QuoteFor the last four years, efforts are being made to develop Kashi in accordance with the requirements of the 21st century: PM
QuoteNew Banaras - a blend of spirituality and modernity - is being developed, for a New India: PM Modi
QuoteKashi is emerging as an important international tourist destination, says PM Modi
QuoteWork is in full swing for an Integrated Command and Control Centre, that would make Varanasi a Smart City: PM
QuoteSmart City Initiative is not just a mission to improve infrastructure in cities, but also a mission to give India a new identity: PM Modi

উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল শ্রদ্ধেয় রাম নায়েক মহোদয়, রাজ্যের যশস্বী পরিশ্রমী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য মনোজ সিনহা, সংসদ সদস্য ও বিজেপি-র প্রদেশ অধ্যক্ষ মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডে, জাপান দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার শ্রী হিরেকা আসারি এবং আমার বেনারসের ভাই ও বোনেরা।

আমি সবার আগে দেশের গৌরব বৃদ্ধিকারী এক কন্যার কথা বলে শুরু করতে চাই। আপনারা দেখেছেন যে, আসামের নওগাঁও জেলার ডিমগামের একটি ছোট মেয়ে হিমা দাস কিভাবে আমাদের গর্বিত করেছেন। আপনারা টিভিতে দেখেছেন। আমি আজ বিশেষভাবে তাঁর জন্য একটি ট্যুইট করেছি। ঐ স্টেডিয়ামে ধারাভাষ্যকাররা অবাক হয়ে গিয়েছিলেন, যখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের পেছনে ফেলে একটি ভারতীয় মেয়ে প্রত্যেক সেকেন্ডে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন ধারাভাষ্যকার যে উত্তেজনা নিয়ে ধারাবিবরণী দিচ্ছিলেন, তখন সমস্ত ভারতবাসীর বুক গর্বে ভরে গিয়েছিল। তারপর, হিমা দাস হাত বাড়িয়ে তেরঙ্গা পতাকার জন্য ছুটছিলেন। তেরঙ্গা পেতেই সেটি গায়ে জড়িয়ে নেন। জয়ের আনন্দে তেরঙ্গা পতাকা বাতাসে ওড়ানোর পাশাপাশি তিনি অসমীয়া গামছা গলায় জড়াতেও ভোলেননি। আর যখন তিনি মেডেল পাচ্ছিলেন, ভারতের তেরঙ্গা পতাকা উড়ছিল, আর জন গণ মন …… শুরু হ’ল তখন আপনারা সবাই দেখেছেন যে, ১৮ বছর বয়সী হিমার দু’চোখ থেকে গঙ্গা-যমুনার স্রোত দু’গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছিল। সেই অশ্রুধারা ভারতমায়ের প্রতি সমর্পিত ছিল। এই দৃশ্য ১২৫ কোটি ভারতবাসীকে একটি প্রেরণা ও প্রাণশক্তি প্রদান করে। ছোট্ট একটি গ্রামের ধানচাষী পরিবারের মেয়েটি ১৮ মাস আগেও জেলাস্তরে খেলতেন। আর আজ সারা পৃথিবীতে ভারতের নাম উজ্জ্বল করে এসেছেন। আমি হিমা দাসকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আপনাদেরকেও অনুরোধ করছি, করতালি দিয়ে হিমা দাস’কে অভিনন্দন জানান।

ভাই ও বোনেরা, বাবা ভোলেনাথের প্রিয় শ্রাবণ মাস শুরু হতে চলেছে। কিছুদিন পরই কাশীতে দেশ ও বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে শিবভক্তরা এসে মেলায় সামিল হবেন। এই উৎসবের প্রস্তুতি নতুন উদ্যমে শুরু হয়েছে। এই উৎসবের প্রস্তুতির মাঝে আমি সেই পরিবারগুলির যন্ত্রণা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতে চাই। যাঁরা বেনারসের দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন, সেই শোকার্ত পরিবারগুলির প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই। অন্যের ব্যথা-যন্ত্রণা ভাগ করে নেওয়া, সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যের ভাবনা কাশীর বিশেষ চরিত্র। ভোলেবাবার মতো সহজ-সরল বেনারসবাসীর মন এই সংস্কারগুলি ভুলে যায়নি। শতাব্দীর পর শতাব্দীকাল ধরে এগুলি দিয়েই তো আজকের বেনারস গড়ে উঠেছে। এর পৌরাণিক পরিচয়কে নতুন উচ্চতা দিতে কাশীকে একবিংশ শতাব্দীর প্রয়োজনীয়তা অনুসারে উন্নত করার প্রচেষ্টা আমরা গত চার বছর ধরে নিরন্তর জারি রেখেছি। নতুন ভারতের জন্য এক নতুন বেনারস নির্মিত হচ্ছে, যার আত্মা চিরপুরাতন কিন্তু শরীর নবীন। এর প্রতিটি কণায় সংস্কৃতি ও সংস্কার প্রোথিত থাকবে কিন্তু পরিষেবাগুলি হবে স্মার্ট। পরিবর্তিত বেনারসের এই চিত্র এখন সর্বক্ষেত্রে ফুটে উঠছে।

|

আজ সংবাদ মাধ্যম ও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে কাশীর সড়ক, চৌরাস্তা, গলি, ঘাট ও পুকুরগুলির ঝাঁ চকচকে চেহারা দেখে মন ভরে যায়। মাথার ওপর ঝুলে থাকা বিদ্যুতের তারের জঞ্জাল আর দেখা যায় না। অথচ, প্রতিটি সড়ক আলোয় স্নান করতে থাকে। রঙবেরং-এর আলোয় ফোয়ারার দৃশ্য মন ছুঁয়ে যায়। বন্ধুগণ, বিগত চার বছরে বেনারসে বেশ কয়েকটি ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে নির্মিত প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে আর এই উন্নয়নযজ্ঞ চলতেই থাকবে। ২০১৪ সালের পর আমরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলাম। রাজ্য সরকার বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজে অসহযোগিতা করছিল ও বাধা দিচ্ছিল। কিন্তু বছর খানেক আগে আপনারা বিপুল ভোটে লক্ষ্ণৌতে বিজেপি সরকার নির্বাচন করায় বেনারস তথা সমগ্র উত্তর প্রদেশে উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া জারি রেখেই একটু আগে আমি প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে নির্মীয়মান কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছি। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ৩০টিরও বেশি প্রকল্পের মাধ্যমে এখানকার সড়কপথ, পরিবহণ ব্যবস্থা, পানীয় জল সরবরাহ, পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা, রান্নার গ্যাস, পরিচ্ছন্নতা এবং শহরের সৌন্দর্যায়ন আরও উন্নত হবে। এছাড়া, ইনকাম ট্যাক্স ট্রাইব্যুনালের সার্কিট বেঞ্চ ও কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের জন্য সিজিএইচএস ওয়েলনেস সেন্টার-এর পরিষেবা স্থানীয় জনগণের জীবনকে সহজ করবে।

