Quoteপ্রধানমন্ত্রী মোদী ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্ট ব্যাঙ্ক-এর উদ্বোধন করলেন
Quoteআইপিপিবি গ্রাম ও গরিবের দরজায় ব্যাঙ্ক ও ব্যাঙ্কিং সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে দেশের অর্থ ব্যবস্থায় একটি বড় পরিবর্তন নিয়ে আসবে: প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quoteআইপিপিবি-এর মাধ্যমে দেশের প্রতিটি কোণায় ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে যাবে: প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quoteএনপিএ সমস্যা বাড়ার জন্য দায়ী পূর্ববর্তী ইউপিএ সরকার: প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quoteদেশের অর্থনীতিকে ল্যান্ডমাইনের ওপর ফেলে গিয়েছে নামদার (কংগ্রেস), বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quoteআমরা ঋণ খেলাপীদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী মোদী

মঞ্চে উপস্থিত আমার মন্ত্রী পরিষদের সহযোগী শ্রী মনোজ সিনহা, ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস্‌ ব্যাঙ্কের সিইও ও সচিব এবং উপস্থিত অন্যান্য মাননীয় ব্যক্তিবর্গ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্র মহোদয়গণ। এই সময়ে প্রযুক্তির মাধ্যমে সারা দেশে ৩ হাজারেরও বেশি কেন্দ্রে ডাক বিভাগের কয়েক হাজার কর্মচারী এবং স্থানীয় নাগরিক এই অনুষ্ঠান দেখছেন। আমাদের মনোজজি বলছিলেন যে, প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ আজ এই অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করছেন। অনেক রাজ্যের মাননীয় রাজ্যপাল, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্র ও রাজ্যের মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, সাংসদ ও বিধায়কগণ-ও এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়েছেন। তাঁদেরকেও আমি এই সমারোহে স্বাগত জানাই, অভিনন্দন জানাই।

 

আমাদের মন্ত্রী শ্রী মনোজ সিনহা আইআইটি-র কৃতী ছাত্র হওয়ার ফলে আপন স্বভাবেই সবকিছুকে প্রযুক্তির সঙ্গে জুড়ে দেন। আর সেজন্য এই সমারোহতেও প্রযুক্তিরই জয়জয়কার। মনোজজি ব্যক্তিগত আগ্রহ নিয়ে এই পদক্ষেপকে ত্বরান্বিত করেছেন। তাঁর নিজস্ব প্রযুক্তিগত প্রেক্ষাপট থাকার ফলে এই প্রকল্প রূপায়ণে তাঁর কাছ থেকেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ পাওয়া গেছে, যা দেশকে একটি বড় উপহার তুলে দিচ্ছে। আজকের পয়লা সেপ্টেম্বর দিনটি দেশের ইতিহাসের নতুন ও অভূতপূর্ব ব্যবস্থার সূত্রপাতের জন্য মনে রাখা হবে।

 

ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস্‌ ব্যাঙ্ক – এর মাধ্যমে দেশের প্রত্যেক গরিব, সাধারণ মানুষ দেশের প্রতিটি প্রান্তে, দূরদূরান্তের পার্বত্য কিংবা ঘন জঙ্গলে বসবাসকারী আদিবাসী অথবা দূরবর্তী কোনও দ্বীপে বসবাসকারী প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকের দরজায় ব্যাঙ্ক ও ব্যাঙ্কিং সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার যে সংকল্প আমরা করেছিলাম, তা বাস্তবায়নের পথ খুলে গেল। এই নতুন ব্যবস্থার জন্য প্রত্যেক ভারতবাসীকে আমি অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

 

ভাই ও বোনেরা, ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস্‌ ব্যাঙ্ক দেশের অর্থ ব্যবস্থায় ও সামাজিক ব্যবস্থায় একটি বড় পরিবর্তন নিয়ে আসবে। আমাদের সরকার আগে জন ধন প্রকল্পের মাধ্যমে কোটি কোটি গরিব পরিবারকে প্রথমবার ব্যাঙ্ক পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছে। আর আজ এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা ব্যাঙ্কে গ্রাম ও গরিবের দুয়ারে পৌঁছনোর কাজ শুরু করছি। এর পর থেকে ‘আপনার ব্যাঙ্ক আপনার দরজায়’ কথাটা শুধুমাত্র শ্লোগানই থেকে যাবে না, এটা আমাদের দায়বদ্ধতা, এটা আমাদের স্বপ্ন। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমরা একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছি। সারা দেশে ৬৫০টিরও বেশি জেলায় আজ ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস্‌ ব্যাঙ্ক-এর শাখাগুলি যাত্রা শুরু করল। আর আমাদের চিঠি নিয়ে আসা ডাক হরকরারা আজ থেকে হয়ে উঠলেন এক একজন চলমান ব্যাঙ্ক।

 

