উপস্থিত ভাই ও বোনেরা,

কান্ডলা’কে এক প্রকার ক্ষুদে ভারত বলা যায়, মিনি ইন্ডিয়া। আর আজ বিমানবন্দরথেকে কান্ডলা বন্দর আসার পথে দু’পাশে যেভাবে দেশের সকল প্রদেশের মানুষ দাঁড়িয়ে হাতনাড়ছিলেন – এই স্বাগত অভ্যর্থনার জন্য আমি আপনাদের কাছে অনেক অনেক কৃতজ্ঞ।

একথা বলে বোঝানোর দরকার নেই যে, আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখনএই কচ্ছ-এর সঙ্গে আমার কেমন সম্পর্ক ছিল! বারবার আপনাদের মাঝে এসেছি। কচ্ছ-এরমাটির একটি আলাদা শক্তি রয়েছে। ২০০ বছর আগেও কেউ কচ্ছ-এর যে কোনও প্রান্তে গেলে যেআতিথেয়তা পেত, তাতে শরীর ও মন চাঙ্গা হয়ে যেত। আমরা কচ্ছ-এর মানুষ জলের রাজ্যে বাসকরি। তবুও জল ছাড়া জীবন কাটাতে হয়। মানুষের জীবনে জলের কত গুরুত্ব, তা কচ্ছ-এরমানুষ খুব ভালোভাবেই বোঝেন। বিশাল সমুদ্র, মরুভূমি, পাহাড়, গৌরবপূর্ণ ইতিহাস, পাঁচহাজার বছর পুরনো মাবন সংস্কৃতির প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন – কচ্ছ-এর কী নেই? কেবলভারত-কেই সমৃদ্ধ করা নয়, গোটা বিশ্বকে চুম্বকের মতো আকর্ষণ করার সামর্থ্য এই মাটিররয়েছে।

একটু আগেই নীতিনজি বলছিলেন, আজকের আন্তর্জাতিক অর্থ ব্যবস্থার রূপসম্পর্কে। বিশ্ব বাজারে ভারত’কে যদি প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে হয়, তা হলে বর্তমানআন্তর্জাতিক অর্থ ব্যবস্থার সুযোগ নিতে হবে। বিশ্ব বাণিজ্যে ভারত’কে নিজের স্থানপাকা করতে উন্নত মানের বন্দর ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজন রয়েছে। এই কান্ডলা সমুদ্রবন্দরে আজ যেসব ব্যবস্থা গড়ে উঠছে, কেউ কল্পনা করতে পারেননি, এত কম সময়ে আজকান্ডলা সমুদ্র বন্দর গোটা এশিয়ার শ্রেষ্ঠ সমুদ্র বন্দরগুলির মধ্যে নিজের স্থানকরে নিয়েছে।

 