ভাই ও বোনেরা, বেনারাসে আজ যে পরিবর্তন আসছে, তার দ্বারা পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিও লাভবান হচ্ছে। আজ এখানে ঐ গ্রামগুলিতে পানীয় জল সরবরাহের কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন হ’ল আমি সংশ্লিষ্ট কৃষক ভাই-বোনদের সেজন্য শুভেচ্ছা জানাতে চাই। এই সভার কাছেই আজ চালু হ’ল একটি ‘পেরিশেবল কার্গো কেন্দ্র’। আমার সৌভাগ্য যে এই প্রকল্পটির শিলান্যাস আমি করেছিলাম আর যথাসময়ে উদ্বোধন-ও করলাম। এই কার্গো সেন্টার এখানকার কৃষকদের জন্য ঈশ্বরের বরদান হয়ে উঠবে। আলু, মটর, টমেটোর মতো সব্জি খুব কম সময়েই নষ্ট হয়ে যায়। এখানে এই সকল সব্জির গুদামীকরণের যথাযথ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন আর আপনাদের ফল-সব্জি পচে যাওয়ার ভয় থাকবে না। এখান থেকে রেল স্টেশনও ফলে সব্জি ও ফল দূরবর্তী শহরগুলিতে পাঠাতেও খুব একটা বেগ পেতে হবে না।

বন্ধুগণ, পরিবহণের মাধ্যমে রূপান্তরণের পথে বর্তমান সরকার তীব্রগতিতে এগিয়ে চলেছে। এক্ষেত্রে আমরা দেশের পূর্বভাগে উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। একটু আগেই আজমগড়ে দেশের সর্বাধিক লম্বা এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনও এই দৃষ্টিকোণেরই অংশ। বন্ধুগণ, কাশী সর্বদাই মোক্ষদায়ী আর জীবনের খোঁজে এখানে মানুষের স্রোত সদা অব্যাহত। কিন্তু এখন স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের সাহায্যে জীবনের সঙ্কট মোচনের জন্য আপনাদের সহযোগিতায় এখানে অত্যাধুনিক চিকিৎসা হাব গড়ে তোলা হচ্ছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে বিখ্যাত বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি এইম্‌স-এর সঙ্গে একটি বিশ্বমানের স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার মউ স্বাক্ষর করেছে। বেনারসবাসীদের পাশাপাশি, বিভিন্ন কারণে বেনারসে আসা মানুষের জন্যও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য সড়ক ও রেল পরিষেবা উন্নত করা হয়েছে। আজ এখানকার ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশন নতুন রূপ দেওয়ার কাজ চালু হয়েছে। বারানসী থেকে বালিয়া পর্যন্ত বৈদ্যুতিকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং আজ থেকে এই সেকশনে মেমো ট্রেন চালু হ’ল। একটু আগেই আমি সবুজ পতাকা দেখিয়ে ঐ মেমো ট্রেনের যাত্রা সূচনা করলাম। এখন থেকে সকালে ঐ ট্রেনে চেপে বালিয়া ও গাজিপুরের মানুষ এসে কাজ সেরে সন্ধ্যায় ফিরে যেতে পারবেন। তাঁদেরকে আর দূরগামী রেলের ভিড়ের ধাক্কা খেতে হবে না।

বন্ধুগণ, কাশীর ভক্তজন ও দেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যাঁরা ভোলেনাথের শরণে কাশী আসেন, তাঁদের জন্য উন্নত পরিষেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পঞ্চকোষি মার্গ প্রশস্তিকরণের কাজও আজ থেকে শুরু হ’ল। পাশাপাশি, এই শহরে বিভিন্ন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বসম্পন্ন অঞ্চলগুলিতে যাতায়াত ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য দু’ডজন সড়কপথ পুনর্নির্মিত হয়েছে। একটু আগেই সেগুলির উদ্বোধনের সৌভাগ্য আমার হ’ল।

ভাই ও বোনেরা, আমাদের নিরন্তর প্রচেষ্টায় কাশী এখন আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রে অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। আজ এখানে ইন্টারন্যাশনাল কনভারশন সেন্টার রুদ্রাক্ষ – এর শিলান্যাস করা হয়েছে। দু’বছর আগে আমার পরম বন্ধু জাপানের প্রধানমন্ত্রী মিঃ শিনজো আবে আমার সঙ্গে এসে কাশীবাসী তথা ভারতবাসীকে এই উপহার দিয়েছিলেন। আগামী দেড়-দু’বছরের মধ্যে এই প্রকল্প সম্পূর্ণ হবে। আপনাদের সকলের পক্ষ থেকে এই উপহারের জন্য আমি জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।

|

বন্ধুগণ, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আদিত্যনাথ যোগীর নেতৃত্বে উত্তরপ্রদেশ সরকার শুধু কাশী নয়, সমগ্র উত্তর প্রদেশে পর্যটনশিল্প উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। সেজন্যে পরিচ্ছন্নতা ও ঐতিহ্যসমূহের সৌন্দর্যায়ণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আপনারা যেভাবে স্বচ্ছ ভারত অভিযানকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। বন্ধুগণ, কাশীর মহত্ব ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব সংরক্ষণের জন্য আপনাদের অবদান অতুলনীয়।

