সকল শ্রদ্ধেয়ব্যক্তিগত এবং ক্রীড়াজগতে ভারতের নাম উজ্জ্বল করা আমার খেলোয়াড় বন্ধু,
যাঁরা এইএলাকার সঙ্গে পরিচিত, ১০ বছর আগে এই কাঙ্করিয়া কেমন ছিল এই ডেয়ারির ভাঙাচোরা একটিবাড়ি, অধিকাংশ সময়েই অনেক কুকুর এসে ঢুকে পড়তো, এমনই ফাঁকা শুকনো অবস্থায় পড়েছিল।স্বপ্ন দেখার সামর্থ্য থাকলে কোনও এলাকায় কিভাবে পরিবর্তন আসতে পারে তা এখানে এলেবোঝা যাবে। ক্রীড়াজগতের যত মানুষ আজ এখানে এসেছেন, আমি তাঁদেরকে অনুরোধ করব যেগোটা স্টেডিয়ামের সকল সুযোগ-সুবিধা দেখে যান, অন্যদেরও প্রেরণা যোগান যে এখনভারতেও সকল ব্যবস্থা বিকশিত হচ্ছে, যা আমাদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের খেলোয়াড়রাদেশের বাইরে গেলে দেখতে পান।
আমি যখনইদেশের খেলোয়াড়দের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাই, তাঁদের সঙ্গে মিশে যাই, তাঁদের সঙ্গেকথা বলি, তাঁদের কথা শুনি। আমি কখনও আমাদের দেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে সাহসের অভাবদেখিনি, পরিশ্রমের অভাব দেখিনি। অনেক ব্যবস্থার অপ্রতুলতা থাকা সত্ত্বেও তাঁরাআন্তর্জাতিক ময়দানে ভারতের জাতীয় পতাকা ওড়ানোর জন্য প্রাণপনে লড়াই করেন। কিন্তুসমস্যা হ’ল আমাদের মানসিকতায়। আমাদের সামর্থ্যবান নবীন প্রজন্ম রয়েছে, এরাই তোনতুন ভারতের কর্ণধার। কিন্তু আমাদের খেলোয়াড়রা যখন জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কোনওবয়স্ক সহযাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হলে জিজ্ঞেস করেন – কী করো? খেলোয়াড়টি হয়তো জবাবদিলেন, জাতীয় স্তরে খেলি কিংবা আন্তর্জাতিক স্তরে খেলি! তখন পরবর্তী প্রশ্ন কী ওঠেজানেন, বুঝলাম ভাই তুমি খেলো, জাতীয় স্তরে খেল, আন্তর্জাতিক স্তরে খেল, সবই বুঝলাম……; কিন্তু তুমি কী করো? অর্থাৎ খেলার মাধ্যমেও যে দেশসেবা করা যায়, খেলাও যেপেশা হতে পারে, তা আমাদের দেশে কেউ ভাবতেও পারেন না। দেশের সীমান্তে যে সৈনিকরাপ্রহরায় থাকেন, তাঁদেরকে যদি কেউ জিজ্ঞেস করেন – কী করো? সৈনিক জবাবে বলেন –সীমান্ত পাহারা দিই! তারপর যদি কেউ বলেন, সে তো বুঝলাম, সীমান্ত পাহারা দাও,কিন্তু কী কাজ করো? তখন সেই সৈনিকের যত দুঃখ হবে, দেশের জন্য দিনরাত খেটে প্রাণপনপরিশ্রম করে যে খেলোয়াড় নিজেদের তৈরি করেন, তাঁরাও এ ধরনের প্রশ্ন শুনলে সেরকমইকষ্ট পান। শুধু সমাজে নয় এমনকি খেলোয়াড়দের পরিবারের মানুষরাও শুরুর দিকে বলেন, আগেপড়াশুনা তারপর খেলাধূলা। সকাল হতেই পড়াশুনা ছেড়ে খেলার জন্য বেরিয়ে পড়া ঠিক নয়।এমনকি পুলেলা গোপীচন্দ’কেও হয়তো কোনও অভিভাবকের কাছে শুনতে হয়েছে, আরে ভাই, আপনিআমাদের ছেলেমেয়েদের জীবন দুর্বিষহ করছেন কেন?