এখানে আসার সময় আমি একটা প্রদর্শনী দেখেছি, কেমন ব্যবস্থা হচ্ছে, কিভাবে কাজ হবে – এসব কিছু আমাকে বিস্তারিত বলা হয়েছে, আপনারাও সম্ভবতঃ টিভি স্ক্রিনে বা আপনাদের সামনের পর্দায় দেখেছেন। আমি যখন দেখছিলাম, সেখানে উপস্থিত বিশেষজ্ঞ যখন আমাকে গোটা ব্যবস্থাটা বোঝাচ্ছিলেন তখন তাঁর প্রত্যয় দেখে, এমন কর্তব্যনিষ্ঠ সঙ্গীদের দেখে আমার মনে এত আত্মসন্তুষ্টি জেগে উঠছিল, অনুভব করছিলাম যে এই প্রচেষ্টা অবশ্যই দেশকে নতুন রঙে রাঙিয়ে দেবে! আমাদের দেশে সাধারণ মানুষের সঙ্গে ডাক হরকরাদের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে। মানুষের মনে সরকারের প্রতি অবিশ্বাস তৈরি হলেও ডাক হরকরাদের প্রতি বিশ্বাস অটল থাকে। যাঁরা গ্রামীণ জীবন সম্পর্কে পরিচিত তাঁরা জানেন যে, কয়েক দশক আগে ডাক হরকরারা এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যেতেন। তাঁদের হাতে একটি ঘুঙুর বাঁধা ঢাল থাকত। তাঁরা যখন যেতেন দূর থেকে সেই ঘুঙুরের শব্দ শোনা যেত। ঘন জঙ্গলে কিংবা যে কোনও প্রত্যন্ত দুর্গম অঞ্চলে এই ডাক হরকরাদের কোনও চোর-ডাকাতও আক্রমণ করত না। কারণ, তাঁরা জানত যে, এই ডাক হরকরা হয়তো কোনও গরিব মায়ের জন্য মানি অর্ডারের টাকা নিয়ে যাচ্ছেন।

 

আপনারা হয়তো জানেন যে, এখন যেমন প্রত্যেক বাড়িতে এক বা একাধিক ঘড়ি আছে। কিন্তু আগে গ্রামে দু-একটি টাওয়ার ছাড়া ঘড়ি থাকতো না। আমিও গ্রামের গরিব ঘরের ছেলে বলে এসব জানি। বাড়ির বয়স্ক ব্যক্তি উঠানে কিংবা দাওয়ায় বসে জিজ্ঞেস করতেন, আজ ডাকিয়া আসেননি? এমন নয় যে কারও ডাক আসবে বলেই এই জিজ্ঞাসা, অনেকে সময় জানার জন্যেও এই প্রশ্ন করতেন। কারণ তাঁরা জানতেন যে, ডাক হরকরারা এতটাই সময়নিষ্ঠ যে তাঁদেরকে দেখে সময় জানা যায়। এভাবে ডাক হরকরারা গ্রামের প্রতিটি পরিবারের সঙ্গে একটি আবেগপূর্ণ যোগাযোগের বন্ধনে বাধা পড়তেন। তাঁদের নিয়ে আসা চিঠি পড়ে মানুষ হাসতেন, কাঁদতেন। ফলে তাঁদের সমাজে একটি বিশেষ সম্মানের জায়গা ছিল।

 

আজকের এই যুগে প্রযুক্তি অনেক কিছু বদলে দিয়েছে। কিন্তু চিঠি সরবরাহের ক্ষেত্রে ডাক হরকরাদের প্রতি মানুষের যে আস্থা, তা আজও তেমনই রয়েছে। ডাক হরকরা ও ডাকঘর আমাদের সমাজ জীবনে, আমাদের সাহিত্য, লোককথা ও চলচ্চিত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমরা আজও বিজ্ঞাপনে দেখি, ‘ডাকিয়া ডাক লায়া’র মতো গান দশকের পর দশক ধরে মানুষের হৃদয়ে আবেদন সৃষ্টি করে যাচ্ছে। আর আজ থেকে সেই ডাকিয়ারা ডাকের পাশাপাশি ব্যাঙ্ক নিয়ে মানুষের ঘরে পৌঁছবেন।

 

কয়েক দশক আগে আমি একবার কানাডা গিয়েছিলাম। সেখানে একটি সিনেমা দেখেছিলাম। আমার আজও মনে আছে, ডাক সংক্রান্ত সেই রোমহর্ষক সিনেমাটির নাম ছিল ‘এয়ারমেল’। আমাদের জীবনে চিঠির কতটা গুরুত্ব সেটাই ছিল ঐ কাহিনীর মূল কথা। সিনেমাটিতে একটি বিমান ছিল। সেই বিমানের কার্গোতে চিঠি ভর্তি ছিল। দুর্ভাগ্যবশত, বিমানটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়। সেই অভিশপ্ত দুর্ঘটনাস্থল থেকে চিঠিগুলিকে সংগ্রহ করে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার গল্প নিয়েই সিনেমাটি তৈরি হয়েছে। একটা মানুষের জীবন বাঁচাতে যেমন যত্ন করা হয়, ঐ সিনেমায় ডাক হরকরারা প্রতিটি চিঠিকে তেমনই যত্ন নিয়ে পৌঁছে দিয়েছিল। সম্ভবত আজও আপনারা চাইলে ইউটিউবে এই সিনেমাটি দেখে নিতে পারেন। সেই চিঠিগুলির প্রতি যত্ন, সেই চিঠিগুলির বার্তা চিন্তাভাবনা, অভিযোগ; চিঠির আত্মীয়তাই তার আত্মাস্বরূপ। আজও আমি প্রতিদিন হাজার হাজার চিঠি পাই। আমি যখন থেকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছি। ডাক বিভাগের কাজ বেড়ে গেছে। মানুষের আস্থা বৃদ্ধি পেলে তবেই চিঠি লেখে। আমার প্রতি মাসে যে মন কি বাত অনুষ্ঠান থাকে, তার প্রতিক্রিয়া স্বরূপ প্রতি মাসে হাজার হাজার চিঠি আসে। এই চিঠিগুলি জনগণের সঙ্গে আমার সরাসরি সম্পর্ক স্থাপন করে। এক একটা চিঠি পড়ি আর মনে হয় তাঁরা সরাসরি আমার সঙ্গেই কথা বলছেন।

