We cannot achieve a Clean India, unless 1.25 billion people come together: PM Modi
We keep fighting over building statues for great leaders but we don't fight over cleanliness in India. Let us change that: PM
Criticise me, but don't politicise issue of cleanliness, says PM Narendra Modi
A positive spirit of competition has been created due to Swachh Bharat Mission, says PM Modi

উপস্থিত সকল স্বচ্ছাগ্রহী ভাই ও বোনেরা, 

আজ ০২ অক্টোবর; পূজনীয় বাপুর জন্মজয়ন্তী, লাল বাহাদুর শাস্ত্রীরজন্মজয়ন্তী। তিন বছরে আমরা কোথা থেকে কোথায় পৌঁছেছি? আমার বেশ মনে আছে যে, আমিরাষ্ট্রসঙ্ঘের বৈঠকের জন্য আমেরিকায় ছিলাম। ০১ তারিখ মাঝ রাতে ফিরে ০২ তারিখ সকালেঝাড়ু দিতে বেরিয়েছিলাম। কিন্তু সেই সময় সমস্ত খবরের কাগজ, সংবাদমাধ্যম, আমাদের সকলরাজনৈতিক দলের বন্ধুরা সেদিন খুব সমালোচনা করেছিলেন। অনেকে সমালোচনা করে বলেছিলেন,০২ অক্টোবর ছুটির দিন হয়; আমি ছাত্রছাত্রীদের ছুটি নষ্ট করে দিয়েছি। তারা স্কুলেযাবে কি যাবে না? ছাত্রছাত্রীদের কেন কাজে লাগানো হবে? এমনি অনেক সমালোচনা হয়। 

এখন আমার স্বভাব হ’ল, অনেক কিছু চুপচাপ সহ্য করে নিই, দায়িত্বটাই এমন, সহ্যকরা উচিৎ-ও। আর ধীরে ধীরে আমার সহ্যের ক্ষমতাও বাড়াচ্ছি। কিন্তু আজ তিন বছর পরওনির্দ্বিধায় এই কাজে লেগে রয়েছি। আর এজন্যই লেগে রয়েছি যে, আমার দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছেযে, মহাত্মাজির প্রদর্শিত পথ ভুল হতেইপারে না। 

সেই শ্রদ্ধা আমার পাথেয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, কোনও সমস্যা নেই।সমস্যা আছে। কিন্তু সমস্যা থাকলেই কি দেশকে তেমনই ছেড়ে দেব? সমস্যা রয়েছে বলে কিআমরা শুধু তাই করব, যা করলে শুধুই প্রশংসা পাওয়া যায়, জয়জয়কার হয়? সমালোচনার ভয়েসমস্যা জর্জরিত কাজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেব? আমার মনে হয়, দেশবাসী তেমনটি চান না। এমননয় যে চোখের সামনে নোংরা পড়ে থাকলেও তা আমাদের চোখে পড়েনি। এমন নয় যে আমরা পরিবেশনোংরা করি না। আবার এমনও নয় যে, আমরা পরিচ্ছন্নতা পছন্দ করি না। এমন কোনও মানুষথাকতে পারেন না যিনি পরিচ্ছন্নতা পছন্দ করেন না। 

আপনি স্টেশনে গেলেন, প্ল্যাটফর্মে চারটি বেঞ্চ রয়েছে, কিন্তু দুটিতেসামান্য নোংরা থাকলে আপনি সেগুলিতে বসবেন না। পরিষ্কার বেঞ্চেই গিয়ে বসবেন। কিন্তুআমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষই নিজে পরিষ্কার করার কথা ভাবেন না। পরিচ্ছন্নতা নিয়েদেশে কোনও মতভেদ নেই। সমস্যা এটাই যে কে পরিষ্কার করবেন! আরেকটা কথা বলব? আমারবলতে কোনও লজ্জা নেই। হতে পারে একথা বলার পর আগামীকাল সমালোচনার ঝড় বইবে। কিন্তুদেশবাসীর কাছে কী লুকাবো? এক হাজার জন মহাত্মা গান্ধী জন্ম নিলেও, এক লক্ষনরেন্দ্র মোদী, সকল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, সমস্ত সরকারের মিলিত প্রচেষ্টাতেও এইপরিচ্ছন্নতার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু ১২৫ কোটি ভারতবাসী এগিয়েএলে তবেই আমাদের চোখের সামনে এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। 