গত এক-দু’বছরে লিক্যুইড কার্গো, ড্রাই কার্গো আর সমুদ্র বন্দর ক্ষেত্রেকর্মরত প্রত্যেকেই বুঝতে পারেন, সমুদ্র বন্দর ক্ষেত্রের অর্থনীতিকে যাঁরা জানেন,তাঁদের প্রত্যেকের জন্য এই প্রবৃদ্ধি একটি অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা, একটি বিশেষ সাফল্য।আর ধীরে ধীরে এই বন্দরে কর্মরত প্রত্যেকেই তা অনুভব করছেন। শ্রমিক-কর্মচারীদেরইউনিয়ন আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে, কিন্তু সবাই মিলেমিশে আমরা এই বন্দরের শক্তিবাড়াই। প্রথম শক্তি পরিকাঠামোর, দ্বিতীয় শক্তি দক্ষতার, তৃতীয় স্বচ্ছ প্রশাসনের।আর এগুলির সমবেত পরিণামে এই বিপুল সাফল্য, যা আগে আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। একটুআগেই নীতিনজি বলছিলেন, ইরানের চাবাহার সমুদ্র বন্দর উন্নয়নে ভারত অংশগ্রহণ করেছে,সেই সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে কান্ডলা সমুদ্র বন্দরেরও সরাসরি সম্পর্ক স্থাপিত হবে। এইদুই সমুদ্রবন্দর যুক্ত হওয়ার মানে বিশ্ব বাণিজ্যে ভারতের শক্তি অনেক বৃদ্ধি পাওয়া।আজ কান্ডলা সমুদ্রবন্দরে যান্ত্রিক পরিষেবা উন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করাহয়েছে। ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ১৪ এবং ১৬ বর্গকিলোমিটার বিস্তার এবং উন্নয়ন প্রকল্পগড়ে তোলা হচ্ছে। আর পরিবর্তিত যুগের চাহিদা আর সমুদ্র বন্দর শহরের ধারণা মাথায়রেখে উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক গতিবিধি সচল করার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। পরিবহণ ব্যবস্থাকেউন্নত করতে প্রশস্ত সড়কপথ নির্মাণ করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে ভারতের প্রত্যেকপ্রান্তের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ গড়ে উঠবে। যেভাবে সমুদ্রে প্রত্যেক জাহাজের ‘টার্নঅ্যারাউন্ড টাইম’ থাকে, অর্থাৎ জাহাজ আসার পর পণ্য ওঠা-নামার দক্ষতা বিশ্বমানেরহতে হবে। ভারতে সর্বত্র এই বিশ্বমানের সময় রাখা যাচ্ছিল না। নীতিনজির নেতৃত্বে এই‘টার্ন অ্যারাউন্ড টাইম’ হ্রাস করার জন্য অনেক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সাফল্যওএসেছে। ‘টার্ন অ্যারাউন্ড টাইম’ হ্রাস করার ক্ষেত্রে যেসব ট্রাকগুলো পণ্য পরিবহণকরে, সেগুলি কত দ্রুত পণ্য খালাস করে আবার পণ্য বোঝাই করে ফিরে যায়, সেটাওবিবেচ্য। গোটা গুজরাটের হিসাবেই কান্ডলা আজও একটি ছোট্ট শহর, দেশের হিসাবে তোচোখেই পড়ার কথা নয়। কিন্তু আজ এই কান্ডলাতেই প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগেনানা প্রকল্প আসছে। এক হাজার কোটি টাকা কোনও ছোট অঙ্ক নয়। আমরা কল্পনা করতে পারি,কত দ্রুত কাজ এগোচ্ছে।

একটু আগেই বলা হচ্ছিল যে, সড়ক প্রশস্তকরণের কাজে দু’বছরের লক্ষ্যমাত্রাস্থির করা হয়েছে। আমি নীতিনজিকে বলছিলাম, তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে ভারতে সড়কউন্নয়নের ক্ষেত্রে যে গতি এসেছে, অনেককাল ভারত এই গতি দেখেনি। আমি তাঁকে বলছিলাম,আপনার এই যে দ্রুত কাজ করানোর ক্ষমতা তার সুফল যেন গুজরাট-ও পায়। তিনি জিজ্ঞেসকরেন, আমাকে কী করতে হবে? আমি বলি, এই যে ২৪ মাসের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছেন, সেটাকেকমিয়ে ১৮ মাস করুন। আমার বিশ্বাস, নীতিনজি ইশারায় তাঁর টিমকে ইতিমধ্যেই সেই বার্তাপৌঁছে দিয়েছেন আর আগামী ১৮ মাসের মধ্যেই হয়তো এই কাজ সম্পূর্ণ করে ছাড়বেন।

