Loknayak JP and Nanaji Deshmukh devoted their lives towards the betterment of our nation: PM
Loknayak JP was deeply popular among youngsters. Inspired by Gandhiji’s clarion call, he played key role during ‘Quit India’ movement: PM
Loknayak JP fought corruption in the nation. His leadership rattled those in power: Prime Minister
Initiatives have to be completed on time and the fruits of development must reach the intended beneficiaries, says PM Modi
Strength of a democracy cannot be restricted to how many people vote but the real essence of a democracy is Jan Bhagidari: PM Modi

আজ লোকনায়ক জয়প্রকাশের জন্ম জয়ন্তী উদযাপিত হচ্ছে আর আজকের দিনেই লোকনায়কজয়প্রকাশের ঘনিষ্ঠ সাথী শ্রদ্ধেয় নানাজি দেশমুখ-এর জন্মশতবর্ষ পালন করা হচ্ছে। এইদুই মহাপুরুষ নিজেদের জীবদ্দশায় এমন সংকল্প গ্রহণ করেছিলেন, যাতে তাঁরা নিজেদেরকেওউৎসর্গ করেছিলেন আর সাফল্য প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে দেশবাসীর কল্যাণে মাতৃভূমির জন্যসারা জীবন উৎসর্গীকৃত ছিলেন। স্বাধীনতা আন্দোলনে লোকনায়ক জয়প্রকাশের নেতৃত্ব নবীনপ্রজন্মের প্রেরণাস্বরূপ ছিল। ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলন তীব্র হয়ে উঠলে ইংরেজসরকার মহাত্মা গান্ধী, সর্দার প্যাটেল সহ দেশের সকল বড় নেতাদের গ্রেপ্তার করে জেলেভরে দেয়। তখন জয়প্রকাশ নারায়ণ এবং রামমনোহর লোহিয়ার মতো যুবনেতারা এগিয়ে এসে সেইআন্দোলনে নেতৃত্ব সামলান। সেই সময় তাঁরা সারা দেশে যুবসম্প্রদায়ের হৃদয়ে প্রেরণাসঞ্চার করতে পেরেছিলেন। আর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যখন অনেক বড় বড় নেতা ক্ষমতার বলয়েনিজেদের স্থান প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন, তখন এই জয়প্রকাশ নারায়ণনিজেকে ক্ষমতার রাজনীতি থেকে দূরে রেখেছিলেন। স্বাধীনতার পর জয়প্রকাশ নারায়ণ ওতাঁর স্ত্রী শ্রদ্ধেয়া প্রভাদেবী গ্রামোত্থান এবং জনকল্যাণের পথ বেছে নিয়েছিলেন। 

নানাজি দেশমুখ’কে দেশবাসী বেশি চিনতেন না। অথচ, দেশের জন্য তিনি নিজের জীবনউৎসর্গ করেছিলেন। দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণার আগে জয়প্রকাশ নারায়ণ যখন শাসন ব্যবস্থারউঁচুস্তরে ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি দেখে বিতশ্রদ্ধ হয়ে ছাত্র আন্দোলন শুরু করেছিলেন।গুজরাটের যুব-আন্দোলনের সাফল্য থেকে প্রেরণা নিয়ে তিনি যখন আরেকবার জাতীয় রাজনীতিরময়দানে প্রতিবাদের মুখ হয়ে উঠেছিলেন, তৎকালীন কেন্দ্রের সরকার কেঁপে উঠেছিল।জয়প্রকাশজি’কে আটকানোর জন্য কী কী করা যেতে পারে, তা নিয়ে ষড়যন্ত্র রচিত হয়। সেইসময় পাটনায় একটি শোভাযাত্রায় জয়প্রকাশজির ওপর হামলা হয়। সেই সময় তাঁর পাশেদাঁড়িয়েছিলেন নানাজি দেশমুখ। নানাজি নিজের হাত বাড়িয়ে সেই মৃত্যুরূপী আঘাতকেপ্রতিহত করেছিলেন। ফলে, তাঁর হাত ভেঙে গিয়েছিল। কিন্তু জয়প্রকাশজি’র প্রাণ বাঁচানোএমন একটি ঘটনা ছিল, যা নানাজি দেশমুখ’কে বিখ্যাত করে দেয়। নানাজি দেশমুখ সারা জীবনদেশের জন্য বেঁচেছিলেন। তিনি দীনদয়াল রিসার্চ ইন্সটিটিউটের মাধ্যমে দেশের জন্য বেশকিছু আদর্শ দম্পতিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তাঁর এই দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করারআহ্বানে সাড়া দিয়ে শতাধিক নবীন দম্পতি এগিয়ে আসেন এবং তাঁরা প্রশিক্ষণ নিয়েপরবর্তীকালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গ্রাম বিকাশের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। যখন মুরারজিভাই প্রধানমন্ত্রী হন, জনতা পার্টির শাসনকালে নানাজি দেশমুখ’কে জাতীয় মন্ত্রিসভারসদস্য হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু জয়প্রকাশ নারায়ণের আদর্শেঅনুপ্রাণিত নানাজি-ও নম্রভাবে মন্ত্রিপরিষদে যোগদানের আহ্বানকে অস্বীকার করেনিজেকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে নেন। জীবনের প্রায় সাড়ে তিন দশক তিনি চিত্রকূট এবংগোন্ডা’কে কেন্দ্র করে গ্রামীণ বিকাশের কাজ করে ৬০ বছর বয়সে তিনি প্রয়াত হন। 

আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, নানাজি’র জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারএই মহাপুরুষদের স্বপ্নের ভিত্তিতে, মহাত্মা গান্ধীর প্রদর্শিত পথে, গ্রামীণবিকাশের লক্ষ্যে, দেশের গ্রামগুলিকে আত্মনির্ভর করতে, দারিদ্র্য ও রোগমুক্ত করতেএগিয়ে এসেছে। জাতপাতের বিষ আজও যেভাবে আমাদের গ্রামগুলিকে বিষিয়ে দেয়, গ্রামেরস্বপ্নগুলিকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয়, সেই জাতপাতের ভাবনা থেকে ওপরে উঠে গ্রামগুলিকেসমৃদ্ধ গ্রাম করে তুলতে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলে মিলে গ্রাম-কল্যাণের শপথ নিয়েকাজ করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার এরকমই গণঅংশীদারিত্বের মাধ্যমে গ্রাম বিকাশেরপদক্ষেপ নিচ্ছে। 

আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ৩০০-রও বেশিগ্রামসেবক, যাঁরা গতকাল সারা দিন ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীতে বসে আধুনিক প্রেক্ষিতেগ্রামের উন্নয়ন কিভাবে হবে, তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছেন, নিজেদের অভিজ্ঞতাআদান-প্রাদন করেছেন। এভাবে গ্রামীণ অর্থনীতি এবং কৃষির নানা বিষয় নিয়েআলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাঁদের মন্থন থেকে যে অমৃত নিষ্কাষিত হয়েছে, তা একটু আগেইভিডিও’র মাধ্যমে প্রস্তুত করার প্রচেষ্টা হয়েছে। আমি এই সকল মাননীয় ব্যক্তিদের আশ্বস্তকরতে চাই যে, আপনাদের আলাপ-আলোচনা থেকে যে সিদ্ধান্তগুলি উঠে এসেছে, ভারত সরকারসেগুলিকে ঐকান্তিকভাবে গ্রহণ করবে। আর যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরামর্শ আপনারাদিয়েছেন, সেগুলি বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করবে। অনেক বছর পর এত বড় মাত্রায় ভারতেরগ্রামীণ জীবনের নানা বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা ও আলোচনা হয়েছে। আপনারা দেশের প্রত্যেকঅঞ্চল থেকে এসেছেন। নানা অঞ্চলের প্রকৃতি ও সমস্যা আলাদা। প্রত্যেক অঞ্চলেরপ্রয়োজনীয়তা এবং সেগুলি সমাধানের উপাদানও বিভিন্ন। ভিন্ন রুচি, প্রবৃত্তি এবংপ্রকৃতি অনুসারে গ্রামোন্নয়নকে শেকড়ের সঙ্গে যুক্ত করতে পারলে, তার ফল হবে অনেকচিরস্থায়ী ও সুদূরপ্রসারী। বাইরে থেকে চাপিয়ে দেওয়া অজানা বা বিদেশি উপাদানঅধিকাংশ ক্ষেত্রেই গ্রামীণ জীবনে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং গ্রামের মানুষঅচেনা উপাদান সহজেই স্বীকার করার সাহস পান না। সেজন্য আমাদের প্রচেষ্টা হ’ল –প্রতিটি গ্রামের যে নিজস্ব শক্তি ও সামর্থ্য রয়েছে, গ্রামের উন্নয়নকে তার সঙ্গেযুক্ত করার জন্য নতুন নতুন মডেল গড়ে তুলতে হবে। গ্রামের মানুষ যেসব উপাদানকে চেনেনও জানেন, সেগুলিকে মূল্য সংযোজন করে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এবং আর্থিক দৃষ্টিকোণ থেকেসুলভ প্রযুক্তির ব্যবহারে সহযোগী ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। তবেই আমরা প্রতিটিগ্রামের উন্নয়নে সেই গ্রামের মানুষদের সক্রিয় সহযোগিতা পাব। গ্রামের মানুষ যখনতাঁদের উন্নয়নের কাজ নিজেদের কাঁধে তুলে নেন এবং গ্রামের পরিবেশ ও প্রকৃতির অনুকূলকাজ হয়, সেই উন্নয়নই দীর্ঘস্থায়ী হয়। সেজন্য আপনাদের আলাপ-আলোচনার মন্থন নিষ্কাষিতঅমৃত আগামীদিনে দেশের গ্রামীণ বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আরেকটি জিনিসআমাদের মনে রাখতে হবে, উন্নয়নের প্রকল্পগুলির পরিকল্পনা যেমনই হোক না কেন, তাকেনির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বাস্তবায়িত করতে হবে। আমাদের প্রকল্পগুলি দ্বারা যাঁরালাভবান হবেন, তাঁরা যেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ১০০ ভাগ লাভবান হন, সেই মেজাজ নিয়েকাজ করতে হবে। যে মাটিতে কাজ শুরু হয়েছে, তা যেন কোনওভাবে বিঘ্নিত না হয়, সেটাদেখতে হবে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ফল হবে আউটপুট-ভিত্তিক নয়, আউটকাম-ভিত্তিক। শুধুআমরা এত টাকা বাজেট বরাদ্দ করেছি আর এত টাকা খরচ করেছি – এসব বললে চলবে না। বাজেটেযে লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে, সেটা বাস্তবায়িত হয়েছে কি না, সার্বিক প্রচেষ্টারমাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কাজ করলে বিগত ৭০ বছরে গ্রামীণ বিকাশের যে গতিছিল, তারচেয়ে অনেক দ্রুতগতিতে আমরা এগিয়ে যেতে পারব বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। বিগত ৭০বছর ধরে আমাদের গ্রামের মানুষ যে স্বপ্ন দেখেছেন, আগামী ২০২২ সালে দেশ যখনস্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তি পালন করবে, সেই সময়সীমার মধ্যে গ্রামের মানুষের সেইস্বপ্নগুলিকে আমরা বাস্তবায়িত করতে চাই। আজ গ্রামের মানুষও শহরের মানুষদের সমমানেরজীবনযাপন করতে চায়। যেসব সুবিধা শহরে রয়েছে, সেইসব পরিষেবা গ্রামেও থাকা উচিৎ।শহরগুলি যেমন বিদ্যুতের আলোতে উজ্জ্বল, গ্রামগুলিকেও সেরকম উজ্জ্বল করে তুলতে হবে।শহরের ছেলেমেয়েরা স্কুলের ল্যাবরেটরিতে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও আধুনিক কম্প্যুটারেরমাধ্যমে প্রযুক্তির শিক্ষা নিতে পারে, গ্রামের স্কুলের ছেলেমেয়েরাও যেন সেই সুবিধাপেতে পারে।

আজ অনেক ক্ষেত্রেই গ্রামগুলিতে শিক্ষকরা থাকতে রাজি হন না। ডাক্তাররা রাতেথাকেন না কিন্তু শহরে যেসব সুবিধা রয়েছে, সেসব সুবিধা যদি আমরা গ্রামে নিয়ে আসতেপারি, নলের মাধ্যমে পানীয় জল, অপ্টিকাল ফাইবার নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট ব্যবস্থা, ২৪ঘন্টা বিদ্যুৎ, ঘরে ঘরে রান্নার গ্যাস – এইসব প্রাথমিক পরিষেবাগুলি গ্রামে থাকলেগ্রামের জীবনমান বাড়বে। তখন শিক্ষকরা গ্রামে থাকবেন, ডাক্তারবাবুরাও রাতে চলেযাবেন না। গ্রামের উন্নয়ন করতে আসা সরকারি বাবুদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাবে। আরসেজন্য মহাত্মা গান্ধী যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, দীনদয়াল উপাধ্যায় যেরকম ভেবেছিলেন,জয়প্রকাশ নারায়ণ এবং তাঁর সাথী নানাজি দেশমুখ যে ভাবনা নিয়ে আদর্শ গ্রাম গড়ে তুলতেচেয়েছিলেন, সেরকম গ্রাম গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি। 

