Quoteভোকাল ফর লোকাল ও আত্মনির্ভর অভিযানের সাফল্য আমাদের যুব সম্প্রয়াদের উপর নির্ভর করছে : প্রধানমন্ত্রী
Quoteএনসিসি ও এনএসএস সহ অন্যান্য সংগঠনগুলিকে টিকার বিষয়ে সচেতনতা প্রসারের আহ্বান

মন্ত্রিসভায় আমার প্রবীণ সহকর্মী, দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিংজি, শ্রী অর্জুন মুন্ডাজি, শ্রী কিরণ রিজিজুজি, শ্রীমতী রেণুকা সিং সরুটাজি এবং সারা দেশ থেকে আগত আমার প্রিয় তরুণ বন্ধুরা, করোনা সত্যিই অনেক কিছু বদলে দিয়েছে। মাস্ক, করোনার পরীক্ষা, দু-গজের দূরত্ব, এসব এখন মনে হয় যেন দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে গেছে। আগে ছবি তুলতে গেলে ক্যামেরাম্যান বলতেন, 'স্মাইল'। এখন মাস্ক পরে থাকায় সেটাও বলা হয় না। এখানেও আমরা দেখতে পাচ্ছি যে আলাদা আলাদা বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনেকটা ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসার ব্যবস্থা রাখতে হয়েছে। তবে এসবের পরেও আপনাদের মধ্যে উৎসাহ এবং উদ্দীপনার কোনও অভাব দেখা যায়নি।

বন্ধুগণ,

আপনারা এখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন। এখানে দেশের প্রত্যন্ত উপজাতীয় অঞ্চল থেকে আসা বন্ধুরা রয়েছেন, এনসিসি-এনএসএসের উদ্যমী যুবকরাও রয়েছেন এবং রাজপথে বিভিন্ন রাজ্যের ট্যাবলো, বিভিন্ন রাজ্যের বার্তা দেশের বাকী অংশে পৌঁছে দেবেন যে কলাকুশলীরা, তাঁরাও রয়েছেন। আপনারা যখন উৎসাহের সঙ্গে রাজপথে কদম তাল করেন, দেশবাসী আবেগে ভেসে যান। আপনারা যখন ট্যাবলোয় ভারতের সমৃদ্ধ শিল্প, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং পরম্পরার ঝলক দেখান, তখন প্রত্যেক দেশবাসীর মাথা গর্বে উঁচু হয়ে যায়। এবং আমি দেখেছি যে কুচকাওয়াজের সময় আমার পাশের কোনও না কোনো দেশের প্রধান থাকেন। তাঁরা এত কিছু দেখে খুব অবাক হন, অনেক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন এবং জানার চেষ্টা করেন। দেশের কোন কোনায়, কী আছে, কেমন আছে। যখন আমাদের আদিবাসী বন্ধুরা রাজপথে সংস্কৃতির রঙ ছড়িয়ে দেয়, তাঁদের রাঙানো রঙে সারা ভারত সেজে ওঠে। প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ ভারতের মহান সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরম্পরার পাশাপাশি আমাদের সামরিক সম্ভাবনাকেও শ্রদ্ধা জানায়। প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের প্রাণকেন্দ্র, আমাদের সংবিধানকে শ্রদ্ধা জানায়। আমি আপনাদের ২৬ জানুয়ারীর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আপনাদের কাছে একটি অনুরোধও রয়েছে। এখনও দিল্লিতে ঠান্ডা রয়েছে। যাঁরা দক্ষিণ থেকে এসেছেন তাদের সমস্যা হচ্ছে হয়তো এবং আপনারা কয়েকদিন ধরে এখানে রয়েছেন, কিন্তু আমি যেমন বলছিলাম, আপনাদের অনেকের হয়তো এত ঠান্ডার অভ্যেস নেই। আপনাদের সকালে ড্রিলের জন্য উঠতে হচ্ছে। আমি বলব যে আপনারা নিজের খেয়াল অবশ্যই রাখবেন।

