QuoteWe live in an era in which connectivity is all important: PM Modi
QuoteGovernance cannot happen when the dominant thought process begins at 'Mera Kya' and ends at 'Mujhe Kya’: PM Modi
QuoteAtal Bihari Vajpayee Ji is the 'Bharat Marg Vidhata.' He has shown us the way towards development: PM Modi

আমার প্রিয়ভাই ও বোনেরা,  
  

আজ গোটাবিশ্ব বড়দিনের উসব পালন করছে। ভগবান যিশুর প্রেম ও করুণার সন্দেশ মানবজাতিরকল্যাণে একটি উত্তম পথ দর্শায়। সারা পৃথিবীতে পালিত বড়দিনের উৎসব উপলক্ষ্যে সকলকেঅনেক অনেক শুভেচ্ছা। আজ দুজন ভারতরত্ন মহাপুরুষেরও জন্মদিন। তাঁরা হলেন, মহামতিমদনমোহন মালব্য মহোদয় এবং শ্রদ্ধেয় অটল বিহারী বাজপেয়ী মহোদয়।    

একটু আগেইআমাদের মুখ্যমন্ত্রী মহোদয় বলছিলেন, প্রধানমন্ত্রী কোনও রাজ্যে গেলে সেই রাজ্যেরমানুষ আনন্দিত হন, তাঁদের ভাল লাগে। কিন্তু আজ আমি অন্য কোনও রাজ্যে যাইনি, নিজেররাজ্যেই এসেছি। উত্তরপ্রদেশই আমাকে কোলে তুলে লালন-পালন করেছে, আমার শিক্ষাদীক্ষারদায়িত্ব নিয়েছে, আর আমার কাঁধে নতুন কর্তব্য সম্পাদনের দায়িত্ব দিয়েছে। এই উত্তরপ্রদেশের,বারাণসীর জনগণ আমাকে তাঁদের সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। এই প্রথম আমি সাংসদহওয়ার সুযোগ পেয়েছি, আর এই উত্তরপ্রদেশের ২২ কোটি মানুষ দীর্ঘদিন পর দেশে একটিসংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে নির্বাচিত স্হিতিশীল সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকরেছে। এভাবেই আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগপেয়েছি।    

ভাই ওবোনেরা, আজ এই বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে মেট্রোতে সফর করার সৌভাগ্য হয়েছে। এখনআমরা এমন যুগে বসবাস করছি যখন যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুত না হলে জীবন থেমে যায়।সম্পর্কহীনতা আমাদের পরিবেশকে বিচ্ছিন্নতায় ভরিয়ে তোলে। এখানে মেট্রো রেল সংযোগস্থাপনের ফলে এই অঞ্চলটির যোগাযোগ ব্যবস্থাএক লাফে অনেকটাই উন্নত হল। কোটি কোটিটাকা খরচ করে এটিকে এমনভাবে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে গড়ে তোলা হয়েছে যাতে আগামী একশো বছরধরে কয়েক প্রজন্মের মানুষ লাভবান হন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই দূরগামী ব্যবস্থানয়ডাবাসীদের জন্য, উত্তরপ্রদেশের নাগরিকদের জন্য, ভারতবাসীর জন্য প্রকৃত অর্থে‘সর্বজন-হিতায় সর্বজন-সুখায়’ একটি ব্যবস্থা হয়ে উঠবে।    

