India is home to a unique heritage, where the overriding thought has always been the benefit of mankind: PM Modi 
Lord Buddha’s message of love and compassion can be of immense benefit to the world today: PM Modi 
Government is working with compassion to serve people, in line with the path shown by Lord Buddha: PM Modi

মঞ্চে উপস্থিত আমার মন্ত্রিমণ্ডলের সহযোগী ডঃ মহেশ শর্মা মহোদয়, শ্রী কিরেণ রিজুজুজি, ইন্টারন্যাশনাল বৌদ্ধিস্ট ফাউন্ডেশনের মহাসচিব ডঃ ধম্মপিয়েজি এবং সারা দেশ থেকে আগত ভক্তগণ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্র মহোদয়গণ,

আমাদের দেশে মন্ত্রশক্তির একটা মর্যাদা রয়েছে। আর যখন আমরা সবাই একসঙ্গে একই জায়গায় থেকে সহস্র মন-মস্তিষ্ক একসঙ্গে মন্ত্র জপ করি, তখন যে মিলিত প্রাণশক্তির প্রকাশ ঘটে, আমরা সবাই এখানে সেই শক্তি-মণ্ডলকে অনুভব করছি। চোখ খুললে পরস্পরকে দেখতে পাচ্ছি, কিন্তু মস্তিষ্কের প্রতিটি কোষে ও তন্ত্রিকায় এখানে যে ভগবান বুদ্ধের নামজপ হচ্ছে, তার অনুরণন আমরা সবাই অনুভব করছি।

ভগবান বুদ্ধের প্রতি আমাদের যে ভাব ও ভক্তি, তা শব্দ দিয়ে বর্ণনা করা যাবে না। মানুষ যেমন মন্ত্র দ্বারা মুগ্ধ হয়, আমরা তেমনই বুদ্ধে বিমুগ্ধ। আমার সৌভাগ্য যে, আজ বুদ্ধ পূর্ণিমার এই পবিত্র দিনে আপনাদের সবার মাঝে আসার ও বিশেষ করে সকল ধর্মগুরুর আশীর্বাদ গ্রহণের সৌভাগ্য হয়েছে।

একটু আগেই আমাদের মহেশ শর্মাজি এবং কিরেণ রিজিজুজি বলছিলেন যে, দ্বিতীয়বার আমি এখানে এসেছি। গত বছরও আসতাম , কিন্তু গত বছর আমি এই পুণ্য দিনে শ্রীলঙ্কায় একটি আন্তর্জাতিক সমারোহে প্রধান অতিথি রূপে আমন্ত্রিত ছিলাম। গতবার শ্রীলঙ্কার জনগণ, সেদেশের সরকার এবং সারা পৃথিবী থেকে সমাগত বৌদ্ধ ধর্মগুরুদের মাঝে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল।

আমরা সবাই ব্যস্ত মানুষ অনেক অনেক দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু এই ব্যস্ততার মধ্যেও জীবনের কিছু মুহূর্ত ভগবান বুদ্ধের নামজপ করলে আমরা ধন্য হতে পারি। কিন্তু এখানে যে ধর্মগুরু ও ভিক্ষুকবৃন্দকে দেখতে পাচ্ছি, তাঁরা তো নিজের গোটা জীবন বুদ্ধের করুণার সন্দেশ প্রচারের দায়িত্বে স্বেচ্ছা-নিয়োজিত। তাঁরা নিজেরাও ভগবান বুদ্ধের প্রদর্শিত জীবন-যাপন করেন। আজ আমি এই উপলক্ষে পৃথিবীময় ভগবান বুদ্ধের বার্তা পৌঁছে দেওয়া, এই মহামানবদের সাদর প্রণাম জানাই।

