PM Narendra Modi inaugurates India’s largest cheese factory in Gujarat
Along with ‘Shwet Kranti’ there is also a ‘Sweet Kranti’ as people are now being trained about honey products: PM
Merely talking about the poor is different from working for the poor, something that the NDA government is always doing: PM
I urge you all to integrate people with e-banking, e-wallets: PM
India wants to progress. Corruption and black money is slowing our progress and adversely affecting the poor. These evils have to end: PM
These games of looting the poor and exploiting the middle classes will now be history: PM

আপনারা হয়তোভাবছেন আমাদের নরেন্দ্র ভাই হিন্দিতে কথা বলছেন কেন? আরে, বনসকন্থার কৃষকরাকেমনভাবে কাজ করেন সেটা তো সমস্ত দেশবাসীরই জানা উচিৎ, তাই না? মরুভূমিতেপ্রাণসঞ্চারের ক্ষমতা রয়েছে এই বনসকন্থার কৃষকদের। উত্তর গুজরাটের কৃষকদের এমনক্ষমতা রয়েছে। পাকিস্তান সীমান্তের এই বনসকন্থা জেলার কৃষকরা কেমন করে জল ছাড়া,বর্ষা ছাড়া মরুভূমির বাসিন্দাদের মতো জীবন কাটিয়ে নিজেদের পরাক্রম ও পরিশ্রমেরমাধ্যমে নিজেদের ভাগ্যে পরিবর্তন এনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা সারা ভারতেরকৃষকদের জানা উচিৎ সকল দেশবাসীরই।

ভাই ও বোনেরা,আমাকে বলা হয়েছে ২৫-২৭ বছর পর দেশের কোনও প্রধানমন্ত্রী এই বনসকন্থা জেলায় পারেখেছেন। ভাই ও বোনেরা, আমি কিন্তু আপনাদের কাছে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আসিনি, এইমাটির ছেলে হিসাবে এসেছি। এই মাটি আমাকে লালন করেছে। আর আজ এখানে বিশেষভাবেশ্রদ্ধেয় গল্লবভাইকে, তাঁর তপস্যাকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। লক্ষ লক্ষ পশু, লক্ষলক্ষ পরিবার আর বনাসকাঁঠার ঊষরভূমির পক্ষ থেকে আমি আজ গল্লবভাইয়ের জন্মবার্ষিকীসহারোহের সূচনা উপলক্ষে তাঁকে শত শত প্রণাম জানাই।

আপনারা কল্পনাকরুন, আজ থেকে ৫০ বছর আগে গল্লবভাইয়ের বয়স যখন ৫০ ছিল, তিনি আটটি ছোট ছোটদুগ্ধমণ্ডলী গড়ে তুলেছিলেন। তাঁকে অনুসরণ করে তারপর থেকে এই দুগ্ধমণ্ডলীর সদস্যরানিজেদের পরিশ্রম ও সহযোগিতার মাধ্যমে, বনাসকাঁঠা তথা আমার উত্তর গুজরাটের মা ওবোনেদের পরিশ্রমে, যাঁরা পশুপালনকে পারিবারিক কাজের অংশ হিসেবে গ্রহণ করে গুজারাটেশ্বেত বিপ্লব এনে দিয়েছিলেন। আজ বনস ডেয়ারিরও সুবর্ণজয়ন্তীর শুভসূচনা হল।

আজ আমরা এইমহান আন্দোলনের জনক, শ্বেত বিপ্লবের পুরোধাপুরুষ গল্লবাভাইয়ের জন্মশতবার্ষিকী আরতাঁর রোপিত আট মণ্ডলীর মাধ্যমে শুরু হওয়া চারাগাছটি আজ বনাস ডেয়ারি নামক বিশালবটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে, তার সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের মাধ্যমে বিগত ৫০ বছর ধরে যেশ্রদ্ধেয় মানুষেরা এই ডেয়ারিকে সুচারু রূপে পরিচালনা করেছেন, এই উচ্চতায় পৌঁছেদিয়েছেন, অনেক চেয়ারম্যান, অনেক ব্যবস্থাপক, অনেক অনেক কর্মচারীর মিলিতপ্রচেষ্টাতেই আজ এই উচ্চতায় পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে। আজ এই উপলক্ষে তাঁদের সকলকে অনেকঅনেক অভিনন্দন জানাই, তাঁদের সাধুবাদ জানাই।

ভাই ও বোনেরা,আপনারা মুম্বাই যান, সুরাট যান কিংবা অন্যান্য শহরে উদয়াস্ত পরিশ্রম করে নানাকাজের মাধ্যমে যে গুজরাটিরা জীবিকা নির্বাহ করেন, তাঁদের অধিকাংশই আগে কচ্ছ ওবনাসকাঁঠার মানুষ ছিলেন। কারণ, এখানকার প্রকৃতি ছিল প্রতিকূল। আমরা আগে থেকেইবলেছিলাম যে, একবার যদি মা নর্মদার ধারাকে এনে আমাদের বনাসের মাটিতে স্পর্শ করানোযায়, তা হলে আমাদের এই পরিশ্রমী কৃষকরা এই মাটিতেই সোনা ফলাবেন। এখানকার কৃষকরাআমাদের প্রত্যাশা পূরণ করেছেন, আজ তাঁরা বনাসের সেই উষর ভূমিকে, এই মরু অঞ্চলকেস্বর্ণপ্রসবিনী করে তুলেছেন।

আমার স্পষ্টমনে আছে, তখন সবে প্রথমবার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছি। আমার দিকে অনেকপ্রশ্নচিহ্ন তোলা হয়েছিল। এই মোদীকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে! এর তো কোনওদিন গ্রামপঞ্চায়েত প্রধানের কাজ করারও অভিজ্ঞতা নেই। কোনও দিন নির্বাচনেও লড়েনি! এ কী করবে?হাসিতামাশা চলতো! সেই সময় এই দিসাতেই আমি প্রথম জনসভায় বক্তৃতা দিয়েছিলাম, এইমাঠেই। সেটা ছিল লোককল্যাণ মেলা! সেদিন আমার সামনে যত মানুষ ছিলেন আজ তার থেকেঅনেক গুণ বেশি মানুষকে এখানে দেখতে পেয়েছি।

ভাই ও বোনেরা,আমার স্পষ্ট মনে আছে, তখন বনাসকাঁঠার কৃষকরা আমাকে পছন্দ করতেন না। ক্রোধে মাঝেমধ্যে আমার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হতো। তবুও আমি সাহস করে তাঁদের মধ্যে আসতাম। আমিতাঁদেরকে বলতাম, বনাসকাঁঠার ভাগ্য বদলাতে হলে আমাদের জল সাশ্রয় করতে হবে। বিদ্যুৎসরবরাহের আগে জলকে অগ্রাধিকার দিতে হবে! একথা বলে আমি অনেক অপ্রিয় হয়েছিলাম।কিন্তু আমার সৌভাগ্য যে পরে সেই কৃষকরা আমার কথামতো ‘ড্রিপ ইরিগেশন বা বিন্দুসেচএবং স্প্রিঙ্কলারের মাধ্যমে টপার সেচ পদ্ধতি ব্যবহার করে বনাসকাঁঠাকে গুজরাটেরমধ্যে সবার থেকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। আমি সেই কৃষকদের শ্রদ্ধা জানাই। তাঁরা শুধুনিজেদের ভাগ্য বদলাননি, তাঁরা প্রত্যেক আগামী প্রজন্মের ভাগ্যও বদলে দিয়েছেন।

