ভারতের অগ্রগতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সাফল্যের ওপর নির্ভরশীল: প্রধানমন্ত্রী মোদী
বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণার অনুকূল পরিবেশ গড়ে তুলতে এবং লালফিতের ফাঁস মুক্ত করে তথ্য প্রযুক্তির উপযুক্ত ব্যবহারের লক্ষ্যে আমাদের প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
২০২৪ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের জৈব-উৎপাদন শিল্প হাব ভারতে গড়ে তুলতে আমাদের উদ্যোগী হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী মোদী

বন্ধুগণ, সর্বপ্রথম আমি আপনাদেরকে ইংরাজি ২০২০ সালের শুভেচ্ছা জানাই। এই বছর আপনাদের জীবনে সমৃদ্ধি বয়ে নিয়ে আসুক এবং আপনাদের গবেষণাগারগুলি আরও উৎপাদনক্ষম হোক। আমি বিশেষভাবে আনন্দিত যে, নতুন বছর এবং নতুন দশকে আমার প্রথম অনুষ্ঠানটি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানটি হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে যে শহরটি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সঙ্গে জড়িত। শেষবার আমি যখন বেঙ্গালুরুতে এসেছিলাম তখন গোটা দেশের দৃষ্টি চন্দ্রযান-২-এর ওপর নিবদ্ধ ছিল। সেই সময় যেভাবে আমাদের জাতি বিজ্ঞান, মহাকাশ গবেষণা এবং আমাদের বিজ্ঞানীদের ক্ষমতাকে নিয়ে গর্ব অনুভব করেছে তা সবসময়ই আমার মনে থাকবে।

 

বন্ধুগণ, উদ্যান নগরী বেঙ্গালুরু নতুন উদ্যোগের আদর্শ জায়গা। সারা বিশ্ব এখানে উদ্ভাবনের জন্য আসে। এই শহরে গবেষণা ও উন্নয়নের এমন এক পরিবেশ গড়ে উঠেছে যার সঙ্গে প্রতিটি বিজ্ঞানী, উদ্ভাবক, ইঞ্জিনিয়ার যুক্ত হতে চায়। কিন্তু তাঁদের এই চাওয়া কি শুধু নিজের উন্নতি বা নিজের কেরিয়ারের কথা ভেবে? না। তাঁরা এই স্বপ্ন দেখেন দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছা থেকে। নিজের উন্নতির সঙ্গে দেশের উন্নতিকে যুক্ত করার ভাবনা থেকে।

 

আর তাই, আমরা যখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে ২০২০ সালকে এক ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে স্বাগত জানাচ্ছি, আমরা আমাদের স্বপ্ন পূরণের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে যাচ্ছি।

 

বন্ধুগণ,

 

আমাকে জানানো হয়েছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন প্রকাশনায় আন্তর্জাতিক স্তরে ভারত তৃতীয় স্থানে পৌঁছেছে। সারা বিশ্বে যেখানে ৪ শতাংশ হারে এই বৃদ্ধি হয়েছে, ভারতের ক্ষেত্রে তার পরিমাণ ১০ শতাংশ। আমি আরও জেনে আনন্দিত হয়েছি যে, উদ্ভাবন সূচকে ভারত এগিয়ে ৫২তম স্থানে পৌঁছেছে। বিগত ৫০ বছরের তুলনায় সর্বশেষ পাঁচ বছরে আমরা যে কর্মসূচিগুলি গ্রহণ করেছি তার মাধ্যমে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আরও অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। এই কারণে আমি আমাদের বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।

বন্ধুগণ,

 

