QuotePM Modi lays foundation stone for new office complex for Vanijya Bhawan
QuoteWe are breaking silos within the working of the Government; we are moving from silos to solutions: PM Modi
QuoteIt is our collective responsibility to fulfil the aspirations of our youth: PM Modi
QuoteIndia is now playing an important role in the global economy, says PM Modi
QuoteEfforts must be made to raise domestic manufacturing output, to reduce imports: PM Modi

আমার মন্ত্রিমণ্ডলের সদস্য, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী শ্রী সুরেশ প্রভু মহোদয়, আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী মহোদয়, বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী সি আর চৌধুরী মহোদয়, বাণিজ্য মন্ত্রক ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারিকগণ এবং এখানে উপস্থিত অন্যান্য মাননীয় ব্যক্তিবর্গ।

 

সবার আগে আমি সবাইকে এই বাণিজ্য ভবনের শিলান্যাস উপলক্ষে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। মঞ্চে ঘোষণা করা হয়েছে যে, আগামী বছর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এর নির্মাণ সম্পূর্ণ হবে! আশা করি, এই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এটির কাজ শেষ হবে এবং জনগণ লাভবান হবেন।

 

বন্ধুগণ, সবার আগে সময়ের কথা বলার কারণ হ’ল, বর্তমান সরকারের আমলে যতগুলি শিলান্যাস আমি করেছি, সেগুলি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উদ্বোধনও করেছি অথবা উদ্বোধনের তারিখ নির্দিষ্ট হয়ে আছে। এর মাধ্যমে আমাদের কর্মসংস্কৃতি প্রতিফলিত হয়, নতুন ভারতের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া দেশ আর পুরনো ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্যও এ থেকে বোঝা যায়।

 

বন্ধুগণ, আমি আপনাদের কিছু উদাহরণ দিতে চাই। আমার মনে পড়ে, ২০১৬ সালে প্রবাসী ভারতীয় কেন্দ্র উদ্বোধনের সময় এই তথ্য সামনে উঠে আসে যে এটির ঘোষণা হয়েছিল মাননীয় অটল বিহারী বাজপেয়ীর সময়ে, তারপর এটি মূর্তরূপ নিতে ১২ বছর লেগেছে।

 

|

গত বছর ডিসেম্বরে যে ডঃ আম্বেদকর আন্তর্জাতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছি, সেটি নির্মাণের সিদ্ধান্তও ১৯৯২ সালে নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু শিলান্যাস হয়েছে ২০১৫ সালে, কোথায় ১৯৯২ আর কোথায় ২০১৫, এর উদ্বোধন হয়েছে ২০১৭ সালে। অর্থাৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর একটি কেন্দ্র গড়ে উঠতে ২৩-২৪ বছরও লেগেগিয়েছে।

 

বন্ধুগণ, এ বছর মার্চ মাসে আমি কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন (সিআইসি)-এর নতুন ভবন দেশকে উৎসর্গ করেছি। গত ১২ বছর ধরে এই ভবন নির্মাণ নিয়ে টালবাহানা চলছিল। কিন্তু এনডিএ সরকারই এই কাজ শুরু করায় এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ করে।

 

আরেকটি উদাহরণ হ’ল, আলিপুর রোড-এ নির্মিত ‘আম্বেদকর রাষ্ট্রীয় স্মারক’। এই ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনেক বছর আগে হলেও দ্রুতগতিতে কাজ শুরু হয়েছিল অটল বিহারী বাজপেয়ী মহোদয়ের আমলে। কিন্তু তারপর ১০-১২ বছর কাজ বন্ধ ছিল। আমরা সরকারের দায়িত্ব নিয়ে আবার কাজ শুরু করাই আর দু’মাস আগে এর উদ্বোধন হয়।

 

দিল্লির এই চারটি ভবন নির্মাণের ইতিহাস বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যায় যে, ঢিমেতাল থেকে মুক্তি পেতে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সবাই মিলে কাজ করলে কত দ্রুত, কত ভালো পরিণাম পাওয়া যায়। দেশ এখন প্রত্যেক কাজে ঢিলেমির প্রবৃত্তি থেকে অনেক এগিয়ে গেছে।

 

আমি খুশি যে, আজ দিল্লিতে এহেন পঞ্চম প্রতীক যুক্ত হওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এই নির্মীয়মান বাণিজ্য ভবনও একটি ছাদের নীচে বাণিজ্য ক্ষেত্রের সমস্ত ঢিমেতাল নিরসনের কাজ আরও ভালোভাবে করা হবে বলে আমার বিশ্বাস। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এটি যথাসময়ে সম্পূর্ণও হবে।

 

বন্ধুগণ, আজ ভারত সময়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দাঁড়িয়ে। আমাদের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশের বয়স ৩৫ বছরের নীচে, এই তারুণ্যের প্রাণশক্তি আমাদের গণতন্ত্রকে একবিংশ শতাব্দীর ভিত্তি দিয়েছে। তাঁদের আশা-আকাঙ্খার পূর্তি নিছকই কিছু মন্ত্রকের নয়, আমাদের সকলের সামগ্রিক দায়িত্ব।

 

ভারত বিগত শতাব্দীতে বিভিন্ন কারণে শিল্প বিপ্লবের সদ্ব্যবহার করতে পারেনি। কিন্তু আজ ঠিক সেইসব কারণেই ভারত একবিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তি বিপ্লবে অন্যতম নেতৃত্ব প্রদানকারী শক্তি হয়ে উঠতে পারে। এই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রধান ভিত্তি ডিজিটাল প্রযুক্তি, আজকের ভারত নিশ্চিতভাবেই এই নিরিখে বিশ্বের অনেক দেশ থেকে অনেক এগিয়ে।

