মাননীয় রাষ্ট্রপতি মহোদয়, এখানে উপস্থিত সমস্ত সম্মানীত ব্যক্তিবর্গ এবং আজ যাঁদের সম্মান জানানো হয়েছে, সেই সমাজের প্রতি সমর্পিতপ্রাণ ব্যক্তিবর্গ। আমি সবার আগে আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইছি, কারণ, অন্য একটি কাজে ব্যস্ত থাকায় এখানে আসতে দেরী হয়েছে। আজ বিশ্ব যখন পূজনীয় বাপুর সার্ধশত জন্মবর্ষ পালন করছে, সেই বছরে ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কার’ পাবার গুরুত্বই আলাদা। যেসব ব্যক্তি ও সংগঠন এই পুরস্কার পাচ্ছেন, যেমন – কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ কেন্দ্র, একল বিদ্যালয়ের মতো সংগঠনগুলি সমাজের প্রান্তিক মানুষদের সন্তানদের শিক্ষা প্রসারে ও জীবনযাপনের মানোন্নয়নে সমর্পণ ভাব নিয়ে কাজ করে চলেছে – তাঁদেরকে আমার অনেক অনেক অভিনন্দন।

গান্ধীজীকে একবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, তাঁকে স্বাধীনতা ও পরিচ্ছন্নতার মধ্যে একটিকে বেছে নিতে হলে তিনি কোনটিকে বেছে নেবেন? তিনি বলেছিলেন যে, ‘আমি পরিচ্ছন্নতাকেই বেছে নেব’। স্বাধীন ভারতে পূজনীয় বাপুর এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমাদের সকলের। দেশের যে কোনও প্রান্তে আজ যাঁরাই পরিচ্ছন্নতার স্বার্থে বা শৌচালয় নির্মাণে নিজেদের উৎসর্গ করেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই আমার কাছে সম্মানীয় ব্যক্তিত্ব। দেশের শিশুদের মধ্যাহ্ন ভোজনের প্রকল্প সমস্ত রাজ্যেই চালু রয়েছে। কিন্তু অক্ষয়পাত্র সংগঠন এই সেবাকর্মকে একটি সংগঠিত অভিযানে পরিণত করেছে। কয়েকদিন আগেই বৃন্দাবনে গিয়ে আমার অক্ষয়পাত্র সংস্থার ৩০০ কোটিতম থালি পরিবেশনের সৌভাগ্য হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারও দেশে অপুষ্টি নিবারণে একটি বড় অভিযান চালিয়েছে। কারণ, আমরা মনে করি, ভারতের শিশুরা সুস্থ থাকলেই দেশ ও দেশের ভবিষ্যৎ সুস্থ থাকবে। এই অভিযানে সারা দেশে উল্লেখযোগ্য গণঅংশীদারিত্ব রয়েছে। আর জনগণ যখন স্বেচ্ছায় কোনও অভিযানে অংশগ্রহণ করেন, তখন তার শক্তি অবলীলায় বেড়ে যায়।

দেশের স্বাধীনতায় মহাত্মা গান্ধীর সাফল্য এসেছে সারা দেশে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী অসংখ্য মানুষের ত্যাগ ও তিতিক্ষার ফলে। যত বছর দেশ পরাধীন ছিল, তত বছর ধরেই দেশের কোনও না কোনও প্রান্ত থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামীরা উঠে এসেছেন। কিন্তু গান্ধীজী এই আন্দোলনকে গণআন্দোলনে পরিণত করতে পেরেছিলেন বলেই সাফল্য পেয়েছিলেন। তিনি বলতেন, আমরা সমাজের যে কোনও কাজই যদি নিষ্ঠার সঙ্গে করি, তা হলেই আমরা স্বাধীনতার জন্য কাজ করব। এই মনোভাব দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে গণঅংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করেছে। গান্ধীজীর প্রদর্শিত সেই পথ ধরেই আমরা তাঁর সার্ধশত জন্মবর্ষে তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছি। ২০২২ সালে দেশ যখন স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তি উৎসব পালন করবে, তার আগেই আমরা গান্ধীজীর স্বপ্নের ভারত গড়ে তুলতে চাই। পূজনীয় বাপু একজন বিশ্ব মানব ছিলেন। স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদানের চরম ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি সপ্তাহে একদিন জন্ডিস ও কুষ্ঠ রোগীদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন। কুষ্ঠ রোগীদের প্রতি সমাজের মানসিকতা পরিবর্তনের জন্য তাঁর অনুগামী সস্কাওয়াজী প্রায় চার দশক ধরে কাজ করে চলেছেন। তাঁর নেতৃত্বে কুষ্ঠ নিয়ে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর মতো ব্যক্তিত্বকে সম্মানীত করার মাধ্যমে পূজনীয় বাপুকে সত্যিকরের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের এই প্রচেষ্টাকে আমি অভিনন্দন জানাই। বিশ্বব্যাপী মহাত্মা গান্ধীর সার্ধ জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে সারা পৃথিবীর ১৫০টি দেশের ১৫০জন বিখ্যাত শিল্পী গান্ধীজির প্রিয় ভজন “বৈষ্ণব জন তো তেনে কহিয়ো” সুন্দরভাবে গেয়েছেন। যে কেউ চাইলে ইউ টিউবে তাঁদের গাওয়া গানগুলি শুনতে পাবেন। এই অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে যে সারা পৃথিবীতে ভারতের সম্মান বাড়ছে। বিশ্ববাসী আজ অনুধাবন করছেন যে, গান্ধীজির আদর্শ মানবকল্যাণে কতটা উপকারী! সেজন্যে ভারতের প্রতিটি শিশু, প্রত্যেক নাগরিক গর্ব করতে পারেন। আপনাদের সবাইকে আরেকবার শুভেচ্ছা জানিয়ে, পূজনীয় বাপুর চরণে প্রণাম জানিয়ে, বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
After Fronx, Maruti Suzuki India starts exporting Jimny to Japan

Media Coverage

After Fronx, Maruti Suzuki India starts exporting Jimny to Japan
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister attends prayer meeting at Gandhi Smriti
January 30, 2025

The Prime Minister, Shri Narendra Modi today attended a prayer meeting at Gandhi Smriti in New Delhi.

The Prime Minister said in a X post;

“Attended a prayer meeting at Gandhi Smriti this evening.”