|

বন্ধুগণ, আমাদের সরকারি কাজকর্ম সময় অনুযায়ী চলে। ভবিষ্যতের চাহিদা অনুসারে আমরা ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন এনেছি। আমরা প্রাচীনপন্থী নই, আধুনিক প্রযুক্তিকে স্বীকার করে দেশ, সমাজ এবং সময়ের চাহিদা অনুসারে ব্যবস্থা বিকশিত করার পক্ষে জিএসটি থেকে শুরু করে আধার, ডিজিটাল ইন্ডিয়া-র মতো এরকম অসংখ্য প্রয়াসের শৃঙ্খলায় আজ নতুন পালক জুড়ছে ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস্‌ ব্যাঙ্ক।

 

আমাদের সরকার পুরনো ব্যবস্থাগুলিকেও আগের মতো রেখে দেওয়ার পক্ষে নই; আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সংস্কার ও সম্পাদনের মাধ্যমে রূপান্তরণের পথে এগিয়ে চলেছি। আজকাল ইনল্যান্ড লেটারের জায়গা নিয়েছে ই-মেল। কিন্তু উভয়ের লক্ষ্য তো একই। সেজন্য যে প্রযুক্তি ডাকঘরের সামনে প্রতিস্পর্ধা হয়ে উঠেছে, অনেকের মনে হচ্ছিল যে, ডাক বিভাগই হয়তো উঠিয়ে দিতে হবে। ডাক হরকরাদের আর চাকরিই থাকবে না। আমরা সেই প্রতিস্পর্ধাকে নস্যাৎ করে দিয়ে একই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমস্যাগুলিকে সুযোগে রূপান্তরিত করেছি।

 

ভারতীয় ডাক বিভাগ, আমাদের দেশে দেড় লক্ষেরও বেশি ডাকঘর রয়েছে। তার মধ্যে ১ লক্ষ ২৫ হাজারেরও বেশি রয়েছে দেশের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে। ৩ লক্ষেরও বেশি ডাক হরকরা এবং গ্রামীণ ডাকসেবক দেশের প্রতিটি মানুষের সঙ্গে আবেগের সম্পর্কে জড়িয়ে আছে। এত বড় নেটওয়ার্ককে প্রযুক্তির মাধ্যমে যুক্ত করে পরিষেবা প্রদানের জন্য একবিংশ শতাব্দীর সর্বাধিক শক্তিশালী ব্যবস্থায় রূপান্তরিত করার কাজ আমার সরকার করেছে। এখন ডাক হরকরাদের হাতে স্মার্টফোন আর তাঁর থলেতে একটি ডিজিটাল ডিভাইস থাকবে।

 

বন্ধুগণ, ঐক্য, সাম্য, সংহতি, সেবা ও বিশ্বাসের প্রতীক এই ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস্‌ ব্যাঙ্ক এখন শুধু দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাই নয়, ডিজিটাল লেনদেনের ব্যবস্থাকেও বিস্তারিত করার শক্তি রাখে। ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস্‌ ব্যাঙ্কে সেভিং অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নিজেদের সুবিধানুযায়ী কারেন্ট অ্যাকাউন্টও খুলতে পারেন। উত্তর প্রদেশ ও বিহারের যে শ্রমিকরা মুম্বাই কিংবা ব্যাঙ্গালুরু-তে কাজ করেন, তাঁরা এর মাধ্যমে সহজেই নিজেদের পরিবারে টাকা পাঠাতে পারবেন। অন্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফারও করতে পারবেন। বিভিন্ন সরকারি অনুদানের টাকা ও মনরেগা-র পারিশ্রমিকও এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সহজেই পাওয়া যাবে। জনগণকে এখন বিদ্যুৎ ও ফোনের বিল জমা করার জন্য আর কোথাও যেতে হবে না। শুধু তাই নয়, অন্যান্য ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিলিতভাবে ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস্‌ ব্যাঙ্ক ঋণও প্রদান করতে পারবে। বিনিয়োগ ও বিমার মতো পরিষেবাও প্রদান করতে পারবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হ’ল ডাক হরকরারা ব্যাঙ্কের কাউন্টারের পরিষেবা জনগণের বাড়িতে পৌঁছে দেবে। ব্যাঙ্কের সঙ্গে বিভিন্ন ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে জনগণকে যে সমস্ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, আজকের প্রশিক্ষিত ডাক হরকরারা সেই সমস্যাগুলিও সমাধান করে তোলেন। কত টাকা জমা করেছিলেন, কত সুদ পেয়েছেন – সমস্ত তথ্য প্রদান করে ডাক হরকরারা শুধু চলমান ব্যাঙ্ক নয়, গ্রাম, গরিব ও মধ্যবিত্তদের বিশ্বস্ত সহযোগী হয়ে উঠবেন।