আজ এখানে বাবাসাহেব আম্বেদকরের নামে একটি কনভেনশন কেন্দ্র গড়ে উঠছে।এখানকার মানুষের প্রয়োজন অনুসারে, অনেকটা অঞ্চল নিয়ে গড়ে উঠছে। কিন্তু আমি যখনতাঁদের নক্‌শা দেখলাম, আমার মনে হ’ল, রবিভাই হয়তো ভয়ে ভয়ে এই নক্‌শা বানিয়েছেন।হয়তো তিনি ভেবেছেন, এত টাকা কোথা থেকে আসবে, কিভাবে হবে? আমি নীতিনজিকে বললাম,প্রকল্পকে ছোট হতে দেবেন না। নতুনভাবে ভাবুন। তিনি আমার কাছে ভাবার জন্য কিছুটাসময় চেয়েছেন। যেভাবে কচ্ছ-এর উন্নয়ন হচ্ছে, আজ ভারতের প্রত্যেকটি জেলার উন্নয়ন যেদ্রুতগতিতে হচ্ছে, সেগুলির মধ্যে একটি জেলা হ’ল কচ্ছ। এই কনভেনশন সেন্টার এইউন্নয়নের প্রতীক। ১৯৯৮ সালে ভয়ঙ্কর ঘুর্ণিঝড়ে এই জেলা যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল,২০০১ সালে ভূমিকম্পে যেভাবে তছনছ হয়ে গিয়েছিল, তারপরও এই জেলা আজ এই অবস্থায়পৌঁছতে পারবে, তা কেউ কল্পনা করতে পেরেছেন? এই জেলার শক্তি দেখুন, এখানকার মানুষেরইচ্ছাশক্তি দেখুন । এই কান্ডলা আবার গুজরাটের অর্থ ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে।কান্ডলা সমুদ্র বন্দর ভারতের অর্থ ব্যবস্থার উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাপালন করতে পারে। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছি। ভারতে সমুদ্র বাণিজ্যের ঐতিহ্যসহস্র বছর পুরনো। লোথালে পাঁচ হাজার বছর আগে সমুদ্র বাণিজ্যের বিশাল কেন্দ্র ছিল।পাশেই ছিল বল্লভী বিশ্ববিদ্যালয়। সেই বল্লভী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০টিরও বেশি দেশেরছেলেমেয়েরা এসে পড়াশুনা করতো। আর লোথাল বন্দরে ৮৪টি দেশের পতাকা সর্বদাই উড্ডীয়মানথাকতো। পাঁচ হাজার বছর আগে! এই দেশ সমুদ্র জাহাজ নির্মাণেও পারদর্শী ছিল। এইকচ্ছ-এ আমাদের পূর্বজরা জাহাজ নির্মাণ করতেন। গোটা পৃথিবীকে উন্নতমানের জাহাজসরবরাহের ক্ষমতা ছিল আমাদের। সেই সামর্থ্যকে আবার পুনর্জীবিত করা যেতে পারে।

আজ কান্ডলা সমুদ্র বন্দরে নির্মাণ শিল্পে ব্যবহৃত কাঠ বিপুল মাত্রায় আমদানিহয়। আমাদের কচ্ছ-এর কাঠের ব্যবসায়ীরা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বাণিজ্য করেন। এইনির্মাণ শিল্পে ব্যবহৃত কাঠে মূল্য সংযোজনও কচ্ছ-এর মাটিতেই হতে পারে। গোটা বিশ্বথেকে আমদানি করা কাঠে আমাদের শিল্পীরা নিপুণ কাষ্ঠশিল্পের মাধ্যমে সৌন্দর্যায়নকরতে পারেন। নানারকম কলাকৃতি সমৃদ্ধ এই কাঠ আবার আমরা অনেক বেশি দামে বিদেশেরপ্তানি করতে পারি । এই কাঠ দিয়ে সারা পৃথিবীতে বাড়ি-ঘর, মন্দির, উপাসনালয় গড়ে তোলার চাহিদাসৃষ্টি হবে। লবণ রপ্তানির ক্ষেত্রে সমুদ্রপথকে যত বেশি ব্যবহার করা যায়, তত সাশ্রয়হবে। দেশের মধ্যেই জল পরিবহণের মাধ্যমে সমুদ্রপথে তটবর্তী সাড়ে সাত হাজারকিলোমিটার এলাকায় অনেক কম খরচে জল পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে। রেল কিংবা সড়কপথেকান্ডলা থেকে কলকাতা পণ্য পরিবহণে যত খরচ হয়, তার থেকে অনেক কম খরচে সমুদ্রপথেপণ্য পৌঁছনো যাবে। এই পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়েই আমরা এগিয়ে চলেছি। আগামীদিনেদেশবাসী এর দ্বারা লাভবান হবেন।

আমাদের নীতিনজির একটি স্বপ্ন রয়েছে। লোথালে ভারতের মহান ঐতিহ্যের সংগে তিনিবিশ্ববাসীকে পরিচয় করাতে চান। বিশ্বমানেরএকটি মিউজিয়াম গড়ে তুলতে চান। বিশ্ব বাণিজ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে মানবসম্পদ উন্নয়নেরক্ষেত্রে আমেরিকান ইউনিভার্সিটি’র অবদান অনস্বীকার্য। একটু আগেই মুখ্যমন্ত্রীবলছিলেন, সম্প্রতি তাঁরা এখানে একটি নৌ-বহণ বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার জন্যবিধানসভায় বিল পাশ করেছেন । আমার শুভেচ্ছা রইল। মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রেও গুজরাট সমুদ্রতট’কেব্যবহার করে লাভবান হবে। ভারতের বাণিজ্য ক্ষেত্রে একটি নতুন শক্তিরূপে আত্মপ্রকাশকরবে বলে আমার বিশ্বাস।

