শান্তি, সম্প্রীতি ও অগ্রগতির জন্য যোগ আমাদের কাছে আদর্শ হয়ে উঠুক: প্রধানমন্ত্রী মোদী
যোগ বয়স, বর্ণ, জাতি, সম্প্রদায়, চিন্তাভাবনা, গোঁড়ামি,ধনী্‌ দরিদ্র, রাষ্ট্র ও সীমানার সমস্ত গন্ডী ভেঙে দেয়: প্রধানমন্ত্রী মোদী
যোগ একদিকে যেমন প্রাচীন, অন্যদিকে তেমনই আজও সমান প্রাসঙ্গিক: প্রধানমন্ত্রী মোদী

মঞ্চে উপস্হিত রাজ্যপাল দ্রৌপদীজি, মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের মন্ত্রীগণ। ঝাড়খন্ডে আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আন্তর্জাতিক যোগদিবস উপলক্ষে আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা। রাঁচির প্রভাত তাঁরা ময়দান থেকে দেশবাসীকে সুপ্রভাত জানাই। আজ রাঁচির এই প্রভাত তাঁরা ময়দান বিশ্ব মানচিত্রে জ্বলজ্বল করছে। যোগ দিবস উদযাপনের জন্য দেশে ও বিদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ একত্রিত হয়েছেন। এদের সকলকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।

 

সমগ্র বিশ্বে যোগকে জনপ্রিয় করে তুলতে আমার সংবাদ মাধ্যমের বন্ধুরা এবং সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এজন্য তাঁদেরকে আমার কৃতজ্ঞতা।

বন্ধুগণ,

 

যোগদিবস উদযাপনের জন্য ঝাড়খন্ডে আসা এক আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা। দূর-দূরান্ত থেকে খুব সকালে যাঁরা এখানে এসে উপস্হিত হয়েছেন, আমি তাঁদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ। অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছে যে, পঞ্চম যোগদিবস উদযাপনের জন্য কেন আমি রাঁচিকে বেছে নিয়েছি। ভাই ও বোনেরা, রাঁচির সঙ্গে আমার নিবিড় সম্পর্ক থাকলেও, আজ রাঁচি আসার পিছনে তিনটি বড় কারণ রয়েছে। প্রথমটি হল,‘ঝাড়খন্ড’ নাম। এই নামের অর্থ হল অরণ্য বেষ্টিত ভূমি। প্রকৃতির সঙ্গে আরণের নিবিড় যোগসূত্র রয়েছে এবং মানুষের মনে প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্প্রীতি সম্পূর্ণ এক পৃথক অনুভূতি জাগায়। দ্বিতীয় কারণ হল, রাঁচি ও স্বাস্হ্য পরিষেবার মধ্যে গভীর সম্পর্ক। স্বাস্হ্য পরিচর্যা ক্ষেত্রে রাঁচির সাফল্য ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছে। গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর পন্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকীতে আমরা রাঁচি থেকে আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির সূচনা করেছিলাম। বর্তমানে বিশ্বের সর্ব বৃহৎ স্বাস্হ্য পরিচর্যা প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই গরিব মানুষের বিশেষ উপকারে এসেছে। ভারতীয়দের সুস্বাস্হ্যের ক্ষেত্রে যোগচর্চার গুরুত্ব সম্পর্কে আমাদের সম্যক ধারণা রয়েছে। এইসমস্ত দিক বিবেচনায় রেখে আজ রাঁচি আসার পিছনে বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

এখন এই যোগ অভিযানকে আমাদের নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে যেতে হবে। রাঁচি আসার পিছনে এটি আমার তৃতীয় কারণ।

 

বন্ধুগণ,

 

