Quoteসরকার পরিকাঠামোমূলক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। কোল্লাম বাইপাস সেটিরই একটি উদাহরণ: প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quoteঅটলজী যোগাযোগের গুরুত্বের ওপর বিশ্বাস করতেন। আমরা তাঁর এই পরিকল্পনাকেই এগিয়ে নিয়ে চলেছি: প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quoteযখন আমরা সড়ক ও সেতু নির্মাণ করি, তখন আমাদের লক্ষ্য কেবল শহর ও গ্রামগুলিকে যুক্ত করাই নয়, সেই সঙ্গে, মানুষের প্রত্যাশা ও আনন্দকেও আমরা সামিল করার চেষ্টা করি: প্রধানমন্ত্রী

কেরালার ভাই ও বোনেরা,

 

ঈশ্বরের আপন দেশ সফর করতে পেরে আমি আশীর্বাদধন্য। আস্থামুদিলেকের তীরে অবস্থিত কোল্লামে এসে আমি গত বছরের বিধ্বংসী বন্যা পরবর্তী জনজীবন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসার বিষয়টি উপলব্ধি করছি। তবে, কেরালার পুনর্গঠনে আমাদের আরও পরিশ্রম করতে হবে।

 

৬৬ নম্বর জাতীয় মহাসড়কের এই বাইপাস নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ায় আমি আপনাদের অভিনন্দন জানাই। এই বাইপাসটি মানুষের যাতায়াতকে আরও সহজ করে তুলবে। সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের মানোন্নয়নে আমার সরকারের সরকারের অঙ্গীকার। আমরা ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ – এই মন্ত্রে বিশ্বাস করি। অঙ্গীকারের বাস্তবায়নে আমার সরকার বাইপাস নির্মাণের এই প্রকল্পটি ২০১৫-র জানুয়ারিতে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। আমি আনন্দিত যে, রাজ্য সরকারের অবদান ও সহযোগিতায় আমরা এই প্রকল্পটি কার্যকর উপায়ে সম্পন্ন করেছি। ২০১৪-র মে মাসে আমার সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমরা কেরালার পরিকাঠামো উন্নয়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি। ভারতমালা কর্মসূচির আওতায় মুম্বাই – কন্যাকুমারী করিডর নির্মাণের জন্য বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরির কাজ চলছে। এছাড়াও, একাধিক প্রকল্পের রূপায়ণের কাজ বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে।

 

দেশে আমরা প্রায়শই দেখি যে, ঘোষণা হওয়ার পর একাধিক পরিকাঠামো প্রকল্পের রূপায়ণ বিভিন্ন কারণে থমকে রয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্বের দরুণ খরচ যেমন বাড়ে, তেমনই জনগণের অর্থেরও অপচয় হয়। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, জনগণের অর্থ অপচয়ের এ ধরণের সংস্কৃতি আর চলতে দেওয়া হবে না। প্রগতির মাধ্যমে আমরা থমকে থাকা প্রকল্পগুলির রূপায়ণ ত্বরান্বিত করে বিভিন্ন বাধা-বিপত্তি দূরীকরণের চেষ্টা চালাচ্ছি।

 

প্রতি মাসের শেষ বুধবার বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে বিলম্বের কারণ খতিয়ে দেখতে আমি কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত সচিবদের পাশাপাশি, রাজ্য সরকারগুলির মুখ্য সচিবদের সঙ্গেও বৈঠকে মিলিত হই।

|

আমি জেনে আশ্চর্য হয়েছি যে, কিছু কিছু প্রকল্প ২০ – ৩০ বছরেরও বেশি পুরনো। কেবল তাই নয়, এই প্রকল্পগুলির রূপায়ণেও যথেষ্ট বিলম্ব হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পের সুফল ও সুযোগ-সুবিধা থেকে সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করা অপরাধের সামিল। এখনও পর্যন্ত আমি প্রগতি বৈঠকের মাধ্যমে ১২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ২৫০টিরও বেশি প্রকল্প রূপায়ণের বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করেছি।

 

বন্ধুগণ, অটলজী যোগাযোগের গুরুত্বের ওপর বিশ্বাস করতেন। আমরা তাঁর এই পরিকল্পনাকেই এগিয়ে নিয়ে চলেছি। জাতীয় মহাসড়ক থেকে গ্রামীণ সড়ক, প্রায় সব ক্ষেত্রেই সড়ক নির্মাণের গতি বিগত সরকারের তুলনায় এখন দ্বিগুণ হয়েছে।

