স্বাগতম বন্ধুরা। আমি আশাকরি আপনারা কম পক্ষে একটি করে টিকার ডোজ নিয়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমি আপনাদের সকলের কাছে এবং সংসদে আমার সহকর্মীদের কাছে করোনার নিয়ম মেনে চলার জন্য আবেদন জানাবো। বাহুতে টিকা দেওয়া হয়েছে আর তাই যারা টিকা নিয়েছেন তারা ‘বাহুবলী’ হয়ে গেছেন। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘বাহুবলী’ হতে গেলে টিকা নেওয়াই একমাত্র উপায়।
ইতিমধ্যেই ৪০ কোটির বেশি মানুষ করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাহুবলী হয়ে উঠেছেন। এই সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। গোটা বিশ্বে সমগ্র মানব জাতি এই মহামারীর কারণে সঙ্কটাপন্ন। তাই আমাদের মহামারীর উপর সংসদে ফলপ্রসূ আলোচনা দরকার। সমস্ত মাননীয় সদস্যদের কাছ থেকে আমরা বাস্তবোচিত পরামর্শ পেতে চাই, আর এটিই আমাদের অগ্রাধিকারের তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন নতুন উদ্ভাবন, পন্থা খুঁজে পাওয়া যাবে। কোনো ঘাটতি থাকলে সেটিকে শুধরে নেওয়া সম্ভব, যাতে আমরা সকলে মিলে একসঙ্গে এই লড়াই লড়তে পারি।
আমি আগামীকাল সন্ধ্যায় সদনের বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দকে একটু সময় বের করতে বলেছি, কারণ তাঁদের আমি মহামারীর পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানাতে চাই। আমরা চাই সদনে এবং সংসদের বাইরে সমস্ত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করতে। আমি নিয়মিতভাবে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করছি। বিভিন্ন ফোরামে আলোচনা চলছে। সংসদে বিতর্কের পাশাপাশি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যদি আলোচনা চালানো যায় সেটি খুবই ভালো হয়।
আসুন, আমরা এই অধিবেশনকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ করে তুলি, যাতে মানুষ যেসমস্ত প্রশ্ন জানতে চান সরকার তা জবাব দিতে পারে। মাননীয় সাংসদ এবং সব রাজনৈতিক দলগুলির কাছে আমি অনুরোধ করবো, সংসদে আপনারা খুব কঠিন ও তীক্ষ্ণ প্রশ্ন করুন, কিন্তু একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সরকার যাতে উত্তর দিতে পারে সেই সুযোগটিও দিন। মানুষের কাছে যখন সত্য তথ্য পৌঁছবে, তখন গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে। এর ফলে মানুষের মনে আস্থা বাড়াবে এবং উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।
বন্ধুরা, সংসদের এই অধিবেশনে গতবারের মতো বসার ব্যবস্থা করা হয়নি। যেহেতু সকলেই প্রায় টিকা নিয়েছেন তাই আমরা একসঙ্গে বসবো। আমি আরও একবার আপনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং অনুরোধ করবো আপনারা সবাই নিজের খেয়াল রাখুন। আমরা সকলে একসঙ্গে দেশের আশাআকাঙ্খা পূরণ করবো।
অনেক ধন্যবাদ, বন্ধুরা!