 

আপনাদের বাণিজ্য মন্ত্রকের সমস্ত কাজেও আপনারা আজ নিশ্চয়ই ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রাধান্য লক্ষ্য করেছেন।

 

এই নির্মীয়মান বাণিজ্য ভবন যে মাটিতে গড়ে উঠেছে, তা আগে ‘ডাইরেক্টোরেট জেনারেল অফ সাপ্লাইস্‌ অ্যান্ড ডিসপোসাল’-এর দপ্তর ছিল। এই শতবর্ষ পুরনো বিভাগ এখন বন্ধ হয়ে তার স্থান নিয়েছে ডিজিটাল প্রযুক্তি নির্ভর সরকারি ই-মার্কেটপ্লেস – জিইএম। এই জিইএম সরকারের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়ের গোটা পদ্ধতিই সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ ১৭ হাজারেরও বেশি ছোট-বড় বিক্রেতা কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এই বিক্রেতাদের জিইএম-এর মাধ্যমে ৫ লক্ষেরও বেশি দ্রব্য সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনেক কম সময়ে জিইএম-এর মাধ্যমে ৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকার জিনিস কেনা হয়েছে। দেশের অসংখ্য দূর-দূরান্তের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও কুটির শিল্পের মালিকের কাছ থেকে এভাবে সরকারি দপ্তরগুলির জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার কৃতিত্ব বাণিজ্য মন্ত্রকের। কিন্তু এই ঘটনা আপনাদের জন্য এক দীর্ঘযাত্রার শুভ সূচনা বলে মনে করি।

 

আর কিভাবে জিইএম-কে জনপ্রিয় এবং সুদূরপ্রসারিত করা যায়, কিভাবে এদেশের ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দ্বারা উৎপাদিত দ্রব্যাদিকে রপ্তানিকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের শরিক করে তোলা যায়, সে বিষয়ে অনেক কিছু করা বাকি। আজ দেশে ৪০ কোটিরও বেশি স্মার্ট ফোন, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা, সস্তা ডেটা আপনাদের কাজকে সহজ করে দিচ্ছে।

 

বন্ধুগণ, আমাদের শাস্ত্রে রয়েছে যে – কো হি ভাবঃ সমর্থানাম্‌ কিম্‌ দূর ব্যবসায়িনাম্‌। অর্থাৎ, শক্তিমানের জন্য কোনও ওজন ভারী হয় না। তেমনই ব্যবসায়ীদের জন্য কোনও স্থান দূর হয় না! আজ প্রযুক্তি বাণিজ্যকে এত সুগম করে তুলেছে যে, প্রতিদিন আরও দূরত্ব হ্রাস পাচ্ছে। দেশের বণিক সম্প্রদায় এই প্রযুক্তিকে যত বেশি আত্মীকরণ করে নেবে, বাণিজ্য সংস্কৃতির যত গভীরে প্রযুক্তির বিস্তার ঘটবে, তত বেশি দেশের জনগণ লাভবান হবেন।

 

আমরা দেখেছি যে, কিভাবে এক বছরেরও কম সময়ে জিএসটি দেশে বাণিজ্য প্রক্রিয়ায় বদল এনেছে। প্রযুক্তি না থাকলে কি এটা সম্ভব হ’ত? কখনোই না। আজ জিএসটি’র কারণেই দেশে অপ্রত্যক্ষ কর এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সংযুক্তিকরণ ত্বরান্বিত হয়েছে।

|

স্বাধীনতার পর থেকে গত বছর পর্যন্ত আমাদের দেশে মাত্র ৬০ লক্ষ মানুষ অপ্রত্যক্ষ কর প্রক্রিয়ার অংশ ছিল। জিএসটি চালু হওয়ার পর গত এক বছরে ৫৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ সংযুক্তিকরণের জন্য আবেদন করেছেন এবং ইতিমধ্যেই ৪৭ লক্ষেরও অধিক মানুষের নিবন্ধীকরণ হয়েছে। ফলে, দেশে এখন মোট নিবন্ধীকৃত ব্যক্তির সংখ্যা ১ কোটিরও অধিক।

 

এই সাফল্য প্রমাণ করে যে, প্রক্রিয়া সরল হলে ন্যূনতম সরকার, অধিকতম প্রশাসনের পথে চললে সুফল লাভের পাশাপাশি, বেশি সংখ্যক মানুষ উন্নয়নের মূল ধারায় যুক্ত হওয়ার পথে পা বাড়ান।

 

বন্ধুগণ, আপনারা খুব ভালোভাবেই জানেন যে, বিগত চার বছরে সরকার জন-বান্ধব, উন্নয়ন-বান্ধব এবং বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়েছে। যাবতীয় আন্তর্জাতিক প্রতিস্পর্ধা সত্ত্বেও ভারতের ম্যাক্র-ইকনোমিক সূচকগুলি স্থিতিশীল রয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি, রাজস্ব ঘাটতি, কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স – এসব ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী সরকারগুলির তুলনায় অনেক অগ্রগতি করা সম্ভব হয়েছে।

 

আজ ভারত বিশ্ব অর্থ ব্যবস্থার অগ্রগতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। গত ত্রৈমাসিকে দেশের প্রবৃদ্ধি হার ৭.৭ শতাংশ ছুঁয়েছে। বিগত চার বছরে বিদেশি বিনিয়োগ রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়েছে।