 

ভাই ও বোনেরা, আগামী ২০২২ সালে ভারত স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি পালন করবে । আজ আমিকান্ডলার মাটিতে এসেছি। কান্ডলাবাসী, কচ্ছবাসী, গুজরাট তথা দেশের মানুষের কাছেআবেদন রাখতে চাই যে, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মবলিদান ও সমস্ত যৌবনকারাবাসের ফলস্বরূপ এই স্বাধীনতা এসেছে, যাঁরা ফাঁসির মঞ্চে প্রাণ দিয়েছেন, যেমহাপুরুষদের আত্মবলিদানের ফলে তাঁদের চার পুরুষ স্বাধীনতা সংগ্রামে নিজেদের উৎসর্গকরেছেন, তাঁদের স্বপ্নের ভারত আজও গড়ে ওঠেনি। তাঁদের স্বপ্ন পূরণের স্বার্থে আমরাকী সংকল্প গ্রহণ করতে পারি? যাতে ভারত আবার জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন গ্রহণ করতে পারে,একথা মাথায় রেখে আমরা ইতিবাচক কিছু করব। ব্যক্তি হিসাবে, পরিবার হিসাবে, সংস্থাহিসাবে, পঞ্চায়েত-পৌরসভা-রাজ্য সরকার কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারে যিনি যে দায়িত্বেরয়েছেন, সকলেই সংকল্প গ্রহণ করি যে, আগামী পাঁচ বছরে আমরা কিছু করে দেখাবো।

এদেশের গরিব মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনতে হবে। রান্নার গ্যাসের সংযোগ থেকেশুরু করে গরিবের কুঁড়ে ঘরে বিদ্যুতের সংযোগ, আমাদের স্বপ্ন হ’ল ২০২২ সালের মধ্যেভারতের দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম প্রত্যেক পরিবারের নিজস্ব বাড়ি থাকবে, সেই বাড়িতেবিদ্যুৎ, পানীয় জল ও শৌচালয়ের ব্যবস্থা থাকবে – এই স্বপ্ন নিয়ে আমাদের কাজ করতেহবে।

এ বছর আমরা পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্ম শতবর্ষ পালন করছি। দরিদ্রদেরউন্নয়নের ক্ষেত্রে তিনি দেশকে যে আলোকবর্তিকা দেখিয়ে গেছেন, তাঁর জন্মশতবর্ষে আমরাতাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সেই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি । আমি কান্ডলাপোর্ট ট্রাস্টকে, নীতিনজিকে, তাঁর বিভাগকে একটি পরামর্শ দিতে চাই – এই কান্ডলাসমুদ্র বন্দরকে পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের নামে নামাঙ্কিত করুন। তা হলে যিনি সারাজীবন গরিব মানুষের উন্নয়নের কথা ভেবে গেছেন, সেই দীন-দয়াল ভাব আমাদের মনে সদাজাগ্রত থাকবে, যাতে আমরা সমাজের অত্যাচারিত, শোষিত, বঞ্চিত, পীড়িত মানুষের জীবনেপরিবর্তন আনার কাজ করতে পারি।

আমি আরেকবার এই কচ্ছ-এর মাটিতে আপনাদের সামনে আসার সুযোগ করে দেওয়ার জন্যউদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানাই। আপনারা সবাই বিপুল সংখ্যায় এসে আমাকে আশীর্বাদদিয়েছেন, সেজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই, নীতিনজিকেও কৃতজ্ঞতা জানাই – এই অনুষ্ঠানে শরিকহওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...

Prime Minister visited the Indian Arrival monument at Monument Gardens in Georgetown today. He was accompanied by PM of Guyana Brig (Retd) Mark Phillips. An ensemble of Tassa Drums welcomed Prime Minister as he paid floral tribute at the Arrival Monument. Paying homage at the monument, Prime Minister recalled the struggle and sacrifices of Indian diaspora and their pivotal contribution to preserving and promoting Indian culture and tradition in Guyana. He planted a Bel Patra sapling at the monument.

The monument is a replica of the first ship which arrived in Guyana in 1838 bringing indentured migrants from India. It was gifted by India to the people of Guyana in 1991.