দুর্ভাগ্যবশতঃ আমরা অনেক কিছুকে ‘সরকারি কাজ’ বলে ভেবে নিয়েছি। কিন্তুসেগুলি যদি সাধারণ মানুষের কাজ বলে গ্রহণ করতাম – এত সমস্যা হ’ত না। আপনারাইদেখুন, এই যে কুম্ভমেলা হয়। প্রতিদিন গঙ্গার তীরে ইউরোপের অনেক ছোট দেশেরজনসংখ্যার থেকেও বেশি মানুষ এসে উপস্থিত হন। তাঁরা নিজেরাই তো সবকিছু করে নেন, আরশতাব্দীর পর শতাব্দীকাল ধরে তাঁরা এমনই করে আসছেন! 

সমাজের শক্তিকে যদি আমরা স্বীকার করে নিই, গণঅংশীদারিত্বকে যদি সম্মান করি,সরকারকে ন্যূনতম রেখে সমাজকে অধিক সক্রিয় করে তুলি, তা হলে যত সমস্যাই থাকুক এইআন্দোলন সফল হবে বলে আমার বিশ্বাস। কিন্তু কিছু মানুষ আজও এই ভাবনা নিয়েঠাট্টা-ইয়ার্কি করেন, সমালোচনা করেন, তাঁরা কোনওদিনই পরিচ্ছন্নতা অভিযানে হাতলাগাননি। এটা তাঁদের ইচ্ছে, তাঁদের কোনও সমস্যা থাকতে পারে। আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস,আপনারা দেখবেন, আগামী পাঁচ বছরে দেশের সংবাদ মাধ্যম পরিচ্ছন্নতা অভিযানেঅংশগ্রহণকারীদের খবর ছাপবে না, তাঁদের দেখাবে না। তখন যাঁরা ফাঁকি মারছেন, যারানোংরা করেন অথচ পরিষ্কার করেন না, তাঁদের দেখাবে, তাঁদের খবর ছাপাবে। কারণ,দেশবাসী যখন কোনও কিছুকে স্বীকার করে নেবেন, তখন আপনি না চাইলেও এই কর্মযজ্ঞেরসঙ্গে যোগ দিতে বাধ্য হবেন। 

আজ পরিচ্ছন্নতা অভিযান, কেবলই পূজনীয় বাপুজির অভিযান হয়ে থেকে যায়নি,কেন্দ্রীয় সরকার, কোনও রাজ্য সরকার কিংবা পৌরসভার অভিযান হয়ে থেকে যায়নি। এইঅভিযান এখন সাধারণ মানুষের স্বপ্নের অভিযান হয়ে উঠেছে। আর এ যাবৎ যতটা সাফল্যএসেছে, এটা কেন্দ্রীয় সরকার কিংবা কোনও রাজ্য সরকারের সাফল্য নয়, এই সাফল্যস্বচ্ছাগ্রহী দেশবাসীর সাফল্য। আমরা যে স্বরাজ পেয়েছি তার প্রধান অস্ত্র ছিল সত্যাগ্রহ। শ্রেষ্ঠ ভারতেরঅস্ত্র হ’ল পরিচ্ছন্নতা, স্বচ্ছাগ্রহ। স্বরাজের মূলসুর যেমন সত্যাগ্রহ ছিল,শ্রেষ্ঠ ভারতের মূলসুর তেমনই স্বচ্ছাগ্রহ। আমরা বিশ্বের যে কোনও দেশে গেলেসেখানকার পরিচ্ছন্নতা দেখে ফিরে এসে বলি, আরে ভাই এত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন যে অবাকহয়ে দেখছিলাম। আমাকে কেউ এরকম বললে জিজ্ঞেস করি, সেখানকার মানুষকে যেখানে সেখানেআবর্জনা ফেলতে দেখেছেন? 

জবাব আসে, না। 

আমি বলি, আমাদের সমস্যা এখানেই। 

আর সেজন্য এই বিষয়ে কাজ করতে ভয় পেতাম আমরা, সমালোচনার ভয় পেতাম। নেতাকিংবা সরকারও সমালোচনার ভয়ে চুপ করে থাকতেন। আরে ভাই সমালোচনা হোক না! গণতন্ত্রেনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহি করতেই হবে। আমরা জবাবদিহি করতে প্রস্তুত,আমাদের বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে। 

