আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প থেকে আসামে ১.২৫ কোটি মানুষ উপকৃত : প্রধানমন্ত্রী
ভারতীয় চা –এর সুনাম নষ্ট করার চক্রান্ত সফল হবে না : প্রধানমন্ত্রী
অসম মালা প্রকল্পের মাধ্যমে আসামের মানুষের স্বপ্ন পূরণ হবে, সব গ্রামের মধ্যে যোগাযোগ ও চওড়া রাস্তার পরিকাঠামো গড়ে উঠবে : প্রধানমন্ত্রী

ভারত মাতার জয়!
ভারত মাতার জয়!
ভারত মাতার জয়!

অসমের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী, শ্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী, শ্রী রামেশ্বর তেলিজি, অসম সরকারের মন্ত্রী শ্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মাজি, শ্রী অতুল বোরাজি, শ্রী কেশব মহন্তজি, শ্রী রণজিৎ দত্তজি, বোড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল রিজনের প্রধান শ্রী প্রমোদ বোরোজি, অন্যান্য সমস্ত সংসদরা, বিধায়কগণ এবং আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা।

"মোর ভাই বহিন সব, তাহনিদের কী খবর, ভাল তো? খুলম্বায়। নোন্থা মনহা মাবোরৈ দং?"


গত মাসে আমি সমাজের দরিদ্র, পীড়িত, শোষিত, বঞ্চিত মানুষদের জমির পাট্টা বিলি কর্মসূচির অংশ হিসেবে অসমে আসার সৌভাগ্য হয়েছিল। তখন আমি বলেছিলাম যে অসমের মানুষের স্নেহ এবং ভালবাসা এত গভীর, যে তা আমাকে বারবার অসমে নিয়ে আসে। এখন আবার আমি আপনাদের সকলকে প্রণাম জানাতে এসেছি। আমি আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। গতকাল আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছি, যে ঢেকিয়াজুলিকে কতটা সুন্দর করে সাজানো হয়েছে, তারপর সেটা আমি টুইটও করেছিলাম। আপনারা কত প্রদীপ জ্বালিয়ে ছিলেন। আমি এই আত্মীয়তার জন্য অসমের মানুষের চরণে প্রণাম জানাই। আমি অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দজি, হেমন্তজি, রঞ্জিত দত্তজি, সরকার এবং বিজেপির সংগঠনের সকল সদস্যের প্রশংসা জানাই। তাঁরা সকলে অসমের উন্নয়নে, অসমের সেবায় এত দ্রুত গতিতে কাজ করছেন যে আমি মাঝেমাঝেই এখানে উন্নয়নমূলক অনুষ্ঠানে আসার সুযোগ পাচ্ছি। আমার জন্য আজকের দিনটা খূব বিশেষ! আজ আমি সোনিতপুর- ঢেকিয়াজুলির এই পবিত্র ভূমিকে প্রণাম করার সুযোগ পেয়েছি। এটা সেই ভূমি, যেখানে রুদ্রপদ মন্দিরের কাছে অসমের শতাব্দী প্রাচীন ইতিহাস আমরা জানতে পেরেছিলাম।

এটা সেই একই ভূমি যেখানে অসমের মানুষ আক্রমণকারীদের পরাজিত করেছিল, তাদের ঐক্য, তাদের শক্তি, তাদের বীরত্বের পরিচয় দিয়েছিল। ১৯৪২ সালে, এই ভূমিতেই অসমের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা দেশের স্বাধীনতার জন্য, দেশের পতাকার সম্মান জানাতে নিজেদের বলিদান করেছিলেন। এই শহীদদের বীরত্বের স্মরণে ভূপেন হাজারিকা বলেছিলেন-
" ভারত সিংহ আজি জাগ্রত হয়।
প্রতি রক্ত ​​বিন্দুতে,
হহস্র শহীদর
হাহত প্রতিজ্ঞাও উজ্জ্বল হয়"

অর্থাৎ ভারতের সিংহরা আজ জেগে উঠেছে। এই শহীদদের রক্তের এক ফোঁটা, তাঁদের সাহস আমাদের সংকল্পকে শক্তিশালী করে। তাই শহীদদের বীরত্বের সাক্ষী সোনিতপুরের এই ভূমি, অসমের এই অতীত, বারবার আমার মনকে অসমীয়া গৌরবে ভরে তুলছে।

