It has been 12 years since he passed away but the thoughts of Chandra Shekhar Ji continue to guide us: PM Modi
These days, even if a small leader does a 10-12 km Padyatra, it is covered on TV. But, why did we not honour the historic Padyatra of Chandra Shekhar Ji: PM
There will be a museum for all former Prime Ministers who have served our nation. I invite their families to share aspects of the lives of former PMs be it Charan Singh Ji, Deve Gowda Ji, IK Gujral Ji and Dr. Manmohan Singh Ji: PM

মাননীয় উপ-রাষ্ট্রপতি মহোদয়, লোকসভার অধ্যক্ষ শ্রী ওম বিড়লাজী, শ্রী গুলাম নবীজী আর আজকের অনুষ্ঠানের মধ্যমনি শ্রী হরিবংশজী, মাননীয় চন্দ্রশেখরজীর পরিবারের সকল সদস্য এবং তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত সমস্ত সহযোগী বন্ধুগণ,

আজকের রাজনৈতিক আবহে রাজনৈতিক জীবন কাটিয়ে বিদায়ের দুই বছর পরই কারও মনে জীবিত থাকা অত্যন্ত কঠিন কাজ। জনগণ ভুলে যান, সঙ্গী-সাথী ভুলে যায়, হয়তো ইতিহাসের কোনও কোণায় এই ব্যক্তিত্বরা হারিয়ে যান।

অথচ, প্রয়াণের প্রায় ১২ বছর পর, আজও চন্দ্রশেখরজী আমাদের মনে তেমন ভাবেই জীবিত আছেন। আমি হরিবংশজীকে অনেক শুভেচ্ছা জানাই। এমন কাজ করার জন্য, এমন কাজ করার ক্ষমতা দেখানোর জন্য। ক্ষমতা একারণেই বলছি কারণ, আমাদের দেশে কিছুকাল ধরে এমন রাজনৈতিক আবহ গড়ে উঠেছে যেখানে রাজনৈতিক অস্পৃশ্যতা তীব্র হয়ে উঠেছে; কিছুদিন আগে পর্যন্ত হরিবংশজী একজন নিরপেক্ষ সাংবাদিক ছিলেন, আর এখন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে আসীন। কিন্তু এই বই প্রকাশের পর না জানি তাঁর নামে কী কী লেবেল সাঁটা হবে!

চন্দ্রশেখরজীর সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য আমার হয়নি। কিন্তু ১৯৭৭ সালে তাঁর সাথে সাক্ষাতের সৌভাগ্য হয়েছিল। সেই স্মৃতির কিছু টুকরো আপনাদের শোনাতে চাই। একদিন আমি আর ভৈরোসিং শেখাওয়াত দলের কাজে সফরে বেরিয়েছি, দিল্লি বিমানবন্দরে চন্দ্রশেখরজীকে দেখতে পেয়ে ভৈরোজি দ্রুত আমাকে একপাশে নিয়ে গিয়ে তাঁর পকেটের সবকিছু আমার পকেটে চালান করতে শুরু করেন। এত দ্রুত করেন যে আমি হতবাক।

আর তারপরই চন্দ্রশেখরজী তাঁকে দেখতে পেয়ে কাছে এসে সোজা ভৈরোসিং-এর পকেটে হাত ঢোকান। ভৈরো সিং – এর পানপরাগ আর তামাকের নেশা ছিল। আর চন্দ্রশেখরজী – এর বিরোধী ছিলেন। যখনই ভৈরোসিং-এর সঙ্গেও দেখা হ’ত, তাঁর পকেট হাতিয়ে এসব বের করে তিনি ডাস্টবিনে ফেলে দিতেন। সেজন্য সেদিন ভৈরোসিং আগেই সেসব আমার পকেটে চালান করে দিয়ে ছিলেন।

কোথায় জনসংঘ আর কোথায় ভারতীয় জনতা পার্টি, ভাবনাচিন্তা – মতাদর্শে কত পার্থক্য! কিন্তু ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাঁরা কত খোলামেলা, কত আপনত্ব, ভৈরোসিংজীর যাতে ভবিষ্যতে কোনও ক্ষতি না হয় – তা নিয়ে চন্দ্রশেখরজী ভাবতেন! এটাই কত বড় কথা! চন্দ্রশেখরজী সর্বদাই অটলজীকে ‘গুরুজী’ বলে ডাকতেন, ব্যক্তিগতভাবে এমনকি জনসমক্ষে ‘গুরুজী’ সম্বোধন করতেন। এমনকি, লোকসভাতে বিরুদ্ধে কিছু বলার আগে বলতেন, গুরু আমাকে মাফ করবেন, আমি আপনার একটু সমালোচনা করবো। আপনারা যদি পুরনো রেকর্ড দেখেন, সেখানে তাঁর সংস্কার, তাঁর গরিমা প্রতি মুহূর্তে পরিলক্ষিত হ’ত।

