Few people are attempting to weaken the honesty of our social structures; Govt is working towards cleansing the system of such elements: PM
As a result of the efforts of the Government, the economy is functioning with less cash: PM Modi
The cash to GDP ratio has come down to 9 per cent, from 12 per cent before demonetisation: Prime Minister
There was a time when India was among Fragile Five economies, but now steps taken by Govt will ensure a new league of development: PM
Premium would be placed on honesty, and the interests of the honest would be protected: PM Modi
87 reforms have been carried out in 21 sectors in last three years: PM Modi
In the policy and planning of the Government, care is being taken to ensure that lives of poor and middle class change for the better: PM

 

আমার মন্ত্রিমণ্ডলের সহযোগী কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সপ্রতিমন্ত্রী শ্রী পিপি চৌধুরী মহোদয়, ইন্সটিটিউট অফ কোম্পানি সেক্রেটারিস অফইন্ডিয়া’র অধ্যক্ষ, নবীন অধ্যক্ষ শ্যাম আগরওয়াল মহোদয়, 

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল মাননীয় ব্যক্তিবর্গ আরপ্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের নানা স্থানে আপনাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বসে যাঁরা এইঅনুষ্ঠান দেখছেন, আমার বক্তব্য শুনছেন, 

আজ আইসিএসআই ৫০ বছরে পদার্পণ করল। এই উপলক্ষে এইপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। 



বিগত ৪৯ বছরের যাত্রাপথে যাঁদের অবদান রয়েছে,তাঁদের সকলকে অভিনন্দন জানাই। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আজ এক বিশেষ গুণবানবিদ্বানদের মাঝে এসেছি, যাঁরা সুনিশ্চিত করেন যে দেশের প্রত্যেক কোম্পানি যেন দেশেরআইন মেনে কাজ করে। তাঁদের হিসাবের খাতা যেন স্বচ্ছ থাকে। আপনারা যেভাবে নিজেদেরদায়িত্ব পালন করেন, তা দিয়েই এটা নির্ধারিত হয় যে দেশের কর্পোরেট সংস্কৃতি কেমনহবে! 

আপনাদের প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য হ’ল - ‘সত্যম বদ্‌,ধর্মং চর্‌’ অর্থাৎ ‘সত্য বলুন আর নিয়ম-কানুন পালন করুন’। আপনাদের দেওয়া ঠিক কিংবাভুল পরামর্শ দেশে কর্পোরেট প্রশাসনকে প্রভাবিত করে। 

বন্ধুগণ, কখনও কখনও এরকম হয় যে, এক রকম শিক্ষাদেওয়া হয় কিন্তু যাঁরা গ্রহণ করেন, তাঁদের আচরণ ভিন্ন ভিন্ন হয়। যেমন – যুধিষ্ঠিরযে শিক্ষা পেয়েছিলেন, দুর্যোধনও ঐ একই শিক্ষা পেয়েছিলেন। কিন্তু ভবিষ্যৎ জীবনেউভয়ের ক্রিয়াকলাপ ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। 

মহাভারতে দুর্যোধন বলেছেন, 

আপনি বলছেন, সত্যম বদ্‌, ধর্মং চর্‌’ কিন্তু 

‘জানামি ধর্মং ন চ মেঁ প্রবৃত্তিঃ। 

জানামি ধর্মং ন চ মেঁ নিবৃত্তিঃ।। 

অর্থাৎ - এরকম নয় যে আমি ধর্ম, অধর্ম সম্পর্কেজানি না কিন্তু ধর্মের পথে চলার প্রবৃত্তি আমি গড়ে তুলতে পারিনি। অধর্মের পথে আমিনিবৃত্ত হতে পারিনি’। 

তেমনই আপনাদের প্রতিষ্ঠানও ‘সত্যম বদ্‌, ধর্মং চর্‌’-এরশিক্ষা দিয়ে ছাত্রদের ভবিষ্যতে সঠিক লক্ষ্যে চলার পথ দেখান। দেশে সততা এবংস্বচ্ছতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাদের প্রতিষ্ঠানের অত্যন্তগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বন্ধুগণ, আচার্য চাণক্য বলেছিলেন, 

‘একেন শুষ্ক বৃক্ষেণ দহ্যমাননে বহিমনা। 

দহ্যতে নদ্বনং সর্বং কুপুত্রেণ কুলং যথা।। 

অর্থাৎ, একটি শুষ্ক কাঠে যদি আগুন লাগে, তা হলেগোটা অরণ্য জ্বলে যায়, তেমনই পরিবারের একজন সদস্যও যদি ভুল কাজ করেন, তা হলে গোটাপরিবারের মান-মর্যাদা, ইজ্জত ও প্রতিষ্ঠা ধুলোয় মিলিয়ে যায়। 

বন্ধুগণ, একথা কোনও সংস্থার জন্য যেমন প্রযোজ্য,তেমনই দেশের জন্যও ১০০ শতাংশ প্রযোজ্য। আমাদের দেশেও হাতে গোনা কিছু মানুষ আছেন,যারা দেশের মান-সম্মান এবং আমাদের সৎ সামাজিক মর্যাদাকে দুর্বল করে দেওয়ার কাজকরেন। এদেরকে আমাদের ব্যবস্থা এবং প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য বর্তমানসরকার প্রথম দিন থেকেই স্বচ্ছতা অভিযান শুরু করেছে। আর এই স্বচ্ছতা অভিযান সূচনাপ্রক্রিয়ায় সরকার গঠনের পরপরই আমরা স্পেশাল ইনভেসটিগেশন টিম’কে একাজের দায়িত্বদিই। দেশের সর্বোচ্চ আদালত কয়েক বছর আগে থেকেই এই পরামর্শ দিয়েছিল। আমরা সরকারগঠনের পর মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে এই কাজ করেছি। 

বিদেশে জমা কালো টাকা উদ্ধারের জন্য কঠোর ব্ল্যাকমানি অ্যাক্ট প্রণয়ন করা হয়েছে। বেশ কিছু নতুন দেশের সঙ্গে কর চুক্তির মাধ্যমেপুরনো কর চুক্তিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাদের সঙ্গে বসে নতুন পদ্ধতি খুঁজে বের করাহয়েছে। ‘ইনসলভেন্সি’ এবং ‘ব্যাঙ্করাপ্টসি কোড’ প্রণয়ন করা হয়েছে। ২৮ বছর ধরেস্থগিত বেনামী সম্পত্তি আইন চালু করা হয়েছে। অনেক বছর ধরে ঝুলে থাকা জিএসটি, আমিযাকে ‘গুড অ্যান্ড সিম্পল ট্যাক্স’ বলি, সর্বসম্মতিক্রমে তা চালু করা হয়েছে। তারপরএই সরকার বিমুদ্রাকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাহস দেখিয়েছে। 

