Quoteবিশ্ব এই স্তরের টিকাদান অভিযান আর কখনো দেখেনি: প্রধানমন্ত্রী
Quoteকরোনার প্রেক্ষিতে ভারতীয় প্রতিক্রিয়া বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
Quoteপ্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা

প্রিয় দেশবাসী,

নমস্কার!

আজকের এই দিনটার জন্য গোটা দেশ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছে। গত কয়েক মাস ধরে দেশের প্রত্যেক বাড়িতে বাচ্চা থেকে বয়স্ক মানুষ , সবার মুখে একটাই প্রশ্ন ছিল- করোনার ভ্যাকসিন কবে আসছে? আজ করোনার টিকা তৈরি হয়ে গিয়েছে, খুব কম সময়ের মধ্যেই তা তৈরি করা হয়েছে। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ভারতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকাকরণ অভিযান শুরু হতে চলেছে। আমি সমস্ত দেশবাসীকে এর শুভেচ্ছা জানাই। গত কয়েক মাস ধরে যে সমস্ত বৈজ্ঞানিক ও কর্মী এই ভ্যাকসিন গবেষণার কাজে দিনরাত যুক্ত ছিলেন, তাঁরা আজ বিশেষভাবে প্রশংসার যোগ্য। তাঁরা উৎসব-পার্বণ ভুলে, দিন-রাত ভুলে কাজে যুক্ত ছিলেন। সাধারণত একটি ভ্যাকসিন তৈরি করতে বহু বছর সময় লাগে। কিন্তু এই কম সময়ের মধ্যে দু-দুটি 'মেড ইন ইন্ডিয়া' ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও আরও দ্রুতগতিতে বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে। এগুলি সব ভারতের সামর্থ্য, বৈজ্ঞানিক দক্ষতা, ভারতের প্রতিভার জীবন্ত উদাহরণ। ভারতের এধরনের উপলব্ধির জন্যই রাষ্ট্র কবি রামধারী সিং দিনকর বলেছিলেন- "মানুষ যখন জোর লাগায়, পাথরও জল হয়ে যায়"।

ভাই ও বোনেরা,

ভারতের টিকাকরণ অভিযান মানবিক ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। যার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তিনিই সর্বপ্রথম করোনার টিকা পাবেন। যার করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি সবথেকে বেশি, তাকেই প্রথম টিকা দেওয়া হবে। আমাদের যত ডাক্তার, নার্স, হাসপাতালের সাফাইকর্মী, মেডিকেল ও প্যারা মেডিকেল কর্মী রয়েছেন, করোনার ভ্যাকসিন তাঁদেরই সর্বপ্রথম প্রাপ্য। সরকারি হোক বা বেসরকারি, হাসপাতালের সব কর্মীদের এই ভ্যাকসিন সর্বপ্রথম দেওয়া হবে। এরপর তাঁদের এই টিকা দেওয়া হবে যাঁরা জরুরি পরিষেবা এবং দেশের প্রতিরক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে যুক্ত। যেমন আমাদের সেনাবাহিনী, পুলিশকর্মী, ফায়ার ব্রিগেডের কর্মী, সাফাই কর্মচারী, এঁদের সবাইকেই অগ্রাধিকারে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। আর যেমনটা আমি আগেই বলেছিলাম, এইসব কর্মীদের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটির কাছাকাছি। এদের সকলের টিকাকরণের খরচ ভারত সরকার বহন করছে।

|

বন্ধুগণ,

এই টিকাকরণ অভিযানের সাফল্যের জন্য রাজ্য সরকারদের সাহায্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ট্রায়াল হয়েছে, মহড়া করা হয়েছে। টিকাকরণের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম কোউইনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন থেকে ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আপনার প্রথম টিকা নেওয়ার পর, দ্বিতীয় ডোজ কবে দেওয়া হবে সেটাও ফোনেই জানানো হবে। আমি দেশবাসীকে মনে করাতে চাই যে করোনা ভ্যাকসিনের দুটো ডোজই আবশ্যক। একটা ডোজ নিয়ে ভুলে গেলাম, এরকম ভুল করবেন না। আর যেমন বিশেষজ্ঞররা বলেছেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে প্রায় ১ মাসের সময় রাখা হয়েছে। আপনাদের এটাও মনে রাখতে হবে যে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ২ সপ্তাহের পরই আপনার শরীরে করোনার বিরুদ্ধে লড়ার শক্তি তৈরি হবে। সেজন্য, টিকা নেওয়ার পরপরই আপনি অসাবধান হয়ে, মাস্ক খুলে, দু গজের দূরত্বের কথা ভুলে যাবেন না। আর আমি আপনাদের বলতে চাই, যেভাবে আপনারা ধৈর্য্য ধরে করোনার মোকাবিলা করেছেন, সেই ধৈর্য্য ভ্যাকসিনের সময়েও দেখান।

বন্ধুগণ,

ইতিহাসে এর আগে কখনও এত বড় ধরণের টিকাকরণ অভিযান হয়নি। এই অভিযানটি কত বড়, তা এই অভিযানের প্রথম ধাপ থেকেই অনুমান করা যেতে পারে। বিশ্বে ১০০টিরও বেশি এমন দেশ রয়েছে যাদের জনসংখ্যা ৩ কোটিরও কম। এবং ভারত প্রথম পর্যায়েই ৩ কোটি মানুষের টিকাকরণ করছে।

