The wonderful homes under PM Awas Yojana are being made possible because there are no middlemen: PM
It is my dream, it is our endeavour to ensure that every Indian has his own house by 2022: PM Modi
Till now, we only heard about politicians getting their own homes. Now, we are hearing about the poor getting their own homes: PM Modi

আর দু’দিন পর রাখী বন্ধন উৎসব। এখানে উপস্থিত বিপুল সংখ্যক বোনেরা এত রাখী নিয়ে এসেছেন, আপনাদের কৃতজ্ঞতা জানাই। সারা দেশের মা ও বোনেদের আশীর্বাদে আমার যে রক্ষা কবচ তার জন্য আমি দেশের মা ও বোনেদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।

 

রাখী উৎসবের আগে গুজরাটের ১ লক্ষেরও বেশি পরিবারের বোনেদের নামে গৃহ প্রদান করা হচ্ছে। আমি মনে করি, এবারের রাখী উৎসবে আপনাদের জন্য এর চেয়ে বড় উপহার আর কিছু হতে পারতো না। যে বোনেরা আজ বাড়ি পেয়েছেন; নিজস্ব বাড়ি না থাকার যন্ত্রণা আপনারা জানেন, অন্ধকার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রত্যেক সকালে একটি স্বপ্ন নিয়ে জেগে ওঠা আর সন্ধ্যার আগেই সেই স্বপ্ন ভেঙে যাওয়া – বস্তির জীবন তো এমনই! কিন্তু যখন নিজের বাড়ি হয়, স্বপ্নগুলিও ধীরে ধীরে সুবিন্যস্ত হয়ে ওঠে আর সেই স্বপ্নগুলিকে বাস্তবায়িত করতে পরিবারের আবালবৃদ্ধবনিতা সকলেই পরিশ্রম করেন, সেই পরিশ্রম থেকে জীবনে পরিবর্তন আসতে শুরু করে।

 

এবারের রাখী-বন্ধনের পবিত্র উৎসবের আগে এই সমস্ত মা-বোন, ১ লক্ষেরও বেশি পরিবারকে গৃহ প্রদান করে আপনাদের ভাই হিসাবে আমি অত্যন্ত আনন্দ অনুভব করছি।

 

আজ আরেকটি ৬০০ কোটি টাকার প্রকল্পও আমি এই রাখী-বন্ধনের পবিত্র উৎসবের আগে আমাদের মা ও বোনেদের উপহার দিচ্ছি। কারণ, জল সঙ্কট মোকাবিলায় এই মা ও বোনেদেরই সবচেয়ে বেশি কষ্ট সহ্য করতে হয়। পরিবারের সকল সদস্যের জন্য জলের ব্যবস্থা তাঁদেরই করতে হয়। আর বিশুদ্ধ পানীয় জল না থাকলে বাড়ি-ঘর-জীবন রোগের আখড়া হয়ে ওঠে। বিশুদ্ধ পানীয় জল পরিবারের সদস্যদের অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে।

 

আমি যৌবনের অনেকগুলি বছর এই আদিবাসী অঞ্চলে কাটিয়েছি। আমি যখন ধর্মপুর সিদম্বাড়িতে থাকতাম, তখন আমার মনে প্রায়ই একটা প্রশ্ন জাগত যে, এই অঞ্চলে এত বৃষ্টি হয় কিন্তু দীপাবলীর পর দু’মাসের বেশি জল থাকে না কেন? আমার মনে আছে, সেই সময়ে ধর্মপুর-সিদম্বাড়ি আদিবাসী এলাকা, উমরগাঁও থেকে শুরু করে অম্বাজী পর্যন্ত আদিবাসী এলাকায় বেশি বৃষ্টি হলেও সমস্ত জল আমাদের দিকে প্রবাহিত হয়ে দ্রুত সমুদ্রে চলে যেত। আর এই গোটা এলাকা খরাক্রান্ত হয়ে পড়ত।

 

আমি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখন হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে উমরগাঁও থেকে অম্বাজী পর্যন্ত পূর্ব গুজরাটের এই আদিবাসী অঞ্চলের প্রত্যেক গ্রামে প্রতিটি বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার স্বপ্ন দেখেছি।

 

এ নিয়ে তথ্যচিত্র দেখানো হয়েছে, এতে বলা হয়েছে – কিভাবে ১০টি প্রকল্পের মাধ্যমে এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের কথা ভেবেছি। আজ এর দশম প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে। যাঁরা এই তথ্যচিত্রটি দেখেছেন, তাঁরাই আশ্চর্য হয়েছেন। সর্বোচ্চ যে জায়গায় আমরা পানীয় জল পৌঁছে দিতে যাচ্ছি, তার উচ্চতা হ’ল প্রায় ২০০তল বাড়ির সমান। অর্থাৎ অন্যভাবে বলা যায়, নদীর জল আমরা ২০০তলে পৌঁছে দেব। আর সেখান থেকে নীচে জল সরবরাহ করা হবে। এটাই প্রযুক্তির জাদু।

