নমস্কারজি,
রাজস্থানের রাজ্যপাল শ্রী কলরাজ মিশ্রজি, হরিয়ানার রাজ্যপাল শ্রী সত্যদেব নারায়ণ আর্যজি, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী অশোক গেহলতজি, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী শ্রী মনোহর লালজি, উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দুষ্যন্ত চৌতালাজি, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহযোগী শ্রী পীযূষ গোয়েলজি, রাজস্থানেরই শ্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতজি, শ্রী অর্জুন রাম মেঘওয়ালজি, শ্রী কৈলাশ চৌধরিজি, হরিয়ানার শ্রী রাও ইন্দ্রজিং সিং-জি, শ্রী রতনলাল কাটারিয়াজি, শ্রী শ্রীকৃষ্ণ পালজি, সংসদে আমার অন্যান্য সহযোগীবৃন্দ, বিধায়কগণ, ভারতে জাপানের রাষ্ট্রদূত মহামান্য শ্রী সতোশী সুজুকিজি এবং এই কর্মসূচি উপলক্ষে এখানে আর যাঁরা উপস্থিত হয়েছেন সমস্ত মাননীয় ব্যক্তিগণ, ভাই ও বোনেরা,
আপনাদের সবাইকে আমার পক্ষ থেকে ২০২১ – এই নববর্ষের শুভকামনা জানাই। দেশের পরিকাঠামোকে আধুনিক করে তোলার জন্য যে মহাযজ্ঞ চলছে তা আজ একটি নতুন গতি অর্জন করল। মাত্র গত ১০-১২ দিন আগে আধুনিক ডিজিটাল পরিকাঠামোর সাহায্যে কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ১৮ হাজার কোটি থেকেও বেশি টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে, দিল্লি মেট্রোর এয়ারপোর্ট এক্সপ্রেস লাইনে ন্যাশনাল কমন মোবিলিটি কার্ডের শুভ সূচনা হয়েছে। তেমনই, ড্রাইভারলেস মেট্রোও চালু হয়েছে। গুজরাটের রাজকোটে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস-এর হাসপাতাল এবং ওড়িশার সম্বলপুরে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টের স্থায়ী ক্যাম্পাসের কাজ শুরু হয়েছে। বিশ্বের উন্নততম প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের ছয়টি শহরে ৬ হাজার বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে, ন্যাশনাল অ্যাটমিক টাইমস্কেল এবং ভারতীয় নির্দেশক দ্রব্যপ্রণালী রাষ্ট্রকে সমর্পণ করা হয়েছে দেশের প্রথম ন্যাশনাল এনভায়রেনমেন্টাল স্ট্যান্ডার্ডস ল্যাবরেটরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছে, ৪৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ কোচি-ম্যাঙ্গালুরু গ্যাস পাইপলাইন উদ্বোধন হয়েছে, মহারাষ্ট্রের সাঙ্গোলা থেকে পশ্চিমবঙ্গের শালিমারের জন্য ১০০তম কিষাণ রেল চালু হয়েছে। আর এর মাঝেই ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের নিউ ভাওপুর-নিউ খুরজা ফ্রেট করিডর রুটে প্রথম মালগাড়ি যাত্রা শুরু করেছে। আর আজ ওয়েস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরে ৩০৬ কিলোমিটার দীর্ঘ করিডর দেশকে সমর্পণ করা হল। ভাবুন, মাত্র ১০-১২ দিনে এতকিছু! যখন নতুন বছরে দেশের শুভ সূচনা এত ভালো, তখন বাকি সময় আরও ভালো আসবে। এত উদ্বোধন, এত ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এজন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ, ভারত এই সমস্ত কাজগুলি করোনার সঙ্কটকালে সম্পন্ন করেছে। কিছুদিন আগে ভারত করোনার দুটি 'মেড ইন ইন্ডিয়া' টিকা মঞ্জুর করেছে। ভারতের নিজস্ব টিকা দেশবাসীর মনে নতুন আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করেছে। ২০২১-এর শুভ সূচনার আবহে গোড়া থেকেই ভারতের এই দ্রুততা, আত্মনির্ভরতার জন্য এই গতি – এই সমস্ত কিছু দেখে, শুনে কোন ভারতবাসী, কোন ভারতমাতার সন্তান, কোন ভারতপ্রেমী মানুষের মাথা গর্বে উঁচু হবে না? আজ প্রত্যেক ভারতবাসীর আহ্বান হল – আমরা থামব না, ক্লান্ত হব না, আমরা সমস্ত ভারতবাসী মিলেমিশে আরও দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাব।