আর আজ পরিচ্ছন্নতার ফলে কেমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে? পরিচ্ছন্নতার র‍্যাঙ্কিংধার্য করা শুরু হওয়ায় সর্বাধিক নির্মল শহর কোনটি, দ্বিতীয়, তৃতীয় কোনটি সেইমূল্যায়ন প্রকাশিত হচ্ছে। ফলে, প্রত্যেক শহরে আলোচনা হচ্ছে। নীচুতলা থেকে উপর তলারনেতাদেরও ওপরও চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। অমুক শহর পরিচ্ছন্নতার নিরিখে পুরস্কার জিতে নিল,আপনারা কী করছেন? সুশীল সমাজের বুদ্ধিজীবীরাও এগিয়ে আসেন, অমুক শহর আমাদের থেকেঅপরিচ্ছন্ন ছিল, এখন এগিয়ে গেছে।চলুন, আমরাও হাত লাগাই! সারা দেশে একটি ইতিবাচকপ্রতিযোগিতামূলক আবহ গড়ে উঠেছে। আর তার একটি সুফল গোটা ব্যবস্থায় পরিলক্ষিত হচ্ছে। 

এটা সত্যি কথা যে, শৌচাগার গড়ে দেওয়া সত্ত্বেও অনেক জায়গায় সেগুলি ব্যবহারকরা হচ্ছে না। এই খবরকেও আমি ইতিবাচক ভাবি। এই খবরও সচেতনতা বৃদ্ধি করে – আমাদেরঅসন্তোষের কোনও কারণ নেই। এই খবর সংশ্লিষ্ট সমাজ, পরিবার ও ব্যক্তির ওপর চাপসৃষ্টি করে, সচেতনতা ও দায়িত্ব বৃদ্ধি করে। 

আমি তো আগে সামাজিক সংগঠনেরই কাজ করতাম, অনেক দেরীতে রাজনীতিতে এসেছি।গুজরাটে যখন সামাজিক কাজ করতাম একবার মোর্ভি’তে মাছু বাঁধ ভেঙে সারা শহরে দ্রুত জলঢুকে যাওয়ায় কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। তখন আমরা সেখানে পরিচ্ছন্নতাঅভিযানে নেমেছিলাম। মানুষ ও গবাদি পশুর মৃতদেহ উদ্ধার ও সৎকার করা এবং পরিবেশকেনির্মল করে তুলতে মাসখানেক লাগাতার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করতে হয়েছিল। পরবর্তীসময়ে আমরা সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং অসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঠিক করলাম যে,যাঁদের বাড়িঘর ভেঙে গেছে, তাঁদের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেব। তখন আমি একটি গ্রামদত্তক নিয়েছিলাম। মানুষের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে ঐ গ্রামটি পুনর্নির্মাণের কাজশুরু করি। ছোট্ট একটি গ্রাম, ৩৫০-৪০০টি পরিবার। পুনর্নির্মাণের নক্‌শা তৈরির সময়প্রতিটি নক্‌শাতেই শৌচাগারের অন্তর্ভুক্তি জরুরি ছিল। কিন্তু গ্রামের মুরুব্বিরাআমাকে বললেন, গ্রামে অনেক খোলা মাঠ রয়েছে, শৌচাগার নির্মাণ করতে হবে না। বরংশৌচাগারের পয়সা দিয়ে ঘরগুলি একটু বড় করে বানিয়ে দিন। আমি বললাম, না, এক্ষেত্রে আমিকোনও সমঝোতা করব না। যেহেতু বিনা পয়সায় নির্মাণ কাজ চলছিল, তাঁরা আর এতে কোনও বাধাদেননি। 

প্রায় ১০-১২ বছর পর একবার সেদিকে যেতে হয়েছিল। ভাবলাম, ঐ গ্রামটি ঘুরে আসি,পুরনো মানুষদের সঙ্গে দেখা হয়ে যাবে। কয়েক মাস ওখানে থেকে কাজ করেছি। কিন্তু সেইগ্রামে গিয়ে আমার কপাল চাপড়ানোর মতো অবস্থা! যতগুলি শৌচাগার নির্মাণ করেছিলাম,সবকটিতে ছাগল বাঁধা ছিল। এমনই আমাদের সমাজের স্বভাব। সরকারকে দোষ দিয়ে লাভ নেই।নিজেদের আত্মসম্মানকে অনুভব করলে তবেই পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়। 