 

আমরা যখন সরকার গঠন করেছিলাম, তখন কেবল ৫৬ শতাংশ গ্রামীণ জনপদের সঙ্গে একটি মাত্র সড়ক যোগাযোগ ছিল। আজ ৯০ শতাংশেরও বেশি গ্রাম সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। আমি নিশ্চিত যে, খুব শীঘ্রই আমরা গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করব।

 

সড়ক ক্ষেত্রের মতো আমার সরকার রেল, জলপথ ও বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতেও অগ্রাধিকার দিয়েছে। বারানসী থেকে হলদিয়া জাতীয় জলপথের পরিবহণ ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। এ ধরণের পরিবহণ ব্যবস্থা দূষণ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণেও কার্যকর ভূমিকা নেবে। বিগত চার বছরে আঞ্চলিক বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থাতেও প্রভূত উন্নতি ঘটেছে। রেল লাইনের বিদ্যুতায়ন এবং নতুন রেল লাইন স্থাপনের গতি দ্বিগুণ হয়েছে। এর ফলে, কর্মসংস্থানের সুযোগ-সুবিধাও বাড়ছে।

 

যখন আমরা সড়ক ও সেতু নির্মাণ করি, তখন আমাদের লক্ষ্য কেবল শহর ও গ্রামগুলিকে যুক্ত করাই নয়, সেই সঙ্গে, মানুষের প্রত্যাশা ও আনন্দকেও আমরা সামিল করার চেষ্টা করি।

 

প্রত্যেক দেশবাসীর মানোন্নয়নই আমার অঙ্গীকার। লাইনের শেষে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিকেও আমি সমান অগ্রাধিকার দিই। আমার সরকার মৎস্যচাষ ক্ষেত্রের উন্নয়নে ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার তহবিল মঞ্জুর করেছে।

 

আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির আওতায় গরিব মানুষের জন্য নগদ বিহীন স্বাস্থ্য বিমার সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দিতে বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকার সংস্থান করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৮ লক্ষেরও বেশি রোগী নগদ বিহীন স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পেয়েছেন। সরকার এখনও পর্যন্ত এই খাতে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ করেছে। স্বাস্থ্য বিমা সংক্রান্ত এই প্রকল্পের রূপায়ণ রাজ্যে আরও ত্বরান্বিত করতে আমি কেরালা সরকারকে অনুরোধ জানাই। রাজ্যবাসীরা যাতে এই প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা নিতে পারেন, তার জন্যই এই অনুরোধ।

 

পর্যটন শিল্প কেরালার আর্থিক অগ্রগতির হলমার্ক। শুধু তাই নয়, রাজ্যের অর্থনীতিতে এই শিল্পের বড় অবদান রয়েছে। আমার সরকার পর্যটন ক্ষেত্রের বিকাশে ব্যাপক কাজ করেছে, যার সুফল মিলতে শুরু করেছে। ভ্রমণ ও পর্যটন সংক্রান্ত বিশ্ব সংস্থার ২০১৮-র প্রতিবেদনে ভারতকে পর্যটন বিকাশের ক্ষেত্রে তৃতীয় স্থান দেওয়া হয়েছে। পর্যটন ক্ষেত্রের কাছে এ এক বড় সাফল্য, যা দেশের সমগ্র পর্যটন ক্ষেত্রকে আরও উৎসাহিত করবে।

 

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ভ্রমণ ও পর্যটন সংক্রান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা সূচকে ভারত ৬৫তম স্থান থেকে ৪০তম স্থানে উঠে এসেছে।

|

ভারতে আগত বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ২০১৩-র প্রায় ৭০ লক্ষ থেকে ৪২ শতাংশ বেড়ে ২০১৭-তে প্রায় ১ কোটি হয়েছে। পর্যটন থেকে বিদেশি মুদ্রা আয়ের পরিমাণ ২০১৩-র ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে ২০১৭-তে ২৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। প্রকৃত সত্য হ’ল – ভারত ২০১৭-তে বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বিকাশশীল পর্যটন গন্তব্য হয়ে উঠেছে। পর্যটন ক্ষেত্রে ২০১৬-তে ভারতের অগ্রগতির হার ছিল ১৪ শতাংশ। একই সময়ে বিশ্ব পর্যটন ক্ষেত্রের গড় হার ছিল ৭ শতাংশ।

 