|

বন্ধুগণ,

এ বছর আমাদের দেশ স্বাধীনতার ৭৫ তম বছরে প্রবেশ করছে। এই বছরে গুরু তেগ বাহাদুরজির ৪০০ তম আবির্ভাব দিবস। এবং এ বছর আমরা নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকীও পালন করছি। এখন দেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আমরা নেতাজীর জন্মদিনকে 'পরাক্রম দিবস' হিসেবে পালন করব। গতকাল, পরাক্রম দিবসে, আমি তাঁর কর্মভূমি কলকাতায় ছিলাম। স্বাধীনতার ৭৫ বছর, গুরু তেগ বাহাদুরজির জীবন, নেতাজীর বীরত্ব, তাঁর সাহস, এগুলি আমাদের সকলের জন্য খুব বড় অনুপ্রেরণা। আমরা দেশের স্বাধীনতার জন্য আমাদের সমস্ত কিছু ত্যাগ করার সুযোগ পাইনি, কারণ আমাদের বেশিরভাগেরই জন্ম হয়েছে স্বাধীনতার পরে। তবে দেশ অবশ্যই আমাদের নিজের সেরাটা দেওয়ার সুযোগ দিয়েছে। আমরা দেশের জন্য যা কিছু করতে পারি, ভারতকে শক্তিশালী করার জন্য আমরা যা করতে পারি তা করা উচিত।

বন্ধুগণ,

এখানে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের প্রস্তুতির সময় আপনিও অনুভব করেছেন যে আমাদের দেশ কতটা বৈচিত্র্যময়। নানা ভাষা, নানা উপভাষা, বিভিন্ন খাদ্যাভ্যাস। কতকিছু আলাদা কিন্তু ভারত একটাই। ভারত মানে কোটি সাধারণ মানুষের রক্ত ও ঘাম, আকাঙ্ক্ষা এবং প্রত্যাশার সম্মিলিত শক্তি।ভারত মানে অনেক রাজ্য, এক রাষ্ট্র। ভারত মানে সমাজ অনেক, প্রকাশ এক। ভারত মানে বহু পথ অনেক তবে লক্ষ্য একটাই। ভারত মানে নানা সংস্কৃতি, মূল্যবোধ এক। ভারত মানে অনেক ভাষা, একটি অভিব্যক্তি। ভারত মানে রঙ অনেক, ত্রিভুজ একটাই। যদি এক লাইনে বলা হয়, ভারতের পথগুলি পৃথক হতে পারে তবে গন্তব্য একই, লক্ষ্যএকই এবং এই লক্ষ্য এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত।

|

বন্ধুগণ,

এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারতবর্ষের এই চিরন্তন চেতনা আজ দেশের প্রতিটি কোণে প্রকাশ পাচ্ছে, শক্তিশালী হচ্ছে। আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন ও শুনেছেন যে যখন মিজোরামের ৪ বছরের বালিকা বন্দে মাতরম গাইল তখন শ্রোতাদেরও গর্ববোধ হচ্ছিল। যখন কেরলের একটি স্কুলের কোনও এক মেয়ে কঠোর পরিশ্রম করে একটি হিমাচলী শেখে এবং নিখুঁতভাবে গায় তখন রাষ্ট্রের শক্তি অনুভূত হয়। তেলুগুভাষী আমাদের এক মেয়ে যখন তার স্কুলে প্রোজেক্টে খুব আকর্ষণীয়ভাবে হরিয়ানভি খাবারের ব্যাপারে বলে, আমরা ভারতের শ্রেষ্ঠত্ব দেখতে পাই ।

বন্ধুগণ,

ভারতের এই শক্তির সঙ্গে দেশ এবং বিশ্বকে পরিচিত করাতে 'এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত' পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে এবং আপনারা তো ডিজিটাল প্রজন্মের মানুষ, তো অবশ্যই দেখবেন। এই পোর্টালে ব্যঞ্জন বিভাগে এক হাজারেরও বেশি মানুষ তাদের রাজ্যের খাদ্যাভ্যাস ভাগ করেছেন। সময় বের করে, আপনি অবশ্যই এই পোর্টালটি দেখবেন এবং নিজের পরিবারেও বলবেন,মা, দেখো তো পারো কিনা, আপনার খুব ভালো লাগবে।