বন্ধুগণ,
ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের এই প্রকল্পকে একবিংশ শতাব্দীর ভারতের জন্য 'গেম চেঞ্জার' রূপে দেখা হচ্ছে। বিগত ৫-৬ বছরের কঠিন পরিশ্রমের পর আজ এর একটা বড় অংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। কিছুদিন আগে যে নিউ ভাওপুর-নিউ খুরজা সেকশনের কাজ শুরু হয়েছিল, সেখানে মালগাড়ির গতি ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টারও বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে। যে পথে এতদিন মালগাড়ির গড় গতি ঘন্টায় মাত্র ২৫ কিলোমিটার ছিল, সেখানে এখন আগের থেকে তিনগুণেরও বেশি গতিতে মালগাড়িগুলি চলছে। ভারতে আগের তুলনায় উন্নয়নের এই গতিই চাই, আর দেশের চাই এই গতিতে প্রগতি।
বন্ধুগণ,
আজ হরিয়ানার নিউ অটেলী থেকে রাজস্থানের নিউ কিষাণগড়-এর জন্য প্রথম ডবল স্টেক কন্টেনার মালগাড়ি রওনা হল। অর্থাৎ, দোতলা মালগাড়ি, যার দৈর্ঘ্য ১.৫ কিলোমিটারের থেকেও বেশি। এটি নিজেই যে কোনও দর্শকের মনে নতুন সাফল্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এর মাধ্যমে ভারত এ ধরনের সামর্থ্যসম্পন্ন বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকটি দেশের অন্যতম হয়ে উঠেছে। এর পেছনে আমাদের ইঞ্জিনিয়ারদের, টেকনিশিয়ানদের এবং শ্রমিকদের দীর্ঘ শ্রমের ইতিহাস রয়েছে। দেশকে এই গর্ব করার মতো সাফল্য এনে দেওয়ার জন্য আমি তাঁদের সকলকে অভিনন্দন জানাই।
বন্ধুগণ,
আজকের দিনটি জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লি, হরিয়ানা এবং রাজস্থানের কৃষক, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী – প্রত্যেকের জন্য নতুন আশা, নতুন সুযোগ নিয়ে এসেছে। ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর, তা সে ইস্টার্ন হোক কিংবা ওয়েস্টার্ন, এগুলি শুধুই আধুনিক মালগাড়িগুলির যাতায়াতের জন্য আধুনিক পরিষেবা রূপে পরিগণিত হবে না। এই ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর দেশের দ্রুত উন্নয়নের করিডর হিসেবে পরিগণিত হবে। এই করিডর দেশের ভিন্ন ভিন্ন শহরগুলিতে নতুন নতুন 'গ্রোথ সেন্টার' এবং 'গ্রোথ পয়েন্ট'-এর উন্নয়নের ভিত্তি হয়ে উঠবে।
ভাই ও বোনেরা,
দেশের ভিন্ন ভিন্ন অংশের সামর্থ্যকে এই করিডর কিভাবে বৃদ্ধি করছে তা ইতিমধ্যেই ইস্টার্ন ফ্রেট করিডর প্রমাণ করা শুরু করে দিয়েছে। নিউ ভাওপুর-নিউ খুরজা সেকশনের একদিকে পাঞ্জাব থেকে হাজার হাজার টন খাদ্যশস্য ও অন্যান্য ফসল নিয়ে গাড়িগুলি রওনা হয়েছে। অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ড ও মধ্যপ্রদেশের সিঙ্গরৌলী থেকে হাজার হাজার টন কয়লা নিয়ে মালগাড়িগুলি জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লি, পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় পৌঁছে গেছে। ওয়েস্টার্ন ফ্রেট করিডরও এই কাজ হরিয়ানা থেকে শুরু করে রাজস্থান, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রের মধ্যে দ্রুত আদানপ্রদানের কাজ করবে। হরিয়ানা এবং রাজস্থানের কৃষিজ ফসল ও কৃষিজাত পণ্যের ব্যবসাকে এই করিডর সহজ করে তুলবে। পাশাপাশি, মহেন্দ্রগড়, জয়পুর, আজমেঢ়, সীকরের মতো অনেক জেলার শিল্পোদ্যোগগুলিকে নতুন প্রাণশক্তি জোগাবে। এই রাজ্যগুলির নির্মাণ শিল্প কারখানাগুলি এবং শিল্পপতিদের জন্য অনেক কম বিনিয়োগে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রুত পৌঁছনোর পথ খুলে যাবে। গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রের সমুদ্র বন্দরগুলি পর্যন্ত দ্রুত এবং সুলভ যোগাযোগ ব্যবস্থা পাওয়ার ফলে এই অঞ্চলগুলিতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা আরও জোরালো হবে।