আপনারা সবাই দেশের নানাপ্রান্ত থেকে এসেছেন। আপনাদেরকেও হার্দিক স্বাগত জানাই। যেসব সংস্থা ও ব্যক্তি বুদ্ধের প্রদর্শিত পথে মানবকল্যাণে বিশেষ কাজ করে দেখিয়েছেন, আজ এই মঞ্চ থেকে তাঁদের অনেককে সম্মান প্রদর্শনের সৌভাগ্যও আমার হয়েছে। আমি তাঁদের সকল প্রচেষ্টার জন্য সাদর অভিনন্দন জানাই এবং ভবিষ্যতের জন্য তাঁদেরকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। বিশেষ করে, সারনাথের সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট অফ হায়ার টিবেটান স্টাডিজ এবং বৌদ্ধগয়ার অল ইন্ডিয়া ভিক্ষুক সংঘকে এই মহার্ঘ্য বৈশাখ সম্মান প্রাপ্তির জন্য আমি অনেক অভিনন্দন জানাই।

বন্ধুগণ, গোটা পৃথিবীতে এই ভূ-ভাগ – আমাদের ভারত যে অমূল্য মহাদেশের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার বহন করে, তা অতুলনীয়। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের ঐতিহ্যে এহেন সমৃদ্ধি খুব কমই দেখতে পাওয়া যায়।

গৌতমবুদ্ধের জন্ম, তাঁর শিক্ষা, তাঁর মহানির্বাণ নিয়ে সহস্রাধিক বছর ধরে অনেক কিছু বলা হয়েছে, অনেক লেখা হয়েছে। বর্তমান প্রজন্মের সৌভাগ্য যে, যাবতীয় বিপর্যয় ও প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও সেইসব লেখার অনেকটাই আজও অক্ষত এবং অমলীন রয়েছে।

আজ আমরা এজন্য গর্ব করতে পারি যে, ভারতের মাটি থেকে যত দর্শন বিশ্বে জনপ্রিয় হয়েছে, তার সর্বোচ্চ ভাব শুধুই মানবকল্যাণ, বিশ্বের সমস্ত জীবের কল্যাণ, প্রকৃতির কল্যাণেই নিহীত। বিশ্ব কল্যাণকে কেন্দ্রে রেখে রচিত এই মতবাদগুলি কখনই এহেন অন্য জনপ্রিয় মতবাদকে অতিক্রমণ করেনি। আপন ও পরের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ রাখেনি। তাঁদের মনে আমার বিচারধারা আর তোমার বিচারধারার মধ্যে কোনও বৈষম্য ছিল না, আমার ঈশ্বর ও তোমার ঈশ্বরেও কোনও বৈরী ছিল না।

আমরা গর্বিত যে, ভারতীয় মহাপুরুষদের এই সকল বিচারধারা সমগ্র মানবজাতির হিতকে প্রাধান্য দিয়ে এগিয়ে গেছে। কিন্তু কেউ বলেনি যে, তুমি আমার সাথে এসো, তা হলেই শুধু তোমার ভালো হবে। গৌতমবুদ্ধের দর্শন এই মতবাদগুলির মধ্যে একটি নবচেতনা জাগরণের পাশাপাশি এশিয়ার বিভিন্ন দেশে আজও রাষ্ট্রীয় চরিত্র গঠনে নতুন নতুনভাবে পরিভাষিত হচ্ছে।

বন্ধুগণ, এটাই আমাদের এই মাটির বৈশিষ্ট্য, আর এজন্য আমাদের দেশের মানুষ বুক ফুলিয়ে বলতে পারে, বিশ্ববাসীর চোখে চোখ রেখে বলতে পারে যে, আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের ইতিহাস এবং আমাদের পরম্পরা সাক্ষী রয়েছে যে, ভারত কখনও অন্যকে আক্রমণ করে না। হাজার হাজার বছর ধরে আমাদের সংস্কৃতি মৌলিক দার্শনিক ভিত্তিই আমাদের এই পথে এগিয়ে নিয়ে গেছে।

বন্ধুগণ, সিদ্ধার্থ থেকে গৌতমবুদ্ধ হয়ে ওঠার সফর তা কেবল নির্বাণপ্রাপ্তির সফরনামা নয়, এই সফরনামা এই সত্যকে উজাগর করে যে, যিনি নিজের জ্ঞান, ধনসম্পদ দিয়ে অন্যের বেদনা ও দুঃখ লাঘবের কথা ভাবেন, তিনিই বুদ্ধের প্রদর্শিত পথে এগিয়ে যেতে পারেন এবং একদিন তাঁরও বুদ্ধত্ব প্রাপ্ত হয়।

