The Awas Yojana is not merely about brick and mortar. It is about a better quality of life and dreams coming true: PM Modi
We are working towards ensuring that every Indian has a home by 2022, when India marks 75 years since Independence: PM Modi
We have been working to free the housing sector from middlemen, corruption and ensuring that the beneficiaries get their own home without hassles: PM
The housing sector is being invigorated with latest technology. This is enabling faster construction of affordable houses for the poor in towns and villages, says PM
PMAY is linked to dignity of our citizens, says PM Modi

আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা , নমস্কার,

আমি বরাবরই চেষ্টা করি সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প সাধারণ মানুষের জীবনে কেমন পরিবর্তন এনেছে সেই বিষয়ে তাদের মধ্যে গিয়ে সরাসরি তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানতে। ঠিক কিম্বা ভুল, ভাল কিম্বা খারাপ, এর ফলে সমস্যা আরও বেড়েছে নাকি কমেছে; এই সমস্ত বিষয়ে আপনাদের কাছ থেকে জানতে পারা আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সরকারি আধিকারিকরা যে রিপোর্ট প্রস্তুত করেন, তার একটা আলাদা গুরুত্ব আছে। কিন্তু আমি সরাসরি সুবিধাভোগীদের সঙ্গে দেখা করে, কথা বলে অনেক নতুন জিনিস জানতে পারি। যেমন উজ্জ্বলা যোজনার সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলে একটি অপ্রত্যাশিত তথ্য জেনেছিলাম। উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস সংযোগপ্রাপ্ত মহিলারা আমাকে জানান যে, এর ফলে আমাদের অনেক জল সাশ্রয় হয়েছে।

আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করি, জল আবার কিভাবে বাঁচল?

তাঁরা বলেন, কাঠের উনুনে যখন রান্না করতাম, সমস্ত বাসন কালো হয়ে যেত। দিনে তিন চারবার বাসন ধুতে অনেক জল লাগতো। এখন গ্যাসের উনুনে রান্না করি তাই এত ঘন ঘন বাসন মাজতে হয় না, তাই জল বাঁচে! এভাবে সরাসরি কথা বলে অনেক নতুন নতুন জিনিস জানি। সেই ক্রমে আজ আমি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছি। যারা গৃহ নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত আর যারা কিছুদিন পর নিশ্চিতভাবেই নিজের বাড়ি পেতে চলেছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছে।

আপনারা জানেন যে প্রত্যেক ব্যক্তির মনে সবসময়ই একটা ইচ্ছা থাকে যে, তাঁর একটা নিজস্ব বাড়ি থাকুক। দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর মানুষের মনেও নিজস্ব বাড়ির স্বপ্ন থাকে। যত ছোটই হোক না কেন, নিজের বাড়ি থাকার যে সুখানুভূতি তা যে বাড়ি পেয়েছে সে-ই জানে, অন্য কেউ জানে না! আমি আপনাদের টিভির মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি, প্রযুক্তির মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি, আপনাদের চেহারায় যে খুশি দেখতে পাচ্ছি, সন্তুষ্টির ভাব দেখতে পাচ্ছি, যেন বেঁচে থাকার জন্য নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে! নিজের চোখে আপনাদের চেহারায় এই উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখতে পেয়ে আমারউৎসাহকয়েকগুণ বেড়ে যায়। তখন আমার মনে আরও কাজ করার ইচ্ছে জাগে। আপনাদের মুখে হাসি আমাকে আনন্দ দেয়।

কোনও আবাস যোজনার অর্থ শুধুই মানুষকে মাথা গোঁজার ঠাই করে দেওয়া নয়। বাড়ি মানে শুধু চারপাশের দেওয়ালের ওপর একটা ছাদ নয়। বাড়ি মানে সেই স্থান… যেখানে জীবন ধারণ করা যায়, সমস্ত সুবিধা থাকে, পরিবারের সবাই আনন্দে থাকেন!