ভাই ও বোনেরা, এই সরকার দেশে প্রাতিষ্ঠানিক সততাকেশক্তিশালী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের কঠিন পরিশ্রমের ফলে আজ দেশেঅর্থ ব্যবস্থায় নগদ লেনদেন কমেছে। বিমুদ্রাকরণের পর ক্যাশ টু জিডিপি রেশিও ৯শতাংশে পৌঁছে গেছে। 

ভবিষ্যতে ০৯ নভেম্বর দিনটিকে ঐতিহাসিকদুর্নীতিমুক্তি অভিযানের সূচনা দিবস হিসাবে পালন করা হবে। গত বছর ০৮ নভেম্বর এইক্যাশ টু জিডিপি রেশিও ১২ শতাংশ ছিল, যা আজ ৯ শতাংশে পৌঁছেছে। দেশের অর্থব্যবস্থায় নতুন সততার যুগ শুরু না হলে কি এটা সম্ভব হ’ত? আর আপনাদের থেকে বেশিকারা জানেন যে, দেশে কিভাবে কালো টাকার লেনদেন হ’ত! এখন তা করতে গেলে যে কাউকেই ৫০বার ভাবতে হবে। আমার থেকে অনেক ভালো করে এটা আপনারা জানেন। 



বন্ধুগণ, মহাভারতে একটী চরিত্র ছিল – শল্য। তাঁরনাম কি আপনারা শুনেছেন? তিনি এমনিতে মহাবীর কর্ণের সারথী ছিলেন। অর্জুনের সারথীযেমন ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ, তেমনই কর্ণের সারথী ছিলেন শল্য। কিন্তু কৃষ্ণ যেমনঅর্জুন’কে যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। শল্যের চরিত্র ছিল তার বিপরীত। তিনিকর্ণকে বলতেন, অমুকের তুলনায় আপনার রথের ঘোড়া দুর্বল, তমুকের সঙ্গে যুদ্ধ করে কোনওলাভ নেই, ইত্যাদি। আমার মতে, এই শল্য কোনও ব্যক্তি নয়, একটি প্রতীক। আজকের যুগেওএমন মানুষেরা আছেন, যাঁরা প্রতিনিয়ত আপনাকে নিরুৎসাহিত করবেন, আরে কেন করবেন,কিচ্ছু হবে না! 

এই যেমন সম্প্রতি ডোকলাম সমস্যা হ’ল। এ ধরনেরমানুষেরা এক্ষেত্রেও হতাশার কথা বললেন। সরকার কিছুই করতে পারবে না, ইত্যাদি। অনেকমানুষ আছেন, যাঁরা হতাশা না ছড়ালে রাতে ঘুমাতে পারেন না। বছরের প্রথম তিন মাসেআর্থিক বৃদ্ধি কম হওয়ায় তাঁরা সমালোচনার ইন্ধন পেয়ে গেছেন। এই মানুষদের চিহ্নিতকরতে হবে। যে কোনও পরিসংখ্যান তাঁদের অনুকূল হলে তাঁরা সেই প্রতিষ্ঠানকেভালোবাসেন, সেই প্রক্রিয়াকেও পছন্দ করেন। কিন্তু যখনই এই পরিসংখ্যান তাঁদেরকল্পনার প্রতিকূল হয়, তখন তাঁরা বলতে শুরু করেন যে, এই প্রতিষ্ঠান ভালো নয়, এইপ্রক্রিয়া ঠিক নয়, এই নেতৃত্ব অপদার্থ – এরকমই সব অভিযোগ তোলেন। যে কোনও সিদ্ধান্তনেওয়ার আগে আমাদের চারপাশে থাকা এই মানুষদের আগে চিনে নিতে হবে। এই শল্যবৃত্তিকেআমরা যতক্ষণ চিহ্নিত করতে না পারব, আমরা যে সত্যের পথ খুঁজছি ‘সত্যম বদ্‌’, তা সফলহবে না। 

বন্ধুগণ, আপনাদের মনে হচ্ছে, এই প্রথমবার দেশেজিডিপি’র বৃদ্ধি কোনও তিন মাসে ৫.৭ শতাংশে পৌঁছেছে। এটা কি দেশে প্রথমবার হ’ল?বিগত সরকারের শেষ ছয় বছরে আটবার এরকম পরিস্থিতি এসেছে, যখন তিন মাসের বৃদ্ধি ০.২শতাংশ, ১.৫ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। এই পতন অর্থ ব্যবস্থার জন্য কতটা মারাত্মক, তাবোঝার জন্য সেই কালখন্ডের কথা ভাবতে হবে। কারণ, সেই বছরগুলিতে ভারত ভয়ানকমুদ্রাস্ফীতি, হায়ার কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিটস্‌ এবং হায়ার ফিসকাল ডেফিসিটস্‌-এরসম্মুখীন হয়েছিল। 

বন্ধুগণ, ২০১৪ সালের আগের দু’বছর অর্থাৎ ২০১২-১৩এবং ২০১৩-১৪’র দিকে যদি তাকান, তা হলে গড় বৃদ্ধি ছিল ৬ শতাংশের কাছাকাছি। এখন কেউবলতে পারেন যে, আপনারা এই দু’বছরই কেন ধরলেন। কারণ, শল্যবৃত্তি এমনই ছিদ্রান্বেষী। 

এই দু’বছরকে আমি এজন্য নিয়েছি কারণ, বর্তমানসরকারের জিডিপি ডেটা নির্ণয়ের যে পদ্ধতি, বিগত সরকারের শেষ দু’বছরে একই পদ্ধতিঅনুসরণ করা হয়েছিল। সেজন্য প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এর তুলনা করা সরল ওস্বাভাবিক। যখন সেন্ট্রাল স্ট্যাটিস্টিক্স অফিস বর্তমান সরকারের কার্যকালেজিডিপি’তে ৭.৪ শতাংশ বৃদ্ধির তথ্য প্রকাশ করেছিল, তখন এই মানুষরাই তাকে খারিজ করেদিয়েছিল। তাঁরা বলছিলেন, বাস্তবে তা এরকম মনে হচ্ছে না। কিন্তু সেই শল্যরাই তখন যেপ্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়াকে পছন্দ করেননি, ৫.৬ শতাংশ হতে তাঁরা সেই প্রতিষ্ঠান ওপদ্ধতির জয়জয়কার শুরু করে দিলেন। 

বন্ধুগণ, বিগত দুই কোয়ার্টারে ঐ প্রতিষ্ঠানই একইপদ্ধতিতে বিশ্লেষণ করে বৃদ্ধির হার ৬.১ শতাংশ এবং ৫.৭ শতাংশ ঘোষণা করলে তাঁদের মনেধরে, খুব ভালো লাগে। 

