ভারতের অগ্রগতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সাফল্যের ওপর নির্ভরশীল: প্রধানমন্ত্রী মোদী
বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণার অনুকূল পরিবেশ গড়ে তুলতে এবং লালফিতের ফাঁস মুক্ত করে তথ্য প্রযুক্তির উপযুক্ত ব্যবহারের লক্ষ্যে আমাদের প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
২০২৪ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের জৈব-উৎপাদন শিল্প হাব ভারতে গড়ে তুলতে আমাদের উদ্যোগী হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী মোদী

বন্ধুগণ, সর্বপ্রথম আমি আপনাদেরকে ইংরাজি ২০২০ সালের শুভেচ্ছা জানাই। এই বছর আপনাদের জীবনে সমৃদ্ধি বয়ে নিয়ে আসুক এবং আপনাদের গবেষণাগারগুলি আরও উৎপাদনক্ষম হোক। আমি বিশেষভাবে আনন্দিত যে, নতুন বছর এবং নতুন দশকে আমার প্রথম অনুষ্ঠানটি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানটি হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে যে শহরটি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সঙ্গে জড়িত। শেষবার আমি যখন বেঙ্গালুরুতে এসেছিলাম তখন গোটা দেশের দৃষ্টি চন্দ্রযান-২-এর ওপর নিবদ্ধ ছিল। সেই সময় যেভাবে আমাদের জাতি বিজ্ঞান, মহাকাশ গবেষণা এবং আমাদের বিজ্ঞানীদের ক্ষমতাকে নিয়ে গর্ব অনুভব করেছে তা সবসময়ই আমার মনে থাকবে।

 

বন্ধুগণ, উদ্যান নগরী বেঙ্গালুরু নতুন উদ্যোগের আদর্শ জায়গা। সারা বিশ্ব এখানে উদ্ভাবনের জন্য আসে। এই শহরে গবেষণা ও উন্নয়নের এমন এক পরিবেশ গড়ে উঠেছে যার সঙ্গে প্রতিটি বিজ্ঞানী, উদ্ভাবক, ইঞ্জিনিয়ার যুক্ত হতে চায়। কিন্তু তাঁদের এই চাওয়া কি শুধু নিজের উন্নতি বা নিজের কেরিয়ারের কথা ভেবে? না। তাঁরা এই স্বপ্ন দেখেন দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছা থেকে। নিজের উন্নতির সঙ্গে দেশের উন্নতিকে যুক্ত করার ভাবনা থেকে।

 

আর তাই, আমরা যখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে ২০২০ সালকে এক ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে স্বাগত জানাচ্ছি, আমরা আমাদের স্বপ্ন পূরণের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে যাচ্ছি।

 

বন্ধুগণ,

 

আমাকে জানানো হয়েছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন প্রকাশনায় আন্তর্জাতিক স্তরে ভারত তৃতীয় স্থানে পৌঁছেছে। সারা বিশ্বে যেখানে ৪ শতাংশ হারে এই বৃদ্ধি হয়েছে, ভারতের ক্ষেত্রে তার পরিমাণ ১০ শতাংশ। আমি আরও জেনে আনন্দিত হয়েছি যে, উদ্ভাবন সূচকে ভারত এগিয়ে ৫২তম স্থানে পৌঁছেছে। বিগত ৫০ বছরের তুলনায় সর্বশেষ পাঁচ বছরে আমরা যে কর্মসূচিগুলি গ্রহণ করেছি তার মাধ্যমে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আরও অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। এই কারণে আমি আমাদের বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।

বন্ধুগণ,

 