আমার মনে আছে,২০০৭ কিংবা ২০০৮ সালে এমনই একটি কৃষক সম্মেলনে আমি আবার বনাসকাঁঠা এসেছিলাম। তখন আমাদেরগন্না জেলার এক দিব্যাঙ্গ বন্ধু শ্রী গেনাজি আমাকে আতাফল উপহার দিয়েছিলেন। তিনিচলাফেরা করতে পারতেন না বলে, আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে সবার আগে পৌঁছে গিয়েছিলাম।তিনি দিব্যাঙ্গ হলেও বড় প্রগতিশীল কৃষক ছিলেন। তিনি আমাকে যে আতাফলটি উপহারদিয়েছিলেন, সেটির আকার ছিল নারকেলের থেকেও বড়। সেটি দেখে আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেসকরি, এই অসাধারণ কৃতিত্ব আপনি কেমন করে দেখালেন?

তিনি জবাবেবলেন, সাহেব, আজ তো জেলার নানা প্রান্ত থেকে মানুষ আমার ক্ষেতের ফলন দেখতে আসেন।কিন্তু আপনি দেখবেন, ধীরে ধীরে আতাফলের চাষে বনাসকাঁঠা সবাইকে ছাপিয়ে যাবে!গেনাজির এই প্রত্যয় আমার হৃদয় ছুঁয়ে যায়।

আজও হয়তো এইজনসভায় গেনাজি এসেছেন, কোথাও বসে রয়েছেন! কারণ তিনি জানেন, তাঁর কথা সত্যে পরিণতহয়েছে। বনাসকাঁঠার কৃষকরা সারা দেশের সামনে নিজেদের প্রগতিশীল হিসেবে দৃষ্টান্তস্থাপন করেছেন। শুধু তাই নয়, আলু উৎপাদনেও এ বছর বনাসকাঁঠার কৃষকরা পূর্ববর্তীসমস্ত রেকর্ড ভেঙে ফেলেছেন।

ভাই ও বোনেরা,কৃষকদের জন্য কিছু জিনিস কিভাবে আশীর্বাদ-স্বরূপ প্রতিপন্ন হয়! গল্লবভাই যখনডেয়ারির কাজ শুরু করেছিলেন তখন এই অঞ্চলে জল ছিল না, মাটি ছিল উষর। প্রত্যেক দশবছরে সাত বছরই এই অঞ্চল খরাক্রান্ত থাকতো। ঈশ্বরের ইচ্ছানুসারে কৃষকের জীবন চলতো,মহাজনের ঋণশোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা করতে হতো! কিন্তু এই জেলার কৃষকরা পশুপালনেজোর দিলেন, দুধ উৎপাদনকে অগ্রাধিকার দিলেন! পশুপালন থেকে শ্বেত বিপ্লবের মাধ্যমেস্বাচ্ছান্দ্যের মুখ দেখেন, ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করে তোলেন, উন্নত জীবনযাপনের দিকপা বাড়ান।

ভাই ও বোনেরা,শ্বেত বিপ্লবে নেতৃত্ব প্রদানকারী এই বনাসকাঁঠা তথা গুজরাট আজ মিষ্টি উৎপাদনেবিপ্লব এনেছে। শ্বেত বিপ্লব হলে মিষ্টি উৎপাদনে বিপ্লবও অত্যন্ত স্বাভাবিক। কিন্তুএখানকার কৃষকরা পশুপালনের পাশাপাশি ফসলের ক্ষেতের চারপাশে মৌ পালন শুরু করে। মৌপালনে প্রশিক্ষণ নিয়ে বৈজ্ঞানিক উপায়ে মৌ চাষ করে আজ তাঁরা মধু বিপ্লবেও সাফল্যপেয়েছে। আজ তাঁরা সেই মধুকে প্যাকেজিং করে প্রথমবার বাজারজাত করেছেন। আমার দৃঢ়বিশ্বাস, গুজরাটে যে ডেয়ারি নেটওয়ার্ক রয়েছে, প্রায় সকল জেলাতেই আজ ডেয়ারিনেটওয়ার্ক রয়েছে, কৃষকদের সমিতি রয়েছে। দুধের পাশাপাশি সবাই যদি এখন মৌ-চাষ শুরুকরেন, তা হলে তাঁদের আয় দ্বিগুণ হতে পারে। দুধের গাড়িতে করেই মধু বাজারজাত করাযাবে, এর জন্য অতিরিক্ত খরচ লাগবে না। মিষ্টি উৎপাদনেও সকল জেলার কৃষক এগিয়ে আসতেপারেন। সারা পৃথিবীতেই মধুর চাহিদা ক্রমবর্ধমান। মিষ্টির বাজার তো দেশের মধ্যেইঅনেক বড়, অনেক চাহিদা। এখন তো আপনাদের কাছে নর্মদার জল এসে গেছে। সার প্রয়োগেরপদ্ধতি বদলাতে হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, শস্য উৎপাদনেও এখন সাফল্য আসবে। বনাসকাঁঠারকৃষকদের মতো সবাই দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে কাজ করলে এই পরিবর্তনও অবশ্যম্ভাবী।

আজ বনাস ডেয়ারিআমূল ব্র্যান্ডের সঙ্গে চীজ উৎপাদনেরও একটি প্ল্যান্ট চালু করেছে। গুজরাটে যতডেয়ারি রয়েছে, প্রত্যেকটাই চীজ বিক্রি করে ভালো লাভবান হয়। আপনারা শুনে আশ্চর্যহবেন, বিশ্বের অনেক দেশে এখন আমূল ব্র্যান্ডের চীজের চাহিদা রয়েছে। যত চীজ উৎপাদিতহয়, দ্রুত বিক্রি হয়ে যায়। আআজ বনাস ডেয়ারির উৎপাদন, এই উৎপদনের সঙ্গে যুক্ত হল,আমি তাঁদের শুভেচ্ছা জানাই। আজ ডেয়ারি একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে, কাংক্রেচের গরু, এইপ্রজাতির গরুর মূল্য আমরা জানি, বৈজ্ঞানিকরাও পরীক্ষা করে কাংক্রেচের গরুরমহাত্ম্য স্বীকার করে নিয়েছেন। সেই গরুর দুধ A2 Milk –কে আজ তাঁরাবাজারজাত করেছে। যাঁরা স্বাস্থ্য সচেতন, আর যাঁরা অপুষ্টির শিকার তেমন শিশুদেরজন্য A2 Milk উপকারী হয়ে উঠবে। এখানে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কাংক্রেচ প্রজাতির গরুর দুগ্ধউৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে।