দ্বিতীয় পর্যায়ে, আমাদের এই সংখ্যাটি ৩০ কোটিতে নিয়ে যেতে হবে। যাঁরা বয়স্ক, যাঁরা গুরুতর অসুস্থ , তারা পরবর্তী পর্যায়ে টিকা পাবেন। আপনি অনুমান করতে পারেন যে ৩০ কোটি জনসংখ্যার ওপরে পৃথিবীতে কেবল তিনটি দেশ রয়েছে - ভারত, চীন এবং আমেরিকা। আর কোনও দেশের জনসংখ্যা এত বেশি নয়। এ কারণেই ভারতের টিকাকরণ অভিযান এত বড়। আর সেজন্যই এই অভিযান ভারতের সামর্থ্যের প্রতীক। এবং আমি দেশবাসীর কাছে আরও একটি কথা বলতে চাই - আমাদের বিজ্ঞানীরা, আমাদের বিশেষজ্ঞরা এই 'মেড ইন ইন্ডিয়া' ভ্যাকসিনটির সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরেই তা জরুরি অবস্থায় ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলেন। তাই দেশের জনগণকে অপপ্রচার ও গুজব থেকে দূরে থাকতে হবে।

|

বন্ধুগণ,

আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা, ভারতের টিকা গবেষক, ভারতের টিকাকরণ প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই বিশ্বে প্রচুর বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেছে। আমাদের অতীতের উদাহরণের মাধ্যমেই এই বিশ্বাস আমরা অর্জন করেছি।

আমার প্রিয় দেশবাসী,

প্রত্যেক ভারতীয় এটা জেনে গর্বিত হবেন যে বিশ্বের প্রায় ৬০ শতাংশ শিশু যে জীবনদায়ী ভ্যাকসিন পায় তা ভারতেই তৈরি হয়। এই ভ্যাকসিন গুলো ভারতের কঠোর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির মাধ্যমে অনুমোদন পায়। 'মেড ইন ইন্ডিয়া' করোনা ভ্যাকসিনের মাধ্যমে আমাদের বিজ্ঞানীদের ওপর বিশ্বস্ততা এবং ভ্যাকসিন সম্পর্কে আমাদের দক্ষতা বিশ্বে আরও দৃঢ় হবে। এই সম্পর্কে আরও কিছু বিশেষ বিষয় রয়েছে, যা আমি আজ দেশবাসীদের জানাতে চাই। এই ভারতীয় ভ্যাকসিনগুলি বিদেশী ভ্যাকসিনগুলির তুলনায় অনেক সস্তা এবং এগুলো ব্যবহার করাও সমান সহজ। বিদেশে কিছু ভ্যাকসিন রয়েছে যার ডোজ পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত এবং সেগুলি মাইনাস ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ফ্রিজে রাখতে হয়। যদিও, ভারতের ভ্যাকসিনগুলি এমনভাবে তৈরি যা বহু বছর ধরে ভারতে পরীক্ষিত । এই ভ্যাকসিনগুলো সংরক্ষণ থেকে পরিবহন পর্যন্ত ভারতীয় পরিবেশ ও পরিস্থিতির অনুকূল। এই ভ্যাকসিনটিই এখন করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভারতকে জয়ের মুখ দেখাচ্ছে।

বন্ধুগণ,

করোনার বিরুদ্ধে আমরা আত্মবিশ্বাস এবং স্বনির্ভরতাকে ভরসা করেই লড়ে গিয়েছি। এই কঠিন লড়াইয়ে আমরা আমাদের আত্মবিশ্বাসকে দুর্বল হতে দেব না, প্রতিটি ভারতীয়ই এই প্রণ করেছেন। সঙ্কট যত বড় হোক না কেন, দেশবাসী কখনই আত্মবিশ্বাস হারান নি। ভারতে প্রথম যখন করোনা ধরা পড়ে তখন দেশে করোনার পরীক্ষার একটি মাত্র পরীক্ষাগার ছিল। আমরা আমাদের সামর্থ্যের ওপর বিশ্বাস রাখি এবং আজ আমাদের কাছে ২৩০০রও বেশি ল্যাবের নেটওয়ার্ক রয়েছে। প্রথমদিকে, আমরা মাস্ক, পিপিই কিট, টেস্টিং কিট, ভেন্টিলেটরের মতো জরুরি জিনিসের জন্য বিদেশের ওপর নির্ভরশীল ছিলাম। আজ আমরা এই সমস্ত জিনিস তৈরি করতে স্বাবলম্বী হয়েছি এবং সেগুলি রফতানিও করছি। আত্মবিশ্বাস এবং স্বনির্ভরতার এই শক্তিকে আমাদের টিকাকরণের পর্যায়েও শক্তিশালী করতে হবে।

|

বন্ধুগণ,

মহান তেলেগু কবি শ্রী গুরাজাডা আপ্পারাও বলেছিলেন- "সন্ত মন্থান কান্ত মানুকু, পৈরুগুবাদিকি তোডু পডভয় দেশমন্তে মাত্তি কদোয়ী, দেশমান্টে মনুষুলয়!" অর্থাত্ আমরা যাতে অপরের কাজে আসতে পারি সেই নিঃস্বার্থ ভাবনা আমাদের মধ্যে থাকা উচিত। রাষ্ট্র কেবল কাদা, জল, নুড়ি, পাথর দিয়ে তৈরি হয় না, রাষ্ট্রের অর্থ আমাদের মানুষ। সারা দেশ এই ভাবনা নিয়েই করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। আজ যখন আমরা গত বছরের দিকে তাকিয়ে দেখি, একজন ব্যক্তি হিসেবে, একটি পরিবার হিসেবে, একটি রাষ্ট্র হিসেবে আমরা অনেক কিছু শিখেছি, অনেক কিছু দেখেছি, জেনেছি ও বুঝেছি। আজ যখন ভারত তার টিকাকরণ অভিযান শুরু করছে, আমি সেই দিনগুলিকেও স্মরণ করছি। করোনা সঙ্কটের সেই সময় প্রত্যেকেই কিছু করতে চাইছিল, তবে তাদের কাছে কোনও উপায় ছিল না। সাধারণত, কেউ অসুস্থ হলে, পুরো পরিবার অসুস্থ ব্যক্তির যত্ন নেওয়ার জন্য জড়ো হয়। তবে এই রোগটি রোগীকে নিঃসঙ্গ করে দিয়েছিল। বহু জায়গায় অসুস্থ ছোট বাচ্চাদের তাদের মায়ের কাছ থেকে দূরে থাকতে হয়েছে। মা চিন্তা করতেন, মা কাঁদতেন, কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও কিছুই করতে পারতেন না, সন্তানকে কোলে নিতেও পারতেন না। কোথাও বা হাসপাতালে একা বৃদ্ধ বাবা তাঁর রোগের সঙ্গে লড়াই করতে বাধ্য ছিলেন। সন্তান চেয়েও তাঁর পাশে থাকতে পারেনি। যাঁরা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন, তাঁরা অন্তিমকালে প্রাপ্য বিদায়টুকু পাননি। সেই সময়টি নিয়ে আমরা যত বেশি চিন্তা করি, মন কেঁপে ওঠে, মন খারাপ হয়ে যায়।