কিন্তু আমাদের চার বছর আগের সেই সময়কে ভুলে যাওয়া উচিৎ নয়। যখন বারানসীর অস্তিত্ব সঙ্কটাকীর্ণ ছিল। চার দিকে নোংরা, আবর্জনা, খানা-খন্দময়, সড়ক, ভাঙাচোরা পার্ক, পুতিগন্ধময় নর্দমা, লাইট পোস্টগুলিতে ঝুলতে থাকা বিদ্যুতের তারের জঙ্গল, যানজটে হাসফাস করা শহর, বাবদপুরা এয়ারপোর্ট থেকে শহরে আসার সেই ভয়ানক পথটির কথা আমি ভুলতে পারি না। ঐ পথে চলতে গিয়ে মানুষের কত সমস্যা হয়েছে, কতজন সময় মতো বিমানবন্দরে পৌঁছতে পারেননি, গঙ্গা ঘাটগুলির কী দুর্দশা ছিল, তা আপনাদের ভোলার কথা নয়। পূর্ববর্তী সরকার এই সমস্ত ব্যবস্থা সম্পর্কে বেপরোয়া থাকায় গঙ্গা পরিণত হয়েছিল একটি বৃহৎ নর্দমায়। মানুষের কষ্ট যত বাড়ছিল, সরকারের ক্ষমতায় থাকা পরিবারগুলির সিন্দুক তত উপচে পড়ছিল। সেই পরিস্থিতি থেকে গঙ্গামা-কে উদ্ধার করতে আমাদের ঘাম ছুটে গেছে। আমরা বিচ্ছিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু দেখছি না। মা গঙ্গাকে দূষণমুক্ত করতে শুধু বেনারস নয়, গঙ্গোত্রী থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত একসঙ্গে অভিযান শুরু করেছি। শুধু গঙ্গাবক্ষ পরিস্কার করাই নয়, পার্শ্ববর্তী শহর ও জনপদগুলির নোংরা ও আবর্জনা যাতে গঙ্গায় না পড়ে – সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। সেজন্য ইতিমধ্যে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০টিরও বেশি প্রকল্প মঞ্জুর করা হয়েছে। একটু আগেই কয়েকটি পয়ঃপ্রণালী নির্মাণ ও প্রশস্তিকরণ প্রকল্পের শুভ সূচনা হ’ল। বন্ধুগণ, আগেও অনেক অর্থ ব্যয়ে পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা ও ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট গড়ে তোলা হয়েছিল। কিন্তু পূর্ববর্তী সরকারগুলির কর্মসংস্কৃতি এমন ছিল যে, এগুলি নির্মাণের উৎকর্ষ পরীক্ষা করা হয়নি। ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই এগুলি বিকল হয়ে পুতিগন্ধময় হয়ে উঠত। এখন যে পয়ঃপ্রণালী ও ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণ করা হচ্ছে, সেগুলি মঞ্জুর করার সময়েই নিশ্চিত করা হয়েছে এগুলি যেন কমপক্ষে ১৫ বছর অক্ষত থাকে। ঠিকেদার সংস্থাগুলিকে কিস্তিতে টাকা দেওয়া হচ্ছে; ১৫ বছর পরই তাঁরা সম্পূর্ণ টাকা পাবে। এর মানে আমরা শুধুই কোনও ব্যবস্থা চালু করে ক্ষান্ত হই না, তার স্থায়িত্বের ব্যাপারেও সুনিশ্চিত হতে চাই। আমরা জানি যে, এরকম পাকা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সময় ও শ্রম বেশি লাগে। কিন্তু পরিণাম অনেক বেশি সুফলদায়ক হয়। আগামীদিনে সারা দেশের সঙ্গে বেনারসও এই সুফল পাবেন।

ভাই ও বোনেরা, এই সমস্ত কাজ বেনারসকে স্মার্টসিটিতে রূপান্তরিত করবে। এখানে যে ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার চালু হয়েছে, সেটি দ্রুতগতিতে কাজ করছে। এই ধরণের কন্ট্রোল সেন্টারগুলির মাধ্যমে আমরা সারা দেশের প্রশাসন ও গণপরিষেবাগুলি নিয়ন্ত্রণ করব। এরকম ১০টি প্রকল্প ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। বন্ধুগণ, স্মার্টসিটি শুধুই শহরগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের অভিযান নয়, এগুলি দেশকে একটি নতুন পরিচয় এনে দেবে। এগুলি ‘যুব ভারত, নতুন ভারত’-এর প্রতীক। এভাবে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ অভিযান দেশের সাধারণ মানুষের জীবনকে সুগম ও সরল করে তুলছে। এক্ষেত্রে আমাদের উত্তর প্রদেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। সেজন্য আমি আদিত্যনাথ যোগী ও তাঁর টিমকে শুভেচ্ছা জানাই। আপনাদের নতুন শিল্প নীতি গড়ে তোলা, বিনিয়োগের পরিবেশ ইতিমধ্যেই বিশ্ববাসীর নজর কাড়ছে। কিছুদিন আগে নয়ডায় স্যামসাং কোম্পানি ফোন নির্মাণে বিশ্বের বৃহত্তম কারখানা উদ্বোধনের সৌভাগ্য হয়েছে। এতে, কয়েক হাজার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হবে। আপনারা শুনে গর্বিত হবেন যে, গত চার বছরে দেশে মোবাইল ফোন নির্মাণকারী কারখানার সংখ্যা ২ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১২০ হয়েছে। এর মধ্যে ৫০টিরও বেশি আমাদের উত্তর প্রদেশে গড়ে উঠেছে। এই কারখানাগুলিতে ইতিমধ্যেই ৪ লক্ষেরও বেশি নবীন প্রজন্মের মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

বন্ধুগণ, ডিজিটাল ইন্ডিয়া অভিযানও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আজ এখানে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসের বিপিও উদ্বোধন হ’ল এই কেন্দ্রটি বেনারসের নবীন প্রজন্মের মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ নিয়ে আসবে। ভাই ও বোনেরা, সরকার মা ও বোনেদের স্বনির্ভরতাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে কোনও রকম গ্যারান্টি ছাড়া ঋণ প্রদান থেকে শুরু করে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাসের সংযোগ ও সিলিন্ডার প্রদানের মাধ্যমে গরিব মা ও বোনেদের জীবনে পরিবর্তন এনেছে। সকলের কাছে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি পৌঁছে দিতে কাশীতে একটি বড় প্রকল্প চালু হয়েছে, তারই অংশ হিসাবে আজ এখানে ‘সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটিং সিস্টেম’-এর উদ্বোধন হ’ল। এর জন্য এলাহাবাদ থেকে বেনারস পর্যন্ত পাইপলাইন পাতা হয়েছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, ইতিমধ্যেই বেনারসের ৮ হাজার বাড়িতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে রান্নার গ্যাসের সংযোগ স্থাপিত হয়েছে এবং এই প্রকল্প অনুযায়ী ভবিষ্যতে ৪০ হাজারেরও বেশি পরিবারে রান্নার গ্যাস পৌঁছে দেওয়া হবে। বন্ধুগণ, পিনএনজি হোক কিংবা সিএনজি এই পরিকাঠামো পরিবর্তন শহরের প্রদূষণ মাত্রাকে নিঃসন্দেহে হ্রাস করবে। পাশাপাশি, যখন বেনারসে সমস্ত বাস, অটো রিক্‌শা প্রভৃতি গাড়ি সিএনজি-তে চলবে, তখন অনেক কর্মসংস্থানও হবে।