বন্ধুগণ,
আমরা সবসময় শুনেছি, আমরা দেখেছি যে দেশের প্রথম ভোর পূর্বোত্তর থেকেই হয়। তবে এটাও সত্যি যে অসম এবং পূর্বোত্তরকে উন্নয়নের ভোরের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। হিংসা, বঞ্চনা, বৈষম্য, পক্ষপাতিত্ব, বিরোধ, এই সমস্ত বিষয়কে পিছনে ফেলে এখন গোটা পূর্বোত্তর উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে। এবং অসম এর মধ্যে প্রধান ভূমিকা পালন করছে। ঐতিহাসিক বোড়ো শান্তি চুক্তির পর সম্প্রতি বোড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিলের নির্বাচন এখানে উন্নয়ন এবং আস্থার একটি নতুন অধ্যায় লিখেছে। আজকের দিনটিও অসমের ভাগ্য এবং অসমের ভবিষ্যতের পথে এই বড় পরিবর্তনের সাক্ষী। আজ একদিকে অসম বিশ্বনাথ ও চরৈদেবে দুটি মেডিকেল কলেজ উপহার পাচ্ছে, অন্যদিকে, 'অসম মালা'র' মাধ্যমে আধুনিক পরিকাঠামোর ভিত্তি স্থাপনও করা হয়েছে।

"অখমর বিকাখর যাত্রাত আজি এক উল্লেখযোগ্য দিন। এই বিখেখ দিনোটোত ময় অখমবাখিক আন্তরিক অভিনন্দন জনাইছু"।

বন্ধুগণ,
সম্মিলিত চেষ্টা থেকে, সম্মিলিত ইচ্ছা থেকে কীভাবে ফলাফল আসে অসম তার একটি বড় উদাহরণ। আপনাদের পাঁচ বছর আগের সেই সময়ের কথা মনে আছে হয়তো, যখন অসমের বেশিরভাগ প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভাল হাসপাতাল শুধুই স্বপ্ন ছিল। ভাল হাসপাতাল, ভাল চিকিৎসার মানে ঘন্টার পর ঘণ্টা যাত্রা, ঘন্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা এবং অগুনতি অসুবিধা! অসমের মানুষ আমাকে বলেছেন যে তাঁরা সর্বদা উদ্বিগ্ন থাকতেন যে কোনও এমারজেন্সি না চলে আসে! কিন্তু এই সমস্যাগুলি এখন দ্রুত সমাধানের দিকে এগিয়ে চলেছে। আপনারা সহজেই এই পার্থক্যটি দেখতে পারেন, অনুভব করতে পারেন। স্বাধীনতার পর থেকে ৭ দশকে, অর্থাৎ ২০১৬ পর্যন্ত অসমে মাত্র ৬টি মেডিকেল কলেজ ছিল। তবে এই ৫ বছরে অসমে এরইমধ্যে আরও ৬ টি মেডিকেল কলেজ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আজ, উত্তর অসম এবং আপার অসমের প্রয়োজনের কথা ভেবে বিশ্বনাথ এবং চরৈদেবে আরও দুটি মেডিকেল কলেজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। এই মেডিকেল কলেজগুলি নিজেরাই আধুনিক স্বাস্থ্যসেবার কেন্দ্র হয়ে উঠবে এবং আগামী কয়েক বছরেই আমার কয়েক হাজার যুবক এখান থেকে ডাক্তার হয়ে বেরোবে। আপনি দেখুন, ২০১৬ পর্যন্ত অসমে মোট সোয়া সাতশো এমবিবিএসের আসন ছিল। তবে এই নতুন মেডিকেল কলেজগুলি শুরু হলেই অসম প্রতি বছর ১৬০০ জন নতুন এমবিবিএস ডাক্তার পাবে। এবং আমার আরও একটা স্বপ্ন আছে। এটা একটু সাহসী স্বপ্ন মনে হতে পারে, তবে আমার দেশের গ্রামে আমার দেশের দরিদ্রদের ঘরে প্রতিভার কোনও ঘাটতি নেই। তারা সুযোগ পায় না। স্বাধীন ভারত এখন যখন ৭৫ এ পা দিচ্ছে। তো আমার একটা স্বপ্ন রয়েছে। প্রতিটি রাজ্যে কমপক্ষে একটি মেডিকেল কলেজ, কমপক্ষে একটি টেকনিক্যাল কলেজ, মাতৃভাষায় পড়ানো শুরু করুক। কেউ কি অসমিয়া ভাষায় পড়াশুনা করে ভালো ডাক্তার হতে পারে না? স্বাধীনতার ৭৫ বছর হতে চলেছে এবং নির্বাচনের পরে যখন অসমে নতুন সরকার গঠন হবে, আমি আপনাদের এখানে অসমের মানুষের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। আমরা অসমেও স্থানীয় ভাষায় একটি মেডিকেল কলেজ চালু করব। স্থানীয় ভাষায় একটি টেকনিক্যাল কলেজ শুরু করা হবে। এবং ধীরে ধীরে এর সংখ্যা বাড়বে। কেউ তাকে থামাতে পারবে না। এই ডাক্তাররা অসমের বিভিন্ন অঞ্চলে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে পরিষেবা দেবেন। এরফলে চিকিৎসা করতেও সুবিধা হবে, মানুষদের চিকিৎসার জন্য খুব বেশি দূর যেতে হবে না।