বুদ্ধ পূর্ণিমায় আমরা প্রতি মুহূর্তে করুণা ও মৈত্রীর বাণীগুলিকে স্মরণ করব। আজ যখন হিংসা, সন্ত্রাসবাদ, জাতিবাদ ও উত্তরাধিকারবাদের কালিমা বুদ্ধের বার্তাকে কালো মেঘের মতো ঢেকে দিতে চাইছে, তখন এই করুণা ও মৈত্রীর বার্তা আরও বেশি প্রাসঙ্গিক, প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। যাঁরা নিজের বিরোধীদের হিংসা, ঘৃণা ও ধ্বংসের উদ্দেশ্য নিয়ে আক্রমণ করে, তাঁরা জীবিত মানুষ নন। যাঁরা ঘৃণা, হিংসা এবং অন্যায়কে মৈত্রী ও করুণা দ্বারা জয় করতে পারেন, তাঁরাই প্রকৃত জীবিত মানুষ।

যাঁরা নিজের ক্রুদ্ধ মনকে শান্ত বুদ্ধের ধ্যান দিয়ে জিততে পারেন, তারাই সফল হন, অমর হন। সত্য আর করুণার সম্মিলনই একজন মানুষের মনে বুদ্ধকে অঙ্কুরিত করে, পল্লবিত করে, বুদ্ধ করে তোলে। বুদ্ধের অর্থ হ’ল – হিংসাশ্রয়ী মনকে ক্রদ্ধ স্থিতি থেকে শুদ্ধ অন্তঃকরণের স্থিতিতে নিয়ে আসা। কোনও সমাজ, জাতি, বর্ণ, ভাষা ইত্যাদি যেন মানুষে মানুষে যাতে বৈষম্য সৃষ্টি না করে – এই সন্দেশ একা বুদ্ধের বার্তা নয়, একা ভারতের বার্তা নয়, ইহুদি সমাজে, পার্সি সমাজে হাজার হাজার বছর ধরে এই ঐতিহ্য রয়েছে। আমাদের মন, অস্থি ও রক্ত যেমন শরীরের অবিভাজ্য অঙ্গ, তেমনভাবেই সমাজের প্রত্যেক মানুষকে ভেদভাবহীন আপন করে নেওয়ার দর্শন যুগ যুগ ধরে বিশ্বের নানাপ্রান্তে মানবসভ্যতাকে ঋদ্ধ করেছে। গৌতমবুদ্ধ সেই সাম্য, সমদৃষ্টি এবং সংঘ ভাবকেই মৈত্রী ও করুণার বাণীতে রূপান্তরিত করে সারা পৃথিবীতে সর্বাধিক স্বীকার্য মহাপুরুষ হয়ে উঠেছেন। এই দর্শনে উদ্ধুদ্ধ হয়ে বাবাসাহেব আম্বেদকরও বুদ্ধের প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করেছেন।

আজ বিশ্বে ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ পরিচয় আমাদের ভৌতিক উন্নতির পাশাপাশি বুদ্ধের দেশ হিসাবেও। ‘ধর্মম স্মরণম গচ্ছামি, বুদ্ধম স্মরণম গচ্ছামি, সংঘম স্মরণম গচ্ছামি’ আমাদের দেশের পবিত্র ভূমি থেকে নিঃসৃত এই বাণী গোটা বিশ্বে মানবতাবাদীদের মন্ত্র হয়ে উঠেছে। সেজন্য বুদ্ধ পূর্ণিমার সবচেয়ে বড় বার্তা হ’ল ‘অন্যকে বদলানোর আগে নিজেকে বদলানো শুরু কর, তুমিও বুদ্ধ হয়ে উঠবে, বাইরের সবকিছু দেখার আগে ভেতরের যুদ্ধকে জেতো, তা হলে তুমিও বুদ্ধ হয়ে উঠবে’।‘অপো দীপঃ আপ ভবঃ’ – নিজের মনের আলো অনুসন্ধান কর, তা হলেই তুমি বুদ্ধ হয়ে উঠবে।