তবে বন্ধুরা,

ওই সঙ্কটের মধ্যে, হতাশার পরিবেশে, কেউ আমাদের মধ্যে আশার সঞ্চার করছিলেন, আমাদের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন সঙ্কটের মধ্যে ফেলেছিলেন। আমাদের চিকিৎসক, নার্স, প্যারামেডিক্যাল কর্মী, অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার, আশা কর্মী, সুইপার, পুলিশের সহযোগী এবং অন্যান্য সামনের সারিতে থাকা কর্মীরা। তাঁরা মানবতার প্রতি তাঁদের দায়িত্বকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন। এঁদের অনেকেই সেসময় ছেলেমেয়ে, পরিবার থেকে দূরে থেকেছেন, অনেক দিন বাড়িতে যাননি। এরকম অনেক বন্ধুও রয়েছেন যারা কখনও বাড়ি ফিরতেই পারেননি, তাঁরা একটি প্রাণ বাঁচানোর জন্য নিজের জীবনের আহুতি দিয়েছেন। তাই আজ, করোনার প্রথম ভ্যাকসিন সমাজের স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের দিয়ে, একরকমভাবে সমাজ তার ঋণ শোধ করছে। এই টিকা সেই সমস্ত বন্ধুর প্রতি রাষ্ট্রের কৃতজ্ঞতার শ্রদ্ধাঞ্জলি!

ভাই ও বোনেরা,

মানব ইতিহাসে অনেক বিপর্যয় ঘটেছে, মহামারী দেখা দিয়েছে, ভয়ানক যুদ্ধ হয়েছে, কিন্তু কারোনার মতো চ্যালেঞ্জ কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। এটি এমন এক মহামারী, যার অভিজ্ঞতা বিজ্ঞান বা সমাজ কারও কাছে ছিল না। বিভিন্ন দেশ থেকে যে ছবিগুলি আসছিল, যে খবর আসছিল, তা ভারতীয়দের পাশাপাশি গোটা বিশ্বকে চিন্তায় ফেলেছিল। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের বড় বড় বিশেষজ্ঞরা ভারতের সম্পর্কে নানা উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।

তবে বন্ধুরা,

ভারতের বিশাল জনসংখ্যা, যা আমাদের দুর্বলতা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিল, তাকে আমরা নিজের শক্তি বানিয়ে নিয়েছি। সংবেদনশীলতা ও সহমর্মিতাকে আধার করেই ভারত লড়াই শুরু করেছিল। ভারত চব্বিশ ঘন্টা সতর্ক থেকে, সমস্ত ঘটনার ওপর নজরদারি করে ঠিক সময়ে ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ৩০ শে জানুয়ারী, ভারতে করোনার প্রথম খবর পাওয়া যায়, তবে এর দুই সপ্তাহেরও আগে ভারতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন হয়ে গেছিলো। গত বছর আজকের দিনেই আমরা নজরদারি শুরু করে দিয়েছিলাম। ১৭ জানুয়ারি ২০২০ ভারত তার প্রথম অ্যাডভাইজরি প্রকাশ করেছিল। ভারত তার বিমানবন্দরগুলিতে যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু করা বিশ্বের প্রথম কয়েকটি দেশগুলির মধ্যে একটি।

বন্ধুগণ,

করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত যে ইচ্ছাশক্তির প্রদর্শন করেছে, যে সাহস দেখিয়েছে, যা সম্মিলিত শক্তি দেখিয়েছে, তা আগামীতে বহু প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার কাজ করবে। মনে করুন, জনতা কারফিউ করোনার বিরুদ্ধে আমাদের সমাজের সংযম এবং শৃঙ্খলারও পরীক্ষা ছিল, যাতে প্রতিটি দেশবাসী সফল হয়েছিল। জনতা কারফিউ লকডাউনের জন্য দেশকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে লকডাউনের জন্য প্রস্তুত করেছিল। আমরা তালি-থালা ও প্রদীপ জ্বালিয়ে দেশের আত্মবিশ্বাস বাঁচিয়ে রেখেছি।

বন্ধুগণ,

করোনার মতো অজানা শত্রু, যার ক্রিয়া-বিক্রিয়া বড়-বড় শক্তিশালী দেশগুলি বুঝতে পারছিল না, এর সংক্রমণ রোধ করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় ছিল যে যেখানে আছে সে সেখানেই থাক। সেজন্যে, দেশে লকডাউনের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছিল। এই সিদ্ধান্ত সহজ ছিল না। এত বড় জনসংখ্যাকে বাড়ির ভিতরে রাখা অসম্ভব, আমরা এটি উপলব্ধি করেছিলাম। এবং এখানে দেশে সবকিছু বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, লকডাউন হচ্ছিল। জনগণের জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে এর প্রভাব কী হবে, অর্থব্যবস্থায় এর কী প্রভাব পড়বে তাও আমরা মূল্যায়ন করছিলাম। তবে 'জান হ্যায় তো জাহান হ্যায়' মন্ত্র অনুসরণ করে দেশে প্রতিটি ভারতীয়ের জীবন রক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এবং আমরা প্রত্যেকে দেখেছি যে সঙ্গে সঙ্গে পুরো দেশ, পুরো সমাজ এই ভাবনাকে সমর্থন জানিয়েছিল। ছোট ছোট, তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার জন্য আমি বেশ কয়েকবার দেশবাসীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছি। একদিকে যেখানে দরিদ্রদের জন্য নিখরচায় খাবার সরবরাহ করা হয়েছিল, অন্যদিকে দুধ, শাকসবজি, রেশন, গ্যাস, ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছিল। দেশে সুষ্ঠুভাবে পরিষেবা চালানোর জন্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একটি ২৪*৭ কন্ট্রোল রুম চালু করেছিল, যেখানে হাজার হাজার প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে, মানুষের সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।

