জাপান থেকে আগত বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ এবং এইঐতিহাসিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে উপস্থিত সকল শ্রদ্ধাভাজন,
আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু শ্রীযুক্ত আবে-সান’কে আমি ভারতেএবং বিশেষ করে, গুজরাটের মাটিতে আরেকবার হৃদয় থেকে স্বাগত জানাই।
বন্ধুগণ, অসম্পূর্ণ সংকল্প আর ফ্রেমে বাঁধানোস্বপ্ন নিয়ে কোনও দেশ কখনও এগিয়ে যেতে পারে না। স্বপ্নের বিস্তারই যে কোনও দেশ ওসমাজকে, যে কোনও ব্যক্তির উড়াল নির্দিষ্ট করার সামর্থ্য বলে। আমাদের নতুন ভারতেরস্বপ্নের বিস্তার, তার উড়াল অসীম, তার ইচ্ছাশক্তি অপরিসীম।
আজ ভারত তার অনেক বছর পুরনো স্বপ্ন পূরণের দিকেএকটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। আমি দেশের ১২৫ কোটি জনগণকে মুম্বাই-আমেদাবাদ হাইস্পীড রেলকরিডর নির্মাণের এই ভূমিপুজো উপলক্ষে কোটি কোটি শুভেচ্ছা জানাই। বুলেট ট্রেন প্রকল্প,একটি এমন কর্মসূচি, যা তীব্রগতিসম্পন্ন, দ্রুত উন্নয়ন আর তার সঙ্গে আধুনিকতমপ্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুত সাহায্য পেতে সাহায্য করবে। এতে সুবিধা হবে, সুরক্ষাওথাকবে, যা রোজগার নিশ্চিত করবে আবার গতিও। যা মানব-বান্ধব, পরিবেশ-বান্ধবও। আজকেরদিনটি জাপান-ভারত সম্পর্কের একটি ঐতিহাসিক এবং আবেগঘন দিন। ভালো বন্ধুত্বের কোনওসীমা-পরিসীমা থাকে না। ভালো বন্ধুত্বের স্থান সময়ের ঊর্ধ্বে। জাপান দেখিয়ে দিয়েছেযে, তারা সেই সময় ও সীমার ঊর্ধ্বে কেমন ভারতের প্রকৃত বন্ধু হয়ে উঠতে চায়। মুম্বাইআর আমেদাবাদ-এর মাঝে ভারতের প্রথম হাইস্পীড রেল প্রকল্প দু’দেশের মধ্যে নিবিড় থেকেনিবিড়তর হতে থাকা সম্পর্কেরও এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ, উজ্জ্বল প্রতীক। আজ এত দ্রুত এইপ্রকল্পের ভূমিপুজো আয়োজনের পেছনেও সর্বাধিক কৃতিত্বের অধিকার আমার বন্ধু আবে-সানএবং শ্রীযুক্ত শিনজো আবে ব্যক্তিগত আগ্রহে সুনিশ্চিত করেছেন যেন এই প্রকল্পের কোনওপর্যায়ে কোনও সমস্যা না হয়।
বন্ধুগণ, মানবসভ্যতার বিকাশ, পরিবহণের নানা মাধ্যমবিকাশের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমরা যদি এশিয়ার সভ্যতার দিকে তাকাই, তা হলে দেখবযে, সেই সময় সমস্ত গ্রাম ও শহর গড়ে উঠেছে নদীর তীরে। সেই অঞ্চলগুলি উন্নয়নেরকেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে। তারপর ক্রমে সড়ক ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যম হয়ে ওঠে।হাইওয়েগুলির দু’পাশে নগর গড়ে উঠতে শুরু করে। আর এখন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উন্নয়নসাধিতহবে হাইস্পীড করিডর সন্নীহিত অঞ্চলগুলিতে।
বন্ধুগণ, যে কোনও দেশের উন্নয়নে পরিবহণ ব্যবস্থাঅত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তা সে রেল, সড়ক, জলপথ বা আকাশপথ – যাই হোকনা কেন? এই পরিবহণ ব্যবস্থা দেশে যোগাযোগের ভিত্তি তৈরি করে। যাঁরা আমেরিকারইতিহাস পড়েছেন, তাঁরা জানেন যে, রেলপথ আমেরিকার উন্নয়নে কত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাপালন করেছে। একটু আগেই আমার বন্ধু আবে-সান বলছিলেন, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পরজাপানের পরিস্থিতি কেমন ছিল। কেমন দুরবস্থা ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে তাঁদের লড়াইকরতে হয়েছে। কিন্তু ১৯৬৪ সালে জাপান বুলেট ট্রেন চালু করে। তারপর ধীরে ধীরে এইপ্রযুক্তি বিশ্বের ১৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। আর জাপানের অর্থনীতি দ্রুতগতিতে