আমাদের এইমানসিকতায় বদল আনতে হবে। খেলাধুলা শুধু ব্যক্তির জীবনে অনেক উচ্চতা অতিক্রম করারসুযোগ এনে দেয় না, সেই খেলোয়াড়দের মাধ্যমে ১২৫ কোটি ভারতবাসী মাথা উঁচু করেবিশ্বের সামনে দাঁড়াতে পারে। বিশ্বের কোনও দেশে গিয়ে আমার ভাষণে যদি সেই দেশেরকোনও খেলোয়াড়ের নাম উল্লেখ করি, তা হলে ৫ মিনিট ধরে তালি বাজতে থাকে। এই ক’দিনআগেই পর্তুগালে গিয়ে বক্তব্য রাখার সময় আমি সেদেশের কয়েকজন ফুটবল খেলোয়াড়ের নামনিতেই গোটা পরিবেশ বদলে যায়, হাততালির শব্দ প্রতিধ্বনিত হ’তে শুরু করে। খেলোয়াড়দেরপ্রতি এই সম্মান, এই সমাদর, আমাদের দেশেও এগুলি ঐতিহ্যরূপে অঙ্কুরিত হোক।আন্তর্জাতিক মানের ক্রীড়া পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। আজ আমার ‘খেল মহাকুম্ভ’অনুষ্ঠানের শুভসূচনা আর তার ‘অ্যাপ’-এর উদ্বোধন করার সৌভাগ্য হয়েছে। সবাইকেই যেজাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় হয়ে উঠতে হবে, তা নয়। কিন্তু ক্রীড়াজগতেরমজাই আলাদা হয় বন্ধুগণ। খেলা আমাদের নতুনভাবে বাঁচতে শেখায়। আমরা একটা জিনিসখেলোয়াড়দের জীবন থেকে খুব সহজেই শিখতে পারি! কখনও লোকে বলে যে, রাজনৈতিক নেতাদেরনির্বাচনে বিজয়লাভ হজম করা শেখা উচিৎ। কিন্তু খেলায় পরাজয় থেকে যে মানসিক হতাশাসৃষ্টি হয়, তা নিজের আন্তরিক লড়াকু মানসিকতা দিয়ে অতিক্রম করার বিদ্যে শিখতে হয়খেলোয়াড়দের কাছ থেকে। সেই মানসিকতাই তাঁদের ভবিষ্যৎ জয়ের পথ নির্ধারণ করে দেয়। এইসামর্থ্য ক্রীড়াজগৎ থেকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে বর্তায়। জীবনের জয়-পরাজয়কে যাঁরাখেলার মাঠের মতো সহজভাবে নিতে পারেন, তাঁদের জীবনে ভারসাম্য আসে। সেই ভারসাম্যইজীবনে জয় এনে দেয়।
গতবার এই‘খেল মহাকুম্ভ’-এ গুজরাটের ময়দানে প্রায় ৩০ লক্ষ খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করেছিলেন। এটাজরুরি নয় যে সবাই চ্যাম্পিয়ন হবেন। খেলার মাঠে পাশে দাঁড়িয়ে হাততালি দিলেওখেলোয়াড়দের শক্তি বাড়ে, হিম্মত বাড়ে, প্রত্যয় বাড়ে। আর সেজন্যই ‘খেল মহাকুম্ভ’শুরু হওয়ার পর গুজরাটে দ্রুত সামাজিক পরিবর্তন আসছে। তার আগে গুজরাট নামের সঙ্গেখেলাধূলার কোনওরকম সম্পর্ক ছিল কল্পনাতীত। খেলাকে আমাদের সংস্কৃতির অংশ করে নিতেহবে।
কথিত আছে,গুজরাটিরা স্কুল-কলেজে পড়তে গেলেও সঙ্গে দুটো কলম থাকলে একটি বেশি দামে বিক্রি করেচলে আসে। তাঁদের শিরায়-ধমনীতে রয়েছে বাণিজ্য। কিন্তু সেই গুজরাটেই যে এত ক্রীড়াপ্রতিভা ছিল, তা কে জানতো! ২৫ বছরে গুজরাট মাত্র ১০টি স্বর্ণপদক পেয়েছে, আর এই‘খেল মহাকুম্ভ’ শুরু হওয়ার পর এক বছরে গুজরাট পেয়েছে ১০টি স্বর্ণপদক। জাতীয় ওআন্তর্জাতিক স্তরে গুজরাটের ছেলেমেয়েদের এই সাফল্য থেকে বড় খুশির কিছু আর কী হতেপারে?