আমি চাই, বনাসডেয়ারি, সাম্ভর ডেয়ারি কিংবা দুগ্ধসাগর ডেয়ারি অথবা এই তিনটি ডেয়ারি একসঙ্গে একটাকাজ করুক। আমাদের কৃষকরা দুটো জিনিস উৎপাদন করে সস্তা দামে বেচে দেন; প্রথমটি হলক্যাস্টর। আমাদের এখানে ক্যাস্টরের চাষ হয়, দিওয়েলা, এরেন্ডা – যে নামেই ডাকি নাকেন, এগুলির ৮০ শতাংশ ফলন আমাদের এখানে হয়। এই ক্যাস্টর তেল মহাকাশযানে সাফল্যেরসঙ্গে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু আমরা তা জানি না বলে আজও এই দিওয়েলা বা এরেন্ডা – এগুলিজলের দরে বিক্রি করে দিই। আমি এই বনাস, সাম্ভর এবং দুগ্ধসাগর ডেয়ারি’কে অনুরোধ করবযে, আপনারা সম্মিলিতভাবে একটি গবেষণাকেন্দ্র গড়ে তুলুন, যাতে আমাদের এখানে যেদিওয়ানা এরেন্ডা বা ক্যাস্টর উৎপাদন হয় সেগুলিতে কেমন করে মূল্য সংযোজন করা যায়!যাতে ভবিষ্যতে আমাদের মূল্যবান সম্পত্তি জলের দরে বাইরে না চলে যায়, মরা যেন তাকেনিজেদের কাজে লাগাতে পারি!

দ্বিতীয়টি হলইসবগুল। ইসবগুলের অনেক শক্তি। এতে মূল্য সংযোজন হতে পারে। যখন শ্রদ্ধেয় কুরিয়নজিবেঁচে ছিলেন, আমি তাঁকে ইসবগুলে মূল্য সংযোজনের অনুরোধ জানিয়েছিলাম। তিনি শুরুকরেছিলেন। ইসবগোলের আইসক্রিম বানিয়েছিলেন। ওই আইসক্রিমের নাম দিয়েছিলেন ইসবকুল।সেই সময় তিনি ‘আনন্দ’-এ শুরু করেছিলেন। ইসবগুলের আন্তর্জাতিক বাজার রয়েছে। চাহিদাঅনেক বেশি। ইসবগুল নিয়ে বৈজ্ঞানিক উপায়ে মূল্য সংযোজন করতে পারলে আমরা অনেক বড় পরিবর্তনআনতে পারব, আর আনাও উচিৎ।

ভাই ও বোনেরা,এখন সারা দেশে নোট নিয়ে আলোচনা চলছে। আপনারা আমাকে বলুন, ৮ নভেম্বরের আগে ১০০টাকার নোটের কী মূল্য ছিল? ৫০ টাকার নোটেরও কোনও দাম ছিল কি? ২০ টাকা, ১০ টাকা, ৫টাকার নোটকে তো কেউ টাকা বলেই গণ্য করতেন না! সবাই শুধু ১০০০ আর ৫০০ টাকার নোটদিয়ে লেনদেন করতেন। ৮ তারিখের পর থেকে ১০০ টাকার নোটের দাম বেড়ে গেছে, শক্তি বেড়েগেছে, প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে।

ভাই ও বোনেরা,৮ তারিখের পর থেকে ছোট নোটগুলি প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে, এগুলির মূল্য বেড়েছে। তেমনিবড়লোক নয়, গরিব মানুষদের শক্তি বাড়ানোর জন্য আমি এই বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আপনারাকল্পনা করতে পারেন, যা কিছু কিনতে যান রশিদ চাইলে প্রশ্ন আসবে, কাঁচা না পাকা বিল?পাকা বিল চাইলে এত টাকা বেশি দিতে হবে!

আবার অনেকে তোবিল চাইলে জিনিসই বিক্রি করতে চাইতেন না! বাড়ি কিনবেন, চেকে এত টাকা মেটাতে হবে,আর ক্যাশে এত টাকা, দলিলে কম টাকা লেখা হবে, যা আপানি চেক-এ মেটাবেন, আর ক্যাশ-এযা দেবেন তার কোথাও লেখাজোকা থাকবে না। এভাবেই সাধারণ মানুষ প্রতারিত হতেন।

ভাই ও বোনেরা,নকল নোটের ব্যবসায়ীরা অধিকাংশই এদেশের বাইরে থাকেন। সেজন্য নোট বাতিল নিয়ে দেশে যতহৈ-হল্লা হচ্ছে, দেশের বাইরে তার থেকে বেশি হচ্ছে! আমি যে তাদের বাড়াভাতে ছাইদিয়েছি! ফলস্বরূপ নকশালবাদী যুবক-যুবতীরা এখন আত্মসমর্পণ করে মূল ধারায় ফিরেআসছেন। সন্ত্রাসবাদীরা যেসব উৎস থেকে সাহায্য পেত, সেসব পথও আমরা বন্ধ করে দিতেপেরেছি। এই নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত কালো টাকা ও দুর্নীতির মৃত্যুঘন্টা বাজিয়েদিয়েছে। এতে কাদের সমস্যা হচ্ছে। কালো টাকা ও দুর্নীতি বন্ধ হলে বেইমানরাই শুধুসমস্যায় পড়বে। এক দুর্নীতিবাজ খুশি মনে অন্য দুর্নীতিবাজকে ঘুষ দিয়ে কাজ করিয়েনিতে পারতো। সমস্যা হতো সাধারণ মানুষের। ওরা বিগত ৭০ বছর ধরে সৎ মানুষদের, সাধারণমানুষদের লুঠ করে গেছে। আজ দেশের সরকার যখন সৎ মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে, তখনবেইমানরা তাঁদের নানাভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যেদেশের কোটি কোটি সাধারণ মানুষ এত গুজব উপেক্ষা করে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগতজানিয়েছেন, সাময়িক কষ্ট সহ্য করেও দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করার এই অভিযানে সামিলহয়েছেন। আমি তাঁদের এই সাহসকে শ্রদ্ধা জানাই। এই অভিযানে সামিল হওয়ার জন্য ১২৫কোটি দেশবাসীকে প্রণাম জানাই।