বন্ধুগণ, আমি অর্থনীতিবিদ নই, কখনও অর্থনীতিবিদহওয়ার দাবিও করিনি। কিন্তু আজ যখন অর্থনীতি নিয়ে এত আলোচনা হচ্ছে, আমি আপনাদেরফ্ল্যাশ ব্যাকে নিয়ে যেতে চাই। একটা সময়ে আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থার প্রেক্ষিতেভারতকে একটি নতুন গ্রুপের সদস্য করা হয়েছিল। আপনারা হয়তো ভাবছেন, আমি জি-৭, জি-৮,জি-২০ এরকম কোনও গ্রুপের কথা বলছি। না, মশাই। সেই গ্রুপের নাম ছিল - ফ্রেজাইল-৫। 

এটি এমনই একটি বিপজ্জনক গ্রুপ ছিল, যে গ্রুপেরঅন্তর্গত দেশগুলি নিজস্ব অর্থ ব্যবস্থায় সঙ্কট তো ছিলই, কিন্তু তাদের এই সঙ্কট এতমারাত্মক ছিল যে, বিশ্ববাসীর মনে হয়েছিল – বিশ্ব অর্থ ব্যবস্থার পুনরুদ্ধারে এইদেশগুলির অর্থ ব্যবস্থা বাধা সৃষ্টি করছে! সেজন্য এই দেশগুলিকে ফ্রেজাইল-৫ গ্রুপেসামিল করা হয়েছিল। 

আমার মতো অর্থনীতিতে অজ্ঞ ব্যক্তিও আজ পর্যন্তবুঝে উঠতে পারেনি যে, সেই সময় দেশে এত বড় বড় অর্থনীতিবিদ থাকা সত্ত্বেও এমনটা কেনহয়েছিল। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, আমাদের দেশে সেই সময় জিডিপি বৃদ্ধির থেকে বেশি মুদ্রাস্ফীতিনিয়ে আলোচনা হ’ত, ফিসকাল ডেফিসিট এবং কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিটের বৃদ্ধি নিয়েবেশি আলোচনা হ’ত। 

টাকার তুলনায় ডলার দাম বৃদ্ধি হলে খবরের কাগজেশিরোনাম লেখা হ’ত, এমনকি সুদের হারে বৃদ্ধি হলেও তা নিয়ে আলোচনা হ’ত। দেশেরউন্নয়নকে বিপরীত লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়ার সকল পরিসংখ্যান নিয়ে আলোচনা করতে তাঁরা পছন্দকরতেন। 

এখন যখন সেই পরিসংখ্যানে উন্নতি হয়েছে, দেশেরউন্নয়ন সঠিক লক্ষ্যে এগোচ্ছে, তখন সেই মানুষেরা চোখে ঠুলি পরেছেন। সেজন্য তাঁরাদেওয়ালে স্পষ্টভাবে লেখা জিনিসগুলিও পড়তে পারছেন না। আমি সেই পরিসংখ্যানগুলিআপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাইছি। আমি সেই স্লাইডগুলি আপনাদের দেখাচ্ছি – 

দেশে মুদ্রাস্ফীতি ১০ শতাংশ থেকে কমে এ বছর ২.৫শতাংশে পৌঁছেছে। কোথায় ১০ আর কোথায় ২.৫! চলতি খাতে ঘাটতি ৪ শতাংশ থেকে কমে ১শতাংশের কাছাকাছি চলে এসেছে। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন তো? 

এই পরিসংখ্যান যখন শুধরাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারনিজের রাজকোষ ঘাটতি বিগত সরকারের ৪.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩.৫ শতাংশে নিয়ে আসতেপেরেছে। 

আজ ভারতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা রেকর্ড পরিমাণবিনিয়োগ করতে এগিয়ে এসেছেন। ভারতের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার ৩০ হাজার কোটি ডলার থেকেবৃদ্ধি পেয়ে ৪০ হাজার কোটি ডলার পার করে গেছে। ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি। 

অর্থ ব্যবস্থায় এই উন্নতি, এই আস্থা, এই সাফল্যহয়ত তাঁদের দৃষ্টিতে মূল্যহীন। সেজন্য আজ দেশকে ভাবতে হবে যে, সেই বিশিষ্ট জনেরাদেশের ভালোর কথা ভাবছেন, নাকি অন্য কারোর ভালোর কথা ভাবছেন? 

বন্ধুগণ, একথা সত্যি যে, গত তিন বছর ধরে ৭.৫ শতাংশগড় বৃদ্ধির পর এ বছর এপ্রিল-জুন এই তিন মাসে জিডিপি’র বিকাশ হ্রাস পেয়েছে। আমরাএকথা অস্বীকার করছি না। কিন্তু একথাও ততটাই সত্যি যে, এই সরকার এই ধারাকেবিপরীতমুখী করার জন্য দৃঢ় সংকল্প নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা ক্ষমতাবান এবংসিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রস্তুত। 

সংশ্লিষ্ট অনেক ব্যক্তি এক্ষেত্রে সহমত যে, দেশেরঅর্থ ব্যবস্থার বুনিয়াদ শক্ত। আমরা যেহেতু সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছি, বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর এই প্রক্রিয়া লাগাতার চলছে, সেজন্যই এইপরিসংখ্যান আমাদের সামনে এসেছে। কিন্তু আমরা দেশে আর্থিক স্থৈর্য রক্ষায় দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ। বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং আর্থিক উন্নয়নে গতি বৃদ্ধির জন্য আমরা প্রয়োজনীয় সবপদক্ষেপ নেব। 

আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, সরকার যেসবপদক্ষেপ নিচ্ছে, তা আগামী বছরগুলিতে দেশের উন্নয়নে জোয়ার আনবে। আজও রিজার্ভব্যাঙ্ক আগামী তিন মাসের জন্য যে সম্ভাবনার পরিসংখ্যান দিয়েছে, সেই পরিসংখ্যানঅনুযায়ী পরবর্তী তিন মাসে আর্থিক বৃদ্ধি ৭.৭ শতাংশে পৌঁছে যাবে। এটা রিজার্ভব্যাঙ্কের আজকের অনুমান। 

বর্তমানে এই কাঠামোগত সংস্কারের কারণে কোন্‌ কোন্‌সেক্টরে অবিলম্বে সাহায্যের প্রয়োজন, সে সম্পর্কে সরকার সজাগ, তা যে এমএসএমই হোকবা রপ্তানি ক্ষেত্র কিংবা আমাদের নন্‌-ফর্মাল ইকনোমির অংশ। আর আজ এই মঞ্চে দাঁড়িয়েআমি একটি কথা বলতে চাই, যা আপনাদের মাধ্যমে দ্রুত পৌঁছবে যে, পরিবর্তনশীল এই অর্থব্যবস্থায় এখন থেকে সততা পুরস্কৃত হবে। সততাকে অত্যন্ত অন্তরঙ্গভাবে রক্ষা করাহবে। 

