আজ ভারত ৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার অর্থনীতির দিকে তাকিয়ে রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী মোদী
ভারতের উদ্ভাবনের মধ্যে রয়েছে অর্থনীতি এবং তার প্রয়োগের মিশ্রণ। আইআইটি মাদ্রাজের সৃষ্টি এই ধারাবাহিকতা থেকেই: প্রধানমন্ত্রী
আমরা আমাদের দেশে উদ্ভাবনের জন্য একটি শক্তিশালী বাস্তু ব্যবস্হা তৈরি করেছি এবং গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য কাজ করছি: প্রধানমন্ত্রী

তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল শ্রী বনোয়ারীলাল পুরোহিত, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী এড়াপুড়ি কে পালানিস্বামী, মন্ত্রীসভার সদস্য শ্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক, উপমুখ্যমন্ত্রী ও. পনিরসেলভাম, আইআইটি মাদ্রাজের চেয়ারম্যান, প্রতিষ্ঠানের পরিচালন সমিতির সদস্য, অধিকর্তা, উপস্হিত অতিথিবৃন্দ এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আমার যুব বন্ধুরা, আজ এখানে আমার উপস্হিতি বড় সৌভাগ্যের।

বন্ধুগণ,

আমার সামনে ‘উদ্যমী নতুন ভারত’ এবং ‘ছোট ভারত’উপস্হিত রয়েছে। এখানে শক্তি, শিহরণ এবং ইতিবাচক দিক রয়েছে। আমি তোমাদের ডিগ্রি প্রদান করে, তোমাদের চোখে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে পাচ্ছি। এমনকি আমি তোমাদের চোখে ভবিষ্যতের ভারতও দেখতে পাচ্ছি।

বন্ধুগণ,

আমি এখান থেকে উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের পিতা-মাতাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এমনকি তাঁদের গর্ব এবং উৎফুল্লতাও কল্পনা করতে পারছি। তাঁদের নিরলস পরিশ্রম এবং আত্মত্যাগই তোমাদের জীবনে এই শুভ মূহুর্তক্ষণে এনে দাঁড় করিয়েছে। তাঁরা তোমাদের পাখনা দিয়েছে যাতে তোমরা উড়তে পারো। এই একই গর্ব তোমাদের শিক্ষকদের চোখেও প্রতিফলিত হচ্ছে। তাঁদের নিরলস প্রয়াসে, শুধুমাত্র ভালো ইঞ্জিনিয়ার নয়, তোমাদের একজন ভালো নাগরিকও তৈরি করেছে।

আমি সহকারি শিক্ষকদের প্রয়াসের কথাও উল্লেখ করতে চাই, যাঁরা নীরবে তোমাদের খাবার তৈরি করেছে, ক্লাসরুম এবং হোস্টেল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রেখেছেন। তোমাদের এই সাফল্যে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। অন্য প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে আমি আমার ছাত্রবন্ধুদের অনুরোধ করবো, উঠে দাঁড়িয়ে তোমাদের শিক্ষক, পিতা-মাতা এবং সহকারি শিক্ষকদের উদ্দেশে হাততালি দিয়ে ধন্যবাদ জানাবার জন্য।

বন্ধুগণ,

আইআইটি মাদ্রাজ তামিলনাড়ু রাজ্যের অবিষ্মরণীয় প্রতিষ্ঠান, যার একটি বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। এ রাজ্যের তামিল ভাষা পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম প্রাচীন ভাষা। তবে এখানে দেশের আরও একটি নতুন ভাষা রয়েছে, তা হল আইআইটি মাদ্রাজের ভাষা, যেটা কখনই ভোলার নয়।

বন্ধুগণ,

তোমরা সত্যিই সৌভাগ্যবান। তোমরা যেসময় এই অসাধারণ কলেজ থেকে পাশ করে বেরোচ্ছো তখন সারা বিশ্ব ভারতের দিকে সুবর্ণ সুযোগ নিয়ে এগিয়ে এসেছে। আমি আমেরিকায় এক সপ্তাহব্যাপি সফর শেষে সবেমাত্র দেশে ফিরেছি। এই সফরে আমি আমেরিকার রাষ্ট্রপতি, বাণিজ্যিক প্রধান, একাধিক উদ্ভাবনকারী, উদ্যোগপতি ও বিনিয়োগকারীদের সাথে বৈঠক করেছি। আমাদের আলোচনা একটি সূত্রেই বাঁধা ছিল, তা হল নতুন ভারতের আশা এবং ভারতের যুব সম্প্রদায়ের সামর্থের মনোবল।

