Poorvanchal Expressway would transform the towns and cities that it passes through: PM Modi
Connectivity is necessary for development: PM Narendra Modi
Sabka Saath, Sabka Vikaas is our mantra; our focus is on balanced development: PM
PM Modi slams opposition for obstructing the law on Triple Talaq from being passed in the Parliament

উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল শ্রদ্ধেয় রাম নায়েক মহোদয়, রাজ্যের যশস্বী পরিশ্রমী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, সদা হাস্যময় উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য, কেন্দ্রীয় শিল্প বিকাশ প্রতিমন্ত্রী সতীশ মহানা, রাজ্যের মন্ত্রী ভাই দারাসিং, সংসদ সদস্য ও বিজেপি-র প্রদেশ অধ্যক্ষ মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডে, সংসদ সদস্য আমার বোন নিলম সোনকর, স্থানীয় বিধায়ক অরুণ এবং বিপুল সংখ্যায় আগত আমার ভাই ও বোনেরা।

মুনি-ঋষিদের সাধনা ক্ষেত্র ও সাহিত্য জগতের অনেক মণীষীর জন্মস্থান আজমগড়ের এই পুণ্যভূমিকে আমি প্রণাম জানাই। আজ উত্তর প্রদেশের উন্নয়নে এক নতুন অধ্যায় যুক্ত হওয়ার সূত্রপাত হ’ল। পূর্ব ভারতে পূর্ব উত্তর প্রদেশের একটি বড় অঞ্চলে উন্নয়নের নতুন গঙ্গা প্রবাহিত হবে। এই গঙ্গা পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেস রূপে আপনারা পাবেন, যার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সৌভাগ্য আমার হ’ল।

বন্ধুগণ, আমরা উত্তর প্রদেশের উন্নয়নকে এমন গতি প্রদান করতে চাই, যাতে সমস্ত পিছিয়ে পড়া অঞ্চল দ্রুত অন্যান্য অঞ্চলের সমকক্ষ হয়ে ওঠে। চার বছর আগে আপনারা ভারতীয় জনতা পার্টিকে বিপুল ভোটে জয়ী করে কেন্দ্রে সরকার গঠনের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমাকে কাশী থেকে নির্বাচিত করেছেন। আমাদের কাজ দেখে গত বছর আপনারা আরেকটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তা হল, রাজ্যেও ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার। যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে গত এক বছরে এই সরকার এমন কাজ করেছে, যা অভূতপূর্ব। অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করে দুর্নীতি দূরীকরণের মাধ্যমে আদিত্যনাথ যোগী রাজ্যে এমন বাণিজ্য-বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন যে, দেশ ও বিদেশের অনেক বিনিয়োগকারী গত এক বছরে এই রাজ্যে রেকর্ড পরিমাণ বিনিয়োগ করেছেন। কৃষক, যুবক-যুবতী, পীড়িত-শোষিত-বঞ্চিত সকলের উত্থানের জন্য সংকল্প গ্রহণ করে এই সরকার আপনাদের সঙ্গে নিয়ে এই সাফল্য অর্জন করেছে। গত ১০ বছরে উত্তর প্রদেশের যে নেতিবাচক পরিবেশ গড়ে উঠেছিল, তা এখন বদলে গেছে। এখন জনগণের টাকা জনগণের মঙ্গলের জন্যই খরচ হয়। এই পরিবর্তিত কর্মসংস্কৃতি উত্তর প্রদেশকে ভবিষ্যতে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

ভাই ও বোনেরা, পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে গোটা উত্তর প্রদেশ, বিশেষ করে পূর্ব উত্তর প্রদেশের আশা-আকাঙ্খা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। ২৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের লক্ষ্ণৌ থেকে গাজিপুর ৩৪০ কিলোমিটার পথে যতগুলি শহর, আধা-শহর ও গ্রাম পড়ে – প্রতিটি অঞ্চলের চিত্র বদলে যাবে। দিল্লি থেকে গাজিপুরের দূরত্বও অনেক ঘন্টা কমে যাবে। ফলে, দীর্ঘ যানজটের হাত থেকে মানুষ রেহাই পাবেন, সময়ের পাশাপাশি জ্বালানি সাশ্রয়ও হবে, পরিবেশও দূষণমুক্ত হবে। আমি নিশ্চিত যে, এই বিশাল এলাকার কৃষক, পশুপালক, তাঁতি, কুমোরদের জীবনে এই এক্সপ্রেসওয়ে নতুন গতি প্রদান করবে। কৃষক ভাই-বোণদের উৎপাদিত শস্য, ফল, সব্জি, দুধ অনেক কম সময়ে দিল্লির বাজারগুলিতে পৌঁছে যাবে। এই পথ হয়ে উঠবে দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প মহাসড়ক। এই পথের দু’পাশে নতুন নতুন শিল্প বিকশিত হবে। ফলে অনেক নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রশিক্ষণ সংস্থা, শিল্প শিক্ষণ ব্যবস্থাপনা ও মেডিকেল কলেজ স্থাপনের সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি, উন্নত হবে এই অঞ্চলের পর্যটন। এই অঞ্চলে আমাদের যে গুরুত্বপূর্ণ পৌরাণিক স্থানগুলি রয়েছে, আমাদের ঋষি-মুনিদের ভজন-পূজনের ইতিহাস রয়েছে, ভগবান রামের কীর্তি জড়িত এই অঞ্চলগুলির পর্যটন আরও বিকশিত হলে স্থানীয় যুবক-যুবতীরা পারম্পরিক পেশার পাশাপাশি পর্যটন ক্ষেত্রেও কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন।

বন্ধুগণ, আমাকে বলা হয়েছে যে, আগামীদিনে গোরখপুর ও বুন্দেলখন্ডকেও এরকম দুটি স্বতন্ত্র এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে যুক্ত করা হবে। এই সকল প্রচেষ্টা উত্তর প্রদেশের যোগাযোগ ও পরিবহণ ব্যবস্থাকে নতুন স্তরে পৌঁছে দেবে। একবিংশ শতাব্দীর উন্নয়নের বুনিয়াদী শর্ত হ’ল যোগাযোগ ও পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়ন। এই উন্নয়ন নতুন কর্মসংস্থান, নতুন ব্যবসা ও শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে দেশের নিম্নবর্গের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার কাজ ত্বরান্বিত করবে।

ভাই ও বোনেরা, আমাদের কাজ করার ইচ্ছে থাকলে আর উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করলে গতি নিজে থেকেই বৃদ্ধি পায়। ফাইলগুলি লাল ফিতের ফাঁসে আটকে থাকে না। সেজন্য গত ৪ বছরে উত্তর প্রদেশে জাতীয় মহাসড়কের জাল দ্বিগুণ বিস্তৃত হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৪ সালের আগে পর্যন্ত যত কাজ হয়েছে বিজেপি সরকার গত চার বছরে সমপরিমাণ কাজ করে দেখিয়েছে। তারপর এই রাজ্যে যোগীজির নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর কাজের গতি আরও বেড়ে গেছে। উত্তর প্রদেশে সড়কপথের পাশাপাশি জলপথ ও আকাশপথের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। গঙ্গানদীতে বেনারস থেকে হলদিয়া পর্যন্ত জাহাজ পরিষেবা চালু হলে গোটা অঞ্চলে শিল্পোন্নয়ন নতুন মাত্রা পাবে। তাছাড়া, বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রে আমার যে স্বপ্ন ছিল, হওয়াই চপ্পল পরিহিত মানুষ যাতে সহজে বিমানে চড়তে পারেন, সেই স্বপ্ন মাথায় রেখে সরকার উড়ান যোজনাকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। ছোট ছোট শহরগুলিতে বিমান পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। উত্তর প্রদেশে ১২টি নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ চলছে। পাশাপাশি, কুশীনগড় ও জেওয়োরে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ চলছে।

ভাই ও বোনেরা, মোদী ও যোগী আপনাদের পরিবার মানুষ আপনাদের স্বপ্ন আর আমাদের স্বপ্ন এক। গরিব পরিবারের সন্তান হিসাবে আমরা গরিব ও মধ্যবিত্তদের আশা-আকাঙ্খাকে গভীরভাবে বুঝতে পারি। সেজন্য উড়ান যোজনায় এক ঘন্টা সফরের জন্য কোনও যাত্রীকে যেন আড়াই হাজার টাকার বেশি ভাড়া না দিতে হয়, তা আমরা সুনিশ্চিত করেছি। ফলস্বরূপ, গত বছর সারা দেশে যত মানুষ রেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় যাতায়াত করেছেন, তারচেয়ে বেশি মানুষ বিমানে যাতায়াত করেছেন। বন্ধুগণ, পূর্ববর্তী সরকারগুলির নীতি এমনই ছিল যে, পূর্ব উত্তর প্রদেশ সহ গোটা পূর্ব ভারত দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় পিছিয়ে ছিল। অথচ আমি মনে করি যে, পূর্ব ভারতের প্রতিটি অঞ্চলের জনগণের সামর্থ্য রয়েছে যে, তাঁরা এই অঞ্চলের উন্নয়নকে কয়েকগুণ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। সেই সম্ভাবনাকে জাগিয়ে রেখে আমরা গোটা পূর্ব ভারতের চেহারা বদলে দিতে চাই।

বন্ধুগণ, যতক্ষণ পূর্বদিকে উন্নয়নের সূর্য উঠবে না, ততক্ষণ নতুন ভারত উজ্জ্বল হয়ে উঠবে না। সেজন্য গত চার বছরে আমরা পূর্ব উত্তর প্রদেশ থেকে শুরু করে বিহার, ঝাড়খন্ড, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, আসাম ও উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যান্য রাজ্যের উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়ে ঐ অঞ্চলের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে গেছি। সড়ক, রেল ও বিমানবন্দরের অনেক নতুন নতুন প্রকল্প মঞ্জুর করা হয়েছে। নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ, এইম্‌স নির্মাণের প্রকল্প মঞ্জুর হয়েছে। বন্ধ হয়ে থাকা সার কারখানাগুলিকে নতুন করে চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি। এভাবেই আমরা নতুন ভারতের উন্নয়নে ভারসাম্য আনতে ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে চলেছি। সবাইকে সমান সুযোগ দিলে উন্নয়নে ভারসাম্য আসবেই। আমরা দেশে গ্রাম-কেন্দ্রিক উন্নয়নে জোর দিয়েছি। দেশের প্রতিটি বড় পঞ্চায়েতকে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে যুক্ত করার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। ইতিমধ্যেই লক্ষাধিক পঞ্চায়েতকে যুক্ত করা হয়েছে। তিন লক্ষেরও বেশি কমনসার্ভিস সেন্টার, গ্রাম ও গরিবের ক্ষমতায়নের কাজ, তাঁদের জীবনকে সহজতর করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। এছাড়া, দেড় লক্ষেরও বেশি ‘ওয়েলনেস সেন্টার’ গড়ে তুলে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছি।

বন্ধুগণ, বিগত চার বছরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা এবং পূর্ববর্তী সরকারের চালু আবাস যোজনাগুলির অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে দেশে দরিদ্রদের জন্য ১ কোটিরও বেশি গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম-সড়ক যোজনার মাধ্যমে দেশের প্রত্যেক গ্রামকে সড়কপথে যুক্ত করার কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। মহাত্মা গান্ধী দেশ ও গ্রামে যে স্বরাজের স্বপ্ন দেখেছিলেন, বাবাসাহেব আম্বেদকর, পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়, ডঃ রাম মনোহর লোহিয়া-রা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন – আমরা এই সকল প্রকল্পের মাধ্যমে তাঁদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, সমতা ও সাম্যের ধ্বজাধারী কয়েকটি রাজনৈতিক দল বাবাসাহেব আম্বেদকর ও রামমনোহর লোহিয়ার নামে শুধু রাজনীতি করে যাচ্ছে। আমি আজমগড়ের জনগণের কাছে জানতে চাই যে, আগের সরকারগুলি যেভাবে কাজ করেছে, তাতে কি আপনাদের কিছু ভালো হয়েছে? আজমগড় কি আরও উন্নয়নের দাবিদার ছিল না? সত্যি এটাই যে, এই দলগুলি সাধারণ মানুষের ভালো না করে শুধু নিজেদের আর পরিবারের সদস্যদের ভালো করেছে। দারিদ্র্য দূরীকরণের নামে ভোট চেয়ে, দলিত বা পিছিয়ে পড়া মানুষের নামে ভোট চেয়ে তাঁদেরই ভোটে নির্বাচিত হয়ে তাঁরা নিজেদের পারিবারিক সিন্দুক ভরা ছাড়া আর কোনও কাজ করেননি। অথচ এখন দেখুন, এতদিন যাঁরা পরস্পরের মুখদর্শন করতেন না, তাঁরা সবাই একত্রিত হয়েছেন। সকাল-সন্ধ্যা শুধুই আমার নাম জপ করেন – মোদী মোদী মোদী। এই সকল পরিবারবাদী দলগুলি আপনাদের উন্নয়নের প্রতিবন্ধক। তাঁরা আপনাদের ক্ষমতায়ন চান না। কারণ, আপনাদের ক্ষমতায়ন সুনিশ্চিত হলে তাঁদের দোকান বন্ধ হয়ে যাবে।

ভাই ও বোনেরা, তিন তালাক মামলাও এই দলগুলির মুখোশ খুলে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার যখন দেশের মহিলাদের জীবন সহজ করার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, এই সমস্ত দল মিলে তার উল্টোটা করছে, বিশেষ করে মুসলিম মা-বোনেদের জীবন আরও সঙ্কটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। লক্ষ-কোটি মুসলমান বোনদের দাবি ছিল যে, তিন তালাক বন্ধ করা হোক। বিশ্বের মুসলমান রাষ্ট্রগুলি পর্যন্ত এই কুপ্রথাকে নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু আমাদের দেশে এরা রাজনীতি করছে। আমি খবরের কাগজে পড়েছি যে, কংগ্রেস পার্টির অধ্যক্ষ শ্রীযুক্ত নামদার বলেছেন যে, কংগ্রেস মুসলিমদের দল। গত দু’দিন ধরে সারা দেশে আলোচনা হচ্ছে। আমি আশ্চর্য হইনি। কারণ, শ্রদ্ধেয় মনমোহন সিং যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি নিজেই বলেছিলেন যে, দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর মুসলমানদের অগ্রধিকার রয়েছে। আমি কংগ্রেস দলের মহামহিমের কাছে জিজ্ঞেস করতে চাই যে, কংগ্রেস মুসলামানদের দল হলে এটা কি শুধুই মুসলমান পুরুষদের নাকি মহিলারাও আছেন? মুসলমান মহিলাদের আত্মসম্মান ও তাঁদের অধিকারের স্বার্থে তাঁদের দল সংসদে আইন পাস করতে দিচ্ছেন না কেন? আমি এই পরিবারবাদী দলগুলির এই মোদী বিরোধী দলগুলিকে বলতে চাই যে, সংসদের পরবর্তী অধিবেশন শুরু হতে এখনও ৪-৫ দিন বাকি আছে। আপনারা পীড়িত মুসলমান মহিলাদের সঙ্গে দেখা করে, তালাকের কারণগুলি জেনে আসুন। আপনাদের হল্লার ফলে বীতশ্রদ্ধ ঐ মা-বোনেদের সঙ্গে দেখা করে তবেই সংসদে এসে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করুন।

ভাই ও বোনেরা, কোনও রাজনৈতিক দল অষ্টাদশ শতাব্দীর নীতি নিয়ে যতই মোদী বিরোধী শ্লোগান দিক না কেন, তাঁরা দেশের কোনও কাজে লাগবে না। ভাই ও বোনেরা, বিজেপি সরকার সংসদে আইন প্রণয়ন করে মুসলমান বোনেদের অধিকার প্রদানের যে চেষ্টা চালাচ্ছে, তার বিরোধিতা করে তাঁরা তাঁদের জীবনকে অন্ধকারেই রেখে দিতে চান। কিন্তু আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি যে, আমরা তাঁদেরকে বুঝিয়ে সম্মতি আদায় করার চেষ্টা করব।

ভাই ও বোনেরা, এমন নেতা ও তাঁদের দলগুলি থেকে সাবধান থাকার প্রয়োজন রয়েছে। নিজের স্বার্থে ডুবে থাকা মানুষ কিছুতেই জনগণ ও দেশের ভালো চাইতে পারেন না। উল্টো দিকে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের জন্য দেশই আমাদের পরিবার, ১২৫ কোটি ভারতবাসী আমাদের পরিবারের সদস্য। জন ধন যোজনার মাধ্যমে উত্তর প্রদেশের প্রায় ৫ কোটি গরিব মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। ৮০ লক্ষেরও বেশি মহিলাকে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার প্রদানের মাধ্যমে জ্বালানি কাঠের ধোঁয়া থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। মাসে মাত্র ১ টাকা এবং দিনে ৯০ পয়সা কিস্তিতে এই রাজ্যের ১ কোটি ৬০ লক্ষেরও বেশি গরিব মানুষের জীবন সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা হয়েছে। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার দেশের সকল গরিব পরিবারের যে কোনও সদস্য অসুস্থ হলে বছরে ৫ লক্ষ টাকা খরচের চিকিৎসা বিনামূল্যে প্রদান করার ব্যবস্থা গড়ে তুলছে। সম্প্রতি সরকার কৃষকদের প্রতিশ্রুতি পূরণের মাধ্যমে খরিফ চাষে ১৪টি ফসলে ন্যূনতম সমর্থন মূল্য অনেকটাই বৃদ্ধি করেছে। ধান, ভুট্টা, জোয়ার, বাজরা, অড়হর, মুগ, সূর্যমুখী, সয়াবীন, তিল ইত্যাদির সমর্থন মূল্য ২০০ টাকা থেকে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে, যাতে তাঁরা বিনিয়োগ মূল্যের দ্বিগুণ সমর্থন মূল্য পান।

বন্ধুগণ, আমাদের সরকার নাগরিকদের প্রয়োজন বুঝে প্রকল্প তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তগুলি অনেক বছর আগে নেওয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু পূর্ববর্তী সরকারগুলি লাল ফিতের ফাঁসেই জড়িয়ে থাকতো। ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার আপনাদের প্রতিটি প্রয়োজন সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে সংবেদনশীল। এখানকার বেনারসি শাড়ি শিল্প থেকে সরকার ভালোই কর পায়। কিন্তু এর সঙ্গে যুক্ত তাঁতী ভাই-বোনদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের প্রচেষ্টা কেউই করেনি। বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য আধুনিক মেশিন, স্বল্প সুদে ঋণ এবং নতুন বাজার গড়ে তোলার কাজ করেছে। গত বছরই বেনারসে ‘ট্রেড ফেসিলিটেশন সেন্টার’ চালু হয়েছে। এই কেন্দ্রটি তাঁতী ও সূচি শিল্পীদের জীবনে নতুন আশার কিরণ নিয়ে এসেছে। এর মাধ্যমে হস্তশিল্প নির্মিত কার্পেট উৎপাদনও লাভজনক হয়ে উঠেছে। আদিত্যনাথ যোগীর নেতৃত্বে রাজ্য সরকার হস্তশিল্পে নতুন নীতি প্রণয়ন করেছে। ‘এক জেলা – এক শিল্প’ প্রকল্পের মাধ্যমে উৎপাদনকে উৎসাহ যুগিয়ে এর প্রচার, প্রসার ও বাজারীকরণ প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে।

ভাই ও বোনেরা, এখানকার কালো মাটির জিনিস খুব সুন্দর। আমি আদিত্যনাথ যোগী ও তাঁর টিমকে শুভেচ্ছা জানাই যে, তাঁরা এই কালো মাটির শিল্পকে উৎসাহ যোগাতে ‘মাটি কলা বোর্ড’ গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরফলে, এই শিল্পকলা বেঁচে থাকবে, উৎকর্ষ বৃদ্ধি পাবে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

বন্ধুগণ, জনকল্যাণ ও রাষ্ট্র কল্যাণকে সর্বোপরি রেখে কাজ করলে দরিদ্র মানুষের জীবনকে সরল ও সুগম করে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করলেই এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। আগের মতোই শুধু কাগজে প্রকল্প আর ভাষণে শিলান্যাস মার্কা সরকার আমরা চালাতে চাইনি। এই পরিবর্তনের ফলেই উত্তর প্রদেশ তথা দেশের কর্মসংস্কৃতি এখন বদলে গেছে।

পূর্ব উত্তর প্রদেশের ভাই-বোনদের সেবায় এই আধুনিক এক্সপ্রেসওয়ে গড়ে তোলার কাজ শুরু হওয়ায় আমি আরেকবার আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আপনারা এই প্রখর গ্রীষ্মে এতো বিপুল সংখ্যায় এখানে এসেছেন, এই জনপ্রবাহ আপনাদের ভালোবাসার প্রতীক। আপনাদের এই আশীর্বাদ গ্রহণ করে আমি হৃদয় থেকে আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi visits the Indian Arrival Monument
November 21, 2024

Prime Minister visited the Indian Arrival monument at Monument Gardens in Georgetown today. He was accompanied by PM of Guyana Brig (Retd) Mark Phillips. An ensemble of Tassa Drums welcomed Prime Minister as he paid floral tribute at the Arrival Monument. Paying homage at the monument, Prime Minister recalled the struggle and sacrifices of Indian diaspora and their pivotal contribution to preserving and promoting Indian culture and tradition in Guyana. He planted a Bel Patra sapling at the monument.

The monument is a replica of the first ship which arrived in Guyana in 1838 bringing indentured migrants from India. It was gifted by India to the people of Guyana in 1991.