ভারতের উন্নয়ন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। ভারতীয় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বিপ্লব আনার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এই দেশের তরুণ বিজ্ঞানীদের উদ্দেশে আমার বার্তা হল ‘উদ্ভাবন, ধৈর্য, উৎপাদন এবং সমৃদ্ধি’র মন্ত্রে এগিয়ে চলুন। এই চারটি পদক্ষেপের মাধ্যমে আমাদের দেশের উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে। আমরা যদি উদ্ভাবন করি তাহলে আমরা স্বত্ত্বাধিকার হব, আর তার ফলে আমাদের উৎপাদন প্রক্রিয়া আরও মসৃণ হবে এবং আমরা যখন এই উৎপাদিত সামগ্রী আমাদের দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দেব, তাঁরাও সমৃদ্ধ হবেন। আমাদের ‘নতুন ভারত’-এর দিশা হল জনগণের জন্য এবং জনগণের দ্বারা উদ্ভাবন।

 

বন্ধুগণ, নতুন ভারতের প্রযুক্তিও দরকার আবার যুক্তিসম্মত চিন্তাধারারও প্রয়োজন যার ফলে, নতুন দিশায় আমাদের সামাজিক এবং আর্থিক জীবন বিকশিত হবে। আমার সবসময়ই মনে হয় যে, ভারতের সমাজে কাজ করার ক্ষেত্রে, সাম্য আনার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আর যখন বিজ্ঞান ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশ হচ্ছে, দেশে স্মার্ট ফোন তৈরি হচ্ছে, সস্তায় তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তখন এক শ্রেণীর মধ্যে এই সুবিধাগুলি কুক্ষিগত থাকার ব্যাপারটিও শেষ হচ্ছে। এর থেকে আজ অত্যন্ত সাধারণ নাগরিকের মনে এই বিশ্বাস জন্মাচ্ছে যে তাঁরা আলাদা নন। সরকারের সঙ্গে তাঁদের সরাসরি যোগাযোগ তৈরি হচ্ছে। তাঁদের কথা সরাসরি সরকারের কাছে পৌঁছচ্ছে। এই পরিবর্তনটিকেই আমাদের উৎসাহিত করতে হবে, আরও শক্তিশালী করতে হবে।

 

বন্ধুগণ, এখন আমি গ্রামোন্নয়নে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ভূমিকার বিষয়ে কিছু কথা বলব। বিগত পাঁচ বছরে গ্রামোন্নয়নের ক্ষেত্রে দেশের সাধারণ নাগরিকেরও উপকার হয়েছে। স্বচ্ছ ভারত অভিযান থেকে শুরু করে আয়ুষ্মান ভারত, বিশ্বের সবথেকে বড় প্রকল্প যা আজ সফলভাবে রূপায়িত হয়েছে তার পিছনে প্রযুক্তি এবং সুপ্রশাসনের ভূমিকাই সবথেকে বেশি।

 

বন্ধুগণ, আজ দেশে প্রশাসনের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার আগে কখনও হয়নি। গতকালই আমাদের সরকার দেশের ৬ কোটি কৃষককে একসঙ্গে পিএম-কিষান সম্মান নিধির অর্থ হস্তান্তরিত করেছে যা একটি রেকর্ড। কিভাবে এটি সম্ভব হল? আধার প্রযুক্তির সহায়তায়।

 

বন্ধুগণ,

 

যেভাবে দেশের প্রতিটি গ্রামে গরিব পরিবারগুলির কাছে শৌচালয় পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে, বিদ্যুৎ পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে তার মূল কারণ প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির মাধ্যমেই সরকার ৮ কোটি গরিব বোনকে সনাক্ত করতে পেরেছে যাঁদের জীবন কাঠের ধোঁয়ায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল। প্রযুক্তির মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। একইসঙ্গে, নতুন নতুন সরবরাহ কেন্দ্র কম সময়ের মধ্যে গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। আজ গ্রামে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রাস্তা তৈরি হচ্ছে, প্রযুক্তির মাধ্যমে দরিদ্রদের জন্য ২ কোটিরও বেশি বাড়ি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে। জিও-ট্যাগিং এবং ডেটা সায়েন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি আসছে। যথাযথ নজরদারির ফলে প্রকল্প এবং তার সুবিধাভোগীদের মধ্যে ব্যবধান ঘোচানো সম্ভব হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় কাজ শেষ করার ফলে অর্থের সাশ্রয় হয়েছে এবং নতুন নতুন প্রকল্পের পরিকল্পনার বিষয়ে যে সমস্যাগুলি তৈরি হত তার অবসান ঘটেছে।