এখন প্রত্যেকশহরে, রাজ্যের প্রত্যেক জেলায় বিভিন্ন ক্রীড়ানুষ্ঠানের উপযোগী মাঠ তৈরি করা,প্রশিক্ষক আনা, সকল বিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েদের যথোপযুক্ত খেলায় অংশগ্রহণের জন্যউৎসাহিত করে মাঠে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চালু করতে আমাদের বিদ্যালয়গুলির পরিবেশেওগুণগত পরিবর্তন আনতে হবে। গুজরাটের ‘খেল মহাকুম্ভ’-এর অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েআমরা সারা দেশে ‘খেল ইন্ডিয়া’ অভিযান শুরু করতে চলেছি। যাতে কোটি কোটি ছেলেমেয়েখেলায় অংশ নিতে পারে, খেলা জীবনকে সঠিকভাবে প্রস্ফুটনের সুযোগ গড়ে দেয়। আর সেজন্যআজ এই স্টেডিয়াম দেখার পর থেকে খুব ভাল লাগছে, গোড়া থেকেই এই স্টেডিয়াম গড়ে তোলারপ্রক্রিয়ার সঙ্গে আমি কোনও না কোনওভাবে যুক্ত ছিলাম। সেজন্য প্রত্যেক মুহূর্তেরঅগ্রগতি সম্পর্কে জানতাম। কিন্তু আজ এখানে এসে দেখার পর মনে হয়েছে যে, আর আমিউদিতকেও বলব যে সারাদিনে এক-আধ ঘন্টা স্কুল-কলেজের ছাত্রদের জন্য এই স্টেডিয়ামসফরের ব্যবস্থা হোক। গুজরাট সরকারও ছাত্রদের এই স্টেডিয়াম ঘুরিয়ে দেখানোর ব্যবস্থাকরুক। এখানে এলে তারা বুঝবে কত বড় বিজ্ঞান, খেলার পেছনে কত বড় শক্তি কাজ করে।আধুনিক প্রযুক্তি ক্রীড়াক্ষেত্রে কত বড় ভূমিকা পালন করে। খেলোয়াড়দের খাওয়া-দাওয়ায়কত বাধানিষেধ থাকে! কত মর্যাদা! আমার পার্থিবের বড় হয়ে ওঠার দিনগুলির কথা মনে আছে,সে আমার বন্ধুর ছেলে, ছোটবেলা থেকে ভালভাবে জানি। ওর কাকা, পার্থিবকে ভালক্রিকেটার হিসাবে তৈরি করতে নিয়মিরত রোজ ভোর চারটেয় স্কুটারে করে স্টেডিয়ামে নিয়েআসতেন। বছরের পর বছর ধরে ভাইপোকে খেলোয়াড় বানানোর স্বপ্ন নিয়ে ভোর চারটেয় উঠে আসা,সে যত শীতই পড়ুক না কেন, তাকে স্কুটারে বসিয়ে স্টেডিয়ামে নিয়ে যেতেন, নিয়মিত উৎসাহযোগাতেন, তবেই একজন আজ পার্থিব প্যাটেল হয়ে উঠেছে। গোটা পরিবারের অবদান থাকতে হয়।
আপনাদেরসবাইকে আমি বলব দীপের সঙ্গে দেখা করুন। একজন খেলোয়াড় হিসাবে আজ সারা ভারত তাকেজানে। কিন্তু খুব কম মানুষই জানেন যে, তাঁর শরীরের অর্ধেক ভাগ কাজ করে না, কিন্তুযখনই কথা বলে, নতুন স্বপ্নের কথা বলে, নতুন উৎসাহ, নতুন লক্ষ্য পূরণের কথা বলেন।আমি তাঁর থেকে বড় কোনও প্রেরণাদাত্রী দেখিনি। তিনি আমাদের নতুন প্রজন্মের ‘হিরো’।এদেরকে সামনে রেখেই দেশের ক্রীড়া পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে, দেশের নবীন প্রজন্মকেপ্রেরণা যোগাতে হবে। প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। এই প্রথম দেশের মধ্যেগুজরাট সরকার ক্রীড়াক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে একটি মডেল চালু করেছে।