ভগবান বুদ্ধ সর্বদাই চিত্তের শান্তি এবং হৃদয়ের করুণার প্রেরণা যোগাতেন। সাম্য, ন্যায়, স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার আজকের গণতান্ত্রিক বিশ্বের প্রধান উপাদান। কিন্তু এগুলি সম্পর্কে ভগবান বুদ্ধ আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে অত্যন্ত স্পষ্ট বার্তা দিয়ে গেছেন। ভারতে এই বিষয়টি আলাদা করে বিচার্য ছিল না, সমগ্র বিশ্বদৃষ্টির অঙ্গ ছিল।

ভগবান বুদ্ধর দর্শনে সাম্যের অর্থ হ’ল – প্রত্যেক ব্যক্তির এই বিশ্বে গরিমাময় উপস্থিতি। কোনও বৈষম্য ছাড়াই প্রত্যেক ব্যক্তির কাজ ও বেঁচে থাকার অধিকার সুনিশ্চিত হওয়া উচিৎ।

বন্ধুগণ, বিশ্বের যে কোনও দেশে জাতিভেদ, সন্ত্রাসবাদ এবং সামাজিক ন্যায়ের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা প্রতিটি প্রতিস্পর্ধা মানুষ নিজেই তৈরি করেছে। এই বৈষম্যই অন্যায়, শোষণ, অত্যাচার, হিংসা, সামাজিক উত্তেজনা এবং সৌহার্দের মূলস্রোত। যখন অন্যদিকে ন্যায়, স্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের সিদ্ধান্ত একরকমভাবে সাম্যের সিদ্ধান্তেরই বিস্তারিত রূপ। এরফ মানে সাম্যই হ’ল এই সকল সিদ্ধান্তের মূল তত্ত্ব।

আমাদের সমাজে সাম্যের ভাবনা সুদৃঢ় হলেই সামাজিক ন্যায়, স্বাধীনতা, মানবাধিকার, সামাজিক পরিবর্তন, ব্যক্তিগত অধিকার, শান্তি, সৌহার্দ্য ও সমৃদ্ধির পথ আমাদের জন্য উন্মুক্ত হবে আর আমরা দ্রুত এগিয়ে যেতে পারব।

ভগবান নিজের উপদেশে ‘অষ্টাঙ্গ’-এর উল্লেখ করেছেন। এই ‘অষ্টাঙ্গ’ সম্পর্কে জানতে না পারলে ভগবান বুদ্ধকে জানা মুশকিল। এই অষ্টাঙ্গের মাধ্যমে ভগবান বুদ্ধ বলেছেন – সম্যক দৃষ্টি, সমকল্প, সম্যক বাণী, সম্যক আচরণ, সম্যক জীবিকা, সম্যক প্রযত্ন, সম্যক চেতনা এবং সম্যক ধ্যান।

আজকের যুগে আমরা যেসব সঙ্কটের মুখোমুখী, ভগবান বুদ্ধের প্রদর্শিত পথে সেগুলির মোকাবিলা করা সম্ভব। এই সঙ্কটগুলি থেকে বিশ্বকে বাঁচাতে হলে বুদ্ধের করুণা ও প্রেমের বার্তাই সবচেয়ে উৎকৃষ্ট পথ, সেজন্য ভগবান বুদ্ধের অনুগামীদের সকলের শক্তি সক্রিয় করে তোলাই হ’ল সময়ের চাহিদা। ভগবান বুদ্ধও বলেছিলেন যে, এই পথে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে গেলে তবেই সামর্থ্যপ্রাপ্তি হবে।