 

বন্ধুগণ, ‘ইজ অফ ডুয়িং সায়েন্স’ নিশ্চিত করতে আমরা প্রয়াস অব্যাহত রাখব এবং লাল ফিঁতের সমস্যা কমাতে যথাযথ তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করব। কৃষকরা দালালদের দয়া-দাক্ষিণ্য ছাড়াই তাঁদের ফসল সরাসরি বাজারে বিক্রি করতে পারছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে গ্রামীণ জীবনে ডিজিটালাইজেশন, ই-কমার্স, ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং এবং মোবাইল ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে। আজ আবহাওয়ার পূর্বাভাস কৃষকরা বিভিন্ন ই-গভর্ন্যান্স ব্যবস্থার মাধ্যমে সহজেই পাচ্ছেন।

 

বন্ধুগণ, ভারতের উন্নয়নে বিশেষ করে, গ্রামের উন্নয়নে প্রযুক্তির প্রয়োগ আরও ব্যাপকভাবে করতে হবে। আগামী দশকে দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর প্রশাসন নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করবে। বিশেষ করে, কৃষিক্ষেত্রে ব্যয় কমানো এবং উৎপাদিত সামগ্রী উপভোক্তার কাছে পৌঁছনোর লক্ষ্যে প্রযুক্তির মাধ্যমে সরবরাহের একটি চেন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার বিশেষ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। গ্রামই এর ফলে সবথেকে বেশি সরাসরি উপকৃত হবে এবং গ্রামীণ অর্থ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। আপনাদের সকলের জ্ঞাতার্থে জানাই গ্রামে প্রত্যেক বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ‘জল জীবন মিশন’ নামে একটি বিরাট বড় প্রকল্প শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের সবথেকে বড় শক্তি প্রযুক্তি। আর এখন আপনাদের দায়িত্ব হল জলকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার লক্ষ্যে সস্তা এবং কার্যকর একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা। এক্ষেত্রে জল প্রশাসন আপনাদের জন্য একটি নতুন ক্ষেত্র হিসেবে উঠে আসবে। বাড়িতে ব্যবহৃত জল খেতে সেচের কাজে ব্যবহারের উপযুক্ত করার জন্য সস্তা ও কার্যকর উপায় আপনাদের খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের এমন বীজ তৈরি করতে হবে যা পুষ্টিতে ভরপুর হবে অথচ চাষের কাজে জলের ব্যবহারও কমবে। সারা দেশে আজ যে সয়েল হেল্‌থ কার্ড বিতরণ করা হয়েছে, চাষের কাজে এর ব্যবহার কিভাবে করা যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল এই সাপ্লাই চেনে আমাদের কৃষকদের যে ক্ষতি হয়, তার থেকে বেরিয়ে আসার জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির অনুসন্ধান অত্যন্ত জরুরি।

বন্ধুগণ,

 

আগামীদিনে গ্রামীণ অর্থ ব্যবস্থার উন্নতিতে আমাদের অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আসুন, এখন আমরা একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের বিষয়ে কথা বলি। দেশকে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের থেকে মুক্তি দেওয়ার সঙ্কল্প আমরা গ্রহণ করেছি যার মাধ্যমে আমারা আমাদের পরিবেশ, পশু, মাছ ও মাটিকে বাঁচাতে পারি। কিন্তু প্লাস্টিকের মতো সস্তা ও টেঁকসই বিকল্প কিছু তো আপনাদের খুঁজে বের করতে হবে। ধাতুই হোক, মাটি বা তন্তু – প্লাস্টিকের বিকল্প আপনাদের গবেষণাগার থেকেই বের করতে হবে। প্লাস্টিকের বর্জ্যের সঙ্গে বৈদ্যুতিন সামগ্রীর বর্জ্য থেকে ধাতু নিঃসরণ করে তার পুনর্ব্যবহারের বিষয়ে নতুন নতুন প্রযুক্তির সন্ধান অত্যন্ত জরুরি।

