প্রকল্পগুলির মিলিত প্রয়াসের আমাদের এলাকাগুলিতে এরকম শক্তিশালী ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারি। একই ব্যবস্থায় বহুমুখী উপযোগ – একথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা করলে শুধু কিছু সীমিত ক্ষেত্র নয়, জীবনের প্রত্যেক ক্ষেত্রে আমরা প্রভাব ফেলার মতো কাজ করতে পারি। এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

আমাদের দেশে গোচারণ ভূমি নিয়ে পশুপালকদের মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া হয়। কিন্তু আমার মনে আছে যে, ধর্মচ এলাকার পশুপালক ভাইয়েরা অনেকে বছর আগেই সমবায় সমিতি গড়ে তুলে গোচারণের ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। নিজেদের পশুদের প্রয়োজন মিটিয়ে তাঁরা আশেপাশের গ্রামেও বাড়িতে বাড়িতে নিয়মিত সবুজ ঘাস পৌঁছে দিতেন। পরবর্তী সময়ে অনেকেই তাঁদের দেখাদেখি গোচারণ সমবায় সমিতি গড়ে তুলেছিল। এখন সেই সমিতিগুলি কী অবস্থায় আছে আমি জানি না।

কিন্তু তাঁদের উদাহরণ দেওয়ার উদ্দেশ্য হ’ল সমবায়ের অভ্যাস যখন সংস্কারে পরিণত হয়, তখন সমবায় কিরকম ব্যাপক রূপ ধারণ করতে পারে, আর আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরস্পরের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে আমরা কিভাবে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করতে পারি!

আমি আরেকবার আমূল পরিবারের চতুর্মুখী উন্নতির জন্য আমার প্রগতিশীল কৃষক ও পশুপালক বন্ধুদের অভিনন্দন জানাই। সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল ও অন্যান্য মণীষীদের প্রদর্শিত পথে চলতে চলতে আপনারা প্রজন্মান্তরে যে উন্নত পরম্পরা গড়ে তুলেছেন, তা সমবায় ক্ষেত্রকে আজ বহুবিধ প্রকল্পের মাধ্যমে গুজরাটের মাটিকে, দেশের মাটিকে অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে সমর্পণের অনুভূতি নিয়ে আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, এই সমস্ত প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কেন্দ্রীয় সরকার কখনও পিছিয়ে থাকবে না। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আপনাদের উন্নয়ন যাত্রায় সহযোগীর ভূমিকা পালন করবে। আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমার সঙ্গে সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে বলুন –

ভারতমাতা কি – জয়।

আরে ভাই কী হ’ল – এটা তো আমার চরোতর। এত দুর্বল প্রতিধ্বনি কেন?

ভারতমাতা কি – জয়।

এই না হলে চরোতর – সাবাশ।

ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

Media Coverage

"Huge opportunity": Japan delegation meets PM Modi, expressing their eagerness to invest in India
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Today, India is not just a Nation of Dreams but also a Nation That Delivers: PM Modi in TV9 Summit
March 28, 2025
QuoteToday, the world's eyes are on India: PM
QuoteIndia's youth is rapidly becoming skilled and driving innovation forward: PM
Quote"India First" has become the mantra of India's foreign policy: PM
QuoteToday, India is not just participating in the world order but also contributing to shaping and securing the future: PM
QuoteIndia has given Priority to humanity over monopoly: PM
QuoteToday, India is not just a Nation of Dreams but also a Nation That Delivers: PM

श्रीमान रामेश्वर गारु जी, रामू जी, बरुन दास जी, TV9 की पूरी टीम, मैं आपके नेटवर्क के सभी दर्शकों का, यहां उपस्थित सभी महानुभावों का अभिनंदन करता हूं, इस समिट के लिए बधाई देता हूं।

