Rulers and governments do not make a nation: PM
A nation is made by its citizens, youth, farmers, scholars, scientists, workforce and saints: PM
The life of a NCC cadet is beyond the uniform, the parade and the camps: PM Modi
The NCC experience provides a sense of mission: PM Modi
NCC cadets can act as catalysts to bring change in society: PM

দেশের নানাপ্রান্ত থেকে সমাগত সকল নবীন বন্ধুরা,

গণতন্ত্রের পবিত্র উৎসবে দেশের নানাপ্রান্ত থেকে সমাগতএন সি সি ক্যাডেটরা গনতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছেন। ভারতের ঐক্যেরপ্রতি আমাদের আনুগত্য, বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের সামর্থ্যের অনুভূতি, দেশ এবংদুনিয়া আপনাদের মাধ্যমে উপলব্ধি করেছে। আমি আপনাদের সবাইকে অন্তর থেকে অনেক অনেকশুভেচ্ছা জানাই। আশা করি, ভারতের সুনাগরিক হিসেবে, আগামী দিনগুলিতেও আপনি নিজেরব্যক্তিগত জীবনে এবং জাতীয় জীবনে মানবতার উচ্চ আদর্শগুলির প্রতি এমনই আনুগত্য, এমনইসমর্পণের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাবেন, যার ফলে বিশ্বে ভারতের একটি অনন্য পরিচয় গড়েতোলার কারণ হয়ে উঠতে পারে।

এন সি সি ক্যাডেটরা কেবল ইউনিফর্ম পরে না, কেবল প্যারেডকরা আর ক্যাম্পে থাকার অভিজ্ঞতা অর্জন করে না, এন সি সি’র মাধ্যমে একটি Sense of Mission -এর বীজরোপণ হয়। আমাদের মনে একটি অন্যতর জীবনযাপনের লক্ষ্যে, আমাদেরসংস্কারগুলিকে সামূহিক সংস্কারে পর্যবসিত করার কালখন্ড হয়ে ওঠে। ভারতের বৈচিত্র্য,ভারতের অন্তঃসলিলা শক্তি ও বিরাট সামর্থ্যের পরিচয় পাই। বিশ্ববাসী অবাক হয়ে ভাবেন –এ কেমন দেশ, ১৫০০-এরও বেশি কথ্যভাষা, ১০০টির বেশি ভাষা, প্রত্যেক ২০ ক্রোশেকথ্যভাষায় পরিবর্তন আসে, বেশভূষা ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন অনুভব করা যায়। কিন্তুআমরা একসূত্রে বাঁধা। কাশ্মীরে হিমালয়ে আঘাত লাগলে কন্যাকুমারীর দু’চোখ বেয়ে অশ্রুগড়িয়ে পড়ে। দেশের যে কোনও প্রান্তে ভাল কিছু হলে সারা দেশ গর্ববোধ করে। এই জাতীয়একাত্মবোধ যে কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করে, যে কোনও সমস্যারমুখোমুখি হতে সাহস যোগায়। নিজেদের পৌরুষ আর পরাক্রমের মাধ্যমে সেই সমস্যা নিরসনেরচেষ্টা করেন।

এটাই আমাদের দেশের নিজস্ব শক্তি। কোনও দেশরাজা-মহারাজাদের দিয়ে গড়ে ওঠে না, শাসকরা গড়ে তোলেন না, সরকার গড়ে তোলে না। দেশগড়ে তোলেন সাধারণ মানুষ, শিক্ষক, কৃষক, মজুর, বৈজ্ঞানিক, জ্ঞানী মানুষ, আচার্য এবংসাধু-সন্ন্যাসীরা। সকলের সমবেত তপস্যার সম্মিলিত অর্জনে একটা দেশ মহান হয়ে ওঠে।আমরা সৌভাগ্যবান যে হাজার হাজার বছরের ঐতিহ্যশালী এমন একটি দেশে জন্মগ্রহণ করেছি।এখন এদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদেরকেও ছোট ছোট দায়িত্ব পালন করতে হবে। সেই দায়িত্বপ্রতিপালনের জন্য যেসব সংস্কার চাই, প্রশিক্ষণ চাই, অভিজ্ঞতা চাই – সব আমরা এন সিসি’র মাধ্যমে পেয়েছি।