 

আজ ভারত প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ তালিকাসূচিতে প্রথম দুটি ক্রমবর্ধমান বাজার অর্থনীতির দেশের অন্যতম। সহজে বাণিজ্য স্থাপন তালিকাসূচির র‍্যাঙ্কিং-এ ১৪২তম স্থান থেকে ১০০তম স্থানে পৌঁছনো, লজিস্টিক পারফরম্যান্স তালিকাসূচিতেও ১৯ ধাপ এগোনো, বিশ্ব প্রতিযোগিতামূলক তালিকাসূচির র‍্যাঙ্কিং-এ ৭১তম স্থান থেকে ৩৯তম স্থানে পৌঁছনো, বিশ্ব উদ্ভাবন তালিকাসূচিতে ২১ ধাপ এগোনো – এই সরকারের দূরদৃষ্টির ফল।

 

আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে, সম্প্রতি ভারত বিশ্বে প্রথম পাঁচটি অর্থনৈতিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু এই ইতিবাচক সূচকগুলি দেখে আত্মসন্তুষ্টি নয়, বরং আমাদের এখন দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি হারের লক্ষ্য নিয়ে এগোতে হবে। ভারত কত বছরের মধ্যে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার ক্লাবের সদস্য হয়, সেদিকে এখন গোটা বিশ্ব আগ্রহ সহকারে তাকিয়ে আছে।

 

আমি মনে করি যে, বাণিজ্য মন্ত্রকের সকল দায়িত্বপূর্ণ আধিকারিকদের এই লক্ষ্যকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নেওয়া উচিৎ। আর্থিক ক্ষেত্রের এই অগ্রগতি সরাসরি দেশের সাধারণ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে।

 

সেজন্য আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন যে, যখনই সহজে বাণিজ্য, সহজে ব্যবসা স্থাপনের কথা বলি, পাশাপাশি, জীবনযাত্রা সরল করার কথাও বলি। আজকের অন্তর্সম্পর্কিত বিশ্বে এসব বিষয় পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত।

 

যখন বিদ্যুৎ সংযোগ সহজে পাওয়া যায়, নির্মাণ সংক্রান্ত মঞ্জুরি দ্রুত পাওয়া যায়, যখন শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলিকে কোনও জটিলতার সম্মুখীন হতে হয় না, এসব কিছু দ্বারা সাধারণ মানুষও লাভবান হন। সেজন্য আপনাদের জন্যও এটা চ্যালেঞ্জ যে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে এখনও যে সামান্য ঢিমেতাল পরিলক্ষিত হচ্ছে, সেসব ক্ষেত্রের স্থিতিকে গতি দিতে হবে! বিশেষ করে, পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা, উচ্চ রূপান্তরণ ব্যয় নির্মাণের গতি হ্রাস করে, পরিষেবাগুলির অ-যথাযথ গতিপথ পরিবর্তন করে, গতিরোধ করে – সেই সমস্যাগুলি দ্রুত নিরসনের প্রয়োজন রয়েছে।

 

আমি আনন্দিত যে, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার বাণিজ্য বিভাগ লজিস্টিক সেক্টরের সম্পূর্ণ বা একীকৃত উন্নয়নের কাজ শুরু করেছে। এই উদ্যোগ নিশ্চিতভাবেই দেশে বাণিজ্যিক পরিবেশ সংস্কারে অনেক বড় ভূমিকা পালন করবে!

 

বন্ধুগণ, ইন্টিগ্রেটেড লজিস্টিক অ্যাকশন প্ল্যান আজ সময়ের চাহিদা আর নতুন ভারতের প্রয়োজনও। নীতি পরিবর্তন করে, বর্তমান প্রক্রিয়া সংস্কার এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করে এই লক্ষ্য পূরণ সম্ভব।

 

আমাকে বলা হয়েছে যে, এই লক্ষ্যে বাণিজ্য বিভাগ একটি অনলাইন পোর্টাল গড়ে তোলার কাজ করছে। বিশ্ব বাণিজ্যে ভারতের উপস্থিতি আরও শক্তিশালী করতে কেন্দ্রীয় সরকারের সকল মন্ত্রক এবং সমস্ত রাজ্যগুলির উচিৎ মিলেমিশে কাজ করা।

 

‘কাউন্সিল ফর ট্রেড ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্রোমোশন’ রাজ্য সরকারগুলি এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে উৎসাহ যোগাতে ইতিবাচক পরিবেশ গড়ে তোলার কাজ করছে। ভারতের রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে হলে রাজ্যগুলির সক্রিয় অংশীদারিত্ব জরুরি।

 

আমি মনে করি যে, রাজ্যগুলি রাজ্যভিত্তিক রপ্তানি কৌশল রচনা করে জাতীয় বাণিজ্য নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, সংশ্লিষ্ট সকলকে সঙ্গে নিয়ে এই লক্ষ্যে যত এগিয়ে যাবে, ততই দেশের লাভ হবে।

 

বন্ধুগণ, আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতের উপস্থিতি বাড়াতে আমাদের পারস্পরিক উৎপাদিত পণ্যের বাজার বজায় রেখে নতুন পণ্যগুলির নতুন বাজার পেতে জোড় দিতে হবে। দেশের অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্যও নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।

 

আমরা যখন স্বল্পমেয়াদী উন্নয়নের লাভগুলির সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্বের মধ্যে একটি ভারসাম্য রক্ষা করে চলে, তা হলে এর সুফলও নজরে আসবে।

 