বন্ধুগণ,
আজ, গুয়াহাটিতে এইমসের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এর কাজও আগামী দেড়-দু বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এইমসের বর্তমান ক্যাম্পাসে এমবিবিএসের প্রথম ব্যাচ এই একাডেমিক সেশন থেকে শুরুও হয়ে গিয়েছে। যেই আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এর নতুন ক্যাম্পাস তৈরি হয়ে যাবে, আপনারা দেখবেন গুয়াহাটি আধুনিক স্বাস্থ্যসেবার কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। এইমস গুয়াহাটি কেবল অসমেই নয়, গোটা পূর্বোত্তর পূর্বোত্তরের জীবনেও বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে। আজ, যখন আমি এইমস সম্পর্কে বলছি, আমি আপনাদের একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে চাই। দেশের পূর্ববর্তী সরকারগুলি কেন বুঝতে পারল না যে গুয়াহাটিতে এইমস তৈরি হলে, আপনারা কতটা উপকৃত হবেন। এরা পূর্বোত্তর থেকে এত দূরে ছিলেন যে এরা কখনই আপনাদের সমস্যাগুলো বুঝতে পারেনি।

বন্ধুগণ,
আজ, কেন্দ্র সরকার অসমের উন্নয়নের জন্য সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে। অসমও দেশের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে। আয়ুষ্মান ভারত যোজনা হোক, জন ঔষধি কেন্দ্র হোক, বা প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ডায়ালাইসিস প্রোগ্রাম হোক, স্বাস্থ্য ও সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র হোক, সাধারণ মানুষের জীবনে যে পরিবর্তন আজ সারা ভারত দেখতে পাচ্ছে, সেই পরিবর্তন, একই সংশোধন অসমেও দেখা যাচ্ছে। আজ, প্রায় ১.২৫ কোটি দরিদ্র মানুষ আসমে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। আমাকে জানানো হয়েছে যে অসমের ৩৫০ এরও বেশি হাসপাতাল এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এত অল্প সময়ে, অসমের দেড় লক্ষ দরিদ্র মানুষ আয়ুষ্মান ভারতের অধীনে বিনামূল্যে চিকিৎসা পেয়েছেন। এই সমস্ত প্রকল্পগুলির মাধ্যমে অসমের দরিদ্র মানুষদের কয়েক হাজার কোটি টাকা চিকিৎসায় খরচ হওয়া থেকে বেঁচে গিয়েছে। গরিবদের টাকা বেঁচে গেছে। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের পাশাপাশি অসম সরকারের 'অটল অমৃত অভিযান' থেকেও মানুষেরা উপকৃত হচ্ছেন। এই প্রকল্পের আওতায় দরিদ্রদের পাশাপাশি সাধারণ শ্রেণির নাগরিকদেরও খুব কম কিস্তিতে স্বাস্থ্য বীমার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি, অসমের প্রতিটি কোণে স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্র চালু করা হচ্ছে, যা দরিদ্রদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছে। আমাকে বলা হয়েছে যে এখনও পর্যন্ত এই কেন্দ্রগুলিতে অসমের ৫৫ লক্ষেরও বেশি ভাইবোন প্রাথমিক চিকিৎসা পেয়েছেন।