আমাদের দেশে যথাযথ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি বলে সরকার প্রান্তিক মানুষদের কোনওপরিষেবাই দিতে পারে না - এই মতবাদ আমি বিশ্বাস করি না। সরকারে দায়িত্ব নেওয়ার পরআমি বুঝতে পেরেছি যে, সরকার চাইলে প্রত্যেক প্রান্তিক মানুষের কাছে তাঁর অধিকারপ্রদান করার মতো ব্যবস্থার অভাব দেশে নেই। যে জিনিসটার অভাব রয়েছে, সেটা হ’লসুশাসনের অভাব। দেশের যে রাজ্যগুলিতে সুশাসন রয়েছে, সরকারি ব্যবস্থা নির্ধারিতসময়ে যে কোনও কাজের লক্ষ্যসাধন করতে অভ্যস্থ, সেই রাজ্যগুলিতে পরিবর্তন পরিলক্ষিতহচ্ছে। আপনারা দেখবেন মনরেগা; মনরেগার মূল বৈশিষ্ট্য হ’ল – এই প্রকল্প গ্রামীণমানুষকে রোজগার দেওয়ার জন্য গড়ে উঠেছে। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা বলছে, যে রাজ্যগুলিতেদারিদ্র্য বেশি, সেই রাজ্যগুলিতেই মনরেগার কাজ কম হচ্ছে। আর যে রাজ্যগুলিতেঅপেক্ষাকৃত দারিদ্র্য কম কিন্তু সুশাসন রয়েছে, সেই রাজ্যগুলিতে মনরেগার কাজও বেশিহচ্ছে। সেই রাজ্যগুলি বেশি প্রকল্প গড়ে তুলে অধিক মানুষকে যুক্ত করে অধিক রোজগারপ্রদানে সক্ষম হচ্ছে। আর সেজন্য গ্রামীণ বিকাশের লক্ষ্যে আমরা সুশাসনের ওপর বেশিজোর দিচ্ছি। আজ আপনাদের সামনেই ‘দিশা’ নামক যে ডিজিটাল ড্যাশবোর্ড আপনাদের সামনেপ্রদর্শিত হয়েছে, সেটি সুশাসনের লক্ষ্যে সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।এরফলে, আজ আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে প্রতিটি জিনিসকে তদারকি করতে পারছি, নির্দিষ্টসময়সীমার মধ্যে পুনর্বিচার করতে পারছি, এর মধ্যে কোনও ত্রুটি থাকলে সেগুলিকেশুধরানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে, নীতিগত সমস্যা থাকলে নীতিতে পরিবর্তন আনাহচ্ছে, ব্যক্তির কর্মপদ্ধতিতে সমস্যা থাকলে ব্যক্তিকে শুধরানো ও সতর্ক করা যাচ্ছে,এই ব্যবস্থায় ক্রমে দেশের প্রতিটি গ্রামকে যুক্ত করে নেওয়া হবে। দ্বিতীয়ত,কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য হ’ল – রাজ্য সরকারের সকল প্রকল্পগুলিকে আমাদের সংসদসদস্য এবং জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে একসূত্রে গ্রথিত করা। অগ্রাধিকার ঠিক করে কাজকরলে ইপ্সিত পরিণাম অবশ্যই পাওয়া যায়। আর সেজন্যেই এই ‘দিশা’র মাধ্যমে কেন্দ্রীয়সরকার জনপ্রতিনিধিদের সক্রিয়ভাবে যুক্ত করছে। সংসদ সদস্যরা জেলা প্রশাসনের সঙ্গেবসে ‘দিশা’র মাধ্যমে সকল উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখছেন। স্থানীয় প্রয়োজনঅনুসারে অগ্রাধিকার স্থির করেন। কেন্দ্র থেকে কোন কিছু চাপিয়ে দেওয়া হয় না। আরসেজন্যেই উন্নয়নের কাজে গতি আনার ক্ষেত্রে আমরা সফল হয়েছি। গণতন্ত্রের সাফল্য শুধুকতজন ভোটবাক্সে ভোট দিলেন, তা দিয়ে নির্ণয় করা যায় না। দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের দেশেগণতন্ত্রকে দীর্ঘকাল পাঁচ বছরে একবার গিয়ে ভোটবাক্সে কিংবা বিগত বছরগুলিতে বোতামটিপে ভোটদানে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। তারপর পাঁচ বছরে ধরে পঞ্চায়েত থেকে শুরু করেপার্লামেন্ট পর্যন্ত যাঁরা ক্ষমতায় এসেছেন, তাঁরাই আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেছেন।আমার মতে, গণতন্ত্রকে এই সীমার মধ্যে সঙ্কুচিত রাখা উচিৎ নয়। ভোটদান গণতন্ত্রেরএকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন ঠিকই, যার মাধ্যমে আপনারা নিজেদের পছন্দের সরকার বেছেনেবেন। কিন্তু গণতন্ত্রের সাফল্য তখনই আসে, যখন গণঅংশীদারিত্বের মাধ্যমে পরিচালিতহয়। গ্রাম ও শহরের উন্নয়নে গণঅংশীদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর সেজন্যজনগণের সঙ্গে সরকারের নিয়মিত বার্তালাপ অনিবার্য। উপর থেকে নীচ পর্যন্ত সঠিকপরামর্শ ও নির্দেশাবলী আর নীচ থেকে উপর পর্যন্ত সঠিক তথ্য পৌঁছতে হবে। এই উভয়মুখীবার্তালাপ যথাযথভাবে পালিত হলে প্রকল্প, নীতি ও বাজেট বরাদ্দ সঠিক লক্ষ্যে সঠিকপথে সৎভাবে খরচ হবে। যথাযথ কাজ হবে। সেজন্য আজ একটি মোবাইল অ্যাপ-এর মাধ্যমে‘গ্রামীণ সংবাদ’-এর মাধ্যমে প্রত্যেক গ্রামবাসীর মোবাইল ফোনে সরকারি প্রকল্প ওনির্দেশাবলী পৌঁছে দেওয়া আর জনগণের সকল সমস্যা ও উন্নয়নজনিত তথ্য সরকারের কাছেপৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে উপর থেকে নীচ পর্যন্ত, প্রান্তিক গ্রামেরশেষ মানুষটি পর্যন্ত সরকারের বক্তব্য পৌঁছে দেওয়ার এই পদ্ধতি সরকারের স্থানীয়অফিস, আধিকারিক এবং কর্মীদেরও চাপে রাখবে। তাঁরা ঠিকভাবে কাজ না করলে গ্রামবাসীগিয়ে বলবেন, বাবু আমাদের মোবাইল ফোনে দেখছি সরকারি প্রকল্পটি এরকম, আমরা এই এইসুবিধা পেতে পারি, তাহলে আপনারা অন্যরকম বলছেন কেন? অন্যরকম করছেন কেন? তখন চাপে পড়ে তাঁরা সঠিক কাজ নির্দিষ্ট সময়েরমধ্যে সম্পূর্ণ করতে বাধ্য হবেন। সেজন্যেই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আধুনিকপ্রযুক্তি ব্যবহার করে, জনগণের সঙ্গে সরকারের সরাসরি বার্তালাপের একটি ব্যবস্থাগড়ে তুলে উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। 

আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে এইঅ্যাপ-এর উদ্বোধন হচ্ছে। সেরকমই এখানে কৃষি বিভাগের একটি ফোনেমিক্স সেন্টারের একটিগুরুত্বপূর্ণ প্ল্যান্টের উদ্বোধন হচ্ছে। আমাদের দেশের গ্রামীণ অর্থনীতির কেন্দ্রেরয়েছে কৃষি ও পশুপালন। কিন্তু পাশাপাশি গ্রামীণ জীবনে এক শ্রেণীর মানুষ নানালোকশিল্পের মাধ্যমেও উপার্জন করেন। আর সেজন্য কৃষক, পশুপালক, চড়কাধারী এবং হস্তশিল্পীদেরসকলকে যুক্ত করে আমাদের অর্থ ব্যবস্থার স্তম্ভগুলিকে মজবুত করার লক্ষ্যে আমরা কাজকরছি। ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উৎসব পালনের আগেই আমরা কৃষকদের আয়দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। একদিকে কৃষকের বিনিয়োগের খরচ হ্রাস করতে হবে,আর অন্যদিকে তাঁদের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। এই উভয় ক্ষেত্রেই আমাদের আধুনিকপ্রযুক্তির সাহায্য নিতে হবে। পশুপালনে এমন পরিবর্তন আনতে হবে, যাতে পশুর সংখ্যাকম থাকলেও দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ, পশু প্রতি দুধের উৎপাদন বৃদ্ধিরউদ্দেশ্যে আমরা যতটা সাফল্য পাব, গ্রামীণ অর্থনীতিও তত শক্তিশালী হবে। আজ সারাপৃথিবীতেই রাসায়নিক মোমের বদলে মৌ-পালনের মাধ্যমে প্রাপ্ত মোমের চাহিদা বৃদ্ধিপাচ্ছে। আমরা যদি গ্রামে গ্রামে বৈজ্ঞানিক উপায়ে মৌ-পালনে উৎসাহ দিই, তা হলেআমাদের কৃষকরা পশুপালন ও মৌ-পালনের মাধ্যমে তাঁদের আয় দ্বিগুণ করতে পারবেন।পাশাপাশি ভারত মৌ-পালনের মাধ্যমে উৎপন্ন প্রাকৃতিক মোম রপ্তানি করে করে বিদেশিমুদ্রা অর্জন করতে পারবে। তেমনই আমাদের মৎস্যপালন থেকে মৎস্য ব্যবসা, হাঁস-মুরগীপালন, পশুপালন, শাক-সব্জি-ফল চাষ, মূল্যবান কাঠের বৃক্ষরোপণ ও লালন-পালন বৃদ্ধিকরতে হবে। দেশে আজ প্রভূত পরিমাণে মূল্যবান কাঠ আমদানি করতে হয়। আমাদের কৃষকরাতাঁদের কৃষি ক্ষেত্রের চারপাশে মূল্যবান কাঠের বৃক্ষের চাষ করলে ৫-১০ বছর পর ফলপেতে শুরু করবেন। মূল্যবান কাঠ আপনাদের পরিবারকে অনেক সঙ্কট থেকে রক্ষা করবে।এইভাবে সংহত এবং সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে গ্রামীণ বিকাশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ারলক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আমরা যে কোনও কাজ নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সম্পূর্ণ করারচেষ্টা করি। অপরিচ্ছন্নতা আমাদের গ্রামীণ জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছিল।মানুষ ভাবতেন যে, এটাই আমাদের ভাগ্য। আমরা এসে দেশের মা-বোনদের সম্মান রক্ষার কথামাথায় রেখে খোলা মাঠে প্রাকৃতিক কর্মমুক্ত গ্রাম গড়ে তোলার অভিযান শুরু করেছি। আমিঅত্যন্ত আনন্দিত যে, সারা দেশে শৌচাগার নির্মাণের অভিযান নির্দিষ্ট সময়সীমারমধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। ধীরে ধীরে গ্রামের মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিপাচ্ছে। উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্যে নবনির্মিত শৌচালয়গুলির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইজ্জতঘর’। সত্যিই তো, শৌচালয় মা-বোনেদের সম্মান পুনরুদ্ধারে কত বড় উপহার। তাঁদেরকে এখনআর খোলা মাঠে যেতে হয় না। সকালবেলা বেগ পেলে সন্ধ্যে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না।যতক্ষণ পর্যন্ত সারা দেশের সাধারণ মানুষ মা-বোনদের এই কষ্ট বুঝতে পারবেন না, ততদিনএই আন্দোলন সর্বাত্মক সাফল্য পাবে না। 

কিন্তু আমি খুশি যে, ইতিমধ্যেই দেশের আড়াই লক্ষেরও বেশি গ্রাম উন্মুক্তস্থানে মলমূত্র ত্যাগ মুক্ত হয়েছে। আমি সেই গ্রামের মানুষদের হৃদয় থেকে অভিনন্দনজানাই। তাঁরা নিজেদের মা-বোনের সম্মানের কথা ভেবে বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন। আমি সেইগ্রামগুলিকে পুণ্য গ্রাম বলে ভাবি এবং সেই গ্রামবাসীদের আমি প্রণাম জানাই। 