ভাই ও বোনেরা,আজকাল অনেক বুদ্ধিমান মানুষ ভাষণ দেন, মোদীজি আপনি এত বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন,কিন্তু আমরা বেঁচে থাকতে উপকৃত হব না, মরে গেলে হব? ভাই ও বোনেরা, আমাদের দেশেরচার্বাক ঋষি বলতেন, ‘ঋণম কৃত্বা, ঘৃতম পীবেত’ – মৃত্যুর পর কি হবে? কে জানে, যাআনন্দ করার এখনি করে নাও। যা খাওয়ার খাও, ঘি খাও মহানন্দে বাঁচো! আমাদের দেশেরমানুষ কোনওদিন এই চার্বাকের দর্শনকে গ্রহণ করেননি। আমাদের দেশে বৃদ্ধ বাবা-মা ঘরেটাকা না থাকলে একবেলা সব্জি ছাড়া শুকনো রুটি খেয়ে নেন, ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথাভেবে যতটা সম্ভব সঞ্চয় করেন। মৃত্যুর পর নিজের কী হবে, একথা না ভেবে ভবিষ্যতপ্রজন্মের কী হবে – তা নিয়ে ভাবেন! আমাদের দেশ স্বার্থপর ভাবনার দেশ নয়। আমাদেরদেশের মানুষ নিজেদের সুখের চাইতে সন্তান-সন্ততির সুখকে বড় করে দেখেন, ভবিষ্যৎপ্রজন্মের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভাবেন। সেজন্য আজকের নতুন চার্বাকদের পঞ্চাশবারভাবতে হবে।

ভাই ও বোনেরা,আপনারা হয়ত লক্ষ্য করেছেন, সংসদের বর্তমান অধিবেশনে কোনও কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না।আমাদের রাষ্ট্রপতি, যাঁর নিজের রাজনৈতিক জীবনে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে, দেশেরশ্রেষ্ঠতম প্রশাসকদের অন্যতম আমাদের রাষ্ট্রপতি। তিনি ভিন্ন ঘরানার রাজনীতিবিদ।কিন্তু দেশের সংসদে যা সব হচ্ছে, তা দেখে তিনি দুঃখিত। তিনি এতটাই দুঃখ পেয়েছেনযে, দু’দিন আগে তিনি সর্বসমক্ষে সাংসদদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে বাধ্যহয়েছেন। বিরোধীপক্ষের নাম উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আর আমি অবাক, সরকারপক্ষ বলছে – আমরা আলোচনা চাই, প্রধানমন্ত্রী বলার জন্য তৈরি, কিন্তু বিরোধী পক্ষতা চায় না। তাঁরা জানেন যে, তাঁদের মিথ্যাগুলি সত্যের সামনে দাঁড়াতে পারবে না।সেজন্য তাঁরা আলোচনা থেকে দূরে থাকতে চাইছেন, আমাকে লোকসভায় বলতে দেওয়া হচ্ছে না।সেজন্যই আমি জনসভায় বলার পথ বেছে নিয়েছি। আর যেদিন সুযোগ পাব, লোকসভাতেও ১২৫ কোটিদেশবাসীর আওয়াজ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব।

ভাই ওবোনেরা, আজ এই মহাত্মা গান্ধীর জন্মভূমিতেদাঁড়িয়ে, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মভূমিতে দাঁড়িয়ে আমি সর্বসমক্ষে বিরোধীপক্ষের বন্ধুদের আহ্বান জানাচ্ছি। নির্বাচনের আগে সকল দলের রাজনীতিবিদেরা পরস্পরেরবিরুদ্ধে বলে থাকেন, রোপ-প্রত্যারোপ জারি থাকে, পরস্পরের নীতির সমালোচনা করেন।কোনওটাকে ভাল আবার কোনওটাকে কালো নীতি বলে চিহ্নিত করা হয়। এসব তো সমস্ত রাজনৈতিকদলই করে, ভারতীয় জনতা পার্টিও করে। ভবিষ্যতেও করবে। কিন্তু সকলে মিলেমিশে একটা কাজকরে – তা হল ভোটার তালিকা প্রস্তুত করার কাজ মানুষকে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন-এরব্যবহার শেখানো, যাতে সর্বাধিক মানুষ ভোট দিতে পারেন – সেই ব্যবস্থা করা। কারণগণতন্ত্রকে সুস্থ রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব।

আমি বিরোধীপক্ষের বন্ধুদের বলতে চাই, আপনারা তো একথা বলার হিম্মত দেখাতে পারছেন না যে মোদী১০০০ ও ৫০০ টাকার বাতিল নোট আবার চালু করো, কারণ আপনারা জানেন যে জনগণের মেজাজবদলে গেছে। হ্যাঁ, কেউ কেউ অনুরোধ করেছিলেন, নোট বাতিল এক সপ্তাহ পর থেকে করতে।কেন ভাই? এই এক সপ্তাহে কোন্‌ জাদু দেখাবেন আপনারা? আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ,মাকে যত খুশি গালি দিন, আমার নীতির সমালোচনা করুন। সংসদের ভিতরে ও বাইরে ঝড় তুলেসরকারকে যত খুশি তুলোধোনা করুন, কিন্তু পাশাপাশি সময়ের দাবি মেনে আপনারাওনির্বাচনের আগে ভোটার লিস্ট তৈরি কিংবা ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট দেওয়া শেখানোরমতো মানুষকে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘ক্যাশলেস’ বিকিকিনি ও ব্যাঙ্কিং করাশেখানোর ক্ষেত্রে হাতে-হাত ধরে জাতীয় দায়িত্ব পালন করুন। যে সুযোগ আপনাদের সামনেএসেছে, আমরা সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সেই দায়িত্ব পালন করি! এর মাধ্যমে আপনারাওরাজনৈতিক লাভ ওঠান।

আপনারা মানুষেরমধ্যে কাজ করে রাজনৈতিক লাভ ওঠালে দেশের উপকার হবে, তাই আমি আনন্দিত হব। আরেরাজনীতি থেকে অনেক বড় হয় রাষ্ট্রনীতি, দল থেকে অনেক বড় দেশ। ভাই ও বোনেরা,দারিদ্র্য নিয়ে আলোচনা করা সহজ, কিন্তু গরিবদের স্বার্থে নীতি নির্ধারণ, নীতিপ্রণয়ন ও কঠোর হস্তে বাস্তবায়ন অত্যন্ত কঠিন কাজ। এজন্য নিজেদের সমর্পিত করে কাজকরতে হয়। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার এই সমর্পণ ভাব নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।

ভাই ও বোনেরা,আমি প্রথম দিন থেকেই বলে আসছি, এই সিদ্ধান্ত কোনও মামুলি সিদ্ধান্ত নয়! মর্যাদাপূর্ণসিদ্ধান্ত, কঠিন সিদ্ধান্ত। আমি বলেছিলাম, অনেক সমস্যা হবে। ৫০ দিন খুবই সমস্যাহবে। ৫০ দিন পর্যন্ত দিন কাটানো কঠিন হতে থাকবে। কিন্তু আমাদের হিসেব অনুযায়ীতারপর থেকে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

