ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র স্বচ্ছতা, নিশ্চিত ভবিষ্যৎ এবং সহজে ব্যবসার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রতিরক্ষা খাতে উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ : নরেন্দ্র মোদী

আপনারা তো জানেন যে বাজেটের পরেই কেন্দ্রীয় সরকার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে ওয়েবিনারের মাধ্যমে বাজেটকে তাড়াতাড়ি বাস্তবায়িত করার ব্যাপারে আলোচনা করে থাকে। বাজেটের বাস্তবায়নে কি ধরণের বেসরকারি সংস্থাকে অংশীদার করা যায় এবং বাজেটের বাস্তবায়নে কীভাবে পরিকল্পনা তৈরি করা যায় এই নিয়ে আলোচনা চলছে। আমি খুশি যে আজ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওয়েবিনারে অংশ নেওয়া সমস্ত সহযোগী, অংশীদারদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছি, আমি আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাই।

প্রতিরক্ষা খাতে ভারতকে কীভাবে স্বনির্ভর করে তোলা যায়, সে দিক থেকে আজকের এই আলোচনা আমার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাজেটের পরে, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নতুন কোনও পথ তৈরি হয়েছে কিনা, আমাদের ভবিষ্যতে কোনদিকে এগোনো উচিত, সে বিষয়ে তথ্য এবং আলোচনা দুইয়েরই প্রয়োজন রয়েছে। যেখানে আমাদের সাহসী জওয়ানরা প্রশিক্ষণ নেয়, আমরা সেখানে প্রায়শই লেখা দেখতে পাই, "শান্তির সময়ে ঝরানো ঘাম, যুদ্ধের সময় রক্তপাত থেকে রক্ষা করে।"

অর্থাৎ, শান্তির পূর্বশর্ত হল বীরত্ব, বীরত্বের পূর্বশর্ত হল শক্তি এবং শক্তির পূর্বশর্ত হল আগে থেকে তৈরি থাকা এবং অন্য সমস্ত কিছু তার পরে আসে। আমাদের মধ্যে বলা হয়ে থাকে - "সহিষ্ণুতা, ক্ষমা, দয়ার উপাসনা কেবল তখনই করা হয় যখন এর পিছনে শক্তির শিখা জ্বলজ্বল করে।"

বন্ধুরা,

অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম তৈরির ক্ষেত্রে ভারতের বহুকালের অভিজ্ঞতা রয়েছে। স্বাধীনতার আগে আমাদের এখানে শতাধিক অস্ত্র কারখানা ছিল। দুই বিশ্বযুদ্ধের সময়েই ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র তৈরি করে অন্যত্র পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতার পরে নানা কারণে এই ব্যবস্থার সেরকম উন্নতি হয়নি। ফলে এখন ছোট অস্ত্রের জন্যও আমাদের অন্য দেশের দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো। আজ, ভারত বিশ্বের বৃহত্তম প্রতিরক্ষা সামগ্রী আমদানিকারক দেশের মধ্যে একটি এবং তা মোটেই গর্বের বিষয় নয়।

এমন নয় যে ভারতীয়দের মধ্যে প্রতিভা নেই। ভারতের জনগণের শক্তি নেই তা নয়।

আপনারা মনে করে দেখুন, যখন করোনা শুরু হয়েছিল, তখন ভারতে কোনও ভেন্টিলেটর তৈরি হতো না। আজ ভারত হাজার হাজার ভেন্টিলেটর তৈরি করছে। মঙ্গল গ্রহে পৌঁছানোর ক্ষমতা সম্পন্ন ভারত আধুনিক অস্ত্রও তৈরি করতে পারত। তবে বিদেশ থেকে অস্ত্র পাওয়া সহজ। আর মানুষের স্বভাবই এমন যে পথে সহজে, সরলভাবে পাওয়া যায়, সেই পথেই সে চলতে শুরু করে । আপনিও আজ বাড়ি গিয়ে গুনতে শুরু করবেন যে অজান্তেই বছরের পর বছর কত বিদেশী জিনিস ব্যবহার করেছেন। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন ভারত এই পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।