পরিচ্ছন্নতা আজ গ্রামের স্বভাবে পরিণত হচ্ছে। গ্রামগুলিও দায়িত্ব নিয়ে কাজকরছে। স্বাধীনতার ৭০ বছর পরও আমাদের দেশের ১৮ হাজার গ্রামের মানুষ বিদ্যুতের অভাবেঅষ্টাদশ শতাব্দীর মতো জীবন যাপন করতেন। বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় গরিবপরিবারে, বিশেষ করে, মহিলা ও শিশুদের যে ধরনের সমস্যা হয়, তা উপলব্ধি করে সরকার এধরনের ১৮ হাজার গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার সংকল্প নিয়েছিল যে, গ্রামগুলিতেস্বাধীনতার এত বছর পরও বিদ্যুতের খুঁটি পৌঁছয়নি। আমি লালকেল্লার প্রাকার থেকে ১হাজার দিনের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আজ ঐ ১৮ হাজারগ্রামের মধ্যে কেবলমাত্র ৩ হাজার গ্রাম এরকম বাকি রয়েছে, যেগুলিতে আজও বিদ্যুৎপৌঁছয়নি। আমার বিশ্বাস যে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই গ্রামগুলিতেও বিদ্যুৎ পৌঁছেযাবে। ভাই ও বোনেরা, নতুন ভারত-এ দেশের প্রত্যেক গ্রামে শুধু বিদ্যুৎ পৌঁছবে না,প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকবে। প্রধানমন্ত্রী সহজ বিজলী হর ঘর যোজনা অর্থাৎএই সৌভাগ্যের সূত্রপাত সরকারের ইচ্ছাশক্তি আর দেশে শক্তি বিপ্লবের পথে এগিয়েযাওয়ার প্রতীক। ভারতের গ্রামীণ জীবনে পরিবর্তন আনতে গ্রামীণ উৎপাদনকে শহরে বাজারতৈরি করে দিতে হবে, গ্রামীণ হস্তশিল্পকে শহরে ফ্যাশন স্টেটমেন্ট রূপে পল্লবিত করতেহবে। সাধারণ মানুষের হাতে তৈরি জিনিস যদি শহরের মানুষের বৈঠকখানাগুলির শ্রীবৃদ্ধিকরে, তাহলে গ্রামীন অর্থনীতি সশক্ত হবে। আপনারা যদি গ্রামের কুমোরের তৈরি দীপাবলিরপ্রদীপ কেনেন তাহলে কুমোরের বাড়িতেও অনায়াসে দীপাবলির প্রদীপ জ্বলবে। আর এটাআমাদের জন্যে কোনও কঠিন কাজ নয়। আমরা শহরবাসীরা যদি নিজেদের জীবনের প্রয়োজনগুলিগ্রামীন অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ মাথায় রেখে মেটাই তাহলে আমাদের জীবনেও নতুনত্ব আসবে।সেজন্যে প্রতিটি শহরকে সন্নিহিত গ্রামগুলির বাজার হয়ে উঠতে হবে। তাহলেই দেখবেনআমাদের দেশের গ্রামগুলিতে আর গরিব থাকবে না। তাহলেই পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় যেঅন্ত্যোদয়ের স্বপ্ন দেখেছিলেন, আমরা সেই স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিতে পারবো। 

আজ নানাজী দেশমুখের জন্মশতাব্দী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে একটিডাকটিকিট-এরও উদ্বোধন হল। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই ডাকটিকিট মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছুলেনানাজীর প্রতি দেশে আগ্রহ বাড়বে। কেমন মানুষেরা শুধু দেশের জন্যে বেঁচে থাকারউদ্দেশ্য নিয়ে আজীবন কাজ করে গেছেন! গ্রামের জীবনে পরিবর্তন আনা, নিজে ঝাঁপিয়ে পড়েউন্নয়নের কাজে হাত লাগানো; এরপর থেকে দেশের প্রত্যেক রাষ্ট্রপতি নানাজির এই পদ্ধতিঅনুসরণ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনেক প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছেন। তাঁরাপ্রত্যেকেই নানাজির পদ্ধতির প্রশংসক ছিলেন। নানাজির প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করে তাঁরানিজেরা সেসব গ্রামে পৌঁছ গিয়ে প্রকল্পের অগ্রগতি দেখে এসেছেন। আজ নানাজিরজন্মশতবার্ষিকী পালন উৎসবের দিন ভারতের নানাপ্রান্তের গ্রাম থেকে অনেক মানুষএসেছেন, তাঁদেরকে আমি আশ্বস্ত করছি যে আজ কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েঅধিকাংশ রাজ্য সরকার এবং জেলা প্রশাসনও গ্রামীণ জীবনে পরিবর্তন আনার সংকল্প নিয়েকাজ করে চলেছেন। এই গতিতে কাজ হলে আমি স্থির নিশ্চিত যে, ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫বছর পূর্তি উৎসবের আগেই আমরা নতুন ভারত গড়ে তুলতে পারব। শুধু প্রতিটি গ্রামেরপ্রত্যেক গ্রামবাসীকে সংকল্প নিতে হবে যে, ২০২২ সালের মধ্যে আমি ব্যক্তিগতভাবেগ্রামের জন্য এই কাজটা করব। এই সংকল্প নিয়ে এগিয়ে গেলেই আমাদের গ্রামোদয়ের স্বপ্নবাস্তবায়িত হতে বাধ্য। 

আমি আরেকবার আপনাদের অনুরোধ করব যে, এখানে যে প্রদর্শনীটি চলছে, সেটিভালোভাবে ঘুরে দেখুন। আমি একটু আগেই দেখলাম যে, এই প্রদর্শনীতে যাঁরা এসেছেন,তাঁদের অনেক বক্তব্য আছে। তাঁদের সাফল্য থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারব, তাঁদেরঅভিজ্ঞতা আমাদের ঋদ্ধ করবে। এই প্রদর্শনী দেখে আমার মনে এই ভেবে খুব আনন্দ হয়েছেযে, আমাদের গ্রামে গ্রামে কেমন সব প্রয়োগ হচ্ছে, কত নতুন নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।আধুনিক প্রযুক্তি আমাদের গ্রামগুলিতেও কিভাবে স্থান করে নিয়েছে। এই প্রদর্শনী ঘুরেদেখে আপনারা ভাবুন যে, এর মধ্যে কোন্‌ কোন্‌ জিনিস আপনাদের গ্রামেও চালু করতেপারেন, সেগুলি লিখে নিয়ে যান, কোথাও আটকালে কার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন, তাঁদের নাম ওফোন নম্বর লিখে নিয়ে যান। এখানে প্রদর্শিত কোন্‌ জিনিসটি আপনাদের গ্রামের পরিবেশ ওপ্রকৃতি অনুকূল, সেটা বুঝতে পারলেই আপনারা সেগুলি নিজের গ্রামে প্রয়োগ করতেপারবেন। কোনও জিনিস চোখে দেখলেই তার শক্তি সম্পর্কে আমরা ভালোভাবে অবহিত হই। আরসেজন্য আমি অনুরোধ করব যে, আপনারা সবাই এই প্রদর্শনী দেখতে ২-৪ ঘন্টা সময় ব্যয়করুন, প্রত্যেকটি জিনিসকে খতিয়ে দেখুন। আর আপনার প্রয়োজনের জিনিসটি নিজের গ্রামেনিয়ে যান। আমি আরেকবার নানাজি’কে প্রণাম জানাই, বাবু জয়প্রকাশ নারায়ণকে প্রণামজানাই আর দেশের সকল প্রান্তের গ্রাম থেকে আসা আমার সচেতন নগরিক ভাই-বোনদের প্রণামজানাই। আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report