আমিও সৌভাগ্যবান, ছোট বেলায় এন সি সি ক্যাডেট রূপে এই Sense of Mission, এই অনুভূতি নিজের মধ্যে জারিত করার সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু আমি আপনাদের মতোতেজস্বী ক্যাডেট হয়ে উঠতে পারিনি, সেজন্য দিল্লিতে এসে প্যারেড করার জন্যনির্বাচিত হইনি। আপনাদের দেখে সেজন্য গর্ববোধ করছি, ছোট বেলায় আমি যা ছিলাম, তারথেকে আপনারা কয়েকগুণ এগিয়ে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ভবিষ্যতে আপনারা আমার থেকে অনেকবেশি সাফল্য পাবেন। আপনাদের হাতে দেশে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিন্ত ও নিরাপদ থাকবে।

এন সি সি ক্যাডেটরা পরিচ্ছন্নতা অভিযানকে জীবনেরমূলমন্ত্র করে নিয়েছে। যে সংগঠনে ১৩ লক্ষেরও বেশি ক্যাডেট রয়েছে, তাঁদেরসুনিয়ন্ত্রিত শৃঙ্খলাবদ্ধ পরিচ্ছন্নতার অভিযান অন্যদেরও প্রেরণা জুগিয়েছে।পাশাপাশি, দেশের একজন সুনাগরিক হিসেবে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে, প্রতিবেশী ওবন্ধুবান্ধবদের পরিচ্ছন্নতার প্রতি সচেতন করার ক্ষেত্রে অনুঘটক হয়ে ওঠার অবকাশআপনাদের রয়েছে। আগামী ২০১৯ সালে মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মজয়ন্তীতে সারা দেশ যেনঅপরিচ্ছন্নতাকে ঘৃণা করে, পরিচ্ছন্নতাকে ভালবাসে, সকলে দায়িত্ব নিয়ে পরিবেশকেপরিচ্ছন্ন রাখে এটা দেখার দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে। দেশের সকল প্রান্তে এন সিসি’র ক্যাডেটরা তাঁদের সততা, সচেতনতা, প্রশিক্ষণকে পাথেয় করে মহা উৎসাহে এইপরিচ্ছন্নতার আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যান।

ভারতীয়রা দ্রুততার সঙ্গে যে কোনও উন্নত প্রযুক্তিকে আপনকরে নিতে পারেন। বিশেষ করে নবীন প্রজন্ম। এদেশের সকল ১৮ বছর উত্তীর্ণ ব্যক্তির যেন‘আধার’ কার্ড থাকে, যার মধ্যে নিজস্ব নাম্বারের পাশাপাশি বায়োমেট্রিক পরিচয় পাওয়াযায়। এই বিশিষ্ট পরিচয়ই এখন আমাদের সকল প্রকল্পের ভিত্তি হিসেবে পরিগণিত হয়ে উঠতেপারে।

সম্প্রতি ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দেওয়াহচ্ছে, সেজন্য অভিযান শুরু হয়েছে। এন সি সি ক্যাডেটরা এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।নোট ছাপাতে, ছাপার পর সেই নোটগুলি দেশের সকল গ্রামের ডাকঘর ও ব্যাঙ্কগুলিতে পৌঁছেদিতে লক্ষ কোটি টাকা পরিবহণ খরচ যোগাতে হয়। প্রতিটি এ টি এম সামলাতে পাঁচজননিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করতে হয়। আমরা যত ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবস্থাকে আপন করে নিতেপারব, তত বেশি অহেতুক খরচ বাঁচাতে পারব। সেই টাকা উন্নয়নের খাতে খরচ করা যাবে,গৃহহীনকে বাড়ি বানিয়ে দেওয়া, দরিদ্রদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা, চিকিৎসার ব্যবস্থাকরা, গরিব শিশুদের ভাল সংস্কার শেখানোর কাজে ব্যবহার করা যাবে।

আপনাদের ফোনে বাবাসাহেব আম্বেদকরের নামে শুরু করা BHIM app ডাউনলোড করুন, আর এর মাধ্যমে ডিজিটাল লেনদেনে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন। আপনাদেরএলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দোকানদারদের এই লেনদেনের পদ্ধতি শেখান। শুধু এটুকু করতেপারলেই আপনারা দেশের অনেক বড় সেবা করবেন। ভারতের প্রত্যেক নাগরিককে ডিজিটাললেনদেনে অভ্যস্ত করে তুলুন। পরিবর্তিত যুগে বিশ্বের আধুনিক প্রযুক্তি-চালিত সমাজেপর্যবসিত আধুনিক ভারত এক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকতে পারে না। যে দেশে ৬৫ শতাংশ জনসংখ্যারবয়স ৩৫ বছরের নীচে, DemographicDividend –এর নামে আমরা বিশ্বে বুক ফুলিয়ে, চোখে চোখ মিলিয়ে কথাবলি, সে দেশের ৮০ কোটি নবীন প্রজন্মের মানুষ যদি একবার ভেবে নেয় যে অর্থ ব্যবস্থায়এক বড় পরিবর্তনসাধনের কর্মযজ্ঞে আমরাও যোগ দেব, তা হলে প্রধানমন্ত্রী কিংবাঅর্থমন্ত্রীর থেকে বড় কাজ ভারতের নবীন প্রজন্মই করে ফেলতে পারে। পরিবর্তন আনতেপারে। এন সি সি এই দায়িত্বপালনে এগিয়ে এসেছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, তাঁরা এই কাজে সফলহবেন।