কেউ কি আমাকে বলতে পারেন, এখন ভারতে যত প্রয়োজন, সেই অনুসারে স্কুল রয়েছেকি? প্রয়োজন মাফিক শিক্ষক রয়েছেন? যে স্কুলগুলি আছে, সেখানে কি প্রয়োজনমাফিক বই ওঅন্যান্য সুযোগ-সুবিধা রয়েছে? আমি বলব, প্রয়োজনমাফিক না থাকলেও এইসব সুযোগ-সুবিধাযতটা রয়েছে, সেই তুলনায় শিক্ষার মান ও শিক্ষিতের সংখ্যা অনেক পিছিয়ে রয়েছে।অর্থাৎ, সরকারের এত চেষ্টা সত্ত্বেও, অর্থ ব্যয়, স্কুলঘর নির্মাণ, শিক্ষক নিয়োগপর্যাপ্ত মাত্রায় হলেও সমাজের সহযোগিতা না পেলে একশোভাগ সাফল্য আসবে না। আর সমাজেরমানুষ সচেতন হলে ব্যবস্থাপনায় সামান্য খামতি থাকলেও সাফল্য আস্তে দেরী লাগবে না।তখন এই পরিকাঠামো, এই শিক্ষক দিয়েই একশোভাগ সাফল্য আসতে পারে। কিন্তু সমাজেরঅংশীদারিত্ব ছাড়া এটা সম্ভব নয়।

সরকার যদি ভাবে, বাড়ি বানিয়ে দিলে আর শিক্ষকদের বেতন দিলেই কাজ হয়ে যাবে!তা ভুল। মাস্টারমশাইরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বুঝিয়ে ছাত্র ভর্তি করলেন। কিন্তু কিছুদিনপরই দেখা গেল, তারা আর স্কুলে আসে না। বাবা-মায়েরও তেমন আগ্রহ নেই। শৌচাগারেরব্যাপারটাও তেমনই । গণঅংশীদারিত্ব না থাকলে , গণসচেতনতা না বাড়লে, মানুষ পরিচ্ছন্নতাকে একটি দায়িত্ব হিসাবে না ভাবলে এইপরিবেশ গড়ে উঠবে না। 

যাঁদের বাড়িতে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা রয়েছে, তারাই আজ সবচেয়ে বড় পরিচ্ছন্নতারদূত হয়ে উঠেছে। বাড়িতে দাদু যদি কোথাও নোংরা ফেলেন, তা হলে ঐ বাচ্চারাই সবার আগেনিসংকোচে তাদেরকে সেই নোংরা তুলে যথাস্থানে ফেলতে বলে। দেশের ছোট ছোট বাচ্চারা যদিএতটা সচেতন হয়ে উঠতে পারে, তা হলে আমরা কেন হয়ে উঠছি না? 

আমরা জানি না যে, শুধু সাবান দিয়ে হাত না ধুয়ে খাবার কারণে আমাদের দেশেপ্রতি বছর কতজনের মৃত্যু হয়! আপনারা প্রশ্ন তুলতে পারেন, মানুষ সাবান কোথা থেকেপাবে, জল কোথা থেকে আসবে? মোদী তো ভাষণ দিয়েই খালাস। কিন্তু হাত কিভাবে পরিষ্কারকরব? ঠিক আছে ভাই, নিজেরা ধুতে পারছেন না, কিন্তু যারা ধুতে পারছেন, তাঁদেরকে ধুতেদিন। 

এখন মোদীকে গালি দেবার জন্য হাজার বিষয় রয়েছে। আমি প্রতিদিনই আপনাদের হাতেকিছু না কিছু অস্ত্র তুলে দিই। আপনারা সেগুলো ব্যবহার করুন। কিন্তু সমাজে যেপরিবর্তন আনা প্রয়োজন, সেগুলি নিয়ে অযথা ব্যঙ্গবিদ্রুপ করে রাজনীতিকে হাস্যাস্পদ করেতুলবেন না। দেশের প্রতি একটি সামগ্রিক দায়িত্ববোধ নিয়ে এগিয়ে আসুন। পরিবর্তনঅবশ্যই আসবে। 

আপনারা দেখুন, এই ছেলেমেয়েরা কত ভালো কাজ করেছে। আমি অত্যন্ত গর্বের সঙ্গেএদের সাফল্যের ছবি নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করি। এই ছেলেমেয়েদের অধিকাংশই আমিব্যক্তিগতভাবে চিনি না। কিন্তু তাদের পরিচ্ছন্নতার প্রতি উৎসাহ দেখে তাদের ফটো আমিপোস্ট করি, যাতে কোটি কোটি মানুষ জানতে পারেন। এই প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার আয়োজন কেনকরা হয়েছে? প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা কিংবা বসে আঁকো প্রতিযোগিতা দিয়ে কি পরিবেশপরিচ্ছন্ন হয়? তাৎক্ষণিকভাবে মনে হতে পারে, হয় না। 