Media Coverage

India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM’s address at the Odisha Parba
November 24, 2024
Delighted to take part in the Odisha Parba in Delhi, the state plays a pivotal role in India's growth and is blessed with cultural heritage admired across the country and the world: PM
The culture of Odisha has greatly strengthened the spirit of 'Ek Bharat Shreshtha Bharat', in which the sons and daughters of the state have made huge contributions: PM
We can see many examples of the contribution of Oriya literature to the cultural prosperity of India: PM
Odisha's cultural richness, architecture and science have always been special, We have to constantly take innovative steps to take every identity of this place to the world: PM
We are working fast in every sector for the development of Odisha,it has immense possibilities of port based industrial development: PM
Odisha is India's mining and metal powerhouse making it’s position very strong in the steel, aluminium and energy sectors: PM
Our government is committed to promote ease of doing business in Odisha: PM
Today Odisha has its own vision and roadmap, now investment will be encouraged and new employment opportunities will be created: PM

जय जगन्नाथ!

जय जगन्नाथ!

केंद्रीय मंत्रिमंडल के मेरे सहयोगी श्रीमान धर्मेन्द्र प्रधान जी, अश्विनी वैष्णव जी, उड़िया समाज संस्था के अध्यक्ष श्री सिद्धार्थ प्रधान जी, उड़िया समाज के अन्य अधिकारी, ओडिशा के सभी कलाकार, अन्य महानुभाव, देवियों और सज्जनों।

ओडिशा र सबू भाईओ भउणी मानंकु मोर नमस्कार, एबंग जुहार। ओड़िया संस्कृति के महाकुंभ ‘ओड़िशा पर्व 2024’ कू आसी मँ गर्बित। आपण मानंकु भेटी मूं बहुत आनंदित।

मैं आप सबको और ओडिशा के सभी लोगों को ओडिशा पर्व की बहुत-बहुत बधाई देता हूँ। इस साल स्वभाव कवि गंगाधर मेहेर की पुण्यतिथि का शताब्दी वर्ष भी है। मैं इस अवसर पर उनका पुण्य स्मरण करता हूं, उन्हें श्रद्धांजलि देता हूँ। मैं भक्त दासिआ बाउरी जी, भक्त सालबेग जी, उड़िया भागवत की रचना करने वाले श्री जगन्नाथ दास जी को भी आदरपूर्वक नमन करता हूं।

ओडिशा निजर सांस्कृतिक विविधता द्वारा भारतकु जीबन्त रखिबारे बहुत बड़ भूमिका प्रतिपादन करिछि।

साथियों,

ओडिशा हमेशा से संतों और विद्वानों की धरती रही है। सरल महाभारत, उड़िया भागवत...हमारे धर्मग्रन्थों को जिस तरह यहाँ के विद्वानों ने लोकभाषा में घर-घर पहुंचाया, जिस तरह ऋषियों के विचारों से जन-जन को जोड़ा....उसने भारत की सांस्कृतिक समृद्धि में बहुत बड़ी भूमिका निभाई है। उड़िया भाषा में महाप्रभु जगन्नाथ जी से जुड़ा कितना बड़ा साहित्य है। मुझे भी उनकी एक गाथा हमेशा याद रहती है। महाप्रभु अपने श्री मंदिर से बाहर आए थे और उन्होंने स्वयं युद्ध का नेतृत्व किया था। तब युद्धभूमि की ओर जाते समय महाप्रभु श्री जगन्नाथ ने अपनी भक्त ‘माणिका गौउडुणी’ के हाथों से दही खाई थी। ये गाथा हमें बहुत कुछ सिखाती है। ये हमें सिखाती है कि हम नेक नीयत से काम करें, तो उस काम का नेतृत्व खुद ईश्वर करते हैं। हमेशा, हर समय, हर हालात में ये सोचने की जरूरत नहीं है कि हम अकेले हैं, हम हमेशा ‘प्लस वन’ होते हैं, प्रभु हमारे साथ होते हैं, ईश्वर हमेशा हमारे साथ होते हैं।

साथियों,

ओडिशा के संत कवि भीम भोई ने कहा था- मो जीवन पछे नर्के पडिथाउ जगत उद्धार हेउ। भाव ये कि मुझे चाहे जितने ही दुख क्यों ना उठाने पड़ें...लेकिन जगत का उद्धार हो। यही ओडिशा की संस्कृति भी है। ओडिशा सबु जुगरे समग्र राष्ट्र एबं पूरा मानब समाज र सेबा करिछी। यहाँ पुरी धाम ने ‘एक भारत श्रेष्ठ भारत’ की भावना को मजबूत बनाया। ओडिशा की वीर संतानों ने आज़ादी की लड़ाई में भी बढ़-चढ़कर देश को दिशा दिखाई थी। पाइका क्रांति के शहीदों का ऋण, हम कभी नहीं चुका सकते। ये मेरी सरकार का सौभाग्य है कि उसे पाइका क्रांति पर स्मारक डाक टिकट और सिक्का जारी करने का अवसर मिला था।

साथियों,

उत्कल केशरी हरे कृष्ण मेहताब जी के योगदान को भी इस समय पूरा देश याद कर रहा है। हम व्यापक स्तर पर उनकी 125वीं जयंती मना रहे हैं। अतीत से लेकर आज तक, ओडिशा ने देश को कितना सक्षम नेतृत्व दिया है, ये भी हमारे सामने है। आज ओडिशा की बेटी...आदिवासी समुदाय की द्रौपदी मुर्मू जी भारत की राष्ट्रपति हैं। ये हम सभी के लिए बहुत ही गर्व की बात है। उनकी प्रेरणा से आज भारत में आदिवासी कल्याण की हजारों करोड़ रुपए की योजनाएं शुरू हुई हैं, और ये योजनाएं सिर्फ ओडिशा के ही नहीं बल्कि पूरे भारत के आदिवासी समाज का हित कर रही हैं।