যোগ আমাদের দেশের সংস্কৃতি ও জনজীবনের অভিন্ন অঙ্গ। ঝাড়খন্ডের ছৌ নৃত্যে যোগের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন আসন ও অঙ্গ বিন্যাস রয়েছে। অবশ্য এটাও বাস্তব যে, আধুনিক যোগের ব্যাপ্তি দেশের গ্রাম ও আদিবাসী এলাকায় সেভাবে ছড়িয়ে পড়েনি। এখন আমাদের দায়িত্ব আধুনিক যোগচর্চাকে শহর থেকে গ্রামে, অরণ্য থেকে প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে দিতে হবে। আমি চাই যোগচর্চাকে দরিদ্র ও আদিবাসী মানুষের দৈনন্দিন জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ করে তুলতে। কারণ, দরিদ্র ও আদিবাসী মানুষরাই সবথেকে বেশি অসুস্হতায় ভোগেন। একদিকে যখন দারিদ্র দ্রুত হারে কমছে, তখন দারিদ্রের কবল থেকে যাঁরা বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন তাঁদের কাছে যোগ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে উঠতে পারে। তাই যোগচর্চাকে গ্রহণ করলে দরিদ্র ও অসুস্হতার করল থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

 

বন্ধুগণ,

 

বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে জীবনযাপনকে সহজ করে তোলা যথেষ্ট নয়। ওষুধ সেবন এবং অস্ত্রপচারের মাধ্যমে পাওয়া সমাধানও যথেষ্ট নয়। বর্তমান ক্রম পরিবর্তনশীল সময়ে আমাদের আরও বেশি করে প্রয়োজন বিভিন্ন ধরণের রোগ-ব্যাধি প্রতিরোধের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কল্যাণ সাধন। যোগচর্চার মাধ্যমে আমরা এই অসাধারণ ক্ষমতা পেয়েছি। যোগচর্চার পাশাপাশি প্রাচীন ভারতীয় দর্শনেও একই কথার প্রতিফলন ঘটেছে। খোলা মাঠে, বাড়ির মেঝেতে বা মাদুরে আধঘন্টা অভ্যাস করলে যোগচর্চা সম্পূর্ণ হয় না। আক্ষরিক অর্থে যোগ হল এক অনুশাসন ও নিষ্ঠা। তাই সারাজীবন ধরে যোগচর্চা করে যেতে হবে। বয়স, বর্ণ, জাতি, ধর্ম, সম্পদ, দরিদ্র, এলাকা বা সীমানা নির্বিশেষে যোগ সকলের। যোগ প্রতেক্যের জন্যই।

 

 

বন্ধুগণ,

 

বিগত পাঁচ বছরে আমার সরকার প্রতিরোধমূলক স্বাস্হ্য পরিচর্যার অন্যতম এক উপাদান হিসেবে যোগচর্চাকে স্বাস্হ্য পরিষেবার সঙ্গে সামিল করেছে। আজ আমরা বলতে পারি, যোগের প্রতি সচেতনতা দেশের প্রতিটি অংশে- ড্রয়িং রুম থেকে বেড রুম, পার্ক থেকে স্পোর্টস কমপ্লেক্স এমনকি সড়ক থেকে রোগী কল্যাণ কেন্দ্রে পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। আজ যোগের গুরুত্ব ও উপকারিতা সর্বত্রই উপলব্ধি করা যাচ্ছে।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

এটা দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত হই এবং মানসিক সন্তুষ্টি পাই যখন তরুণ প্রজন্ম পরম্পরাগত যোগকে আধুনিকতার সঙ্গে মিশিয়ে তার চর্চা এবং জনপ্রিয় করে তোলার কাজ করছে। যুবা সমাজের সৃজনশীল ও উদ্ভাবনমূলক প্রয়াসের দরুন যোগ আজ অনেক বেশি জনপ্রিয় ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে।

বন্ধুগণ,

 

