এখানে উপস্থিত ভাই ও বোনেরা,
মহারাষ্ট্রে আজ এটি আমার চতুর্থ অনুষ্ঠান। এর আগে আমি থানে-তে ছিলাম। সেখানেও কয়েক হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্বোধন কিংবা শিলান্যাস করা হয়েছে। এর মধ্যে গরিব মানুষের জন্য গৃহ নির্মাণ থেকে শুরু করে মেট্রো রেলের সম্প্রসারণ সংক্রান্ত প্রকল্প ছিল।
একটু আগেই এখানে ৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে নির্মীয়মান পুণে মেট্রো লাইনে তৃতীয় পর্যায়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সৌভাগ্য হয়েছে। হিঞ্জবড়ি থেকে শিবাজীনগর-কে যুক্ত করে দেশের সর্বাধিক ব্যস্ত তথ্য প্রযুক্তি কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম এই অঞ্চলকে মেট্রো রেলের প্রকল্পের মাধ্যমে যুক্ত করা হ’ল।
মহারাষ্ট্র ও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে যেসব তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন পেশার মানুষ আসেন, তাঁরা নিশ্চিতভাবেই এখানকার স্থানীয় জনগণের জীবনকে আরও সুগম করে তুলবেন।
বন্ধুগণ, দু’বছর আগে আমার পুণে মেট্রো রেল প্রকল্পের উদ্বোধন করার সৌভাগ্য হয়েছিল। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, তখন যে দুটি করিডরের কাজ শুরু হয়েছিল, সেগুলিতে এখন দ্রুতগতিতে কাজ এগিয়ে চলেছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আগামী বছরের শেষের দিকে পুণে শহরে ১২ কিলোমিটার পথে মেট্রো রেল চলতে শুরু করবে। আজ শিবাজীনগর থেকে তৃতীয় পর্যায়ের শুভারম্ভ হ’ল। এই পর্যায় যখন সম্পন্ন হবে, তখন পুণে এবং পিম্প্রি চিন্দোয়াড়ের চারটি বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হিঞ্জবড়ি আইটি পার্ক পৌঁছনো অনেক সহজ হবে।
এখানে উপস্থিত তথ্য প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট পেশাদারদের আমি এজন্য বিশেষভাবে শুভেচ্ছা জানাই। আজ এখানে যে প্রকল্পগুলির কাজ শুরু হ’ল, সেগুলি কেন্দ্রীয় সরকার এবং মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকারের সেই ব্যাপক দৃষ্টিভঙ্গীর অংশ মাত্র, যার কেন্দ্রে রয়েছে – পরিকাঠামো নির্মাণ ও অন্যান্য বুনিয়াদী পরিষেবা।
আপনারা বিগত চার – সাড়ে চার বছর ধরে নিরন্তর দেখছেন কিভাবে আমাদের সরকার পরিকাঠামো নির্মাণকে গুরুত্ব দিয়েছে। সারা দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থা বৃদ্ধির জন্য হাইওয়ে, রেলওয়ে, এয়ারওয়ে, ওয়াটারওয়ে এবং আইওয়ের বিস্তারের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।
বন্ধুগণ, কারগিল থেকে কন্যাকুমারী, কচ্ছ থেকে কামরূপ – আপনারা যদি সফর করেন, তা হলে বুঝতে পারবেন, কত দ্রুত এবং কতটা ব্যাপক স্তরে কাজ চলছে। সরকারের দায়বদ্ধতা, স্থানীয় জনগণ, কৃষক, শ্রমিক ও পেশাদারদের ইচ্ছা, আকাঙ্খা এবং সহযোগিতায় এত দ্রুত এই কাজগুলি করা সম্ভব হচ্ছে।
উন্নয়ন থেকে আজ কেউ দূরে থাকতে চান না। আর্থিক ও সামাজিক রূপে কেউ যতই সামর্থবান হন না কেন, শুধুই আশা-যাওয়ায় কেউ নিজেদের সময় ব্যর্থ হতে দিতে চান না। যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার ফলে তাঁদের ফসল, ফলন, দুধ, দই ও অন্যান্য উৎপাদিত কৃষিজ সম্পদ নষ্ট হোক, সেটা কেউ চান না। সবাই চান যে, বিদ্যালয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে ছেলেমেয়েদের ন্যূনতম সময় লাগুক, যাতে তাঁরা লেখাপড়া ও খেলাধূলায় বেশি সময় দিতে পারেন। ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে আটকে থেকে তাঁরা ৮ – ৯ ঘন্টা কাজের সময়কে ১২- ১৩ ঘন্টায় প্রলম্বিত করতে চান না। সকলেই যথাসম্ভব বেশি সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাটাতে চান। সেজন্য আজ গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত সর্বত্র পরবর্তী প্রজন্মের উপযোগী পরিকাঠামো নির্মাণ এবং পরিবহণ ব্যবস্থাকে আরও সংহত করার দিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে।