ভাই ও বোনেরা,দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। আর আপনারাদেখেছেন, কিছু মানুষ লাগাতার সরকারের বিরোধিতা করে যাচ্ছেন। কিছু ব্যাঙ্ক আধিকারিকগ্রেপ্তার হয়েছেন, বড় বড় নোটের বান্ডিল হাপিশ করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন। তাঁরাভেবেছিলেন, মোদীজি ১০০০ ও ৫০০ টাকা বাতিল করেছেন, আমরা পেছনের দরজা দিয়ে কিছুকামিয়ে নেব, কিছু কালো টাকা সাদা করে দেব! কিন্তু তাঁরা জানতেন না যে আমরা পেছনেরদরজাতেও ক্যামেরা লাগিয়ে রেখেছিলাম। যাঁরা ধরা পড়েননি, তাঁরাও অচিরেই ধরা পড়বেন।দুর্নীতিবাজরা কেউ রেহাই পাবেন না। দু’মাস, তিন মাস, বড় জোর ছ’মাস; যাঁরা ৮তারিখের পর দুর্নীতির পথ নিয়েছেন, কেউই বাঁচবেন না! তাঁদেরকে সাজা পেতে হবে। ১২৫ কোটিভারতবাসীর স্বপ্নকে চুরমার করার পাপ যাঁরা করেছেন, তাঁরা কেউ বাঁচবেন না, এইআশ্বাস আমি আপনাদের সবাইকে দিচ্ছি।

ভাই ও বোনেরা,এই কঠিন সিদ্ধান্তের ফলে আপনারা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন, এখনও হচ্ছেন, আরওকিছুদিন এই যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে। যাঁরা বলছেন, সৎ মানুষেরা লাইনে দাঁড়িয়ে কষ্টপাচ্ছেন, তাঁদেরকে জানাই, সৎ মানুষেরা নিজের স্বার্থে লাইনে দাঁড়াননি, তাঁরা দেশেরস্বার্থে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। এভাবে নিজেরা কষ্ট সহ্য করেও তাঁরা সরকারেরদুর্নীতিবিরোধী সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন।

এখন সময় বদলেগেছে ভাই। অনেক কাল আগে নাকি গরুর গাড়ির চাকার আকারের রূপোর টাকা চলত! সেই আকারকমতে কমতে এক সময় ছোট হয়েছে। রূপোর বদলে তামার মুদ্রা চালু হয়েছে, তারপর লৌহ আকরিকআরও না জানি কোন্‌ কোন্‌ ধাতুর মুদ্রা চালু হয়েছে! সবার শেষে কাগজের নোট চালুহয়েছে।

ভাই ও বোনেরা, সময়েরপরিবর্তনের সঙ্গে আপনাদের সকলের হাতে হাতে মোবাইল ফোন এসেছে, আর এই মোবাইল ফোনেরমাধ্যমে আপনারা এখন ঘরে বসেই ব্যাঙ্কের যাবতীয় লেনদেন সারতে পারছেন। চা খেতে চান,বোতাম টিপুন, চা ওয়ালার ব্যাঙ্কের খাতায় টাকা চলে যাবে, চা ওয়ালা আপনাদের চাপরিবেশনের পাশাপাশি রশিদও দেবেন। মাঝে মানুষ চেক দিতেন, দু’মাস পর চেক ফেরৎ এলেঅনাদায়ে আদালতে মামলা করতে হত! আমি দেশের নতুন প্রজন্মের নাগরিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতাজানাই। আপনারা দেশের স্বার্থে অনেক বড় কাজ করছেন। এই বনাসকাঁঠা জেলার কৃষকদেরওআপনারা ই-বটুয়ার সঙ্গে জুড়ে দিন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনারা যেভাবে দ্রুততার সঙ্গেআপনাদের পরিবার-পরিজন, প্রতিবেশী ও পরিচিতদের ই-মোবাইল ব্যাঙ্কিং প্রক্রিয়াশেখাচ্ছেন, অতি সত্ত্বর দেশে ক্যাশ নির্ভরতা হ্রাস পাবে।

ভাই ও বোনেরা,আমরা সবাই জানি যে কাগজের নোটের দিন ফুরিয়ে আসছে। এখন তো মোবাইল ফোনই আপনাদেরব্যাঙ্ক। একবার ব্যাঙ্কের খাতায় টাকা জমা পড়লে আর ব্যাঙ্ক কিংবা এটিএম-এর লাইনেগিয়ে দাঁড়ানোর প্রয়োজন নেই। অনেক সময় বেঁচে যাবে। কেমন করে করবেন, সে সম্পর্কেখবরের কাগজে বিজ্ঞাপন ছাপানো হচ্ছে, টিভিতে দেখানো হচ্ছে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমেইএখন আপনারা বাজারে ও দোকানে কেনাকাটা করতে পারবেন। চেক বাউন্স হঅয়ার ভয় ছিল,কিন্তু এক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে টাকা লেনদেনের রশিদ পেয়ে যাবেন।

ভাই ও বোনেরা,ভারত এখন বিশ্বে তীব্রগতিতে উন্নয়নের পথে এগোতে চায়। এই নোটের বান্ডিল, নোটেরপাহাড় আমাদের অর্থনীতিকে চেপে ধরছিল। কালো টাকা আর দুর্নীতিবাজদের হাতিয়ার হয়েউঠেছিল, গরিব মানুষের ক্ষমতায়নকে বাধা দিচ্ছিল। ১০০০ টাকার নোটের দাম ছিল কিন্তু১০০ টাকার নোটের দাম ছিল না। বড় লোকের দাম ছিল, গরিবের ছিল না। কিন্তু আজ আবার ১০০টাকার নোট মূল্যবান হয়ে উঠেছে। গরিবের ক্ষমতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। আর আপনারা সকলেযেদিন ই-বটুয়ার ব্যবহার শিখে যাবেন, সেদিন ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়ানোর দিনও ফুরোবে।আমি সংবাদ মাধ্যমের বন্ধুদের অনুরোধ করব, সরকারের সমালোচনা করার অধিকার আপনাদেররয়েছে। আপনারা সেই অধিকার অবশ্যই প্রয়োগ করুন, মোদীর সমালোচনা করুন, তুলোধোনাকরুন। মানুষ ব্যাঙ্ক ও এটিএম-এর লাইনে দাঁড়িয়ে কত কষ্ট পাচ্ছেন তার চিত্র আপনারাদেশবাসীর সামনে, বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরুন। আমার কোনও আপত্তি কিংবা অভিযোগ নেই।পাশাপাশি আপনারা মানুষকে বোঝান যে এই লাইনে দাঁড়ানোর কোনই প্রয়োজন নেই। প্রযুক্তিরব্যবহার শিখে নিলে দেখবেন, ব্যাঙ্কগুলি তাদের সবরকম পরিষেবা নিয়ে আপনার মোবাইলফোনে লাইন লাগিয়েছে। সেই দিন আসতে আর বেশি দেরী নেই। সেই সময় এসে গেছে। আপনারা সেইপরিষেবাকে আপন করে নিলেই দেখবেন লেনদেন কত সহজ হয়ে গেছে।

