ভগবান শিবের আশীর্বাদধন্য মীণাক্ষি – সুন্দরেশ্বর মন্দির যে শহরে বিদ্যমান, সেখানে আমি আসতে পেরে যথার্থাই আনন্দিত।
গতকাল দেশ সাধারণতন্ত্র দিবস পালন করেছে।এই প্রেক্ষিতে মাদুরাইয়ে অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স বা এইম্স – এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’কেই সমর্থন করে।
বন্ধুগণ,
আমরা সবাই জানি যে, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নতুন দিল্লির এইম্স একটি ব্র্যান্ড।মাদুরাইয়ের এইম্স নির্মাণের পর স্বাস্থ্য সুরক্ষার এই ব্র্যান্ড দেশে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে – কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর এবং সেখান থেকে মাদুরাই; অপর দিকে গুয়াহাটি থেকে গুজরাট পর্যন্ত।মাদুরাইয়ের এইম্স নির্মাণে ব্যয় হবে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।এই হাসপাতাল নির্মাণের ফলে তামিলনাডুর সমস্ত জনসাধারণ উপকৃত হবেন।
বন্ধুগণ,
এনডিএ সরকার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের ওপর এই কারণেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, যাতে প্রত্যেকে সুস্থ থাকেন এবং কম খরচে স্বাস্থ্য পরিষেবা সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।
প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনার অধীনে আমরা সারা দেশে মেডিকেল কলেজগুলির উন্নয়নে সমর্থন যুগিয়েছি।আজ আমি মাদুরাই, তাঞ্জাভুর এবং তিরুনেলভেলি মেডিকেল কলেজে সুপার স্পেশালিটি ব্লক উদ্বোধন করতে পেরে আনন্দ অনুভব করছি।
প্রতিষেধক বা রোগ নিবারণ সংক্রান্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করেছে মিশন ইন্দ্রধনুষ।প্রধানমন্ত্রী মাতৃত্ব বন্দনা যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষিত মাতৃত্ব অভিযান নিরাপদ গর্ভাবস্থার বিষয়টিতে জনআন্দলনে পরিণত করতে পেরেছি।
বিগত সাড়ে চার বছরে স্নাতক পূর্ববর্তী মেডিকেল আসনের সংখ্যা প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।আয়ুষ্মান ভারতের সূচনা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।সারা দেশে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থার আওতায় সাফল্য অর্জনের জন্য এটি একটি অনন্য ব্যবস্থা।দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি সার্বিকভাবে মোকাবিলা করার জন্য আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পটি যথার্থ।সুসংহত প্রাথমিক সুরক্ষা প্রদান এবং প্রতিষেধকমূলক স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে ১ লক্ষ ৫০ হাজার স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসার ক্ষেত্রে ১০ কোটিরও বেশি দরিদ্র পরিবারকে পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার আওতায়।উল্লেখ্য, এটি পৃথিবীর বৃহত্তম স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প।আমি আনন্দিত একথা শুনে যে, তামিলনাডুর ১ কোটি ৫৭ লক্ষ মানুষকে ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।
মাত্র তিন মাসে তামিলনাডুর প্রায় ৮৯ হাজার রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং এদের জন্য ২০০ কোটি টাকারও বেশি অর্থ অনুমোদন করা হয়েছে।আমি খুশি হয়েছি একথা জেনেও যে, তামিলনাডু-তে ১ হাজার ৩২০টি স্বাস্থ্য সুরক্ষা কেন্দ্র চালু হয়েছে।
রোগ নিয়ন্ত্রণ ক্ষেত্রেও আমরা রাজ্যগুলিকে প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকি।আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে আমাদের সরকার দেশ থেকে যক্ষ্মা রোগকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর।আমি একথা জেনে খুশি হলাম যে, রাজ্য সরকার চেন্নাইয়ে যক্ষ্মা মুক্ত করার প্রয়াসে জোর দিচ্ছে, যাতে ২০২৩ সালের মধ্যে ঐ রাজ্য থেকে যক্ষ্মা রোগটিকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা যায়।
সংশোধিত জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সবদিক সম্পূর্ণভাবে রূপায়ণ করার জন্য এই রাজ্য বদ্ধপরিকর এবং রাজ্যের এই প্রয়াসকে আমি সাধুবাদ জানাই।
বিভিন্ন রাজ্য এ ধরণের রোগগুলির মোকাবিলার জন্য যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তাকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করবে কেন্দ্র সরকার।
আজ আমি তামিলনাডুতে ১২টি পোস্ট অফিস পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করতে পেরে আনন্দিত।আমাদের দেশের নাগরিকরা যাতে সহজে জীবনযাপন করতে পারেন, তার জন্য এ ধরণের উদ্যোগ যথার্থই দৃষ্টান্তমূলক।
আমি পুনরায় জানাচ্ছি যে, আমার সরকার সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
জয় হিন্দ!