বন্ধুগণ, ভগবান বুদ্ধ ছিলেন, সেই দার্শনিকদের অন্যতম, যিনি তর্কবুদ্ধি ও ভাবনার সংকল্পকে প্রয়োজনীয় বলে মনে করতেন। তিনি নিজে ‘ধম্ম’ সিদ্ধান্তগুলি তর্কের মাধ্যমে যাচাই করার কথা বলতেন। নিজের শিষ্যদের বলতেন, তর্কের মাধ্যমে যাচাই না করে কোনও আবেগ কিংবা অনুরাগের বশবর্তী হয়ে যেন কোনও মতবাদকে গ্রহণ না করেন। দ্বিতীয় শতকে ভগবান বুদ্ধের বার্তাগুলির দার্শনিক ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মহান বৌদ্ধ চিন্তক নাগার্জুন সম্রাট উদয়কে যে পরামর্শ দিয়েছিলেন, তা আজও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।

তিনি বলেছিলেন, ‘দৃষ্টিহীন, অসুস্থ, বঞ্চিত, অসহায় এবং দরিদ্রদের জন্য সুলভে খাদ্য ও পানীয়র ব্যবস্থা এবং তাঁদের প্রতি করুণার মনোভাব থাকা উচিৎ; অসুস্থ মানুষের উপাচার এবং দুর্ভাগ্যগ্রস্থ কৃষকদের প্রতি বীজ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিৎ’।

ভগবান বুদ্ধের বিশ্বজনীন দর্শনের কেন্দ্রে রয়েছে সকলের দুঃখ কিভাবে চিরকালের জন্য দূর করা যায়। তিনি বলতেন যে, কারও দুঃখ দেখে দুঃখিত হওয়ার চেয়েও বেশি প্রয়োজন তাঁর দুঃখ কিভাবে দূর করা যায় সেকথা মাথায় রেখে তাঁকে সক্ষম করে তোলা, তাঁর ক্ষমতায়ন করা।

আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আজ আমার নেতৃত্বাধীন সরকার সেই করুণা ও সেবাভাবকে প্রাধান্য দিয়ে গৌতমবুদ্ধের প্রদর্শিত পথেই এগিয়ে চলেছে। সাধারণ মানুষের দুঃখ, কষ্ট দূর করে তাঁদের জীবনকে সহজ করে তোলাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।

জন ধন যোজনার মাধ্যমে ৩১ কোটিরও বেশি গরিব মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা, দিনে মাত্র ৪০ পয়সা আর মাসে ১ টাকা কিস্তির বিনিময়ে প্রায় ১৯ কোটি দরিদ্র মানুষকে বিমার কবচ প্রদান, ৩ কোটি ৭০ লক্ষেরও বেশি দরিদ্র মহিলাকে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাসের সংযোগ ও উনুন দেওয়া, মিশন ইন্দ্রধনুষের মাধ্যমে ৩ কোটিরও বেশি শিশু এবং ৮০ লক্ষেরও বেশি গর্ভবতী মহিলার টিকাকরণ, মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে কোনও রকম ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি ছাড়া ১২ কোটিরও বেশি ঋণ প্রদান – এরকম অনেক কাজ এই সরকার করেছে গরিবদের ক্ষমতায়নের জন্য। এখন আয়ুষ্মান ভারত যোজনার মাধ্যমে সরকার প্রায় ৫০ কোটি গরিব মানুষকে বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার সুবিধা সুনিশ্চিত করার পথে এগিয়ে চলেছে।

বন্ধুগণ, অন্তর্ভুক্তিকরণের এই ভাবনা সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলার আদর্শ গৌতমবুদ্ধের জীবনকে বদলে দিয়েছিল। এক রাজপুত্র, যাঁর জীবনে সমস্ত সুখ-সুবিধা ছিল। তিনি গরিব মানুষের দুঃখ ও যন্ত্রণা দেখে অনুভব করেছিলেন যে, ‘আমি এঁদের থেকে আলাদা নই, আমি এঁদেরই মতো’।

এই সত্য অনুভবই তাঁকে যে প্রজ্ঞা দিয়েছে – জ্ঞান, তর্ক ক্ষমতা, চৈতন্য, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ তাঁর ভেতরে একটি শক্তি হয়ে প্রস্ফুটিত হয়ে উঠেছিল। আজ আমরা এই ভাবকে যতটা আত্মস্থ করতে পারব, ততই সর্বাগ্রে মানুষ হওয়ার যোগ্য হব। মানবতার জন্য একবিংশ শতাব্দীকে গোটা বিশ্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শতাব্দী হয়ে উঠতে এই দর্শনই পাথেয় হতে পারে।