আমাদের দেশেঅধিকাংশ ক্ষেত্রেই উন্নয়নের কাজকে রাজনীতির রঙে রাঙিয়ে দেওয়া হয়, ফলে জনহিতেরনিরিখে না মেপে, এগুলিকে রাজনৈতিক দলগুলির লাভের দাড়িপাল্লায় মাপা হয়। আজও আমরাদেশে অনেক বড় মাত্রায় নানা পেট্রোলিয়ামজাত সামগ্রী আমদানি করতে বাধ্য হই। ফলে,দেশের রাজকোষ থেকে ভারী মাত্রায় অর্থ ব্যয় হয়। আমরা চেষ্টা করছি, আগামী ২০২২ সালেআমরা যখন স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তি পালন করব তার আগে এই ক্রমবর্ধমান পেট্রোলিয়ামজাতসামগ্রীর চাহিদা হ্রাস করা যায় কিনা। স্বাভাবিক নিয়মেই এই চাহিদা অনেকটাই বৃদ্ধিপাবে। সেজন্য গণ-যাতায়াত ব্যবস্থা, র‍্যাপিড ট্র্যান্সপোর্টেশন, মাল্টি-মডেলট্র্যান্সপোর্টেশন বৃদ্ধিই হল সময়ের চাহিদা। শুরুতে হয়তো কিছুটা সমস্যা হবে,আমাদের অগ্রাধিকার সামান্য বদলাতে হবে। কিন্তু এর সুদূরপ্রসারী ফল অনেক বেশিসাশ্রয়কারী হবে। এই মেট্রো যোগাযোগ ব্যবস্থাকে যেমন সৌরশক্তির সঙ্গে যুক্ত করাহয়েছে। প্রতিদিন ২ মেগাওয়াট সৌরশক্তি পাবে এই মেট্রো। ফলে, মেট্রোর খরচ কমবে। এইঅঞ্চল থেকে যারা নিজের গাড়িতে যাতায়াত করতেন, তাঁরা এখন অনেক কম সময়ে এবং সুলভেযাতায়াত করতে পারবেন। ফলে, অনেক পেট্রোলিয়ামজাত সামগ্রীর সাশ্রয় হবে। টাকা বাঁচবে,পরিবেশ দূষণও কমবে। সেজন্য আমরা চাই মেট্রো রেলে যাতায়াত আমাদের দেশে একটিমর্যাদার বিষয় হয়ে উঠুক। প্রত্যেক ব্যক্তি যেন গর্বের সঙ্গে বলেন যে, না না আমিগাড়ি নিয়ে যাব না, আমি মেট্রো রেলে যাব! আমাদের মানসিকতায় এই পরিবর্তন আনতে হবে।তবেই আমরা দেশের অনেক সমস্যা দূর করতে পারব ।    আমরা গর্ব করে বলতে পারি, বিগত ২৪ ডিসেম্বর ২০০২তারিখে অটল বিহারী বাজপেয়ী দিল্লি মেট্রো রেলের প্রথম যাত্রী হয়েছিলেন। সেই ঘটনারপর ১৫ বছর পেরিয়ে গেছে। ইতিমধ্যে এই মেট্রো নেটওয়ার্ক ১০০ কিলোমিটারেরও বেশিঅঞ্চলে প্রসারিত। আর কয়েক বছরের মধ্যে আরও অনেক বিস্তৃত অঞ্চল এই নেটওয়ার্কে যুক্তহবে। সেদিন দূরে নয়, যেদিন এই নেটওয়ার্ক বিশ্বের প্রথম পাঁচটি বৃহত্তর নেটওয়ার্কেরঅন্যতম হয়ে উঠবে। আর তখন এটি দেশবাসীর গর্বের বিষয় হয়ে উঠবে। 

|

आज अटल बिहारी वाजपेयी जी के जन्‍मदिन को हम एक Good Governance Day के रूप में भी मनाते हैं। कभी-कभी हमारे देश में ये मानकर के चला जाता है सब ऐसा ही चलेगा, ऐसा ही रहेगा छोड़ो यार कौन करेगा। और क्‍भी हम कहते हैं हम तो बहुत गरीब देश हैं क्‍या करें कुछ है ही नहीं हमारे पास, सच्‍चाई ये नहीं है दोस्‍तों, ये देश संपन्‍न है समृद्ध है लेकिन