 

এখন থেকে আপনাদের নিজেদের ব্যাঙ্কের খাতা, অ্যাকাউন্ট নম্বর ও পাসওয়ার্ড মনে রাখার প্রয়োজন নেই। গ্রামীণ পরিস্থিতি মাথায় রেখে এই ব্যাঙ্কে এই সমস্ত প্রক্রিয়া অনেক সরল করে দেওয়া হয়েছে। এই নতুন ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলতে মাত্র কয়েক মিনিট লাগবে। যদিও আমাদের মন্ত্রী বলছিলেন, মাত্র ১ মিনিটের মধ্যেই খাতা খুলে যাবে। পাশাপাশি প্রত্যেক অ্যাকাউন্টধারীকে একটি কিউআর কার্ড দেওয়া হবে। একটু আগেই আমাকে একটি কিউআর কার্ড দেওয়া হয়েছে। আমিও এই ব্যাঙ্কে আজ খাতা খুললাম।

 

আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে, আমার জীবনে কখনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার প্রয়োজন আসেনি। কিন্তু যখন স্কুলে পড়তাম তখন দেনা ব্যাঙ্কের একটি প্রকল্প অনুসারে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে একটি করে পয়সা জমানোর ঘট দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। তখন আমাকেও দেওয়া হয়েছিল কিন্তু আমার ঘট সবসময় খালি থাকতো। তারপর আমি যখন গ্রাম ছেড়ে চলে গেলাম, আমি জানতাম না যে, ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টটি খোলা ছিল আর ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের প্রতি বছর ক্যারি ফরওয়ার্ড করতে হ’ত। এমনভাবে প্রায় ৩২ বছর পর ঐ ব্যাঙ্কের এক কর্মচারী আমার খোঁজ পেয়ে বলেন যে, একটি সই করে অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে যান। অবশ্য তারপর আমি যখন গুজরাটের বিধায়ক হলাম তখন মাসিক বেতন পাওয়ার জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে হ’ল। কিন্তু আজ ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস্‌ ব্যাঙ্ক আমার একটি অ্যাকাউন্ট খুলে দিল।

|

আমাদের গ্রামেগঞ্জে ডাক হরকরারা শুধু চিঠিপত্র পৌঁছে দিয়েই ছাড় পান না। যেসব পরিবারে লেখাপড়া জানা কোনও সদস্য নেই, তাঁদেরকে চিঠি খুলে পড়েও দিয়ে আসতে হ’ত। শুধু তাই নয়, অনেক বয়স্ক মায়ের অনুরোধে ডাক হরকরাকে চিঠির জবাবও লিখে দিতে হ’ত। ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস্‌ ব্যাঙ্ক সেই আত্মীয়তার সম্পর্কই বজায় রাখবে। একটি কিউআর কার্ডে আপনার আঙুলের ছাপ আর ডাক হরকরার প্রতিশ্রুতি ব্যাঙ্কিং-কে সহজ ও আশঙ্কামুক্ত করে তুলবে।

 

বন্ধুগণ, দেশের গ্রামাঞ্চলে সবচেয়ে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক থাকার ফলে ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস্‌ ব্যাঙ্ক কৃষকদের জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক পরিষেবা প্রদান করবে। প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার মতো অনেক প্রকল্প আরও কার্যকরি হয়ে উঠবে। বিমার দাবি নিষ্পত্তি থেকে শুরু করে কৃষকদের এই প্রকল্পগুলির সঙ্গে ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস্‌ ব্যাঙ্ককে যুক্ত করার মাধ্যমে সকলেই লাভবান হবে। ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস্‌ ব্যাঙ্ক জনগণের দাবি নিষ্পত্তির টাকা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবে। তাছাড়া এই ব্যাঙ্ক সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনার মাধ্যমে মেয়েদের নামে টাকা জমানোর প্রবণতাকে গতি প্রদান করবে।

 