ভাই ও বোনেরা, দাসত্বের দীর্ঘ কালখন্ডের পর অনেক কারণে আমাদের দেশে নিজেদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে যতটা তুলে ধরার প্রয়োজন ছিল, যেভাবে তুলে ধরার প্রয়োজন ছিল, তা হয়নি। যে দেশ নিজের ইতিহাস সংরক্ষণ করে তার ঐতিহ্যকে গুরুত্ব সহকারে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের হাতে তুলে দিতে পারে না, সেই দেশ কখনও পূর্ণতা পায় না। একথা মনে রেখে আমাদের সরকার নিজেদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বিশেষ করে, ভগবান বুদ্ধের সঙ্গে জুড়ে থাকা স্মৃতিগুলিকে তুলে ধরতে বৃহৎ দৃষ্টিকোণ থেকে কাজ করে যাচ্ছে।

আমাদের দেশের প্রায় ১৮টি রাজ্যে এক বা একাধিক বৌদ্ধ তীর্থস্থান রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রায় ২ হাজার বছরেরও বেশি পুরনো। এই তীর্থস্থানগুলি সারা পৃথিবীর পর্যটকদের আকর্ষিত করে। কিন্তু সারা পৃথিবী থেকে আসা এই পর্যটকদের থাকা-খাওয়া ও যাতায়াতের উপযোগী আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা অত্যন্ত প্রয়োজন। একথা ভেবেই দেশে ‘স্বদেশ দর্শন স্কিম’-এর মাধ্যমে আমরা একটি ‘বুদ্ধিস্ট সার্কিট’ গড়ে তোলার কাজ করছি।

এই ‘বুদ্ধিস্ট সার্কিট’-এর জন্য সরকার ৩৬০ কোটি টাকারও অধিক অর্থ মঞ্জুর করেছে। এই অর্থের মাধ্যমে উত্তর প্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ ও গুজরাটের বৌদ্ধ তীর্থস্থানগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করা হচ্ছে।

এছাড়া, কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক গয়া-বারাণসী-কুশিনগর রুটে সড়কপথের দু-ধারে প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক মানের পরিষেবা গড়ে তুলছে। পর্যটন মন্ত্রক প্রতি দু-বছরে একবার ‘ইন্টারন্যাশনাল কনক্লেভ অন বুদ্ধিজম’-এর আয়োজন করছে। এ বছর এই অনুষ্ঠানে সারা পৃথিবী থেকে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রের পণ্ডিতরা আসবেন। এ ধরণের অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য হ’ল বিশ্বের সর্বত্র অধিকাংশ মানুষের কাছে ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে পৌঁছে দেওয়া। স্থানীয় স্তরে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটকরা এই বৌদ্ধ তীর্থস্থানগুলিতে এলে আমাদের ঐতিহ্য সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে পারবেন।

এছাড়া, কেন্দ্রীয় সরকার পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতেও বৌদ্ধ ঐতিহ্য সংরক্ষণে সাহায্য করছে। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া মায়ানমারের বাগান অঞ্চলে আনন্দ মন্দিরের পুনর্নির্মাণ এবং রাসায়নিক সংরক্ষণের কাজে হাত দিয়েছে। দু-বছর আগে ভয়ানক ভূমিকম্পে এই মন্দির অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া আফগানিস্তানের বামিয়ানে, কম্বোডিয়ার আঙ্কারভাট এবং তোপ্রোহম মন্দিরে, লাওসের ওয়োতপোহু মন্দিরে, ভিয়েতনামের মাইসন মন্দিরে সংরক্ষণের কাজে হাত দিয়েছে। বিশেষ করে, মঙ্গোলিয়ায় গানদেন মনাস্ট্রির সমস্ত পুঁথি ও শিলালিপি সংরক্ষণ ও ডিজিটাইজেশনের কাজ ভারত সরকার করছে।