বন্ধুগণ, এই ভাবনা নিয়েই এখানে কেন্দ্রীয় সরকার দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পুণে তথা মহারাষ্ট্রের পরিকাঠামো আরও মজবুত করার জন্য সচেষ্ট।
হিঞ্জবড়ি – শিবাজীনগর মেট্রো লাইন আরেকটি ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার প্রথমবারের মতো দেশে মেট্রো রেলের উন্নয়নের জন্য একটি নির্দিষ্ট মেট্রো নীতি প্রণয়ন করেছে। সেই মেট্রো নীতি পালন করে গড়ে ওঠা এটি প্রথম প্রকল্প। এই প্রকল্প পিপিপি অর্থাৎ পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে গড়ে তোলা হচ্ছে।
এক বছর আগে যে নতুন মেট্রো রেল নীতি প্রণয়ন করা হয়েছিল, তা দেশের মেট্রো রেলের বিস্তারে আমাদের সংকল্পকে তুলে ধরে। এই নীতি প্রণয়নের পর মেট্রোর উন্নয়ন দ্রুত হয়েছে। কারণ, নিয়ম-কানুন স্পষ্ট হয়েছে।
শহরগুলিতে পরিবহণ ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন এজেন্সির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার নানা পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে। এই মেট্রো রেল নীতিকে সংস্কারযোগ্য করে গড়ে তোলা হয়েছে। মেট্রো রেলের পাশাপাশি, মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত ফিডার বাস পরিষেবা, নতুন ওয়াকওয়ে এবং পাথওয়ে উন্নয়নের কাজও যাতে এগিয়ে যায়, তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে। এখন মেট্রো রেলে ইউনিফায়েড আরবান ট্রান্সপোর্ট অথরিটির মাধ্যমে সিঙ্গল কমান্ড সিস্টেম অনুসারে কাজ চলছে। ফলে জনগণের প্রকৃত উন্নয়ন সম্পর্কে জানা যাচ্ছে। অনেক সমস্যা হ্রাস করা সম্ভব হচ্ছে।
ভাই ও বোনেরা, মেট্রো আজ দেশের শহরগুলির লাইফ লাইন হয়ে উঠেছে। বিগত চার বছরে ৩০০ কিলোমিটার নতুন লাইন পাতা হয়েছে এবং আরও ২০০ কিলোমিটারের প্রস্তাব মঞ্জুর করা হয়েছে। পরিণাম-স্বরপ, এখন দেশে ৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি পথে মেট্রো রেল চলছে। প্রায় ৬৫০ কিলোমিটারেরও বেশি নতুন লাইন পাতা হচ্ছে।
মহারাষ্ট্রেও কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যৌথভাবে ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি মেট্রো লাইন গড়ে তুলছে।
ভাই ও বোনেরা, আজ দেশে এই যে মেট্রোর বিস্তার হচ্ছে, তা সঠিক অর্থে অটলজীর নেতৃত্বাধীন সরকারের অবদান। অটলজী গ্রাম ও শহরে পরিকাঠামো নির্মাণে জোর দিয়েছিলেন, তার ১০ বছর পর আমরা সরকারে এসে সেই পরিকাঠামো নির্মাণকে গতি প্রদান করেছি এবং তার পরিসরও বাড়িয়েছি।
আমার এখানে বলতে সঙ্কোচ হচ্ছে না যে, অটলজীর নেতৃত্বাধীন সরকার যদি আরেকটু সময় পেত, তা হলে হয়তো আজ মুম্বাই অঞ্চল ও তার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন অঞ্চল এবং মহারাষ্ট্রের অনেক শহরকে মেট্রো রেলের মাধ্যমে যুক্ত করার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যেত। দিল্লিতে অটলজীর নেতৃত্বাধীন সরকার মেট্রো রেলের কাজ শুরু করেছিল, আজ প্রায় সমগ্র দিল্লি মেট্রো রেলের দ্বারা যুক্ত।
বন্ধুগণ, আগে যে সরকারগুলি ক্ষমতায় ছিল, তাদের পরিবহণ ব্যবস্থা এবং পরিকাঠামো নির্মাণের প্রতি তেমন অগ্রাধিকার ছিল না। কিন্তু আমরা চাই যে, দেশের প্রতিটি প্রান্তে ভারসাম্যযুক্ত উন্নয়ন হোক। আমরা ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ গড়ে তোলার অভিযান শুরু করেছি।