তখন কংগ্রেসের সুদিন, চারিদিকে জয়জয়কার, তখন কী কারণে তিনি বিদ্রোহের পথ বেছে নিয়েছিলেন, হয়তো এই প্রতিবাদী সত্ত্বা বলিয়ার মাটির সংস্কার, এই বিপ্লবী সত্ত্বা আজও হয়তো বলিয়ার মাটিকে সুরভিত করে। তার পরিণাম-স্বরূপ, ইতিহাসের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে আমরা পাই – দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশের প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার দায়িত্ব যখন একজন গুজরাটি নেতার উপর ন্যস্ত হয়, তিনি একজন অ-গুজরাটিকে বেছে নেন, তেমনই ১৯৭৭ সালে গণতন্ত্রের বিজয়ের পর একজন বিহারী নেতা প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার দায়িত্ব পেলে তিনি একজন গুজরাটিকে বেছে নেন। প্রথমবার মহাত্মা গান্ধী বেছে নিয়েছিলেন পণ্ডিত নেহরুকে আর দ্বিতীয়বার জয়প্রকাশজি বেছে নিয়েছিলেন মোরারজিভাইকে। তিনি চাইলে অন্যদের দাবি মেনে চন্দ্রশেখরজীকেও বেছে নিতে পারতেন।

চন্দ্রশেখরজীর দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোহনলাল ধারিয়া এবং জর্জ ফার্নান্ডেজের সঙ্গে আমার বেশি যোগাযোগ ছিল। তাঁদের কথাবার্তায় আচার-ব্যবহারে চন্দ্রশেখরজীর ব্যক্তিত্বের প্রভাব ছিল সুগভীর।

চন্দ্রশেখরজীর মৃত্যুর কিছুদিন আগে, অসুস্থ অবস্থায় তিনি আমাকে ফোন করেছিলেন; তখন আমি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন – দিল্লি কবে আসবে?

আমি বলি – কী ব্যাপার সাহেব?

তিনি বলেন – না এমনি, যদি আসেন, তা হলে আমার বাড়িতে আসবেন।

আমি সুস্থ থাকলে নিজেই আপনার কাছে যেতাম!

আমি বলি – আপনি ফোন করে স্মরণ করেছেন, এটাই আমার কাছে বড় ব্যাপার।

তারপর আমি দিল্লি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাই। আর আমাকে অবাক করে দিয়ে তিনি অসুস্থ শরীরেও গুজরাটের হিতে নানা বিষয়ে কথা বলতে থাকেন, জিজ্ঞাসাবাদ করেন, রাজ্য সরকারের কাজকর্ম সম্পর্কে জানতে চান, লোকহিতে নানা পরামর্শ দেন। আর তারপর দেশ সম্পর্কে তাঁর নানা পরিকল্পনা ও স্বপ্নের কথা বলেন।

তিনি বলেন, – কারা করবেন, কিভাবে করবেন, আপনারা নবীন প্রজন্মের আপনাদেরকেই করতে হবে!

বলতে বলতে তাঁর গলা ধরে আসে। অশ্রুসজল হয়ে পড়েন। সেটাই আমার তাঁর সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎ ছিল। কিন্তু আজও আমার মনে সেই সাক্ষাতের প্রভাব অক্ষত রয়েছে। তাঁর ভাবনার স্পষ্টতা, সাধারণ মানুষের হিতের প্রতি দায়বদ্ধতা, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি সমর্পণভাব – তাঁর প্রতিটি শব্দে অনুভব করা যেত।

চন্দ্রশেখরজীকে নিয়ে হরিবংশজীর লেখা এই বই পড়ে চন্দ্রশেখরজীকে ভালোভাবে বোঝার সুযোগ পাওয়া যাবে। সেই সময়ের নানা ঘটনাবলি সম্পর্কে আমাদের যেরকম বলা হয়েছে, সেই বইয়ের তার সম্পূর্ণ বিপরীত কিছু জানা যাবে। আর সেজন্য এক শ্রেণীর মানুষ এইও বইটিকে বিপ্রতীপ দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করবেন। কারণ, আমাদের দেশে এক্ষেত্রে ওল্প কিছু মানুষেরই যেন অধিকার রয়েছে, সংরক্ষণ রয়েছে!