বন্ধুগণ,

করোনার বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে আমরা প্রতি পদক্ষেপে বিশ্বের সামনে নজির স্থাপন করেছি। এমন সময়ে যখন কিছু দেশ তাদের নাগরিকদের চীনের ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতির মাঝে ফেলে দিয়েছিল, তখন ভারত চীনে আটকে পড়া প্রত্যেক ভারতীয়কে ফিরিয়ে আনে।এবং শুধু ভারতীয়দের নয়, আমরা অন্যান্য অনেক দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে এনেছি। করোনার সময়ে বন্দে ভারত মিশনের আওতায় ৪৫ লক্ষেরও বেশি ভারতীয়দের বিদেশ থেকে ভারতে আনা হয়েছিল। আমার মনে আছে, একটি দেশে ভারতীয়দের পরীক্ষার জন্য মেশিন পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন ভারত এখান থেকে পুরো টেস্টিং ল্যাব ওই দেশে পাঠিয়ে দিয়েছিল যাতে ভারতীয়দের পরীক্ষা করতে সমস্যা না হয়।

বন্ধুগণ,

এই অতিমারীর সঙ্গে ভারত যেভাবে মোকাবিলা করেছে আজ পুরো বিশ্ব তা স্বীকার করছে। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার, স্থানীয় সংস্থা, প্রতিটি সরকারী প্রতিষ্ঠান, সামাজিক প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কীভাবে ভালভাবে কাজ করতে পারে তার উদাহরণও ভারতও বিশ্বের সামনে রেখেছিল। ইসরো, ডিআরডিও, সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে কৃষক ও শ্রমিকরা কীভাবে একই সংকল্পে কাজ করতে পারে তা ভারত দেখিয়ে দিয়েছে। 'দু গজের দূরত্ব এবং মাস্ক প্রয়োজনীয়' এই মন্ত্র অনুসরণ করার ক্ষেত্রে ভারত শীর্ষস্থানীয় দেশগুলির মধ্যে ছিল।

ভাই এবং বোনেরা,

আজ, এই সমস্ত চেষ্টার ফলাফল হ'ল ভারতে করোনার মৃত্যুর হার কম এবং ঠিক হয়ে ওঠার হার অনেক বেশি। দেশে এমন অনেক জেলা রয়েছে যেখানে করোনার কারণে একজনও প্রাণ হারায় নি। এই জেলাগুলির প্রতিটি ব্যক্তি করোনার থেকে সুস্থ হয়ে নিজের বাড়ি ফিরেছে। এমন অনেক জেলাও রয়েছে যেখানে গত দুই সপ্তাহ ধরে করোনা সংক্রমণের একটিও ঘটনা ঘটেনি। এমনকি লকডাউনের প্রভাবে ধসে পড়া অর্থনীতি পুনরুদ্ধারেও ভারত বিশ্বে অনেক দেশের থেকে এগিয়ে রয়েছে।

প্রতিকূলতার মধ্যেও দেড় শতাধিক দেশে প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা সরবরাহকারী কয়েকটি দেশগুলির মধ্যে ভারত অন্যতম। প্যারাসিটামল, হাইড্রোক্সি-ক্লোরোকুইন হোক, টেস্ট কিট হোক, ভারত অন্যান্য দেশের লোকদেরও সুরক্ষার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করেছে। আজ, যখন আমরা আমাদের ভ্যাকসিন তৈরি করেছি, এখন গোটা বিশ্ব আশা নিয়ে ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে। আমাদের টিকাকরণ অভিযানের অগ্রগতির ফলে বিশ্বের অনেক দেশ আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হবে। ভারতের ভ্যাকসিন, আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা, পুরো মানবজাতির কাজে লাগুক, এটা আমাদের প্রতিশ্রুতি।

ভাই এবং বোনেরা,

এই টিকাকরণ অভিযান দীর্ঘদিন চলবে। আমরা মানুষের জীবন বাঁচানোর সুযোগ পেয়েছি। তাই, এই অভিযানের সঙ্গে যুক্ত প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে দেশের স্বেচ্ছাসেবকরা এগিয়ে আসছেন। আমি তাদের স্বাগত জানাই, আমি অবশ্যই আরও স্বেচ্ছাসেবীদের এই পরিষেবায় যোগদান করার জন্য অনুরোধ করব। হ্যাঁ, আমি আগেই বলেছি, টিকাকরণের সময় এবং পরে মাস্ক, দু'গজের দূরত্ব এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা প্রয়োজন। আপনার টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে মানে এর অর্থ এই নয় যে আপনি করোনা প্রতিরোধের অন্যান্য উপায় মানবেন না। এখন আমাদের নতুন ব্রত নিতে হবে - ওষুধের পাশাপাশি অনুশাসনও! আপনারা সবাই সুস্থ থাকুন, আমি এই টিকাকরণ অভিযানের জন্য দেশকে শুভ কামনা জানাই! আমি বিশেষত দেশের বৈজ্ঞানিকদের, গবেষকদের, ল্যাবে যুক্ত সকলকে অভিনন্দন জানাই, যারা তাদের ল্যাবটিতে পুরো বছর ঋষির মতো কাটিয়েছেন এবং এই টিকাটি দেশ ও মানুষের উদ্দেশ্যে দিয়েছেন, তাদের ধন্যবাদ জানাই।

আমি আপনাদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। শীঘ্রই এর সুবিধা নিন। আপনি সুস্থ থাকুন, আপনার পরিবারও সুস্থ থাকুক। পুরো মানবজাতি এই সঙ্কটের মুহুর্ত থেকে বেরিয়ে আসুক এবং আমরা সকলেই সুস্থ জীবন কাটাই। আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই!