আজ অটলবিহারী বাজপেয়ী মহোদয়ের জন্মদিনকে আমরা একটি ‘সুশাসন দিবস’ রূপে পালন করছি। আমাদেরদেশে অনেক সময় এটা মনে করা হয় যে, সবকিছু এমনই চলবে, এমনই থাকবে, ছাড়ুন তো, কেকরবে! আর প্রায়ই একথা শোনা যায় যে, আমাদের দেশ গরিব, কী আর করা যাবে, আমাদের কাছেত কিছুই নেই! এসব কথা সত্য নয় বন্ধুগণ, এই দেশ আসলে যথেষ্ট সম্পন্ন এবং সমৃদ্ধ,কিন্তু এ দেশে সাধারণ মানুষকে সেই সমৃদ্ধি ও সম্পন্নতা থেকে দূরে সরিয়ে রাখাহয়েছে। পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে যে এই সমস্যাগুলির মূলে রয়েছেসুশাসনের অভাব, গয়ংগচ্ছ মনোভাব, আপন ও পর বিভেদের ফাঁকে উন্নয়ন থমকে থাকে বছরের পরবছর, প্রজন্মের পর প্রজন্ম। যে কোনও কাজ নিয়ে যান, জবাব পাবেন, এটা কি আমার?আপনারা এরকম জবাব শুনে অভ্যস্ত কি না বলুন? আপনি যদি জবাব দেন যে, না আপনার কিছুনয়, কিন্তু এটা হয়েছে! তাহলে দেখবেন হাত ওপরে তুলে বলে দেবে, তাহলে আমার কী? কোনওশাসন ব্যবস্থা যদি ‘এটা কি আমার?’ দিয়ে শুরু হয়, আর আমার স্বার্থ সিদ্ধ না হলে,‘আমার কী, তুমি জানো আর তোমার কাজ জানে!’ এই মনোবৃত্তিই দেশের সর্বনাশ করেছে। আরআমি এই কর্মসংস্কৃতি পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছি। আমি জানি এই পরিবর্তন সাধনকতো কঠিন কাজ! খুব ভালোভাবেই জানি! কিন্তু আপনারা আমাকে বলুন যে, শুধু রাজনৈতিকলাভ হলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আর তা না হলে নেওয়া হবে না, দেশের উন্নয়ন কি এইপরাকাষ্ঠায় ঝুলে থাকবে? সেজন্যই দেশ বিগত নির্বাচনে এমন সরকারকে দায়িত্ব দিয়েছেযাঁরা নীতি মেনে চলতে চায়। পরিচ্ছন্ন মনোভাব নিয়ে সাধারণ মানুষের জীবনে পরিবর্তনআনার স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার ইচ্ছা নিয়ে কাজ করে।    

আজ যেমেট্রো যোগাযোগ ব্যবস্থার উদ্বোধন হচ্ছে, তা গড়ে তুলতে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছে।আমার মনে হয় না যে দেশের শ্রেষ্ঠ ১০ জন শিল্পপতি এই মেট্রো রেলে সফর করতে আসবেন।এই মেট্রো রেল আপনাদের, এটি আপনাদের যাতায়াতের সময় ও অর্থ সাশ্রয় করবে।আজ অনেকেঅত্যন্ত গর্বের সঙ্গে এই প্রারম্ভিক মেট্রো যাত্রা উপভোগ করতে এসেছেন। আমিওআপনাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি।    

আপনারা হয়তোলক্ষ্য করেছেন, যে রাজ্যগুলিতে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেই রাজ্যগুলির উন্নয়নপ্রক্রিয়াও ত্বরান্বিত হয়েছে। যেখানে যেখানে শাসন ব্যবস্থা সংস্কার করা সম্ভবহয়েছে সেখানকার সরকারের জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পেয়েছে, কর্মচারীদের দায়িত্বশীলতাবেড়েছে। আর প্রশাসনে দায়িত্বশীলতা বাড়লে ঐ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের সমস্যাও হ্রাসপেতে থাকে। অটল বিহারী বাজপেয়ী মহোদয় তাঁর শাসনকালে সুশাসনকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন,দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। আজ দেশের প্রত্যেকজনপ্রতিনিধি, বিধায়ক কিংবা সাংসদের সঙ্গে দেখা হলে বুঝবেন যে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীগ্রাম সড়ক যোজনাকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন!    

এদেশেরপ্রতিটি গ্রামে সড়ক পথ পৌঁছে দেওয়ার স্বপ্ন কার ছিল আমাদের দেশবাসীকে তা বিস্মৃতকরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা কম হয়নি! আমাদের দেশে এই প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনারসূত্রপাত করেছিলেন শ্রদ্ধেয় অটল বিহারী বাজপেয়ী। সেজন্য আজ দেশের অধিকাংশ গ্রামেসড়কপথ পৌঁছে গেছে কিংবা পৌঁছে যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে ২০১৯ সালের মধ্যেদেশের প্রতিটি গ্রামে সড়কপথ পৌঁছে যায়।     