TV9 नेटवर्क का विशाल रीजनल ऑडियंस है। और अब तो TV9 का एक ग्लोबल ऑडियंस भी तैयार हो रहा है। इस समिट में अनेक देशों से इंडियन डायस्पोरा के लोग विशेष तौर पर लाइव जुड़े हुए हैं। कई देशों के लोगों को मैं यहां से देख भी रहा हूं, वे लोग वहां से वेव कर रहे हैं, हो सकता है, मैं सभी को शुभकामनाएं देता हूं। मैं यहां नीचे स्क्रीन पर हिंदुस्तान के अनेक शहरों में बैठे हुए सब दर्शकों को भी उतने ही उत्साह, उमंग से देख रहा हूं, मेरी तरफ से उनका भी स्वागत है।

साथियों,

आज विश्व की दृष्टि भारत पर है, हमारे देश पर है। दुनिया में आप किसी भी देश में जाएं, वहां के लोग भारत को लेकर एक नई जिज्ञासा से भरे हुए हैं। आखिर ऐसा क्या हुआ कि जो देश 70 साल में ग्यारहवें नंबर की इकोनॉमी बना, वो महज 7-8 साल में पांचवे नंबर की इकोनॉमी बन गया? अभी IMF के नए आंकड़े सामने आए हैं। वो आंकड़े कहते हैं कि भारत, दुनिया की एकमात्र मेजर इकोनॉमी है, जिसने 10 वर्षों में अपने GDP को डबल किया है। बीते दशक में भारत ने दो लाख करोड़ डॉलर, अपनी इकोनॉमी में जोड़े हैं। GDP का डबल होना सिर्फ आंकड़ों का बदलना मात्र नहीं है। इसका impact देखिए, 25 करोड़ लोग गरीबी से बाहर निकले हैं, और ये 25 करोड़ लोग एक नियो मिडिल क्लास का हिस्सा बने हैं। ये नियो मिडिल क्लास, एक प्रकार से नई ज़िंदगी शुरु कर रहा है। ये नए सपनों के साथ आगे बढ़ रहा है, हमारी इकोनॉमी में कंट्रीब्यूट कर रहा है, और उसको वाइब्रेंट बना रहा है। आज दुनिया की सबसे बड़ी युवा आबादी हमारे भारत में है। ये युवा, तेज़ी से स्किल्ड हो रहा है, इनोवेशन को गति दे रहा है। और इन सबके बीच, भारत की फॉरेन पॉलिसी का मंत्र बन गया है- India First, एक जमाने में भारत की पॉलिसी थी, सबसे समान रूप से दूरी बनाकर चलो, Equi-Distance की पॉलिसी, आज के भारत की पॉलिसी है, सबके समान रूप से करीब होकर चलो, Equi-Closeness की पॉलिसी। दुनिया के देश भारत की ओपिनियन को, भारत के इनोवेशन को, भारत के एफर्ट्स को, जैसा महत्व आज दे रहे हैं, वैसा पहले कभी नहीं हुआ। आज दुनिया की नजर भारत पर है, आज दुनिया जानना चाहती है, What India Thinks Today.

|

साथियों,

भारत आज, वर्ल्ड ऑर्डर में सिर्फ पार्टिसिपेट ही नहीं कर रहा, बल्कि फ्यूचर को शेप और सेक्योर करने में योगदान दे रहा है। दुनिया ने ये कोरोना काल में अच्छे से अनुभव किया है। दुनिया को लगता था कि हर भारतीय तक वैक्सीन पहुंचने में ही, कई-कई साल लग जाएंगे। लेकिन भारत ने हर आशंका को गलत साबित किया। हमने अपनी वैक्सीन बनाई, हमने अपने नागरिकों का तेज़ी से वैक्सीनेशन कराया, और दुनिया के 150 से अधिक देशों तक दवाएं और वैक्सीन्स भी पहुंचाईं। आज दुनिया, और जब दुनिया संकट में थी, तब भारत की ये भावना दुनिया के कोने-कोने तक पहुंची कि हमारे संस्कार क्या हैं, हमारा तौर-तरीका क्या है।