বন্ধুগণ,

গত কয়েক মাসে, করোনার জন্য স্কুল কলেজ ইত্যাদি বন্ধ হওয়া সত্ত্বেও দেশের যুব সমাজ ডিজিটাল মাধ্যমে অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে ওয়েবিনার করেছে। এই ওয়েবিনারগুলিতে বিভিন্ন রাজ্যে সঙ্গীত, নৃত্য এবং খাদ্যাভাসের বিভিন্ন ধরন সম্পর্কে বিশেষ আলোচনা হয়েছে। আজ সরকার চেষ্টা করছে যাতে প্রতিটি প্রদেশ, প্রতিটি অঞ্চল, দেশের ভাষা, খাদ্য ও চারুকলার প্রচার প্রসার হয়। দেশের প্রতিটি রাজ্যের বসবাস এবং রীতি-উৎসব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি হোক। বিশেষত আমাদের আদিবাসী পরম্পরা, শিল্পকলা থেকে দেশ অনেক কিছু শিখতে পারে। 'এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত' অভিযান এই সমস্ত কিছু অগ্রসর করতে অনেক সাহায্য করছে।

|

বন্ধুগণ,

আজকাল আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন, দেশে বার বার বলা হয় - যে শব্দটি শোনা যায়, 'ভোকাল ফর লোকাল'। যা নিজের বাড়ির চারপাশে জিনিসপত্র তৈরি হচ্ছে, স্থানীয়ভাবে তৈরি হচ্ছে, তাকে সম্মান করা, গর্বিত হওয়া, উৎসাহ দেওয়া, এটাই 'ভোকাল ফর লোকাল'। তবে এই 'ভোকাল ফর লোকাল' চেতনা আরও শক্তিশালী হবে যখন এটি 'এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারতের' চেতনার দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত হবে। হরিয়ানায় কোনও জিনিসের বিষয়ে, আমি তামিলনাড়ুতে থাকলেও, আমার গর্ব হওয়া উচিত। কেরলের কোনও জিনিস নিয়ে, আমি হিমাচলবাসী হয়েও আমার গর্ব হওয়া উচিত। এক অঞ্চলের স্থানীয় পণ্যে অন্য অঞ্চলও গর্বিত হবে, তার প্রচার করবে, উৎসাহ দেবে, তবেই দেশজুড়ে স্থানীয় পণ্য ছড়িয়ে যাবে, এবং তা বিশ্বব্যাপী পণ্য হওয়ার শক্তি পাবে।

বন্ধুগণ,

ভোকাল ফর লোকাল, এই স্বনির্ভর ভারত অভিযান, এর সাফল্য আপনাদের মতো যুবকযুবতীর উপর নির্ভর করে এবং আজ যখন আমার সামনে এনসিসি এবং এনএসএসের এতজন যুবক যুবতী রয়েছেন, এঁদের তো শিক্ষা এবং দীক্ষা সবই এখানেই দেওয়া হয়। আমি আপনাদের আজ একটি ছোট কাজ দিতে চাই। এবং সারাদেশে আমাদের এনসিসি যুবকরা অবশ্যই এই কাজে আমাকে সাহায্য করবে। আপনারা সকালে উঠে রাতে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত, যে জিনিসগুলি ব্যবহার করেন, টুথপেস্ট হোক, ব্রাশ হোক, চিরুনি হোক, যা কিছুই হোক না কেন, বাড়িতে এসি, মোবাইল ফোন, যাই হোক না কেন, সারা দিন আপনার কতগুলি জিনিসের প্রয়োজন হয় এবং এরমধ্যে আমাদের দেশে তৈরি কতগুলি জিনিসে আমাদের দেশের শ্রমিকদের ঘামের গন্ধ আছে , কত জিনিসে আমাদের এই দেশের মাটির গন্ধ রয়েছে। আপনি হতবাক হবেন, অজান্তেই এত বিদেশী জিনিস আমাদের দেশে প্রবেশ করেছে, আমরা জানিই না। একবার আমরা পর্যালোচনা করলে জানতে পারবেন যে একটি স্বনির্ভর ভারত গঠনের প্রথম কর্তব্যটি আমাদের নিজেদের মধ্যে দিয়েই শুরু করা উচিত। এর অর্থ এই নয় যে আমি বলছি যে আপনার যদি কোনও বিদেশী জিনিস থাকে তবে যান এবং আগামীকাল তা ছুঁড়ে ফেলে দিন। আমি এও বলছি না যে পৃথিবীতে যদি কোনও ভাল জিনিস থাকে, এটি যদি আমাদের এখানে না পাওয়া যায়, তবে তা কিনবেন না, এটা করা যায় না। তবে আমরা খেয়াল করি না, এমন অনেক জিনিস রয়েছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে, যা আমাদের দাস বানিয়ে রেখেছে, মানসিক দাস করে রেখেছে। আমি আমার তরুণ বন্ধুদের অনুরোধ করব। এনসিসি-এনএসএসের শিষ্ট যুবকদের আহ্বান জানাব। আপনারা পরিবারের সবার থেকে একটি তালিকা তৈরি করুন, একবার দেখুন, তখন আপনাকে কখনই আমার কথা মনে রাখতে হবে না, আপনার আত্মাই বলবে যে আমরা আমাদের দেশের ক্ষতি কতটা করেছি।