এবছর আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপনের মূল বিষয়বস্তু হল, হৃদযন্ত্রের সঠিক পরিচর্যায় যোগ। হৃদযন্ত্রের সঠিক পরিচর্যা ও দেখভাল আজ সারা বিশ্বজুড়ে বড় সমস্যার কারণ হয়ে উঠেছে। ভারতে বিগত দুই-আড়াই বছরে হৃদরোগীর সংখ্যা কয়েকগুন বেড়েছে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয় যে এখন যুব সমাজের মধ্যেও হৃদযন্ত্রের সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। এইরকম এক উদ্বেগজনক পরিস্হিতিতে হৃদযন্ত্রের সঠিক পরিচর্যার জন্য যোগকে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ করে তোলা যেতে পারে। যোগের প্রচার ও প্রসারে আমি স্হানীয় যোগ আশ্রমগুলিকে আরও কার্যকর ভূমিকা গ্রহণের আহ্বান জানাই। হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য আমি স্হানীয় আশ্রমগুলিকে ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে শিবির আয়োজনের অনুরোধ জানাচ্ছি।

 

বন্ধুগণ,

 

সুস্বাস্হ্যের পাশাপাশি প্রত্যেকেরই জীবনে নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর প্রত্যাশা রয়েছে। ক্লান্ত দেহ ও অস্হির মানসিকতা প্রত্যাশা পূরণের স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিতে পারেনা। আমরা যখন সুস্বাস্হ্যের কথা বলি তখন ৪টি বিষয়ের কথা স্মরণে রাখতে হবে। এগুলি হল- জল, পুষ্টি, পরিবেশ এবং কঠোর পরিশ্রম। এই চারটি বিষয় পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া গেলে তার পরিণামও পাওয়া যায়। বন্ধুগণ, যোগদিবস উদযাপনে সামিল হওয়ার জন্য আমি সমগ্র বিশ্বের মানুষকে ধন্যবাদ জানাই। সমগ্র বিশ্বের একনিষ্ট যোগ সাধকরা সূর্যের প্রথম কিরণকে আজ স্বাগত জানাচ্ছেন। এ এক অপরূপ দৃশ্য। আমি আপনাদের সকলকে যোগকে আপন করে নিয়ে দৈনন্দিন জীবনযাপনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ করে তোলার আহ্বান জানাই। যোগ যেমন একদিকে প্রাচীন, অন্যদিকে তেমনই আধুনিক-ও। যোগচর্চা নিরন্তর পাল্টাচ্ছে। শতকের পর শতক ধরে যোগচর্চার গুরুত্ব একই রয়েছে। সুস্হ সবল দেহ, স্হির মানসিকতা, উৎসাহ-উদ্দীপনা প্রভৃতি ক্ষেত্রে যোগ জ্ঞান, কাজকর্ম ও ভক্তির এক প্রকৃত মিশ্রণ। যোগ প্রত্যেক মানুষকে স্বতন্ত্র চিন্তাভাবনা করতে, কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে ও উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে চলতে সাহায্য করে।

বন্ধুগণ, যোগচর্চার গুরুত্ব আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। আমরা এমন এক সময়ে বাস করছি যখন জীবনশৈলি ও দৈনন্দিন জীবনে কাজের চাপের ফলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের প্রবণতা বাড়ছে। ব্যস্ত জীবনযাপন এবং কর্মক্ষেত্রে অত্যাধিক কাজের ফলেই এই সমস্যা। যখন দেখি অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা মদ, মাদক ও এধরণের নেশা জাতীয় উপাদান সেবনের মাধ্যমে আশক্ত হয়ে পড়ছে, তখন তা আমাকে অত্যন্ত যন্ত্রনা দেয়।

 

এইসব সমস্যার সমাধান যোগচর্চায় রয়েছে। যোগ এমনকি, মানুষ এবং সমাজের একতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। বর্তমান বিশ্ব যে সমস্ত সমস্যার সম্মুখীন তার সমাধানের পথও যোগ-এর রয়েছে।

 

