কঠোর পরিশ্রমই আমাদের একমাত্র পথ এবং জয়ই আমাদের একমাত্র বিকল্প
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি যে সক্রিয় ও সমবেত প্রয়াস গ্রহণ করেছে তা এবারও আমাদের জয়ের ক্ষেত্রে একই মন্ত্র হয়ে উঠবে
ভারতে প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার প্রায় ৯২ শতাংশকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে; দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন প্রায় ৭০ শতাংশ
অর্থনীতির গতি অব্যাহত রাখতে হবে; এজন্য স্থানীয়ভাবে কন্টেইনমেন্ট জোনে আরও বেশি অগ্রাধিকার
ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট বা প্রজাতি নির্বিশেষে মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকাকরণই সবথেকে কার্যকর উপায়
করোনাকে পরাজিত করতে প্রতিটি ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব পড়ার আগেই আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে; ওমিক্রন মোকাবিলার পাশাপাশি আমাদের এখন থেকেই ভবিষ্যতেও যে কোনও ভ্যারিয়েন্টের মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করতে হবে
কোভিড-১৯-এর উপর্যুপরি ঢেউয়ের সময় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীরা তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী কোভিড-১৯-এর প্রেক্ষিতে দেশে জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে প্রস্তুতি এবং জাতীয় স্তরে কোভিড-১৯ টিকাকরণের অগ্রগতি পর্যালোচনায় রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মুখ্যমন্ত্রী ও উপ-রাজ্যপাল / প্রশাসকদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে পৌরোহিত্য করেছেন। আজকের এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. মনসুখ মাণ্ডব্য, বিভাগীয় প্রতিমন্ত্রী ডঃ ভারতী প্রবীণ পাওয়ার সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। আধিকারিকরা দেশে মহামারীজনিত সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে বৈঠকে সকলকে অবহিত করেন। 
 
এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শতবর্ষের সর্ববৃহৎ মহামারীর মোকাবিলায় ভারতের লড়াই তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করেছে। এই প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, কঠিন পরিশ্রমই কেবল একমাত্র পথ এবং জয়ই আমাদের একমাত্র বিকল্প। আমরা, ১৩০ কোটি ভারতীয় সমবেত প্রয়াসে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিশ্চয়ই জয়ী হব।
 
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ওমিক্রন সম্পর্কে আগে যে সমস্ত বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছিল তা ধীরে ধীরে দূর হচ্ছে। ভাইরাসের এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট বা প্রজাতি ওমিক্রন, আগের প্রজাতিগুলির তুলনায় এখন সাধারণ মানুষকে অনেক দ্রুততার সঙ্গে আক্রমণ করছে। এই প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমাদেরকে আরও বেশি সতর্ক ও সাবধান থাকতে হবে। সেইসঙ্গে, এটাও নিশ্চিত করতে হবে যে আতঙ্কের কোনও পরিস্থিতি যেন দেখা না দেয়। আমাদের এটাও নিশ্চিত করতে হবে যে উৎসবের এই মরশুমে সাধারণ মানুষ ও প্রশাসনকে আরও সজাগ করে তোলা যায় যাতে সুরক্ষার ক্ষেত্রে কোনরকম আপোস করা না হয়। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি সমবেতভাবে যে সক্রিয় প্রয়াস গ্রহণ করে এসেছে, এখন আমাদের এই লড়াইয়ে জয়ের লক্ষ্যে ওই একই মন্ত্র অনুসরণ করতে হবে। আমরা করোনা সংক্রমণ যত সীমিত রাখতে পারব, সমস্যা ততই কমবে বলেও তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাইরাসের প্রজাতি নির্বিশেষে মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকাকরণই একমাত্র হাতিয়ার। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ভারতে তৈরি টিকাগুলি সারা বিশ্বে তাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করছে আর এটা আজ সমস্ত ভারতবাসীর কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। দেশে প্রাপ্তবয়স্ক মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯২ শতাংশকেই টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। একইভাবে, ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজ টিকাকরণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১০ দিনের মধ্যে ভারত প্রায় ৩ কোটি বয়ঃসন্ধিকালীন ছেলে-মেয়েকে টিকা দেওয়ার কাজ শেষ করতে পারবে। তিনি আরও বলেন, অগ্রভাগে থাকা করোনা যোদ্ধা ও প্রবীণ নাগরিকদের যত দ্রুত প্রিকশান ডোজ বা পরিভাষায় বুস্টার ডোজ দেওয়া যাবে, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সক্ষমতা ততই বাড়বে। আমাদের ১০০ শতাংশ টিকাকরণের লক্ষ্য পূরণে ‘হর ঘর দস্তক’ অভিযানকে আরও নিবিড় করতে হবে বলেও শ্রী মোদী অভিমত প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিকা এবং মাস্ক পরার অভ্যাস সম্পর্কে যাবতীয় বিভ্রান্তি দূর করতে আমাদের আরও সক্রিয় হয়ে উঠতে হবে।
 