|

বন্ধুগণ,

কেবল কারও বলায় ভারত স্বাবলম্বী হবে না। তবে যেমনটা আমি বলছি, আপনাদের মতো দেশের তরুণ বন্ধুদের কাজে হবে। এবং আপনার মধ্যে প্রয়োজনীয় দক্ষতা থাকবে তখন আপনি এটা আরও ভাল করে করতে সক্ষম হবেন।

বন্ধুগণ,

দক্ষতার এই গুরুত্ব বিবেচনা করে, ২০১৪ সালে সরকার গঠন করার পরই দক্ষতা বিকাশের জন্য একটি বিশেষ মন্ত্রক গঠন করা হয়েছে। এই অভিযানের আওতায় এখনও পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ কোটিরও বেশি তরুণ তরুণীদের বিভিন্ন শিল্প ও দক্ষতার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। দক্ষতা বিকাশের এই কর্মসূচির আওতায় শুধু প্রশিক্ষণই দেওয়া হচ্ছে না, লক্ষ লক্ষ যুবকদের কর্মসংস্থান ও স্বরোজগারের পথে সাহায্য করা হচ্ছে। লক্ষ্য একটাই, ভারতে দক্ষ যুব সমাজ তৈরি করা এবং দক্ষতার ভিত্তিতে তাদের নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া।

বন্ধুগণ,

স্বনির্ভর ভারত গড়ে তুলতে যুব সমাজের দক্ষতার উপর এই ফোকাস ও দেশের এই নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির অংশ। আপনিও তা বুঝতে পারবেন। এতে শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রে এর প্রয়োগের ব্যাপারেও সমান জোর দেওয়া হয়েছে। জাতীয় শিক্ষা নীতির প্রয়াস হল যুবকদের তাদের আগ্রহ অনুযায়ী বিষয়টি বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। কখন পড়াশুনা করবে, কখন তা ছাড়বে এবং আবার কখন পড়াশুনা শুরু করবে, সেজন্য নমনীয়তাও রয়েছে। আমাদের চেষ্টা হচ্ছে আমাদের শিক্ষার্থীরা নিজেরাই যা করতে চায় সেক্ষেত্রে যাতে অগ্রসর হতে পারে।

বন্ধুগণ,

নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে এই প্রথমবার বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে শিক্ষার মূলধারায় আনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চেষ্টা করা হয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে শিক্ষার্থীদের স্থানীয় প্রয়োজন এবং স্থানীয় ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত নিজের পছন্দের যে কোনও কোর্স বেছে নেওয়ার বিকল্প দেওয়া হয়েছে। এগুলি শুধু পাঠ্য কোর্সই নয়, শেখার এবং প্রশিক্ষণের কোর্স হবে। এতে স্থানীয় দক্ষ কারিগরদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাও থাকবে। এরপর পর্যায়ক্রমে সমস্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে যুক্ত করার লক্ষ্যও রয়েছে। আমি আজ এটি বিশদে আপনাদের বলছি, কারণ আপনারা যত বেশি সচেতন হবেন, আপনার ভবিষ্যতও আরও উজ্জ্বল হবে।

বন্ধুগণ,

আপনারা সবাই স্বনির্ভর ভারত অভিযানের আসল কর্ণধার। এনসিসি, এনএসএস বা অন্যান্য সংস্থা হোক, আপনারা দেশের প্রতিটি চ্যালেঞ্জ, প্রতিটি সঙ্কটের সময় নিজেদের ভূমিকা পালন করেছেন। এমনকি করোনা অতিমাত্রায় সময়, স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আপনারা যে কাজ করেছেন তা প্রশংসনীয়। যখন দেশ এবং প্রশাসনের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল, আপনারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এগিয়ে এসেছিলেন এবং পরিষেবায় সাহায্য করেছিলেন। আপনারা আরোগ্য সেতু অ্যাপ্লিকেশনের জনগণের কাছে প্রচার হোক বা করোনা সংক্রমণ সম্পর্কিত অন্যান্য তথ্যের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা হোক, আপনারা প্রশংসনীয় কাজ করেছেন। করোনার এই সময়ে, ফিট ইন্ডিয়া অভিযানের মাধ্যমে স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতনতা জাগাতে আপনাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