সরকার এবং শিল্প জগৎ ও ব্যবসায়ীরা অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমাদের নবীন প্রজন্মেরক্রীড়া প্রতিভাকে লালন-পালন করা ও শান দেওয়ার উপযোগী নতুন ব্যবস্থা কেমন হ’তে পারে– তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।
আমি বিশ্বাসকরি, আগামী দিনে অলিম্পিকেও ভারতের জয়জয়কার হবে, আরও বেশি জোরাল জয়জয়কার আরও নিশ্চিতব্যাপ্তির সঙ্গে প্রতিধ্বনিত হবে। বিশ্বের ছোট ছোট দেশগুলো অলিম্পিকে সাফল্যেরকারণে বিশ্বে নাম করে নেয়; ১২৫ কোটি জনগণের স্বপ্ন সফল করার মতো সামর্থ্য ভারতেরনবীন প্রজন্মেরও রয়েছে। তাদের শুধু সুযোগ চাই, উপযুক্ত প্রশিক্ষণের পরিকাঠামো চাইআর পরিবারের সম্পূর্ণ সমর্থন চাই। তা হলে দেখবেন, এরাই দেশের ভবিষ্যৎ বদলে দেবে!সেজন্যই এই মডেল ব্যবস্থা।
আমিও দেশেরনানা প্রান্তে যেখানেই খেলোয়াড়দের সঙ্গে দেখা হবে, তাঁদেরকে বলব, যান আপনারাগুজরাটে গিয়ে মডেল ব্যবস্থাটি দেখে আসুন। এতে কি আরও কোনও সংস্কারের প্রয়োজনরয়েছে? এর সঙ্গে আর কী কী যুক্ত হতে পারে! এই মডেলের সাফল্য দেখে এরই মতো করে সারাদেশে কিভাবে এ ধরনের পরিকাঠামো গড়ে তোলা যায়, খেলার মাঠের দিকে অধিকাংশ মানুষকেকিভাবে আকৃষ্ট করা যায়, না হলে ভিডিও গেমের পেছনে আমাদের দেশের নবীন প্রজন্মেরশৈশব বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে বন্ধুগণ। আমি সেই শিশুদের খেলার মাঠে নিয়ে আসতে চাই। আমিযখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শনে যেতাম।মাঝে মধ্যে তো দু-তিন দিন লাগাতার যেতাম, ছেলেমেয়েদের জিজ্ঞেস করতাম, দিনের মধ্যেক’বার তোদের শরীর থেকে ঘাম বেরোয়? কতটা দৌড়-ঝাঁপ করিস? গাছে চড়িস কি চড়তে পারিসনা? কত দ্রুত সিঁড়ি চড়তে পারিস? কিন্ত আমার দুঃখ হ’ত যখন অনেক শিশুই বলত যে তারাঘাম কী বস্তু সেটাই জানে না। বাড়ি থেকে সোজা স্কুল, আর স্কুল থেকে সোজা বাড়ি ফেরে।
এই শৈশবদেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করার লক্ষণ প্রকাশ করে না। এটা আমাদের সকলের দায়িত্ব,আমাদের প্রত্যেক পরিবারের প্রতিটি শিশুকে খেলার মাঠে নিয়ে যেতে হবে! কোনও সরঞ্জামছাড়াও খেলা যায়। আমাদের দেশের খেলোয়াড়রা বিগত বছরগুলিতে ক্রিকেটে সবচাইতে বেশিসাফল্য পেয়েছে, সেজন্য গর্ব হয়। কিন্তু ফুটবল আর হকিকে আমরা ভুলতে পারি না। আমারসঙ্গে এখানে বাইচুং