বন্ধুগণ, শান্তি ও সম্প্রীতির সঙ্গেও যোগ অতপ্রতভাবে জড়িত। পঞ্চম আন্তর্জাতিক যোগদিবস উদযাপন উপলক্ষে আমাদের লক্ষ হওয়া উচিত শান্তি, সম্প্রীতি ও অগ্রগতি।

ভাই ও বোনেরা

 

আন্তর্জাতিক যোগদিবস উদযাপনের পর আমরা একাধিক প্রেরণাদায়ক পদক্ষেপ নিয়েছি। এইসমস্ত পদক্ষেপের সাফল্য আমরা দেখতে পাচ্ছি। ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় রেখে যোগচর্চাকে প্রত্যেকের জীবন ও দৈনন্দিন অভ্যেসের অঙ্গ করে তুলতে আমাদের নিরন্তর কাজ করে যেতে হবে। এই কাজের যোগ শিক্ষক, যোগ সাধক ও প্রতিষ্ঠানগুলিরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

বন্ধুগণ,

 

আজ সারা বিশ্ব যোগকে আপন করে নিচ্ছে। তাই আমাদের যোগ সম্পর্কিত গবেষণার ওপর আরও গুরুত্ব দিতে হবে। মোবাইল ফোনের সফ্টওয়্যার যেমন আমাদের আপডেট রাখে একইভাবে যোগ সম্পর্কিত নতুন তথ্য দিয়ে অবশিষ্ট বিশ্বকেও আমাদের আপডেট বা অবহিত করতে হবে। যোগকে সীমাবদ্ধ করে রাখলে হবেনা, চিকিৎসা ব্যবস্হা, ফিজিওথেরাপি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রভৃতির সঙ্গে এর যোগসূত্র গড়ে তুলতে হবে। এছাড়াও যোগের সাথে যুক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিকে উৎসাহিত করতে হবে। তাহলেই যোগের ব্যাপ্তি আমরা আরও বাড়াতে সক্ষম হয়ে উঠবো।

আমার সরকার যোগ ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন চাহিদার বিষয়কে বিবেচনায় রেখে কাজ করে চলেছে। আন্তর্জাতিক যোগদিবস উদযাপন উপলক্ষে আমি আরও একবার আপনাদের সকলের সুস্বাস্হ্য কামনা করি এবং শুভেচ্ছা জানাই। আমি আশা করি আজ আমরা যে সমস্ত আসন করেছি, ধীরে ধীরে তার সময় আরও বৃদ্ধি পাবে। তবে অত্যাধিক কিছু না করায় ভালো। এই যোগাভ্যাসের পরিণাম আমরা জীবনে শীঘ্রই উপলব্ধি করবো।

 

সকলের সুস্বাস্হ্য, শান্তি, সম্প্রীতি ও সুশৃঙ্খল জীবনের জন্য আমি আরও একবার শুভেচ্ছা জানাই।

 

আসুন আমরা একসঙ্গে যোগ শুরু করি।

 

খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এ ধরণের একটি বিশাল কর্মকান্ড সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য আমি ঝাড়খন্ড সরকারকে অভিনন্দন জানাই। দুই সপ্তাহ আগে নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর রাঁচিতে যোগচর্চার মূল অনুষ্ঠানটি আয়োজন করার কথা আমার মাথায় আসে। তাই ঝাড়খন্ড সরকারের কাছে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করার আগাম কোনও তথ্য ছিলনা। অতি অল্প সময়ের মধ্যে এই অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করে ঝাড়খন্ডের মানুষ সাফল্য অর্জন করেছে। এজন্য আমি আপনাদের সকলকে এবং ঝাড়খন্ড সরকারকে অভিনন্দন জানাই।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
In young children, mother tongue is the key to learning

Media Coverage

In young children, mother tongue is the key to learning
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 11 ডিসেম্বর 2024
December 11, 2024

PM Modi's Leadership Legacy of Strategic Achievements and Progress