साथियों,

अतीत में दुनिया ने देखा है कि दूसरे विश्व युद्ध के बाद जब भी कोई वैश्विक संगठन बना, उसमें कुछ देशों की ही मोनोपोली रही। भारत ने मोनोपोली नहीं बल्कि मानवता को सर्वोपरि रखा। भारत ने, 21वीं सदी के ग्लोबल इंस्टीट्यूशन्स के गठन का रास्ता बनाया, और हमने ये ध्यान रखा कि सबकी भागीदारी हो, सबका योगदान हो। जैसे प्राकृतिक आपदाओं की चुनौती है। देश कोई भी हो, इन आपदाओं से इंफ्रास्ट्रक्चर को भारी नुकसान होता है। आज ही म्यांमार में जो भूकंप आया है, आप टीवी पर देखें तो बहुत बड़ी-बड़ी इमारतें ध्वस्त हो रही हैं, ब्रिज टूट रहे हैं। और इसलिए भारत ने Coalition for Disaster Resilient Infrastructure - CDRI नाम से एक वैश्विक नया संगठन बनाने की पहल की। ये सिर्फ एक संगठन नहीं, बल्कि दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं के लिए तैयार करने का संकल्प है। भारत का प्रयास है, प्राकृतिक आपदा से, पुल, सड़कें, बिल्डिंग्स, पावर ग्रिड, ऐसा हर इंफ्रास्ट्रक्चर सुरक्षित रहे, सुरक्षित निर्माण हो।

साथियों,

भविष्य की चुनौतियों से निपटने के लिए हर देश का मिलकर काम करना बहुत जरूरी है। ऐसी ही एक चुनौती है, हमारे एनर्जी रिसोर्सेस की। इसलिए पूरी दुनिया की चिंता करते हुए भारत ने International Solar Alliance (ISA) का समाधान दिया है। ताकि छोटे से छोटा देश भी सस्टेनबल एनर्जी का लाभ उठा सके। इससे क्लाइमेट पर तो पॉजिटिव असर होगा ही, ये ग्लोबल साउथ के देशों की एनर्जी नीड्स को भी सिक्योर करेगा। और आप सबको ये जानकर गर्व होगा कि भारत के इस प्रयास के साथ, आज दुनिया के सौ से अधिक देश जुड़ चुके हैं।

साथियों,

बीते कुछ समय से दुनिया, ग्लोबल ट्रेड में असंतुलन और लॉजिस्टिक्स से जुड़ी challenges का सामना कर रही है। इन चुनौतियों से निपटने के लिए भी भारत ने दुनिया के साथ मिलकर नए प्रयास शुरु किए हैं। India–Middle East–Europe Economic Corridor (IMEC), ऐसा ही एक महत्वाकांक्षी प्रोजेक्ट है। ये प्रोजेक्ट, कॉमर्स और कनेक्टिविटी के माध्यम से एशिया, यूरोप और मिडिल ईस्ट को जोड़ेगा। इससे आर्थिक संभावनाएं तो बढ़ेंगी ही, दुनिया को अल्टरनेटिव ट्रेड रूट्स भी मिलेंगे। इससे ग्लोबल सप्लाई चेन भी और मजबूत होगी।

|

साथियों,

ग्लोबल सिस्टम्स को, अधिक पार्टिसिपेटिव, अधिक डेमोक्रेटिक बनाने के लिए भी भारत ने अनेक कदम उठाए हैं। और यहीं, यहीं पर ही भारत मंडपम में जी-20 समिट हुई थी। उसमें अफ्रीकन यूनियन को जी-20 का परमानेंट मेंबर बनाया गया है। ये बहुत बड़ा ऐतिहासिक कदम था। इसकी मांग लंबे समय से हो रही थी, जो भारत की प्रेसीडेंसी में पूरी हुई। आज ग्लोबल डिसीजन मेकिंग इंस्टीट्यूशन्स में भारत, ग्लोबल साउथ के देशों की आवाज़ बन रहा है। International Yoga Day, WHO का ग्लोबल सेंटर फॉर ट्रेडिशनल मेडिसिन, आर्टिफिशियल इंटेलीजेंस के लिए ग्लोबल फ्रेमवर्क, ऐसे कितने ही क्षेत्रों में भारत के प्रयासों ने नए वर्ल्ड ऑर्डर में अपनी मजबूत उपस्थिति दर्ज कराई है, और ये तो अभी शुरूआत है, ग्लोबल प्लेटफॉर्म पर भारत का सामर्थ्य नई ऊंचाई की तरफ बढ़ रहा है।