এখন ভারত দ্রুত গতিতে তার সক্ষমতা এবং সামর্থ্য বাড়াতে ব্যস্ত। একটা সময় ছিল যখন আমাদের নিজস্ব যুদ্ধ বিমান তেজস ফাইলে বন্দি অবস্থায় রয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমাদের সরকার আমাদের ইঞ্জিনিয়ার, বৈজ্ঞানিক এবং তেজসের দক্ষতার উপর ভরসা করেছিল এবং তার ফলাফল, আজ তেজস দৃপ্তভাবে আকাশে উড়ছে। কয়েক সপ্তাহ আগে তেজসের জন্য ৪৮ হাজার কোটি টাকার অর্ডার দেওয়া হয়েছে। এরফলে কত অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ সংস্থা দেশের সঙ্গে যুক্ত হবে, কত বড় ব্যবসা হবে। আমাদের সেনাবাহিনীর বুলেট প্রুফ জ্যাকেটের জন্যও দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়। আজ, আমরা কেবল ভারতে নিজেদের সেনাবাহিনীর জন্য বুলেট প্রুফ জ্যাকেট তৈরি করছি না, পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও সরবরাহের জন্য আমাদের সক্ষমতা বাড়িয়ে তুলছি।

বন্ধুরা,

চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ পদ গঠন হওয়ার ফলে, সংগ্রহের প্রক্রিয়া, পরীক্ষা নিরীক্ষা, নানান সরঞ্জাম যুক্ত করা, পরিষেবার প্রক্রিয়ায় সামঞ্জস্য আনা খুবই সহজ হয়ে গেছে এবং আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সমস্ত শাখার সহায়তায় এই কাজ খুব দ্রুত এগিয়ে চলছে। এই বছরের বাজেটে সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণের এই প্রতিশ্রুতি আরও জোরদার করা হয়েছে। প্রায় দেড় দশকের পরে, প্রতিরক্ষা খাতে মূলধনী ব্যয় ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। স্বাধীনতার পর এই প্রথম প্রতিরক্ষা খাতে বেসরকারী সংস্থার অংশগ্রহণ বাড়ানোর বিষয়ে এত জোর দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারী ক্ষেত্রকে সামনে আনার জন্য, তাদের কর্মপদ্ধতি সহজ করার জন্য, সরকার তাদের ব্যবসায় স্বাচ্ছন্দ্যের ওপর জোর দিচ্ছে।


বন্ধুরা,

প্রতিরক্ষা খাতে বেসরকারীকরণের উদ্বেগও আমি বুঝতে পারি। অর্থনীতির অন্যান্য খাতের তুলনায় প্রতিরক্ষা খাতে সরকারের হস্তক্ষেপ বরাবরই অনেক বেশি। সরকারই একমাত্র ক্রেতা, সরকার নিজেই প্রস্তুতকারক এবং সরকারের অনুমতি ছাড়া রপ্তানি করাও কঠিন। এটাই স্বাভাবিক, কারণ এই বিষয়টি রাষ্ট্রীয় সুরক্ষার সঙ্গে জড়িত। তবে, একবিংশ শতাব্দীর প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সরঞ্জাম তৈরির ব্যবস্থাপনায় বেসরকারী সংস্থার অংশীদারিত্ব ছাড়া সম্ভব নয়, তাও আমি ভালভাবে বুঝতে পারি, এবং এখন সরকারের সব অংশও তা বুঝতে পারছে। এবং তাই, আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন যে ২০১৪ সাল থেকে আমাদের প্রচেষ্টা রয়েছে যে স্বচ্ছতা, পূর্বাভাস এবং ব্যবসায়ে স্বাচ্ছন্দ্যের পাশাপাশি আমরা এই খাতে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা ডি-লাইসেন্সিং, ডি-রেগুলেশন, রপ্তানিতে উৎসাহদান, বৈদেশিক বিনিয়োগ উদারীকরণের মতো বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে এই খাতে দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছি। এবং আমি আরও বলব যে এই সমস্ত প্রচেষ্টার জন্য আমি অভিন্ন বাহিনীর নেতৃত্বের কাছ থেকে সবথেকে বেশি সমর্থন পেয়েছি। তাঁরাও একভাবে এই বিষয়ে জোর দিচ্ছেন, এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