আজ এই মঞ্চ থেকে আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রককে একটি অনুরোধ জানাই, আপনারা ভাবুন যে, বৌদ্ধ দর্শন সংশ্লিষ্ট দেশগুলির নানাপ্রান্তে যে প্রতিষ্ঠানগুলি রয়েছে, সেগুলিতে ভগবান বুদ্ধের শিক্ষার সংকলন – ‘ত্রিপিটক’-এর সংরক্ষণ ও অনুবাদের যে কাজ চলছে, সেগুলিকে কিভাবে এক মঞ্চে নিয়ে আসা যায়! সেগুলির জনয কি একটি বিস্তৃত পোর্টাল গড়ে তোলা যেতে পারে, যাতে সহজ শব্দের মাধ্যমে ভগবান বুদ্ধের দর্শন এবং তাঁকে নিয়ে ঐ প্রতিষ্ঠানগুলিতে যে কাজ করা হয়েছে ও হচ্ছে, সেগুলির একটি সংকলন হতে পারে!

আমি মহেশ শর্মাজিকে অনুরোধ করব যে, তিনি এই প্রকল্পের নেতৃত্ব নিজের হাতে নিন এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করুন।

বন্ধুগণ, এটা আমাদের সকলের সৌভাগ্য যে, আড়াই হাজার বছর পরও ভগবান বুদ্ধের বাণীগুলি আমাদের কাছে রয়েছে। আর যখন সৌভাগ্য বলছি, তখন তার প্রেক্ষিতে আপনারা সেই পরিস্থিতিগুলোর কথা ভাবুন যে, কেন আমি সেই কথা বলছি।

এতে আমাদের আগে যাঁরা ছিলেন, নিশ্চিতভাবেই তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আমাদের পূর্ববর্তী প্রজন্মের অবদানের ফলস্বরূপ আজ আমরা বুদ্ধ পূর্ণিমায় এভাবে অনুষ্ঠান করতে পারছি। আড়াই হাজার বছর ধরে আমাদের পূর্বজরা এই ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করে গেছেন আর প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে এই দর্শন সঞ্চারের প্রয়াস প্রতিনিয়ত জারি রেখেছেন। এখন ভবিষ্যতের মানব ইতিহাস আপনাদের সক্রিয় ভূমিকার জন্য অপেক্ষমান। আপনাদের সংকল্পের মাধ্যমে তাঁদের হাতে কতটা তুলে দিতে পারবেন!

আমি চাই যে, আজ এখান থেকে যাওয়ার আগে আমরা এই ভাবনা নিয়ে যাই যে, আগামী ২০২২ সালে যখন আমাদের দেশ স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উৎসব পালন করবে, তার আগে আমরা প্রত্যেকে কোন ৫ কিংবা ১০টি সংকল্প গ্রহণ করব, যেগুলি আমরা তার আগে বাস্তবায়িত করতে পারব!

এই সংকল্প নিজেদের ঐতিহ্যের সংরক্ষণ, গৌতমবুদ্ধের দর্শনের প্রচার, প্রসার এ জাতীয় কোনও কিছু নিয়েও হতে পারে। কিন্তু আমার প্রার্থনা এখানে উপস্থিত প্রত্যেকে, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন আগামী ২০২২ সালকে লক্ষ্য স্থির করে অবশ্যই কিছু না কিছু সংকল্প গ্রহণ করুন।

আপনাদের এই প্রচেষ্টা নতুন ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমরা জানি যে, আমাদের ওপর ভগবান বুদ্ধের আশীর্বাদ রয়েছে। সেজন্য আমার ভরসা আছে, যে সংকল্পই আমরা গ্রহণ করি না কেন, সেগুলি আমরা অবশ্যই সিদ্ধ করতে পারব।

আজ বুদ্ধ পূর্ণিমার এই পবিত্র অবসরে ভগবান বুদ্ধের চরণে এসে বসার সুযোগ পেয়েছি, তাঁকে প্রণাম জানানোর সুযোগ পেয়েছি। আপনাদের সবার দর্শন পেয়েছি, সেজন্য নিজেকে ধন্য মনে করি। আরেকবার আপনাদের সকলকে বুদ্ধ পূর্ণিমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার কথা শেষ করছি।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।