ভারতীয় পর্যটন ক্ষেত্রে ই-ভিসার প্রবর্তন এক আমূল পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। বিশ্বের ১৬৬টি দেশের নাগরিকরা এখন ভারতে আসার ক্ষেত্রে ই-ভিসার সুবিধা পাচ্ছেন। আমার সরকার পর্যটনস্থল, ঐতিহ্যবাহী সৌধ বা জায়গা এবং ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে মৌলিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে দুটি ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এগুলি হল – স্বদেশ দর্শন ও প্রসাদ।

 

পর্যটন ক্ষেত্রে কেরালার বিপুল সম্ভাবনার বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে আমরা স্বদেশ দর্শন ও প্রসাদ প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের জন্য প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭টি প্রকল্প অনুমোদন করেছি।

 

তিরুবনন্তপুরমে অন্য এক অনুষ্ঠানে আজ আমি শ্রী পদ্মনাভস্বামী মন্দিরে এ ধরণেরই একটি প্রকল্পের সূচনা করব। ঈশ্বর পদ্মনাভস্বামীর কাছে আমি কেরালা সহ দেশের অন্যান্য অংশের মানুষের কল্যাণে প্রার্থনা জানাবো।

 

আমি একটি বিশেষ শব্দবন্ধ ‘কোল্লাম কান্ডাল্লিমভেন্ডা’ শুনেছি, এর অর্থ হ’ল – কোল্লামে কেউ একবার এলে তাঁর বাড়ির কথা মনেই পড়ে না। এখানে এসে আমারও একই অনুভূতি হচ্ছে।

 

কোলাম ও কেরালাবাসীকে তাঁদের ভালোবাসা ও আন্তরিকতার জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই। এক উন্নত ও সুসংহত কেরালার জন্য আমি প্রার্থনা করি।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Apple CEO Tim Cook confirms majority of iPhones sold in the US will come from India

Media Coverage

Apple CEO Tim Cook confirms majority of iPhones sold in the US will come from India
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM's speech while dedicating the Vizhinjam International Seaport to the nation in Thiruvananthapuram, Kerala
May 02, 2025
QuoteThe Vizhinjam International Deepwater Multipurpose Seaport in Kerala is a significant advancement in India's maritime infrastructure: PM
QuoteToday is the birth anniversary of Bhagwan Adi Shankaracharya, Adi Shankaracharya ji awakened the consciousness of the nation by coming out of Kerala and establishing monasteries in different corners of the country, I pay tribute to him on this auspicious occasion: PM
QuoteIndia's coastal states and our port cities will become key centres of growth for a Viksit Bharat: PM
QuoteGovernment in collaboration with the state governments has upgraded the port infrastructure under the Sagarmala project enhancing port connectivity: PM
QuoteUnder PM-Gatishakti, the inter-connectivity of waterways, railways, highways and airways is being improved at a fast pace: PM
QuoteIn the last 10 years investments under Public-Private Partnerships have not only upgraded our ports to global standards, but have also made them future ready: PM
QuoteThe world will always remember Pope Francis for his spirit of service: PM

केरल के गवर्नर राजेंद्र अर्लेकर जी, मुख्यमंत्री श्रीमान पी. विजयन जी, केंद्रीय कैबिनेट के मेरे सहयोगीगण, मंच पर मौजूद अन्य सभी महानुभाव, और केरल के मेरे भाइयों और बहनों।

एल्लावर्क्कुम एन्डे नमस्कारम्। ओरिक्कल कूडि श्री अनन्तपद्मनाभंडे मण्णिलेक्क वरान् साद्धिच्चदिल् एनिक्क अतियाय सन्तोषमुण्ड।

साथियों,

आज भगवान आदि शंकराचार्य जी की जयंती है। तीन वर्ष पूर्व सितंबर में मुझे उनके जन्मभूमि क्षेत्रम में जाने का सौभाग्य मिला था। मुझे खुशी है कि मेरे संसदीय क्षेत्र काशी में विश्वनाथ धाम परिसर में आदि शंकराचार्य जी की भव्य प्रतिमा स्थापित की गई है। मुझे उत्तराखंड के केदारनाथ धाम में आदि शंकराचार्य जी की दिव्य प्रतिमा के अनावरण का भी सौभाग्य मिला है। और आज ही देवभूमि उत्तराखंड में केदारनाथ मंदिर के पट खुले हैं, केरल से निकलकर, देश के अलग-अलग कोनों में मठों की स्थापना करके आदि शंकराचार्य जी ने राष्ट्र की चेतना को जागृत किया। इस पुनीत अवसर पर मैं उन्हें श्रद्धापूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