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
How PM Mudra Yojana Is Powering India’s Women-Led Growth

Media Coverage

How PM Mudra Yojana Is Powering India’s Women-Led Growth
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Our government is emphasizing on connectivity and also ensuring welfare of the poor and social justice: PM Modi in Hisar, Haryana
April 14, 2025
QuoteToday, being the birth anniversary of the architect of our Constitution, Baba Saheb Ambedkar, is a very important day for all of us, for the entire country: PM
QuoteToday flights have started from Haryana to Ayodhya Dham, meaning now the holy land of Shri Krishna, Haryana, is directly connected to the city of Lord Ram: PM
QuoteOn one hand, our government is emphasizing on connectivity and on the other hand, we are also ensuring welfare of the poor and social justice: PM

मैं कहूंगा बाबासाहेब आंबेडकर, आप सब दो बार बोलिए, अमर रहे! अमर रहे!

बाबासाहेब आंबेडकर, अमर रहे! अमर रहे!

बाबासाहेब आंबेडकर, अमर रहे! अमर रहे!

बाबासाहेब आंबेडकर, अमर रहे! अमर रहे!

हरियाणा के मुख्यमंत्री श्रीमान नायब सिंह सैनी जी, केन्द्रीय मंत्रिमंडल के मेरे साथी श्रीमान मुरलीधर मोहोल जी, हरियाणा सरकार के सभी मंत्रीगण, सांसद और विधायकगण और मेरे प्यारे भाइयों और बहनों,

म्हारे हरयाणे के धाकड़ लोगां ने राम राम!

ठाडे जवान, ठाडे खिलाड़ी और ठाडा भाईचारा, यो सै हरयाणे की पहचान!

लावणी के इस अति व्‍यस्‍त समय में आप इतनी विशाल संख्या में हमें आशीर्वाद देने पहुंचे हैं। मैं आप सभी जनता जनार्दन का अभिनंदन करता हूं। गुरु जंभेश्वर, महाराजा अग्रसेन और अग्रोहा धाम को भी श्रद्धापूर्वक नमन करता हूं।

|

साथियों,

हरियाणा से हिसार से मेरी कितनी ही यादें जुड़ी हुई हैं। जब भारतीय जनता पार्टी ने मुझे हरियाणा की जिम्मेदारी दी थी, तो यहां अनेक साथियों के साथ मैंने लंबे समय तक मिलकर काम किया था। इन सभी साथियों के परिश्रम ने भारतीय जनता पार्टी की हरियाणा में नींव को मजबूत किया है। और आज मुझे ये देखकर गर्व होता है कि भाजपा विकसित हरियाणा, विकसित भारत के लक्ष्य को लेकर पूरी गंभीरता से काम कर रहा है।

साथियों,

आज का दिन हम सभी के लिए, पूरे देश के लिए और खासकर के दलित, पीड़ित, वंचित, शोषित, उन सबके लिए बहुत महत्वपूर्ण दिवस है। उनके जीवन में तो ये दूसरी दिवाली होती है। आज संविधान निर्माता बाबासाहेब आंबेडकर की जयंती है। उनका जीवन, उनका संघर्ष, उनका जीवन संदेश, हमारी सरकार की ग्‍यारह साल की यात्रा का प्रेरणा स्तंभ बना है। हर दिन, हर फैसला, हर नीति, बाबासाहेब आंबेडकर को समर्पित है। वंचित, पीड़ित, शोषित, गरीब, आदिवासी, महिलाएँ, इनके जीवन में बदलाव लाना, इनके सपनों को पूरा करना, ये हमारा मकसद है। इसके लिए निरंतर विकास, तेज विकास और यही भाजपा सरकार का मंत्र है।

साथियों,

इसी मंत्र पर चलते हुए आज हरियाणा से अयोध्या धाम के लिए फ्लाइट शुरू हुई है। यानी अब श्रीकृष्‍ण जी की पावन भूमि, प्रभु राम की नगरी से सीधे जुड़ गई है। अग्रसेन हवाई अड्डे से वाल्‍मीकि हवाई अड्डे, अब सीधी उड़ान भरी जा रही है। बहुत जल्दी यहां से दूसरे शहरों के लिए भी उड़ानें शुरू होंगी। आज हिसार एयरपोर्ट की नई टर्मिनल बिल्डिंग का शिलान्यास भी हुआ है। ये शुरुआत हरियाणा की आकांक्षाओं को एक नई ऊंचाई पर पहुंचाने की उड़ान है। मैं हरियाणा के लोगों को इस नई शुरुआत के लिए ढेर सारी बधाई देता हूं।

|

साथियों,

मेरा आपसे वादा रहा है, हवाई चप्पल पहनने वाला भी हवाई जहाज में उड़ेगा और ये वादा हम देश में चारों तरफ पूरा होता देख रहे हैं। बीते दस सालों में करोड़ों भारतीयों ने जीवन में पहली बार हवाई सफर की है। हमने वहां भी नए एयरपोर्ट बनाए, जहां कभी अच्छे रेलवे स्टेशन तक नहीं थे। 2014 से पहले देश में 74 एयरपोर्ट थे। सोचिए, 70 साल में 74, आज देश में एयरपोर्ट की संख्या 150 के पार हो गई है। देश के करीब 90 एरोड्रम उड़ान योजना से जुड़ चुके हैं। 600 से अधिक रूट पर उड़ान योजना के तहत हवाई सेवा चल रही है। इनमें बहुत कम पैसों में लोग हवाई यात्रा कर रहे हैं और इसलिए आज हर साल हवाई यात्रा करने वालों का नया रिकॉर्ड बन रहा है। हमारी एयरलाइन कंपनियों ने भी रिकॉर्ड संख्या में दो हजार नए जहाजों का, हवाई जहाजों का ऑर्डर दिया है। और जितने नए जहाज आएंगे, उतनी ही ज्यादा नौकरियां, पायलट के रूप में हो, एयर होस्टेस के रूप में हो, सैकड़ों नई सेवाएं भी होती हैं, एक हवाई जहाज जब चलता है तब, ग्राउंड स्टाफ होता है, न जाने कितने काम होते हैं। ऐसी अनेक सेवाओं के लिए नौजवानों को रोजगार के अवसर मिलेंगे। इतना ही नहीं, हवाई जहाज के मेंटेनेंस से जुड़ा एक बड़ा सेक्टर भी अनगिनत रोजगार बनाएगा। हिसार का ये एयरपोर्ट भी हरियाणा के नौजवानों के सपनों को नई ऊंचाई देगा।

