Yoga helps to maintain balance amidst this disintegration. It does the job of uniting us: PM Modi
Yoga brings about peace in this modern fast paced life by combining the body, mind, spirit and soul: PM Modi
Yoga unites individuals, families, societies, countries and the world and it unites the entire humanity: PM Modi
Yoga has become one of the most powerful unifying forces in the world: PM Narendra Modi
Yoga Day has become one of the biggest mass movements in the quest for good health and well-being, says PM
The way to lead a calm, creative and content life is Yoga: PM Modi
Practicing Yoga has the ability to herald an era of peace, happiness and brotherhood: PM Modi

মঞ্চে উপস্থিত বিশিষ্টজন এবং এই মনোরম মাঠে সমবেত বন্ধুরা, চতুর্থ আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে বিশ্বের সকল প্রান্তের যোগ-প্রেমীদের উত্তরাখন্ডের এই পবিত্র দেবভূমি থেকে আমি আমার শুভেচ্ছা জানাই।

 

গঙ্গামাতার সন্নিহিত এই স্থলভূমিতে যোগ দিবস উপলক্ষে এইভাবে আমাদের সকলের মিলিত হওয়া কম সৌভাগ্যের বিষয় নয়। এই স্থানটিতে চারটি পুণ্য তীর্থভূমি রয়েছে। আদি শঙ্করাচার্য এই স্থান পরিদর্শন করেছেন এবং স্বামী বিবেকানন্দও বেশ কয়েকবার এখানে এসেছিলেন।

 

এছাড়াও, কয়েক দশক ধরে যোগচর্চা তথা যোগাভ্যাসের একটি মূল কেন্দ্র হ’ল উত্তরাখন্ড। উত্তরাখন্ডের এই পর্বতমালা যোগাভ্যাস ও আয়ুর্বেদচর্চায় আমাদের স্বতঃপ্রণোদিত করে।

 

এমনকি, একজন সাধারণ মানুষও এই স্থান পরিদর্শনকালে এক বিরল অভিজ্ঞতা লাভ করে। এই পবিত্র ভূমির রয়েছে এক অবিশ্বাস্য ক্ষমতা, যা তার চৌম্বকশক্তির সাহায্যে আমাদের মধ্যে আলোড়ন ঘটায়।

বন্ধুগণ,

 

সকল ভারতীয়র পক্ষে খুবই গর্বের বিষয় হ’ল এই যে সূর্য পরিক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে সূর্যরশ্মি যেমন ভূ-পৃষ্ঠকে আলোকিত করে তোলে, তেমনভাবেই বিশ্বের অন্য প্রান্তের মানুষও তাঁদের যোগচর্চার মাধ্যমে সূর্যকে স্বাগত জানান।

 

দেরাদুন থেকে ডাবলিন, সাংহাই থেকে শিকাগো, জাকার্তা থেকে জোহানেসবার্গ সর্বত্রই চলছে যোগাভ্যাস ও যোগচর্চা।

 

হাজার হাজার উচ্চতার হিমালয় পর্বতশৃঙ্গই হোক কিংবা প্রখর সূর্যরশ্মির মরু অঞ্চল, সর্বত্রই যে কোনও পরিস্থিতিতেই যোগচর্চার অভ্যাস বর্তমানে ক্রমপ্রসারমান।

 

বিচ্ছিন্নতাকামী শক্তি যখন সবকিছুকে ধ্বংস করে দিতে উদ্যত, তখন মানুষে মানুষে সমাজের মধ্যে এমনকি বিভিন্ন দেশের মধ্যেও বিভেদের মানসিকতা মাথা চাড়া দেয়। বিভেদ সমাজে যখন শিকড় গড়তে থাকে তখন সংহতির অভাব দেখা যায় পরিবার জীবনেও। একজন ব্যক্তি মানুষ ভেতরে ভেতরে অসহায়তার শিকার হয়ে পড়েন, ফলে উত্তেজনা ক্রমশ গ্রাস করতে থাকে তাঁকে।

 

কিন্তু এই দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে যোগাভ্যাস। তা আমাদের ঐক্যবদ্ধ করে।

 

দেহ, মন, আত্মা ও শক্তির মধ্যে যোগস্থাপন করে আমাদের এই আধুনিক ব্যস্ত জীবনে শান্তি নিয়ে আসে যোগাভ্যাস।

 

পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঐক্যের প্রসার ঘটিয়ে পারিবারিক শান্তি অক্ষুণ্ন রাখতে সাহায্য করে যোগচর্চা।