বন্ধুগণ, জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যখনই দেখা হয়, আর শুনেছি, যে কোনও ভারতবাসীর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়, তিনি মুক্ত কন্ঠে কাশীর প্রশংসা করেন। তিনি যখন আমার সঙ্গে এখানে এসেছিলেন, তখন আপনারা তাঁকে যে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন, তিনি আজও তা ভোলেননি। কিছুদিন আগে ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতিও আমার সঙ্গে এখানে এসে এরকম অভ্যর্থনা পেয়েছেন। আর নিজের দেশে ফিরে সবার কাছে এখানকার কথা বলেন – এটাই কাশীর পরম্পরা, এটাই কাশীর হৃদয়ের উষ্ণতা। এই কাশী গোটা বিশ্বে নিজের সুরভি ছড়িয়ে দিয়েছে। এই কাশীর আদর ও স্নেহ অতুলনীয়। আমার কাশীর ভাই ও বোনেরা, আপনারা এই অতুলনীয় আদর ও স্নেহ, প্রেম ও আতিথেয়তা প্রদর্শনের সুযোগ পাবেন, আগামী জানুয়ারি মাসের ২১ থেকে ২৩ তারিখ এই শহরে সারা পৃথিবী থেকে প্রবাসী ভারতীয়রা আসবেন। প্রবাসী ভারতীয় দিবসে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভারতীয় শিল্পপতি, রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট মানুষেরা আসবেন। এঁদের মধ্যে অনেকের পূর্বজরা ৩-৪ প্রজন্ম আগে বিদেশে চলে গিয়েছেন। এই বিশিষ্ট মানুষদের কাশীতে পদার্পণ আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। তাঁদের যথাযোগ্যভাবে স্বাগত জানানোর জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। শহরের প্রতিটি অঞ্চলে তাঁদের আতিথেয়তার পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে, যাতে সারা পৃথিবীতে কাশীর গৌরব আরও ছড়িয়ে যায়। ২১ থেকে ২৩ জানুয়ারি এখানে প্রবাসী ভারতীয় দিবস উদযাপনের পর এই বিশিষ্ট মানুষেরা ২৪ তারিখ প্রয়াগরাজে কুম্ভ দর্শনে যাবেন। আর সেখান থেকে ২৬ জানুয়ারি দিল্লি পৌঁছবেন। আমি নিজেও একজন কাশীবাসী হিসেবে ২১শে জানুয়ারি আপনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাঁদের অভ্যর্থনায় অংশগ্রহণ করব। এই কর্মসূচিতে সারা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভারতীয়রা আসছেন। তাই এটি আমাদের প্রত্যেকের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

আমার কাশীর ভাই ও বোনেরা, আজ আপনাদের মাঝে এসে অনেকগুলি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসের সৌভাগ্য হ’ল। আপনাদের ভোটে নির্বাচিত সাংসদ হিসাবে আমার দায়িত্ব হ’ল আপনাদের জন্য যথাসম্ভব পরিশ্রম করা। আর আমি এই দায়িত্ব যথাসম্ভব পালন করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতেও করব। আমি আরেকবার আপনাদের অন্তর থেকে অভিনন্দন জানাই। আমার সঙ্গে মুক্ত কন্ঠে বলুন হর হর মহাদেব। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