साथियों,

हमारी सरकार एक तरफ कनेक्टिविटी पर बल दे रही है, दूसरी तरफ गरीब कल्‍याण और सामाजिक न्‍याय भी सुनिश्चित कर रही है और यहीं तो बाबासाहेब आंबेडकर का सपना था। हमारे संविधान निर्माताओं की यही आकांक्षा थी। देश के लिए मरने-मिटने वालों का भी यही सपना था, लेकिन हमें ये कभी भूलना नहीं है कि कांग्रेस ने बाबासाहेब आंबेडकर के साथ क्‍या किया। जब तक बाबासाहेब जीवित थे, कांग्रेस ने उन्हें अपमानित किया। दो-दो बार उन्हें चुनाव हरवाया, कांग्रेस की पूरी सरकार उनको उखाड़ फेंकने में लगी थी। उनको सिस्‍टम से बाहर रखने की साजिश की गई। जब बाबासाहेब हमारे बीच नहीं रहे, तो कांग्रेस ने उनकी याद तक मिटाने की कोशिश की। कांग्रेस ने बाबासाहेब के विचारों को भी हमेशा के लिए खत्म कर देना चाहा। डॉक्टर आंबेडकर संविधान के संरक्षक थे। कांग्रेस संविधान की भक्षक बन गई है। डॉक्टर आंबेडकर समानता लाना चाहते थे, लेकिन कांग्रेस ने देश में वोट बैंक का वायरस फैला दिया।

साथियों,

बाबासाहेब चाहते थे कि हर गरीब, हर वंचित, गरिमा से जी सके, सर ऊंचा करके जीये, वो भी सपने देखे, अपने सपने पूरे कर सके। लेकिन कांग्रेस ने एससी, एसटी, ओबीसी को सेकंड क्‍लास सिटीजन बना दिया। कांग्रेस के लंबे शासनकाल में, कांग्रेस के नेताओं के घर में स्विमिंग पूल तक पानी पहुंच गया, लेकिन गांव में नल से जल नहीं पहुंचा। आजादी के 70 साल बाद भी गांवों में सिर्फ 16 प्रतिशत घरों में नल से जल आता था। सोचिए, 100 घर में से 16 घर में! इससे सबसे ज्यादा प्रभावित कौन थे? इससे एससी, एसटी, ओबीसी सबसे ज्यादा प्रभावित थे। अरे उनकी इतनी ही चिंता थी, आज जो गली-गली में जाकर भाषण झाड़ रहे हैं, अरे कम से कम मेरे एससी, एसटी, ओबीसी भाइयों के घर तक अरे पानी तो पहुंचा देते। हमारी सरकार ने 6-7 साल में 12 करोड़ से ज़्यादा ग्रामीण घरों में नल कनेक्शन दिए हैं। आज गांव के 80 प्रतिशत घरों में यानी पहले 100 में से 16, आज 100 में से 80 घरों में नल से जल आता है। और बाबासाहेब का आशीर्वाद है, हम हर घर तक नल से जल पहुंचाएंगे। शौचालय के अभाव में भी सबसे बुरी स्थिति एससी, एसटी, ओबीसी समाज की ही थी। हमारी सरकार ने 11 करोड़ से ज्यादा शौचालय बनवाकर, वंचितों को गरिमा का जीवन दिया।

साथियों,

कांग्रेस के ज़माने में एससी, एसटी, ओबीसी के लिए बैंक का दरवाजा तक नहीं खुलता था। बीमा, लोन, मदद, ये सारी बातें, सब सपना था। लेकिन अब, जनधन खातों के सबसे बड़े लाभार्थी मेरे एससी, एसटी, ओबीसी के भाई-बहन हैं। हमारे एससी, एसटी, ओबीसी भाई-बहन आज गर्व से जेब में से रुपे कार्ड निकाल कर के दिखाते हैं। जो अमीरों के जेबों में कभी रुपे कार्ड हुआ करते थे, वो रुपे कार्ड आज मेरा गरीब दिखा रहा है।

|

साथियों,

कांग्रेस ने हमारे पवित्र संविधान को, सत्ता हासिल करने का एक हथियार बना दिया। जब-जब कांग्रेस को सत्ता का संकट दिखा, उन्होंने संविधान को कुचल दिया। कांग्रेस ने आपातकाल में संविधान की स्पिरिट को कुचला, ताकि जैसे-तैसे सत्ता बनी रहे। संविधान की भावना है कि सबके लिए एक जैसी नागरिक संहिता हो, जिसे मैं कहता हूं सेक्‍युलर सिविल कोड, लेकिन कांग्रेस ने इसे कभी लागू नहीं किया। उत्तराखंड में, भाजपा सरकार आने के बाद सेक्‍युलर सिविल कोड, समान नागरिक संहिता, ये लागू हुई, डंके की चोट पर लागू हुई और देश का दुर्भाग्य देखिए, संविधान को जेब में लेकर के बैठे हुए लोग, संविधान पर बैठ गए हुए लोग, ये कांग्रेस के लोग उसका भी विरोध कर रहे हैं।