यहां एक ओर अपनी संभावनाओं के साथ उपस्थित ये विशाल समुद्र है। औऱ दूसरी ओर प्रकृति का अद्भुत सौंदर्य है। और इन सबके बीच अब new age development का सिंबल, ये विझिंजम डीप-वॉटर सी-पोर्ट है। मैं केरल के लोगों को, देश के लोगों को बहुत-बहुत बधाई देता हूं।

|

साथियों,

इस सी-पोर्ट को Eight thousand eight hundred करोड़ रुपए की लागत से तैयार किया गया है। अभी इस ट्रांस-शिपमेंट हब की जो क्षमता है, वो भी आने वाले समय में बढ़कर के तीन गुनी हो जाएगी। यहां दुनिया के बड़े मालवाहक जहाज आसानी से आ सकेंगे। अभी तक भारत का 75 परसेंट ट्रांस-शिपमेंट भारत के बाहर के पोर्ट्स पर होता था। इससे देश को बहुत बड़ा revenue loss होता आया है। ये परिस्थिति अब बदलने जा रही है। अब देश का पैसा देश के काम आएगा। जो पैसा बाहर जाता था, वो केरल और विझिंजम के लोगों के लिए नई economic opportunities लेकर आएगा।

साथियों,

गुलामी से पहले हमारे भारत ने हजारों वर्ष की समृद्धि देखी है। एक समय में ग्लोबल GDP में मेजर शेयर भारत का हुआ करता था। उस दौर में हमें जो चीज दूसरे देशों से अलग बनाती थी, वो थी हमारी मैरिटाइम कैपेसिटी, हमारी पोर्ट सिटीज़ की economic activity! केरल का इसमें बड़ा योगदान था। केरल से अरब सागर के रास्ते दुनिया के अलग-अलग देशों से ट्रेड होता था। यहां से जहाज व्यापार के लिए दुनिया के कई देशों में जाते थे। आज भारत सरकार देश की आर्थिक ताकत के उस चैनल को और मजबूत करने के संकल्प के साथ काम कर रही है। भारत के कोस्टल स्टेट्स, हमारी पोर्ट सिटीज़, विकसित भारत की ग्रोथ का अहम सेंटर बनेंगे। मैं अभी पोर्ट की विजिट करके आया हूं, और गुजरात के लोगों को जब पता चलेगा, कि इतना बढ़िया पोर्ट ये अडानी ने यहां केरल में बनाया है, ये गुजरात में 30 साल से पोर्ट पर काम कर रहे हैं, लेकिन अभी तक वहां उन्होंने ऐसा पोर्ट नहीं बनाया है, तब उनको गुजरात के लोगों से गुस्सा सहन करने के लिए तैयार रहना पड़ेगा। हमारे मुख्यमंत्री जी से भी मैं कहना चाहूंगा, आप तो इंडी एलायंस के बहुत बड़े मजबूत पिलर हैं, यहां शशि थरूर भी बैठे हैं, और आज का ये इवेंट कई लोगों की नींद हराम कर देगा। वहाँ मैसेज चला गया जहां जाना था।

साथियों,

पोर्ट इकोनॉमी की पूरे potential का इस्तेमाल तब होता है, जब इंफ्रास्ट्रक्चर और ease of doing business, दोनों को बढ़ावा मिले। पिछले 10 वर्षों में यही भारत सरकार की पोर्ट और वॉटरवेज पॉलिसी का ब्लूप्रिंट रहा है। हमने इंडस्ट्रियल एक्टिविटीज़ और राज्य के होलिस्टिक विकास के लिए तेजी से काम आगे बढ़ाया है। भारत सरकार ने, राज्य सरकार के सहयोग से सागरमाला परियोजना के तहत पोर्ट इंफ्रास्ट्रक्चर को अपग्रेड किया है, पोर्ट कनेक्टिविटी को भी बढ़ाया है। पीएम-गतिशक्ति के तहत वॉटरवेज, रेलवेज, हाइवेज और एयरवेज की inter-connectivity को तेज गति से बेहतर बनाया जा रहा है। Ease of doing business के लिए जो reforms किए गए हैं, उससे पोर्ट्स और अन्य इंफ्रास्ट्रक्चर सेक्टर में भी इनवेस्टमेंट बढ़ा है। Indian seafarers, उनसे जुड़े नियमों में भी भारत सरकार ने Reforms किए हैं। और इसके परिणाम भी देश देख रहा है। 2014 में Indian seafarers की संख्या सवा लाख से भी कम थी। अब इनकी संख्या सवा तीन लाख से भी ज्यादा हो गई है। आज भारत seafarers की संख्या के मामले में दुनिया के टॉप थ्री देशों की लिस्ट में शामिल हो गया है।