ভাই ও বোনেরা,দেশ আর দুর্নীতি সহ্য করবে না। দেশ আর নকল নোট সহ্য করবে না! দেশ আর কালো টাকাসহ্য করবে না! দরিদ্র মানুষকে লুট করার খেলা, মধ্যবিত্তদের লুঠ করার ফাঁদ থেকেমুক্তি পেতে আপনারা আমাকে আশীর্বাদ করুন। উঠে দাঁড়িয়ে দু’হাতে তালি বাজিয়ে আমাকেআশীর্বাদ করুন। আমার গুজরাটের ভাই ও বোনেরা, আমার দিসার ভাই ও বোনেরা, সমস্ত শক্তিদিয়ে আশীর্বাদ করুন।

ভারতমাতার জয়

ভারতমাতার জয়

ভারতমাতার জয়

এই লড়াই,ভারতের ভাগ্য পরিবর্তনের লড়াই, এই লড়াই দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করার লড়াই। এই লড়াইকালো সম্পত্তি উদ্ধারের লড়াই, এ লড়াই নকল নোট থেকে দেশকে মুক্ত করার লড়াই। এইলড়াইয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বনাসের মাটি ও মানুষ আমাকে যে আশীর্বাদ দিল তার জন্যআপনাদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই।

আরেকবার বলুন,ভারতমাতার জয়, সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে বলুন, গোটা দেশ আপনাদের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে।

ভারতমাতার জয়

ভারতমাতার জয়

অনেক অনেকধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report

Media Coverage

India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM’s address at the Odisha Parba
November 24, 2024
Delighted to take part in the Odisha Parba in Delhi, the state plays a pivotal role in India's growth and is blessed with cultural heritage admired across the country and the world: PM
The culture of Odisha has greatly strengthened the spirit of 'Ek Bharat Shreshtha Bharat', in which the sons and daughters of the state have made huge contributions: PM
We can see many examples of the contribution of Oriya literature to the cultural prosperity of India: PM
Odisha's cultural richness, architecture and science have always been special, We have to constantly take innovative steps to take every identity of this place to the world: PM
We are working fast in every sector for the development of Odisha,it has immense possibilities of port based industrial development: PM
Odisha is India's mining and metal powerhouse making it’s position very strong in the steel, aluminium and energy sectors: PM
Our government is committed to promote ease of doing business in Odisha: PM
Today Odisha has its own vision and roadmap, now investment will be encouraged and new employment opportunities will be created: PM

जय जगन्नाथ!

जय जगन्नाथ!

केंद्रीय मंत्रिमंडल के मेरे सहयोगी श्रीमान धर्मेन्द्र प्रधान जी, अश्विनी वैष्णव जी, उड़िया समाज संस्था के अध्यक्ष श्री सिद्धार्थ प्रधान जी, उड़िया समाज के अन्य अधिकारी, ओडिशा के सभी कलाकार, अन्य महानुभाव, देवियों और सज्जनों।

ओडिशा र सबू भाईओ भउणी मानंकु मोर नमस्कार, एबंग जुहार। ओड़िया संस्कृति के महाकुंभ ‘ओड़िशा पर्व 2024’ कू आसी मँ गर्बित। आपण मानंकु भेटी मूं बहुत आनंदित।

मैं आप सबको और ओडिशा के सभी लोगों को ओडिशा पर्व की बहुत-बहुत बधाई देता हूँ। इस साल स्वभाव कवि गंगाधर मेहेर की पुण्यतिथि का शताब्दी वर्ष भी है। मैं इस अवसर पर उनका पुण्य स्मरण करता हूं, उन्हें श्रद्धांजलि देता हूँ। मैं भक्त दासिआ बाउरी जी, भक्त सालबेग जी, उड़िया भागवत की रचना करने वाले श्री जगन्नाथ दास जी को भी आदरपूर्वक नमन करता हूं।

ओडिशा निजर सांस्कृतिक विविधता द्वारा भारतकु जीबन्त रखिबारे बहुत बड़ भूमिका प्रतिपादन करिछि।

साथियों,

ओडिशा हमेशा से संतों और विद्वानों की धरती रही है। सरल महाभारत, उड़िया भागवत...हमारे धर्मग्रन्थों को जिस तरह यहाँ के विद्वानों ने लोकभाषा में घर-घर पहुंचाया, जिस तरह ऋषियों के विचारों से जन-जन को जोड़ा....उसने भारत की सांस्कृतिक समृद्धि में बहुत बड़ी भूमिका निभाई है। उड़िया भाषा में महाप्रभु जगन्नाथ जी से जुड़ा कितना बड़ा साहित्य है। मुझे भी उनकी एक गाथा हमेशा याद रहती है। महाप्रभु अपने श्री मंदिर से बाहर आए थे और उन्होंने स्वयं युद्ध का नेतृत्व किया था। तब युद्धभूमि की ओर जाते समय महाप्रभु श्री जगन्नाथ ने अपनी भक्त ‘माणिका गौउडुणी’ के हाथों से दही खाई थी। ये गाथा हमें बहुत कुछ सिखाती है। ये हमें सिखाती है कि हम नेक नीयत से काम करें, तो उस काम का नेतृत्व खुद ईश्वर करते हैं। हमेशा, हर समय, हर हालात में ये सोचने की जरूरत नहीं है कि हम अकेले हैं, हम हमेशा ‘प्लस वन’ होते हैं, प्रभु हमारे साथ होते हैं, ईश्वर हमेशा हमारे साथ होते हैं।

साथियों,

ओडिशा के संत कवि भीम भोई ने कहा था- मो जीवन पछे नर्के पडिथाउ जगत उद्धार हेउ। भाव ये कि मुझे चाहे जितने ही दुख क्यों ना उठाने पड़ें...लेकिन जगत का उद्धार हो। यही ओडिशा की संस्कृति भी है। ओडिशा सबु जुगरे समग्र राष्ट्र एबं पूरा मानब समाज र सेबा करिछी। यहाँ पुरी धाम ने ‘एक भारत श्रेष्ठ भारत’ की भावना को मजबूत बनाया। ओडिशा की वीर संतानों ने आज़ादी की लड़ाई में भी बढ़-चढ़कर देश को दिशा दिखाई थी। पाइका क्रांति के शहीदों का ऋण, हम कभी नहीं चुका सकते। ये मेरी सरकार का सौभाग्य है कि उसे पाइका क्रांति पर स्मारक डाक टिकट और सिक्का जारी करने का अवसर मिला था।

साथियों,

उत्कल केशरी हरे कृष्ण मेहताब जी के योगदान को भी इस समय पूरा देश याद कर रहा है। हम व्यापक स्तर पर उनकी 125वीं जयंती मना रहे हैं। अतीत से लेकर आज तक, ओडिशा ने देश को कितना सक्षम नेतृत्व दिया है, ये भी हमारे सामने है। आज ओडिशा की बेटी...आदिवासी समुदाय की द्रौपदी मुर्मू जी भारत की राष्ट्रपति हैं। ये हम सभी के लिए बहुत ही गर्व की बात है। उनकी प्रेरणा से आज भारत में आदिवासी कल्याण की हजारों करोड़ रुपए की योजनाएं शुरू हुई हैं, और ये योजनाएं सिर्फ ओडिशा के ही नहीं बल्कि पूरे भारत के आदिवासी समाज का हित कर रही हैं।