গত বছর ডিসেম্বরে বিদেশ বাণিজ্য নীতি নিয়ে যে ‘মিডটার্ম রিভিউ’ করা হয়েছিল, তাকেও আমি অত্যন্ত ইতিবাচক উদ্যোগ বলে মনে করি। ‘ইনসেনটিভ’ বাড়িয়ে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রকে ‘হ্যান্ড হোল্ডিং’ করে রপ্তানি বৃদ্ধির সুবিধার্থে নেওয়া সমস্ত পরিবর্তনই প্রশংসনীয়। এতে দেশে কর্মসংস্থানও প্রভাবিত হবে।

 

একদিকে গুরুত্বপূর্ণ হ’ল পণ্যের গুণমান, সেজন্য আমি ২০১৪ সালের ১৫ আগস্ট লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রথমবার দেশকে সম্বোধিত করার সময় ‘জিরো ডিফেক্ট, জিরো এফেক্ট’-এর আহ্বান করেছিলাম। ক্ষুদ্র, মাঝারি কিংবা বৃহৎ – যে কোনও শিল্পের ক্ষেত্রেই এমন ত্রুটিহীন পণ্য রপ্তানি করতে হবে, যাতে সেগুলি গুণমানের নিরিখে আন্তর্জাতিক মানের হয়, ত্রুটির জন্য ফেরৎ না আসে। পাশাপাশি, এগুলি উৎপাদন করতে গিয়ে আমাদের পরিবেশের যেন কোনও ক্ষতি না হয়।

 

পণ্যের গুণবত্তা সংক্রান্ত সচেতনতা ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সৌকর্য বৃদ্ধি এবং ‘নতুন ভারত’-এর পরিচিতিকে নির্ভরভোগ্য করে তুলবে। আপনারা দেখেছেন যে, ২০১৪ সালে আমাদের দেশে মাত্র দুটি মোবাইল ফোন নির্মাণ কারখানা ছিল, যা এখন বেড়ে ১২০টি কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। এরা অত্যন্ত সুলভে বিশ্বমানের ফোন উৎপাদন ও রপ্তানি করে সুনাম অর্জন করছে।

 

বন্ধুগণ, এই সময় সংকল্প গ্রহণের চ্যালেঞ্জ স্বীকার করার। দেশের বাণিজ্য বিভাগ কি বিশ্বের প্রয়োজন অনুসারে ভারতের মোট রপ্তানিকে ১.৬ শতাংশ থেকে দ্বিগুণের একটু বেশি ৩.৪ শতাংশে পৌঁছে দেওয়ার সংকল্প গ্রহণ করবে? তা হলে এটি বিশ্ব অর্থনীতিতে জিডিপি’র, ভারতের অবদানের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করবে। ফলে, দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ আরও বাড়বে আর আমাদের মাথাপিছু আয়ও বৃদ্ধি পাবে।

 

এই সাফল্যের জন্য সরকারের সকল বিভাগের সঙ্গে এখানে উপস্থিত রপ্তানি উন্নয়ন কাউন্সিলের প্রত্যেক সদস্যের মিলিত প্রচেষ্টা করতে হবে।

 

এছাড়া আমদানি নিয়েও সংকল্প গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে। আমরা কি কিছু নির্বাচিত ক্ষেত্রে আমদানি নির্ভরতা হ্রাস করতে পারি? জ্বালানি, শক্তি, বৈদ্যুতিন পণ্য, প্রতিরক্ষা সামগ্রী কিংবা চিকিৎসা সরঞ্জামের ক্ষেত্রে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’কে যথাসম্ভব উৎসাহ প্রদান করতে পারলেই এসব ক্ষেত্রে আমদানি হ্রাস করা যাবে।

 

দেশজ উৎপাদন বাড়িয়ে ১০ শতাংশ আমদানি হ্রাস করতে পারলে দেশে বছরে সাড়ে তিন লক্ষ কোটি টাকা সাশ্রয় হতে পারে, যা দেশের প্রবৃদ্ধি হারকে দুই সংখ্যায় পৌঁছে দিতে কার্যকরি ভূমিকা পালন করতে পারে! শুধু বৈদ্যুতিন সামগ্রীর ক্ষেত্রেই দেশের মোট চাহিদার ৬৫ শতাংশ আমাদের বিদেশ থেকে কিনতে হয়। মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে আমরা যে বিপ্লব ঘটাতে পেরেছি, অন্যান্য বৈদ্যুতিন সামগ্রীর ক্ষেত্রেও তা দেশকে স্বনির্ভর করে তুলতে পারব না?

 

বন্ধুগণ, এই আমদানি নির্ভরতা হ্রাস করতে গত বছর সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’কে অগ্রাধিকার দেওয়ার আদেশের মাধ্যমে দেশজ উৎপাদন ও উৎস থেকেই কিনতে জোর দেওয়া হয়েছে। এই আদেশকে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা চালাতে হবে।

 

সেজন্য আপনাদের সবাইকে সরকারের সমস্ত তদারকি ব্যবস্থাকে কার্যকর করে আদেশ পালন সুনিশ্চিত করতে হবে।

 

দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করতে সরকার আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্কে সরলতা আনা, বিনিয়োগ-বান্ধব নীতি নির্ণয়, পরিকাঠামো এবং লজিস্টিক্সে জোড় দেওয়া – এই সমস্ত কিছু আমরা ভারতকে স্বনির্ভর করে তোলার জন্য করছি, যাতে একবিংশ শতাব্দীর শিল্প বিপ্লবে আমরা এক পা-ও পিছিয়ে না পড়ি। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র ক্রমবর্ধমান গৌরবই এই নির্মীয়মান বাণিজ্য ভবনের ভবিষ্যৎ গর্ব বৃদ্ধির কারণ।