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মূলেও একই ভাবনা রয়েছে। সবার মনেই নিজস্ব বাড়ির স্বপ্ন থাকে। দরিদ্র থেকে দরিদ্র মানুষও চান যে তাঁর নিজস্ব পাকাবাড়ি হোক! কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার এত বছর পরও গরিবের ইচ্ছা অপূর্ণ রয়েছে। বর্তমান সরকার সংকল্প নিয়েছে যে ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির আগেই যতটা প্রয়োজন দৌড়ঝাপ করে, ভারতের গ্রাম ও শহরের প্রতিটি বস্তি ও ফুটপাথে বসবাসকারী, প্রতিটি পরিবারের জন্য  প্রধানমন্ত্রীআবাসযোজনারমাধ্যমেগৃহনির্মাণ করবে! যেমন তেমন বাড়ি নয়, সেই বাড়িতে সৌভাগ্য যোজনার বিদ্যুৎ সংযোগ থাকবে, জলের কল থাকবে, সেই নলে পানীয় জল আসবে, বাড়িতে স্বতন্ত্র শৌচালয় থাকবে, যাতে বাড়ির সবার মনে হয় যে, জীবন এখন বেঁচে থাকার যোগ্য হয়ে উঠেছে, এখন পরিশ্রম করে এগিয়ে যাওয়ার পথ তৈরি করতে হবে! দরিদ্র থেকে দরিদ্র মানুষ শুধু বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা পাবেন না, মান-স্মমান এবং পারিবারিক গরিমা বৃদ্ধির সুযোগও পাবেন। সকলের জন্য নিজস্ব বাড়ি – এটা আমাদের স্বপ্ন এবং এর বাস্তবায়ন আমাদের সংকল্প।

কোটি কোটি মানুষের এই দেশে এই সংকল্প বাস্তবায়ন সহজ কাজ নয়। অনেক বড় সমস্যা, সমাধান অনেক কঠিন। স্বাধীনতার পর থেকে এতবছরের অভিজ্ঞতা বলে যে এটা অসম্ভব কাজ। তা সত্ত্বেও গরিব মানুষের জীবন, গৃহহীণদের কথা ভেবে, আপনাদের প্রতি ভালবাসা থেকে এত বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সরকারি ব্যবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট সবাই কাজ করা শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু শুধু ইচ্ছাশক্তি দিয়ে সবকিছু করা যায় না। তাঁর জন্য পরিকল্পনা চাই, গতি চাই, জনগণের বিশ্বাস ও সমর্থন চাই। জনগণের জন্য কাজ করার সমর্পণ ভাব চাই। এই সমস্যা সমাধানের জন্য পূর্ববর্তী সরকারগুলির প্রচেষ্টা কেমন ছিল, কিভাবে কাজ শুরু হতো, কেমন কাজ হতো – এই সবকিছু আপনারা জানেন।

আমার মনে হয় আজ এই প্রক্রিয়ায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। আগে কখনও মন্দিরের নামে, সম্প্রদায়ের নামে, বস্তির নামে সরকারি আবাসন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে, কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধির বাহানায় এই প্রয়াস অপর্যাপ্ত থেকে গেছে। তারপর এই প্রকল্প বড় নেতার নামে, একটি পরিবারের সদস্যদের নামে চালু হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষের জন্য গৃহনির্মাণ থেকে বেশি রাজনৈতিক লাভের কথা মাথায় রেখে এগিয়ে যাওয়া ছিল। তাই সারাদেশে দালালদের একটি বড় বাহিনী গড়ে উঠেছিল, আর ঠিকেদারদের ছিল পোয়াবারো! আমরা একটি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এই সমস্যা সমাধানের কথা ভেবেছি। বিচ্ছিন্নভাবে না ভেবে মিশনমোডে কাজ করার সংকল্প নিয়েছি। আমরা ঠিক করেছি যে ২০২২ সালের মধ্যে গ্রামাঞ্চলে তিন কোটি আর শহরাঞ্চলে এক কোটি গৃহ নির্মাণ করব!  লক্ষ্য যখন এত বড়, লক্ষ্যপূরণের বাজেটও বড় হবে। একটা সময় ছিল, যখন বরাদ্দ করা বাজেট অনুসারে লক্ষ্য নির্ধারিত হ’ত। কিন্তু এখন আমরা আগে দেশের অগ্রাধিকার বিবেচনা করে লক্ষ্য স্থির করি। তারপর, সেই অনুযায়ী বাজেট বরাদ্দ করি। পরিণামস্বরূপ, শহরাঞ্চলেও কাজ হচ্ছে।