ভাই ও বোনেরা, আমাদের সরকার দেশে ব্যাঙ্ককে গরিবের দরজায় নিয়ে এসেছে। কিন্তু ৪-৫ বছর আগেকার কথা ভাবুন, এমন পরিস্থিতি ছিল, যখন ব্যাঙ্কের অধিকাংশ টাকা হাতে গোনা কিছু মানুষের জন্য সংরক্ষিত থাকতো, যাঁরা একটি মাত্র পরিবারের ঘনিষ্ঠ। যে কুড়ি লক্ষেরও বেশি মানুষ আজ এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত আছেন, আর তার বাইরেও যারা শুনছেন, তাঁরা এক্তহা শুনে অবাক হবেন, ১৯৪৭ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে ৬০ বছরে আমাদের দেশের সমস্ত ব্যাঙ্ক মিলে ১৮ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। কিন্তু ২০০৮এর পর মাত্র ছয় বছরে এই ব্যাঙ্কগুলি মোট ৫২ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। আপনারা ভাবুন, ২০০৮ এর পর দেশে কী এমন পরিবর্তন এসেছিল যে ৬০ বছরে মোট যত টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে তার প্রায় তিনগুণ টাকা মাত্র ৬ বছরে ঋণ দেওয়া হল? ‘নিয়ে যান, নিয়ে যান, পরে মোদী প্রধানমন্ত্রী হলে কাঁদবে, নিয়ে যান! এতে আপনাদেরও ভাল, আমাদের ভাল!’ আর এই ঋণ কেমনভাবে পাওয়া যেত? আমাদের আধুনিক প্রযুক্তিতে ফোন ব্যাঙ্কিং বলতে যা বোঝায় সেটি তো সম্প্রতি চালু হয়েছে। কিন্তু তখনও এক ধরণের ফোন ব্যাঙ্কিং চলতো। সেটি হ’ল – যে ধনী ব্যবসায়ীর বড় অঙ্কের ঋণ প্রয়োজন, তিনি কোনও ক্ষমতাবান ব্যক্তিকে দিয়ে কোনও ব্যাঙ্কের শীর্ষকর্তাকে ফোন করিয়ে দিতেন।

 

সেই শীর্ষ কর্তা সমস্ত নিয়ম-কানুন পাশে সরিয়ে রেখে ক্ষমতাশালী ব্যক্তির সুপারিশ মতো ধনী ব্যবসায়ীকে কোটি কোটি টাকা ঋণ দিয়ে দিতেন। কংগ্রেস দল এবং সেই ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের চালু করা ঐ ফোন ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা দেশের অনেক ক্ষতি করেছে। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে যে, ব্যাঙ্কগুলি এই ধরণের অনৈতিক কাজ করতে অস্বীকার কেন করে? বন্ধুগণ, আপনারা জানেন যে, সেই ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের আশীর্বাদ ছাড়া সেই সময়ে কোনও ব্যাঙ্কের উঁচু পদে পৌঁছনো সম্ভব ছিল না। সেই কৃতজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ ব্যাঙ্কের শীর্ষ কর্তারা নামী মানুষদের সুপারিশকে কি করে অস্বীকার করবেন! যদিও তাঁরা জানতেন যে, এই ঋণের টাকা ফেরৎ পেতে অনেক সমস্যা হবে। তবুও বিশেষ কয়েকজনকে ঋণ প্রদানে তাঁরা বাধ্য হতেন। শুধু তাই নয়, যাঁরা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে চুক্তি অনুসারে ঋণ পরিশোধ করতে পারতেন না, তাঁদের ঋণ পরিশোধের সুবিধা করে দেওয়ার জন্য আরও বেশি মাত্রায় ঋণ প্রদান করা হ’ত। এই বিচিত্র ঋণ চক্রের বৈধ নাম দেওয়া হ’ল ‘লোন-রিস্ট্রাকচারিং’। যাঁরা এই চক্রে সামিল হতেন, তাঁরাও জানতেন এক না একদিন সব প্রকাশ্যে এসে যাবে, তা যাতে না আসে, সেজন্য আরেকটি ষড়যন্ত্র রচিত হয়। যার ফলে ব্যাঙ্কগুলির প্রদত্ত ঋণের কত টাকা পরিশোধিত হচ্ছে না, তার সঠিক পরিসংখ্যান লুকিয়ে রাখা হ’ল। দেশকে অন্ধকারে রেখে মিথ্যে বলা হ’ল যে মাত্র ২ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ হয়নি। যে সময়ে দেশে বড় বড় কেলেঙ্কারির খবরে সংবাদ মাধ্যমগুলি ছয়লাপ থাকতো, সেই সময়ে পূর্ববর্তী সরকার কৌশলে সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারিটি সফলভাবে লুকিয়ে রাখতে পেরেছিল। এক্ষেত্রে ক্ষমতাশালীদের সাহায়তায় হাত বাড়িয়েছিল বেশ কিছু ব্যাঙ্কের শীর্ষকর্তা।

 

২০১৪ সালে যখন আমরা সরকারের দায়িত্ব নিলাম, তখন সমস্ত সত্য উদঘাটন হ’ল। আমরা ব্যাঙ্কগুলিকে বললাম, বড় ঋণের ক্ষেত্রে সমস্ত পরিসংখ্যান সরকারকে দিতে হবে। তখনই জানতে পারলাম যে, ব্যাঙ্কগুলিতে অপরিশোধিত ঋণের পরিমাণ ২-২.৫ লক্ষ কোটি টাকা নয়। আসলে এই অপরিশোধিত ঋণের পরিমাণ হ’ল ৯ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। আজ দেশবাসী শুনে মাথায় হাত দিয়েছেন যে, তাঁদের সঙ্গে কতটা প্রতারণা করা হয়েছে। প্রতিদিন ব্যাঙ্কগুলিতে সুদের হার বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে এটাই সবচেয়ে বড় কারণ। আগামীদিনে আরও বাড়বে। কারণ, ব্যাঙ্কগুলিকে তো নিজেদের আয় ও ব্যয়ের হিসাবে ভারসাম্য আনতেই হবে।

 