আমি একথা জানি যে, অনেকেই এখন মূলস্রোতে ফিরেআসছেন। অনেক ব্যবসায়ীদের মনে ভয় রয়েছে যে, এই নতুন লেনদেন দেখে আগেকার কথা চিন্তাকরে সরকার পুরনো রেকর্ড খুলে দেখবে না তো? আমি আরেকবার আশ্বস্ত করতে চাই যে, এরকমকরতে দেওয়া হবে না। কারণ, আগে সরকার, সরকারের নিয়ম, মানুষের আচরণ এরকম ছিল যে,তাঁরা হয়তো এরকম পথ অবলম্বন করতে বাধ্য হয়েছিলেন। সেজন্য যাঁরা মূলস্রোতে ফিরেআসতে চান, তাঁদেরকে আমরা সুযোগ দিতে চাই। তাঁদেরকে সুযোগ না দেওয়াকেও আমি পাপ বলেমনে করি। আর সেজন্য আমাদের সরকারের ইচ্ছে হ’ল – যত মানুষ সততার সঙ্গে মূলস্রোতেফিরে আসতে চাইবেন, তাঁদেরকে স্বাগত জানাব। আপনারা পুরনো ভুল ত্যাগ করে আসুন,চিন্তা করবেন না, পরবর্তী যাত্রায় আমরা আপনাদের সঙ্গে রয়েছি। 

একইভাবে আজ আমি জিএসটি সম্পর্কে বলতে চাই। তিন মাসহয়েছে। তিন মাস পর আজ কি হচ্ছে আর কি হচ্ছে না, সব আমরা দেখছি। প্রতিটি বিষয়েরপুঙ্খানুপুঙ্খ ফিডব্যাক নেওয়া হয়েছে। আর জিএসটি কাউন্সিলের মিটিং-এর জন্য আমিতাঁদেরকে বলেছি যে, তিন বছর হয়ে গেছে এখন ভালোভাবে তার পুনর্মূল্যায়ন করুন। আরযেখানে যেখানে সমস্যা রয়েছে, ব্যবসায়ীরা কি কি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন,প্রযুক্তির প্রতিবন্ধকতা কী, ফর্ম ভরতে কী সমস্যা হচ্ছে – এগুলি নিয়েপুনর্মূল্যায়ন করুন আর সকল রাজনৈতিক দল, কেন্দ্রীয় সরকার ও সকল রাজ্য সরকারেক্ষমতাসীন ও বিরোধী পক্ষের সমস্ত রাজনৈতিক দল সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিন কী কীপরিবর্তন আনতে হবে। আর নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেসব পরিবর্তন আনুন। আমিদেশের ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমরা ‘লকির কে ফকির’ নই। আমরা কখনই দাবিকরি না যে, আমরা সব জানি। কিন্তু আমরা সঠিক লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।যেখানেই বাধা পাই, বিগত তিন মাসের অভিজ্ঞতায় যে সমস্ত প্রতিবন্ধকতা আমরা অনুভবকরেছি, সেগুলিকে মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় যেসব পরিবর্তন আনতে হবে, সংস্কার করতে হবে –তার জন্য সরকার প্রস্তুত। 

বন্ধুগণ, বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনাকরতে গিয়ে আমি কিছু তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। এই তথ্যগুলির মানে কি দাঁড়ায়,তা নির্ণয় করার দায়িত্বও আমি আপনাদেরকে দিচ্ছি, আমার দেশবাসীকে দিচ্ছি। 

বন্ধুগণ, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, যেদিন আপনি নিজেরপ্রথম গাড়ি কিনেছিলেন, আমার মনে হয় না, আপনারা কেউ বাধ্য হয়ে কিনেছিলেন। কিন্তুগাড়ি কেনার আগে আপনারা প্রথমে রান্নাঘরের খরচ, ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার খরচ আর বাড়িরবয়স্কদের ওষুধের খরচও হিসাব করে দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটাই আমাদের সমাজেরমূল ভাবনা। তা সত্ত্বেও দেশে বিগত জুন মাসের পর যাত্রী গাড়ির বিক্রি প্রায় ১২শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তা হলে আপনারা একে কী বলবেন ভাই? 

বন্ধুগণ, এই বৃদ্ধি সংকেত দিচ্ছে যে, মানুষ গাড়িকিনছেন, ফোন কিনছেন, বিমান যাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব সংকেত শহুরে এলাকার চাহিদা বৃদ্ধিকেসূচিত করে। এখন যদি গ্রামীণ চাহিদার সঙ্গে যুক্ত হন, সূচকগুলির দিকে তাকান, তা হলেদেখবেন, বিগত কয়েক মাসে ট্র্যাক্টরের বিক্রিতে ৩৪ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি হয়েছে। 

এফএমসিজি’র ক্ষেত্রেও চাহিদা বৃদ্ধির ঝোঁক এইসেপ্টেম্বরে দেখা গেছে। বন্ধুগণ, এমনটি তখনই হয়, যখন দেশের মানুষের মনে আস্থাবৃদ্ধি পায়, যখন দেশের মানুষ ভাবেন, দেশের অর্থ ব্যবস্থা শক্তিশালী। সম্প্রতিপ্রকাশিত পিএমআই-এর ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডেক্স এক্সপেনশন মোড দেখাচ্ছে যে, ভবিষ্যৎআউটপুট ইন্ডেক্স ৬০-র মাত্রা পার করে গেছে। সম্প্রতি প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ীকয়লা, বিদ্যুৎ, ইস্পাত এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদনে খুব ভালো বৃদ্ধি হয়েছে। 

বন্ধুগণ, ব্যাঙ্কগুলিতে ব্যক্তিগত ঋণদান বৃদ্ধিপেয়েছে। হাউসিং ফিন্যান্স কোম্পানি এবং নন্‌-ব্যাঙ্কিং ফিন্যান্স কোম্পানিগুলিপ্রদত্ত ঋণের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, ক্যাপিটাল মার্কেটে এখন মিউচ্যুয়ালফান্ড এবং বিমা ক্ষেত্রে অধিক বিনিয়োগ হচ্ছে। 

কোম্পানিগুলি আইপিও-গুলির মাধ্যমে এ বছর প্রথম ছয়মাসেই ২৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থের সংস্থান করেছে। গত বছর সারা বছরে এই অঙ্ক২৯ হাজার কোটিতে পৌঁছেছিল। নন্‌-ফিনান্সিয়াল এনটিটি-গুলির মধ্যে কর্পোরেট বন্ড এবংপ্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে মাত্র চার মাসেই ৪৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করাহয়েছে। 

এই সমস্ত পরিসংখ্যান দেশে ফাইনান্সিং-এর ব্রডবেস-কে সূচিত করে। অর্থাৎ ভারতে এখন ফাইনান্সিং শুধু মাত্র ব্যাঙ্ক ঋণ পর্যন্তসীমিত থাকেনি। বর্তমান সরকার সময় এবং ব্যবস্থা উভয়ের মাধ্যমে যথাযথ প্রয়োগেলাগাতার জোর দিয়ে যাচ্ছে। বিগত সরকারের শেষ তিন বছরের কাজের গতি আর বর্তমানসরকারের তিন বছরের কাজের গতিতে যে পার্থক্য রয়েছে, তা আপনারা স্পষ্টভাবে দেখতেপাবেন। 

সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে বিগত সরকারের শেষ তিন বছরে৮০ হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক নির্মিত হয়েছিল। বর্তমান সরকার বিগত তিন বছরে ১লক্ষ ২০ হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ করেছে। অর্থাৎ ৫০ শতাংশেরও বেশিগ্রামীণ সড়ক নির্মিত হয়েছে। বিগত সরকার শেষ তিন বছরে ১৫ হাজার কিলোমিটার জাতীয় সড়কনির্মাণ করেছে। বর্তমান সরকার তিন বছরে ৩৪ হাজার কিলোমিটার থেকেও বেশি জাতীয় সড়কনির্মাণ করেছে। যদি এক্ষেত্রে বিনিয়োগের কথা ওঠে, তা হলে বিগত সরকার শেষ তিন বছরেজমি অধিগ্রহণ ও সড়ক নির্মাণ বাবদ ৯৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে, বর্তমান সরকার তিনবছরে ১ লক্ষ ৮৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করেছে। অর্থাৎ ইতিমধ্যেই সরকারদ্বিগুণেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে। আপনারা সকলেই জানেন যে, কতটা প্রশাসনিক এবং আর্থিকউদ্যোগ নিতে হয়। এই পরিসংখ্যান দেখায় যে, কিভাবে সরকার নীতির অচলাবস্থা থেকে উঠেএসে নীতি-নির্ধারক এবং নীতি রূপায়ণকারীর ভূমিকা পালন করে দেখিয়েছে। 

এভাবে রেলের জন্য আগের সরকার শেষ তিন বছরে প্রায়১১০০ কিলোমিটার নতুন বিকল্প রেলপথ বসিয়েছে, কিন্তু বর্তমান সরকার বিগত তিন বছরেনতুন পরিবর্ত রেলপথ বসিয়েছে ২৬০০ কিলোমিটার। অর্থাৎ, আমরা দ্বিগুণ গতিতে সমান্তরালরেলপথ বসাতে সক্ষম হয়েছি।



বন্ধুগণ, আগের সরকার শেষ তিন বছরে প্রায় ১ লক্ষ ৪৯হাজার কোটি টাকা মূলধনী ব্যয় করেছে, কিন্তু বর্তমান সরকার বিগত তিন বছরে মূলধনীব্যয় করেছে প্রায় ২ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ, এখানেও ৭৫ শতাংশের বেশি। 

পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে সৌর শক্তি,বায়ুশক্তি উৎপাদনে বিগত সরকার শেষ তিন বছরে প্রায় ১২ হাজার মেগাওয়াটপুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। বর্তমান সরকার বিগত তিন বছরে২২ হাজার মেগাওয়াটেরও বেশি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনের নতুন ক্ষমতা গ্রিডপাওয়ারের সঙ্গে যুক্ত করতে পেরেছে। অর্থাৎ, এক্ষেত্রেও সরকারের সাফল্য প্রায়দ্বিগুণ। বিগত সরকার শেষ তিন বছরে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে ৪ হাজার কোটিটাকা বিনিয়োগ করেছে। বর্তমান সরকার গত তিন বছরে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রেপরিকাঠামো উন্নয়নে ১০ হাজার ৬০০ কোটি টাকারও বেশি খরচ করেছে। 

বিগত সরকারের তুলনায় জাহাজ শিল্পে উন্নয়নেরক্ষেত্রে কার্গো হ্যান্ডলিং-এর বৃদ্ধির হার ঋণাত্মক মাত্রা থেকে টেনে তুলে বর্তমানসরকার তিন বছরে ১১ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি করেছে। 

বন্ধুগণ, দেশের রেল, সড়ক ও বিদ্যুতের মতোপ্রাকৃতিক পরিকাঠামোর পাশাপাশি সরকার সামাজিক পরিকাঠামো শক্তিশালী করার ক্ষেত্রেওগুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা সুলভ গৃহ নির্মাণ ক্ষেত্রে এমন সব নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি,অর্থনৈতিক সংস্কার এনেছি, যা এক্ষেত্রে অভূতপূর্ব। 

বন্ধুগণ, বিগত সরকার তার প্রথম তিন বছরে মাত্র ১৫হাজার কোটি টাকার প্রকল্প মঞ্জুর করেছিল। বর্তমান সরকার তার প্রথম তিন বছরে ১ লক্ষ৫৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প মঞ্জুর করেছে। আর এই প্রকল্পগুলি আমাদের গরিব এবংমধ্যবিত্তদের মাথার ওপর ছাদ সুনিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি পূরণে সাহায্য করেছে। 

বন্ধুগণ, দেশে শুরু হওয়া চতুর্থ দফার উন্নয়নযজ্ঞেঅধিক বিনিময়ের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সেজন্য ভারত সরকার অধিক বিদেশি পুঁজি বিনিয়োগেরপথ প্রশস্ত করার ক্ষেত্রে জোর দিয়েছে। 

আমার মনে হয় আপনাদের অনেকেরই হয়তো মনে আছে, যখনদেশে বিমা ক্ষেত্রে সংস্কারের প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল, তখন খবরের কাগজে শিরোনামহ’ত যে, এমনটি হলে অনেক বড় অর্থনৈতিক সংস্কার হবে। কিন্তু বিগত সরকার এই সংস্কারেরকাজ করে যায়নি। আমাদের জন্য রেখে গেছে। 

আমরা সেই সংস্কারে হাত দিয়েছি। আগে যে মানসিকতাথেকে সংস্কারের কথা ভাবা হচ্ছিল, আমরা তাকেও উন্নত করেছি। কিন্তু যে শল্যবৃত্তিরসমস্যার কথা বলছিলাম, আমাদের দেশের শল্যরা এই সংস্কার চোখে দেখতে পাননি। তাঁদেরপছন্দের সরকার এই সংস্কার করলে তাঁরা কিন্তু চুপ থাকতেন না, প্রশংসায় ছয়লাপ করেদিতেন। কিন্তু আপনাদের আমি বলছি, বিগত তিন বছরে ২১টি ক্ষেত্রে আমরা এরকম ৮৭টিছোট-বড় সংস্কারের কাজ সাফল্যের সঙ্গে করেছি। নির্মাণ ক্ষেত্র, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র,আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্র, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্র ইত্যাদি অনেক ক্ষেত্রেবিনিয়োগের নিয়মে অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। 