সমৃদ্ধিলাভ করে। আজ ইউরোপ থেকে চিন পর্যন্ত এর প্রভাব অনুভব করা যায়। হাইস্পীড রেল এইদেশগুলিতে শুধুই আর্থিক পরিবর্তন আনেনি, সামাজিক ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনসাধনে সক্ষম হয়েছে। তখন থেকে আজ পর্যন্ত সময় অনেক বদলেছে, প্রয়োজনও বদলেছে। কোনওকিছু সাধনের প্রচেষ্টার পদ্ধতিও তাই বদলানোর প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সময়ের অগ্রগতিরপাশাপাশি ছোট ছোট পরিবর্তন এসেছে, নতুন নতুন পরিষেবা যুক্ত হয়েছে কিন্তু আজ আর ধীরেধীরে এগিয়ে যাওয়ার সময় নেই। প্রযুক্তি গত ১০০ বছরে যে হারে পরিবর্তিত হয়েছে, বিগত২৫ বছরে তার থেকে অনেক বেশি গতিতে বদলে গেছে। সেজন্য আজ আমাদের সাধারণ যোগাযোগব্যবস্থার থেকে বেশি করে হাইস্পীড যোগাযোগ ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিতে হচ্ছে।দ্রুতগতির যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হলে গতি বাড়বে, দূরত্ব কমবে। আর্থিক উন্নতির নতুননতুন সুযোগ তৈরি হবে। বন্ধুগণ, যে কোনও দেশের আর্থিক উন্নয়নের সঙ্গে সরাসরিসম্পর্ক থাকে উৎপাদনের। উৎপাদন বাড়লে অগ্রগতি হয়। আমাদের অগ্রাধিকার হ’ল অধিকউৎপাদন, দ্রুত গতির যোগাযোগ ব্যবস্থা।
বন্ধুগণ, আজ এই উপলক্ষে আমি জাপানের বন্ধুত্বেরআরেকটি দিক সম্পর্কে সপ্রশংস উল্লেখ করতে চাই। আমরা ভারতীয়রা, বিশেষ করে গুজরাটিরাযখনই কোনও জিনিস কেনা-বেচা করি, তখন যথাসম্ভব দামদর করি। প্রতিটি পয়সার হিসাব করি।লাভ-লোকসান নিয়ে সতর্ক থাকি। একটি সাধারণ বাইক কিনতে হলে ১০টি ব্যাঙ্কে ঘুরে কারাকত শতাংশ দরে ঋণ দিচ্ছে, তা যাচাই করে নিই। কত বছরে সেই ঋণ পরিশোধ করতে হবে,সেক্ষেত্রে বাইকের পেছনে মোট কত খরচ হবে, তা পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার করি। এমনকি সম্ভবহলে, ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের সঙ্গেও দরদাম করার চেষ্টা করি। অর্ধেক শতাংশ কম সুদে ঋণদিলে মনে মনে খুশি হয়ে যাই। কিন্তু বন্ধুগণ, আমরা এমন কোনও ব্যাঙ্ক পাব না, যাঁরাআমার বন্ধু আবে-সান – এর মতো প্রায় বিনা সুদে ঋণ দিয়ে বলছেন, ১০-২০ বছর নয়, ৫০বছরে পরিশোধ করতে হবে। আমাদের দেশের ব্যাঙ্ক আমাদের ঋণ দিতে চায় না, কিন্তু ভারতএমন এক বন্ধু পেয়েছে, যারা বুলেট ট্রেন প্রকল্পবাবদ ৮৮ হাজার কোটি টাকা মাত্র ০.১শতাংশ সুদে ৫০ বছরে ফেরতের শর্তে ঋণদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আমি অবাক হয়েছি, যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম,তখন বুলেট ট্রেনের কথা বললে সবাই বলতো, কেন বুলেট? কবে আনবেন? কবে আনবেন? কবেআনবেন? যখন আনার সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, তখন তাঁরাই জিজ্ঞেস করছেন, কেন আনছেন? ভাই ওবোনেরা, এই বুলেট ট্রেন প্রকল্প জাপান ভারতকে প্রায় বিনে পয়সায় উপহার দিচ্ছে।সেজন্য আমি জাপানের প্রধানমন্ত্রী ও জনগণের প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি।যাঁরা এই প্রকল্পের জন্য প্রযুক্তি ও আর্থিক সাহায্য দিয়ে ভারত’কে সহায়তার জন্যএগিয়ে এসেছে।
ভাই ও বোনেরা, এই হাইস্পীড রেল ব্যবস্থা ৫০০কিলোমিটার দূরবর্তী দু’টি শহরকে, অনেক কাছে নিয়ে আসবে। সেজন্য আমি বলব, এই ট্রেন‘আমরু-আমেদাবাদ’ থেকে ‘আমচি-মুম্বাই’ যাবে। এই প্রকল্প যেদিন সম্পন্ন হবে, সেদিনমুম্বাই থেকে আমেদাবাদের দূরত্ব মাত্র ২-৩ ঘন্টায় অতিক্রম করা যাবে। আমরা যদিবিমানযাত্রার সঙ্গে তুলনা করি, তা হলে নিজের শহরের বিমানবন্দরে যতটা সময় আগে যেতেহয়, তারপর নানা চেকিং ইত্যাদি বাবদ যা সময় লাগে তার অর্ধেক সময়ের মধ্যেই হাইস্পীডরেলের মাধ্যমে আমরা মুম্বাই পৌঁছে যেতে পারব। কল্পনা করতে পারেন, কতটা পরিবর্তনআসবে! মানুষের কত সময় বাঁচবে। মুম্বাই-আমেদাবাদ সড়কপথে প্রতিদিন যে হাজার হাজারগাড়ি যাতায়াত করে, তার সংখ্যাও কমবে। ফলে, জ্বালানি সাশ্রয় হবে, পরিবেশ দূষণও কমহবে। পাশাপাশি, বিদেশ থেকে কম জ্বালানি আমদানি করতে হবে। ফলে, বিদেশি মুদ্রাওসাশ্রয় হবে।