বন্ধুগণ,

ভারতীয়রা সারা বিশ্বে নিজেই নিজের পরিচিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভবক্ষেত্রে। তাঁরা অধিকাংশই তোমাদের আইআইটির প্রাক্তনী। এরকমই ভাবেই তোমরা ভারতকে সারা বিশ্বে শক্তিশালী করে তোলো। আজই আমি ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যুব আধিকারিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। আমি অভিভূত যে তাদের মধ্যে অনেকেই আইআইটি গ্র্যাজুয়েট। তোমাদের মতোই আইআইটি গ্র্যাজুয়েটরাই ভারতকে আরও উন্নত স্হানে এবং বাণিজ্যিক বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে পারে। তোমরাই আরও সমৃদ্ধশালী ভারত গড়ে তুলতে পারবে।

বন্ধুগণ,

আমি দেখেছি একুশ শতকের ভিত দাঁড়িয়ে আছে মূলত উদ্ভাবন, যৌথভাবে কর্মকান্ড এবং প্রযুক্তির ওপর। এগুলি একে অপরের পরিপূরক।

বন্ধুগণ,

আমি সম্প্রতি সিঙ্গাপুর-ভারত হ্যাকাথন ঘুরে দেখেছি। সেখানে ভারত এবং সিঙ্গাপুরের উদ্ভাবনকারীরা যৌথভাবে কাজ করছেন। তাঁরা সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলির সমাধানে প্রয়াস চালাচ্ছেন। সকল ইঞ্জিনিয়াররাই একটি দিকেই মনোনিবেশ করে আছেন। এই উদ্ভাবনকারীরা বিভিন্ন প্রেক্ষাপট থেকে এসেছেন। তাঁদের অভিজ্ঞতাও ভিন্ন। কিন্তু তাঁরা সকলেই শুধুমাত্র ভারত বা সিঙ্গাপুরের নয়, সারা বিশ্বের সমস্যা সন্ধানের প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। এটাই হল উদ্ভাবন শক্তি, যৌথভাবে কর্মকান্ড এবং প্রযুক্তি। এর সুফল শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কেউ ভোগ করবে না, সকলেই এর ফল পাবে।

আজ ভারত ৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার অর্থনীতির দিকে তাকিয়ে রয়েছে। তোমাদের উদ্ভাবন, আকাঙ্খা এবং প্রযুক্তির প্রয়াস এই স্বপ্ন পূরণ করবে। এগুলিই ভারতকে প্রগতিশীল অর্থনীতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

বন্ধুগণ,

আইআইটি মাদ্রাজই হল এর সঠিক উদাহরণ, কয়েক দশক পুরানো এই প্রতিষ্ঠান একুশ শতকের আকাঙ্খা এবং প্রয়োজনে কাজ করে চলেছে। কিছুক্ষণ আগে আমি এই ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠিত গবেষণা পার্ক পরিদর্শন করেছি। দেশের মধ্যে এটিই প্রথম এ ধরণের পার্ক। আমি আজ এখানে এই স্টার্ট আপের বাস্তু ব্যবস্হা দেখে অভিভূত। আমি আগেই বলেছিলাম, এখানে দুশোরও বেশি স্টার্ট আপ গড়ে উঠতে পারে। তাদেরই কিছু প্রতিষ্ঠান দেখার আজ আমার সৌভাগ্য হল। সমস্ত স্টার্ট আপই ভারতের একটি নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরি করেছে যা ভবিষ্যতে বিশ্বে তাদের জায়গা করে দেবে।

বন্ধুগণ,

ভারতের উদ্ভাবনের মধ্যে রয়েছে অর্থনীতি এবং তার প্রয়োগের মিশ্রণ। আইআইটি মাদ্রাজের সৃষ্টি এই ধারাবাহিকতা থেকেই। এখানকার ছাত্রছাত্রী এবং গবেষকরা সমস্যাগুলি নিয়ে চিন্তা করেন এবং কিভাবে সহজে এর সমাধানসূত্র বের করা যায় তার প্রয়াস চালান।

বন্ধুগণ,

আমরা আমাদের দেশে উদ্ভাবনের জন্য একটি শক্তিশালী বাস্তু ব্যবস্হা তৈরি করেছি এবং গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য কাজ করছি। প্রযুক্তির শিক্ষা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং দেশীয় প্রযুক্তি বিষয়গুলি এখন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। এরজন্য দেশে সমস্ত বিদ্যালয়ের অটল টিঙ্কারিং ল্যাব তৈরি করা হয়েছে।

তোমাদের মতো অনেক ছাত্রছাত্রী যখন এই প্রতিষ্ঠানে আসবে এবং উদ্ভাবনের ওপর কোনও কাজ করবে তখন ওই ল্যাবের প্রশিক্ষণ তাদের কাজে লাগবে। পরবর্তী সমস্যাটি হল বাজার নির্ধারণ এবং স্টার্ট আপের উন্নতি। স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া কর্মসূচি এই ধরণের সমস্যা মোকাবিলা এবং বাজার নির্ধারণে সাহায্য করবে। গবেষণার উৎসাহদানে এবং দেশের উন্নতিতে আমরা প্রধানমন্ত্রী রিসার্চ ফেলোশিপ স্কিম চালু করছি।