বন্ধুগণ,
করোনার সময়ে স্বাস্থ্যসেবার সংবেদনশীলতা এবং আধুনিক সুবিধাগুলির গুরুত্ব দেশ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছে। যেভাবে দেশ করোনা অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, যেভাবে ভারত নিজের টিকাকরণ অভিযান চালাচ্ছে, তার প্রসংশা সারা বিশ্ব করছে। করোনার থেকে শিক্ষা নিয়ে, দেশ প্রত্যেক দেশবাসীর জীবনকে আরও নিরাপদ ও সহজ করতে আরও দ্রুতগতিতে কাজ শুরু করেছে। আপনি এবারের বাজেটেও এর ঝলক আপনারা দেখেছেন। এবারের বাজেটে স্বাস্থ্যের ব্যয়ে অভূতপূর্ব বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকার আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে দেশে ৬০০ টিরও বেশি জেলায় ইন্টিগ্রেটেড ল্যাব তৈরি করা হবে। ছোট শহর এবং গ্রামগুলির মানুষ, যাঁদের চিকিৎসা এবং পরীক্ষার জন্য অনেকদূর যেতে হয় তাঁরা এরফলে উপকৃত হবেন।

বন্ধুগণ,
অসমের চা বাগানগুলো অসমের সমৃদ্ধির, এখানকার অগ্রগতির একটি প্রধান কেন্দ্র। সোনিতপুরের লাল চা তো এমনই তার অভিন্ন স্বাদের জন্য পরিচিত। সোনিতপুর ও অসমের চায়ের স্বাদ কতটা বিশেষ, সেটা আমার থেকে কে জানবে? সে কারণেই আমি সবসময় অসমের চা শ্রমিকদের অগ্রগতির সঙ্গে গোটা অসমের উন্নতির সঙ্গে মিলিয়ে দেখি। আমি আনন্দিত যে অসম সরকার এই দিকে অনেক ইতিবাচক প্রচেষ্টা করছে। গতকালই অসম 'চাহ উদ্যান ধন পুরস্কার মেলা' প্রকল্পের আওতায় অসমের সাড়ে সাত লক্ষ চা বাগান শ্রমিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা সরাসরি পাঠানো হয়েছে। চা বাগানে কর্মরত গর্ভবতী মহিলাদের একটি বিশেষ প্রকল্পের আওতায় সরাসরি সহায়তা করা হচ্ছে, চা শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের স্বাস্থ্যসেবার জন্য, পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল ইউনিট চা বাগানে পাঠানো হচ্ছে, বিনামূল্যে ওষুধও দেওয়া হচ্ছে। অসম সরকারের এই প্রয়াসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে, এবার চা বাগানে কর্মরত আমাদের ভাই-বোনদের জন্য এবারের বাজেটেও আমাদের ভাই-বোনদের জন্য এক হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে। চা শ্রমিকের জন্য এক হাজার কোটি টাকা। এই অর্থ আপনার সুবিধাগুলোর বিস্তার করবে, আমাদের চা শ্রমিকদের জীবনকে আরও সহজ করে দেবে।

বন্ধুগণ,
আজ যখন আমি অসমের চা শ্রমিকদের কথা বলছি, তখন আমি আজকাল দেশের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে তার বিষয়েও কথা বলতে চাই। আজ দেশকে বদনাম করতে ষড়যন্ত্রের অপরাধীরা এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে তারা ভারতের চা-কেও ছাড়ছে না। আপনি নিশ্চয়ই খবরে শুনেছেন, এই চক্রান্তকারীরা বলছে যে ভারতীয় চায়ের ছবি মলিন করতে হবে, পরিকল্পনা করে। কিছু নথি প্রকাশিত হয়েছে যা থেকে জানা গিয়েছে যে বিদেশে বসে থাকা কিছু শক্তি ভারতীয় চায়ের যে পরিচিতি রয়েছে, তার ওপর আক্রমণ করার চেষ্টায় রয়েছে। আপনি কি এই আক্রমণকে গ্রহণ করছেন? এই আক্রমণের পরেও যাঁরা চুপ করে থাকে তাঁদের আপনারা গ্রহণ করবেন? যাঁরা আক্রমণকারীদের প্রশংসা করেছেন, তাঁদের আপনারা গ্রহণ করবেন? প্রত্যেককেই উত্তর দিতে হবে। যাঁরা ভারতের চা বদনাম করার প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন। এবং যারা এখানে চুপ করে বসে আছেন সেসমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে প্রতিটি চা বাগান উত্তর চাইবে। ভারতে চা পান করা প্রত্যেক ব্যক্তি এর উত্তর চাইবে। আমি অসমের ভূমি থেকে এই ষড়যন্ত্রকারীদের বলতে চাই, তারা যত ইচ্ছা ষড়যন্ত্র করে নিক, দেশ তাদের ঘৃণ্য পরিকল্পনা সফল হতে দেবে না। আমার চা কর্মীরা এই যুদ্ধে জিতবে। ভারতীয় চায়ের ওপর যে আক্রমণগুলো হচ্ছে তাতে তেমন শক্তি নেই, যা আমাদের চা বাগানের শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রমের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা করতে পারে। দেশ এভাবেই উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে অগ্রসর হতে থাকবে। অসম একইভাবে উন্নয়নের নতুন উচ্চতা স্পর্শ করবে। অসমের উন্নয়নের এই চাকা এরকমই দ্রুতগতিতে ঘুরতে থাকবে।