ভুটিয়া বসে আছে, তিনি ফুটবলে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। এবারঅনুর্দ্ধ সতেরো ফিফা বিশ্বকাপ ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমরা এই আয়োজনের মাধ্যমেসারা পৃথিবীর খেলোয়াড়দের দেশে আনাচ্ছি, যাতে তাদের দেখে আমাদের নবীন প্রজন্মের মনেইচ্ছা জাগে। ক্রিকেট ছাড়াও আরও যে অসংখ্য খেলা রয়েছে, সেগুলিতে ভারত যেন আবারসাফল্য পেতে পারে। শ্যুটিং, তীরন্দাজী ইত্যাদি খেলায় ইতিমধ্যেই ভারতীয়রা অনেকসাফল্য পাচ্ছেন। আর আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন যে, খেলার দুনিয়ায় এখন মেয়েরাছেলেদের থেকে এগিয়ে যাচ্ছেন। মেয়েরা দেশের জন্য সুনাম অর্জন করছেন। একাধিকক্ষেত্রে ভারতের মেয়েরা ভারতের মুখ উজ্জ্বল করছেন। আমাদের দেশের মেয়েদের এইসামর্থ্য রয়েছে। এর থেকে বড় প্রেরণা আমাদের জন্য আর কী হতে পারে বন্ধুগণ?
আসুন, সারাদেশে খেলাকে জীবনের অঙ্গ করে তোলার অভিযানে সামিল হোন, পরিকাঠামো গড়ে তুলুন,ব্যবসায়ী ও শিল্প জগতের মানুষেরা এগিয়ে আসুন, পরিবারের সবাই এগিয়ে আসুন, সরকারএগিয়ে আসুক, সমাজ এগিয়ে আসুক। তবেই খেলার জগতে ভারত আমাদের সকলকে বারবার গর্বিতকরবে।
এই ইচ্ছানিয়ে আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।
এটি এমনঅনুষ্ঠান ‘নতুন ভারত’-এর নাগরিকরা আমার সামনে বসে আছেন। এমন সুন্দর পরিবেশ যে এখানথেকে যেতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু এখান থেকে ফিরে রাত বারোটায় সংসদ ভবনে ভারতেরভাগ্যকে একটি নতুন পথে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ার সূচনা করতে হবে। এখান থেকে আমাকেসরাসরি সংসদ ভবনে যেতে হবে। তবুও যতটা সময় ছিলাম, আপনাদের মাঝে কাটানোর সুযোগপেলাম। আমি এই খেলোয়াড়দের কাছে হৃদয় থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। কারণ, আপনারা বিপুলসংখ্যায় এসেছেন। আমার শব্দাবলী থেকেআপনাদের ঘামের শক্তি সত্যি সত্যি অনেক বেশি। আপনাদের পরিশ্রমের শক্তি অনেক বেশি।আসুন, এগিয়ে আসুন বন্ধুরা, এই মানুষেরা দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। এদের মধ্যে নতুননাম আপনারা শুনেছেন, শ্রীকান্ত। শ্রীকান্ত আপনি একবার হাত ওপরে তুলুন। শ্রীকান্তসম্প্রতি ব্যাডমিন্টনে বিশ্বে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করে ফিরেছেন।
ভাই ওবোনেরা! এরাই আমাদের দেশের সম্পদ। আমরা সবাই উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে এসে সম্মানজানাব।
অনেক অনেকধন্যবাদ।