साथियों,

हमारे संविधान ने एससी, एसटी, ओबीसी के लिए आरक्षण का प्रावधान किया। लेकिन कांग्रेस ने उनको आरक्षण पहुंचा की नहीं पहुंचा, उनके बच्‍चों को शिक्षा के लिए सुविधा प्रारंभ मिलना शुरू हुआ कि नहीं हुआ, एससी, एसटी, ओबीसी के कोई व्यक्ति अधिकार से वंचित तो नहीं रहे गए, उसकी कभी परवाह नहीं की, लेकिन राजनीतिक खेल खेलने के लिए कांग्रेस ने बाबासाहेब आंबेडकर ने जो सपना देखा था, सामाजिक न्‍याय के लिए संविधान में जो व्यवस्था की थी, उसको भी पीठ में छुरा घोंपकर उस संविधान के उस प्रावधान को तुष्टिकरण का माध्यम बना दिया। अभी आपने भी समाचारों में सुना होगा, कर्नाटका की कांग्रेस सरकार ने टेंडर में अब एससी, एसटी, ओबीसी के अधिकार छीनकर के धर्म के आधार पर आरक्षण दे दिया। जबकि संविधान में बाबासाहेब आंबेडकर ने साफ-साफ शब्दों में चर्चा में कहा था कि इस संविधान में कतई धर्म के आधार पर आरक्षण की व्यवस्था नहीं की जाएगी और हमारे संविधान ने धर्म के आधार पर आरक्षण के लिए प्रतिबंध लगाया हुआ है।

साथियों,

कांग्रेस की तुष्टिकरण की इस नीति का बहुत बड़ा नुकसान, मुस्लिम समाज को भी हुआ है। कांग्रेस ने सिर्फ कुछ कट्टरपंथियों को ही खुश किया। बाकी समाज, बेहाल रहा, अशिक्षित रहा, गरीब रहा। कांग्रेस की इस कुनीति का सबसे बड़ा प्रमाण, वक्फ कानून है। देश आजाद होने के बाद, 2013 तक वक्‍फ का कानून चलता था, लेकिन चुनाव जीतने के लिए तुष्टिकरण की राजनीति के लिए, वोटबैंक की राजनीति के लिए, 2013 के आखिर में, आखिरी सत्र में कांग्रेस ने इतने सालों तक चल रहे वक्फ कानून में आनन-फानन संशोधन कर दिया, ताकि चुनाव में वोट पा सकें। वोट बैंक को खुश करने के लिए, इस कानून को ऐसा बना दिया कि बाबासाहेब आंबेडकर के संविधान की ऐसी की तैसी, संविधान से ऊपर कर दिया। ये बाबासाहेब का सबसे बड़ा अपमान का काम था।

साथियों,

ये कहते हैं कि इन्होंने ये मुसलमानों के हित में किया। मैं जरा ऐसे सभियों से पूछना चाहता हूं, वोट बैंक के भूखे इन राजनेताओं से कहना चाहता हूं, अगर सच्चे अर्थ से आपके दिल में मुसलमानों के लिए थोड़ी भी हमदर्दी है, तो कांग्रेस पार्टी अपने पार्टी के अध्यक्ष मुसलमान को बनाए, क्यों नहीं बनाते भई? संसद में टिकट देते हैं, 50 परसेंट मुसलमानों को दो। जीत करके आएंगे तो अपनी बात बताएंगे। लेकिन ये नहीं करना है, कांग्रेस में तो कुछ नहीं देना है। देश की, देश के नागरिकों के अधिकारों को छीनना और देना, इनकी नीयत किसी का भी भला करने की कभी नहीं रही, मुसलमानों का भला करने की भी नहीं रही। यही कांग्रेस की अच्छी सच्चाई है।

|

साथियों,

वक्फ के नाम पर लाखों हेक्टेयर जमीन पूरे देश में है। इस जमीन, इस प्रॉपर्टी से गरीब का, बेसहारा महिलाओं-बच्चों का भला होना चाहिए था और आज ईमानदारी से उसका उपयोग हुआ होता, तो मेरे मुसलमान नौजवानों को साइकिल के पंक्चर बनाकर के जिंदगी नहीं गुजारनी पड़ती। लेकिन इससे मुट्ठी भर भू-माफिया का ही कुछ भला हुआ। पसमांदा मुस्लिम, इस समाज को कोई फायदा नहीं हुआ। और ये भूमाफिया, किसकी जमीन लूट रहे थे? ये दलित की जमीन लूट रहे थे, पिछड़े की जमीन लूट रहे थे, आदिवासी की जमीन लूट रहे थे, विधवा महिलाओं की संपत्ति जमीन लूट रहे थे। सैकड़ों विधवा मुस्लिम महिलाओं ने भारत सरकार को चिट्ठी लिखी, तब जाकर के ये कानून की चर्चा आई है। वक्फ कानून में बदलाव के बाद अब ये गरीबों से जो लूटा जा रहा है, वो बंद होने वाला है। और सबसे बड़ी बात, हमने एक बहुत बड़ा जिम्मेदारी पूर्ण, महत्वपूर्ण काम किया है। हमने इस वक्फ कानून में एक और प्रावधान कर दिया है। अब नए कानून के तहत, वक्‍फ के कानून के तहत, किसी भी आदिवासी की जमीन को हिन्‍दुस्‍तान के किसी भी कोने में, आदिवासी की जमीन को, उसके घर को, उसकी संपत्ति को ये वक्फ बोर्ड हाथ भी नहीं लगा पाएगा। ये आदिवासी के हितों की रक्षा करने का, संविधान की मर्यादाओं का पालन करने का हमने बहुत बड़ा काम किया है। मैं ये प्रावधानों से वक्फ की भी पवित्र भावना का सम्मान होगा। मुस्लिम समाज के गरीब और पसमांदा परिवारों, मुस्लिम महिलाओं खास करके मुस्लिम विधवाओं को, मुस्लिम बच्चों को उनका हक भी मिलेगा और भविष्य में उनका हक सुरक्षित रहेगा। और यही तो बाबासाहेब आंबेडकर ने संविधान की स्पिरिट में हमें काम दिया हुआ है। यही असल स्पिरिट है, यही असली सामाजिक न्याय है।