 

আপনারা যে সমাধানই আমাদের দেবেন, আমাদের ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগী, কুম্ভকার, ছুতোর তার মাধ্যমেই পণ্য তৈরি করে তা বাজারজাত করবে। এর ফলে, পরিবেশ বাঁচবে। একইসঙ্গে ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগেরও উন্নতি হবে।

 

বন্ধুগণ,

 

পরিবেশ-বান্ধব, সার্কুলার ও সুস্থায়ী অর্থনীতির জন্য গ্রামের আর্থিক পরিস্থিতির অনুকূল নতুন উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি। ফসলের অবশিষ্টাংশ এবং বাড়ির বর্জ্য পদার্থের থেকে পরিবেশ দূষণ একটি বড় সমস্যা। এই বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। ২০২২ সালের মধ্যে তেলের ব্যবহার ১০ শতাংশ কম করা আমাদের লক্ষ্য। জৈব জ্বালানি, জৈব প্রযুক্তি এবং ইথানল তৈরির ক্ষেত্রে উদ্যোগ স্থাপনের বিশেষ সম্ভাবনা রয়েছে।

 

এই শিল্পগুলির বিষয়ে আরও গবেষণার জন্য আমাদের উৎসাহ দিতে হবে। এর সঙ্গে যাঁরা কাজ করবেন, তাঁদের খবরগুলি আমাদের প্রচার করতে হবে। মনে রাখবেন, ভারতের অর্থনীতিকে ৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করতে হলে আপনাদের সকলের অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।

 

বন্ধুগণ, কৃষিকাজে প্রযুক্তির ব্যবহারে বিপ্লব আনার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর সমস্যাটির একটি কৃষক-কেন্দ্রিক সমাধান কি আমরা খুঁজে পেতে পারি? নিঃসরণ কমিয়ে শক্তির যথাযথ ব্যবহারের লক্ষ্যে আমরা কি আমাদের ইঁটভাটাগুলির জন্য নতুন নকশা তৈরি করতে পারি? দেশ জুড়ে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের লক্ষ্যে আমাদের আরও ভালো এবং কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করা প্রয়োজন। বছরের পর বছর ধরে কলকারখানা থেকে যে বর্জ্য বেরিয়ে আমাদের মাটি এবং ভূগর্ভস্থ জলস্তরকে ধ্বংস করছে, সেটিকে কিভাবে আটকানো যায়?

 

বন্ধুগণ,

 

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমি এখানে উল্লেখ করতে চাই যে চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত যন্ত্রপাতিগুলি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির মাধ্যমে তৈরি করে আমাদের জনগণের কাছে তার সুফল পৌঁছে দিতে হবে।

 

মহাত্মা গান্ধী একবার বলেছিলেন, “স্বাস্থ্যই প্রকৃত সম্পদ, সোনা বা রূপো নয়।” সুস্বাস্থ্যের লক্ষ্যে আমাদের কিছু প্রথাগত প্রজ্ঞার ব্যবহার করলেই চলবে না, আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়াতে হবে এবং সমসাময়িক জৈব-চিকিৎসার ক্ষেত্রে গবেষণার ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।

 

নিপা, ইবোলা ইত্যাদির মতো সংক্রমণযোগ্য ব্যাধিগুলির হাত থেকে জনগণকে বাঁচানোর লক্ষ্যে আমাদের ভাবনাচিন্তা করতে হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা নির্মূল করার লক্ষ্যে আমাদের নিরন্তর প্রয়াস চালাতে হবে। আন্তর্জাতিক স্তরে টিকা সরবরাহের ক্ষেত্রে ভারত প্রথম সারিতে রয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের জৈব-উৎপাদন শিল্প হাব ভারতে গড়ে তুলতে আমাদের উদ্যোগী হতে হবে। সঠিক নীতি গ্রহণ এবং উদ্ভাবনী গবেষণা, মানবসম্পদ ও শিল্পোদ্যোগের মাধ্যমেই এই লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব।