বন্ধুগণ, ২০১৪ সালে সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পরই আমরা বুঝতে পারলাম যে, কংগ্রেস দলের এই নামী মানুষেরা দেশের অর্থনীতিতে এত বড় ল্যান্ড মাইন বিছিয়ে রেখেছে। সেই সময়েই যদি এই সত্যিটা আমরা দেশ ও বিশ্বের সামনে তুলে ধরতাম, তা হলে এত বড় বিস্ফোরণ হ’ত যে, দেশের অর্থ ব্যবস্থাকে সামলানো মুশকিল হ’ত। এতে দেশের সর্বনাশ হ’ত। সেজন্য অনেক ধৈর্য্য ধরে পা টিপে টিপে এগিয়ে, দিন-রাত কাজ করে, আমরা দেশকে এই সঙ্কট থেকে বের করে আনার চেষ্টা করেছি।

 

ভাই ও বোনেরা, অবশেষে আমরা এই অপরিশোধিত ঋণের এই সত্য, পূর্ববর্তী সরকারের সর্ববৃহৎ কেলেঙ্কারি দেশের সামনে তুলে ধরেছি। আমরা শুধু রোগ নির্ণয় করেই থেমে যাইনি। তার কারণও খুঁজে বের করেছি এবং নিরাময়ের জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপও নিয়েছি। বিগত সাড়ে চার বছরে ৫০ কোটিরও বেশি বড় ঋণের পর্যালোচনা করা হয়েছে। ঋণের শর্তগুলি যেন কঠোরভাবে পালন করা হয়, তা সুনিশ্চিত করতে আমরা আইনে পরিবর্তন এনেছি। কয়েকটি ব্যাঙ্ককে একত্রিত করার মাধ্যমে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব বৃদ্ধি করেছি। সরকারি ব্যাঙ্কগুলির কর্মসংস্কৃতি সংস্কারের জন্য প্রতিনিয়ত প্রচেষ্টা জারি রয়েছে। ‘ফিউজিটিভ ইকনোমিক অফেন্ডার্স বিল’ প্রণয়ন করে ঋণ পরিশোধ না করে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কাজ শুরু করেছি। এই পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিরা যাতে নিজেদের সম্পত্তি আর ভোগ না করতে পারে, তা সুনিশ্চিত করেছি। বড় ঋণ গ্রহণকারীদের পাসপোর্টের সমস্ত তথ্যও এখন সরকারের কাছে জমা রাখতে হবে, যাতে তাঁরা সহজেই দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন। ব্যাঙ্করাপ্টসি কোড এবং এনসিএলটি-র মাধ্যমে এনপিএ ঋণ পরিশোধের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। ২০১৪ সালের আগে ঋণ গ্রহণকারী এরকম ১২ জন চুক্তি লঙ্ঘনকারীর দেয় ঋণের অঙ্ক ১ লক্ষ ৭৫ কোটি টাকা তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুতগতিতে আইনি প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই তার ফল আমরা দেখতে পাচ্ছি। এই ১২ জন ছাড়াও আরও ২৭ জন বড় ঋণ গ্রহণকারী অপরিশোধিত ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা। সেই টাকা পরিশোধের প্রক্রিয়াও সঠিকভাবে এগিয়ে চলেছে। যাঁরা ভেবেছিলেন যে, নামী মানুষদের সহযোগিতা ও আশীর্বাদে ঋণ নেওয়া লক্ষ-কোটি টাকা মেরে দেবেন – শুধু তাঁদের আয়ের টাকাই গরম থাকবে। এখন তাদের মাথায় হাত! দেশে একটি নতুন পরিবর্তন এসেছে। আগে অনাদায়ী ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যাঙ্ককে ঋণ গ্রহণকারীদের পেছনে পড়তে হ’ত। কিন্তু আমরা এমন আইন প্রণয়ন করেছি যে, এখন ঋণ গ্রহণকারীদেরই ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যাঙ্কের চক্কর কাটতে হবে।

 

আমরা ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে এত শক্তিশালী করে তুলছি আর এ ধরণের ঋণ খেলাপীদের পেছনে তদন্তকারী সংস্থাগুলির নজরদারি এত বাড়িয়েছি যে এরা প্রত্যেকেই ঋণ পরিশোধে বাধ্য হবে। আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশের ব্যাঙ্কগুলির দিশা ও দশা পরিবর্তনে নিরন্তর কাজ করে চলেছি। আজকের এই ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস্‌ ব্যাঙ্ক-ও এই প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আগে নামী লোকেদের আশীর্বাদে ধনী মানুষেরা ঋণ পেতেন আর এখন দেশের গরিবদের ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ প্রদানে ক্ষমতা ডাক হরকরাদের হাতে চলে এসেছে।

বিগত চার বছরে মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে দেশের গরিব ও মধ্যবিত্ত যুবসম্প্রদায়কে ১৩ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি স্বনির্ভর করে তোলার জন্য ঋণ প্রদান করা হয়েছে। ৩২ কোটিরও বেশি গরিবদের জন ধন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। ২১ কোটিরও বেশি গরিবদের মাত্র মাসে মাত্র ১ টাকা এবং দিনে মাত্র ৯০ পয়সা কিস্তি জমা দিয়ে বিমা এবং পেনশনের সুরক্ষা প্রদানের কাজ আমাদের সরকার করেছে।