|

Friends,

शिपिंग इंडस्ट्री से जुड़े लोग जानते हैं कि 10 साल पहले हमारे शिप्स को पोर्ट्स पर कितना लंबा इंतज़ार करना पड़ता था। उन्हें unload करने में लंबा समय लग जाता था। इससे बिजनेस, इंडस्ट्री और इकोनॉमी, सबकी स्पीड प्रभावित होती थी। लेकिन, हालात अब बदल चुके हैं। पिछले 10 वर्षों में हमारे प्रमुख बंदरगाहों पर Ship turn-around time में 30 परसेंट तक की कमी आई है। हमारे पोर्ट्स की Efficiency में भी बढ़ोतरी हुई है, जिसके कारण हम कम से कम समय में ज्यादा कार्गो हैंडल कर रहे हैं।

साथियों,

भारत की इस सफलता के पीछे पिछले एक दशक की मेहनत और विज़न है। पिछले 10 वर्षों में हमने अपने पोर्ट्स की क्षमता को दोगुना किया है। हमारे National Waterways का भी 8 गुना विस्तार हुआ है। आज global top 30 ports में हमारे दो भारतीय पोर्ट्स हैं। Logistics Performance Index में भी हमारी रैकिंग बेहतर हुई है। Global shipbuilding में हम टॉप-20 देशों में शामिल हो चुके हैं। अपने बेसिक इंफ्रास्ट्रक्चर को ठीक करने के बाद हम अब ग्लोबल ट्रेड में भारत की strategic position पर फोकस कर रहे हैं। इस दिशा में हमने Maritime Amrit Kaal Vision लॉन्च किया है। विकसित भारत के लक्ष्य तक पहुँचने के लिए हमारी मैरिटाइम strategy क्या होगी, हमने उसका रोडमैप बनाया है। आपको याद होगा, G-20 समिट में हमने कई बड़े देशों के साथ मिलकर इंडिया मिडिल ईस्ट यूरोप कॉरिडोर पर सहमति बनाई है। इस रूट पर केरल बहुत महत्वपूर्ण position पर है। केरल को इसका बहुत लाभ होने वाला है।

साथियों,

देश के मैरीटाइम सेक्टर को नई ऊंचाई देने में प्राइवेट सेक्टर का भी अहम योगदान है। Public-Private Partnerships के तहत पिछले 10 वर्षों में हजारों करोड़ रुपए का निवेश हुआ है। इस भागीदारी से न केवल हमारे पोर्ट्स ग्लोबल स्टैंडर्ड पर अपग्रेड हुए हैं, बल्कि वो फ्यूचर रेडी भी बने हैं। प्राइवेट सेक्टर की भागीदारी से इनोवेशन और efficiency, दोनों को बढ़ावा मिला है। और शायद मीडिया के लोगों ने एक बात पर ध्यान केंद्रित किया होगा, जब हमारे पोर्ट मिनिस्टर अपना भाषण दे रहे थे, तो उन्होंने कहा, अडानी का उल्लेख करते हुए, उन्होंने कहा कि हमारी सरकार के पार्टनर, एक कम्युनिस्ट गवर्नमेंट का मंत्री बोल रहा है, प्राइवेट सेक्टर के लिए, कि हमारी सरकार का पार्टनर, ये बदलता हुआ भारत है।

|

साथियों,

हम कोच्चि में shipbuilding and repair cluster स्थापित करने की दिशा में भी आगे बढ़ रहे हैं। इस cluster के तैयार होने से यहां रोजगार के अनेक नए अवसर तैयार होंगे। केरल के local talent को, केरल के युवाओं को, आगे बढ़ने का मौका मिलेगा।

Friends,

भारत की shipbuilding capabilities को बढ़ाने के लिए देश अब बड़े लक्ष्य लेकर चल रहा है। इस साल बजट में भारत में बड़े शिप के निर्माण को बढ़ाने के लिए नई पॉलिसी की घोषणा की गई है। इससे हमारे मैन्युफैक्चरिंग सेक्टर को भी बढ़ावा मिलेगा। इसका सीधा लाभ हमारे MSME को होगा, और इससे बड़ी संख्या में employment के और entrepreneurship के अवसर तैयार होंगे।