পরিচ্ছন্নতার জন্য আসল প্রয়োজন হ’ল সচেতনতা বৃদ্ধি। কোনও ব্যবস্থা বিকাশলাভ করলেই পরিবর্তন আসে না - যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ সচেতন না হন। সেজন্য এইপ্রচেষ্টা স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাণ, সৃষ্টিশীলতাকে লালন করা, প্রবন্ধপ্রতিযোগিতা, বসে আঁকো – ইত্যাদির মাধ্যমে নবীন প্রজন্মের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিরপ্রয়াস। আমরা একবার সচেতন হলে তখন যে কোনও আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া খুব সহজ। একটিকথা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলছি যে, আজ থেকে চার-পাঁচ বছর আগে টিভিতে এরকম কোনওঅনুষ্ঠান যদি প্রচার করা হ’ত যে, বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা পরিচ্ছন্নতা অভিযানেনেমেছে, তা হলে সমাজে সমালোচনার ঝড় উঠত। শিক্ষকদের ওপর আক্রমণ হ’ত, স্কুলে কিছেলেমেয়েরা নোংরা পরিষ্কার করতে যায়? বাবামায়েরাও ক্রুদ্ধ হতেন। আমি তাঁদের কোনওদোষ দেখি না। এই বস্তুবাদী সময়ে কোনও কাজ করে অর্থাগম না হলে কেউ কিছু করতে চাননা। ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠানোর পেছনেও ভবিষ্যতে উপার্জনের পথ প্রশস্ত করারবেশি কিছু বাবামায়েরা ভাবতেও পারেন না! 

গত তিন বছর ধরে আমাদের দেশের সংবাদমাধ্যম যদি এই পরিচ্ছন্নতা আন্দোলনকেনিজেদের কাঁধে না তুলে নিত; খবরের কাগজ ও বৈদ্যুতিন মাধ্যম যদি আমাদের প্রতিটিপদক্ষেপকে নিয়মিত উৎসাহ না জোগাত, কখনো আমাদের থেকে দু পা এগিয়ে নতুন নতুন পথ নাদেখাত তাহলে আমরা দেশের জনমানসে এই পরিবর্তন দেখতে পেতাম না! 

আমি লক্ষ্য করেছি যে, এই ছেলেমেয়েদের তৈরি করা স্বল্পদৈর্ঘ্যেরচলচ্চিত্রগুলি নিজেদের চ্যানেলে বারবার দেখানোর সুযোগ করে দিয়ে সাধারণ মানুষকে এইআন্দোলনে শরিক করে তুলেছেন। আসুন, এভাবেই সকলে মিলে আমরা আগামী ২০২২ সালে যখনদেশের স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তি পালন করব, তাঁর আগেই দেশকে আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রামীদের স্বপ্নের দেশ, দরিদ্র জনগণের আশা আকাঙ্খা পূরণের উপযোগী করে তুলতেপারব! চুপ করে বসে থাকলে চলবে না। ১২৫ কোটি জনগণকে সচেতন করে তুলতে পারলে এইসাফল্য আসবেই। 

কারও বাড়ি নোংরা হয়ে আছে আর তখন যদি অতিথি চলে আসেন, তা হলে সেই বাড়িসম্পর্কে অতিথির মনে কেমন ধারনা হয়? মনে করুন, আপনি নিজের মেয়ের জন্য পাত্র দেখতেগেছেন, তখন এরকম দৃশ্য দেখলে আপনি ভাববেন, ছেলে তো অনেক লেখাপড়া জানে, পয়সাকড়িওআছে কিন্তু এরকম অপরিচ্ছন্ন বাড়িতে মেয়ের বিয়ে দিয়ে কি করব? সে তো ফিরে চলে আসবে।ঠিক তেমনই বিদেশ থেকে যখন পর্যটকরা আসেন, তাঁরা অপরিচ্ছন্ন ভারত দেখলে আমাদেরসম্মান থাকবে কি? আগ্রার তাজমহল এত সুন্দর কিন্তু তার চারপাশে নোংরা থাকলে কেমনকরে চলবে? 