 

বন্ধুগণ, এখানে আসার আগে আপনারা আমাকে দিয়ে আরেকটি শুভকাজ করিয়েছেন, এই নির্মীয়মান ভবন পরিসরে মৌলশ্রী বা বকুল ফুলের গাছ লাগানোর সৌভাগ্য আমার হয়েছে। পৌরাণিক সময় থেকে আমাদের শাস্ত্রে এই বৃক্ষের নানা ঔষধি গুণের কথা লেখা রয়েছে। তাছাড়া, এই বৃক্ষ দীর্ঘজীবী হবে বছরের পর বছর মানুষকে ছায়া দেবে। আমাকে বলা হয়েছে যে, এই পরিসরে প্রায় হাজারটি বৃক্ষরোপণের পরিকল্পনা রয়েছে। তাই আমি নিশ্চিত যে, এই নির্মীয়মান বাণিজ্য ভবনের সঙ্গে প্রকৃতির নিবিড় যোগাযোগ এখানে কর্মরত মানুষদের আনন্দে রাখবে, সুস্থ রাখবে।

 

পরিবেশ-বান্ধব অথচ আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ আবহে আপনারা সকলে নতুন ভারতের জন্য নিজেদের উৎসর্গ করবেন – এই কামনা-সহ আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি।

 

আপনাদের সবাইকে আরেকবার এই বাণিজ্য ভবনের শিলান্যাস উপলক্ষে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

 

ধন্যবাদ।

  • krishangopal sharma Bjp January 14, 2025

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷
  • krishangopal sharma Bjp January 14, 2025

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹
  • krishangopal sharma Bjp January 14, 2025

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷
  • Reena chaurasia August 29, 2024

    modi
  • Reena chaurasia August 29, 2024

    bjp
  • Govindan Krishnamurthy October 03, 2022

    Excellent
  • R N Singh BJP June 27, 2022

    jai hind
  • Laxman singh Rana June 23, 2022

    नमो नमो 🇮🇳🌷
  • Laxman singh Rana June 23, 2022

    नमो नमो 🇮🇳
  • G.shankar Srivastav June 11, 2022

    G.shankar Srivastav
Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Laying the digital path to a developed India

Media Coverage

Laying the digital path to a developed India
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
This decade is becoming the decade of Uttarakhand: PM Modi at Harsil
March 06, 2025
QuoteBlessed to be in Devbhoomi Uttarakhand once again: PM
QuoteThis decade is becoming the decade of Uttarakhand: PM
QuoteDiversifying our tourism sector, making it perennial, is very important for Uttarakhand: PM
QuoteThere should not be any off season, tourism should be on in every season in Uttarakhand: PM
QuoteOur governments at Center and state are working together to make Uttarakhand a developed state: PM

गंगा मैया की जय।

गंगा मैया की जय।

गंगा मैया की जय।

भारत माता की जय।

भारत माता की जय।

भारत माता की जय!

उत्तराखंड का म्यारा प्यारा भै-वैण्यों, आप सबी तैं मेरी सेवा-सौंली, नमस्कार!

यहां के ऊर्जावान मुख्यमंत्री, मेरे छोटे भाई पुष्कर सिंह धामी जी, केंद्रीय मंत्री श्री अजय टम्टा जी, राज्य के मंत्री सतपाल महाराज जी, संसद में मेरे साथी और भारतीय जनता पार्टी के प्रदेश अध्यक्ष महेंद्र भट्ट जी, संसद में मेरे साथी माला राज्य लक्ष्मी जी, विधायक सुरेश चौहान जी, सभी गणमान्य लोग, भाइयों और बहनों।

सबसे पहले मैं माणा गांव में कुछ दिन पहले जो हादसा हुआ है, उस पर अपना दु:ख व्यक्त करता हूं। मैं हादसे में जान गंवाने वाले साथियों के परिवारों के प्रति अपनी संवेदना प्रकट करता हूं। संकट की घड़ी में देश के लोगों ने जो एकजुटता दिखाई है, उससे पीड़ित परिवारों को बहुत हौसला मिला है।

|

साथियों,

उत्तराखंड की ये भूमि, हमारी ये देवभूमि, आध्यात्मिक ऊर्जा से ओतप्रोत है। चार धाम और अनंत तीर्थों का आशीर्वाद, जीवनदायिनी मां गंगा का ये शीतकालीन गद्दी स्थल, आज एक बार फिर यहाँ आकर, आप सब अपने परिवारजनों से मिलकर, मैं धन्य हो गया हूं। माँ गंगा की कृपा से ही मुझे दशकों तक उत्तराखंड की सेवा का सौभाग्य मिला है। मैं मानता हूँ, उन्हीं के आशीर्वाद से मैं काशी तक पहुंचा, और अब सांसद के रूप में काशी की सेवा कर रहा हूँ। और इसलिए, मैंने काशी में कहा भी था- मुझे माँ गंगा ने बुलाया है। और कुछ महीने पहले मुझे ये भी अनुभूति हुई कि जैसे मां गंगा ने मुझे अब गोद ले लिया है। ये माँ गंगा की ही दुलार है। अपने इस बच्चे के प्रति उनका स्नेह है कि आज मैं उनके मायके मुखवा गांव आया हूँ। यहाँ मुझे मुखीमठ-मुखवा में दर्शन पूजन का भी सौभाग्य प्राप्त हुआ है।