আগে আমরাইতিহাসে দেশকে সড়ক পথে যুক্ত করার স্বপ্ন নিয়ে শের শাহ সূরীর অবদানের কথা পড়েছি।আর তারপরই দেশকে সড়ক পথে যুক্ত করার সর্ববৃহৎ কর্মযজ্ঞ হল অটল বিহারী বাজপেয়ীর‘সোনালী চতুষ্কোণ’ প্রকল্প। তাঁর শাসনকালে তিনি এই প্রকল্প বাস্তবায়নে এতটাই জোরদিয়েছিলেন যে আজ আমাদের দেশ সুদীর্ঘ আন্তর্জাতিক মানের সড়ক পথে সমৃদ্ধ। এই মেট্রোরেলের স্বপ্নও দেখেছিলেন ঐ প্রথম যাত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। আজ ভারতের অনেক শহরেমেট্রো রেলের কাজ চলছে। নিকট ভবিষ্যতেই ৫০টিরও বেশি শহরে মেট্রো রেল নেটওয়ার্ক চালুহতে চলেছে। সারা পৃথিবী অবাক হয়ে দেখছে যে একটি দেশ কি করে এত দ্রুত এতগুলি শহরেমেট্রো নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করতে পারছে!এই ঘটনা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণকরছে।    

গত লোকসভানির্বাচনের আগে আমি এক জায়গায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছিলাম যে, দেশে অনেকপরস্পরবিরোধী আইন রয়েছে। আমরা ক্ষমতায় এসে সেগুলির সংস্কার করতে চাই। প্রধানমন্ত্রীহিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে আমরা প্রায় ১,২০০ এ ধরনের পরস্পরবিরোধী আইনবাতিল করেছি। আগে, বিভিন্ন সরকার নানা আইন প্রণয়নকে গর্বের বিষয় বলে মনে করত।কিন্তু সেই আইন কতটা বাস্তবসম্মত, এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব নিয়ে কারোর মাথাব্যথাছিল না। এই পরস্পর বিরোধী আইনের জাল দেশে সুশাসনের সবচাইতে বড় প্রতিবন্ধক হয়ে উঠেছিল।সেজন্যই আমরা সাধারণ মানুষের জীবনধারণকে সরল করার উদ্দেশ্য নিয়েদেশের সকল প্রচলিতও অপ্রচলিত আইনগুলি পর্যালোচনা করেইতিমধ্যেই ১,২০০ কালবাহ্য পরস্পর বিরোধী আইনকেবাতিল করেছি। 

|

আমার মতে,সুশাসনের ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের সাফল্যের মূলে রয়েছে এই আইন বাতিল করা। আমি যখনপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি তখন গোড়ার দিকে খবরের কাগজে বক্স আইটেমছাপা হত যে, মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আধিকারিকরা ঠিক সময়ে অফিসে আসছেন। আমাকেবলুন, এটা কি খুশির খবর না দুঃখের খবর? অনেকেই খুশি হয়েছেন যে এই নতুনপ্রধানমন্ত্রী খুব ভালো কাজ করছে। কিন্তু আমার দুঃখ হয়েছে যে দেশের কি অবস্থা!আধিকারিকরা ঠিক সময়ে অফিসে গেলে সাধারণ মানুষ খুশি হন, তার মানে আধিকারিকরা ঠিকসময়ে অফিসে না যাওয়ায় সাধারণ মানুষের কত না কষ্ট হয়েছে।   

আমি আজআমাদের সক্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমান যোগী আদিত্যনাথকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে উত্তরপ্রদেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন, সুশাসনকে অগ্রাধিকারদিয়েছেন। কিন্তু তাঁর বেশভুষার সুযোগ নিয়ে অনেকেই গুজব রটান যে তিনি আধুনিক নন,তিনি পুরনোপন্থী। কিন্তু নয়ডার মানুষ জানেন যে এখানে কোন মুখ্যমন্ত্রী আসতেন না। কিন্তুযোগীজি নীরবে, তাঁর আচরণের মাধ্যমে প্রমাণ করে দিয়েছেন যে বর্তমান সময়ে এটি ভুলধারণা। সেজন্য আমি যোগীজিকে অন্তর থেকে অভিনন্দন জানাই।    