আমাদের দেশে এই প্রত্যন্ত গির অরণ্যে এমন একটি ভোটদান কেন্দ্র আছে, যেখানে মাত্র একজন ভোট দেন। ভোটের সময় সারা পৃথিবীতে এ নিয়ে লেখালেখি হয়, ভারতে নির্বাচন প্রক্রিয়া এমনই যে, গির অরণ্যে একজন ভোটারের জন্য একটি ভোটদান কেন্দ্র খোলা হয়। এখন থেকে এটিও খবর হবে যে, দেশের ২০০-৩০০টি পরিবার যে গ্রামে থাকে, সেখানে সংবেদনশীল সরকার ২০০তল পর্যন্ত উচ্চতায় পানীয় জল পৌঁছে দিচ্ছে। দেশের প্রত্যেক নাগরিকের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধার এটি জলজ্যান্ত উদাহরণ।

 

আগেও অনেক সরকার ক্ষমতায় এসেছে। আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন। আমি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর পূর্ববর্তী আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রীর গ্রামে গিয়ে দেখি, সেখানে জলের ট্যাঙ্ক থাকলে তাতে জল ছিল না। সেই গ্রামে জল পৌঁছে দেওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে।

 

কেউ যদি জলসত্র চালু করেন, পথিকদের জন্য পানীয় জলের এক-দুই কলস রেখে দেন, তা হলে ঐ এলাকার মানুষ সেই ব্যক্তিকে শ্রদ্ধা ও সম্মানের চোখে দেখেন। গুজরাট ও রাজস্থানের গ্রামে গ্রামে এরকম জলসত্র চালু করার জন্য লাখা বলধারার সুনাম শোনা যায়। আজ আমি গর্বিত যে, গুজরাট সরকার এমনই গুরুত্বপূর্ণ অভিযান শুরু করেছে যাতে প্রত্যেক বাড়িতে নলের মাধ্যমে জল পৌঁছবে।

 

এই অভিযানের মাধ্যমে বোঝা যায় যে, গরিব মানুষের জীবন কেমন হবে, সেসব স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা কতটা সচেষ্ট! আজ ঘন্টাখানেকের মধ্যে আমার গোটা গুজরাট সফরের সৌভাগ্য হয়েছে। প্রত্যেক জেলায় গিয়েছি, সেখানকার মা-বোনেদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছে। কথা বলেছি, কিন্তু আমার নজর ছিল তাঁদের বাড়ির দিকে; তাঁরা কেমন বাড়ি বানিয়েছেন – সেদিকে! আপনারাও হয়তো এটা দেখে অবাক হয়েছেন, কিভাবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় এত ভাল বাড়ি তৈরি হচ্ছে! ‘কাটমানি’ দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করে তবেই এটা সম্ভব হয়েছে!

 

দিল্লি থেকে ১ টাকা মঞ্জুর হলে তাঁর সম্পূর্ণ ১০০ পয়সা এখন গরিবের ঘরে পৌঁছচ্ছে, সেজন্যেই এটা সম্ভব হচ্ছে। আর বর্তমান সরকারের সাহস আছে – টিভি, ক্যামেরা ও সাংবাদিকদের সামনে, এত অসংখ্য মানুষের সামনে আমি যে কোনও মা-কে জিজ্ঞেস করতে পারি যে, আপনাদের এই বাড়ি পেতে কাউকে ঘুষ বা দালালি দিতে হয়েছে?

 

আমরা এই চরিত্র গঠনে অবিরাম কাজ করে চলেছি আর আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি, যখন আমার মা ও বোনেরা অত্যন্ত আত্মবিশ্বাস নিয়ে অন্তর থেকে আনন্দের সঙ্গে বলেছেন – না, ঘুষ দিতে হয়নি। আমরা নিজেদের অধিকার সাধারণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই পেয়েছি। কাউকে ১ টাকাও দিতে হয়নি।

 

আপনারা এই বাড়িগুলি দেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে নির্মিত এই বাড়িগুলির গুণমান আপনারা দেখছেন। এটা এজন্যই সম্ভব হয়েছে, সরকার প্রদত্ত টাকার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পরিবারের সদস্যদের ঘামও এই বাড়িগুলিতে মিশে আছে। পরিবারের সদস্যরাই ঠিক করেছেন যে, তাঁদের বাড়ি নির্মাণে কেমন মানের কাঁচামাল ব্যবহৃত হবে।