ভারতের উন্নয়ন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। ভারতীয় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বিপ্লব আনার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এই দেশের তরুণ বিজ্ঞানীদের উদ্দেশে আমার বার্তা হল ‘উদ্ভাবন, ধৈর্য, উৎপাদন এবং সমৃদ্ধি’র মন্ত্রে এগিয়ে চলুন। এই চারটি পদক্ষেপের মাধ্যমে আমাদের দেশের উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে। আমরা যদি উদ্ভাবন করি তাহলে আমরা স্বত্ত্বাধিকার হব, আর তার ফলে আমাদের উৎপাদন প্রক্রিয়া আরও মসৃণ হবে এবং আমরা যখন এই উৎপাদিত সামগ্রী আমাদের দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দেব, তাঁরাও সমৃদ্ধ হবেন। আমাদের ‘নতুন ভারত’-এর দিশা হল জনগণের জন্য এবং জনগণের দ্বারা উদ্ভাবন।

 

বন্ধুগণ, নতুন ভারতের প্রযুক্তিও দরকার আবার যুক্তিসম্মত চিন্তাধারারও প্রয়োজন যার ফলে, নতুন দিশায় আমাদের সামাজিক এবং আর্থিক জীবন বিকশিত হবে। আমার সবসময়ই মনে হয় যে, ভারতের সমাজে কাজ করার ক্ষেত্রে, সাম্য আনার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আর যখন বিজ্ঞান ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশ হচ্ছে, দেশে স্মার্ট ফোন তৈরি হচ্ছে, সস্তায় তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তখন এক শ্রেণীর মধ্যে এই সুবিধাগুলি কুক্ষিগত থাকার ব্যাপারটিও শেষ হচ্ছে। এর থেকে আজ অত্যন্ত সাধারণ নাগরিকের মনে এই বিশ্বাস জন্মাচ্ছে যে তাঁরা আলাদা নন। সরকারের সঙ্গে তাঁদের সরাসরি যোগাযোগ তৈরি হচ্ছে। তাঁদের কথা সরাসরি সরকারের কাছে পৌঁছচ্ছে। এই পরিবর্তনটিকেই আমাদের উৎসাহিত করতে হবে, আরও শক্তিশালী করতে হবে।

 

বন্ধুগণ, এখন আমি গ্রামোন্নয়নে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ভূমিকার বিষয়ে কিছু কথা বলব। বিগত পাঁচ বছরে গ্রামোন্নয়নের ক্ষেত্রে দেশের সাধারণ নাগরিকেরও উপকার হয়েছে। স্বচ্ছ ভারত অভিযান থেকে শুরু করে আয়ুষ্মান ভারত, বিশ্বের সবথেকে বড় প্রকল্প যা আজ সফলভাবে রূপায়িত হয়েছে তার পিছনে প্রযুক্তি এবং সুপ্রশাসনের ভূমিকাই সবথেকে বেশি।

 

বন্ধুগণ, আজ দেশে প্রশাসনের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার আগে কখনও হয়নি। গতকালই আমাদের সরকার দেশের ৬ কোটি কৃষককে একসঙ্গে পিএম-কিষান সম্মান নিধির অর্থ হস্তান্তরিত করেছে যা একটি রেকর্ড। কিভাবে এটি সম্ভব হল? আধার প্রযুক্তির সহায়তায়।

 

বন্ধুগণ,

 

যেভাবে দেশের প্রতিটি গ্রামে গরিব পরিবারগুলির কাছে শৌচালয় পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে, বিদ্যুৎ পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে তার মূল কারণ প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির মাধ্যমেই সরকার ৮ কোটি গরিব বোনকে সনাক্ত করতে পেরেছে যাঁদের জীবন কাঠের ধোঁয়ায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল। প্রযুক্তির মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। একইসঙ্গে, নতুন নতুন সরবরাহ কেন্দ্র কম সময়ের মধ্যে গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। আজ গ্রামে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রাস্তা তৈরি হচ্ছে, প্রযুক্তির মাধ্যমে দরিদ্রদের জন্য ২ কোটিরও বেশি বাড়ি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে। জিও-ট্যাগিং এবং ডেটা সায়েন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি আসছে। যথাযথ নজরদারির ফলে প্রকল্প এবং তার সুবিধাভোগীদের মধ্যে ব্যবধান ঘোচানো সম্ভব হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় কাজ শেষ করার ফলে অর্থের সাশ্রয় হয়েছে এবং নতুন নতুন প্রকল্পের পরিকল্পনার বিষয়ে যে সমস্যাগুলি তৈরি হত তার অবসান ঘটেছে।