साथियों,

21वीं सदी के 25 साल बीत चुके हैं। इन 25 सालों में 11 साल हमारी सरकार ने देश की सेवा की है। और जब हम What India Thinks Today उससे जुड़ा सवाल उठाते हैं, तो हमें ये भी देखना होगा कि Past में क्या सवाल थे, क्या जवाब थे। इससे TV9 के विशाल दर्शक समूह को भी अंदाजा होगा कि कैसे हम, निर्भरता से आत्मनिर्भरता तक, Aspirations से Achievement तक, Desperation से Development तक पहुंचे हैं। आप याद करिए, एक दशक पहले, गांव में जब टॉयलेट का सवाल आता था, तो माताओं-बहनों के पास रात ढलने के बाद और भोर होने से पहले का ही जवाब होता था। आज उसी सवाल का जवाब स्वच्छ भारत मिशन से मिलता है। 2013 में जब कोई इलाज की बात करता था, तो महंगे इलाज की चर्चा होती थी। आज उसी सवाल का समाधान आयुष्मान भारत में नजर आता है। 2013 में किसी गरीब की रसोई की बात होती थी, तो धुएं की तस्वीर सामने आती थी। आज उसी समस्या का समाधान उज्ज्वला योजना में दिखता है। 2013 में महिलाओं से बैंक खाते के बारे में पूछा जाता था, तो वो चुप्पी साध लेती थीं। आज जनधन योजना के कारण, 30 करोड़ से ज्यादा बहनों का अपना बैंक अकाउंट है। 2013 में पीने के पानी के लिए कुएं और तालाबों तक जाने की मजबूरी थी। आज उसी मजबूरी का हल हर घर नल से जल योजना में मिल रहा है। यानि सिर्फ दशक नहीं बदला, बल्कि लोगों की ज़िंदगी बदली है। और दुनिया भी इस बात को नोट कर रही है, भारत के डेवलपमेंट मॉडल को स्वीकार रही है। आज भारत सिर्फ Nation of Dreams नहीं, बल्कि Nation That Delivers भी है।

साथियों,

जब कोई देश, अपने नागरिकों की सुविधा और समय को महत्व देता है, तब उस देश का समय भी बदलता है। यही आज हम भारत में अनुभव कर रहे हैं। मैं आपको एक उदाहरण देता हूं। पहले पासपोर्ट बनवाना कितना बड़ा काम था, ये आप जानते हैं। लंबी वेटिंग, बहुत सारे कॉम्प्लेक्स डॉक्यूमेंटेशन का प्रोसेस, अक्सर राज्यों की राजधानी में ही पासपोर्ट केंद्र होते थे, छोटे शहरों के लोगों को पासपोर्ट बनवाना होता था, तो वो एक-दो दिन कहीं ठहरने का इंतजाम करके चलते थे, अब वो हालात पूरी तरह बदल गया है, एक आंकड़े पर आप ध्यान दीजिए, पहले देश में सिर्फ 77 पासपोर्ट सेवा केंद्र थे, आज इनकी संख्या 550 से ज्यादा हो गई है। पहले पासपोर्ट बनवाने में, और मैं 2013 के पहले की बात कर रहा हूं, मैं पिछले शताब्दी की बात नहीं कर रहा हूं, पासपोर्ट बनवाने में जो वेटिंग टाइम 50 दिन तक होता था, वो अब 5-6 दिन तक सिमट गया है।