বন্ধুগণ, এই প্রকল্পের পাশাপাশি মুম্বাই-আমেদাবাদরুটে একটি নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থাও বিকশিত হতে যাচ্ছে। এই দুই শহরের মধ্যবর্তীসম্পূর্ণ এলাকা এক প্রকার ‘সিঙ্গল ইকনোমিক জোন’-এ পরিবর্তিত হয়ে যাবে। হাইস্পীডকরিডর শুধু যাতায়াতের গতি বৃদ্ধি করবে না, বাণিজ্যকেও গতি প্রদান করবে।ব্যবসায়ীদের পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে, ফলে মানবসম্পদ এবং পণ্য পরিবহণও সরল ওসুগম হবে। এতে দেশের উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে।
একটি ভুল ধারণা রয়েছ যে, সমস্ত নতুন প্রযুক্তিধনীদের কথা মাথায় রেখে গড়ে ওঠে। প্রযুক্তিকে যদি গরিব মানুষের ক্ষমতায়নের জন্যপ্রয়োগ করা হয়, তা হলে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও আমরা দ্রুত জয় পেতে পারি।সেজন্য আমাদের প্রচেষ্টা হ’ল প্রযুক্তিকে অধিক ব্যবহারের মাধ্যমে এতটাই সুলভ করেতুলব, যাতে দেশে গরিব মানুষের জীবনের সঙ্গেও তা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়ে। আজ যখনআমরা ভারতের রেল ব্যবস্থাকে নতুন ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত করছি, তখনওআমাদের মাথায় রয়েছে কিভাবে এই নতুন প্রযুক্তি দ্বারা সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন। এইপ্রযুক্তি রূপান্তরের মাধ্যমে রেল উপকৃত হবে। সংশ্লিষ্ট কলাকুশলী, ভেন্ডর ওনির্মাতারাও উপকৃত হবেন। রেলের গোটা নেটওয়ার্কই পুনর্নবীকৃত হলে সংশ্লিষ্ট সকলেইউপকৃত হবেন। আমরা রেলপথকে ডবল লাইনে রূপান্তরিত করা, বিদ্যুতিকরণের মতো কাজগুলিকেদ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আগের চেয়ে অনেক বেশি গতিতে কাজ হচ্ছে। বর্তমান সরকার রেলসংস্কারে যত অর্থ বিনিয়োগ করেছে, তা আগে কখনো হয়নি। বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি আমরাদশকের পর দশক ধরে থেমে থাকা প্রকল্পগুলিকেও সম্পূর্ণ করার প্রচেষ্টাকে অগ্রাধিকারদিয়েছি। ভারতীয় রেলের ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পণ্য পরিবহণকে সহজ করার চেষ্টাচালাচ্ছি।
মুম্বাইয়ের জওহরলাল নেহরু সমুদ্র বন্দর থেকে উত্তরপ্রদেশের দাদরি পর্যন্ত ওয়েস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডর নির্মাণ করা হচ্ছে।তেমনই, কলকাতা বন্দর থেকে লুধিয়ানা পর্যন্ত ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডরনির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী তিন-সাড়ে তিন বছরের মধ্যে এই প্রকল্প সম্পূর্ণ করারচেষ্টা আমরা করছি। এই প্রকল্প সম্পূর্ণ হলে রেলের পণ্য পরিবহণে গতি বাড়বে এবংযাত্রী পরিবহণেও সময় সাশ্রয় হবে।
বন্ধুগণ, হাইস্পীড রেল প্রোজেক্ট আমাদের আমাদেরআধুনিক রেলপথ নির্মাণের অন্যতম অঙ্গ। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আজ এর ভূমি পুজোহচ্ছে। আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, স্বাধীনতার ৭০ বছর পর আমরা যখন সাবরমতী আশ্রমেরশতাব্দী পালন করছি, মনে ইচ্ছা ও স্বপ্ন রয়েছে যে, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিউপলক্ষে ২০২২-২৩ সালের মধ্যে আমরা এই প্রকল্প সম্পূর্ণ করতে পারব আর একটু আগেশ্রীযুক্ত আবে-সান যেমন বলেছেন, আমরা দু’জনই এই ট্রেনে বসে যাত্রাসূচনা করব। আমিআপনাদের আশ্বস্ত করছি যে জাপান আর ভারত উভয়ের প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠা এই প্রকল্পেরউদ্বোধন তাঁর ইচ্ছেমতই যথাসময়ে হবে।