দেশে আর্থিক উদারীকরণের পর থেকে এখন পর্যন্ত ভারতেযে পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছ, তার সঙ্গে বিগত তিন বছরের তুলনা করলে বুঝতে পারবেনযে, আমাদের সরকার যে সংস্কার শুরু করেছে তার কেমন সুফল পাওয়া যাচ্ছে। আমি আপনাদেরএই পরিসংখ্যানগুলি বলছি কারণ আপনারা এই পরিসংখ্যান ক্ষেত্রেরই মানুষ, এইপরিসংখ্যানেই আপনারা ডুবে থাকেন। কিন্তু আমার দেওয়া তথ্য শুনলে আপনার চমকে যাবেন।১৯৯২ সাল থেকে দেশে আর্থিক উদারীকরণ শুরু হয়েছে। সেই তখন থেকে ২০১৭ পর্যন্তনির্মাণ ক্ষেত্রে যে পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে, তার ৭৫ শতাংশ শুধু গত তিন বছরেহয়েছে। বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে মোট বিদেশি বিনিয়োগের ৬৯ শতাংশ বিগত তিন বছরে হয়েছে,তেমনই খনি ক্ষেত্রে ৫৬ শতাংশ, কম্প্যুটার সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার ক্ষেত্রে ৫৩শতাংশ, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রে ৫২ শতাংশ, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে৪৯ শতাংশ এবং বস্ত্র ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশ বিনিয়োগ বিগত তিন বছরে হয়েছে। 

আরেকটি তথ্য দিলে চমকে যাবেন। ১৯৮০ থেকে আমাদেরদেশে অটোমোবাইল শিল্পের ক্ষেত্রে উদারীকরণে আলোচনা চলছে। আর ১৯৯২ সালের আগেইঅটোমোবাইল ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগ শুরু হয়েছে। কিন্তু আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে,এক্ষেত্রেও মোট বিদেশি বিনিয়োগের ৪৪ শতাংশ বিগত তিন বছরে হয়েছে। 

ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির এই হারপ্রমাণ করে যে, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভারতে বর্তমান অর্থ ব্যবস্থাকে কতটা ভরসা করেন।আমরা সেই ভরসার পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। আমাদের ইতিবাচক নীতির কারণে এই আস্থার পরিবেশগড়ে উঠেছে। আমাদের নীতি এবং রীতি এবং তারচেয়ে বেশি আমাদের নিয়ম-কানুন এই আস্থারপরিবেশ গড়ে তোলার অনুকূল। 

ফলস্বরূপ যে প্রভূত পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ হচ্ছে,তা দেশে উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করতে এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণভূমিকা পালন করছে। এত বেশি করে সড়ক নির্মাণ ও রেল সম্প্রসারণ ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধিযে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রকে প্রশস্ত করবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এখনওশল্যবৃত্তি চালু আছে। 

বন্ধুগণ, সরকার আপনাদের পরিশ্রম করে রোজগার করাপ্রতিটি পয়সার মূল্য বোঝে। আর আমি দেশবাসীকে আশ্তস্ত করতে চাই যে, বর্তমান সরকারনীতি ও প্রকল্পগুলিকে এমনভাবেই নির্ধারণ করছে, যাতে গরিব ও মধ্যবিত্তের জীবন সহজহয়। তাঁদের কষ্টোপার্জিত অর্থ সাশ্রয় হয়। 

বন্ধুগণ, বর্তমান সরকারের ধারাবাহিক প্রচেষ্টারফলে এখন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের অর্থ কিভাবে সাশ্রয় হচ্ছে, তার একটিউদাহরণ আমি দেব – বিগত সরকারের সময় একটি এলইডি বাল্বের দাম ছিল ৩৫০ টাকা। বর্তমানসরকার ‘উজালা যোজনা’ অভিযান শুরু করার পর এখন তার দাম কমে হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা।আপনারা বলুন তো মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তের খরচ কমল কি না? এই বাল্বের দাম তখন ৩৫০টাকা কেন ছিল, এটা গবেষণার বিষয়! 

বন্ধুগণ, ইতিমধ্যেই দেশে ২৬ কোটিরও বেশি এলইডি বাল্‌ববিতরণ করা হয়েছে। প্রতিটি বাল্বে গড়ে আড়াইশো টাকা সাশ্রয়ের হিসাব করলে সারা দেশেমধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের প্রায় ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এটা কম কথানয়। 

শুধু তাই নয়, প্রত্যেক বাড়িতে এই এলইডি বাল্‌বলাগানোর ফলে বিদ্যুতের খরচও কমে গেছে। ফলে, এক বছরে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তপরিবারের আনুমানিক ১৪ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। আগে আমি বলেছিলাম, বাল্‌বকেনার ক্ষেত্রে ৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি সাশ্রয় হয়েছে। তারমানে, সবমিলিয়ে ২০হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। দেশের গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারে এই পরিমাণ টাকাসাশ্রয় পরিবারগুলিকে কতটা শক্তি যুগিয়েছে! 

সরকার চেষ্টা চালিয়ে দেশের স্থানীয় প্রশাসনগুলিকেউদ্বুদ্ধ করে এলইডি বাল্ব লাগিয়ে রাস্তার আলোতেও বিদ্যুতের সাশ্রয় করেছে। ফলে,দেশের অনেক শহরের পৌরসভা, নগরপালিকা এবং মহানগর পালিকাগুলির আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে।আমরা যদি কেবল টায়ার-২ শহরগুলিকে দেখি, তা হলে তাদের প্রত্যেকের বছরে প্রায় ১০থেকে ১৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। এই উদ্বৃত্ত টাকা তারা নগরবাসীর পরিষেবা উন্নয়নেকাজে লাগাতে পারছে।

আমাদের দেশে কখনও মধ্যবিত্তদের গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রেসুদের হার কমানোর কথা ভাবা হয়নি। এই প্রথম কেন্দ্রীয় সরকার মধ্যবিত্তদের নিজস্বগৃহ নির্মাণে সুদের হার হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এভাবে মধ্যবিত্তের আর্থিকবোঝা কমাতে নিম্ন মধ্যবিত্তকে উন্নতির সুযোগ করে দিতে আর দরিদ্রদের ক্ষমতায়নেরজন্য সরকার লাগাতার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। নীতি প্রণয়ন এবং নির্দিষ্টসময়ের মধ্যে সেগুলির বাস্তবায়ন – এই লক্ষ্য নিয়ে আমরা প্রতিটি কাজ এগিয়ে নিয়েযাচ্ছি। 

আমি রাজনীতির স্বভাব খুব ভালোভাবে জানি। নির্বাচনএলে মিষ্টি বিতরণ না করে আমরা দেশকে শক্তিশালী করার নানা পথ খুঁজে বের করছি। শুধুক্ষমতায় থাকা আর ভোট পাওয়া নিয়ে চিন্তা করি না। জানি আমরা যে পথ বেছে নিয়েছি, তাঅত্যন্ত কঠিন। আমরা জনগণের ক্ষমতায়নের পথ বেছে নিয়েছি, আর সে পথেই এগিয়ে চলেছি। 