साथियों,

ऐसा ही ट्रांसफॉर्मेशन हमने बैंकिंग इंफ्रास्ट्रक्चर में भी देखा है। हमारे देश में 50-60 साल पहले बैंकों का नेशनलाइजेशन किया गया, ये कहकर कि इससे लोगों को बैंकिंग सुविधा सुलभ होगी। इस दावे की सच्चाई हम जानते हैं। हालत ये थी कि लाखों गांवों में बैंकिंग की कोई सुविधा ही नहीं थी। हमने इस स्थिति को भी बदला है। ऑनलाइन बैंकिंग तो हर घर में पहुंचाई है, आज देश के हर 5 किलोमीटर के दायरे में कोई न कोई बैंकिंग टच प्वाइंट जरूर है। और हमने सिर्फ बैंकिंग इंफ्रास्ट्रक्चर का ही दायरा नहीं बढ़ाया, बल्कि बैंकिंग सिस्टम को भी मजबूत किया। आज बैंकों का NPA बहुत कम हो गया है। आज बैंकों का प्रॉफिट, एक लाख 40 हज़ार करोड़ रुपए के नए रिकॉर्ड को पार कर चुका है। और इतना ही नहीं, जिन लोगों ने जनता को लूटा है, उनको भी अब लूटा हुआ धन लौटाना पड़ रहा है। जिस ED को दिन-रात गालियां दी जा रही है, ED ने 22 हज़ार करोड़ रुपए से अधिक वसूले हैं। ये पैसा, कानूनी तरीके से उन पीड़ितों तक वापिस पहुंचाया जा रहा है, जिनसे ये पैसा लूटा गया था।

साथियों,

Efficiency से गवर्नमेंट Effective होती है। कम समय में ज्यादा काम हो, कम रिसोर्सेज़ में अधिक काम हो, फिजूलखर्ची ना हो, रेड टेप के बजाय रेड कार्पेट पर बल हो, जब कोई सरकार ये करती है, तो समझिए कि वो देश के संसाधनों को रिस्पेक्ट दे रही है। और पिछले 11 साल से ये हमारी सरकार की बड़ी प्राथमिकता रहा है। मैं कुछ उदाहरणों के साथ अपनी बात बताऊंगा।

|

साथियों,

अतीत में हमने देखा है कि सरकारें कैसे ज्यादा से ज्यादा लोगों को मिनिस्ट्रीज में accommodate करने की कोशिश करती थीं। लेकिन हमारी सरकार ने अपने पहले कार्यकाल में ही कई मंत्रालयों का विलय कर दिया। आप सोचिए, Urban Development अलग मंत्रालय था और Housing and Urban Poverty Alleviation अलग मंत्रालय था, हमने दोनों को मर्ज करके Housing and Urban Affairs मंत्रालय बना दिया। इसी तरह, मिनिस्ट्री ऑफ ओवरसीज़ अफेयर्स अलग था, विदेश मंत्रालय अलग था, हमने इन दोनों को भी एक साथ जोड़ दिया, पहले जल संसाधन, नदी विकास मंत्रालय अलग था, और पेयजल मंत्रालय अलग था, हमने इन्हें भी जोड़कर जलशक्ति मंत्रालय बना दिया। हमने राजनीतिक मजबूरी के बजाय, देश की priorities और देश के resources को आगे रखा।

साथियों,

हमारी सरकार ने रूल्स और रेगुलेशन्स को भी कम किया, उन्हें आसान बनाया। करीब 1500 ऐसे कानून थे, जो समय के साथ अपना महत्व खो चुके थे। उनको हमारी सरकार ने खत्म किया। करीब 40 हज़ार, compliances को हटाया गया। ऐसे कदमों से दो फायदे हुए, एक तो जनता को harassment से मुक्ति मिली, और दूसरा, सरकारी मशीनरी की एनर्जी भी बची। एक और Example GST का है। 30 से ज्यादा टैक्सेज़ को मिलाकर एक टैक्स बना दिया गया है। इसको process के, documentation के हिसाब से देखें तो कितनी बड़ी बचत हुई है।

