Published By : Admin |
January 13, 2022 | 17:31 IST
Share
কঠোর পরিশ্রমই আমাদের একমাত্র পথ এবং জয়ই আমাদের একমাত্র বিকল্প
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি যে সক্রিয় ও সমবেত প্রয়াস গ্রহণ করেছে তা এবারও আমাদের জয়ের ক্ষেত্রে একই মন্ত্র হয়ে উঠবে
ভারতে প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার প্রায় ৯২ শতাংশকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে; দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন প্রায় ৭০ শতাংশ
অর্থনীতির গতি অব্যাহত রাখতে হবে; এজন্য স্থানীয়ভাবে কন্টেইনমেন্ট জোনে আরও বেশি অগ্রাধিকার
ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট বা প্রজাতি নির্বিশেষে মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকাকরণই সবথেকে কার্যকর উপায়
করোনাকে পরাজিত করতে প্রতিটি ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব পড়ার আগেই আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে; ওমিক্রন মোকাবিলার পাশাপাশি আমাদের এখন থেকেই ভবিষ্যতেও যে কোনও ভ্যারিয়েন্টের মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করতে হবে
কোভিড-১৯-এর উপর্যুপরি ঢেউয়ের সময় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীরা তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী কোভিড-১৯-এর প্রেক্ষিতে দেশে জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে প্রস্তুতি এবং জাতীয় স্তরে কোভিড-১৯ টিকাকরণের অগ্রগতি পর্যালোচনায় রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মুখ্যমন্ত্রী ও উপ-রাজ্যপাল / প্রশাসকদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে পৌরোহিত্য করেছেন। আজকের এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. মনসুখ মাণ্ডব্য, বিভাগীয় প্রতিমন্ত্রী ডঃ ভারতী প্রবীণ পাওয়ার সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। আধিকারিকরা দেশে মহামারীজনিত সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে বৈঠকে সকলকে অবহিত করেন।
এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শতবর্ষের সর্ববৃহৎ মহামারীর মোকাবিলায় ভারতের লড়াই তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করেছে। এই প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, কঠিন পরিশ্রমই কেবল একমাত্র পথ এবং জয়ই আমাদের একমাত্র বিকল্প। আমরা, ১৩০ কোটি ভারতীয় সমবেত প্রয়াসে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিশ্চয়ই জয়ী হব।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ওমিক্রন সম্পর্কে আগে যে সমস্ত বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছিল তা ধীরে ধীরে দূর হচ্ছে। ভাইরাসের এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট বা প্রজাতি ওমিক্রন, আগের প্রজাতিগুলির তুলনায় এখন সাধারণ মানুষকে অনেক দ্রুততার সঙ্গে আক্রমণ করছে। এই প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমাদেরকে আরও বেশি সতর্ক ও সাবধান থাকতে হবে। সেইসঙ্গে, এটাও নিশ্চিত করতে হবে যে আতঙ্কের কোনও পরিস্থিতি যেন দেখা না দেয়। আমাদের এটাও নিশ্চিত করতে হবে যে উৎসবের এই মরশুমে সাধারণ মানুষ ও প্রশাসনকে আরও সজাগ করে তোলা যায় যাতে সুরক্ষার ক্ষেত্রে কোনরকম আপোস করা না হয়। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি সমবেতভাবে যে সক্রিয় প্রয়াস গ্রহণ করে এসেছে, এখন আমাদের এই লড়াইয়ে জয়ের লক্ষ্যে ওই একই মন্ত্র অনুসরণ করতে হবে। আমরা করোনা সংক্রমণ যত সীমিত রাখতে পারব, সমস্যা ততই কমবে বলেও তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাইরাসের প্রজাতি নির্বিশেষে মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকাকরণই একমাত্র হাতিয়ার। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ভারতে তৈরি টিকাগুলি সারা বিশ্বে তাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করছে আর এটা আজ সমস্ত ভারতবাসীর কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। দেশে প্রাপ্তবয়স্ক মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯২ শতাংশকেই টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। একইভাবে, ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজ টিকাকরণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১০ দিনের মধ্যে ভারত প্রায় ৩ কোটি বয়ঃসন্ধিকালীন ছেলে-মেয়েকে টিকা দেওয়ার কাজ শেষ করতে পারবে। তিনি আরও বলেন, অগ্রভাগে থাকা করোনা যোদ্ধা ও প্রবীণ নাগরিকদের যত দ্রুত প্রিকশান ডোজ বা পরিভাষায় বুস্টার ডোজ দেওয়া যাবে, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সক্ষমতা ততই বাড়বে। আমাদের ১০০ শতাংশ টিকাকরণের লক্ষ্য পূরণে ‘হর ঘর দস্তক’ অভিযানকে আরও নিবিড় করতে হবে বলেও শ্রী মোদী অভিমত প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিকা এবং মাস্ক পরার অভ্যাস সম্পর্কে যাবতীয় বিভ্রান্তি দূর করতে আমাদের আরও সক্রিয় হয়ে উঠতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, যে কোনও রণকৌশল প্রণয়নের সময় এটা বিবেচনায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় যাতে তার ন্যূনতম প্রভাব পড়ে। একইভাবে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং অর্থ ব্যবস্থার স্বাভাবিক গতি যেন অব্যাহত রাখা যায়। এ প্রসঙ্গে তিনি স্থানীয়ভাবে কন্টেইনমেন্ট জোন কার্যকর করার ওপর আরও বেশি গুরুত্ব দিতে বলেন। তিনি বলেন, হোম আইসোলেশনে রেখেই যথাযথ চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। সেইসঙ্গে, হোম আইসোলেশন সম্পর্কিত নীতি-নির্দেশিকাগুলিও কঠোরভাবে বলবৎ করতে হবে যাতে আমাদের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ওপর ন্যূনতম চাপ পড়ে। তিনি, এরকম ক্ষেত্রে টেলি-মেডিসিন ব্যবস্থার সর্বাধিক প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব দেন।