আজ ছোটখাটো নেতাও ১০ – ১২ কিলোমিটার পদযাত্রা করলে ২৪ ঘন্টা ধরে টেলিভিশনে ধারাবিবরণীর ব্যবস্থা করে ফেলে। সংবাদ মাধ্যমে তাদের খবর প্রথম পাতায় ছাপে। চন্দ্রশেখরজী নির্বাচনের আগে নয়, শুধুই গ্রাম ও গরিব কৃষকদের স্বার্থে কত কিলোমিটার পদযাত্রা করেছেন তার হিসাব নেই। সেজন্য দেশের পক্ষ থেকে তাঁর যে গৌরব পাওয়ার কথা তা তিনি পাননি, আমরা দিতে পারিনি। আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলছি – এটা দুর্ভাগ্যের কথা!

তাঁর ভাবনাচিন্তা ও দর্শন নিয়ে বিতর্ক হতে পারে, আজও কারও আপত্তি থাকতে পারে – এটাই তো গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য। কিন্তু আমার দুঃখ হয়, যখন আজও সচেতনভাবে তাঁর সেই দীর্ঘ পদযাত্রাকে শুধুই দান সংগ্রহ, দুর্নীতি ও পুঁজিপতিদের থেকে অর্থ সংগ্রহের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখে আলোচনা করা হয়। আমি জানি না হরিবংশজী এই সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করেছেন কি না! কিন্তু আমি অত্যন্ত নিবিড়ভাবে এই সীমার বাইরে চন্দ্রশেখরজীর অনেক অবদান লক্ষ্য করেছি।

আমাদের দেশের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হ’ল – নবীন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের যদি জিজ্ঞেস করা হয় যে, দেশে কতজন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, হয়তো অনেকেই সঠিক জবাব দিতে পারবেন না। দীর্ঘকাল ধরে সযত্নে অনেকের নাম এড়িয়ে যাওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে হরিবংশজীর এই হিম্মতের জন্য তিনি ধন্যবাদার্হ। দেশের উন্নয়নে সকলের অবদান রয়েছে। কিন্তু এক শ্রেণীর মানুষ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এমনকি বাবাসাহেব আম্বেদকর, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মতো মহাপুরুষদের অবদানকেও খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করেছে। লাল বাহাদুর শাস্ত্রীও যদি জীবিত অবস্থায় দেশে  ফিরতেন, তা হলে তাঁর ভাগ্যে কী জুটতো কে জানে! তিনি শহীদ হওয়ার ফলেই হয়তো তাঁকে আর খাটো করে দেখানোর চেষ্টা হয়নি।

তারপর অমুইক প্রধানমন্ত্রী কী পান করেন – আপনারা জানেন যে মোরারজি ভাইকে নিয়ে এ ধরণের আলোচনা, অমুক প্রধানমন্ত্রী মিটিং – এর সময় ঘুমান, তমুক প্রধানমন্ত্রী পেছন থেকে ছুরি মারেন – এরকম অপবাদ দিয়ে প্রত্যেকের কৃতিত্বকে, তাঁদের অবদানকে বিস্মৃত করার চেষ্টা করা হয়েছে।

কিন্তু আপনাদের সকলের আশীর্বাদে আমি ঠিক করেছি যে, দিল্লিতে সমস্ত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিত্ব ও কৃতিত্বকে গুরুত্ব দিয়ে একটি অত্যন্ত আধুনিক সংগ্রহশালা গড়ে তোলা হবে। সকল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও বন্ধুবান্ধবদের প্রতি আমার অনুরোধ, তাঁদের ব্যবহৃত এবং সংশ্লিষ্ট সমস্ত সামগ্রী একত্রিত করতে আমাদের সাহায্য করুন, যাতে আগামী প্রজন্ম সঠিকভাবে তাঁদের সম্পর্কে জানতে পারে। চন্দ্রশেখরজীর কী বৈশিষ্ট্য ছিল, তাঁর কী কী অবদান রয়েছে, চরণ সিংজী, দেবগৌড়াজি, বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংজী, গুজরালজী ও ডঃ মনমোহন সিংজীর কী কী অবদান রয়েছে, সমস্ত রাজনৈতিক ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে উঠে আমরা এটা করতে চাই।