আর সেজন্যই আমাদের সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়।মিষ্টি বিতরণ করলে জয়জয়কার করার লোকের অভাব থাকে না। কিন্তু যাঁরা সেসব না করে কাজকরতে চান, তাঁদের নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়। দালালদের অনেক কষ্ট হয়। আমরা যখন শুরুতেপ্রত্যক্ষ নগদ হস্তান্তরের মাধ্যমে টাকা পাঠাতাম, তখন অনেক ভুতুড়ে প্রাপকের লাভহ’ত। এখন সেই ভুতের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। 

তা হলে তারা মোদীকে কেন পছন্দ করবে মশাই? আরসেজন্য সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়নেই আমরা জোর দিচ্ছি। আমি দেশের মানুষকে বিনীতভাবেএকটি কথা বলতে চাই যে, আজকের লাভের জন্য আমি দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা করতে পারিনা। 

বন্ধুগণ, বর্তমান সরকার প্রাইভেট সেক্টর ও পাবলিকসেক্টরের পাশাপাশি পার্সোনাল সেক্টরকেও প্রাধান্য দিচ্ছে। আগে আমাদের দেশে শুধুপ্রাইভেট ও পাবলিক সেক্টর নিয়ে কথা হ’ত। কিন্তু এর বাইরে যে একটা বিশাল পার্সোনালসেক্টর রয়েছে, তা নিয়ে কারও মাথাব্যথা ছিল না। পার্সোনাল সেক্টর সাধারণ মানুষেরআশা-আকাঙ্খা সম্বন্ধে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আর সেজন্য বর্তমান সরকার নবীন প্রজন্মেরসেই মানুষদের দিকে যথাসম্ভব সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, যাঁরা নিজের চেষ্টায়কিছু করতে দেখাতে চান। 

ইতিমধ্যেই মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে কোনও রকমগ্যারান্টি ছাড়া ৯ কোটিরও বেশি নবীন প্রজন্মের মানুষদের ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটিটাকারও বেশি ঋণ দেওয়া হয়েছে। এই ৯ কোটির মধ্যে ২ কোটি ৬৩ লক্ষ যুবক প্রথমবারমুদ্রা যোজনার মাধ্যমে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেয়েছেন। 

বর্তমান সরকার দক্ষ ভারত মিশন, স্ট্যান্ড আপইন্ডিয়া, স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া’র মতো প্রকল্পগুলির মাধ্যমে স্বরোজগারকে উৎসাহ প্রদানকরছে। যথাসম্ভব বেশি মানুষকে প্রথাবদ্ধ ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত করতেকোম্পানিগুলিকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। 

বন্ধুগণ, ফর্মাল ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের কিছুসূচককে যদি তুলে ধরি, মার্চ ২০১৪ সালে মোট ৩ কোটি ২৬ লক্ষ কর্মচারী সক্রিয়ভাবেপ্রতি মাসে কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংস্থায় টাকা জমা করতেন। গত তিন বছরে এই সংখ্যাবৃদ্ধি পেয়ে ৪ কোটি ৮০ লক্ষে পৌঁছে গেছে। যাঁরা শল্যবৃত্তি করেন, তাঁরা এটাও ভুলেযান যে, কর্মসংস্থান না হলে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া কোনও মতেই সম্ভব ছিল না। 

বন্ধুগণ, আমরা গরিব, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তেরজীবনে উৎকর্ষগত পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে সকল প্রকল্পের খসড়া রচনা করেছি, সেগুলিরবাস্তবায়নে আমরা সুফল পাচ্ছি। 

জন ধন যোজনার মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ৩০ কোটিরও বেশিগরিব মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে ৩ কোটিরওবেশি মহিলাকে নিঃশুল্ক রান্নার গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রায় ১৫ কোটি দরিদ্রমানুষকে সরকার বিমা প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসতে পেরেছে। আর সম্প্রতি দেশের প্রত্যেকগরিবকে নিঃশুল্ক বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের উদ্দেশ্যে ‘সৌভাগ্য যোজনা’ চালু করাহয়েছে। 

বর্তমান সরকারের প্রতিটি প্রকল্প গরিব মানুষেরক্ষমতায়নে সুফলদায়ক। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকারক হ’ল দুর্নীতি এবং কালো টাকা।দুর্নীতি ও কালো টাকা নিরোধে আপনাদের প্রতিষ্ঠান এবং দেশের কোম্পানি সেক্রেটারিদেরগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। 

বিমুদ্রাকরণের পর যে ৩ লক্ষ সন্দেহভাজন কোম্পানিসম্পর্কে আমরা জানতে পেরেছি, যাদের মাধ্যমে কালো টাকা লেনদেনের আশঙ্কা রয়েছে,ইতিমধ্যেই সেগুলির মধ্যে ২ লক্ষ ১০ হাজার কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে।আমাদের দেশে একটি কোম্পানি বন্ধ করলে অনেক মানুষ কালো পতাকা হাতে নিয়ে মিছিল করতেবের হন। কিন্তু দেখুন ২ লক্ষ ১০ হাজার কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন বাতিল হ’ল কিন্তুএকজনও মোদীর কুশপুত্তলিকা দাহ করল না। তার মানে কত মিথ্যার বেসাতি চালু ছিল, তাআপনারা কল্পনা করতে পারেন! 

আশা করি, এই ভুয়ো কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে সাফাইঅভিযানের পর চালু কোম্পানিগুলির ডাইরেক্টরদের মধ্যেও সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।ফলস্বরূপ, সেই কোম্পানিগুলির পরিচালন ব্যবস্থাতেও স্বচ্ছতা আসবে। আর এক্ষেত্রেআপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। 

বন্ধুগণ, দেশের ইতিহাসে এই কালখন্ড অনেক বড়পরিবর্তনের কালখন্ড। দেশ এখন সততা এবং স্বচ্ছ প্রশাসনের গুরুত্ব বুঝতে পাচ্ছে।কর্পোরেট গর্ভন্যান্স ফ্রেমওয়ার্ক নির্ধারণের সময় আইসিএসআই সুপারিশগুলিও অনেকইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে। এখন সময়ের চাহিদা হ’ল আপনারা একটি নতুন ব্যবসাসংস্কৃতি গড়ে তুলতেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন। 

জিএসটি চালু হওয়ার পর নতুনভাবে ১৯ লক্ষ নাগরিকঅপ্রত্যক্ষ কর-এর আওতায় এসেছেন। ছোট ব্যবসায়ী হন কিংবা বড়, সকলেই যেন জিএসটিঅনুযায়ী সৎ ব্যবস্থার অংশীদার হন, সেজন্য ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে প্রেরণা যোগানোরকাজ আপনাদেরকেই করতে হবে। 