যেমুখ্যমন্ত্রী কোথাও গেলে চেয়ার চলে যাওয়ার ভয় পান, তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ারই কোনঅধিকার নেই।কুসংস্কারাচ্ছন্ন মন নিয়ে কোন সমাজের উন্নতি করা যায় না। আমরাপ্রযুক্তির যুগে বসবাস করছি, আমরা বিজ্ঞানের যুগে বসবাস করছি। শ্রদ্ধার নিজস্বস্থান রয়েছে, কিন্তু আধুনিক যুগে কুসংস্কারের কোন স্থান নেই। আমি যখন গুজরাটেরমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলাম, তখন শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, ভারতের অনেক রাজ্যে এধরনের সমস্যা ছিল। মুখ্যমন্ত্রীরা কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে অনেক জায়গায় যেতেন না।আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন যে একজন মুখ্যমন্ত্রী গাড়ি কেনার আগে তিনি বিশেষ রং-এরগাড়ি কিনতে চেয়েছেন। আর তার সামনে লেবু এবং লঙ্কা ঝুলিয়েছেন। এ ধরনেরকুসংস্কারাচ্ছন্ন মুখ্যমন্ত্রীরা দেশকে কী শেখাবেন? এ ধরনের কুসংস্কার সাধারণমানুষের সামনে ভুল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজও ভারতের অনেকমুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে অনেক সরকার এ ধরনের কুসংস্কারের বশবর্তী।     

আমিগুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে শুনলাম যে রাজ্যের ৬-৭টি জায়গায় কোনমুখ্যমন্ত্রী যাননি। কারণ, সেসব জায়গায় গেলেই নাকি তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী পদ খোয়ানোরভয় পেতেন। আমি একথা শুনে আমার প্রথম সফরেই ঐ ৬-৭টা জায়গায় গিয়েছিলাম। যেঅঞ্চলগুলিতে বিগত ৩-৪ দশকে কোন মুখ্যমন্ত্রী যাননি। কিন্তু তারপরেও আমি দীর্ঘকালমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। তার মানে সেই গ্রাম, তহসিল কিংবানগরেরকোন দোষ ছিল না। আজ যোগীজিও নয়ডা সফরে এসে এই কুসংস্কারের বিরুদ্ধে নিজেকে স্থাপনকরেছেন। সেজন্য তাঁকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।     

ভাই ও বোনেরা,অটল বিহারী বাজপেয়ী মহোদয়ের জন্মদিনে যখন আমি সুশাসনের কথা বলছি, তখন আপনাদেরসামনে কিছু তথ্য তুলে ধরতে চাই। ইউরিয়া কারখানা চালু হলে ইউরিয়ার উৎপাদন যেবাড়বেসেটা যে কোন ছোট বাচ্চাও বলে দিতে পারে। কিন্তু দেশে একটিও নতুন ইউরিয়াকারখানা চালু না করে আমাদের সরকার প্রয়োজনীয় নীতি নির্ধারণের মাধ্যমে রোডম্যাপঅনুযায়ী কাজ করে দেশে প্রায় ২০ লক্ষ টন ইউরিয়া উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পেরেছে। আগেযতগুলি কারখানা ছিল, সেই কারখানাগুলিতেই, সেই মেশিনগুলিতেই একই কাঁচা মাল ও শ্রমিকনিয়ে শুধু সুশাসনের ওপর নির্ভর করে আমরা পুরনো ব্যবস্থাতেই ১৮-২০ লক্ষ টন ইউরিয়াউৎপাদন বৃদ্ধি করেছি।  

ভাই ওবোনেরা, রেললাইন পাতার কাজ কিংবা সড়কপথ সম্প্রসারণের কাজে আগে রেলের যত কর্মচারীকাজ করতেন, এখনও সমসংখ্যক মানুষই কাজ করেন, আগের আধিকারিকরাই সিদ্ধান্ত গ্রহণকরেন। তাঁদের টেবিলেই ফাইল আদান-প্রদান হয়। কিন্তু একই সময়ে পূর্ববর্তী সরকার যতকিলোমিটার রেল লাইন সম্প্রসারণ করতে পেরেছিল, আর যত কিলোমিটার সড়ক পথ নির্মাণ করতেপেরেছিল, তার দ্বিগুণ বর্তমান সরকারের শাসনকালে হয়েছে। এর কারণ কী? এর কারণ হলসুশাসন। 

|

ভাই ওবোনেরা, আগে একদিনে যত কিলোমিটার জাতীয় সড়ক নির্মাণ হত, এখন তার দ্বিগুণ নির্মাণহওয়ার মানে এই নয় যে বর্তমান সরকারের হাতে হঠাৎ করে অনেক বেশি টাকা এসে গেছে। আমরাসেই টাকাই স্বচ্ছ লেনদেনের মাধ্যমে, আগের মেশিনগুলিই যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে,সময়েরসদ্ব্যবহারের মাধ্যমে এই দ্বিগুণ সড়ক নির্মাণ সম্ভব করেছি। কারণ হল সুশাসন।    