হ্যাঁ, এটা অবশ্য মেনে নিতে হবে যে, ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সালের কালখন্ড আর ২০১৮-র মধ্যে একটি প্রজন্মের ব্যবধান এসেছে গেছে। চিন্তাভাবনা ও আশা-আকাঙ্খার ব্যবধান এসে গেছে।
ভাই ও বোনেরা, আজ কেন্দ্রীয় সরকারের অগ্রাধিকার ‘ইজ অফ লিভিং’ এবং ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ সুনিশ্চিত করা। সেজন্য সারা দেশে প্রায় ১০০টি স্মার্টসিটি গড়ে তোলা হচ্ছে।
পুণে সহ মহারাষ্ট্রের ৮টি শহর এরকম স্মার্টসিটি হবে। সারা দেশে এই লক্ষ্য নিয়ে ৫ হাজারেরও বেশি প্রকল্প বেছে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পগুলিতে আগামী দিনে ২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি খরচ করা হবে। ইতিমধ্যেই ১০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়িত করা হয়েছে এবং ৫৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে ১ হাজার ৭০০টি প্রকল্প দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হওয়ার পথে।
বন্ধুগণ, পুণে সহ মহারাষ্ট্রের ৮টি শহরে স্মার্ট সিটি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার কাজ ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে। আর সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। পুণে শহরে ইতিমধ্যেই সুংহত পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এখান থেকে গোটা শহরে সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থাগুলির তদারকির কাজ করা হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, অম্রুত মিশনের মাধ্যমে মহারাষ্ট্রের ৪১টিরও বেশি শহরে সড়ক, বিদ্যুৎ, পানীয় জল, পয়ঃপ্রণালী ইত্যাদি প্রাথমিক পরিষেবা সংশ্লিষ্ট প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প দ্রুত সম্পূর্ণ হওয়ার পথে। পাশাপাশি, শহরগুলির সৌন্দর্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কম বিদ্যুতে অধিক আলো পাবার জন্য এলইডি রাস্তার আলো লাগানো হচ্ছে।
মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে ইতিমধ্যেই প্রায় ১ লক্ষ এমনই রাস্তার আলো লাগানো হয়েছে। ফলে, বিদ্যুৎ বাবদ হাজার হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।
বন্ধুগণ, সাধারণ মানুষের সাশ্রয়ের পাশাপাশি, তাঁরা যাতে সরকারি পরিষেবাগুলি দ্বারা উপকৃত হন, তা সুনিশ্চিত করতে ডিজিটাল ইন্ডিয়া অভিযান ইতিমধ্যেই ব্যাপক রূপ ধারণ করেছে। আজ জন্মের প্রমাণপত্র থেকে শুরু করে জীবন প্রমাণপত্র পর্যন্ত অসংখ্য পরিষেবা অনলাইন হয়েছে। বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের বিল থেকে শুরু করে হাসপাতালে অ্যাপয়েন্টমেন্ট, ব্যাঙ্কের লেনদেন, পেনশন, প্রভিডেন্ট ফান্ড, স্কুল-কলেজে ভর্তি, যাতায়াতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আসন সংরক্ষণ – এরকম অসংখ্য পরিষেবা অনলাইন হয়ে গেছে। জনগণকে আর আগের মতো প্রত্যেক ক্ষেত্রে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয় না। ফলে, দুর্নীতিও কমেছে।
এখন ডিজি লকারে আপনাদের সমস্ত শংসাপত্র নিরাপদ রাখা যায়। সারা দেশে ইতিমধ্যেই প্রায় দেড় কোটি ডিজি লকার অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ অন্যান্য প্রমাণপত্রও আর সঙ্গে রাখার প্রয়োজন নেই, মোবাইল ফোনে এর সফটকপি কিংবা ডিজি লকারের মাধ্যমেই কাজ চলবে।
ভাই ও বোনেরা, সরকার চায় যে, আমাদের পেশাদাররা আমাদের বিভিন্ন শিল্পের চাহিদা এবং নতুন প্রয়োজন অনুসারে নিয়ম-কানুন রচনা করুক ও সেই অনুসারে তাঁদের রুটিং বদলান এবং লক্ষ্য রাখুন, সেইসব নিয়ম যাতে সরল, সুগম এবং স্বচ্ছ হয়!