साथियों,

ओडिशा, माता सुभद्रा के रूप में नारीशक्ति और उसके सामर्थ्य की धरती है। ओडिशा तभी आगे बढ़ेगा, जब ओडिशा की महिलाएं आगे बढ़ेंगी। इसीलिए, कुछ ही दिन पहले मैंने ओडिशा की अपनी माताओं-बहनों के लिए सुभद्रा योजना का शुभारंभ किया था। इसका बहुत बड़ा लाभ ओडिशा की महिलाओं को मिलेगा। उत्कलर एही महान सुपुत्र मानंकर बिसयरे देश जाणू, एबं सेमानंक जीबन रु प्रेरणा नेउ, एथी निमन्ते एपरी आयौजनर बहुत अधिक गुरुत्व रहिछि ।

साथियों,

इसी उत्कल ने भारत के समुद्री सामर्थ्य को नया विस्तार दिया था। कल ही ओडिशा में बाली जात्रा का समापन हुआ है। इस बार भी 15 नवंबर को कार्तिक पूर्णिमा के दिन से कटक में महानदी के तट पर इसका भव्य आयोजन हो रहा था। बाली जात्रा प्रतीक है कि भारत का, ओडिशा का सामुद्रिक सामर्थ्य क्या था। सैकड़ों वर्ष पहले जब आज जैसी टेक्नोलॉजी नहीं थी, तब भी यहां के नाविकों ने समुद्र को पार करने का साहस दिखाया। हमारे यहां के व्यापारी जहाजों से इंडोनेशिया के बाली, सुमात्रा, जावा जैसे स्थानो की यात्राएं करते थे। इन यात्राओं के माध्यम से व्यापार भी हुआ और संस्कृति भी एक जगह से दूसरी जगह पहुंची। आजी विकसित भारतर संकल्पर सिद्धि निमन्ते ओडिशार सामुद्रिक शक्तिर महत्वपूर्ण भूमिका अछि।

साथियों,

ओडिशा को नई ऊंचाई तक ले जाने के लिए 10 साल से चल रहे अनवरत प्रयास....आज ओडिशा के लिए नए भविष्य की उम्मीद बन रहे हैं। 2024 में ओडिशावासियों के अभूतपूर्व आशीर्वाद ने इस उम्मीद को नया हौसला दिया है। हमने बड़े सपने देखे हैं, बड़े लक्ष्य तय किए हैं। 2036 में ओडिशा, राज्य-स्थापना का शताब्दी वर्ष मनाएगा। हमारा प्रयास है कि ओडिशा की गिनती देश के सशक्त, समृद्ध और तेजी से आगे बढ़ने वाले राज्यों में हो।

साथियों,

एक समय था, जब भारत के पूर्वी हिस्से को...ओडिशा जैसे राज्यों को पिछड़ा कहा जाता था। लेकिन मैं भारत के पूर्वी हिस्से को देश के विकास का ग्रोथ इंजन मानता हूं। इसलिए हमने पूर्वी भारत के विकास को अपनी प्राथमिकता बनाया है। आज पूरे पूर्वी भारत में कनेक्टिविटी के काम हों, स्वास्थ्य के काम हों, शिक्षा के काम हों, सभी में तेजी लाई गई है। 10 साल पहले ओडिशा को केंद्र सरकार जितना बजट देती थी, आज ओडिशा को तीन गुना ज्यादा बजट मिल रहा है। इस साल ओडिशा के विकास के लिए पिछले साल की तुलना में 30 प्रतिशत ज्यादा बजट दिया गया है। हम ओडिशा के विकास के लिए हर सेक्टर में तेजी से काम कर रहे हैं।

साथियों,

ओडिशा में पोर्ट आधारित औद्योगिक विकास की अपार संभावनाएं हैं। इसलिए धामरा, गोपालपुर, अस्तारंगा, पलुर, और सुवर्णरेखा पोर्ट्स का विकास करके यहां व्यापार को बढ़ावा दिया जाएगा। ओडिशा भारत का mining और metal powerhouse भी है। इससे स्टील, एल्युमिनियम और एनर्जी सेक्टर में ओडिशा की स्थिति काफी मजबूत हो जाती है। इन सेक्टरों पर फोकस करके ओडिशा में समृद्धि के नए दरवाजे खोले जा सकते हैं।

साथियों,

ओडिशा की धरती पर काजू, जूट, कपास, हल्दी और तिलहन की पैदावार बहुतायत में होती है। हमारा प्रयास है कि इन उत्पादों की पहुंच बड़े बाजारों तक हो और उसका फायदा हमारे किसान भाई-बहनों को मिले। ओडिशा की सी-फूड प्रोसेसिंग इंडस्ट्री में भी विस्तार की काफी संभावनाएं हैं। हमारा प्रयास है कि ओडिशा सी-फूड एक ऐसा ब्रांड बने, जिसकी मांग ग्लोबल मार्केट में हो।

साथियों,

हमारा प्रयास है कि ओडिशा निवेश करने वालों की पसंदीदा जगहों में से एक हो। हमारी सरकार ओडिशा में इज ऑफ डूइंग बिजनेस को बढ़ावा देने के लिए प्रतिबद्ध है। उत्कर्ष उत्कल के माध्यम से निवेश को बढ़ाया जा रहा है। ओडिशा में नई सरकार बनते ही, पहले 100 दिनों के भीतर-भीतर, 45 हजार करोड़ रुपए के निवेश को मंजूरी मिली है। आज ओडिशा के पास अपना विज़न भी है, और रोडमैप भी है। अब यहाँ निवेश को भी बढ़ावा मिलेगा, और रोजगार के नए अवसर भी पैदा होंगे। मैं इन प्रयासों के लिए मुख्यमंत्री श्रीमान मोहन चरण मांझी जी और उनकी टीम को बहुत-बहुत बधाई देता हूं।

साथियों,

ओडिशा के सामर्थ्य का सही दिशा में उपयोग करके उसे विकास की नई ऊंचाइयों पर पहुंचाया जा सकता है। मैं मानता हूं, ओडिशा को उसकी strategic location का बहुत बड़ा फायदा मिल सकता है। यहां से घरेलू और अंतर्राष्ट्रीय बाजार तक पहुंचना आसान है। पूर्व और दक्षिण-पूर्व एशिया के लिए ओडिशा व्यापार का एक महत्वपूर्ण हब है। Global value chains में ओडिशा की अहमियत आने वाले समय में और बढ़ेगी। हमारी सरकार राज्य से export बढ़ाने के लक्ष्य पर भी काम कर रही है।

साथियों,

ओडिशा में urbanization को बढ़ावा देने की अपार संभावनाएं हैं। हमारी सरकार इस दिशा में ठोस कदम उठा रही है। हम ज्यादा संख्या में dynamic और well-connected cities के निर्माण के लिए प्रतिबद्ध हैं। हम ओडिशा के टियर टू शहरों में भी नई संभावनाएं बनाने का भरपूर हम प्रयास कर रहे हैं। खासतौर पर पश्चिम ओडिशा के इलाकों में जो जिले हैं, वहाँ नए इंफ्रास्ट्रक्चर से नए अवसर पैदा होंगे।