साथियों,

आज हर्षिल की इस धरती पर आया हूं तो मैं अपनी दीदी-भुलियों के स्नेह को भी याद कर रहा हूं। वो मुझे हर्षिल का राजमा और दूसरे लोकल प्रोडक्ट्स भेजती रहती हैं। आपके इस लगाव और उपहार के लिए मैं आपका आभारी हूं।

साथियों,

कुछ साल पहले जब मैं बाबा केदारनाथ के दर्शन के लिए, बाबा के चरणों में गया था, तो बाबा के दर्शन-अर्चन के बाद मेरे मुंह से अचानक कुछ भाव प्रकट हुए थे, और मैं बोल पड़ा था- ये दशक उत्तराखंड का दशक होगा। वो शब्द मेरे थे, भाव मेरे थे, लेकिन उनके पीछे सामर्थ्य देने की शक्ति स्वयं बाबा केदारनाथ ने दी थी। मैं देख रहा हूँ, बाबा केदार के आशीर्वाद से धीरे-धीरे वो शब्द, वो भाव सच्चाई में, हकीकत में बदल रहे हैं। ये दशक उत्तराखंड का बन रहा है। यहां उत्तराखंड की प्रगति के लिए नए-नए रास्ते खुल रहे हैं। जिन आकांक्षाओं को लेकर उत्तराखंड का जन्म हुआ था, उत्तराखंड के विकास के लिए जो संकल्प हमने लिए थे, नित नई सफलताओं और नए लक्ष्यों की ओर बढ़ते हुए वो संकल्प आज पूरे हो रहे हैं। इसी दिशा में, शीतकालीन पर्यटन एक और बड़ा महत्वपूर्ण कदम है। इसके माध्यम से उत्तराखंड के आर्थिक सामर्थ्य को साकार करने में बहुत बड़ी मदद मिलेगी। मैं इस अभिनव प्रयास के लिए धामी जी को, उत्तराखंड सरकार को बहुत-बहुत बधाई देता हूँ, और उत्तराखंड की प्रगति के लिए कामना करता हूँ।

|

साथियों,

अपने टूरिज्म सेक्टर को diversify करना, बारहमासी बनाना, 365 दिन, ये उत्तराखंड के लिए बहुत जरूरी है। मैं चाहता हूं कि उत्तराखंड में कोई भी सीजन हो, कोई भी सीजन ऑफ सीजन ना हो, हर सीजन में टूरिज्म ऑन रहे। अब ऑफ नहीं ऑन का जमाना। अभी पहाड़ों पर पर्यटन सीजन के हिसाब से चलता है। आप सब जानते हैं, मार्च, अप्रैल, मई, जून के महीने में बड़ी संख्या में पर्यटक आते हैं, लेकिन इसके बाद उनकी गिनती बहुत कम हो जाती है। सर्दियों में अधिकतर होटल्स, resorts और होमस्टे खाली पड़े रहते हैं। ये असंतुलन उत्तराखंड में, साल के एक बड़े हिस्से में आर्थिक सुस्ती ला देता है, इससे पर्यावरण के लिए भी चुनौती पैदा होती है।

साथियों,

सच्चाई ये है कि अगर देश-विदेश के लोग सर्दियों के मौसम में यहाँ आएं, तो उन्हें सच्चे अर्थ में देवभूमि की आभा का वास्तविक परिचय मिलेगा। विंटर टूरिज्म में यहां लोगों को ट्रैकिंग, स्कीइंग जैसी Activities का रोमांच, सचमुच में रोमांचित कर देगा। धार्मिक यात्रा के लिए भी उत्तराखंड में सर्दियों का समय बेहद खास होता है। कई तीर्थ स्थलों पर इसी समय विशेष अनुष्ठान भी होते हैं। यहां मुखवा गांव में ही देखिए, यहाँ जो धार्मिक अनुष्ठान किया जाता है, वो हमारी प्राचीन और अद्भुत परंपरा का हिस्सा है। इसलिए, उत्तराखंड सरकार का बारहमासी पर्यटन का विजन, 365 दिन के पर्यटन का विजन लोगों को दिव्य अनुभूतियों से जुड़ने का अवसर देगा। इससे यहां साल भर उपलब्ध रहने वाले रोजगार के अवसर विकसित होंगे, इसका बड़ा फायदा उत्तराखंड के स्थानीय लोगों को होगा, यहां के युवाओं को होगा।

साथियों,

उत्तराखंड को विकसित राज्य बनाने के लिए हमारी डबल इंजन सरकार मिलकर काम कर रही हैं। चारधाम-ऑल वेदर रोड, आधुनिक एक्सप्रेस-वे, राज्य में रेलवे, विमान औऱ हेलीकॉप्टर सेवाओं का विस्तार, 10 वर्षों में उत्तराखंड में तेजी से विकास हुआ है। अभी कल ही उत्तराखंड के लिए केंद्र सरकार ने बहुत बड़े निर्णय लिए हैं। कल केंद्रीय कैबिनेट ने केदारनाथ रोपवे प्रोजेक्ट और हेमकुंड रोपवे प्रोजेक्ट को मंजूरी दे दी है। केदारनाथ रोपवे बनने के बाद जो यात्रा 8 से 9 घंटे में पूरी होती है, अब उसे लगभग 30 मिनट में पूरा किया जाएगा। इससे बुजुर्गों, बच्चों, महिलाओं के लिए केदारनाथ यात्रा और सुगम हो जाएगी। इन रोप-वे प्रोजेक्ट्स पर हजारों करोड़ रुपए खर्च किए जाएंगे। मैं उत्तराखंड समेत पूरे देश को इन प्रोजेक्ट्स की बधाई देता हूं।