 

পরিবারকে সমাজ সম্পর্কে সংবেদনশীল করে তোলার মাধ্যমে যোগ সম্প্রীতির প্রসার ঘটায় আমাদের সমাজ জীবনেও।

 

বিভিন্ন ধরণের সমাজের সহাবস্থান হ’ল জাতীয় সংহতির এক বিশেষ যোগসূত্র।

 

এইভাবেই যদি দেশকে গড়ে তোলা যায়, তা হলে বিশ্ব শান্তি ও সম্প্রীতিরও প্রসার ঘটে। মানবতার বিকাশের মধ্য দিয়ে সৌভ্রাতৃত্ববোধ তাতে শক্তি যোগায়।

 

এর অর্থ হ’ল ব্যক্তি-মানুষ, পরিবার, সমাজ, দেশ তথা সমগ্র বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করে যোগাভ্যাস। আর এইভাবেই তা মিলন ঘটায় সমগ্র মানবতার।

 

রাষ্ট্রসংঘে যোগ দিবস পালনের প্রস্তাব যখন পেশ করা হয়, তখন তা রাষ্ট্রসংঘের ইতিহাসে এক রেকর্ড ঘটনা বলে চিহ্নিত হয়। এই ধরণের প্রস্তাব সেখানে পেশ করা হলে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই তাতে অনুমোদন জানায়।  আবার রাষ্ট্রসংঘের ইতিহাসে এটাই হ’ল প্রথম প্রস্তাব, যা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই অনুমোদনলাভ করে। বর্তমানে বিশ্বের প্রত্যেক নাগরিক এমনকি বিশ্বের প্রতিটি দেশ যোগকে আপন করে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, ভারতীয়দের পক্ষে তা এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তাও বহন করে এনেছে, যার মূল অর্থই হ’ল এই যে এক মহান ঐতিহ্যের আমরা হলাম প্রকৃত উত্তরসূরী। এক বিশেষ উত্তরাধিকারকে আমরা সর্বতোভাবে সংরক্ষিত করে এসেছি।

 

আমাদের এই উত্তরাধিকারের প্রশ্নে যদি আমরা গর্ব অনুভব করি এবং সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, এমন অভ্যাসগুলি যদি আমরা ত্যাগ করি তা হলে অপ্রচলিত রীতিনীতিকে আমরা বর্জন করতে পারি। তবে, সময়ের সঙ্গে যা কিছু সঙ্গতিপূর্ণ এবং ভবিষ্যৎ গঠনে যা একান্ত প্রয়োজনীয় তাকে যদি আমরা গ্রহণ করি, তা হলে আমাদের এই ধরণের মহান উত্তরাধিকারের জন্য আমাদের গর্বিত হতেই হবে। এমনকি, বিশ্ববাসীও এই গর্বের অংশীদার হতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবে না। কিন্তু নিজেদের শক্তি ও ক্ষমতার ওপর যদি আমাদের কোনও রকম আস্থা না থাকে, তা হলে বাইরের কোনও মানুষই তাকে গ্রহণ করতে এগিয়ে আসবে না। কোনও পরিবারে একটি শিশুকে যদি নীতিভ্রষ্ট হতে মদত দেওয়া হয়, তা হলে সেই পরিবার কখনই আশা করতে পারে না যে তাঁদের সন্তান একদিন অন্যের কাছ থেকে সম্মান ও সমীহ অর্জন করবে। পিতামাতা, ভাইবোন এবং সমগ্র পরিবার যখন তাঁদের সন্তানকে সন্তানের মতোই প্রতিপালন করবে তখন পাড়া-প্রতিবেশীরাও তাকে আপন করে নিতে আগ্রহী হয়ে উঠবে।

 

যোগাভ্যাসের শক্তিতে ভারত যে আজ বলীয়ান, সেকথা প্রামাণিত হয়েছে যোগের মাধ্যমে। তাই, সমগ্র বিশ্বও যোগের সঙ্গে তার বন্ধনকে নিবিড় করে তুলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

 

বর্তমান বিশ্বে যোগই হ’ল ঐক্য সৃষ্টিকারী ক্ষমতাগুলির অন্যতম।

 

সম্পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসের সঙ্গেই আমি আজ বলতে পারি যে, সমগ্র বিশ্বের মানুষকে যদি যোগচর্চার সূত্রে আমরা মিলিত করতে পারি, তা হলে অনেক অকল্পনীয় সত্যই প্রকাশিত হবে বিশ্ববাসীর কাছে।