বন্ধুগণ,

 

সুস্থায়ী ও পরিবেশ-বান্ধব বিদ্যুৎ মজুত করা এবং তা সরবরাহ করার ক্ষেত্রে ভারতকে একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে গ্রিড ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, কারণ আমরা পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি বন্টনের পরিমাণ বৃদ্ধি করছি। এর জন্য নতুন ধরনের ব্যাটারির প্রয়োজন যেগুলি ক্রান্তিয় জলবায়ুতে শত শত গিগাওয়াট স্কেলের বিদ্যুৎ সঞ্চয়ের লক্ষ্যে সহজলভ্য, পরিবেশ-বান্ধব সামগ্রী দিয়ে তৈরি করতে হবে।

 

বন্ধুগণ, জলবায়ুর যথাযথ পূর্বাভাসে ব্যাপক সামাজিক ও আর্থিক উপকার হয়। গ্রীষ্মকালীন ঘূর্নিঝড়ের ক্ষেত্রে বিশেষ করে আবহাওয়ার পূর্বাভাস এবং সতর্কীকরণের বিষয়ে যথেষ্ট উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর ফলে, প্রাণহানি কমেছে। মহাকাশ অভিযানে আমাদের সাফল্য এখন সমুদ্রের গভীরেও প্রতিফলিত হচ্ছে। মহাসাগর থেকে প্রাপ্ত জল, শক্তি, খাদ্য এবং খনিজ পদার্থের বিষয়ে আমাদের অনুসন্ধান করে তথ্যভাণ্ডার গড়ে তুলতে হবে। এ কাজে গভীর জলে স্বয়ংক্রিয় যানবাহন, সমুদ্রে খনিজ উত্তোলন এবং মনুষ্যচালিত যন্ত্রপাতির উন্নয়নের প্রয়োজন। আমি তাই আশা করি, ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রক যে ‘ডিপ ওশন মিশন’-এর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তা এই উদ্যোগগুলির মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে।

 

বন্ধুগণ,

 

আমি বিজ্ঞানীদের কাছ থেকে জেনেছি যে গতিশীল শক্তির ক্ষমতা এতটাই যে তা একটি পাহাড়কে নাড়িয়ে দিতে পারে। আমরা কি গতিবিজ্ঞান তৈরি করতে পারি? একটু কল্পনা করুন যে, প্রাসঙ্গিক প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, নতুন উদ্যোগ এবং শিল্পের মাধ্যমে আমাদের সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক সম্ভাবনাকে আমরা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজে লাগালে তার কি ব্যাপক প্রভাব পড়বে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই প্রবল গতিকে বশীভূত করে আমরা কি নতুন ভারতের সুযোগগুলিকে যুক্ত করার ক্ষেত্রে তা চালনা করতে পারি না?

 

বন্ধুগণ,

 

সরকার এবং জনগণের মধ্যে প্রযুক্তি সেতুবন্ধনের কাজ করে। প্রযুক্তির দ্রুত এবং প্রকৃত বিকাশের মাধ্যমে প্রকৃত লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব। প্রযুক্তি পক্ষপাতদুষ্ট হয় না। এই কারণেই মানুষের চিন্তাভাবনা এবং আধুনিক প্রযুক্তির মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করলে অভূতপূর্ণ ফলাফল পাওয়া সম্ভব। আমার পুরো বিশ্বাস, নতুন বছর এবং নতুন দশকে নতুন ভারতের নতুন মনোভাব, চিন্তাভাবনা আমরা একযোগে আরও দৃঢ় করতে পারব। আরও একবার আপনাদের সকলকে, পুরো বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়কে এবং আপনাদের পরিবারকে নতুন বছরের শুভ কামনা। অনেক অনেক ধন্যবাদ!

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।