|

साथियों,

आज पहाड़ों पर इको लॉग हट्स, कन्वेंशन सेंटर, हेलीपैड इंफ्रास्ट्रक्चर पर फोकस भी किया जा रहा है। उत्तराखंड के टिम्मर-सैण महादेव, माणा गांव, जादुंग गांव में टूरिज्म इंफ्रास्ट्रक्चर नए सिरे से विकसित हो रहा है, और देशवासियों को पता होगा, शायद नहीं होगा, 1962 में जब चीन ने भारत पर आक्रमण किया, तब ये हमारा जादुंग गांव को खाली करवा दिया गया था, ये हमारे दो गांव खाली कर दिए गए थे। 60-70 साल हो गए, लोग भूल गए, हम नहीं भूल सकते, हमने उन दो गांवों को फिर से बसाने का अभियान चलाया है, और बहुत बड़ा टूरिस्ट डेस्टिनेशन बनाने की दिशा में हम आगे बढ़ रहे हैं। और इसी का परिणाम है कि उत्तराखंड में पर्यटकों की संख्या इस एक दशक में तेजी से बढ़ी है। 2014 से पहले चारधाम यात्रा पर हर साल औसतन 18 लाख यात्री आते थे। अब हर साल लगभग 50 लाख तीर्थयात्री आने लगे हैं। इस साल के बजट में 50 Tourist destinations को विकसित करने का प्रावधान किया गया है। इन destinations पर होटलों को इंफ्रास्ट्रक्चर का दर्जा दिया जाएगा। इससे पर्यटकों के लिए सुविधाएं बढ़ेंगी और स्थानीय रोजगार को भी बढ़ावा मिलेगा।

साथियों,

हमारा प्रयास है, उत्तराखंड के बॉर्डर वाले इलाकों को भी पर्यटन का विशेष लाभ मिले। पहले सीमावर्ती गांवों को आखिरी गाँव कहा जाता था। हमने ये सोच बदल दी, हमने कहा ये आखिरी गांव नहीं है, ये हमारे प्रथम गाँव कहा। उनके विकास के लिए वाइब्रेंट विलेज प्रोग्राम शुरू किया। इस क्षेत्र के भी 10 गांव इस योजना में शमिल किए गए हैं, और मुझे बताया गया, उस गांव से भी कुछ बंधु आज यहां हमारे सामने मौजूद हैं। नेलांग और जादुंग गांव, जिसका मैंने वर्णन किया, 1962 में क्या हुआ था, फिर से बसाने का काम शुरू किया गया है। आज यहां से जादुंग के लिए मैंने अभी-अभी बाइक रैली को रवाना किया। हमने होमस्टे बनाने वालों को मुद्रा योजना का लाभ देने का ऐलान किया है। उत्तराखंड सरकार भी राज्य में होमस्टे को बढ़ावा देने में जुटी है। जो गांव इतने दशकों तक इंफ्रास्ट्रक्चर से वंचित रहें, वहाँ नए होमस्टे खुलने से पर्यटन बढ़ रहा है, लोगों की आय बढ़ रही है।

साथियों,

आज मैं देवभूमि से, देश के पूरब-पश्चिम-उत्तर-दक्षिण, और मध्य भी, हर कोने के लोगों से, खासकर युवा पीढ़ी से, और मां गंगा के मायके से, इस पवित्र भूमि से, देश की नौज़वान पीढ़ी को विशेष रूप से आह्वान कर रहा हूं, आग्रह कर रहा हूं।

|

साथियों,

सर्दियों में देश के बड़े हिस्से में जब कोहरा होता है, सूर्यदेव के दर्शन नहीं होते, तब पहाड़ों पर धूप का आनंद मिल रहा होता है। ये एक स्पेशल इवेंट बन सकता है। और गढ़वाली में इसे क्या कहेंगे? 'घाम तापो पर्यटन', सही है ना? 'घाम तापो पर्यटन'। इसके लिए देश के कोने-कोने से लोग उत्तराखंड जरूर आयें। खासकर, हमारे कॉरपोरेट वर्ल्ड के साथी, वे विंटर टूरिज्म का हिस्सा बनें। Meetings करनी हों, conferences करनी हों, exhibitions करने हों, तो विंटर का समय और देवभूमि, इससे होनहार कोई जगह नहीं हो सकती है। मैं कॉरपोरेट वर्ल्ड के बड़े महानुभावों से भी आग्रह करूंगा, वो अपने बड़े-बड़े सेमिनार्स के लिए उत्तराखंड आएं, माइस सेक्टर को explore करें। यहाँ आकर लोग योग और आयुर्वेद के जरिए recharge और re-energise भी हो सकते हैं। देश की यूनिवर्सिटीज, प्राइवेट स्कूल्स और कॉलेज में, मैं उन सब नौज़वान साथियों से भी कहूंगा कि students के विंटर ट्रिप्स के लिए आप उत्तराखंड को पसंद कीजिए।