 

বিভিন্ন দেশের পার্ক ও উদ্যানে, উন্মুক্ত প্রান্তরে, পথপ্রান্তে, অফিস ও বাড়িতে, স্কুল-কলেজ ও হাসপাতালে এবং ঐতিহাসিক ভবনগুলিতে আপনাদের মতোই আর সকলেই যখন সমবেত হয়েছেন, তখন বিশ্বজনীন ভ্রাতৃত্ববোধ এবং বিশ্বমৈত্রীর প্রসার ঘটানোর মতো শক্তির আমরা সঞ্জীবন ঘটাই।

 

বন্ধুগণ, যোগকে আজ আপন করে নিয়েছে সমগ্র বিশ্বই। এর কিছু কিছু খন্ডচিত্র সুপরিস্ফুট হয়ে ওঠে প্রতি বছর আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপনকালে।

যোগ দিবস হ’ল প্রকৃতপক্ষে এক বৃহত্তম জনআন্দোলন, যার লক্ষ্যই হ’ল সুস্বাস্থ্য।

 

বন্ধুগণ, টোকিও থেকে টরেন্টো, স্টকহোম থেকে সাওপাওলো সর্বত্রই কোটি কোটি মানুষের জীবনকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করেছে যোগাভ্যাস।

 

যোগ হ’ল একাধারে সুপ্রাচীন অথচ আধুনিক একটি চর্চা-বিশেষ এবং প্রতিনিয়তই তা আরও বিকশিত হচ্ছে। এই কারণেই যোগচর্চা হ’ল একটি সুন্দর জীবনবোধ।

 

যোগ হ’ল আমাদের অতীত ও বর্তমান উভয়ের ক্ষেত্রেই সর্বশ্রেষ্ঠ এক অভ্যাস, যা আমাদের ভবিষ্যতের জন্যও আশার আলো বহন করে আনে।

যোগচর্চার মধ্যে ব্যক্তি-কেন্দ্রিক বা সামাজিক অনেক রকম সমস্যারই আমরা প্রকৃত সমাধান খুঁজে পাই।

 

আমাদের বিশ্ব সংসার সতত জাগরূক। বিশ্বের কোনও না কোনও প্রান্তে সকল সময়েই ঘটে চলেছে নতুন কোনও ঘটনা।

 

আমাদের জীবন যেহেতু দ্রুত গতিশীল, সেই কারণে তার মধ্যে উত্তেজনা ও সংঘাতেরও অবকাশ থেকে যায়। শুধুমাত্র হৃদযন্ত্রের বিকলতায় প্রতি বছর বিশ্বের প্রায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে, তা জেনে আমি মর্মাহত। আবার প্রচুর সংখ্যক মানুষ শর্করা রোগের সঙ্গে নিয়ত যুদ্ধ করতে করতে পরাভাব শিকার করতে বাধ্য হন।

 

এক শান্ত, সৃজনশীল কর্মজীবনের দ্যোতকই হ’ল যোগ। উত্তেজনা ও অশান্তিকে জয় করার শক্তি রয়েছে যোগের।

 

তাই, যোগ আমাদের বিচ্ছিন্ন করে না, বরং ঐক্যবদ্ধ করে।

 

বৈরিতা নয়, বরং মিলন ও সম্প্রীতি ঘটায় যোগ।

 

মানুষের রোগব্যাধির উপশম ও নির্মূল ঘটাতে সাহায্য করে যোগাভ্যাস।

 

আর এইভাবেই যোগচর্চা সুখ, শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্বের জগতকে সাদর আহ্বান জানায়।

 

বহু মানুষ যোগচর্চার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন – এ কথার অর্থ হ’ল এই যে, সমগ্র বিশ্বের এখন প্রয়োজন রয়েছে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের, যাঁরা যোগ শিক্ষাদানের ক্ষমতা রাখেন। গত তিন বছরে যোগ শিক্ষাদানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বহু সংখ্যক মানুষ। এই লক্ষ্যে নতুন নতুন প্রতিষ্ঠানও গড়ে তোলা হচ্ছে। এমনকি, প্রযুক্তিও মানুষকে যুক্ত হতে সাহায্য করে যোগাভ্যাসের সঙ্গে। এই কারণে, আগামী দিনে এর ওপর ভিত্তি করে এগিয়ে চলার জন্য আমি আপনাদের সকলের কাছে আহ্বান জানাই।

 