 

ভাই ও বোনেরা, নামী ব্যক্তিরা দেশের অর্থনীতিতে যে ল্যান্ডমাইন পুঁতে রেখে গিয়েছিলেন, সেটাকে আমাদের সরকার নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে। দেশ আজ একটি নতুন আত্মবিশ্বাস নিয়ে জেগে উঠেছে। একদিনে এবারের এশিয়াম গেমস্‌-এ ভারতের খেলোয়াড়রা তাঁদের সর্বকালের সেরা প্রদর্শন দেখিয়েছে। অন্যদিকে, গতকালই দেশের অর্থনীতির পরিসংখ্যানের মাধ্যমে একটি নতুন মেডেল পেয়েছি, তা হল দেশের জাতীয় আয় বৃদ্ধি পেয়ে ৮.২ শতাংশ হয়েছে। এই পরিসংখ্যান দেশে ক্রমবর্ধমান আত্মবিশ্বাসের উজ্জ্বল চিত্র তুলে ধরেছে। এই পরিসংখ্যান আবার শুধু ভালো নয়, দেশের বিশেষজ্ঞরা যতটা অনুমান করেছিলেন, তারচেয়ে অনেক বেশি। যখন দেশ সঠিক লক্ষ্যে এগিয়ে চলে, তখন এমনই ইতিবাচক পরিণাম আসতে বাধ্য। বন্ধুগণ, এটা প্রমাণিত যে, ১২৫ কোটি মানুষের পরিশ্রম ও দায়বদ্ধতার ফলেই দেশ আজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।

 

আজ ভারত শুধুই দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলা অর্থ ব্যবস্থা নয়, দ্রুতগতিতে দারিদ্র্য দূরীকরণকারী দেশ হয়ে উঠে এসেছে। জাতীয় আয়ের এই পরিসংখ্যানই সাক্ষী যে নতুন ভারত নিজের সামর্থ্য ও সমর্পণের ভিত্তিতে এগিয়ে চলেছে। আমি দেশবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, তথাকথিত নামী মানুষদের সুপারিশে ব্যাঙ্কগুলি সাধারণ মানুষের যত কোটি কোটি টাকা ধনী মানুষদের হাতে তুলে দিয়েছিল, তার প্রতিটি পয়সা আমরা ফিরিয়ে আনব। আর সেই টাকা দিয়ে দেশের দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর মানুষের ক্ষমতায়নে কাজ করবে। ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস্‌ ব্যাঙ্ক এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস্‌ ব্যাঙ্ক ডাকঘরের মাধ্যমে ব্যাঙ্কিং, বিমা, সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পগুলি প্রত্যক্ষ নগদ হস্তান্তর, পাসপোর্ট পরিষেবা, অনলাইন শপিং-এর মতো অনেক পরিষেবা গ্রামে গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে কার্যকর করবে। অর্থাৎ ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ – এর পথে আমাদের ডাক হরকরা, ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস্‌ ব্যাঙ্ক এখন দেশকে আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, এই বিরাট মিশনকে গ্রামে গ্রামে প্রত্যেক বাড়িতে কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দিতে দেশের ৩ লক্ষ ডাকসেবক যথাযথ প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন প্রস্তুত। ডিজিটাল লেনদেনে সহযোগিতার পাশাপাশি এই ডাকসেবকরা সাধারণ মানুষকে এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণও দেবে, যাতে ভবিষ্যতে মানুষ নিজেই নিজের ফোনের মাধ্যমে ব্যাঙ্কিং ও ডিজিটাল লেনদেন করতে পারেন। এভাবে আমাদের ডাক বাবুরা শুধু ব্যাঙ্কারের ভূমিকা পালন করবেন না, তাঁরা দেশের ডিজিটাল শিক্ষকও হয়ে উঠবেন। তাঁদের এই ভূমিকার গুরুত্ব অনুধাবন করে সরকার বিগত মাসগুলিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত জুলাই মাস থেকেই গ্রামীণ ডাকসেবকদের বেতন ও ভাতাবৃদ্ধির পুরনো দাবি পূরণ করা হয়েছে। আগে তাঁরা যে সময় ভিত্তিক ভাতা পেতেন তার ডজনখানেক পর্যায় ছিল। আমরা তা হ্রাস করে তিনটি পর্যায় করে দিয়েছি। তাছাড়া, তাঁরা যে ভাতা ২-৪ হাজার টাকা পেতেন তা বৃদ্ধি করে ১০-১৪ হাজার টাকা করা হয়েছে। আর তাঁরা যে কঠিন পরিস্থিতিতে কাজ করেন, সেদিকে লক্ষ্য রেখে একটি নতুন ভাতাও চালু করা হয়েছে। মহিলা গ্রাম ডাকসেবকদের বেতন অতিরিক্ত ১৮০ দিনের মাতৃত্ব অবকাশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারের এই প্রচেষ্টার ফলে গ্রামীণ ডাকসেবকদের বেতন ৫০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে যে, ডাকসেবকদের শুন্য পদ পূরণের জন্য অনলাইন নিয়োগ প্রক্রয়া চালু হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত আমাদের ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস্‌ ব্যাঙ্ক-এর সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিনিধিদের আরও শক্তিশালী করে তুলতে সহায়ক হয়ে উঠবে।