বন্ধুরা,

যখন প্রতিরক্ষা বাহিনীর পোষাক পরা ব্যক্তি এই কথা বলেন, তখন তাঁর শক্তি অনেকটাই বেড়ে যায় কারণ যিনি ইউনিফর্ম পরে আছেন তাঁর জন্য তো জীবন এবং মৃত্যুর যুদ্ধ। তিনি নিজের জীবন বিপদে ফেলে দেশের রক্ষা করেন। তিনি যখন আত্মনির্ভর ভারতের জন্য এগিয়ে এসেছেন, তখন আপনি ভাবুন যে কতটা ইতিবাচক এবং অনুপ্রেরণামূলক পরিবেশ তৈরি হতে পারে। আপনারা আরও জানেন যে ভারত প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত ১০০ টি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা জিনিসের একটি তালিকা তৈরি করেছে, যাকে নেতিবাচক তালিকা বলা হয়, যা আমরা কেবল আমাদের স্থানীয় উদ্যোগের সাহায্যেই তৈরি করতে পারি। আমাদের শিল্প যাতে এই চাহিদা পূরণের স্বনির্ভরতা অর্জনের পরিকল্পনা করতে পারে তার জন্য সময়সীমাও তৈরি করা হয়েছে।

সরকারি ভাষায় এটা নেতিবাচক তালিকা, তবে আমি এটাকে একটু অন্যভাবে দেখছি, যাকে সারা বিশ্ব নেতিবাচক তালিকা হিসেবে জানে। আমি মনে করি এটা আত্মনির্ভরতার ভাষায় ইতিবাচক তালিকা। এটা সেই ইতিবাচক তালিকা যা ভারতেই কর্মসংস্থান তৈরি করার কাজ করবে। এটা সেই ইতিবাচক তালিকা যা আমাদের প্রতিরক্ষা প্রয়োজনে বিদেশের ওপর আমাদের নির্ভরতা কমাতে চলেছে। এটা সেই ইতিবাচক তালিকা যা ভারতে তৈরি জিনিস ভারতেই বিক্রি করা নিশ্চিত করবে। এবং এই জিনিসগুলো হলো সেই জিনিস যা ভারতের প্রয়োজন অনুযায়ী, আমাদের জলবায়ু অনুযায়ী, আমাদের মানুষের প্রকৃতি অনুযায়ী অবিচ্ছিন্ন উদ্ভাবনের সম্ভাবনা রয়েছে।

আমাদের সামরিক শক্তি হোক বা আমাদের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ, এটা আমাদের জন্য একরকমভাবে ইতিবাচক তালিকাই। এবং আপনাদের জন্য তো সবথেকে বেশি ইতিবাচক তালিকা এবং আমি আজ এই বৈঠকে আপনাদের সবাইকে আশ্বস্ত করছি যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকটা জিনিস, তা নকশা করার, তৈরি করার সামর্থ্য দেশে রয়েছে , যে কোনও সরকারি বা বেসরকারি সংস্থায় রয়েছে, তা বাইরে থেকে আনার কোনও উপায় রাখা হবে না। আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন, প্রতিরক্ষা বাজেটেও ‘দেশে উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী’র জন্যও একটি অংশ বরাদ্দ করা হয়েছে, এটাও আমাদের নতুন উদ্যোগ। আমি বেসরকারি সংস্থাগুলোকে অনুরোধ করব যে উৎপাদনের পাশাপাশি তারা নকশা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রেও এগিয়ে আসুন, সারা বিশ্বে ভারতের গৌরবকে প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ আছে, একে হাতছাড়া হতে দেবেন না। দেশের বেসরকারী ক্ষেত্রেরও দেশি ডিজাইন ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে ডিআরডিওর অভিজ্ঞতা থাকা উচিত। নিয়মকানুনের ফাঁসে যাতে তা আটকে না যায় সেজন্য ডিআরডিও-য় খুব দ্রুত সংস্কার করা হচ্ছে। এবার থেকে প্রকল্পগুলির শুরুতেই বেসরকারি ক্ষেত্রকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