বন্ধুগণ,

আপনারা এখন পর্যন্ত যা করেছেন, এবার তা পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে। এবং আমি এটা আপনাদের বলছি কারণ আপনাদের দেশের প্রতিটি অঞ্চলে, প্রতিটি সমাজে প্রতিনিধি রয়েছে। আমি আপনাদের দেশে করোনা টিকাকরণ অভিযানের প্রচারে সহায়তার জন্য এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি। দরিদ্রতম ও সাধারণ নাগরিককে আপনাদের টিকা সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে হবে। ভারতে করোনার টিকা তৈরি করে ভারতের বৈজ্ঞানিকরা তাঁদের দায়িত্ব ভালভাবে পালন করেছেন। এখন আমাদের নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমাদের যথাযথ তথ্য দিয়ে মিথ্যা ও গুজব ছড়িয়ে দেওয়ার প্রতিটি ব্যবস্থাকে পরাস্ত করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে আমাদের প্রজাতন্ত্র শক্তিশালী কারণ তা দায়িত্ববোধের দ্বারা নির্ধারিত হয়। আমাদের এই চেতনাকে দৃঢ় করতে হবে। এর মাধ্যমে, আমাদের প্রজাতন্ত্রও শক্তিশালী হবে এবং স্বনির্ভরতার জন্য আমাদের সংকল্পও পূর্ণ হবে। আপনারা সবাই এই গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় উৎসবে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। মন তৈরি করার, দেশকে জানার এবং দেশের জন্য কিছু করার, চেয়ে বড় কোনও রীতি হতে পারে না। যে সৌভাগ্য আপনারা পেয়েছেন। আমার বিশ্বাস যে ২৬ শে জানুয়ারীর এই অভূতপূর্ব অনুষ্ঠানের পর আপনারা যখন এখান থেকে বাড়ি ফিরবেন, আপনারা এখানকার অনেক কিছুই মনে রাখবেন। তবে একইসঙ্গে কখনই ভুলে যাবেন না যে আমাদের দেশকে নিজেদের সেরাটা দিতে হবে, আমাদের এটা করতেই হবে, করতেই হবে। আমি আপনাদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

অনেক ধন্যবাদ !

  • शिवकुमार गुप्ता February 10, 2022

    जय भारत
  • शिवकुमार गुप्ता February 10, 2022

    जय हिंद
  • शिवकुमार गुप्ता February 10, 2022

    जय श्री सीताराम
  • शिवकुमार गुप्ता February 10, 2022

    जय श्री राम
  • MOHAN RAMCHANDRA KULKARNI January 23, 2022

    जय हिंद जय भारत
  • Shiv Gupta January 23, 2022

    जय हिंद
Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
A strategy fuelled by vision, powered by energy

Media Coverage

A strategy fuelled by vision, powered by energy
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister Narendra Modi to lead a special tree plantation drive under Ek Ped Maa Ke Naam initiative
June 04, 2025
QuoteTree plantation by PM to be part of ‘Aravalli Green Wall project’ to reforest the 700-km Aravalli range
QuotePM to also flag off 200 Electric buses under Delhi Government's sustainable transport initiative

On the occasion of World Environment Day, Prime Minister Shri Narendra Modi will lead a special tree plantation initiative at Bhagwan Mahavir Vanasthali Park, New Delhi, on June 5, 2025, at 10:15 AM, reaffirming India’s commitment to environmental stewardship and green mobility.

Prime Minister will plant a Banyan sapling under the Ek Ped Maa Ke Naam initiative. This will be part of the ‘Aravalli Green Wall project’ which aims to reforest the 700-km Aravalli range.

The project is a major initiative to spread green cover in the 5 km buffer area around the Aravalli Hill Range in 29 districts of four states including Delhi, Rajasthan, Haryana, and Gujarat. It aims to boost biodiversity of the Aravallis through afforestation, reforestation and restoration of water bodies. It also aims to improve the soil fertility, water availability and climate resilience of the region. The project will also be of benefit to the local communities by providing them with employment and income generation opportunities.

Prime Minister will also flag off 200 Electric Buses under Delhi Government's sustainable transport initiative, promoting clean urban mobility and symbolizing the nation’s collective responsibility towards ecological balance.