साथियों,

सरकारी खरीद में पहले कितनी फिजूलखर्ची होती थी, कितना करप्शन होता था, ये मीडिया के आप लोग आए दिन रिपोर्ट करते थे। हमने, GeM यानि गवर्नमेंट ई-मार्केटप्लेस प्लेटफॉर्म बनाया। अब सरकारी डिपार्टमेंट, इस प्लेटफॉर्म पर अपनी जरूरतें बताते हैं, इसी पर वेंडर बोली लगाते हैं और फिर ऑर्डर दिया जाता है। इसके कारण, भ्रष्टाचार की गुंजाइश कम हुई है, और सरकार को एक लाख करोड़ रुपए से अधिक की बचत भी हुई है। डायरेक्ट बेनिफिट ट्रांसफर- DBT की जो व्यवस्था भारत ने बनाई है, उसकी तो दुनिया में चर्चा है। DBT की वजह से टैक्स पेयर्स के 3 लाख करोड़ रुपए से ज्यादा, गलत हाथों में जाने से बचे हैं। 10 करोड़ से ज्यादा फर्ज़ी लाभार्थी, जिनका जन्म भी नहीं हुआ था, जो सरकारी योजनाओं का फायदा ले रहे थे, ऐसे फर्जी नामों को भी हमने कागजों से हटाया है।

साथियों,

 

हमारी सरकार टैक्स की पाई-पाई का ईमानदारी से उपयोग करती है, और टैक्सपेयर का भी सम्मान करती है, सरकार ने टैक्स सिस्टम को टैक्सपेयर फ्रेंडली बनाया है। आज ITR फाइलिंग का प्रोसेस पहले से कहीं ज्यादा सरल और तेज़ है। पहले सीए की मदद के बिना, ITR फाइल करना मुश्किल होता था। आज आप कुछ ही समय के भीतर खुद ही ऑनलाइन ITR फाइल कर पा रहे हैं। और रिटर्न फाइल करने के कुछ ही दिनों में रिफंड आपके अकाउंट में भी आ जाता है। फेसलेस असेसमेंट स्कीम भी टैक्सपेयर्स को परेशानियों से बचा रही है। गवर्नेंस में efficiency से जुड़े ऐसे अनेक रिफॉर्म्स ने दुनिया को एक नया गवर्नेंस मॉडल दिया है।

साथियों,

पिछले 10-11 साल में भारत हर सेक्टर में बदला है, हर क्षेत्र में आगे बढ़ा है। और एक बड़ा बदलाव सोच का आया है। आज़ादी के बाद के अनेक दशकों तक, भारत में ऐसी सोच को बढ़ावा दिया गया, जिसमें सिर्फ विदेशी को ही बेहतर माना गया। दुकान में भी कुछ खरीदने जाओ, तो दुकानदार के पहले बोल यही होते थे – भाई साहब लीजिए ना, ये तो इंपोर्टेड है ! आज स्थिति बदल गई है। आज लोग सामने से पूछते हैं- भाई, मेड इन इंडिया है या नहीं है?

साथियों,

आज हम भारत की मैन्युफैक्चरिंग एक्सीलेंस का एक नया रूप देख रहे हैं। अभी 3-4 दिन पहले ही एक न्यूज आई है कि भारत ने अपनी पहली MRI मशीन बना ली है। अब सोचिए, इतने दशकों तक हमारे यहां स्वदेशी MRI मशीन ही नहीं थी। अब मेड इन इंडिया MRI मशीन होगी तो जांच की कीमत भी बहुत कम हो जाएगी।

|

साथियों,

आत्मनिर्भर भारत और मेक इन इंडिया अभियान ने, देश के मैन्युफैक्चरिंग सेक्टर को एक नई ऊर्जा दी है। पहले दुनिया भारत को ग्लोबल मार्केट कहती थी, आज वही दुनिया, भारत को एक बड़े Manufacturing Hub के रूप में देख रही है। ये सक्सेस कितनी बड़ी है, इसके उदाहरण आपको हर सेक्टर में मिलेंगे। जैसे हमारी मोबाइल फोन इंडस्ट्री है। 2014-15 में हमारा एक्सपोर्ट, वन बिलियन डॉलर तक भी नहीं था। लेकिन एक दशक में, हम ट्वेंटी बिलियन डॉलर के फिगर से भी आगे निकल चुके हैं। आज भारत ग्लोबल टेलिकॉम और नेटवर्किंग इंडस्ट्री का एक पावर सेंटर बनता जा रहा है। Automotive Sector की Success से भी आप अच्छी तरह परिचित हैं। इससे जुड़े Components के एक्सपोर्ट में भी भारत एक नई पहचान बना रहा है। पहले हम बहुत बड़ी मात्रा में मोटर-साइकल पार्ट्स इंपोर्ट करते थे। लेकिन आज भारत में बने पार्ट्स UAE और जर्मनी जैसे अनेक देशों तक पहुंच रहे हैं। सोलर एनर्जी सेक्टर ने भी सफलता के नए आयाम गढ़े हैं। हमारे सोलर सेल्स, सोलर मॉड्यूल का इंपोर्ट कम हो रहा है और एक्सपोर्ट्स 23 गुना तक बढ़ गए हैं। बीते एक दशक में हमारा डिफेंस एक्सपोर्ट भी 21 गुना बढ़ा है। ये सारी अचीवमेंट्स, देश की मैन्युफैक्चरिंग इकोनॉमी की ताकत को दिखाती है। ये दिखाती है कि भारत में कैसे हर सेक्टर में नई जॉब्स भी क्रिएट हो रही हैं।