ভাই ওবোনেরা, আজ আমাদের দেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অংশীদার। আমাদের সমুদ্রতট এবংসামুদ্রিক বন্দরগুলি আগের থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দেশে কার্গোহ্যান্ডলিং ঋণাত্মক ছিল। আমরা সুশাসনের মাধ্যমে সেই কার্গো হ্যান্ডলিং-কে ঋণাত্মকথেকে তুলে এনে ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি সম্ভব করতে পেরেছি। কারণ, আমরা সুশাসন স্থাপনকরতে পেরেছি।     

ভাই ওবোনেরা, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জলশক্তি, পরমাণু শক্তিপ্রকল্পগুলি নিয়ে আমরা নিরন্তর কাজ করে চলেছি । ফলস্বরূপ, আগেরতুলনায় দেশে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎপাদনক্ষমতাও দ্বিগুণ হয়েছে। সুশাসনেরমাধ্যমেই আমরা এই অসম্ভবকে সম্ভব করতে পেরেছি।    

পূর্ববর্তীসরকারের আমলে বাজার থেকে একটি এলইডি বাল্ব কিনতে সাধারণ মানুষকে ৩৫০ টাকা খরচ করতেহত। আজ ৪০-৫০ টাকায় এলইডি বাল্ব কিনতে পাওয়া যায়। ইতিমধ্যেই, আমরা দেশে ১৪ হাজারকোটি টাকারও বেশি খরচ করে ২৮ কোটি এলইডি বাল্ব লাগিয়েছি। ফলে, অনেক পরিবারগুলির২০০ টাকা থেকে ২,০০০ টাকা পর্যন্ত মাসিক সাশ্রয় হচ্ছে। শুধু এলইডি বাল্বের দাম কমহওয়ার ফলেই সারা দেশে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির ৬ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। সুশাসনদেশে কিরকম পরিবর্তন আনতে পারে এটি তার একটি জীবন্ত উদাহরণ।     

ভাই ওবোনেরা, সুশাসনের মূল শর্ত হল নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা। নীতি মেনে দেশ চলে। কারোরখামখেয়ালিপনার বশবর্তী হয়ে দেশ চলে না। নীতি হওয়া উচিৎ সাদা কিংবা কালো। এতেবিভেদের কোন স্থান নেই। নীতির মধ্যে বিভেদ এলেই দুর্নীতি মাথা গলানোর সুযোগ পায়।    

ভাই ওবোনেরা, অটল বিহারী বাজপেয়ী মহোদয়ের জীবনের তপস্যা থেকে প্রেরণা গ্রহণ করে দেশকেনতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে আমরা সুশাসনের মাধ্যমে কাজ করে চলেছি। আমরা‘সকলের সঙ্গে সকলের উন্নয়ন’ মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে চলেছি। আর যখন আমরা উন্নয়নের কথাবলি, তখন এই উন্নয়ন হল ‘সর্বসমাবেশক’। উন্নয়ন হবে সর্বস্পর্শী, সার্বদেশিক ।  সকলের সঙ্গেসকলের উন্নয়ন সকলের অংশীদারিত্বের মাধ্যমেই সম্ভব হয়। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেইউন্নয়নের পরিকল্পনা করতে হয়। আর সেজন্য আমরা উন্নয়নকে উন্মুক্ত সুশাসনের পথে এগিয়েনিয়েচলেছি। অটল বিহারী বাজপেয়ী যেভাবে দেশের প্রত্যেক কোণকে জুড়তে চেয়েছিলেন, দেশেরচতুষ্কোণকে যুক্ত করার পথে যেভাবে কাজ করেছেন, তাঁকে যদি একটি বাক্যে পরিচয় করাতেহয় তাহলে আমি তাঁকে বলব ‘ভারত মার্গ বিধাতা’। দেশের সড়ক পথকে বিশ্বমানের আধুনিকতাপ্রদানের কর্মযজ্ঞে তিনি ছিলেন ভগীরথ। আজ তাঁর জন্মদিনে,বড়দিনের পবিত্র অবসরে,মহামতী মদনমোহন মালব্য-র জন্মদিবসে উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লিকে মেট্রো পথে যুক্তকরছে যে প্রকল্প, সেই মেট্রো পথ দেশকে উৎসর্গ করে আমি গর্ব অনুভব করছি। আমাকে এইঅনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আমি আরেকবার উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতাপ্রকাশ করছি, উত্তরপ্রদেশের সাধারণ মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি,নয়ডাবাসীদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।  
  