 

বন্ধুগণ, ‘ইজ অফ ডুয়িং সায়েন্স’ নিশ্চিত করতে আমরা প্রয়াস অব্যাহত রাখব এবং লাল ফিঁতের সমস্যা কমাতে যথাযথ তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করব। কৃষকরা দালালদের দয়া-দাক্ষিণ্য ছাড়াই তাঁদের ফসল সরাসরি বাজারে বিক্রি করতে পারছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে গ্রামীণ জীবনে ডিজিটালাইজেশন, ই-কমার্স, ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং এবং মোবাইল ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে। আজ আবহাওয়ার পূর্বাভাস কৃষকরা বিভিন্ন ই-গভর্ন্যান্স ব্যবস্থার মাধ্যমে সহজেই পাচ্ছেন।

 

বন্ধুগণ, ভারতের উন্নয়নে বিশেষ করে, গ্রামের উন্নয়নে প্রযুক্তির প্রয়োগ আরও ব্যাপকভাবে করতে হবে। আগামী দশকে দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর প্রশাসন নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করবে। বিশেষ করে, কৃষিক্ষেত্রে ব্যয় কমানো এবং উৎপাদিত সামগ্রী উপভোক্তার কাছে পৌঁছনোর লক্ষ্যে প্রযুক্তির মাধ্যমে সরবরাহের একটি চেন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার বিশেষ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। গ্রামই এর ফলে সবথেকে বেশি সরাসরি উপকৃত হবে এবং গ্রামীণ অর্থ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। আপনাদের সকলের জ্ঞাতার্থে জানাই গ্রামে প্রত্যেক বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ‘জল জীবন মিশন’ নামে একটি বিরাট বড় প্রকল্প শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের সবথেকে বড় শক্তি প্রযুক্তি। আর এখন আপনাদের দায়িত্ব হল জলকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার লক্ষ্যে সস্তা এবং কার্যকর একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা। এক্ষেত্রে জল প্রশাসন আপনাদের জন্য একটি নতুন ক্ষেত্র হিসেবে উঠে আসবে। বাড়িতে ব্যবহৃত জল খেতে সেচের কাজে ব্যবহারের উপযুক্ত করার জন্য সস্তা ও কার্যকর উপায় আপনাদের খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের এমন বীজ তৈরি করতে হবে যা পুষ্টিতে ভরপুর হবে অথচ চাষের কাজে জলের ব্যবহারও কমবে। সারা দেশে আজ যে সয়েল হেল্‌থ কার্ড বিতরণ করা হয়েছে, চাষের কাজে এর ব্যবহার কিভাবে করা যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল এই সাপ্লাই চেনে আমাদের কৃষকদের যে ক্ষতি হয়, তার থেকে বেরিয়ে আসার জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির অনুসন্ধান অত্যন্ত জরুরি।

বন্ধুগণ,

 

আগামীদিনে গ্রামীণ অর্থ ব্যবস্থার উন্নতিতে আমাদের অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আসুন, এখন আমরা একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের বিষয়ে কথা বলি। দেশকে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের থেকে মুক্তি দেওয়ার সঙ্কল্প আমরা গ্রহণ করেছি যার মাধ্যমে আমারা আমাদের পরিবেশ, পশু, মাছ ও মাটিকে বাঁচাতে পারি। কিন্তু প্লাস্টিকের মতো সস্তা ও টেঁকসই বিকল্প কিছু তো আপনাদের খুঁজে বের করতে হবে। ধাতুই হোক, মাটি বা তন্তু – প্লাস্টিকের বিকল্প আপনাদের গবেষণাগার থেকেই বের করতে হবে। প্লাস্টিকের বর্জ্যের সঙ্গে বৈদ্যুতিন সামগ্রীর বর্জ্য থেকে ধাতু নিঃসরণ করে তার পুনর্ব্যবহারের বিষয়ে নতুন নতুন প্রযুক্তির সন্ধান অত্যন্ত জরুরি।