  • Pappulal Bhil mandal Adhyaksh Jamner February 03, 2024

    पिछले 4 वर्षों से 21वीं शताब्दी की आवश्यकताओं के अनुसार काशी को विकसित करने के प्रयास किए जा रहे हैं: प्रधानमंत्री मोदी नया बनारस जो आध्यात्मिकता और आधुनिकता का मेल है, एक नए भारत के लिए विकसित किया जा रहा है: पीएम मोदी काशी पर्यटन के अंतर्राष्‍ट्रीय मानचित्र पर प्रमुखता से उभर रहा है: प्रधानमंत्री इन्टिग्रेटेड कमांड और कंट्रोल सेंटर पर तेजी से काम चल रहा है, जिससे वाराणसी स्मार्ट सिटी बनेगी: प्रधानमंत्री मोदी स्मार्ट सिटी पहल सिर्फ शहरों में आधारभूत संरचना में सुधार करने का एक मिशन नहीं है बल्कि भारत को एक नई पहचान देने का भी एक मिशन है: पीएम मोदी उत्तर प्रदेश के राज्यपाल श्रीमान राम नायक जी, यहां के ओजस्वी, तेजस्वी, परिश्रमी, यशस्वी मुख्यमंत्री श्रीमान योगी आदित्यनाथ जी, केंद्र में मंत्री परिषद् के मेरे साथी श्रीमान मनोज सिन्हा जी, संसद में मेरे साथी और मेरे बहुत पुराने मित्र और प्रदेश भारतीय जनता पार्टी के अध्यक्ष श्रीमान महेंद्र नाथ पांडेय जी, जापान दूतावास के चार्ज द अफेयर श्री हिरेका असारी  जी और बनारस के मेरे भाइयो और बहनो।  मैं सबसे पहले हमारे देश का गौरव बढ़ाने वाली एक बेटी का गौरव गान करना चाहता हूं। आप लोगों ने देखा होगा असम के नवगांव जिले के डीनगाम की एक छोटी सी बेटी हिमा दास उसने कमाल कर दिया। और जिन्‍होंने टीवी पर देखा होगा.. मैंने आज विशेष रूप से एक ट्वीट किया था। उस स्‍टेडियम में जो commentator थे, उनके लिए भी अजूबा  था कि विश्‍व चैम्पियनों को पछाड़ करके हिन्‍दुस्‍तान की एक बेटी हर सेकण्‍ड आगे से आगे बढ़ रही है और वो commentator जिस excitement से बोल रहे थे, किसी भी हिन्‍दुस्‍तानी का सीना चौड़ा हो जाए। और बाद में आपने देखा होगा कि हिमा दास एक बहुत बड़ा काम कर दिया था, भारत का नाम रोशन कर दिया था और यह तय हुआ कि वो जीत गई है तो अपना हाथ उठा करके वो तीरंगे झंडे की प्रतीक्षा करते हुए दौड़ रही थी और जैसे ही तिरंगा झंडा आए उसके लिए वो बेसबरी से इंतजार कर रही थी। और दूसरा वो मन में जीत ले करके बैठी थी। विजय के साथ जैसे ही उसने तिरंगा झंडा लहराया साथ-साथ अपना असमिया गमछा भी गले में डालना नहीं भूली। और जब उसको मेडल मिल रहा था, जब वो खड़ी थी, हिन्‍दुस्‍तान का तिरंगा झंडा लहरा रहा था और जन-मन-गण शुरू हुआ। आपने देखा होगा 18 साल की हिमा दास की आंखों में से गंगा-जमना बह रही थी। वो मां भारती को समर्पित थी। यह दृश्‍य अपने आप में सवा सौ करोड़ हिन्‍दुस्‍तानियों को एक नई प्रेरणा और ऊर्जा देता है। छोटे से गांव की चावल की खेती करने वाले किसान परिवार की बेटी 18 महीने पहले जिले में खेलती थी, कभी राज्‍य में भी खेला नहीं था, वो आज 18 महीने के भीतर-भीतर दुनिया में हिन्‍दुस्‍तान का नाम रोशन करके आ गई। मैं हिमा दास को अनेक-अनेक बधाईयां देता हूं, बहुत-बहुत शुभकामनाएं देता हूं। और आपसे भी कहता हूं तालियां बजा करके हिमा दास का गौरवगान कीजिए। गौरवगान कीजिए हमारी इस बेटी का, असम की इस बेटी ने पूरे देश के नाम को रोशन किया है। बहुत-बहुत बधाई। भाईयों-बहनों, बाबा भोलेनाथ का प्रिय सावन मास आरंभ होने को है। कुछ ही दिनों में काशी में देश और दुनियाभर से शिव भक्‍तों का मेला लगने वाला है। इस उत्‍सव की तैयारियां जोर-शोर से हो रही है। भाईयों-बहनों आज जब हम उत्‍सव की तैयारी में जुटे हैं तब सबसे पहले मैं उन परिवारों की पीड़ा भी सांझा करना चाहता हूं, जिन्‍होंने बीते दिनों हुए हादसे में अपनों को खोया है। बनारस में जो हादसा हुआ, अमूल्‍य जीवन की जो क्षति हुई वह बहुत ही दुखद है। सभी प्रभावित परिवारों के प्रति मेरी पूरी संवेदना है। दूसरों की पीड़ा को सांझा करना, सहयोग और सौहार्द की भावना ही तो काशी की विशेष पहचान है। भोले बाबा के जैसा भोलापन हर किसी के दुख-दर्द को अपने में समाहित करने वाला मां गंगा जैसा स्‍वभाव ही बनारस की पहचान है। देश और दुनिया में बनारसी कहीं भी रहे, वो इन संस्कारो को कभी भूलता नहीं है| साथियों  सदियों से बनारस यूँ ही बना हुआ है, परम्पराओं  में रचा बसा हुआ है| इसकी पौराणिक पहचान को नै ऊंचाइयां देने, काशी को इक्कीसवी सदी की आवश्यक्ता के हिसाब से विकसित करने का प्रयास बीते  चार वर्षो से निरंतर जारी है|  न्‍यू इंडिया के लिए एक नये बनारस का निर्माण हो रहा है, जिसकी आत्‍मा तो पुरातन ही होगी, लेकिन काया नवीनतम बनेगी। जहां के कण-कण में संस्‍कृति और संस्‍कार होंगे, लेकिन व्‍यवस्‍थाएं स्‍मार्ट सिस्‍टम से भरी होगी। बदलते हुए बनारस की यह तस्‍वीर अब चौतरफा दिखने लगी है।  आज मीडिया में, सोशल मीडिया में काशी की सड़के, चौराहों, चौपालों, गलियां, घाटों और तालाबों की तस्‍वीर जो भी देखता है, उसका मन प्रफुलित हो जाता है। सिर के ऊपर लटकते बिजली के तार अब गायब हो गए हैं। सड़के रोशनी से नहा रही है। रंग-बिरंगी रोशनी के बीच फव्‍वारों का दृश्‍य मन छू लेने वाला होता है। साथियों बीते चार वर्षों के दौरान बनारस में दसियों हजार करोड़ का निवेश हो चुका है और यह सिलसिला लगातार जारी रहेगा। 2014 के बाद के दिनों में हमारे सामने कई चुनौतियां थी। पहले की सरकार से काशी के विकास के लिए बहुत सहयोग भी नहीं था, सहयोग छोडि़ये रूकावटें थी, लेकिन जब से आपने भारी बहुमत से लखनऊ में भाजपा की सरकार को समर्थन दिया, तब से पूरे उत्‍तर प्रदेश में काशी के विकास की गति भी तेज हो गई है। इसी सिलसिले को जारी रखते हुए अभी-अभी मैंने करीब-करीब एक हजार करोड़ रुपये की योजनाओं का लोकार्पण और शिलान्‍यास किया है। केंद्र और राज्‍य के ये तीस से अधिक  प्रोजेक्‍ट यहां की सड़कों, ट्रांसपोर्ट, पानी की सप्‍लाई, सीवेज, रसोई गैस, स्‍वच्‍छता और इस शहर का सुंदरीकरण इससे यह जुड़े हैं। इसके अलावा Income Tax tribunal की Circuit Bench और केंद्रीय कर्मचारियों के लिए CGHS wellness centre की सुविधा से भी यहां के लोगों को बड़ी सहूलियत मिलने जा रही है। भाईयों और बहनों, बनारस में जो भी बदलाव आ रहा है, उसका लाभ आस-पास के गांवों को मिल रहा है। इन गांवों में पीने के पानी से जुड़ी अनेक योजनाओं का भी आज यहां लोकार्पण किया गया। यहां जो किसान भाई-बहन जुटे हैं, मैं आपको विशेष बधाई देना चाहता हूं। इस सभास्‍थल के पास ही perishable cargo केंद्र है, जो अब बन करके तैयार है। यह मेरा