আমি দেশের সমস্ত প্রান্তের অংশগ্রহণকারীদের শুভেচ্ছা জানাই – আমাদের সম্মানিত ভাই ও বোনেরা! জয় সেবালাল! জয় সেবালাল!
মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সি পি রাধাকৃষ্ণান জি, জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে জি, আমার মন্ত্রিসভার দুই সহকর্মী শিবরাজ সিং চৌহান ও রাজীব রঞ্জন সিং, মহারাষ্ট্রের দুই উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস ও অজিত পাওয়ার, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের অন্যান্য মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক এবং প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসা বানজারা সম্প্রদায়ের আমার ভাই ও বোনেরা, দেশের কৃষক ভাই ও বোনেরা, বিশিষ্ট্য ব্যক্তিবর্গ, আমার মহারাষ্ট্রের ভাই ও বোনেরা, পোহরাদেবীর এই পবিত্র ভূমিকে আমি প্রণাম জানাই।
আজ মহান যোদ্ধা এবং গন্ডওয়ানার রানি দুর্গাবতী জি জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে। গত বছর দেশ তাঁর ৫০০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছিল। রানী দুর্গাবতী জি-র প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাই।
বন্ধুগণ,
আজ হরিয়ানাতেও ভোটগ্রহণ চলছে। হরিয়ানার সমস্ত দেশপ্রেমিক মানুষের কাছে বিপুল সংখ্যায় ভোট দেওয়ার জন্য আমি আবেদন জানাচ্ছি। আপনাদের ভোট হরিয়ানাকে উন্নয়নের এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
বন্ধুগণ,
নবরাত্রির এই পবিত্র সময়ে আমি পিএম কিষান সম্মান নিধি-র ১৮তম কিস্তির টাকা আজ প্রদান করেছি। দেশের ৯.৫ কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে আজ ২০,০০০ কোটি টাকা হস্তান্তর করা হয়েছে। এখানে আসার আগে আমি পোহরাদেবীতে বানজারা বিরাসত হেরিটেজ মিউজিয়ামের উদ্বোধন করতে গিয়ে ছিলাম। এই সংগ্রহশালা প্রাচীন বানজারা সংস্কৃতির সঙ্গে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পরিচয় ঘটাবে। আমি আপনাদের সকলের কাছে এই মিউজিয়াম পরিদর্শনের আর্জি জানাচ্ছি। আমি আজ পোহরাদেবীতে বানজারা সম্প্রদায়ের কয়েকজন সম্মানীয় সদস্যের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছি।
বন্ধুগণ,
যাঁদের অন্যরা উপেক্ষা করে, মোদী তাঁদের পুজো করে। ভারতের সামাজিক জীবনে এবং দেশ গড়ার কাজে বানজারা সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শিল্প, সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিকতা, দেশের সুরক্ষা এবং বাণিজ্যে এই সম্প্রদায়ের ব্যাপক অবদান রয়েছে।
কিন্তু ভাই ও বোনেরা,
স্বাধীনতার পর বানজারা সম্প্রদায়ের প্রতি নজর দেওয়া দেশের দায়িত্ব ছিল। কিন্তু কংগ্রেস সে সময়ে কী করেছে? কংগ্রেসের নীতি এই সম্প্রদায়কে মূল স্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। স্বাধীনতার পর কংগ্রেস দল একটি বিশেষ পরিবারের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ব্রিটিশ শাসকদের মতোই কংগ্রেস তখনও দলিত, অনগ্রসর শ্রেণী কিংবা আদিবাসীদের প্রতি সমান নজর দেয়নি।
বন্ধুগণ,
কেন্দ্রের এনডিএ সরকার এই সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষায় কাজ করে চলেছে। ফড়নবিস জি যখন মুখ্যমন্ত্রী হন, তখন পোহরাদেবী তীর্থস্থানের উন্নয়নের পরিকল্পনা তৈরি করা হয়। এখন এই প্রকল্পে ৭০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে।
ভাই ও বোনেরা,
বিজেপি তার নীতির মাধ্যমে সমাজের বঞ্চিত শ্রেণীর উন্নয়নে কাজ করে চলেছে। অন্যদিকে, কংগ্রেস চায়, তাঁদের গরীব করে রাখতে। তাই কংগ্রেস সম্পর্কে আপনাদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। যারা দেশের অগ্রগতি রুখতে চায়, তারাই আজ কংগ্রেসের বন্ধু। তাই এখন আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময়। আমাদের একতাই দেশকে রক্ষা করবে।
ভাই ও বোনেরা,
আজ আমাদের সরকারের প্রতিটি সিদ্ধান্ত এবং প্রতিটি নীতি 'বিকশিত ভারত'-এর প্রতি উৎসর্গীকৃত। বিকশিত ভারতের শক্তিশালী ভিত্তি হল, আমাদের কৃষকরা। তাঁদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কৃষির সঙ্গে যুক্ত বহু পরিকাঠামোর সূচনা করা হয়েছে। কৃষকদের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়াস চালানো হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ এলাকার কৃষকরা দশকের পর দশক ধরে কঠিন সঙ্কটের মোকাবিলা করে আসছেন। কৃষকদের এই দুঃখ-দুর্দশার জন্য দায়ী কংগ্রেস সরকার। তারা কৃষকদের জন্য গৃহীত সমস্ত প্রকল্প আটকে দিয়েছিল। কংগ্রেস সব সময় কৃষকদের জীবনকে কঠিন করে তুলেছিল। এমনকি আজও কংগ্রেস সেই খেলা চালিয়ে যাচ্ছে। কংগ্রেস পিএম কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা চায় না।
ভাই ও বোনেরা,
আমাদের ভুললে চলবে না, কংগ্রেস এবং মহা অঘাড়ী সরকার মহারাষ্ট্রে সেচের সঙ্গে যুক্ত অনেক প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই কাজে গতি আনা হয়। মহারাষ্ট্র সরকার ওয়েনগঙ্গা এবং নালগঙ্গা নদীকে যুক্ত করার একটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। ৯০ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প অমরাবতী, নাগপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকার জল সমস্যা দূর করবে। তুলো এবং সয়াবিন চাষের সঙ্গে যুক্ত কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকার। এই কৃষকরা চাষাবাদের জন্য ১০ হাজার টাকা করে পাচ্ছেন।
বন্ধুগণ,
দেশের আর্থিক অগ্রগতিতে মহারাষ্ট্রের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এটি তখনই সম্ভব হবে, যখন গ্রাম, গরিব মানুষ, কৃষক, শ্রমিক, দলিত এবং বঞ্চিতদের তুলে আনা যাবে। আমরা একসঙ্গে মিলে 'বিকশিত মহারাষ্ট্র, বিকশিত ভারত' গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত করবো। আমি আবার আমাদের কৃষকবন্ধু এবং বানজারা সম্প্রদায়ের আমার সমস্ত ভাই-বোনেদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমার সঙ্গে বলুন, ভারত মাতা কি - জয়!
ভারত মাতা কি - জয়!
ভারত মাতা কি - জয়!
আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।
(প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি দিয়েছেন হিন্দিতে)