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, যে কোনও রণকৌশল প্রণয়নের সময় এটা বিবেচনায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় যাতে তার ন্যূনতম প্রভাব পড়ে। একইভাবে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং অর্থ ব্যবস্থার স্বাভাবিক গতি যেন অব্যাহত রাখা যায়। এ প্রসঙ্গে তিনি স্থানীয়ভাবে কন্টেইনমেন্ট জোন কার্যকর করার ওপর আরও বেশি গুরুত্ব দিতে বলেন। তিনি বলেন, হোম আইসোলেশনে রেখেই যথাযথ চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। সেইসঙ্গে, হোম আইসোলেশন সম্পর্কিত নীতি-নির্দেশিকাগুলিও কঠোরভাবে বলবৎ করতে হবে যাতে আমাদের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ওপর ন্যূনতম চাপ পড়ে। তিনি, এরকম ক্ষেত্রে টেলি-মেডিসিন ব্যবস্থার সর্বাধিক প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব দেন।
 
স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যগুলির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর মানোন্নয়নে রাজ্যগুলিকে ২৩ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে। এই প্যাকেজের আওতায় সারা দেশে ৮০০টির বেশি শিশু-চিকিৎসা ইউনিট গড়ে উঠেছে, আইসিইউ এবং এইচডিইউ চিকিৎসা পরিষেবায় শয্যা সংখ্যা ১ লক্ষ ৫০ হাজার বেড়েছে, ৫ হাজারের বেশি বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা শুরু হয়েছে। এমনকি, চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত তরল অক্সিজেন মজুত রাখার ৯৫০টির বেশি ট্যাঙ্ক বসানো হয়েছে। পরিকাঠামো সম্প্রসারণের ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাকে পরাজিত করতে আমাদের ভবিষ্যতে প্রতিটি প্রজাতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রস্তুত হয়ে উঠতে হবে। ওমিক্রন মোকাবিলার পাশাপাশি আমাদের এখন থেকেই ভবিষ্যতে অন্য যে কোনও প্রজাতির ভাইরাসের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
 
কোভিড-১৯-এর উপর্যুপরি ঢেউ আছড়ে পড়ার সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীরা শ্রী মোদীকে ধন্যবাদ দেন। সবরকম সাহায্য ও সঠিক দিশা-নির্দেশ দেখানোর জন্য তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান। রাজ্যগুলিকে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর মানোন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যে তহবিল প্রদান করা হয়েছে তা অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রীরা উল্লেখ করেন। ক্রমবর্ধমান আক্রান্তের সংখ্যার প্রেক্ষিতে কি ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে সে সম্পর্কেও মুখ্যমন্ত্রীরা বৈঠকে সকলকে অবহিত করেন। তাঁরা জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়াতে ও অক্সিজেনের যোগান অব্যাহত রাখতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বেঙ্গালুরু শহরে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতে শহরের আবাসনগুলিতে সংক্রমণ শৃঙ্খল ভেঙে ফেলতে গৃহীত ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আসন্ন উৎসবের মরশুমে আক্রান্তের সংখ্যায় সম্ভাব্য বৃদ্ধি এবং তার প্রেক্ষিতে প্রশাসনের প্রস্তুতি ও গৃহীত পদক্ষেপের কথা বৈঠকে উল্লেখ করেন। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় কেন্দ্রের পাশে রাজ্যগুলির দাঁড়ানো প্রয়োজন। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী কিছু গ্রামীণ ও আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় টিকাকরণ কর্মসূচি নিয়ে যে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে, তার প্রেক্ষিতে উদ্ভূত সমস্যার কথা বৈঠকে উল্লেখ করেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী টিকাকরণ অভিযান থেকে যাতে কোনও ব্যক্তি বাদ না পড়েন, তার প্রেক্ষিতে যে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, সে কথাও উল্লেখ করেন। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অক্সিজেনের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি তহবিল সংস্থান ও পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেন। আসামের মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রিকশান ডোজ বা পরিভাষায় বুস্টার ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে যে প্রয়াস গ্রহণ করা হয়েছে তার ফলে আস্থা আরও বাড়বে। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, টিকাকরণ অভিযানের পরিধি বাড়াতে রাজ্য সবরকম প্রয়াস নিচ্ছে। 
Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।