 

বন্ধুগণ, আজ দেশ ৩ হাজারেরও বেশি স্থানে এই পরিষেবা চালু করতে চলেছে। আর আমাদের মনোজ সিনহা যেমন বলছিলেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই পরিষেবা দেশের দেড় লক্ষেরও বেশি ডাকঘরের সঙ্গে যুক্ত হবে। নতুন ভারতের শক্তিশালী টেলিকম পরিকাঠামোর মাধ্যমে গড়ে ওঠা এই ব্যবস্থা দেশের জনগণকে যে অভিনব ব্যাঙ্কিং পরিষেবা প্রদান করবে, তার জন্য ডাক বিভাগের সঙ্গে যুক্ত আমাদের সমস্ত সঙ্গীদের সম্মান জানিয়ে আমি নিজের বক্তব্যকে বিরাম দিচ্ছি। ডাক বিভাগের প্রত্যেক কর্মচারী, এই ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তিকে আমি অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানাই আর মনোজ সিনহাকেও অনেক ধন্যবাদ জানাই। কারণ তাঁর আইআইটি-র শিক্ষা এক্ষেত্রে অনেক কার্যকরি ভূমিকা পালন করেছে। সেজন্য আপনার প্রযুক্তি-নির্ভর নেতৃত্ব প্রদানের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

  • krishangopal sharma Bjp January 11, 2025

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌷
  • krishangopal sharma Bjp January 11, 2025

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌷
  • krishangopal sharma Bjp January 11, 2025

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹
  • krishangopal sharma Bjp January 11, 2025

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷
  • krishangopal sharma Bjp January 11, 2025

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌷
  • Reena chaurasia September 02, 2024

    बीजेपी
  • Jitendra Kumar June 07, 2024

    b
  • Laxman singh Rana September 08, 2022

    namo namo 🇮🇳🙏🌷🙏
  • Laxman singh Rana September 08, 2022

    namo namo 🇮🇳🙏🚩🚩
  • R N Singh BJP June 30, 2022

    jai hind 1
Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Over 88% Trust PM Modi On National Security Matters After Op Sindoor: News18 Survey

Media Coverage

Over 88% Trust PM Modi On National Security Matters After Op Sindoor: News18 Survey
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM highlights Nari Shakti's transformative role in the journey towards a developed India
June 08, 2025
QuoteOver the last 11 years, the NDA Government has redefined women-led development: PM
QuoteVarious initiatives, from ensuring dignity through Swachh Bharat to financial inclusion via Jan Dhan accounts, the focus has been on empowering our Nari Shakti: PM

The Prime Minister, Shri Narendra Modi has highlighted the transformative role played by women in the journey towards a developed India, underlining the government’s focus on women-led development over the past 11 years.

The Prime Minister said that our mothers, sisters and daughters have seen times when they had to face difficulties at every step. But today they are not only participating actively in the resolution of a developed India, but are also setting examples in every field from education to business. Shri Modi further added that the successes of Nari Shakti in the last 11 years are a matter of pride for all citizens.

The Prime Minister noted that the NDA Government has redefined women-led development through a series of impactful initiatives. These include ensuring dignity through the Swachh Bharat Abhiyan, financial inclusion via Jan Dhan accounts, and empowerment at the grassroots level.

He cited Ujjwala Yojana as a milestone that brought smoke-free kitchens to several homes. He also highlighted how MUDRA loans have enabled lakhs of women to become entrepreneurs and pursue their dreams independently. The provision of houses in women’s names under the PM Awas Yojana has also made a remarkable impact on their sense of security and empowerment.

The Prime Minister also recalled the Beti Bachao Beti Padhao campaign, which he described as a national movement to protect the girl child.

Shri Modi affirmed that in all sectors- including science, education, sports, StartUps, and the armed forces-women are excelling and inspiring several people.

The Prime Minister shared these remarks through a series of posts on X;

"हमारी माताओं-बहनों और बेटियों ने वो दौर भी देखा है, जब उन्हें कदम-कदम पर मुश्किलों का सामना करना पड़ता था। लेकिन आज वे ना सिर्फ विकसित भारत के संकल्प में बढ़-चढ़कर भागीदारी निभा रही हैं, बल्कि शिक्षा और व्यवसाय से लेकर हर क्षेत्र में मिसाल कायम कर रही हैं। बीते 11 वर्षों में हमारी नारीशक्ति की सफलताएं देशवासियों को गौरवान्वित करने वाली हैं।

#11YearsOfSashaktNari"

"Over the last 11 years, the NDA Government has redefined women-led development.
Various initiatives, from ensuring dignity through Swachh Bharat to financial inclusion via Jan Dhan accounts, the focus has been on empowering our Nari Shakti. Ujjwala Yojana brought smoke-free kitchens to several homes. MUDRA loans enabled lakhs of women entrepreneurs to pursue dreams on their own terms. Houses under the women’s name in PM Awas Yojana too have made a remarkable impact.

Beti Bachao Beti Padhao ignited a national movement to protect the girl child.

In all sectors, including science, education, sports, StartUps and the armed forces, women are excelling and inspiring several people.

#11YearsOfSashaktNari"