साथियों,

TV9 की इस समिट में, विस्तार से चर्चा होगी, अनेक विषयों पर मंथन होगा। आज हम जो भी सोचेंगे, जिस भी विजन पर आगे बढ़ेंगे, वो हमारे आने वाले कल को, देश के भविष्य को डिजाइन करेगा। पिछली शताब्दी के इसी दशक में, भारत ने एक नई ऊर्जा के साथ आजादी के लिए नई यात्रा शुरू की थी। और हमने 1947 में आजादी हासिल करके भी दिखाई। अब इस दशक में हम विकसित भारत के लक्ष्य के लिए चल रहे हैं। और हमें 2047 तक विकसित भारत का सपना जरूर पूरा करना है। और जैसा मैंने लाल किले से कहा है, इसमें सबका प्रयास आवश्यक है। इस समिट का आयोजन कर, TV9 ने भी अपनी तरफ से एक positive initiative लिया है। एक बार फिर आप सभी को इस समिट की सफलता के लिए मेरी ढेर सारी शुभकामनाएं हैं।

मैं TV9 को विशेष रूप से बधाई दूंगा, क्योंकि पहले भी मीडिया हाउस समिट करते रहे हैं, लेकिन ज्यादातर एक छोटे से फाइव स्टार होटल के कमरे में, वो समिट होती थी और बोलने वाले भी वही, सुनने वाले भी वही, कमरा भी वही। TV9 ने इस परंपरा को तोड़ा और ये जो मॉडल प्लेस किया है, 2 साल के भीतर-भीतर देख लेना, सभी मीडिया हाउस को यही करना पड़ेगा। यानी TV9 Thinks Today वो बाकियों के लिए रास्ता खोल देगा। मैं इस प्रयास के लिए बहुत-बहुत अभिनंदन करता हूं, आपकी पूरी टीम को, और सबसे बड़ी खुशी की बात है कि आपने इस इवेंट को एक मीडिया हाउस की भलाई के लिए नहीं, देश की भलाई के लिए आपने उसकी रचना की। 50,000 से ज्यादा नौजवानों के साथ एक मिशन मोड में बातचीत करना, उनको जोड़ना, उनको मिशन के साथ जोड़ना और उसमें से जो बच्चे सिलेक्ट होकर के आए, उनकी आगे की ट्रेनिंग की चिंता करना, ये अपने आप में बहुत अद्भुत काम है। मैं आपको बहुत बधाई देता हूं। जिन नौजवानों से मुझे यहां फोटो निकलवाने का मौका मिला है, मुझे भी खुशी हुई कि देश के होनहार लोगों के साथ, मैं अपनी फोटो निकलवा पाया। मैं इसे अपना सौभाग्य मानता हूं दोस्तों कि आपके साथ मेरी फोटो आज निकली है। और मुझे पक्का विश्वास है कि सारी युवा पीढ़ी, जो मुझे दिख रही है, 2047 में जब देश विकसित भारत बनेगा, सबसे ज्यादा बेनिफिशियरी आप लोग हैं, क्योंकि आप उम्र के उस पड़ाव पर होंगे, जब भारत विकसित होगा, आपके लिए मौज ही मौज है। आपको बहुत-बहुत शुभकामनाएं।

धन्यवाद।