सौभाग्‍य था कि मुझे उसका शिलान्‍यास करने का मौका मिला था और आज लोकार्पणस करने का भी मौका मिल गया। साथियों कार्गों सेंटर यहां के किसानों के लिए बड़ा वरदान साबित होने वाला है। आलू, मटर, टमाटर जैसी सब्जियां जो बहुत कम समय में खराब हो जाती थी, उनके भंडारण की उचित व्‍यवस्‍था यहां तैयार की गई है। अब आपको फल-सब्जियों के सड़ने-गलने से नुकसान नहीं उठाना पड़ेगा। रेलवे स्‍टेशन भी बहुत दूर नहीं है। इससे अब सब्जियों और फलों को दूसरे शहरों में भेजने में भी आपको और आसान होगी। भाईयों-बहनों, Transportation से Transformation यानि परिवहन से परिवर्तन यह रास्‍ते पर यह सरकार तेज गति से आगे बढ़ रही है। विशेष तौर पर देश के इस पूर्वी हिस्‍से पर हमारा सबसे अधिक फोकस है। थोड़ी देर पहले आजमगढ़ में हुआ देश के सबसे लम्‍बे एक्‍सप्रेस-वे का शिलान्‍यास भी इसी विजन का हिस्‍सा है। साथियों, काशी नगरी हमेशा से मोक्षदायिनी रही है और जीवन की तलाश में यहां आने वालों की भी कोई कमी नहीं है। लेकिन अब जीवन में आने वाले संकटों को मेडिकल साइंस के माध्‍यम से कम करने का केंद्र भी बनती जा रही है। आपके सहयोग से बनारस पूर्वी भारत के एक Health Hub के रूप में उभरने लगा है। शिक्षा के क्षेत्र में जाना-मना हमारा BHU आज चिकित्‍सा के क्षेत्र में भी पहचाना जाने लगा है। आपको जान करके खुशी होगी कि अभी हाल ही मैं BHU ने एम्‍स के साथ एक world class health institute बनाने के लिए समझौता किया है। इस प्रकार यह शुरू हो गया है और जल्‍द ही इसके परिणाम आपको दिखने लगेंगे। ऐसे में बनारस में रहने वालों के साथ ही यहां आने-जाने वालों के लिए भी connectivity बहुत अहम है। इसलिए रोड़ हो, या रेल अनेक नई सुविधाएं आज काशी को मिल रही है। इसी दिशा में यहां केंट रेलवे स्‍टेशन को नया रंग-रूप  देने का काम चल रहा है। वाराणसी को इलाहबाद और छपरा से जोड़ने वाले ट्रेक की ड‍बलिंग का काम तेज गति से चल रहा है। वाराणसी से लेकर बलिया तक विद्युतीकरण का काम भी पूरा हो चुका है और आज से इस section पर मेमो ट्रेन भी चल पड़ी है।  अभी मैंने हरी झंडी दिखा करके उस ट्रेन को विदा किया है। अब सुबह इस ट्रेन से बलिया और गाजीपुर के लोग यहां आ पाएंगे और फिर अपना काम करके शाम को वापस भी इसी ट्रेन से लौट पाएंगे। अब लम्‍बी दूरी की ट्रेनों की भीड़भाड़ से यहां के लोगों को राहत मिलने वाली है। साथियों यहां काशी में भक्‍तों को, श्रद्धालुओं को बेहतर सुविधा देने का प्रयास भी जारी है। देश और दुनिया से बाबा भोले के जो भक्‍त हैं यहां काशी आते हैं, उनको आने-जाने में असुविधा न हो इसकी व्‍यवस्‍था की जा रही हे। पंचकोशी मार्ग के चौड़ीकरण का काम भी आज से आरंभ हो चुका है। इसके साथ-साथ आस्‍था और सांस्‍कृतिक महत्‍व के जितने भी स्‍थान काशी में हैं उनको जोड़ने वाली दो दर्जन सड़कों को या तो सुधारा गया है या फिर नये सिरे से निर्माण किया गया है। इन सड़कों का भी थोड़ी देर पहले लोकार्पण किया गया है।  भाईयों और बहनों काशी पर्यटन के अंतर्राष्‍ट्रीय मानचित्र पर प्रमुखता से उभर रहा है। आज यहां International Conversion Centre रूद्राक्ष का शिलान्‍यास किया गया है। दो साल पहले जापान के प्रधानमंत्री और मेरे परम मित्र श्रीमान शिंजो आबे जी जब मेरे साथ काशी आए थे, तब उन्‍होंने यह उपहार भारत को, काशीवासियों को दिया था। अगले डेढ़-दो साल में यह प्रोजेक्‍ट पूरा किया जाना है। आप सभी काशीवासियों की तरफ से, देशवासियों की तरफ से मैं इस उपहार के लिए जापान के प्रधानमंत्री श्रीमान शिंजो आबे जी का हृदय पूर्वक आभार व्‍यक्‍त करता हूं। साथियों मुझे प्रसन्‍ता है कि काशी ही नहीं, बल्कि पूरे यूपी में पर्यटन को योगी जी और उनकी टीम बढ़ावा दे रही है। इसके लिए स्‍वच्‍छता और धरोहरों के सुंदरीकरण का काम तेजी से आगे बढ़ाया जा रहा है। विशेषतौर पर स्‍वच्‍छता ,स्‍वच्‍छ भारत अभियान को जिस तरह आप सभी ने यूपी की जनता ने आगे बढ़ाया है, यह प्रशसनीय है। स्‍वच्‍छ, सुंदर और स्‍वस्‍थ भारत के लिए आपका यह योगदान प्रशसनीय है। साथियों काशी की महानता, उसकी ऐतिहासिकता को बनाए रखने के लिए आप जो कर रहे हैं वो अतुलनीय है।  लेकिन हमें चार वर्ष से पहले का वो समय भी नहीं भूलना चाहिए, जब वाराणसी की व्‍यवस्‍थाएं संकट में थी। हर तरफ कचरा, गंदगी, खस्‍ता हॉल-पार्क, खराब सड़के, ओवरफ्लो होता सीवर, खम्‍भों से लटकतें बिजली के तार, जाम से परेशान पूरा शहर, बाबदपुरा एयरपोर्ट से शहर को जोड़ने वाली उस सड़क को आप भूल नहीं गए होंगे, जिस पर आप निर्भर रहते थे। न जाने कितने लोगों को परेशानी हुई होगी, कितनों की फ्लाइट छुट्टी होगी। हालत यह थी कि परेशानी से बचने के लिए लोग एयरपोर्ट की बजाय केंट रेलवे स्‍टेशन का रूख करते थे।  गंगाजी का, घाटों का क्‍या हाल था, वो भी किसी से छिपा नहीं। किस प्रकार पूरे शहर और गांवों की गंदगी, कूड़ा-कचरा सब गंगा जी में प्रभावित हो रहा था और पहले की सरकार की सारी व्‍यवस्‍थाएं इससे बेपरवाह थी। गंगा जी के नाम पर कितना पैसा पानी में बह गया इसका कोई हिसाब नहीं। एक तरफ गंगा जी के प्रवाह पर संकट था, गंगा जल की शुद्धता पर संकट था, वहीं दूसरी तरफ लोगों की तिजौरियां लबालब भरी रहती थी। ऐसी स्थिति में गंगा जी को स्‍वच्‍छ करने का बीड़ा उठाया गया। आज मां गंगा को निर्मल करने का अभियान तेज गति से आगे बढ़ रहा है। सिर्फ बनारस ही नहीं, बल्कि गंगोत्री से ले करके गंगा सागर तक एक साथ प्रयास चल रहे हैं। सिर्फ साफ-सफाई ही नहीं, बल्कि शहरों की गंदगी गंगा में न गिरे, इसका भी प्रबंध किया जा रहा है। इसके लिए अब तक लगभग 21 हजार करोड़ की दो सौ से अधिक परियोजनाओं को स्‍वीकृति दी जा चुकी है। थोड़ी देर पहले सीवेज से जुड़े कई प्रोजेक्‍ट का शिलान्‍यास और लोकार्पण यहां भी किया गया है। साथियों सरकार यह भी सुनिश्चित कर रही है कि जो सीवेज ट्रीटमेंट प्‍लांट बनाए जाए वो ठीक से चले, सुचारू रूप से चले, क्‍योंकि पहले की सरकारों की यह कार्य संस्‍कृति रही है कि ट्रीटमेंट प्‍लांट तो बनाए जाते थे, लेकिन न तो वो अपनी क्षमता से काम करते हैं और न ही लम्‍बे समय तक चल पाते थे । अब जो भी प्‍लांट बनाए जा रहे हैं उसके साथ-साथ यह भी सुनिश्चित किया जा रहा है कि वो 15 साल तक कम से कम तक चलने चाहिए। यानि हमारा जोर सिर्फ सीवजे ट्रीटमेंट प्‍लांट बनाने पर ही नहीं, बल्कि उन्‍हें चलाने पर भी