বন্ধুরা,

বিশ্বের অনেক ছোট দেশ এর আগে তাদের নিরাপত্তা নিয়ে এত চিন্তা করত না। তবে পরিবর্তিত আন্তর্জাতিক পরিবেশে নতুন চ্যালেঞ্জের কারণে এখন ছোট দেশগুলিকেও তাদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করতে হচ্ছে, তাদের জন্য সুরক্ষাও একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠছে। এটা খুব স্বাভাবিক যে এই দরিদ্র এবং ছোট দেশগুলি তাদের সুরক্ষা প্রয়োজনের জন্য স্বাভাবিকভাবেই ভারতের দিকে তাকাবে কারণ আমাদের কাছে স্বল্প ব্যয়ে উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে। আমাদের উৎপাদনের মান ভালো রাখার শক্তি আছে, শুধু এগিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এই দেশগুলিকে সাহায্য করার ক্ষেত্রেও ভারতের বড় ভূমিকা রয়েছে, ভারতের উন্নয়নশীল প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের বড় ভূমিকা আছে, বিশাল সুযোগও রয়েছে। আজ আমরা ৪০ টিরও বেশি দেশে প্রতিরক্ষা পণ্য রপ্তানি করছি। আমদানির উপর নির্ভরশীল একটি দেশের পরিচয় থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের বিশ্বের শীর্ষ প্রতিরক্ষা রপ্তানিকারক হিসেবে পরিচয় গড়ে তুলতে হবে এবং আপনাদের সঙ্গে রেখে এই পরিচয় আরও গভীর করতে হবে।

আমাদের এও মাথায় রাখতে হবে যে স্বাস্থ্যকর প্রতিরক্ষা উৎপাদন বাস্তুতন্ত্রের জন্য বড় শিল্পের পাশাপাশি ছোট এবং মাঝারি উৎপাদন সংস্থাগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের স্টার্ট আপগুলি আমাদের পরিবর্তিত সময়ের সঙ্গে দ্রুত পরিবর্তন করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্ভাবন ক্ষমতা গড়ে তুলছে, প্রতিরক্ষার প্রস্তুতিতে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এমএসএমইগুলো পুরো উৎপাদন খাতের মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করছে। আজ যেসব সংশোধন হচ্ছে তা এমএসএমইগুলিকে আরও বেশি স্বাধীনতা দিচ্ছে, তাদের প্রসারিত করতে আরও উৎসাহিত করছে।

এই এমএসএমইগুলো মাঝারি এবং বড় উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিকে সাহায্য করে যা পুরো ব্যবস্থায় চালিকাশক্তি। এই নতুন চিন্তাভাবনা এবং নতুন পদ্ধতি আমাদের দেশের যুবসম্প্রদায়ের জন্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ। আইডেক্সের মতো প্ল্যাটফর্মগুলি আমাদের স্টার্ট আপ সংস্থাগুলো এবং তরুণ উদ্যোক্তাদের এই দিকে উৎসাহ দিচ্ছে। আজ দেশে যে প্রতিরক্ষা করিডোর তৈরি হচ্ছে, তারাও স্থানীয় উদ্যোক্তাদের, স্থানীয় উৎপাদনকে সাহায্য করবে।অর্থাৎ, আজ আমাদের প্রতিরক্ষা খাতে আত্মনির্ভরতাকে 'জওয়ানদের পাশাপাশি তরুণরাও' এই দুইয়ের ক্ষমতায়নের হিসেবে দেখতে হবে।