साथियों,

ओडिशा, माता सुभद्रा के रूप में नारीशक्ति और उसके सामर्थ्य की धरती है। ओडिशा तभी आगे बढ़ेगा, जब ओडिशा की महिलाएं आगे बढ़ेंगी। इसीलिए, कुछ ही दिन पहले मैंने ओडिशा की अपनी माताओं-बहनों के लिए सुभद्रा योजना का शुभारंभ किया था। इसका बहुत बड़ा लाभ ओडिशा की महिलाओं को मिलेगा। उत्कलर एही महान सुपुत्र मानंकर बिसयरे देश जाणू, एबं सेमानंक जीबन रु प्रेरणा नेउ, एथी निमन्ते एपरी आयौजनर बहुत अधिक गुरुत्व रहिछि ।

साथियों,

इसी उत्कल ने भारत के समुद्री सामर्थ्य को नया विस्तार दिया था। कल ही ओडिशा में बाली जात्रा का समापन हुआ है। इस बार भी 15 नवंबर को कार्तिक पूर्णिमा के दिन से कटक में महानदी के तट पर इसका भव्य आयोजन हो रहा था। बाली जात्रा प्रतीक है कि भारत का, ओडिशा का सामुद्रिक सामर्थ्य क्या था। सैकड़ों वर्ष पहले जब आज जैसी टेक्नोलॉजी नहीं थी, तब भी यहां के नाविकों ने समुद्र को पार करने का साहस दिखाया। हमारे यहां के व्यापारी जहाजों से इंडोनेशिया के बाली, सुमात्रा, जावा जैसे स्थानो की यात्राएं करते थे। इन यात्राओं के माध्यम से व्यापार भी हुआ और संस्कृति भी एक जगह से दूसरी जगह पहुंची। आजी विकसित भारतर संकल्पर सिद्धि निमन्ते ओडिशार सामुद्रिक शक्तिर महत्वपूर्ण भूमिका अछि।

साथियों,

ओडिशा को नई ऊंचाई तक ले जाने के लिए 10 साल से चल रहे अनवरत प्रयास....आज ओडिशा के लिए नए भविष्य की उम्मीद बन रहे हैं। 2024 में ओडिशावासियों के अभूतपूर्व आशीर्वाद ने इस उम्मीद को नया हौसला दिया है। हमने बड़े सपने देखे हैं, बड़े लक्ष्य तय किए हैं। 2036 में ओडिशा, राज्य-स्थापना का शताब्दी वर्ष मनाएगा। हमारा प्रयास है कि ओडिशा की गिनती देश के सशक्त, समृद्ध और तेजी से आगे बढ़ने वाले राज्यों में हो।

साथियों,

एक समय था, जब भारत के पूर्वी हिस्से को...ओडिशा जैसे राज्यों को पिछड़ा कहा जाता था। लेकिन मैं भारत के पूर्वी हिस्से को देश के विकास का ग्रोथ इंजन मानता हूं। इसलिए हमने पूर्वी भारत के विकास को अपनी प्राथमिकता बनाया है। आज पूरे पूर्वी भारत में कनेक्टिविटी के काम हों, स्वास्थ्य के काम हों, शिक्षा के काम हों, सभी में तेजी लाई गई है। 10 साल पहले ओडिशा को केंद्र सरकार जितना बजट देती थी, आज ओडिशा को तीन गुना ज्यादा बजट मिल रहा है। इस साल ओडिशा के विकास के लिए पिछले साल की तुलना में 30 प्रतिशत ज्यादा बजट दिया गया है। हम ओडिशा के विकास के लिए हर सेक्टर में तेजी से काम कर रहे हैं।

साथियों,

ओडिशा में पोर्ट आधारित औद्योगिक विकास की अपार संभावनाएं हैं। इसलिए धामरा, गोपालपुर, अस्तारंगा, पलुर, और सुवर्णरेखा पोर्ट्स का विकास करके यहां व्यापार को बढ़ावा दिया जाएगा। ओडिशा भारत का mining और metal powerhouse भी है। इससे स्टील, एल्युमिनियम और एनर्जी सेक्टर में ओडिशा की स्थिति काफी मजबूत हो जाती है। इन सेक्टरों पर फोकस करके ओडिशा में समृद्धि के नए दरवाजे खोले जा सकते हैं।

साथियों,

ओडिशा की धरती पर काजू, जूट, कपास, हल्दी और तिलहन की पैदावार बहुतायत में होती है। हमारा प्रयास है कि इन उत्पादों की पहुंच बड़े बाजारों तक हो और उसका फायदा हमारे किसान भाई-बहनों को मिले। ओडिशा की सी-फूड प्रोसेसिंग इंडस्ट्री में भी विस्तार की काफी संभावनाएं हैं। हमारा प्रयास है कि ओडिशा सी-फूड एक ऐसा ब्रांड बने, जिसकी मांग ग्लोबल मार्केट में हो।

साथियों,

हमारा प्रयास है कि ओडिशा निवेश करने वालों की पसंदीदा जगहों में से एक हो। हमारी सरकार ओडिशा में इज ऑफ डूइंग बिजनेस को बढ़ावा देने के लिए प्रतिबद्ध है। उत्कर्ष उत्कल के माध्यम से निवेश को बढ़ाया जा रहा है। ओडिशा में नई सरकार बनते ही, पहले 100 दिनों के भीतर-भीतर, 45 हजार करोड़ रुपए के निवेश को मंजूरी मिली है। आज ओडिशा के पास अपना विज़न भी है, और रोडमैप भी है। अब यहाँ निवेश को भी बढ़ावा मिलेगा, और रोजगार के नए अवसर भी पैदा होंगे। मैं इन प्रयासों के लिए मुख्यमंत्री श्रीमान मोहन चरण मांझी जी और उनकी टीम को बहुत-बहुत बधाई देता हूं।

साथियों,

ओडिशा के सामर्थ्य का सही दिशा में उपयोग करके उसे विकास की नई ऊंचाइयों पर पहुंचाया जा सकता है। मैं मानता हूं, ओडिशा को उसकी strategic location का बहुत बड़ा फायदा मिल सकता है। यहां से घरेलू और अंतर्राष्ट्रीय बाजार तक पहुंचना आसान है। पूर्व और दक्षिण-पूर्व एशिया के लिए ओडिशा व्यापार का एक महत्वपूर्ण हब है। Global value chains में ओडिशा की अहमियत आने वाले समय में और बढ़ेगी। हमारी सरकार राज्य से export बढ़ाने के लक्ष्य पर भी काम कर रही है।