 

আমরা সরকারি ঠিকাদারদের ভরসায় কাজ করিনি। আমরা প্রত্যেক পরিবারের সদস্যদের ওপর আস্থা রেখেছি। কারণ, কেউ যখন নিজের জন্য বাড়ি বানায়, তখন যত ভালো সম্ভব বানাবে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, গুজরাটের প্রত্যেক গ্রামে এই পরিবারগুলি খুব সুন্দর সুন্দর বাড়ি বানিয়েছে। সেজন্য আমি তাঁদের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই।

 

আমরা দেশে দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য একটি বড় অভিযান শুরু করেছি। কিন্তু তা এগিয়ে নিয়ে চলেছি গরিবদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে। ব্যাঙ্ক তো অনেক ছিল, কিন্তু সেই ব্যাঙ্কগুলিতে গরিবদের প্রবেশাধিকার ছিল না। আমরা প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনার মাধ্যমে সেই ব্যাঙ্কগুলির পরিষেবাকেই প্রত্যেক গরিবের বাড়ির সামনে এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছি।

 

আগে গ্রামের সম্পন্ন পরিবারগুলিতেই বিদ্যুৎ সংযোগ থাকত। আজ উজালা যোজনার মাধ্যমে আমরা প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার অভিযান শুরু করেছি। আর বছর দেড়েক পর ভারতে প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে।

 

প্রত্যেকের বাড়ি, প্রত্যেক বাড়িতে শৌচালয়, বিদ্যুৎ, পানীয় জল, রান্নার গ্যাস – অমূল পরিবর্তনের প্রচেষ্টা চলছে।

 

আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আপনারাই আমাকে লালন-পালন করে সাধারণ ঘরের একটি ছেলেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী করে দিয়েছেন। গুজরাট আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। আর আপনাদের থেকে যা শিখেছি তার পরিণামস্বরূপ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সুনিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে আগামী ২০২২ সালে যখন ভারত স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি পালন করবে, তার আগেই নতুন ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার পথে এগিয়ে চলেছি। দেশের কোনও পরিবার যেন গৃহহীন না থাকে, তেমন ভারত নির্মাণের স্বপ্ন দেখছি।

এতদিন আমরা বড় বড় নেতাদের প্রাসাদ নির্মাণের খবর শুনতাম, তাঁর অনুপম সাজসজ্জার জাঁকজমকের কথা শুনতাম আর এখন খবর আসছে দরিদ্র মানুষের জন্য গৃহ নির্মাণের আর তাঁদের জাঁকজমকহীন সাজসজ্জার।

 

১ লক্ষ পরিবারের গৃহ প্রবেশের উৎসাহ নিয়েই আমি আজ ভালসাড়ে এসেছি আর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সকল পরিবারে আনন্দের শরিক হয়েছি।

 

ভাই ও বোনেরা, গত সপ্তাহ আমাদের অনেক দুঃখে কেটেছে। আমার প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। কিন্তু আমরা তাঁর নামে চালু হওয়া প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার মাধ্যমে দেশের প্রত্যেক গ্রামকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাকা সড়ক দ্বারা যুক্ত করার কাজ পূর্ণ করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি।

 

দেশে আমূল পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ চলছে। এখানে আপনারা দেখেছেন, দক্ষতা উন্নয়ন, প্রত্যন্ত আদিবাসী অরণ্যে বসবাসকারী মেয়েরা দক্ষতা উন্নয়নের পর কর্মসংস্থানের জন্য শংসাপত্র হাতে পেয়েছেন।

 

এভাবে দেশের সাধারণ মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে সমস্যামুক্ত করার লক্ষ্যে আমরা নিয়মিত প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। আমার ভালসাড়ের ভাই ও বোনেরা, কিছুদিন আগেই এখানে আসার কথা ছিল কিন্তু বর্ষার জন্য দেরী হ’ল। এবার বর্ষা বড় অদ্ভূতভাবে এসেছে। কোথাও অতিবৃষ্টি আবার কোথাও অনাবৃষ্টি। গুজরাটের অনেক অঞ্চলে তো বৃষ্টিই হয়নি। কিন্তু বিগত কয়েক দিন ধরে সেসব এলাকাতেও সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। আশা করি, এ বছর ভালোই ফসল হবে।

 

আমি ভালসাড়ের প্রিয় ভাই ও বোনেদের এত দীর্ঘ সময় ধরে এখানে বসে আমার কথা শোনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।

 

মা ও বোনেদের রাখী-বন্ধনের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানিয়ে আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।