এই প্রকল্পের পাশাপাশি হাই-স্পিড রেল বিশেষজ্ঞদেরপ্রশিক্ষণের জন্যে বরোদায় হাই-স্পিড ট্রেনিং ইন্সটিটিউট স্থাপন করা হচ্ছে। এটিকেওআমি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বলে মনে করি। বরোদায় অনেক বছর ধরেই ভারতীয় রেলেরএকটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট রয়েছে। এখন হাইস্পীড রেল প্রকল্পের জন্য যে ধরনেরমানবসম্পদ প্রয়োজন, যে ধরনের প্রযুক্তি তাদের শেখানো হবে, জাপান সরকার ঐ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভারতের নবীন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের বিশেষ করে, গুজরাটের ছেলেমেয়েদেরসেই মানের শিক্ষা দেবে। আর যখন মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন তখন দেশের শক্তি অনেক গুণবৃদ্ধি হয়। জাপানের সহযোগিতায় সেই কাজ এখন বরোদায় হতে যাচ্ছে, রেলের আধুনিক ইঞ্জিনিয়ারদেরপ্রশিক্ষণের কাজ। কল্পনা করতে পারেন, এতে নতুন ভারতের মানবসম্পদের সামর্থ্য কত গুণবৃদ্ধি পাবে। সেজন্য আমার কাছে হাইস্পীড রেলওয়ে ভূমি পুজোর থেকেও এই নবীনপ্রজন্মের যুবক-যুবতীদের আধুনিক প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরভূমি পুজো করা হচ্ছে, তা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিশ্চিত যে, এর মাধ্যমে একবিংশশতাব্দীর ভারতের মজবুত ভিত্তি স্থাপন করা হচ্ছে।
আমি এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ভারত ও জাপানের সকলপ্রতিনিধি ও কর্মচারীদের আরেকবার অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানাই। তাঁদেরপ্রচেষ্টায় এই প্রকল্প আজ এত দূর পৌঁছেছে আর আজ থেকে মাটিতে এর আসল কাজ শুরু হয়েযাচ্ছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আপনারা সবাই মিলে এই প্রকল্পকে নির্ধারিত সময়ের আগেইসম্পূর্ণ করার প্রচেষ্টা চালাবেন এবং করে দেখাবেন। আমি আরেকবার জাপানেরপ্রধানমন্ত্রী এবং আমার পরম মিত্র শ্রীযুক্ত শিনজো আবে, শ্রীযুক্ত আবে-সান’কেঅন্তর থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আর ভারতের রেল নেটওয়ার্ক এত বড় যে, জাপানের যতজনসংখ্যা সেই সংখ্যক যাত্রী প্রতি সপ্তাহে ভারতীয় রেলে প্রতি সপ্তাহে তারচেয়ে বেশিমানুষ রেলে সফর করেন। কত বিশাল তার ক্ষমতা আমাদের অনেক সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে,গতি রয়েছে আর আপনাদের রয়েছে দক্ষতা। এইসব মিলে নতুন ভারত’কে নতুন গতি প্রদানেরলক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাব।
আমি আরেকবার গুজরাটবাসীদের আজকের এই সুন্দরঅনুষ্ঠান ও স্বাগত সম্মানের আয়োজনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। জাপানের প্রধানমন্ত্রীরমর্যাদা অনুযায়ী তাঁকে যেভাবে সম্মান জানানো হয়েছে সেজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। গুজরাটএবং মহারাষ্ট্র সরকারকে অভিনন্দন জানাই। তারা মিলিতভাবে জাপান সরকারেরপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে দ্রুতগতিতে এই হাইস্পীড রেল প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ এগিয়েনিয়ে গেছেন। আর সেজন্য গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকেওহৃদয় থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।