বন্ধুরা,

একটা সময় ছিল যখন দেশের নিরাপত্তা বলতে স্থল, জল ও আকাশের সুরক্ষাই বোঝাতো। এখন সুরক্ষার সীমানা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত। আর এর বড় কারণ সন্ত্রাসবাদের মতো বড় বাধা। একইভাবে, সাইবার আক্রমণ, এমন একটা নতুন ফ্রন্ট যা সুরক্ষার সমস্ত ধারণাই পাল্টে দিয়েছে। একটা সময় ছিল যখন সুরক্ষার জন্য বড় বড় অস্ত্র আনাতে হত। এখন একটা ছোট ঘরে একটি ছোট কম্পিউটারের মাধ্যমে দেশের সুরক্ষার একটি দিক সামলানো সম্ভব, এমনই পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং তাই আমাদের একাদশ শতাব্দীর প্রযুক্তি এবং সেই প্রযুক্তি চালিত প্রয়োজনগুলো মাথায় রেখে আমাদের ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করতে হবে। আর বিনিয়োগ এখনই করতে হবে।

সুতরাং আজ এটাও গুরুত্বপূর্ণ যে আমাদের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, আমাদের পাঠ্য জগতে প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত, প্রতিরক্ষা কৌশল সম্পর্কিত পাঠক্রমগুলির দক্ষতা বিকাশ এবং মানবসম্পদ উন্নয়নেও মনোনিবেশ করতে হবে। গবেষণা এবং উদ্ভাবনের দিকেও নজর দিতে হবে। এই কোর্সগুলি ভারতের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিকল্পনা করার সময় এসে গেছে। তাই, পরম্পরাগত প্রতিরক্ষার জন্য, যেমন ইউনিফর্মযুক্ত সেনা রয়েছেন, সেরকমই আমাদের পাঠ্য জগত, গবেষক, সুরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দিকেও তাকাতে হবে, এই প্রয়োজনীয়তা বুঝে আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে। আশা করি আপনারা এই দিকেও এগিয়ে যাবেন।

বন্ধুরা,

আমি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করব আজকের আলোচনার ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কর্ম পরিকল্পনা এবং একটি নিখুঁত পরিকল্পনা তৈরি করতে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য সরকার এবং বেসরকারি দুইয়েরই অংশগ্রহণ প্রয়োজন। আপনাদের আলোচনা, আপনাদের পরামর্শ, দেশকে প্রতিরক্ষা খাতে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে, এই শুভেচ্ছার সঙ্গে আমি আপনাদের সকলকে আজকের ওয়েবিনারের জন্য, আপনাদের উত্তম ভাবনার জন্য এবং দেশকে সুরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর তৈরি করার দৃঢ় সংকল্পের জন্য অনেক শুভ কামনা জানাই।

অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi visits the Indian Arrival Monument
November 21, 2024

Prime Minister visited the Indian Arrival monument at Monument Gardens in Georgetown today. He was accompanied by PM of Guyana Brig (Retd) Mark Phillips. An ensemble of Tassa Drums welcomed Prime Minister as he paid floral tribute at the Arrival Monument. Paying homage at the monument, Prime Minister recalled the struggle and sacrifices of Indian diaspora and their pivotal contribution to preserving and promoting Indian culture and tradition in Guyana. He planted a Bel Patra sapling at the monument.

The monument is a replica of the first ship which arrived in Guyana in 1838 bringing indentured migrants from India. It was gifted by India to the people of Guyana in 1991.