 

আপনারা যে সমাধানই আমাদের দেবেন, আমাদের ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগী, কুম্ভকার, ছুতোর তার মাধ্যমেই পণ্য তৈরি করে তা বাজারজাত করবে। এর ফলে, পরিবেশ বাঁচবে। একইসঙ্গে ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগেরও উন্নতি হবে।

 

বন্ধুগণ,

 

পরিবেশ-বান্ধব, সার্কুলার ও সুস্থায়ী অর্থনীতির জন্য গ্রামের আর্থিক পরিস্থিতির অনুকূল নতুন উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি। ফসলের অবশিষ্টাংশ এবং বাড়ির বর্জ্য পদার্থের থেকে পরিবেশ দূষণ একটি বড় সমস্যা। এই বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। ২০২২ সালের মধ্যে তেলের ব্যবহার ১০ শতাংশ কম করা আমাদের লক্ষ্য। জৈব জ্বালানি, জৈব প্রযুক্তি এবং ইথানল তৈরির ক্ষেত্রে উদ্যোগ স্থাপনের বিশেষ সম্ভাবনা রয়েছে।

 

এই শিল্পগুলির বিষয়ে আরও গবেষণার জন্য আমাদের উৎসাহ দিতে হবে। এর সঙ্গে যাঁরা কাজ করবেন, তাঁদের খবরগুলি আমাদের প্রচার করতে হবে। মনে রাখবেন, ভারতের অর্থনীতিকে ৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করতে হলে আপনাদের সকলের অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।

 

বন্ধুগণ, কৃষিকাজে প্রযুক্তির ব্যবহারে বিপ্লব আনার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর সমস্যাটির একটি কৃষক-কেন্দ্রিক সমাধান কি আমরা খুঁজে পেতে পারি? নিঃসরণ কমিয়ে শক্তির যথাযথ ব্যবহারের লক্ষ্যে আমরা কি আমাদের ইঁটভাটাগুলির জন্য নতুন নকশা তৈরি করতে পারি? দেশ জুড়ে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের লক্ষ্যে আমাদের আরও ভালো এবং কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করা প্রয়োজন। বছরের পর বছর ধরে কলকারখানা থেকে যে বর্জ্য বেরিয়ে আমাদের মাটি এবং ভূগর্ভস্থ জলস্তরকে ধ্বংস করছে, সেটিকে কিভাবে আটকানো যায়?

 

বন্ধুগণ,

 

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমি এখানে উল্লেখ করতে চাই যে চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত যন্ত্রপাতিগুলি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির মাধ্যমে তৈরি করে আমাদের জনগণের কাছে তার সুফল পৌঁছে দিতে হবে।

 

মহাত্মা গান্ধী একবার বলেছিলেন, “স্বাস্থ্যই প্রকৃত সম্পদ, সোনা বা রূপো নয়।” সুস্বাস্থ্যের লক্ষ্যে আমাদের কিছু প্রথাগত প্রজ্ঞার ব্যবহার করলেই চলবে না, আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়াতে হবে এবং সমসাময়িক জৈব-চিকিৎসার ক্ষেত্রে গবেষণার ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।

 

নিপা, ইবোলা ইত্যাদির মতো সংক্রমণযোগ্য ব্যাধিগুলির হাত থেকে জনগণকে বাঁচানোর লক্ষ্যে আমাদের ভাবনাচিন্তা করতে হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা নির্মূল করার লক্ষ্যে আমাদের নিরন্তর প্রয়াস চালাতে হবে। আন্তর্জাতিক স্তরে টিকা সরবরাহের ক্ষেত্রে ভারত প্রথম সারিতে রয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের জৈব-উৎপাদন শিল্প হাব ভারতে গড়ে তুলতে আমাদের উদ্যোগী হতে হবে। সঠিক নীতি গ্রহণ এবং উদ্ভাবনী গবেষণা, মানবসম্পদ ও শিল্পোদ্যোগের মাধ্যমেই এই লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব।

