মাননীয় প্রয়ুৎ চ্যান-ও-চা,
ভদ্রমহোদয়গণ,
ভারত-আসিয়ান শিখর বৈঠকে আপনার সঙ্গে আরেকবার দেখা করতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি এই শীর্ষ বৈঠক সুচারুভাবে আয়োজন ও উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য থাইল্যান্ডকে ধন্যবাদ জানাই। আসিয়ান ও পূর্ব এশিয়া শিখর সম্মলেনের সভাপতি হিসেবে আগামী বছর দায়িত্ব পালনের জন্য ভিয়েতনামকে শুভেচ্ছা জানাই।
ভদ্রমহোদয়গণ,
ভারত ও আসিয়ানের মধ্যে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক মনোভাবকে আমি স্বাগত জানাই। ভারতের ‘পুবে তাকাও নীতি’ আমাদের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আসিয়ান সর্বদাই আমাদের ‘পুবে তাকাও নীতি’র কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছে। আসিয়ানের সুসংবদ্ধ, সংগঠিত ও আর্থিক বিকাশ ভারতের মৌলিক অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে। আমরা আসিয়ানের সঙ্গে স্থলপথ, নৌ-পথ, বিমানপথ এবং ডিজিটাল যোগসূত্র স্থাপনের মধ্য দিয়ে আমাদের অংশীদারিত্বকে আরও মজবুত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এই অঞ্চলের বাস্তবিক ও ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য ভারতের পক্ষ থেকেসহজ শর্তে যে ১ লক্ষ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তার সিদ্ধান্ত হয়েছে তা অত্যন্ত কার্যকরী হবে। এই অঞ্চলের সঙ্গে আমাদের শিক্ষা, গবেষণা, বাণিজ্য ও পর্যটন ক্ষেত্রে মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ বাড়ানোই মূল উদ্দেশ্য।
এই উদ্দেশ্য অর্জনে ভারত আসিয়ানের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলিতে অংশীদারিত্ব বাড়াতে প্রস্তুত। গত বছর আয়োজিত বিশেষ স্মারক শিখর বৈঠক এবং সিঙ্গাপুরে আয়োজিত ঘরোয়া শীর্ষ বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলি রূপায়ণের ক্ষেত্রে আসিয়ানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও নিবিড়তর হয়েছে। আমরা কৃষি, বিজ্ঞান, গবেষণা, যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি তথা ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি তথা অংশীদারিত্বের সম্পর্ক আরও বাড়াতে প্রস্তুত। আসিয়ান-ভারত অবাধ বাণিজ্য চুক্তি পর্যালোচনার পর সাম্প্রতিকতম সিদ্ধান্তগুলিকে আমি স্বাগত জানাই।
এই সিদ্ধান্ত কেবল আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ককেই মজবুত করবে না, একইসঙ্গে আমাদের সমগ্র বাণিজ্য ক্ষেত্রেও ভারসাম্য আসবে। আমরা আসিয়ান দেশগুলির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নৌ-নিরাপত্তা, নীল (সমুদ্র ও মহাসাগর-কেন্দ্রিক) অর্থনীতি এবং মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে আরও শক্তিশালী করতে চাই। প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুৎ চ্যান-ও-চা-এর বক্তব্য শোনার পর আমি আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে চাই। আমি আরও একবার থাইল্যান্ডের প্রতি আমার গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই এবং আপনাদের প্রত্যেককে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
এই সিদ্ধান্ত কেবল আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ককেই মজবুত করবে না, একইসঙ্গে আমাদের সমগ্র বাণিজ্য ক্ষেত্রেও ভারসাম্য আসবে। আমরা আসিয়ান দেশগুলির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নৌ-নিরাপত্তা, নীল (সমুদ্র ও মহাসাগর-কেন্দ্রিক) অর্থনীতি এবং মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে আরও শক্তিশালী করতে চাই। প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুৎ চ্যান-ও-চা-এর বক্তব্য শোনার পর আমি আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে চাই। আমি আরও একবার থাইল্যান্ডের প্রতি আমার গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই এবং আপনাদের প্রত্যেককে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
Disclaimer: PM's speech was delivered in Hindi. This is an approximate translation of the speech