স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যগুলির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর মানোন্নয়নে রাজ্যগুলিকে ২৩ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে। এই প্যাকেজের আওতায় সারা দেশে ৮০০টির বেশি শিশু-চিকিৎসা ইউনিট গড়ে উঠেছে, আইসিইউ এবং এইচডিইউ চিকিৎসা পরিষেবায় শয্যা সংখ্যা ১ লক্ষ ৫০ হাজার বেড়েছে, ৫ হাজারের বেশি বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা শুরু হয়েছে। এমনকি, চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত তরল অক্সিজেন মজুত রাখার ৯৫০টির বেশি ট্যাঙ্ক বসানো হয়েছে। পরিকাঠামো সম্প্রসারণের ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাকে পরাজিত করতে আমাদের ভবিষ্যতে প্রতিটি প্রজাতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রস্তুত হয়ে উঠতে হবে। ওমিক্রন মোকাবিলার পাশাপাশি আমাদের এখন থেকেই ভবিষ্যতে অন্য যে কোনও প্রজাতির ভাইরাসের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
কোভিড-১৯-এর উপর্যুপরি ঢেউ আছড়ে পড়ার সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীরা শ্রী মোদীকে ধন্যবাদ দেন। সবরকম সাহায্য ও সঠিক দিশা-নির্দেশ দেখানোর জন্য তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান। রাজ্যগুলিকে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর মানোন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যে তহবিল প্রদান করা হয়েছে তা অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রীরা উল্লেখ করেন। ক্রমবর্ধমান আক্রান্তের সংখ্যার প্রেক্ষিতে কি ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে সে সম্পর্কেও মুখ্যমন্ত্রীরা বৈঠকে সকলকে অবহিত করেন। তাঁরা জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়াতে ও অক্সিজেনের যোগান অব্যাহত রাখতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বেঙ্গালুরু শহরে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতে শহরের আবাসনগুলিতে সংক্রমণ শৃঙ্খল ভেঙে ফেলতে গৃহীত ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আসন্ন উৎসবের মরশুমে আক্রান্তের সংখ্যায় সম্ভাব্য বৃদ্ধি এবং তার প্রেক্ষিতে প্রশাসনের প্রস্তুতি ও গৃহীত পদক্ষেপের কথা বৈঠকে উল্লেখ করেন। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় কেন্দ্রের পাশে রাজ্যগুলির দাঁড়ানো প্রয়োজন। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী কিছু গ্রামীণ ও আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় টিকাকরণ কর্মসূচি নিয়ে যে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে, তার প্রেক্ষিতে উদ্ভূত সমস্যার কথা বৈঠকে উল্লেখ করেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী টিকাকরণ অভিযান থেকে যাতে কোনও ব্যক্তি বাদ না পড়েন, তার প্রেক্ষিতে যে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, সে কথাও উল্লেখ করেন। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অক্সিজেনের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি তহবিল সংস্থান ও পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেন। আসামের মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রিকশান ডোজ বা পরিভাষায় বুস্টার ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে যে প্রয়াস গ্রহণ করা হয়েছে তার ফলে আস্থা আরও বাড়বে। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, টিকাকরণ অভিযানের পরিধি বাড়াতে রাজ্য সবরকম প্রয়াস নিচ্ছে।
Prime Minister pays homage to Chhatrapati Shivaji Maharaj on his Jayanti
February 19, 2025
Share
The Prime Minister, Shri Narendra Modi has paid homage to Chhatrapati Shivaji Maharaj on his Jayanti.
Shri Modi wrote on X;
“I pay homage to Chhatrapati Shivaji Maharaj on his Jayanti.
His valour and visionary leadership laid the foundation for Swarajya, inspiring generations to uphold the values of courage and justice. He inspires us in building a strong, self-reliant and prosperous India.”
“छत्रपती शिवाजी महाराज यांच्या जयंतीनिमित्त मी त्यांना अभिवादन करतो.
त्यांच्या पराक्रमाने आणि दूरदर्शी नेतृत्वाने स्वराज्याची पायाभरणी केली, ज्यामुळे अनेक पिढ्यांना धैर्य आणि न्यायाची मूल्ये जपण्याची प्रेरणा मिळाली. ते आपल्याला एक बलशाली, आत्मनिर्भर आणि समृद्ध भारत घडवण्यासाठी प्रेरणा देत आहेत.”
I pay homage to Chhatrapati Shivaji Maharaj on his Jayanti.
His valour and visionary leadership laid the foundation for Swarajya, inspiring generations to uphold the values of courage and justice. He inspires us in building a strong, self-reliant and prosperous India. pic.twitter.com/Cw11xeoKF1
छत्रपती शिवाजी महाराज यांच्या जयंतीनिमित्त मी त्यांना अभिवादन करतो.
त्यांच्या पराक्रमाने आणि दूरदर्शी नेतृत्वाने स्वराज्याची पायाभरणी केली, ज्यामुळे अनेक पिढ्यांना धैर्य आणि न्यायाची मूल्ये जपण्याची प्रेरणा मिळाली. ते आपल्याला एक बलशाली, आत्मनिर्भर आणि समृद्ध भारत घडवण्यासाठी… pic.twitter.com/zu0vLviiPf