ডিজিটাল ইন্ডিয়া এবং মেক ইন ইন্ডিয়া – সরকারের এই প্রচেষ্টাগুলিকে গতি প্রদান করেছে। আজ সাধারণ মানুষও প্রযুক্তির সুবিধা নিতে পারছেন, সস্তা মোবাইল ফোন এবং সুলভে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহার করতে পারছেন। মোবাইল ফোন সস্তা হওয়ার কারণ হ’ল – ভারত এখন বিশ্বে মোবাইল ফোন উৎপাদনে দ্বিতীয় বৃহত্তম হয়ে উঠেছে। সাড়ে চার বছর আগে দেশে মাত্র দুটি মোবাইল নির্মাণ কারখানা ছিল। সেই জায়গায় আজ প্রায় ১২৫টি মোবাইল ফোন নির্মাণ কারখানায় সারা দেশে মোবাইল ফোন উৎপাদনের কাজ এগিয়ে নিয়ে চলেছে। এই কারখানাগুলি ইতিমধ্যেই সাড়ে চার থেক পাঁচ লক্ষ নবীন প্রজন্মের মানুষকে কর্মসংস্থান দিয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে এই ক্ষেত্রটি আরও অনেক বিস্তারিত হবে। ভারত মোবাইল ফোন সমেত যাবতীয় ইলেক্ট্রনিক নির্মাণ ক্ষেত্রে একটি বড় হাব হয়ে উঠছে।
বন্ধুগণ, হার্ডওয়্যারের পাশাপাশি, সস্তা এবং দ্রুত ডেটা গ্রামে গ্রামে অলিতে-গলিতে পৌঁছে যাচ্ছে। দেশে প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার গ্রাম পঞ্চায়েতে ইতিমধ্যেই অপ্টিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক বিছানো সম্ভব হয়েছে। ৩ লক্ষেরও বেশি অভিন্ন পরিষেবা কেন্দ্র গ্রামগুলিতে কাজ করছে। এই কেন্দ্রগুলিতে ১০ লক্ষাধিক গ্রামীণ যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হয়েছে। দেড় লক্ষেরও বেশি ডাকঘর এখন অনলাইন ব্যাঙ্কিং – এর মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ডাক হরকরারা এখন ব্যাঙ্কিং পরিষেবা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন।
ইতিমধ্যেই দেশের ৭০০টি রেল স্টেশনে বিনামূল্যে ওয়াইফাই পরিষেবা চালু হয়েছে। ২০১৪ সালের তুলনায়, দেশে ডিজিটাল লেনদেন ৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, ইতিমধ্যেই দেশে ৫০ কোটিরও বেশি রুপে ডেবিট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। কেবলমাত্র বিগত দু’বছরেই ইউপিআই, ভীম এবং অন্যান্য ডিজিটাল মঞ্চের মাধ্যমে লেনদেন লক্ষ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভাই ও বোনেরা, পুণে পারম্পরিকভাবেই শিক্ষা, তথ্য প্রযুক্তি, কারিগরি এবং ব্যবসার কেন্দ্র। নতুন ভারতের পরিচয় গড়ে তুলতে এই শহর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমার বিশ্বাস। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো আমরা ইতিমধ্যেই গড়ে তুলতে পেরেছি। এখানে উপস্থিত কয়েক হাজার যুবক-যুবতীর মতোই সারা দেশে এখন উদ্ভাবক মনের মানুষেরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত।
স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া এবং অটল ইনোভেশনের মাধ্যমে ভারত ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির একটি বড় কেন্দ্র হয়ে উঠছে। স্টার্ট আপের ক্ষেত্রে ভারত ইতিমধ্যেই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যবস্থা হয়ে উঠেছে। দেশের প্রায় ৫০০টি জেলায় ১৪ হাজারেরও বেশি স্টার্ট আপ এই অভিযানকে গতি দিয়েছে।
আমাদের দেশে নতুন নতুন কল্পনা কোনও দিনই ছিল না। অভাব ছিল, সেগুলিকে যথাযথ দিশা দেখানোর, হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। বর্তমান সরকার নবীন প্রজন্মের উদ্ভাবনকে শিল্পে রূপান্তরণের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। সারা দেশে বিদ্যালয় স্তরে অটল টিঙ্কারিং ল্যাব আর স্টার্ট আপদের জন্য অটল ইনকিউবেশন সেন্টার খুলে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আমাদের নবীন প্রজন্মের ভাবনাচিন্তাকে গুরুত্ব প্রদানের সংস্কৃতি বিকশিত করা হচ্ছে। এরাই দেশের নতুন ভবিষ্যৎ গড়বে। এগুলির মাধ্যমে বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রতিভা ভাণ্ডার গড়ে উঠবে।
এই বিশ্বাস নিয়ে আরেকবার আপনাদের সবাইকে এখানে মেট্রো লাইনের কাজ শুরু হওয়ার জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। অনেক অনেক শুভেচ্ছা। এত বিপুল সংখ্যায় আপনারা এখানে আমাকে আশীর্বাদ দিতে এসেছেন – সেজন্য অন্তর থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।