কার দোষ সেটা আমার বিষয় নয়। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলে যে আমাদের পরিবেশপরিচ্ছন্ন হয়ে উঠতে পারে, তা বিগত তিন বছরে ভারতবাসী দেখিয়ে দিয়েছেন। আমাদের সুশীলসমাজ, আমাদের সংবাদ মাধ্যমের অকুন্ঠ সমর্থন এই আন্দোলনকে প্রভূত গতি প্রদান করেছে।আমরা যদি এরকম না করতাম, তা হলে নিজেদেরকে কি জবাব দিতাম? 

আমি চাই, আমরা নির্মল পরিবেশ গড়ে তোলাকে অগ্রাধিকার দিই। পরিসংখ্যান বলছে,আমরা কোথা থেকে কোথায় পৌঁছতে পেরেছি। কিন্তু পরিচ্ছন্নতা একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া,লাগাতার কাজ করে যেতে হবে, তবেই আমরা নির্মল পরিবেশ বজায় রাখতে পারব। 

গ্রামে যদি একটি মন্দির থাকে, সবাই কিন্তু মন্দিরে যান না। এটা মানুষেরস্বভাব। মসজিদ থাকলেও সবাই নমাজ পড়তে যান না, গুরদোয়ারাতেও সবাই নিয়মিত যান না।কোনও কোনও উৎসবের সময় হয়তো সবাই যান। সমাজের এমনই স্বভাব। প্রত্যেকেই নিজস্ব ছন্দেচলেন। তাঁদেরকে আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করতে হয়, যুক্ত করার চেষ্টা করতে হয়।তবেই ঠিকঠাক গাড়ি চলবে। 

পরিসংখ্যান হিসাবে মনে হচ্ছে, গতি ঠিক আছে, লক্ষ্যও ঠিক আছে।বিদ্যালয়গুলিতে শৌচালয় নির্মাণের অভিযান সফল হয়েছে, স্কুলের ছাত্রীরাও এখন এসবব্যাপারে সচেতন। সবকিছু দেখেশুনে তবেই সেই স্কুলে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আগেএরকম ছিল না, মেয়েরা সহ্য করে নিত। কিন্তু আপনারাই বলুন, আমাদের মেয়েরা কেন সহ্যকরবে? 

পরিচ্ছন্নতাকে যতক্ষণ আপনারা গ্রামের মহিলাদের দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখবেন,ততক্ষণ এর শক্তি সম্পর্কে অবহিত হতে পারবেন না। বাড়িতে সবাই নোংরা আবর্জনাযত্রতত্র ফেলেন, আর মা একাই সেগুলি পরিষ্কার করেন। ছেলেরা কাজে বের হলে, বাচ্চারাস্কুলে চলে গেলে, যে ঘন্টা দুয়েক সময় হাতে পান, তখনই তিনি এই পরিষ্কার করেন। কোমরভেঙে গেলেও করেন। সেই মাকেই জিজ্ঞেস করুন, আমরা যদি ঘরের সবকিছু গুছিয়ে রাখি আর নোংরা-আবর্জনাযথাস্থানে ফেলি, তা হলে আপনার কেমন লাগবে? দেখবেন, মা জবাব দেবেন, খুব ভালো হবেবাবা, এগুলি পরিষ্কার করতে করতে আমার কোমর ব্যথা হয়ে যায়! সবাই যদি নিজের নোংরানিজে পরিষ্কার করেন, তা হলে মায়ের কাজ ১০ মিনিটে শেষ হয়ে যায়। আমাকে বলুন, উচ্চমধ্যবিত্ত হন কিংবা মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত হন কিংবা হতদরিদ্র, মায়েদের আমরাকেন এত কষ্ট দিই? আমরা যদি ঘরের সবকিছু গুছিয়ে রাখি আর নোংরা-আবর্জনা যথাস্থানেফেলি, তা হলে মায়েরা আরেকটু ভালোভাবে বাঁচতে পারেন। আমরা কি মায়েদের কথা এটুকুওকরতে পারব না! 