আজকের এই যোগ দিবস হ’ল যোগের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে নিবিড়তর করে তোলার এক সুযোগবিশেষ। এই দিনটি আমাদের পারিপার্শিকতায় যোগাভ্যাসের জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে। আজকের দিনটি পালনের বিশেষ তাৎপর্যই হ’ল তাই।

 

বন্ধুগণ, রোগ-জরার পথ থেকে সুস্থতার পথে মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে যোগাভ্যাস।

 

ঠিক এই কারণেই বিশ্বের সর্বত্র যোগের কদর দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে।

 

কভেন্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয় এবং র‍্যাডবাউড বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত সমীক্ষায় প্রকাশ যে, যোগ শুধুমাত্র আমাদের দেহেরই রোগ মুক্তি ঘটায় না, সেই সঙ্গে আমাদের ডিএনএ-তে রোগ সৃষ্টিকারী যে প্রতিক্রিয়া ঘটে চলে, তাকেও বিপরীতমুখী করে তোলে।

 

সুস্বাস্থ্য ছাড়াও বেশ কিছু রোগব্যাধি থেকে আমরা আমাদের রক্ষা করতে পারি যদি আমরা যোগের মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম অভ্যাস করতে পারি। নিয়মিত যোগাভ্যাস যে কোনও পরিবারেরই চিকিৎসার খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।

 

জাতি গঠন সহ প্রতিটি কাজে, প্রতিটি প্রক্রিয়ায় সামিল হওয়ার জন্য আমাদের সুস্থ থাকা একান্ত জরুরি। কারণ, তাতে যোগাভ্যাসের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে।

 

সুতরাং, যোগাভ্যাসের সঙ্গে যুক্ত সকল মানুষের কাছেই আমি আর্জি জানাই যে, এই চর্চাকে আপনারা নিয়মিত করে তুলুন। যাঁরা এখনও যোগাভ্যাসের সঙ্গে যুক্তহতে পারেননি, তাঁদেরও উচিৎ এই অভ্যাসের সঙ্গে রপ্ত হওয়ার চেষ্টা করা।

 

বন্ধুগণ, যোগচর্চার ক্রমপ্রসার ভারত ও বিশ্বকে পরস্পরের আরও কাছে নিয়ে আসতে সাহায্য করেছে। আমাদের নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলে যোগচর্চার ক্ষেত্রে যে পরিবেশ ও পরিস্থিতির আজ সৃষ্টি হয়েছে কালক্রমে তা আরও জোরদার হয়ে উঠবে।

 

মানব জীবনকে সুখী ও নীরোগ করে তুলতে যোগের ভূমিকা যে অনস্বীকার্য এই বোধকে আরও বেশি মাত্রায় জাগিয়ে তোলার দায়িত্ব হ’ল আমাদেরই। তাই আমি আহ্বান জানাই যে, আপনারা সকলে এগিয়ে আসুন। আমরা সকলে মিলে আমাদের প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার করে তুলি। দায়িত্বশীলতার এই বোধ যেন আমরা কখনই বিস্মৃত না হই।

 

এই পবিত্র ভূমিতে দাঁড়িয়ে বিশ্বের সকল প্রান্তের যোগ উৎসাহীদের আমি শুভেচ্ছা জানাই।

 

এই ধরণের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য আমি আন্তরিকভাবেই শ্রদ্ধাশীল উত্তরাখন্ড সরকারের প্রতি।

 

আপনাদের সকলকেই জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Snacks, Laughter And More, PM Modi's Candid Moments With Indian Workers In Kuwait

Media Coverage

Snacks, Laughter And More, PM Modi's Candid Moments With Indian Workers In Kuwait
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM to attend Christmas Celebrations hosted by the Catholic Bishops' Conference of India
December 22, 2024
PM to interact with prominent leaders from the Christian community including Cardinals and Bishops
First such instance that a Prime Minister will attend such a programme at the Headquarters of the Catholic Church in India

Prime Minister Shri Narendra Modi will attend the Christmas Celebrations hosted by the Catholic Bishops' Conference of India (CBCI) at the CBCI Centre premises, New Delhi at 6:30 PM on 23rd December.

Prime Minister will interact with key leaders from the Christian community, including Cardinals, Bishops and prominent lay leaders of the Church.

This is the first time a Prime Minister will attend such a programme at the Headquarters of the Catholic Church in India.

Catholic Bishops' Conference of India (CBCI) was established in 1944 and is the body which works closest with all the Catholics across India.