বন্ধুগণ,
আজ, যখন অসমের প্রতি অঞ্চলে এত বেশি কাজ করা হচ্ছে, প্রতিটি শ্রেণি এবং প্রত্যেক অঞ্চলের উন্নয়ন হচ্ছে, তখন অসমের শক্তি বৃদ্ধি করাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অসমের শক্তি বাড়াতে এখানকার আধুনিক রাস্তা ও পরিকাঠামোর বড় ভূমিকা রয়েছে। এটা মাথায় রেখেই, আজ ভারত মালা প্রকল্পের আদলে অসমের জন্য 'অসম মালা' শুরু করা হয়েছে। আগামী ১৫ বছরের মধ্যে অসমের প্রশস্ত মহাসড়কের নেটওয়ার্ক তৈরি, এখানকার সমস্ত গ্রামকে প্রধান সড়কের সঙ্গে যুক্ত করা, এখানকার রাস্তাগুলি দেশের বড় বড় শহরের মতো আধুনিক হওয়া, অসম মালা প্রকল্পটি আপনাদের স্বপ্ন পূরণ করবে , আপনাদের শক্তি বৃদ্ধি করবে। গত কয়েক বছরের মধ্যেই অসমে কয়েক হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়েছে, নতুন-নতুন সেতু তৈরি হয়েছে। আজ ভূপেন হাজারিকা সেতু ও সরাইঘাট সেতু আধুনিক অসমের পরিচয়ের অংশ হয়ে উঠছে।আগামী দিনে এই কাজ আরও দ্রুত হতে চলেছে। উন্নয়ন এবং অগ্রগতির গতি বাড়াতে, এবার বাজেটের পরিকাঠামো খাতে নজিরবিহীন জোর দেওয়া হয়েছে। একদিকে, আধুনিক পরিকাঠামোগত কাজ এবং অন্যদিকে 'অসম মালা'র মতো প্রকল্পগুলির মাধ্যমে যোগাযোগ বাড়ানোর কাজ, আপনি কল্পনা করতে পারেন, অসমে আসন্ন দিনগুলিতে কত কাজ হতে চলেছে, এবং এরফলে কত যুবকের কর্মসংস্থান হবে। এবার মহাসড়কগুলো আরও উন্নত হবে, যোগাযোগ আরও ভাল হবে, তখন বাণিজ্য ও শিল্পও বৃদ্ধি পাবে, পর্যটনও বাড়বে। এরফলেও আমাদের যুবকদের কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ তৈরি হবে, অসমের উন্নয়ন নতুন গতি পাবে।

বন্ধুগণ,
অসমের বিখ্যাত কবি রূপকুঁওর জ্যোতি প্রসাদ আগরওয়ালের লাইনগুলি হ'ল-

আমার নতুন ভারত,
নতুন চিত্র,
জাগলো রে,
জাগলো রে,


আজ, এই লাইনগুলি অনুভব করে, আমাদের নতুন ভারতকে জাগ্রত করতে হবে। এই নতুন ভারত স্বনির্ভর ভারত হবে, এই নতুন ভারত অসমকে উন্নয়নের এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এই শুভেচ্ছার সঙ্গে, আপনাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ! অনেক অনেক অভিনন্দন। আমার সঙ্গে দুই মুঠো করে পুরো শক্তি দিয়ে বলুন, ভারত মাতার জয়। ভারত মাতার জয়। ভারত মাতার জয়। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।