साथियों,

हायर एजुकेशन के क्षेत्र में ओडिशा देशभर के छात्रों के लिए एक नई उम्मीद की तरह है। यहां कई राष्ट्रीय और अंतर्राष्ट्रीय इंस्टीट्यूट हैं, जो राज्य को एजुकेशन सेक्टर में लीड लेने के लिए प्रेरित करते हैं। इन कोशिशों से राज्य में स्टार्टअप्स इकोसिस्टम को भी बढ़ावा मिल रहा है।

साथियों,

ओडिशा अपनी सांस्कृतिक समृद्धि के कारण हमेशा से ख़ास रहा है। ओडिशा की विधाएँ हर किसी को सम्मोहित करती है, हर किसी को प्रेरित करती हैं। यहाँ का ओड़िशी नृत्य हो...ओडिशा की पेंटिंग्स हों...यहाँ जितनी जीवंतता पट्टचित्रों में देखने को मिलती है...उतनी ही बेमिसाल हमारे आदिवासी कला की प्रतीक सौरा चित्रकारी भी होती है। संबलपुरी, बोमकाई और कोटपाद बुनकरों की कारीगरी भी हमें ओडिशा में देखने को मिलती है। हम इस कला और कारीगरी का जितना प्रसार करेंगे, उतना ही इस कला को संरक्षित करने वाले उड़िया लोगों को सम्मान मिलेगा।

साथियों,

हमारे ओडिशा के पास वास्तु और विज्ञान की भी इतनी बड़ी धरोहर है। कोणार्क का सूर्य मंदिर… इसकी विशालता, इसका विज्ञान...लिंगराज और मुक्तेश्वर जैसे पुरातन मंदिरों का वास्तु.....ये हर किसी को आश्चर्यचकित करता है। आज लोग जब इन्हें देखते हैं...तो सोचने पर मजबूर हो जाते हैं कि सैकड़ों साल पहले भी ओडिशा के लोग विज्ञान में इतने आगे थे।

साथियों,

ओडिशा, पर्यटन की दृष्टि से अपार संभावनाओं की धरती है। हमें इन संभावनाओं को धरातल पर उतारने के लिए कई आयामों में काम करना है। आप देख रहे हैं, आज ओडिशा के साथ-साथ देश में भी ऐसी सरकार है जो ओडिशा की धरोहरों का, उसकी पहचान का सम्मान करती है। आपने देखा होगा, पिछले साल हमारे यहाँ G-20 का सम्मेलन हुआ था। हमने G-20 के दौरान इतने सारे देशों के राष्ट्राध्यक्षों और राजनयिकों के सामने...सूर्यमंदिर की ही भव्य तस्वीर को प्रस्तुत किया था। मुझे खुशी है कि महाप्रभु जगन्नाथ मंदिर परिसर के सभी चार द्वार खुल चुके हैं। मंदिर का रत्न भंडार भी खोल दिया गया है।

साथियों,

हमें ओडिशा की हर पहचान को दुनिया को बताने के लिए भी और भी इनोवेटिव कदम उठाने हैं। जैसे....हम बाली जात्रा को और पॉपुलर बनाने के लिए बाली जात्रा दिवस घोषित कर सकते हैं, उसका अंतरराष्ट्रीय मंच पर प्रचार कर सकते हैं। हम ओडिशी नृत्य जैसी कलाओं के लिए ओडिशी दिवस मनाने की शुरुआत कर सकते हैं। विभिन्न आदिवासी धरोहरों को सेलिब्रेट करने के लिए भी नई परम्पराएँ शुरू की जा सकती हैं। इसके लिए स्कूल और कॉलेजों में विशेष आयोजन किए जा सकते हैं। इससे लोगों में जागरूकता आएगी, यहाँ पर्यटन और लघु उद्योगों से जुड़े अवसर बढ़ेंगे। कुछ ही दिनों बाद प्रवासी भारतीय सम्मेलन भी, विश्व भर के लोग इस बार ओडिशा में, भुवनेश्वर में आने वाले हैं। प्रवासी भारतीय दिवस पहली बार ओडिशा में हो रहा है। ये सम्मेलन भी ओडिशा के लिए बहुत बड़ा अवसर बनने वाला है।

साथियों,

कई जगह देखा गया है बदलते समय के साथ, लोग अपनी मातृभाषा और संस्कृति को भी भूल जाते हैं। लेकिन मैंने देखा है...उड़िया समाज, चाहे जहां भी रहे, अपनी संस्कृति, अपनी भाषा...अपने पर्व-त्योहारों को लेकर हमेशा से बहुत उत्साहित रहा है। मातृभाषा और संस्कृति की शक्ति कैसे हमें अपनी जमीन से जोड़े रखती है...ये मैंने कुछ दिन पहले ही दक्षिण अमेरिका के देश गयाना में भी देखा। करीब दो सौ साल पहले भारत से सैकड़ों मजदूर गए...लेकिन वो अपने साथ रामचरित मानस ले गए...राम का नाम ले गए...इससे आज भी उनका नाता भारत भूमि से जुड़ा हुआ है। अपनी विरासत को इसी तरह सहेज कर रखते हुए जब विकास होता है...तो उसका लाभ हर किसी तक पहुंचता है। इसी तरह हम ओडिशा को भी नई ऊचाई पर पहुंचा सकते हैं।

साथियों,

आज के आधुनिक युग में हमें आधुनिक बदलावों को आत्मसात भी करना है, और अपनी जड़ों को भी मजबूत बनाना है। ओडिशा पर्व जैसे आयोजन इसका एक माध्यम बन सकते हैं। मैं चाहूँगा, आने वाले वर्षों में इस आयोजन का और ज्यादा विस्तार हो, ये पर्व केवल दिल्ली तक सीमित न रहे। ज्यादा से ज्यादा लोग इससे जुड़ें, स्कूल कॉलेजों का participation भी बढ़े, हमें इसके लिए प्रयास करने चाहिए। दिल्ली में बाकी राज्यों के लोग भी यहाँ आयें, ओडिशा को और करीबी से जानें, ये भी जरूरी है। मुझे भरोसा है, आने वाले समय में इस पर्व के रंग ओडिशा और देश के कोने-कोने तक पहुंचेंगे, ये जनभागीदारी का एक बहुत बड़ा प्रभावी मंच बनेगा। इसी भावना के साथ, मैं एक बार फिर आप सभी को बधाई देता हूं।

आप सबका बहुत-बहुत धन्यवाद।

जय जगन्नाथ!