মঞ্চে উপস্থিত ওড়িশার রাজ্যপাল অধ্যাপক গণেশীলালজি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আমার বন্ধু নবীন পট্টনায়কজি, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার সদস্য জুয়েল ওরাঁওজি, ধর্মেন্দ্র প্রধানজি, আমার সংসদের সাথী সতপথীজি, এই এলাকার বিধায়ক ব্রজকিশোর প্রধানজি এবং আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
এই অনুষ্ঠানের পর আমাকে একটা বিশাল জনসভায় বলতে হবে, সেজন্যে এখানে বিস্তারিত না বলে, অত্যন্ত কম শব্দে এই শুভ উদ্বোধনের মাধ্যমে আমার মনের আনন্দ ব্যক্ত করছি। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এই প্রকল্প সমাপণের জন্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।
এটি আমার জন্যে একপ্রকার পুনরুদ্ধারের সৌভাগ্য এনে দিয়েছে। অনেক দশক আগে যে স্বপ্ন বোনা হয়েছিল, কিন্তু কোনও না কোনও ত্রুটির ফলে সমস্ত স্বপ্ন ভেস্তে গিয়েছিল। এখানকার মানুষও আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন যে কোনোদিন আবার এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে পারে, এই অঞ্চলেই পুনরুজ্জীবিত হতে পারে!
কিন্তু আমরা সংকল্প নিয়েছি যে নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে, নতুন গতিতে দেশকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে হবে। সেজন্যে অনেক বৃহৎ প্রকল্প, অনেক বৃহৎ উদ্যোগ, তার সঙ্গে প্রাণশক্তি, গতি ও সংকল্প যুক্ত করতে হবে। পরিণামস্বরূপ, প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে আজ এখানে এই প্রকল্প পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু হল।
সমৃদ্ধ ভারতের জন্যে কয়লা বাষ্পীকরণের মাধ্যমে, এখানকার এই কালো হীরাকে একটি নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণ করে যে সার ও গ্যাস উৎপন্ন হবে তা থেকে এই অঞ্চল তথা দেশ একটি নতুন দিশা পাবে। বিদেশ থেকে আমাদের যত ইউরিয়া আনাতে হয় তা থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে, দেশের আর্থিক সাশ্রয় হবে।
এই অঞ্চলের নবীন প্রজন্মের জন্যে এটি কর্মসংস্থানের বড় সুযোগ। এই প্রকল্পের সঙ্গে প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষ যুক্ত হবেন, আর সেজন্যে এর চারপাশে অনেক নতুন ব্যবস্থা, নতুন সংস্থা গড়ে উঠবে, এখানকার মানুষ এগুলি দ্বারাও উপকৃত হবেন, কর্মসংস্থান হবে।
উন্নয়নের দিশা কিভাবে পরিবর্তিত হতে পারে – স্পষ্ট নীতি ও দেশের জন্যে সমর্পিত প্রাণ হলে, উত্তম সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়! আমাদের দেশে নবরত্ন, মহারত্ন, রত্ন – এমন অনেক সরকার অধিকৃত সংস্থার সুনাম আমরা অনেক শুনেছি। কখনও ভাল খবর, কখনও খারাপ খবর আসতে থাকে। কিন্তু তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি নতুন শক্তিরূপে গড়ে তুলে কিভাবে প্রকল্পটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, এই একটি নতুন উদাহরণ দেশের সামনে প্রতিষ্ঠিত হবে যে, যখন দেশের এরকম রত্নদের সমাহারে, মহারত্নদের সমন্বয়ে কোনও প্রকল্পের দায়িত্ব নেবেন, তখন তাঁদের সকলের নৈপুণ্য, সকলের মণিমুক্তো প্রয়োগ করা হবে আর ওড়িশা তথা দেশের কৃষকদের প্রয়োজন মেটানোর কারণ হয়ে উঠবে।
আমাকে বলা হয়েছে…. কারণ, আমি যখনই এই ধরণের প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে যাই, তখন জিজ্ঞেস করি যে, কবে থেকে উৎপাদন শুরু হবে সেটা বলুন! এখানেও তেমনি জিজ্ঞেস করেছি, আর কর্মকর্তারা আমাকে বলেছেন যে, ৩৬ মাসের মধ্যেই এখানে উৎপাদন শুরু করা যাবে! আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি যে ৩৬মাস পর আমি আবার আপনাদের মাঝে এসে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবো! এই আস্থা নিয়ে আরেকবার মুখ্যমন্ত্রী মহোদয়কে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।