সেজন্য পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে আমার মনে একটাই মাপকাঠি রয়েছে। আমি এখানেউপস্থিত পুরুষদের জিজ্ঞেস করতে চাই, আপনারা তো প্রাকৃতিক প্রয়োজনে যেখানেই আড়ালপান, সেখানেই দাঁড়িয়ে পড়তে পারেন। ক্ষমা করবেন, আমি এরকম ভাষা প্রয়োগ করছি বলে।কিন্তু সেই মা-বোন কিংবা মেয়েটির কথা ভাবুন। তিনিও তো মানুষ। বাজারে কিছু কিনতেগিয়ে তিনিও কোনও প্রাকৃতিক সমস্যায় পড়তে পারেন। কিন্তু তিনি তো আর আপনাদের মতোপারবেন না! তাঁদেরকে বাড়ি ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হয়। ঐ আমাদের বাড়ির মা-বোনকিংবা মেয়ের মতো সংস্কার আমাদের কেন নেই? আমরা পুরুষ, সেজন্য? যতদিন পর্যন্তআমাদের ভাবনায় এই পরিবর্তন না আসবে, ততদিন আমরা পরিচ্ছন্নতার সঠিক অর্থ বুঝতেইপারব না। 

আপনারা কল্পনা করুন, গ্রাম কিম্বা শহরের বস্তিতে যে মা বোনেরা বসবাস করেন,তাঁদেরকে ভোরের আলো ফোটার আগেই ঘুম থেকে উঠে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে যেতেহয়, জঙ্গলে যেতে হয়। ভয়ে তাঁরা পাঁচ–সাতজন একসঙ্গে দলবেঁধে যান। ইচ্ছে না থাকলেওযেতেই হয়। কারণ, একবার ভোরের আলো ফুটলে যত প্রয়োজনই হোক, চেপে রাখতে হবে। আবারঅন্ধকারের অপেক্ষা করতে হবে। তাঁদের শরীরের ওপর কতটা অত্যাচার হয়, তা কল্পনা করুন।যে মায়ের সকাল ৯-১০ টায় প্রাকৃতিক বেগ পায়, তাঁকে যদি সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্তঅন্ধকারের জন্য অপেক্ষা করতে হয়, তা হলে তাঁর শরীর অসুস্থ হবে না! এজন্যই আমাদেরদেশের অধিকাংশ মহিলা নানা শারীরিক সমস্যায় ভোগেন। নিজের মা-বোন ও কন্যার প্রতিএটুকু সমবেদনা থাকলে কোনও টিভি চ্যানেলে প্রচারিত পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক অনুষ্ঠানদেখার প্রয়োজন পড়ে না। কোনও প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী কিংবা নেতার ভাষণ শোনারপ্রয়োজন পড়ে না। নিজের মনের মধ্যেই দায়িত্ববোধ জেগে ওঠা উচিৎ। 

আর সেজন্য আমি দেশবাসীকে অনুরোধ জানাই ......... সম্প্রতি ইউনিসেফ প্রকাশিতএকটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে পরিবার পিছু গড় চিকিৎসার খরচ ৫০ হাজার টাকা। বাড়িরকর্তা যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন, অন্য সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়, আরও দু’জনকে তাঁর সেবায় দিনকাটাতে হয়। চিকিৎসার জন্য সুদ খোর মহাজনের কাছ থেকে বেশি সুদে ঋণ করতে হয়। এভাবেইগড়ে ৫০ হাজার টাকা পরিবার পিছু চিকিৎসাবাবদ খরচ হয়। ইউনিসেফ-এর সমীক্ষকরা ভারতেরবিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে তাদের সমীক্ষায় ১০ হাজার পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করে এইরিপোর্ট দিয়েছেন। পাশাপাশি, তারা স্বচ্ছতা অভিযান চালু করার আগে ও পরের তথ্যওপ্রকাশ করেছেন। 

এর দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে, পরিবেশ নির্মল রাখতে পারলে দরিদ্র পরিবারেরচিকিৎসা বাবদ বার্ষিক ৫০ হাজার টাকা সাশ্রয় হতে পারে। সেই পরিবারের পারিবারিকজীবনে ঐ ৫০ হাজার টাকা অনেক কাজে লাগতে পারে। সেজন্য এই সমীক্ষার রিপোর্টকে আমাদেরঅত্যন্ত গুরুত্ব দিতে হবে। 

আমি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়, রাজনৈতিক নেতা,অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক কিংবা সমাজকর্মী সকলেই সাক্ষাতের পর ভালো কথাবার্তা বলেফেরার সময় একটা বায়োডাটা আমার হাতে ধরিয়ে দেন। আর আস্তে করে বলেন, আমি যদি কোনওসেবা করতে পারি, বলবেন, আপনি ডাকলেই চলে আসব। তাঁদের আন্তরিকতা দেখে আমিও নম্রভাবেবলি, পরিচ্ছন্নতা আন্দোলনের জন্য একটু সময় দিন। এরপর তাঁরা আর ফিরে আসেন না। 