साथियों,

ओडिशा में urbanization को बढ़ावा देने की अपार संभावनाएं हैं। हमारी सरकार इस दिशा में ठोस कदम उठा रही है। हम ज्यादा संख्या में dynamic और well-connected cities के निर्माण के लिए प्रतिबद्ध हैं। हम ओडिशा के टियर टू शहरों में भी नई संभावनाएं बनाने का भरपूर हम प्रयास कर रहे हैं। खासतौर पर पश्चिम ओडिशा के इलाकों में जो जिले हैं, वहाँ नए इंफ्रास्ट्रक्चर से नए अवसर पैदा होंगे।

साथियों,

हायर एजुकेशन के क्षेत्र में ओडिशा देशभर के छात्रों के लिए एक नई उम्मीद की तरह है। यहां कई राष्ट्रीय और अंतर्राष्ट्रीय इंस्टीट्यूट हैं, जो राज्य को एजुकेशन सेक्टर में लीड लेने के लिए प्रेरित करते हैं। इन कोशिशों से राज्य में स्टार्टअप्स इकोसिस्टम को भी बढ़ावा मिल रहा है।

साथियों,

ओडिशा अपनी सांस्कृतिक समृद्धि के कारण हमेशा से ख़ास रहा है। ओडिशा की विधाएँ हर किसी को सम्मोहित करती है, हर किसी को प्रेरित करती हैं। यहाँ का ओड़िशी नृत्य हो...ओडिशा की पेंटिंग्स हों...यहाँ जितनी जीवंतता पट्टचित्रों में देखने को मिलती है...उतनी ही बेमिसाल हमारे आदिवासी कला की प्रतीक सौरा चित्रकारी भी होती है। संबलपुरी, बोमकाई और कोटपाद बुनकरों की कारीगरी भी हमें ओडिशा में देखने को मिलती है। हम इस कला और कारीगरी का जितना प्रसार करेंगे, उतना ही इस कला को संरक्षित करने वाले उड़िया लोगों को सम्मान मिलेगा।

साथियों,

हमारे ओडिशा के पास वास्तु और विज्ञान की भी इतनी बड़ी धरोहर है। कोणार्क का सूर्य मंदिर… इसकी विशालता, इसका विज्ञान...लिंगराज और मुक्तेश्वर जैसे पुरातन मंदिरों का वास्तु.....ये हर किसी को आश्चर्यचकित करता है। आज लोग जब इन्हें देखते हैं...तो सोचने पर मजबूर हो जाते हैं कि सैकड़ों साल पहले भी ओडिशा के लोग विज्ञान में इतने आगे थे।

साथियों,

ओडिशा, पर्यटन की दृष्टि से अपार संभावनाओं की धरती है। हमें इन संभावनाओं को धरातल पर उतारने के लिए कई आयामों में काम करना है। आप देख रहे हैं, आज ओडिशा के साथ-साथ देश में भी ऐसी सरकार है जो ओडिशा की धरोहरों का, उसकी पहचान का सम्मान करती है। आपने देखा होगा, पिछले साल हमारे यहाँ G-20 का सम्मेलन हुआ था। हमने G-20 के दौरान इतने सारे देशों के राष्ट्राध्यक्षों और राजनयिकों के सामने...सूर्यमंदिर की ही भव्य तस्वीर को प्रस्तुत किया था। मुझे खुशी है कि महाप्रभु जगन्नाथ मंदिर परिसर के सभी चार द्वार खुल चुके हैं। मंदिर का रत्न भंडार भी खोल दिया गया है।

साथियों,

हमें ओडिशा की हर पहचान को दुनिया को बताने के लिए भी और भी इनोवेटिव कदम उठाने हैं। जैसे....हम बाली जात्रा को और पॉपुलर बनाने के लिए बाली जात्रा दिवस घोषित कर सकते हैं, उसका अंतरराष्ट्रीय मंच पर प्रचार कर सकते हैं। हम ओडिशी नृत्य जैसी कलाओं के लिए ओडिशी दिवस मनाने की शुरुआत कर सकते हैं। विभिन्न आदिवासी धरोहरों को सेलिब्रेट करने के लिए भी नई परम्पराएँ शुरू की जा सकती हैं। इसके लिए स्कूल और कॉलेजों में विशेष आयोजन किए जा सकते हैं। इससे लोगों में जागरूकता आएगी, यहाँ पर्यटन और लघु उद्योगों से जुड़े अवसर बढ़ेंगे। कुछ ही दिनों बाद प्रवासी भारतीय सम्मेलन भी, विश्व भर के लोग इस बार ओडिशा में, भुवनेश्वर में आने वाले हैं। प्रवासी भारतीय दिवस पहली बार ओडिशा में हो रहा है। ये सम्मेलन भी ओडिशा के लिए बहुत बड़ा अवसर बनने वाला है।

साथियों,

कई जगह देखा गया है बदलते समय के साथ, लोग अपनी मातृभाषा और संस्कृति को भी भूल जाते हैं। लेकिन मैंने देखा है...उड़िया समाज, चाहे जहां भी रहे, अपनी संस्कृति, अपनी भाषा...अपने पर्व-त्योहारों को लेकर हमेशा से बहुत उत्साहित रहा है। मातृभाषा और संस्कृति की शक्ति कैसे हमें अपनी जमीन से जोड़े रखती है...ये मैंने कुछ दिन पहले ही दक्षिण अमेरिका के देश गयाना में भी देखा। करीब दो सौ साल पहले भारत से सैकड़ों मजदूर गए...लेकिन वो अपने साथ रामचरित मानस ले गए...राम का नाम ले गए...इससे आज भी उनका नाता भारत भूमि से जुड़ा हुआ है। अपनी विरासत को इसी तरह सहेज कर रखते हुए जब विकास होता है...तो उसका लाभ हर किसी तक पहुंचता है। इसी तरह हम ओडिशा को भी नई ऊचाई पर पहुंचा सकते हैं।

साथियों,

आज के आधुनिक युग में हमें आधुनिक बदलावों को आत्मसात भी करना है, और अपनी जड़ों को भी मजबूत बनाना है। ओडिशा पर्व जैसे आयोजन इसका एक माध्यम बन सकते हैं। मैं चाहूँगा, आने वाले वर्षों में इस आयोजन का और ज्यादा विस्तार हो, ये पर्व केवल दिल्ली तक सीमित न रहे। ज्यादा से ज्यादा लोग इससे जुड़ें, स्कूल कॉलेजों का participation भी बढ़े, हमें इसके लिए प्रयास करने चाहिए। दिल्ली में बाकी राज्यों के लोग भी यहाँ आयें, ओडिशा को और करीबी से जानें, ये भी जरूरी है। मुझे भरोसा है, आने वाले समय में इस पर्व के रंग ओडिशा और देश के कोने-कोने तक पहुंचेंगे, ये जनभागीदारी का एक बहुत बड़ा प्रभावी मंच बनेगा। इसी भावना के साथ, मैं एक बार फिर आप सभी को बधाई देता हूं।

आप सबका बहुत-बहुत धन्यवाद।

जय जगन्नाथ!