বন্ধুগণ,

 

সুস্থায়ী ও পরিবেশ-বান্ধব বিদ্যুৎ মজুত করা এবং তা সরবরাহ করার ক্ষেত্রে ভারতকে একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে গ্রিড ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, কারণ আমরা পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি বন্টনের পরিমাণ বৃদ্ধি করছি। এর জন্য নতুন ধরনের ব্যাটারির প্রয়োজন যেগুলি ক্রান্তিয় জলবায়ুতে শত শত গিগাওয়াট স্কেলের বিদ্যুৎ সঞ্চয়ের লক্ষ্যে সহজলভ্য, পরিবেশ-বান্ধব সামগ্রী দিয়ে তৈরি করতে হবে।

 

বন্ধুগণ, জলবায়ুর যথাযথ পূর্বাভাসে ব্যাপক সামাজিক ও আর্থিক উপকার হয়। গ্রীষ্মকালীন ঘূর্নিঝড়ের ক্ষেত্রে বিশেষ করে আবহাওয়ার পূর্বাভাস এবং সতর্কীকরণের বিষয়ে যথেষ্ট উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর ফলে, প্রাণহানি কমেছে। মহাকাশ অভিযানে আমাদের সাফল্য এখন সমুদ্রের গভীরেও প্রতিফলিত হচ্ছে। মহাসাগর থেকে প্রাপ্ত জল, শক্তি, খাদ্য এবং খনিজ পদার্থের বিষয়ে আমাদের অনুসন্ধান করে তথ্যভাণ্ডার গড়ে তুলতে হবে। এ কাজে গভীর জলে স্বয়ংক্রিয় যানবাহন, সমুদ্রে খনিজ উত্তোলন এবং মনুষ্যচালিত যন্ত্রপাতির উন্নয়নের প্রয়োজন। আমি তাই আশা করি, ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রক যে ‘ডিপ ওশন মিশন’-এর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তা এই উদ্যোগগুলির মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে।

 

বন্ধুগণ,

 

আমি বিজ্ঞানীদের কাছ থেকে জেনেছি যে গতিশীল শক্তির ক্ষমতা এতটাই যে তা একটি পাহাড়কে নাড়িয়ে দিতে পারে। আমরা কি গতিবিজ্ঞান তৈরি করতে পারি? একটু কল্পনা করুন যে, প্রাসঙ্গিক প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, নতুন উদ্যোগ এবং শিল্পের মাধ্যমে আমাদের সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক সম্ভাবনাকে আমরা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজে লাগালে তার কি ব্যাপক প্রভাব পড়বে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই প্রবল গতিকে বশীভূত করে আমরা কি নতুন ভারতের সুযোগগুলিকে যুক্ত করার ক্ষেত্রে তা চালনা করতে পারি না?

 

বন্ধুগণ,

 

সরকার এবং জনগণের মধ্যে প্রযুক্তি সেতুবন্ধনের কাজ করে। প্রযুক্তির দ্রুত এবং প্রকৃত বিকাশের মাধ্যমে প্রকৃত লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব। প্রযুক্তি পক্ষপাতদুষ্ট হয় না। এই কারণেই মানুষের চিন্তাভাবনা এবং আধুনিক প্রযুক্তির মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করলে অভূতপূর্ণ ফলাফল পাওয়া সম্ভব। আমার পুরো বিশ্বাস, নতুন বছর এবং নতুন দশকে নতুন ভারতের নতুন মনোভাব, চিন্তাভাবনা আমরা একযোগে আরও দৃঢ় করতে পারব। আরও একবার আপনাদের সকলকে, পুরো বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়কে এবং আপনাদের পরিবারকে নতুন বছরের শুভ কামনা। অনেক অনেক ধন্যবাদ!

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।