এখন আমাকে বলুন, যাঁরা বায়োডাটা হাতে নিয়ে আমার কাছে কাজ চাইতে আসেন,তাঁদেরকে কাজের কথা বললে আর আসেন না । কোনও কাজ ছোট হয় না। আমরা হাত লাগালেযে কোনও কাজই বড় হবে। আর সেজন্য কাজের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য আমাদের তৎপর হতে হবে। 

যাঁরা ১৫ দিন ধরে এই আন্দোলনকে গতি প্রদান করে দেশ ও জাতির প্রতি অবদানরেখেছেন, তাঁদের সকলকে আমি হৃদয় থেকে অভিনন্দন জানাই। তবে, এগুলি সবই আমার মতে, এইআন্দোলনের সূত্রপাত মাত্র। এখনও অনেক কাজ বাকি। ছাত্ররা উৎসাহ নিয়ে কাজ করেছে, নানাবিদ্যালয় ও শিক্ষকরা তাদের উৎসাহিত করেছেন, তাদের স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রনির্মাণে, প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় সাহায্য করেছেন এবং এর মাধ্যমে বিদ্যালয় ওসন্নিহিত অঞ্চলে পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করেছেন। অনেক স্কুলেরছেলেমেয়েরা তো নিয়মিত সকাল সকাল গ্রামের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে কাজ করে সচেতনতাবৃদ্ধি করেছে। তাদের সকলকে আমি ধন্যবাদ জানাই। 

অনেকে এলাকার বিভিন্ন স্থানে নির্মিত মহাপুরুষদের মূর্তিগুলিকে ধুয়েমুছেপরিষ্কার করেছেন। আমি অবাক হই, আমরা যাঁরা রাজনীতি করি, রাজনৈতিক দলগুলিমহাপুরুষদের মূর্তি স্থাপন করার জন্য লড়াই করি, যে দল যাঁর অনুগামী, আমরা তাঁরমূর্তি স্থাপন করতে চাই। কিন্তু একবার মূর্তি স্থাপিত হয়ে গেলে, তাররক্ষণাবেক্ষণের দিকে নজর দিই না। সেই মহাপুরুষদের মূর্তির মাথায় ও কাঁধে পাখি বসেযা করার করে! কেউ পরিষ্কার করার কথা ভাবেন না। কিন্তু আমাদের এই ছেলেমেয়েরা সেটাভেবেছে। আর তারা সেগুলি পরিষ্কার করে আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। 

এটাই সমাজ জীবনের দোষ। সেজন্য আমাদের সকলকে দায়িত্ব নিতে হবে। কোনটা ভালোআর কোনটা খারাপ – তা আমি বলে দেব কেন, সবাইকে ভাবতে হবে, সবাই ভাবলে অবশ্যই উপায়বেরিয়ে আসবে। সেজন্য আমি সত্যাগ্রহী ও স্বচ্ছাগ্রহী সকলকে আমাদের সকল দেশবাসীকেহৃদয় থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আসুন, পূজনীয় বাপুজি আর লালবাহাদুর শাস্ত্রীরজন্মজয়ন্তীতে আমরা আরেকবার নিজেদের দেশের স্বার্থে সমর্পণ করি, পরিচ্ছন্নতাকেঅগ্রাধিকার দিই। যাঁরা দেশের সেবার জন্য কিছুই করার ক্ষমতা রাখেন না, তাঁরাওনিজেকে ও নিজের পরিবেশকে নির্মল রেখে দেশের সেবা করতে পারেন। এটা অত্যন্ত সহজ কাজ।স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় গান্ধীজি যেমন বলেছিলেন, ‘কিছু না করতে পারলে, তকলি হাতেনিয়ে বসুন, এটাও স্বাধীনতা আন্দোলন’। আমার মতে, শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ে তুলতে প্রত্যেকভারতবাসী যদি প্রতিদিন ৫-১০-১৫-৩০ মিনিট সময় নিজেকে ও পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখেন,তা হলেই যথেষ্ট। তা হলেই দেখবেন, দেশে পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠবে। একথাপরিষ্কার যে, বিশ্বের সামনে আমাদের দেশকে একটি পরিচ্ছন্ন দেশ হিসাবে তুলে ধরতেনিজেদের স্বভাব বদলাতে হবে। আর তা করতেই হবে, আর আমরা করবই। 

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।