ইউপিএ সরকার শেষ ১০ বছরে যত গৃহনির্মাণের আবেদন মঞ্জুর করেছে, বিগত চার বছরে তারচেয়ে প্রায় চারগুণ বেশি আমরা মঞ্জুর করেছি। ইউপিএ সরকার শেষ ১০ বছরে সাড়ে তেরো লক্ষ আবেদন মঞ্জুর করেছিল। আমরা চার বছরে প্রায় ৪৭ লক্ষ মঞ্জুর করেছি। এগুলির মধ্যে ৭ লক্ষ গৃহ নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে নির্মিত হচ্ছে।

সুলভে গৃহনির্মাণের ক্ষেত্রে বিশ্বমানের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য গ্লোবাল হাউসিং টেকনোলজি চ্যালেঞ্জ কর্মসূচির সূত্রপাত করেছি। একইভাবে, গ্রামাঞ্চলে বিগত সরকারের শেষ চার বছরে প্রায় সাড়ে পঁচিশ লক্ষ গৃহ নির্মিত হয়েছে। আর আমাদের সরকার বিগত চার বছরে ১ কোটিরও বেশি গৃহ নির্মাণ করেছে। অর্থাৎ ৩২৫ শতাংশেরও বেশি কাজ। আগে প্রত্যেকটি বাড়ি বানানোর জন্য নির্ধারিত সময় ছিল ১৮ মাস। আমরা গুরুত্ব বুঝে, গতি বাড়িয়ে ১৮ মাসের কাজ ১২ মাসে সম্পন্ন করার সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।

শুধু ইঁট আর পাথর দ্রুতগতিতে ফেললে তাড়াতাড়ি বাড়ি তৈরি হয় না। প্রতিটি স্তরে পরিকল্পনামাফিক পদ্ধতিতে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হয়। শুধু পরিমাণ নয়, আকারের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে গ্রামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার গৃহনির্মাণের ন্যূনতম ক্ষেত্রফল ছিল ২০ বর্গমিটার; আমরা দায়িত্ব নিয়ে সেই ন্যূনতম ক্ষেত্রফল বাড়িয়ে ২৫ বর্গ মিটার করেছি। আপনারা হয়তো ভাবছেন, এই ৫ বর্গ মিটার বাড়িয়ে কী হবে? এই বৃদ্ধির ফলে সব থেকে বড় লাভ হয়েছে যে এবার বাড়ির সঙ্গে একটি ৫ বর্গ মিটার ক্ষেত্রফলের রান্নাঘর যুক্ত হয়েছে।

আগে গ্রামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি বানানোর জন্যে ৭০-৭৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হতো। এখন সেই রাশি বাড়িয়ে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা করে দিয়েছি। এই টাকা এবং মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি আইনের সুবিধাভোগীদের ৯০-৯৫ দিনের পারিশ্রমিক সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে জমা হয়।

তাছাড়া এখন আলাদা করে শৌচালয় নির্মাণের জন্য ১২ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। আগে দালালদের কিম্বা নেতাদের অট্টালিকা অনায়াসে তৈরি হলেও গরিবের গৃহনির্মাণ হতো না। গরিবের টাকায় কেউ যাতে সিঁদ না কাটতে পারে, অন্য কেউ যেন তাঁদের লুটতে না পারে, তার পাকা ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