साथियों,

सही मायनों में विकास तब होता है, जब इंफ्रास्ट्रक्चर भी बिल्ड हो, व्यापार भी बढ़े, और सामान्य मानवी की बेसिक जरूरतें भी पूरी हों। केरल के लोग जानते हैं, हमारे प्रयासों से पिछले 10 वर्षों में केरल में पोर्ट इंफ्रा के साथ-साथ कितनी तेजी से हाइवेज, रेलवेज़ और एयरपोर्ट्स से जुड़ा विकास हुआ है। कोल्लम बाईपास और अलापूझा बाईपास, जैसे वर्षों से अटके प्रोजेक्ट्स को भारत सरकार ने आगे बढ़ाया है। हमने केरल को आधुनिक वंदे भारत ट्रेनें भी दी हैं।

Friends,

भारत सरकार, केरल के विकास से देश के विकास के मंत्र पर भरोसा करती है। हम कॉपरेटिव फेडरिलिज्म की भावना से चल रहे हैं। बीते एक दशक में हमने केरल को विकास के सोशल पैरामीटर्स पर भी आगे ले जाने का काम किया है। जलजीवन मिशन, उज्ज्वला योजना, आयुष्मान भारत, प्रधानमंत्री सूर्यघर मुफ्त बिजली योजना, ऐसी अनेक योजनाओं से केरल के लोगों को बहुत लाभ हो रहा है।

साथियों,

हमारे फिशरमेन का बेनिफिट भी हमारी प्राथमिकता है। ब्लू रेवोल्यूशन और प्रधानमंत्री मत्स्य संपदा योजना के तहत केरल के लिए सैकड़ों करोड़ रुपए की परियोजनाओं को मंजूरी दी गई है। हमने पोन्नानी और पुथियाप्पा जैसे फिशिंग हार्बर का भी modernization किया है। केरल में हजारों मछुआरे भाई-बहनों को किसान क्रेडिट कार्ड्स भी दिये गए हैं, जिसके कारण उन्हें सैकड़ों करोड़ रुपए की मदद मिली है।

|

साथियों,

हमारा केरल सौहार्द और सहिष्णुता की धरती रहा है। यहाँ सैकड़ों साल पहले देश की पहली, और दुनिया की सबसे प्राचीन चर्च में से एक सेंट थॉमस चर्च बनाई गई थी। हम सब जानते हैं, हम सबके लिए कुछ ही दिन पहले दु:ख की बड़ी घड़ी आई है। कुछ दिन पहले हम सभी ने पोप फ्रांसिस को खो दिया है। भारत की ओर से उनके अंतिम संस्कार में शामिल होने के लिए हमारी राष्ट्रपति, राष्ट्रपति द्रौपदी मुर्मू जी वहाँ गई थीं। उसके साथ हमारे केरल के ही साथी, हमारे मंत्री श्री जॉर्ज कुरियन, वह भी गए थे। मैं भी, केरल की धरती से एक बार फिर, इस दुःख में शामिल सभी लोगों के प्रति अपनी संवेदना प्रकट करता हूँ।

साथियों,

पोप फ्रांसिस की सेवा भावना, क्रिश्चियन परम्पराओं में सबको स्थान देने के उनके प्रयास, इसके लिए दुनिया हमेशा उन्हें याद रखेगी। मैं इसे अपना सौभाग्य मानता हूं, कि मुझे उनके साथ जब भी मिलने का अवसर मिला, अनेक विषयों पर विस्तार से मुझे उनसे बातचीत का अवसर मिला। और मैंने देखा हमेशा मुझे उनका विशेष स्नेह मिलता रहता था। मानवता, सेवा और शांति जैसे विषयों पर उनके साथ हुई चर्चा, उनके शब्द हमेशा मुझे प्रेरित करते रहेंगे।

साथियों,

मैं एक बार फिर आप सभी को आज के इस आयोजन के लिए अपनी शुभकामनाएं देता हूं। केरल global maritime trade का बड़ा सेंटर बने, और हजारों नई जॉब्स क्रिएट हों, इस दिशा में भारत सरकार, राज्य सरकार के साथ मिलकर काम करती रहेगी। मुझे पूरा विश्वास है कि केरल के लोगों के सामर्थ्य से भारत का मैरीटाइम सेक्टर नई बुलंदियों को छुएगा।

नमुक्क ओरुमिच्च् ओरु विकसित केरलम पडत्तुयर्ताम्, जइ केरलम् जइ भारत l

धन्यवाद।