বন্ধুগণ,

এই অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলস্বরূপ ভারত আজ বিশ্বের তিনটি শীর্ষ স্টার্ট আপ বাস্তু ব্যবস্হার মধ্যে অন্যতম। এখন তোমাদের সামনে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে নিজের নাম তৈরি করার সুযোগ রয়েছে।

বন্ধুগণ,

তোমরা স্মরণ করতে পারো যখন তোমরা কিভাবে আইআইটির-তে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলে? কিভাবে বিষয়টিকে নিয়ে ভাবতে?তোমাদের কঠিন পরিশ্রমই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। তোমাদের সামনে এখন প্রচুর সুযোগ অপেক্ষা করে রয়েছে। তবে সব পদক্ষেপই সহজ নয়। যখন তুমি প্রথম ধাপে যাবে, তখন সেটাকে অসম্ভব বলেই মনে হবে। তবে তারজন্য হাল ছেড়ে দেবেন না। ধীরে ধীরে প্রতি পদক্ষেপে এগোতে হবে। একধাপ থেকে অন্য ধাপে যখনই যাবে, তোমার সামনে একটির পর একটি সমস্যা এসে হাজির হবে। কিন্তু মানুষের প্রয়াস লুকিয়ে রয়েছে সম্ভাবনার মধ্যেই। সুতরাং স্বপ্ন দেখা ছাড়লে হবেনা, প্রতিকূলতাকে জয় করতেই হবে।

বন্ধুগণ,

আমি জানি, তোমরা যখন এই প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ হয়ে বেরোবে, তোমাদের সামনে আকর্ষণীয় সুযোগ অপেক্ষা করে রয়েছে। এটাকে কাজে লাগাও। আমি তোমাদের সকলেই এটাই অনুরোধ করবো। কোথায় কাজ করছো, কোথায় রয়েছ সেটা বড় কথা নয়। এটা সবসময় স্মরণে রাখবে তুমি তোমার মাতৃভূমির প্রয়োজনেই কাজ করছো। এটা স্মরণে রাখবে, তোমার কাজ, উদ্ভাবন এবং গবেষণা দেশবাসীর কাজে লাগবে। এটা শুধুমাত্র তোমার সামাজিক কর্তব্য নয়, এটি অপরিমেয় বাণিজ্যিক অভিজ্ঞতা তৈরি করবে।

আমাদের বাড়ি, অফিস এবং শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত জলকে কিভাবে পুনরায় ব্যবহার করা যায় এবং জল ব্যবহার কমিয়ে সংরক্ষণ করা যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে আমি সকলকে ভাবনাচিন্তা করার অনুরোধ জানাবো। আজ আমরা সমাজ থেকে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিককে মুক্ত করার প্রয়াস চালাচ্ছি। এর পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব কি ব্যবহার করা যায় এবং তার থেকে যাতে পরিবেশে ক্ষতি না হয় তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা করা প্রয়োজন। আমি তোমাদের মতোই যুব উদ্ভাবকদের এ বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করতে বলবো।

সংক্রামক রোগ ছাড়াও এমন অনেক ব্যাধি আছে যেগুলি আগামীদিনে বিশাল সংখ্যক মানুষের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। উচ্চরক্তচাপ, মধুমেহ, স্হুলতা, অবসাদ এগুলি আমাদের দৈনন্দিন জীবনধারণের থেকে সৃষ্টি ব্যাধি। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে এই ধরণের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তা নিয়ে আইআইটির ছাত্রছাত্রীদের এগিয়ে আসা দরকার।

আমি ফিটনেস এবং স্বাস্হ্য সচেতনতা নিয়ে বিশেষ জোর দিচ্ছি, কারণ তোমরা তোমাদের স্বাস্হ্যকে উপেক্ষা করেই নিজেদের কাজে মগ্ন থাকো। আমি সকলকে ফিট ইন্ডিয়া আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

বন্ধুগণ,

আমি দু ধরণের মানুষ দেখেছি। এক ধরণের মানুষ যারা কাজ করতে চান, আরেক ধরণের মানুষ আছেন যারা কাজ থেকে পালিয়ে যেতে চান। তোমাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তোমরা জীবনে কোন পথে বেছে নেবে।

বন্ধুগণ,

তোমাদের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তোমাদের বর্তমানে পাঠ্যক্রমের  সমাপ্তি হল। কিন্তু এটাই তোমাদের শিক্ষার শেষ নয়। শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ ক্রমাগত চলতেই থাকবে। যতদিন আমরা বাঁচবো, ততদিনই আমরা শিখবো। আমি আরও একবার তোমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং মনুষ্যত্ববোধে জীবনকে উৎসর্গ করার জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

ধন্যবাদ, অজস্র ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।