साथियों,

हमारे यहाँ हजारों करोड़ की इकोनॉमी, वेडिंग इकोनॉमी है, शादियों में हजारों करोड़ रूपये का खर्च होता है, बहुत बड़ी इकोनॉमी है। आपको याद होगा, मैंने देश के लोगों से आग्रह किया था- Wed in India, हिन्दुस्तान में शादी करों, आजकल लोग दुनिया के देशों में चले जाते हैं, यहां क्या कमी है भई? पैसे यहां खर्च करो ना, और उत्तराखंड से बढ़िया क्या हो सकता है। मैं चाहूँगा कि सर्दियों में destination वेडिंग के लिए भी उत्तराखंड को देशवासी प्राथमिकता दें। इसी तरह भारत की फिल्म इंडस्ट्री से भी मेरी अपेक्षाएं हैं। उत्तराखंड को मोस्ट फिल्म फ्रेंडली स्टेट का पुरस्कार मिला हुआ है। यहां तेजी के साथ आधुनिक सुविधाएं डेवलप हो रही हैं। इसलिए सर्दियों के दिनों में फिल्म की शूटिंग्स के लिए भी उत्तराखंड, पूरे भारत का फेवरेट डेस्टिनेशन बन सकता है।

साथियों,

दुनिया के कई देशों में विंटर टूरिज़्म काफी पॉपुलर है। उत्तराखंड में विंटर टूरिज़्म को बढ़ावा देने के, और इसके लिए हम ऐसे देशों से बहुत कुछ सीख सकते हैं। मैं चाहूँगा, उत्तराखंड के टूरिज़्म सेक्टर से जुड़े सभी स्टेकहोल्डर्स, होटल और resorts उन देशों की जरूर स्टडी करें। अभी मैं यहां, एक छोटी सी प्रदर्शनी लगी है, उसको मैंने देखा, बहुत प्रभावित करने वाला मुझे लगा, जो कल्पना की गई है, जो लोकेशंस तय किए गए हैं, जो आधुनिक रचनाएं खड़ी की जा रही हैं, एक-एक लोकेशन का, एक-एक चित्र इतना प्रभावित करने वाला था, जैसे मन कर रहा था, मेरे 50 साल पुरानी वो जिंदगी के दिन, मैं फिर एक बार यहां आपके बीच आकर के बिताऊ, और हर डेस्टिनेशन पर कभी जाने का मौका तलाशू, इतने बढ़िया बना रहे हैं। मैं उत्तराखंड सरकार से कहूंगा कि जो विदशों से स्टडी हो, और स्टडी से निकले एक्शनेबल प्वाइंट्स पर सक्रिय रूप से काम करे। हमें स्थानीय परंपराओं, म्यूजिक, डांस और कुजीन को बढ़ावा देना होगा। यहां कई हॉट स्प्रिंग्स हैं, सिर्फ बद्रीनाथ जी में ही है, ऐसा नहीं है, और भी है, उन क्षेत्रों को वेलनेस स्पा के रूप में भी विकसित किया जा सकता है। शांत और बर्फीले क्षेत्रों में विंटर योगा रिट्रीट का आयोजन किया जा सकता है। मैं सभी बड़े-बड़े साधु-महात्माओं को, मठ-मंदिर के मठाधिपतियों को, सभी योगाचार्यों को, उनसे भी आग्रह करूंगा कि वे साल में एक योगा कैंप अपने शिष्यों का, विंटर में उत्तराखंड में लगाए। विंटर सीजन के लिए स्पेशल वाइल्ड लाइफ सफारी का आकर्षण उत्तराखंड की विशेष पहचान बन सकता है। यानि हमें 360 डिग्री अप्रोच के साथ आगे बढ़ना होगा, हर स्तर पर काम करना होगा।

|

साथियों,

सुविधाओं के विकास के अलावा, लोगों तक जानकारी पहुंचाना भी उतना ही अहम होता है। इसके लिए मैं देश के युवा content creators, आजकल सोशल मीडिया में, बहुत बड़ी संख्या में influencers हैं, content creators हैं, वे अपने यहाँ बैठे-बैठे भी मेरे उत्तराखंड की, मेरी देवभूमि की सेवा कर सकते हैं, वे भी पुण्य कमा सकते हैं। आप देश के पर्यटन सेक्टर को गति देने में, लोगों तक जानकारी पहुंचाने में बहुत बड़ी भूमिका निभा सकते हैं, जो भूमिका निभाई है, उसका और विस्तार करने की जरूरत है। आप उत्तराखंड की विंटर टूरिज़्म की इस मुहिम का भी हिस्सा बनिए, और मैं तो चाहूंगा कि उत्तराखंड सरकार एक बड़ा कंपटीशन आयोजित करें, ये जो content creators हैं, influencers हैं, वे 5 मिनट की, विंटर टूरिज्म की प्रमोशन की फिल्म बनाएं, उनकी कंपटीशन हो और जो अच्छी से अच्छी बनाएं, उसको बढ़िया से बढ़िया इनाम दिया जाए, देशभर के लोगों को कहा जाए, आइए मैदान में, बहुत बड़ा प्रचार-प्रसार होना शुरू हो जाएगा। और मुझे विश्वास है जब ऐसे कंपटीशन करेंगे, तो नई-नई जगहों को एक्सप्लोर करके, नई-नई फिल्में बनाएंगे, लोगों को बताएंगे।

साथियों,

मुझे विश्वास है, आने वाले वर्षों में हम इस सेक्टर में तेज गति से विकास के साक्षी बनेंगे। एक बार फिर 365 दिन का, बारहमासी टूरिज्म अभियान, इसके लिए मैं उत्तराखंड के सभी भाई-बहनों को शुभकामनाएं देता हूं, बधाई देता हूं और राज्य सरकार का अभिनदंन करता हूं। आप सब मेरे साथ बोलिए-

गंगा मैया की जय।

गंगा मैया की जय।

गंगा मैया की जय।

बहुत-बहुत धन्यवाद।