বন্ধুগণ,
আমরা সবাই খুব ভালোভাবেই জানি যে আধুনিক পরিকাঠামো নির্মাণ যতটা জীবনের জন্য প্রয়োজন, ততটাই বাণিজ্যের জন্য প্রয়োজন। আর প্রত্যেক নতুন ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিকাঠামোই নতুন নতুন শিল্পের জন্মের পরিবেশ তৈরি করে এবং সামর্থ্য সৃষ্টি করে। এগুলির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সমস্ত কাজ এবং অর্থনীতির অনেক ইঞ্জিনকে গতি সঞ্চার করে। এর ফলে শুধুই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ গড়ে ওঠে না, অন্যান্য পার্শ্ববর্তী শিল্প যেমন সিমেন্ট, ইস্পাত, পরিবহণের মতো অনেক ক্ষেত্রে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ গড়ে ওঠে। এই ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের মাধ্যমেই নয়টি রাজ্যের ১৩৩টি রেল স্টেশন 'কভার' করা হচ্ছে। এই স্টেশনগুলিতে এই ফ্রেট করিডরের পাশাপাশি নতুন নতুন মাল্টি-মডেল লজিস্টিক পার্ক, ফ্রেট টার্মিনাল, কন্টেনার ডিপো, কন্টেনার টার্মিনাল, পার্সেল হাব-এর মতো অনেক ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। এইসব কিছুর মাধ্যমে আমাদের কৃষকরা লাভবান হবেন, ছোট ছোট শিল্পোদ্যোগগুলি লাভবান হবে, কুটীর শিল্পগুলিও লাভবান হবে। আবার বড় নির্মাণ শিল্পও উপকৃত হবে।
বন্ধুগণ,
আজ এটি রেলওয়ের একটি কর্মসূচি। যেহেতু রেলওয়ের কর্মসূচি, এখানে রেললাইন নিয়ে কথা বলা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। আর সেজন্য আমি রেললাইনের ভিত্তিতেই আরেকটি উদাহরণ দেব। আজ ভারতে পরিকাঠামোর কাজ একসঙ্গে দুটি সমান্তরাল লাইনে এগিয়ে চলেছে। একটি লাইন ব্যক্তির বিকাশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, আর অন্য লাইনটি দেশের 'গ্রোথ ইঞ্জিন'গুলিকে নতুন প্রাণশক্তি জোগাচ্ছে। ব্যক্তির উন্নয়নের প্রসঙ্গে যদি কথা বলি, আজ দেশে সাধারণ মানুষের জন্য গৃহ নির্মাণ, শৌচালয়, পানীয় জল, বিদ্যুৎ সংযোগ, রান্নার গ্যাস সংযোগ, সড়কপথ, ইন্টারনেটের মতো প্রত্যেক পরিষেবা গড়ে তোলার অভিযান চলছে। পিএম আবাস যোজনা, স্বচ্ছ ভারত অভিযান, সৌভাগ্য যোজনা, উজ্জ্বলা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা – এরকম অসংখ্য প্রকল্পের মাধ্যমে কোটি কোটি ভারতবাসীর জীবনকে সরল, সহজ, আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ এবং সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার সুযোগ গড়ে তুলতে এই কল্যাণমূলক কাজগুলি দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। তেমনই অন্যদিকে পরিকাঠামোর দ্বিতীয় লাইনে দেশের 'গ্রোথ ইঞ্জিন'গুলি, আমাদের শিল্পগুলির উন্নয়নের কাজ চলছে। আজ সড়কপথ, রেলপথ, আকাশপথ, জলপথের যোগাযোগ ব্যবস্থা গোটা দেশে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে এবং দ্রুতগতিতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের সমুদ্র বন্দরগুলিকে, নদী বন্দরগুলিকে, যানবাহনের বিভিন্ন মাধ্যম দ্বারা সংযুক্ত করা হচ্ছে। মাল্টি-মডেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
আজ সারা দেশে ফ্রেট করিডরগুলির মতোই ইকমনিক করিডর, ডিফেন্স করিডর, টেক-ক্লাস্টার – ইন্ডাস্ট্রির জন্য এ ধরনের বিশেষ ব্যবস্থাগুলি তৈরি করা হচ্ছে। আর বন্ধুগণ, যখন বিশ্ববাসী দেখছে যে ব্যক্তি এবং শিল্পের জন্য ভারতে কত উন্নত পরিকাঠামো গড়ে উঠছে, তখন তাঁদের মনে অনেক ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। এই প্রভাবেরই ফল হল ভারতে রেকর্ড পরিমাণ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ, এই প্রভাবেরই ফল হল ভারতে ক্রমবর্ধমান বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার, এই প্রভাবের ফল হল ভারতের প্রতি বিশ্ববাসীর ক্রমবর্ধমান আস্থা ও ভরসা। এই অনুষ্ঠানে জাপানের রাষ্ট্রদূত শ্রী সুজুকিজি এসেছেন। জাপান এবং জাপানের জনগণ ভারতের উন্নয়ন যাত্রায় এক বিশ্বস্ত বন্ধুর মতো সর্বদাই পাশে থাকেন। ওয়েস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর নির্মাণের ক্ষেত্রেও জাপান অর্থনৈতিক সহযোগিতার পাশাপাশি, অনেক প্রযুক্তিগত সহযোগিতাও করেছে। আমি জাপানের সরকার এবং জাপানের জনগণকে অভিনন্দন জানাই, বিশেষ ধন্যবাদ জানাই।
বন্ধুগণ,
ব্যক্তি, শিল্প এবং বিনিয়োগের এই মিলন ও ভারসাম্য ভারতীয় রেলকেও নিরন্তর আধুনিক করে তুলছে। কে ভুলতে পারেন সেসব দিনের কথা, আমাদের দেশে রেলযাত্রীদের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? আমরাও সেইসব কঠিন দিনের সাক্ষী। বুকিং থেকে শুরু করে গন্তব্যে পৌঁছনোর আগে পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে যাত্রীদের কাছ থেকে অসংখ্য অভিযোগ আসত। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে সঠিক সময়ে ট্রেনের যাতায়াত, অন্যান্য পরিষেবা, নিরাপত্তা – এগুলি অনেক সুনিশ্চিত হয়েছে। অধিকাংশ মানববিহীন লেভেল ক্রসিং তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক স্তরে রেলে পরিবর্তন আনার দীর্ঘকালীন দাবিগুলি মেনে নেওয়া হয়েছে। এই পরিবর্তনের কাজে বিগত বছরগুলিতে নতুন গতি লক্ষ্য করা গেছে। স্টেশনগুলি থেকে শুরু করে রেলের কামরার অভ্যন্তরীণ পরিচ্ছন্নতা এবং বায়ো-ডিগ্রেডেবেল টয়লেটের ব্যবস্থা, খাওয়া-দাওয়া সংশ্লিষ্ট সমস্ত ব্যবস্থায় সংস্কার, টিকিট বুকিং-এর জন্য আধুনিকতম ব্যবস্থা, তেজস এক্সপ্রেস, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতো দ্রুতগতির ট্রেন চালু করা, ভিস্তা-ডোম কোচ নির্মাণ – এই সমস্ত সাফল্যের মাধ্যমে ভারতীয় রেল আধুনিক হচ্ছে, দ্রুতগতিসম্পন্ন হচ্ছে এবং ভারতকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
বন্ধুগণ,
বিগত ছয় বছরে নতুন নতুন রেললাইন, পুরনো রেললাইনগুলির প্রশস্তিকরণ এবং বিদ্যুতায়নের জন্য যত টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে, তা আগে কখনও হয়নি। রেল নেটওয়ার্ককে অগ্রাধিকার দেওয়ার ফলে ভারতীয় রেলের গতিও বেড়েছে, তার পরিধিও বেড়েছে। সেদিন দূরে নেই যখন উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রত্যেক রাজ্যের রাজধানী রেলপথে পরস্পরের সঙ্গে এবং দেশের রাজধানীর সঙ্গে যুক্ত হবে। আজ ভারতে সেমি-হাইস্পিড ট্রেন চলছে। হাইস্পিড ট্রেনের জন্য রেলপথ নির্মাণ থেকে শুরু করে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুতগতিতে সমগ্র ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ এগিয়ে চলেছে। ভারতীয় রেল আজ 'মেক ইন ইন্ডিয়া' থেকে শুরু করে উন্নত ইঞ্জিনিয়ারিং-এরও উদাহরণ হয়ে উঠেছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, রেলের এই গতি ভারতের প্রগতিকে নতুন উচ্চতা প্রদান করতে পারবে। ভারতীয় রেল এভাবে দেশের সেবা করতে থাকবে। সেজন্য আমি ভারতীয় রেল এবং তার সমস্ত আধিকারিক ও কর্মচারীদের অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। করোনাকালে রেলের বন্ধুরা যেভাবে করেছেন, শ্রমিকদের তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন, তাঁরা আপনাদের অনেক আশীর্বাদ দিয়েছেন। দেশের সাধারণ মানুষ এভাবেই রেলের প্রত্যেক কর্মচারীকে স্নেহ ও আশীর্বাদ দিয়ে যাবেন। তাঁদের প্রতি এই ভালোবাসা ও আশীর্বাদ দিন দিন বাড়তে থাকবে আমি এই কামনা করি।
আরেকবার দেশের জনগণকে ওয়েস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ!