প্রথমবার জনজাতি সমাজ থেকে একজন মহিলা রাষ্ট্রপতি দেশের নেতৃত্ব দিতে চলেছেন। এটা আমাদের গণতন্ত্রের শক্তির পরিচয়, আমাদের দেশের সমতা ভাবনার জীবন্ত উদাহরণ
“ হরমোহন সিং যাদবজি তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে লোহিয়াজির নানা ভাবনা-চিন্তাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন”
“হরমোহন সিং যাদবজি শুধুমাত্র একজন শিখকে হত্যার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে ক্ষান্ত হননি, তার ওপর উঠে শিখ ভাই-বোনদের রক্ষার জন্য লড়াইয়ে সামনে এসে নেতৃত্ব দেন”
“সাম্প্রতিক বছরগুলিতে রাজনৈতিক স্বার্থ ও মতাদর্শকে দেশ ও সমাজের ঊর্ধ্বে রাখার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে”
“এটা প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব যে দলের বিরোধিতা ও ব্যক্তির বিরোধিতাকে আমরা যেন দেশের বিরোধিতায় রূপান্তরিত না করি”
“বিভিন্ন সময়ে রামায়ণ উৎসবের আয়োজন করে এবং গঙ্গার পরিবেশ রক্ষার কাজে আত্মনিয়োগের মাধ্যমে ডঃ লোহিয়া দেশের সাংস্কৃতিক শক্তিকে আরও জোরদার করে তুলতে চেয়েছিলেন”
“সামাজিক ন্যায়ের অর্থ হল সমাজের প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষ যেন সমান সুযোগ পান। জীবনের মৌলিক প্রয়োজনগুলি থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না থেকে যান”

নমস্কার!

আমি স্বর্গীয় শ্রী হরমোহন সিংহ যাদবের ১০ম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে তাঁকে সাদর প্রণাম জানাচ্ছি, আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করছি। আমি সুখরামজিকেও কৃতজ্ঞতা জানাই, কারণ তিনি অত্যন্ত ভালবাসার সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমার আন্তরিক ইচ্ছাও ছিল যে এই অনুষ্ঠানে আমি সশরীরে এসে আপনাদের সবার মাঝে উপস্থিত থাকবো। কিন্তু আজ, আমাদের দেশের জন্য একটি অনেক বড় গণতান্ত্রিক সুযোগ এসে উপস্থিত হয়েছে।আজ আমাদের দেশে নতুন রাষ্ট্রপতি মহোদয়া শপথ গ্রহণ করেছেন। স্বাধীনতার পর প্রথমবার জনজাতি সমাজ থেকে একজন মহিলা রাষ্ট্রপতি দেশের নেতৃত্ব দিতে চলেছেন। এটা আমাদের গণতন্ত্রের শক্তির পরিচয়, আমাদের দেশের সমতা ভাবনার জীবন্ত উদাহরণ। এই উপলক্ষে আজ দিল্লিতে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে। নানা সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের জন্য আজ আমার দিল্লিতে থাকা অত্যন্ত স্বাভাবিক ও প্রয়োজনীয়। সেজন্য আজ আমি আপনাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে যুক্ত হয়েছি।

বন্ধুগণ,

আমাদের দেশে মনে করা হয় যে শরীরের বিনাশ হয়ে গেলেও জীবন সমাপ্ত হয় না। শ্রীমদ্ভগবদগীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন - “নয়নং ছিন্দন্তি শস্ত্রাণি নয়নং দহতি পাবকঃ।” অর্থাৎ, আত্মা অজর, অমর, অক্ষয়। সেজন্য যাঁরা সমাজ এবং সেবার জন্য বেঁচে থাকেন, তাঁরাই মৃত্যুর পরও অমর হয়ে থাকেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে মহাত্মা গান্ধী থেকে শুরু করে স্বাধীনতার পর পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়জি, রাম মনোহর লোহিয়াজি, জয়প্রকাশ নারায়ণজির মতো কতো না মহাত্মার অমর ভাবনা আজও আমাদের প্রেরণা যোগায়। লোহিয়াজির নানা ভাবনা-চিন্তা নিয়ে উত্তরপ্রদেশের কানপুরের ভূমিতে হরমোহন সিং যাদবজি তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তিনি রাজ্য এবং দেশের রাজনীতিতেও অংশগ্রহণ করেছেন। সমাজের জন্য তিনি যে যে কাজ করে গেছেন তা পরবর্তী প্রজন্মের মানুষকে নিরন্তর পথ প্রদর্শন করছে।

বন্ধুগণ,

চৌধরি হরমোহন সিং যাদবজি তাঁর রাজনৈতিক জীবন গ্রাম পঞ্চায়েত দিয়ে শুরু করেছিলেন। তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন গ্রামসভা থেকে রাজ্যসভা পর্যন্ত এক অসাধারণ, বর্ণময় সফর। তিনি গ্রাম প্রধান নির্বাচিত হন, তারপর বিধান পরিষদের সদস্য হন এবং পরে সাংসদ নির্বাচিত হন। একটা এমন সময় ছিল যখন উত্তরপ্রদেশের রাজনীতি সঠিক দিশানির্দেশ পেত মেহরবান সিংহের পূর্বা থেকে। রাজনীতির এই শিখরে পৌঁছেও সমাজই হরমোহন সিং-জির অগ্রাধিকার ছিল। তিনি সমাজের জন্য সক্ষম নেতৃত্ব গড়ে তোলার কাজ করেছেন। তিনি যুব কর্মীদের উৎসাহ ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, লোহিয়াজির সঙ্কল্পগুলিকে বাস্তবায়িত করেছেন। আমরা ১৯৮৪-তে তাঁর এই বর্ণময় ব্যক্তিত্বকে দেখেছি। হরমোহন সিং যাদবজি শুধুমাত্র একজন শিখকে হত্যার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে ক্ষান্ত হননি, তার ওপর উঠে শিখ ভাই-বোনদের রক্ষার জন্য লড়াইয়ে সামনে এসে নেতৃত্ব দেন। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি কতো না শিখ পরিবারের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা করেছেন, কতো না নিরপরাধের জীবন বাঁচিয়েছেন। দেশও তাঁর এই নেতৃত্বকে স্বীকার করেছে, তাঁকে শৌর্যচক্র দিয়ে সম্মানিত করেছে। সামাজিক জীবনে চৌধরি হরমোহন সিং যাদবজি যে আদর্শ উদাহরণগুলি তুলে ধরেছেন তা অতুলনীয়।

বন্ধুগণ,

চৌধরি হরমোহন সিং যাদবজি সংসদে শ্রদ্ধেয় অটলজির মতো নেতাদের আমলে কাজ করেছেন। অটলজি বলতেন – “অনেক সরকার আসবে, অনেক সরকার যাবে, অনেক রাজনৈতিক দল তৈরি হবে, ভেঙেও যাবে, কিন্তু এই দেশ যেন টিকে থাকে।” এটাই আমাদের গণতন্ত্রের আত্মা। “ব্যক্তি থেকে বড় হল দল, আর দল থেকে বড় হল দেশ।” কারণ, দলগুলির অস্তিত্ব গণতন্ত্রের ফলেই আর গণতন্ত্রের অস্তিত্ব দেশ ও দেশবাসীর কারণেই। আমাদের দেশে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, বিশেষ রূপে সকল অকংগ্রেসী দলগুলি এই সিদ্ধান্তকে দেশের জন্য সহযোগিতা এবং সমন্বয়ের আদর্শরূপে পালনও করেছে। আমার মনে পরে, যখন ১৯৭১ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল তখন প্রত্যেক প্রধান রাজনৈতিক দল সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে গেছে। যখন দেশে প্রথম পরমাণু পরীক্ষা হয়েছিল তখনও সকল দল সরকারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু জরুরি অবস্থার সময় যখন দেশের গণতন্ত্রকে নিষ্পেষিত করা হয়েছিল, তখনও সমস্ত রাজনৈতিক দল, সবাই একসঙ্গে দাঁড়িয়ে সরকারকে সংবিধানকে বাঁচানোর লড়াইও লড়েছে। চৌধরি হরমোহন সিং যাদবজিও সেই লড়াইয়ের এক পরাক্রান্ত সৈনিক। অর্থাৎ, আমাদের এখানে দেশ এবং সমাজের হিতকে যে কোনও দর্শন থেকে ওপরে রাখা হয়। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক দর্শন বা নানা রাজনৈতিক স্বার্থকে সমাজ এবং দেশ হিতের থেকেও ওপরে রাখার প্রচলন শুরু হয়ে গেছে। অনেকবার তো সরকারের নানা কাজে বেশ কিছু বিরোধী দল এজন্য বাধা দেয়, কারণ তারা যখন শাসন ক্ষমতায় ছিল তখন এই সিদ্ধান্তগুলি তারা বাস্তবায়িত করতে পারেনি। এখন যদি সেই সিদ্ধান্তগুলিই বাস্তবায়িত হয় তাহলে তারা বিরোধিতা করে। দেশের জনগণ এহেন নেতিবাচক ভাবনাকে পছন্দ করেন না। এটা প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব যে দলের বিরোধিতা ও ব্যক্তির বিরোধিতাকে আমরা যেন দেশের বিরোধিতায় রূপান্তরিত না করি। বিরোধিতা ও নানা দর্শনের নিজস্ব স্থান রয়েছে আর থাকাও উচিৎ। রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা অনেকেরই থাকতে পারে কিন্তু দেশ সবার আগে, সমাজ সবার আগে, রাষ্ট্র সবার আগে।

বন্ধুগণ,

লোহিয়াজি মনে করতেন যে সমাজবাদ মানে সাম্যের সিদ্ধান্ত। তিনি প্রায়ই সতর্ক করতেন যে সমাজতন্ত্রের পতন সেসব দেশে অসাম্য সৃষ্টি করতে পারে। আমরা ভারতে এই দুই ধরনের পরিস্থিতিই দেখেছি। আমরা দেখেছি যে ভারতের মূল ভাবনাগুলিতে সমাজ বাদ-বিবাদের বিষয় নয়। আমাদের জন্য সমাজ আমাদের সামগ্রিকতার এবং সমবায়ের একটি অদ্ভুত সৃষ্টি। আমাদের জন্য সমাজ হল শিষ্টাচার, সমাজই আমাদের সংস্কৃতি ও স্বভাব। সেজন্য লোহিয়াজি ভারতের সাংস্কৃতিক সামর্থ্যের কথা বলতেন। তিনি রামায়ণ মেলা শুরু করে আমাদের দেশের ঐতিহ্য এবং চিন্তাভাবনামূলক একতার জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত করেন। তিনি গঙ্গার মতো শিষ্টাচারের নদীগুলিকে সংরক্ষণ করেন আর এসব চিন্তাভাবনা কয়েক দশক পুরনো ছিল, আজ ‘নমামি গঙ্গে’ অভিযানের মাধ্যমে দেশ তাঁর স্বপ্নগুলি বাস্তবায়িত করছে। আজ দেশ তার সমাজের জন্য বেশ কিছু সাংস্কৃতিক প্রতীক পুনরুদ্ধার করছে। এই প্রচেষ্টা সমাজের সাংস্কৃতিক চেতনাকে জীবন্ত করে তুলছে, সমাজের প্রাণশক্তিকে, আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করে তুলছে। এভাবে নতুন ভারতের জন্য দেশ তার নানা অধিকার থেকেও বেশি এগিয়ে আজ কর্তব্য নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছে। যখন কর্তব্যের এই ভাবনা শক্তিশালী হয়, তখন সমাজ নিজে থেকেই শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

বন্ধুগণ,

সমাজের সেবার জন্যও আমাদের সামাজিক ন্যায়ের ভাবনাকে স্বীকার করার প্রয়োজন রয়েছে। তার জন্য আমাদের অঙ্গীকার করতে হবে। আজ যখন দেশ তার স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে অমৃত মহোৎসব পালন করছে তখন এটা বোঝা আর এই লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সামাজিক ন্যায়ের অর্থ হল সমাজের প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষ যেন সমান সুযোগ পান। জীবনের মৌলিক প্রয়োজনগুলি থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না থেকে যান। দলিত, পিছিয়ে পড়া, বিভিন্ন জনজাতির মানুষ, মহিলা, দিব্যাঙ্গজন যখন এগিয়ে আসবেন তখনই দেশ এগিয়ে যাবে। চৌধরি হরমোহন সিং যাদবজি এই পরিবর্তনের জন্য শিক্ষাকে সবচাইতে বড় উপাদান বলে মনে করতেন। তিনি শিক্ষার ক্ষেত্রে যত কাজ করেছেন তা নবীন প্রজন্মের অনেক মানুষের ভবিষ্যৎ গঠন করেছে। তাঁর অনেক কাজকে আজ সুখরামজি এবং ভাই মোহিত এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। দেশও ‘শিক্ষা থেকে ক্ষমতায়ন আর শিক্ষাই ক্ষমতায়ন’ – এই মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে চলেছে। সেজন্য আজ দেশের মেয়েদের জন্য ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’-এর মতো অভিযান এত সফল হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার দেশের জনজাতি এলাকাগুলিতে বসবাসকারী শিশুদের জন্য একলব্য স্কুল চালু করেছে। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির মাধ্যমে মাতৃভাষায় শিক্ষার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। দেশের গ্রামে বসবাসকারী ও গরীব পরিবারগুলির ছেলেমেয়েরা যাতে ইংরেজি না জানার কারণে পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিত করতে চিকিৎসা-বিজ্ঞান ও কারিগরি বিদ্যা শিক্ষায় আঞ্চলিক ভাষায় পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবার জন্য পাকা বাড়ি, প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ, জল জীবন মিশনের মাধ্যমে প্রত্যেক বাড়িতে নলবাহিত পরিশ্রুত জল, কৃষকদের জন্য সম্মান নিধি – এই সমস্ত প্রচেষ্টা আজ দেশের গরীব, পিছিয়ে পড়া, দলিত ও বিভিন্ন জনজাতির মানুষকে, তাঁদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার শক্তি যোগাচ্ছে। দেশে সামাজিক ন্যায়ের ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করে তুলছে। স্বাধীনতার অমৃতকালের আগামী ২৫ বছর দেশে সামাজিক ন্যায়ের এই সঙ্কল্পগুলির পূর্ণ সিদ্ধির ২৫ বছর। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, দেশের এই অভিযানে আমরা সবাই নিজস্ব ভূমিকা পালন করব। আরও একবার শ্রদ্ধেয় স্বর্গীয় চৌধরি হরমোহন সিং যাদবজিকে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি। আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
'India Delivers': UN Climate Chief Simon Stiell Hails India As A 'Solar Superpower'

Media Coverage

'India Delivers': UN Climate Chief Simon Stiell Hails India As A 'Solar Superpower'
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi condoles loss of lives due to stampede at New Delhi Railway Station
February 16, 2025

The Prime Minister, Shri Narendra Modi has condoled the loss of lives due to stampede at New Delhi Railway Station. Shri Modi also wished a speedy recovery for the injured.

In a X post, the Prime Minister said;

“Distressed by the stampede at New Delhi Railway Station. My thoughts are with all those who have lost their loved ones. I pray that the injured have a speedy recovery. The authorities are assisting all those who have been affected by this stampede.”