साथियों,

हमारी सरकार ने 2014 के बाद, बाबासाहेब आंबेडकर की प्रेरणा को आने वाली पीढ़ियों तक पहुंचाने के लिए अनेक महत्वपूर्ण कदम उठाए। बाबासाहेब देश और दुनिया में जहां-जहां रहे, वे सभी स्थान उपेक्षित थे। जो संविधान के नाम पर अपनी राजनीतिक रोटी सेकने के लिए निकले हैं, उन्होंने बाबासाहेब से जुड़े हुए हर स्थान का अपमान किया, इससे इतिहास से मिटाने का प्रयास किया। स्थिति ये थी कि मुंबई के इंदु मिल में बाबासाहेब आंबेडकर का स्मारक बनाने के लिए भी देशभर में लोगों को आंदोलन करने पड़े। हमारी सरकार ने आते ही इंदु मिल के साथ-साथ, बाबासाहेब आंबेडकर की महू की जन्मभूमि हो, बाबासाहेब आंबेडकर जी की लंदन की शिक्षाभूमि हो, दिल्ली में उनकी महापरिनिर्वाण स्थली हो या फिर नागपुर की दीक्षाभूमि हो, हमने सभी का विकास किया। इनको पंचतीर्थ के रूप में विकसित किया है। मेरा सौभाग्य है कि कुछ दिन पहले ही मुझे दीक्षाभूमि में जाकर, नागपुर जाकर बाबासाहेब को नमन करने का अवसर मिला।

|

साथियों,

कांग्रेस के लोग सामाजिक न्याय की बड़ी-बड़ी बातें करते हैं, लेकिन हमें ये भी याद रखना है कि कांग्रेस ने बाबासाहेब आंबेडकर और चौधरी चरण सिंह जी, इन दोनों महान सपूतों को भारत रत्न नहीं दिया था। बाबासाहेब आंबेडकर को भारत रत्न तब मिला, जब केंद्र में भाजपा के समर्थन वाली सरकार बनी। वहीं हमें गर्व है कि भाजपा की ही सरकार ने चौधरी चरण सिंह जी को भी भारत रत्न दिया है।

साथियों,

सामाजिक न्याय के, गरीब कल्याण के पथ को, हरियाणा की भाजपा सरकार भी निरंतर सशक्त कर रही है। सरकारी नौकरियों की भी हरियाणा में क्या हालत थी, आप सबको पता है। यूं किया करते, जे नौकरी लागणि है, तो किसी नेता के गैल हो ले और नि तो रुपया ले आ। बापू की जमीन और मां के तो जेवर भी बिक जाया करते। मुझे खुशी है कि नायब सिंह सैनी जी की सरकार ने कांग्रेस की इस बीमारी का इलाज कर दिया है। बिना खर्ची-बिना पर्ची के नौकरियां देने का जो ट्रैक रिकॉर्ड हरियाणा का है, वो अद्भुत है। और मुझे गर्व है कि मुझे ऐसे साथी मिले हैं, ऐसी साथी-सरकार मिली है। यहां के 25 हज़ार नौजवानों को सरकारी नौकरी ना मिले, इसके लिए कांग्रेस ने एड़ी-चोटी का ज़ोर लगा दिया था। लेकिन इधर मुख्यमंत्री नायब सैनी जी ने शपथ ली, उधर हजारों युवाओं को नियुक्ति-पत्र जारी कर दिये गए! ये है, भाजपा का, सरकार का सुशासन। और अच्छा ये है कि नायब सिंह सैनी जी की सरकार आने वाले वर्षों में हजारों नई नौकरियों का रोडमैप बनाकर के चल रही है।

साथियों,

हरियाणा वो प्रदेश है, जहां बहुत बड़ी संख्या में युवा सेना में जाकर देश की सेवा करते हैं। कांग्रेस ने तो वन रैंक वन पेंशन को लेकर भी दशकों तक धोखा ही दिया। ये हमारी सरकार है जिसने वन रैंक वन पेंशन योजना लागू की। अब तक हरियाणा के पूर्व फौजियों को भी OROP के, वन रैंक वन पेंशन के 13 हजार 500 करोड़ रुपए, 13 हजार 500 करोड़ रुपए दिए जा चुके हैं। आपको याद होगा, इसी योजना पर झूठ बोलते हुए कांग्रेस सरकार ने पूरे देश के फौजियों के लिए सिर्फ 500 करोड़ रुपए का प्रावधान किया था। अब आप सोचिए अखिल हरियाणा में, 13 हजार 500 करोड़ और कहां 500 करोड़, कैसी आंख में धूल डालने की प्रवृत्ति थी। कांग्रेस किसी की सगी नहीं है, वो सिर्फ सत्ता की सगी है। वो ना दलितों की सगी है, ना पिछड़ों की सगी है, ना मेरे देश की माता, बहन, बेटियों की सगी है, ना ही वो मेरे फौजियों की सगी है।

|

साथियों,

मुझे पूरा विश्वास है कि हरियाणा, विकसित भारत के संकल्प को मजबूती देगा। खेल हो या फिर खेत, हरियाणा की मिट्टी की खुशबू दुनियाभर में महक बिखेरती रहेगी। मुझे हरियाणा के अपने बेटे-बेटियों पर बहुत भरोसा है। ये नया एयरपोर्ट, ये नई उड़ान, हरियाणा को पूरा, हरियाणा के सपनों को पूरा करने की प्रेरणा बने और इतनी विशाल संख्या में आप आशीर्वाद देने आए, ये मेरा सौभाग्य है, मैं आपको सर झुकाकर के नमन करता हूं। और अनेक सफलताओं के लिए, अनेक-अनेक शुभकामनाएं देता हूं, बहुत-बहुत बधाई देता हूं! मेरे साथ बोलिए भारत माता की जय! भारत माता की जय! भारत माता की जय!

बहुत-बहुत धन्यवाद!