আপনাদের প্রতিষ্ঠান থেকে লক্ষ লক্ষ ছাত্র পাশ করেবেরিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা সকলেই কোম্পানি সেক্রেটারি হননি। অনেকেই মাঝখানে ঝুলেআছেন। তাঁদের জন্য কাজ খুঁজতে হবে না! আমি তাঁদের জন্য কাজ নিয়ে এসেছি। আপনাদেরপ্রতিষ্ঠানটি এই দায়িত্ব হাতে নিতে পারবে? সেই কাজটি হ’ল – দেশে ন্যূনতম ১ লক্ষযুবক-যুবতীকে জিএসটি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া, যাতে এক সপ্তাহ বা ১০ দিনেরপ্রশিক্ষণের পর তাঁরা নিজেদের এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সাহায্য করতে পারেন।তাঁদেরকে জিএসটি নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করার কাজ করতে পারেন, রিটার্ন ফাইল করারক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারেন। তাঁদের জন্য একটা নতুন রোজগারের ক্ষেত্র খুলে যাবে।আর অতি সহজেই নিজের এলাকায় বসে তাঁরা রোজগার করতে পারবেন। যদি সুসংবদ্ধভাবে আমরাএই কাজ করি, তা হলে দেখবেন ঐ ১ লক্ষ যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানের পর আরও অনেককেপ্রশিক্ষণ দিতে হতে পারে। 

বন্ধুগণ, আগামী ২০২২ সালে দেশ স্বাধীনতার ৭৫ বছরপূর্তি পালন করবে। আর আমার স্বপ্ন যে মহাপুরুষেরা এই দেশকে স্বাধীন করার জন্যনিজের যৌবন কারান্তরালে কাটিয়েছেন, জেলেই মৃত্যুবরণ করেছেন, সারা জীবন লড়াইকরেছেন, ফাঁসিকাঠে প্রাণ দিয়েছেন, তাঁরা যেমন ভারতের স্বপ্ন দেখেছেন, আমরা ২০২২সালের মধ্যে সেরকম ভারত গড়ে তুলব। আমার স্বপ্ন প্রত্যেক ভারতীয়র মনে সঞ্চারিত করতেচাই। ১৯৪২ সালে ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের সময় দেশবাসীর মনে স্বাধীনতার স্পৃহা যেপ্রবল জোয়ার এনেছিল, সেটাই পরবর্তী পাঁচ বছরে ব্রিটিশকে ভারত ছাড়তে বাধ্য করে।আমরাও তেমনই নতুন ভারতের স্বপ্ন নিয়ে পাঁচ বছর কাজ করলে ২০২২ সালে নিশ্চিতভাবেইসাফল্য পাব। 

আপনাদের প্রতিষ্ঠান কি শপথ নিতে পারে, আমি চাই নাযে আজই আপনারা ‘হ্যাঁ’ করে দিন; কিন্তু আপনারা ভাবুন, আপনারা কি ২০২২ সালের জন্যকিছু সংকল্প গ্রহণ করতে পারেন? আপনারা কি ২০২২ এর মধ্যে দেশে একটি উচ্চমাত্রায় করমান্যতাকারী সমাজ গড়ে তোলার চেষ্টা করবেন? 

আপনারা কি সুনিশ্চিত করতে পারবেন যে, ২০২২ সালেরমধ্যে দেশে একটিও ভুয়ো কোম্পানি থাকবে না? আপনারা কি সুনিশ্চিত করতে পারবেন যে,২০২২ সালের মধ্যে দেশের প্রত্যেক কোম্পানি সততার সঙ্গে যথাযথ কর প্রদান করবে?হাততালির শব্দ কমে গেছে, আমি জানি, এটা কঠিন কাজ! আপনারা কি দেশ ও সমাজের প্রতিনিজেদের কর্তব্যের পরিধি বাড়িয়ে ২০২২ সালের মধ্যে দেশে একটি সৎ ব্যবসা-সংস্কৃতিস্থাপন করতে পারবেন? 

আপনারা ৪৯ বছরের যাত্রা সম্পূর্ণ করে আজ সুবর্ণজয়ন্তীবর্ষে পদার্পণ করেছেন। আশা করি, আইসিএসআই আমার অনুরোধ রক্ষা করে এইলক্ষ্যপ্রাপ্তির জন্য আলাদাভাবে কিছু সিদ্ধান্ত নেবে এবং তা নিজেদেরকর্মসংস্কৃতিতেও সামিল করবে। 

আমি আপনাদের এই সুবর্ণ জয়ন্তীবর্ষের জন্য অনেকঅনেক শুভেচ্ছা জানাই। আর দেশবাসীকেও নিশ্চিত করতে চাই যে, বেশ কিছুদিন ধরে আর্থিকবিষয়ে আমাদের যে সমালোচনা হচ্ছে, সেগুলিকে আমরা খারাপভাবে নিই নি। একটি সংবেদনশীলসরকার হিসাবে আমরা কঠোর থেকে কঠোরতম সমালোচনাকেও হৃদয় দিয়ে গ্রহণ করি। আরযথাস্থানে সংবেদনশীল পদ্ধতিতে সেই সমালোচনাগুলি নিয়েও আলাপ-আলোচনা এবং চিন্তাভাবনাকরে অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে আজ গোটা বিশ্ব ভারতের অর্থ ব্যবস্থার কাছে যে প্রত্যাশাপোষণ করছে, ১২৫ কোটি ভারতবাসী যে রকম প্রত্যাশা করছেন, সেই ছন্দে, সেই গতিতে, সেই ব্যপ্তিনিয়ে পরিচালনা করব। আমাদের সমালোচকদেরও আমি বিনয়ের সঙ্গে নিশ্চিত করতে চাই।আপনাদের সমালোচনার সব কথাই যে ভুল, তা নয়। কিন্তু দেশে হতাশার পরিবেশ সৃষ্টি করাথেকে দূরে থাকুন। 

যেসব পরিসংখ্যান আজ আমি পেশ করলাম, এগুলি দেশেরঅর্থ ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়ে ওঠার প্রমাণ, সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এবং দেশকেসঠিক লক্ষ্য ও অভূতপূর্ব গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রমাণ। দেশে এবং বিশ্বেরসর্বত্র ভারতের প্রতি যে আস্থা বৃদ্ধি হয়েছে, তা দেখে আমাদের কর্মশক্তিও বৃদ্ধিপেয়েছে। এই কর্মশক্তিকে ছোট করে না দেখে আমরা নতুন ভারত গড়ে তোলার জন্য নতুনউৎসাহ, নতুন বিশ্বাস, নতুন উদ্দীপনা এবং নতুন সংস্কৃতি নিয়ে এগিয়ে চলেছি। আজআপনাদের সুবর্ণ জয়ন্তীবর্ষের সূচনালগ্নে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানিয়ে আপনাদেরমাধ্যমে দেশবাসীকে এই বার্তা দিতে চেয়েছি। আশা করি, আমার এই প্রয়াস সার্থক হবে। 

এই বিশ্বাস নিয়ে আরেকবার অনেক অনেক শুভেচ্ছাজানাই। 

ধন্যবাদ। 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।