দেশে একটি নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে ওঠার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা এভাবেই তা গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। চন্দ্রশেখরজীকে আজও সঠিকভাবে তুলে ধরে পারলে তিনি নবীন প্রজন্মকে প্রেরণা যোগানোর ক্ষমতা রাখেন। আজও তাঁর ভাবনায় সম্পৃক্ত হয়ে নবীন প্রজন্ম গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত হতে পারে। তাঁদের কোনও অ-গণতান্ত্রিক পথ বেছে নিতে হবে না।

আমার আজও মনে পড়ে, তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, দিল্লিতে রাজনৈতিক ঝড় উঠেছিল, সেও আইবি পুলিশদের তৎপরতার জন্য, বিশ্বের ইতিহাসে লেখা থাকবে যে একটি সরকার পতনে আইনি পুলিশদের ভূমিকা কতটা তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছিল!

সেদিন আমি নাগপুড়ে ছিলাম, সেখানে অটলজী ও আডবাণীজির ভাষণ ছিল। কিন্তু তাঁদের বিমানে আসার আগেই আমি পৌঁছে গিয়েছিলাম। আমি যেখানে উঠেছিলাম, সেখানেই হঠাৎ চন্দ্রশেখরজির ফোন আসে। আমি ফোন ওঠাতেই চন্দ্রশেখরজীর প্রথম প্রশ্ন – ভাই, গুরুজী কোথায়?

আমি বলি, সাহেব, এখনও তাঁদের বিমান এসে পৌঁছয়নি। হয়তো আরও ঘন্টা খানেক লাগবে।

তিনি বলেন, আমি অপেক্ষা করছি, তিনি আসতেই আমাকে ফোন করতে বলবেন! বলবেন, আমি মনস্থ করেছি যে, পদত্যাগ করবো। কিন্তু তার আগে গুরুজীর সঙ্গে কথা বলতে চাই।

আপনারা ভাবুন, দিল্লিতে রাজনৈতিক ঝড়, অটলজী নাগপুরে, আমি তাঁর অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায়; কিন্তু সেই সময়ই অন্তিম সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তিনি গুরুজীর সঙ্গে কথা বলার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন!

তিনি সারা জীবন দেশের দলিত, পীড়িত, শোষিত, বঞ্চিত গরিব মানুষের দুঃখ-দুর্দশার যন্ত্রণাকে নিজের মধ্যে ধারণ করে এই দিল্লির রাজনীতিতে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে সাংসদ হিসাবে নিষ্ঠার সঙ্গে বিবিধ দায়িত্ব পালন করে গেছেন। সেই পরিসরেই আজ আমরা তাঁকে পুনঃস্মরণের মাধ্যমে ভাষার সাহায্য নিয়ে পুনর্জীবিত করার চেষ্টা করছি। তাঁর কাছ থেকে প্রেরণা নিয়ে আমরাও যেন দেশের সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করি – এটাই হবে তাঁর প্রতি সত্যিকরের শ্রদ্ধাঞ্জলি।

আমি আরেকবার হরিবংশজীকে অন্তর থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই, তাঁর পরিবারের সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করছি।

ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Namo Bharat Trains: Travel From Delhi To Meerut In Just 35 Minutes At 160 Kmph On RRTS!

Media Coverage

Namo Bharat Trains: Travel From Delhi To Meerut In Just 35 Minutes At 160 Kmph On RRTS!
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
President of the European Council, Antonio Costa calls PM Narendra Modi
January 07, 2025
PM congratulates President Costa on assuming charge as the President of the European Council
The two leaders agree to work together to further strengthen the India-EU Strategic Partnership
Underline the need for early conclusion of a mutually beneficial India- EU FTA

Prime Minister Shri. Narendra Modi received a telephone call today from H.E. Mr. Antonio Costa, President of the European Council.

PM congratulated President Costa on his assumption of charge as the President of the European Council.

Noting the substantive progress made in India-EU Strategic Partnership over the past decade, the two leaders agreed to working closely together towards further bolstering the ties, including in the areas of trade, technology, investment, green energy and digital space.

They underlined the need for early conclusion of a mutually beneficial India- EU FTA.

The leaders looked forward to the next India-EU Summit to be held in India at a mutually convenient time.

They exchanged views on regional and global developments of mutual interest. The leaders agreed to remain in touch.