এন সি সি’র ক্যাডেটরা দেশভক্ত হন। শৃঙ্খলাপরায়নতা তাঁদেরবৈশিষ্ট্য। তাঁদের স্বভাব মিলেমিশে কাজ করা। পায়ে পা মিলিয়ে চলা, কাঁধে কাঁধমিলিয়ে চলা কিন্তু মিলেমিশে চিন্তাভাবনা করেই পা বাড়ানো আর সাফল্যের উচ্চতা স্পর্শকরা এন সি সি’র বৈশিষ্ট্য। সেজন্য আজ সমাজের প্রতি ভালবাসা ও দেশাত্মবোধেসদাজাগ্রত থাকতে হবে। ‘রাষ্ট্রম জাগ্রয়ম বয়ম্‌ : ’। নিরন্তরসচেতন সদাসতর্ক থাকতে হবে। আমদের প্রতিবেশী কোনও যুবক যেন অর্থের লোভে বা অন্যকোনও কারণে ভুল পথে না চলে যায়, যে পথ তার ও তার পরিবারের সর্বনাশ ডেকে আনবে। সেপথে যেন সে না চলে যায় তা দেখতে হবে। কেউ যেন সমাজের বোঝা না হয়ে ওঠে। আমরা সচেতনথাকলে আমাদের প্রতিবেশী বন্ধুদেরও এন সি সি’তে যোগদানের প্রেরণা যোগাব। আর তাসম্ভব না হলে যে Senseof Mission আমরা পেয়েছি, জীবনের লক্ষ্যকে আমরা যেভাবে জেনেছি তাই অন্যদেরমধ্যেও সঞ্চারিত করতে হবে, যাতে তারাও আমাদের পথে, দেশ গঠনের উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়েআসেন।

প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে এসে আপনারা এই কয়দিনে অনেককিছু শিখেছেন। অনেক বন্ধু পেয়েছেন। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তকে জানা ও বোঝার সুযোগপেয়েছেন। অনেক ভাল ভাল স্মৃতি নিয়ে বাড়ি ফিরবেন। আপনাদের স্কুল-কলেজের সহপাঠীরাঅপেক্ষা করছেন, কবে আপনারা অভিজ্ঞতার গল্প শোনাবেন! আপনারা হয়তো ইতিমধ্যেই মোবাইলফোনে ফটো তুলে অনেক ছবি তাঁদের পাঠিয়েছেন, শেয়ার করেছেন! আপনাদের বন্ধুরা মনোযোগদিয়ে টেলিভিশনে আপনাদের প্যারেড দেখেছেন। যে যার বন্ধুকে, নিজের গ্রামের ছেলেটিকে,নিজের স্কুলের ছাত্রটিকে খুঁজেছেন। গোটা ভারতের প্রত্যেক প্রান্তের মানুষের নজরছিল আপনাদের প্যারেডে। এটা কম গর্বের কথা নয়! কত বড় আনন্দের মুহূর্ত সেগুলি! এইসবস্মৃতির অমূল্য সম্পদ নিয়ে আপনারা বাড়ি ফিরে যাবেন। এগুলি কখনও ভুলে যাবেন না।এগুলি সামনে রাখবেন। এই শুভচিন্তা যত ডালপালা গজাবে, আপনাদের জীবনও তত উজ্জ্বলহবে। এর সৌরভ আপনার জীবনে প্রকট হবে, যা আপনার চারপাশের মানুষজনকে পুলকে ভরিয়েদেবে।

আপনাদের সবাইকে আমার অন্তর থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছাজানাই। আজ যে ক্যাডেটরা পুরস্কার পেয়েছেন সেই বিজেতাদেরও অন্তর থেকে অভিনন্দন জানাই।এন সি সি’কে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।