আজ ডিবিটি বা ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্র্যান্সফার এর মাধ্যমে দালাল অপসারণ সম্ভব হয়েছে। আর সুবিধাভোগীদের ভর্তুকি এবং অনুদানের টাকা সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হচ্ছে। প্রথমে জন ধন অ্যাকাউন্ট খুলিয়েছি, এখন টাকা পাঠানো শুরু করেছি।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা কর্মসূচির প্রগতি তদারকির সুবিধার্থে এই নির্মীয়মান বাড়িগুলির জিও-ট্র্যাকিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে, যাতে কাজ ও লেনদেনের স্বচ্ছ প্রক্রিয়া বজায় থাকে। এই কাজগুলিকে ‘দিশা পোর্টাল’-এর সঙ্গেও যুক্ত করা হয়েছে, যা দেখে আপনিও তদারকি করতে পারবেন। আমিও অফিসে বসে তদারকি করি, কতটা কাজ হয়েছে আর কোথায় কোথায় হয়েছে।

 

ইউপিএ-র আমলে পুরনো রাজনীতিবিদদের হাতে তৈরি বিপিএল তালিকার সাহায্যে সুবিধাভোগীদের বেছে নেওয়া হ’ত কিন্তু আমরা সামাজিক-অর্থনৈতিক-জাতি জনগণনার মাধ্যমে নির্বাচন করা শুরু করেছি। ফলে, অধিকাংশ মানুষের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় প্রত্যেক ক্ষেত্র, প্রত্যেক বর্গের মানুষ লাভবান হচ্ছেন।

 

বাড়ি শুধু প্রয়োজন নয়, সম্মান ও স্বাভিমানের সঙ্গে যুক্ত। একবার বাড়ি তৈরি হয়ে গেলে বাড়ির প্রত্যেক সদস্যের ভাবনাও বদলায়। এগিয়ে যাওয়ার সাহস তৈরি হয়। আমরা প্রত্যেক পরিবারের এই প্রয়োজন মিটিয়ে তাঁদের সম্মান বাড়াতে চাই। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় সমাজের দুর্বল অংশ এবং মহিলা, আদিবাসী, দলিত, পিছিয়ে পড়া মানুষ, তপশিলি জাতি/উপজাতি, অন্যান্য পিছিয়ে পড়া মানুষ, সংখ্যালঘু আর আমাদের দিব্যাঙ্গ ভাই-বোনেদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

 

এভাবে পরিকল্পনামাফিক ব্যাপক প্রচেষ্টার ফলে আরও দ্রুতগতিতে গৃহনির্মাণ হচ্ছে। আমাদের পা মাটিতে রয়েছে। আমরা সাধারণ মানুষের সমস্যা, তাঁদের পীড়াকে খুব ভালোভাবে জানি ও বুঝি। আর সেজন্যই আমরা মানুষের প্রয়োজন বুঝে কাজ করি। আগে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ স্বতন্ত্রভাবে হ’ত। বিভিন্ন মন্ত্রক, বিভাগ ও প্রকল্পগুলির মধ্যে কোনও সমন্বয় থাকত না।

 

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বিভিন্ন সরকারি যোজনাকে একসঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। নির্মাণ ও কর্মসংস্থানের জন্য একে মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি আইনের সঙ্গে, শৌচালয়, বিদ্যুৎ, পানীয়জল ও এলপিজি গ্যাসের সুবিধার জন্য যথাক্রমে স্বচ্ছ ভারত মিশন, পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রাম জ্যোতি যোজনা, সৌভাগ্য যোজনা, গ্রামীণ পানীয় জল কর্মসূচি এবং উজ্জ্বলা যোজনার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ এই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নেহাতই গৃহনির্মাণেই সীমিত নয়, একে আমরা সার্বিক ক্ষমতায়নের মাধ্যম করে তুলেছি। শহরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার গৃহ-প্রাপকদের ৭০ শতাংশ হলেন মহিলা।

আজ আগের তুলনায় অনেক বেশি গৃহনির্মিত হওয়ায় এ থেকে কর্মসংস্থানও অনেক বেশি হচ্ছে। স্থানীয় স্তরে ইঁট, বালি ও সিমেন্টের মতো নির্মাণ সামগ্রীর বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় শ্রমিক ও কারিগরদের কর্মসংস্থান হচ্ছে। এই গৃহ নির্মাণের উৎকর্ষ বজায় রাখতে সরকার সারা দেশে ১ লক্ষ রাজমিস্ত্রির গুণবত্তা প্রশিক্ষণ চালু করেছে। আপনারা শুনলে খুশি হবেন যে, রাজমিস্ত্রিদের পাশাপাশি, রানীমিস্ত্রিদেরও প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। এটিও মহিলা ক্ষমতায়নের বড় উদাহরণ।

 

শহরাঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে অধিকাংশ মানুষকে সুবিধাভোগী করে তুলতে সরকার চারটি মডেল নিয়ে কাজ করছে। আর শহরাঞ্চলে গৃহনির্মাণের খরচও বৃদ্ধি করে গৃহ প্রতি দেড় লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হচ্ছে।

 

লিঙ্ক সাবসিডি স্কিমের বা সংযোগ ভর্তুকি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রদত্ত ঋণের সুদে ৩-৬ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। প্রকল্প এলাকার উন্নয়নের জন্য সরকার গৃহ প্রতি ১ লক্ষ টাকা অনুদান দিচ্ছে। অথবা সরকারি ক্ষেত্রের সঙ্গে অংশীদারিত্বে নির্মিত সুলভ গৃহনির্মাণের ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের গৃহ প্রতি দেড় লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হচ্ছে। গরিব ও মধ্যবিত্ত গৃহ ক্রেতাদের স্বার্থ রক্ষার্থে আমরা রেরা বা রিয়াল এস্টেট রেগুলেশন অ্যাক্ট চালু করেছি। এই আইন এতটাই স্বচ্ছ যে ক্রেতাদের অধিকার সুরক্ষিত থাকা নিশ্চিত, নির্মাতারা এখন তাঁদের ঠকাতে ভয় পাচ্ছেন।

 

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় যাঁরা শুরুতেই গৃহ পেয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, এই প্রকল্প তাঁদের আশা-আকাঙ্খাকে কতটা বাস্তবায়িত করেছে। বাসস্থান সুনিশ্চিত হওয়ায় পরিবারের সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্বাস্থ্যও ভালো থাকছে। একটি প্রবাদ আপনারাও শুনেছেন আমিও শুনেছি – ‘সারা জীবন কেটে যায় নিজের মতো ঘর বানাতে’। বর্তমান সরকার এই প্রবাদকে বদলে দিতে চায়। সময় এসেছে এখন দেশের প্রতিটি নাগরিক মনের সুখে বলবেন, ‘জীবন কাটছে নিজের বাড়ির ছাদের নীচে’।

 

আমি মানি যে, এত বড় ব্যবস্থায় এখনও অনেকে আছেন, যাঁদের পুরনো অভ্যাস বদলায়নি। সেজন্য আপনাদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে সুবিধা পেতে কেউ যদি আপনার কাছে ঘুষ বা অবাঞ্ছিত কিছু চায়, সে যেই হন না কেন, তার বিরুদ্ধে নির্দ্বিধায় আপনার জেলাশাসক কিংবা আপনার অঞ্চলের মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন।

 

আমি আগেও বলেছি যে, ভারতের স্বপ্ন ও আকাঙ্খা এই সামান্য ইচ্ছে পূরণের মাধ্যমে সম্পূর্ণ হবে না। আমরা একটি শক্তিশালী পরিকাঠামো গড়ে তুলছি। কিন্তু আমাদের সকলের সামনে কাজ করার জন্য রয়েছে অসীম আকাশ। সকলের জন্য বাড়ি, বিদ্যুৎ, রান্নার গ্যাসের সংযোগ, ব্যাঙ্ক ও বিমার সুবিধা এনে দিতে পারলে তবেই এই নতুন ভারতের সম্পূর্ণ চিত্র গড়ে উঠবে।

 

আধুনিক পরিষেবাযুক্ত গ্রাম ও সমাজ গঠনের লক্ষ্যে আমরা দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছি। আর সেজন্য আজ এত বিশাল সংখ্যক ভাই ও বোনেদের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে ও প্রযুক্তির মাধ্যমে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছি …… একটি ছোট্ট ভিডিও আপনাদের দেখাতে চাই। তারপর আমি আপনাদের কথা শুনতে চাই।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।