है। इसमें समय और श्रम अधिक लगता है लेकिन एक स्‍थायी व्‍यवस्‍था खड़ी की जा रही है। आने वाले समय में इसका परिणाम बनारस के लोगों को भी दिखने लगेगा। भाईयों और बहनों, यह जो भी काम आज हो रहा है, वो बनारस को 'स्‍मार्ट सिटी' में बदलने वाला है। यहां integrated कमांड और control centre पर तेजी से काम चल रहा है। पूरे देश के प्रशासन का, पब्लिक सुविधाओं का नियंत्रण यही से होने वाला है। ऐसे लगभग 10 प्रोजेक्‍ट पर आज काम चल रहा है। साथियों 'स्‍मार्ट सिटी' सिर्फ शहरों के infrastructre को सुधारने का अभियान नहीं है, बल्कि यह देश को एक नयी पहचान देने का मिशन है। यह यंग इंडिया, न्‍यू इंडिया का प्रतीक है। इसी तरह मेक इन इंडिया और डिजिटल इंडिया अभियान सामान्‍य जन के जीवन को सुगम और सरल बनाने का काम कर रहे हैं। इसमें हमारे उत्‍तर प्रदेश भी अग्रणी भूमिका निभा रहा है। मैं योगी जी और उनकी पूरी टीम को बधाई देता हूं कि आपने जो उद्योग नीति बनाई है, निवेश के लिए जो माहौल बनाया है उसके परिणाम आज सामने आने लगे हैं। कुछ दिन पहले नोएडा में Samsung की फोन बनाने वाली दुनिया की सबसे बड़ी फैक्‍ट्री का लोकार्पण करने का अवसर मुझे मिला। इससे रोजगार के हजारों अवसर बनेंगे। आपको यह जानकर गर्व होगा कि बीते चार वर्षों में मोबाइल फैक्ट्रियां, मोबाइल फोन बनाने वाली फैक्ट्रियों की संख्‍या दो से बढ़ करके 120 हो गई है, जिसमें से 50 से अधिक फैक्ट्रियां यह हमारे उत्‍तर प्रदेश में हैं। यह फैक्‍ट्रियां चार लाख से अधिक नौजवनों को आज रोजगार दे रही है। साथियों, 'मेक इन इंडिया' के साथ-साथ डिजिटल इंडिया भी रोजगार का प्रतापी माध्‍यम सिद्ध हो रहा है। इसी कड़ी में आज यहां पर Tata Consultancy Services यनि TCS के BPO की शुरूआत हुई है। यह केंद्र बनारस के युवाओं के लिए रोजगार के नये अवसर ले कर आएगा। भाईयों और बहनों, रोजगार की जब बात आती है, तो यहां  भी माताएं-बहनों पर सरकार विशेष ध्‍यान दे रही हैं। स्‍वरोजगार के लिए मुद्रा योजना के माध्‍यम से बिना बिना गारंटी का ऋण या फिर एलपीजी का मुफ्त सिलेंडर हो। गरीब माताओं और बहनों के जीवन में बदलाव आ रहा है। साफ-सुथरा ईंधन सभी तक पहुंचे इसके लिए यहां काशी में बहुत बड़ा प्रोजेक्‍ट चल रहा है। आज city gas distributin system का लोकार्पण इसी का हिस्‍सा है। इसके लिए इलाहबाद से बनारस तक पाइप लाइन बिछाई गई है। मुझे खुशी है कि अब तक बनारस में आठ हजार घरों में पाइप वाली गैस का कनेक्‍शन पहुंच चुका है और भविष्‍य में इसे 40 हजार से ज्‍यादा घरों तक पहुंचाने के लिए काम चल रहा है। साथियों यह सिर्फ ईंधन से जुड़ी हुई एक व्‍यवस्‍था नहीं है, बल्कि शहर के पूरे इको सिस्‍टम को बदलने का एक अभियान है। पीएनजी हो या सीएनजी यह Infrastructure  शहर के प्रदूशणस में भी कमी लाने वाला है। आप सोचिए जब बनारस की बसें, कारें और ऑटो सीएनजी से चलेंगे तो इससे जुड़े कितने नये रोजगारों का सृजन होगा। साथियों, जब भी मैं जापान के प्रधानमंत्री से मिलता हूं या कोई भी हिन्‍दुस्‍तानी जब जापान के प्रधानमंत्री से मिलता है और जहां भी उनको मौका मिलता है, मैं लगातार देख रहा हूं कि जापान के प्रधानमंत्री मेरे मित्र जो भी मिलता है उसको काशी के जो अनुभव हुआ, काशी के लोगों ने जो स्‍वागत किया, वो बार-बार दोहराते रहते हैं। काशी का गौरवगान करते हैं। पिछले दिनों फ्रांस के राष्‍ट्रपति मेरे साथ यहां आए थे और अब काशीवासियों ने पलक पावड़े बिछा करके फ्रांस के राष्‍ट्रपति का जो सम्‍मान किया, गौरवगान किया, पूरा फ्रांस आज गौरव के साथ उस बात का जिक्र करता है। फ्रांस के राष्‍ट्रपति इसका जिक्र करते हैं। यह काशी की परंपरा है, यह काशी का अपनापन है। यह काशी ने दुनिया में अपनी सुगंध फैलाई है। यह काशी का दुलार, यह स्‍नेह अद्भूत है। मेरे काशी के भाईयों-बहनों, आपको फिर एक बार एक बहुत बड़ा मौका यह काशी के दुलार को, काशी के प्रेम को काशी के अपनेपन को काशी की मेहमान नवाजी को दुनिया को दिखाने का अवसर आने वाला है। आप पूरी तैयारी करेंगे? शानदार स्‍वागत करेंगे? काशी का नाम रोशन करेंगे? एक-एक मेहमान का गौरवगान करेंगे? पक्‍का करेंगे? पक्‍का, promise. देखिए जनवरी महीने में 21 जनवरी से 23 जनवरी काशी में प्रवासी भारतीय दिवस का आयोजन हुआ है। दुनियाभर से भारतीय लोग इस प्रवासी भारतीय दिवस में आने वाले हैं। दुनियाभर में जहां भारतीय लोग उद्योगपति है, राजनीति में हैं, सरकारें चलाते हैं, ये सब लोग पूरी दुनिया से एक साथ 21 से 23 जनवरी को काशी में आने वाले हैं। कुछ लोग तो ऐसे आएंगे, जिनके पूर्वज तीन या चार या पांच पीढ़ी पहले विदेश चले गए, उसके बाद कभी लौट करके नहीं आए, ऐसे लोगों की संतान भी पहली बार इस मिट्टी के दर्शन करने के लिए आने वाले हैं। मुझे बताइये कि इतनी बड़ी घटना काशी के लिए गौरवपूर्ण है कि नहीं है? इन लोगों के स्‍वागत की हमें तैयारी करनी चाहिए कि नहीं करनी चाहिए? हरेक मोहल्‍ले में इन दुनिया में आने वाले लोगों की मेहमान नवाजी का माहौल बनना चाहिए कि नहीं बनना चाहिए? पूरी दुनिया में काशी की वाह-वाही होनी चाहिए कि नहीं होनी चाहिए। अभी से तैयारी में लग जाइये और 21 से 23 यहां रहेंगे और यह दुनिया से यहां आए सारे मेहमान 24 तारीख को प्रयागराज कुंभ के दर्शन के लिए जाएंगे और 26 जनवरी को दिल्‍ली पहुंचेंगे।  मेरा, मेरे काशीवासियों से मेहमान नवाजी के लिए बड़ा आग्रह है। और मैं भी एक काशीवासी के रूप में आपके साथ कंधे से कंधा मिलाकर उस 21 तारीख को आपके बीच में रहूंगा। इस कार्यक्रम में शामिल होने के लिए पूरे विश्‍व से भारत के लोग आ रहे हैं। बहुत बड़ी महत्‍वूर्ण घटना है और इसलिए आप सबको मैं उनके स्‍वागत की तैयारी करने के लिए निमंत्रण देता हूं। मेरे काशी के भाईयों-बहनों आज मुझे आपके बीच आने का मौका मिला। आप सभी को अनेक-अनेक योजनाएं आज समर्पित करने का, शिलान्‍यास करने का मौका यहां मिला। आपके सांसद के रूप में यह मेरा दायित्‍व बनता हूं कि मैं आपको जितना काम आ सकूं, जितनी मेहनत आपके लिए कर सकूं, मैं करता रहा हूं, करता रहूंगा। मैं फिर एक बार मेरे काशीवासियों का हृदय से अभिनंदन करता हूं। मेरे साथ जोर से बोलिये - हर हर महादेव। बहुत-बहुत धन्‍यवाद। Join PM Modi on WhatsApp
Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Job opportunities for women surge by 48% in 2025: Report