অনেক অনেকধন্যবাদ।   

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Indian toy industry on a strong growthtrajectory; exports rise 40%, imports drop 79% in 5 years: Report

Media Coverage

Indian toy industry on a strong growthtrajectory; exports rise 40%, imports drop 79% in 5 years: Report
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM chairs a High-Level Meeting to review Ayush Sector
February 27, 2025
QuotePM undertakes comprehensive review of the Ayush sector and emphasizes the need for strategic interventions to harness its full potential
QuotePM discusses increasing acceptance of Ayush worldwide and its potential to drive sustainable development
QuotePM reiterates government’s commitment to strengthen the Ayush sector through policy support, research, and innovation
QuotePM emphasises the need to promote holistic and integrated health and standard protocols on Yoga, Naturopathy and Pharmacy Sector

Prime Minister Shri Narendra Modi chaired a high-level meeting at 7 Lok Kalyan Marg to review the Ayush sector, underscoring its vital role in holistic wellbeing and healthcare, preserving traditional knowledge, and contributing to the nation’s wellness ecosystem.

Since the creation of the Ministry of Ayush in 2014, Prime Minister has envisioned a clear roadmap for its growth, recognizing its vast potential. In a comprehensive review of the sector’s progress, the Prime Minister emphasized the need for strategic interventions to harness its full potential. The review focused on streamlining initiatives, optimizing resources, and charting a visionary path to elevate Ayush’s global presence.

During the review, the Prime Minister emphasized the sector’s significant contributions, including its role in promoting preventive healthcare, boosting rural economies through medicinal plant cultivation, and enhancing India’s global standing as a leader in traditional medicine. He highlighted the sector’s resilience and growth, noting its increasing acceptance worldwide and its potential to drive sustainable development and employment generation.

Prime Minister reiterated that the government is committed to strengthening the Ayush sector through policy support, research, and innovation. He also emphasised the need to promote holistic and integrated health and standard protocols on Yoga, Naturopathy and Pharmacy Sector.

Prime Minister emphasized that transparency must remain the bedrock of all operations within the Government across sectors. He directed all stakeholders to uphold the highest standards of integrity, ensuring that their work is guided solely by the rule of law and for the public good.

The Ayush sector has rapidly evolved into a driving force in India's healthcare landscape, achieving significant milestones in education, research, public health, international collaboration, trade, digitalization, and global expansion. Through the efforts of the government, the sector has witnessed several key achievements, about which the Prime Minister was briefed during the meeting.

• Ayush sector demonstrated exponential economic growth, with the manufacturing market size surging from USD 2.85 billion in 2014 to USD 23 billion in 2023.

•India has established itself as a global leader in evidence-based traditional medicine, with the Ayush Research Portal now hosting over 43,000 studies.

• Research publications in the last 10 years exceed the publications of the previous 60 years.

• Ayush Visa to further boost medical tourism, attracting international patients seeking holistic healthcare solutions.

• The Ayush sector has witnessed significant breakthroughs through collaborations with premier institutions at national and international levels.

• The strengthening of infrastructure and a renewed focus on the integration of artificial intelligence under Ayush Grid.

• Digital technologies to be leveraged for promotion of Yoga.

• iGot platform to host more holistic Y-Break Yoga like content

• Establishing the WHO Global Traditional Medicine Centre in Jamnagar, Gujarat is a landmark achievement, reinforcing India's leadership in traditional medicine.

• Inclusion of traditional medicine in the World Health Organization’s International Classification of Diseases (ICD)-11.

• National Ayush Mission has been pivotal in expanding the sector’s infrastructure and accessibility.

• More than 24.52 Cr people participated in 2024, International Day of Yoga (IDY) which has now become a global phenomenon.

• 10th Year of International Day of Yoga (IDY) 2025 to be a significant milestone with more participation of people across the globe.

The meeting was attended by Union Health Minister Shri Jagat Prakash Nadda, Minister of State (IC), Ministry of Ayush and Minister of State, Ministry of Health & Family Welfare, Shri Prataprao Jadhav, Principal Secretary to PM Dr. P. K. Mishra, Principal Secretary-2 to PM Shri Shaktikanta Das, Advisor to PM Shri Amit Khare and senior officials.