Media Coverage

Job opportunities for women surge by 48% in 2025: Report
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Japan-India Business Cooperation Committee delegation calls on Prime Minister Modi
March 05, 2025
QuoteJapanese delegation includes leaders from Corporate Houses from key sectors like manufacturing, banking, airlines, pharma sector, engineering and logistics
QuotePrime Minister Modi appreciates Japan’s strong commitment to ‘Make in India, Make for the World

A delegation from the Japan-India Business Cooperation Committee (JIBCC) comprising 17 members and led by its Chairman, Mr. Tatsuo Yasunaga called on Prime Minister Narendra Modi today. The delegation included senior leaders from leading Japanese corporate houses across key sectors such as manufacturing, banking, airlines, pharma sector, plant engineering and logistics.

Mr Yasunaga briefed the Prime Minister on the upcoming 48th Joint meeting of Japan-India Business Cooperation Committee with its Indian counterpart, the India-Japan Business Cooperation Committee which is scheduled to be held on 06 March 2025 in New Delhi. The discussions covered key areas, including high-quality, low-cost manufacturing in India, expanding manufacturing for global markets with a special focus on Africa, and enhancing human resource development and exchanges.

Prime Minister expressed his appreciation for Japanese businesses’ expansion plans in India and their steadfast commitment to ‘Make in India, Make for the World’. Prime Minister also highlighted the importance of enhanced cooperation in skill development, which remains a key pillar of India-Japan bilateral ties.