We want to make India a hub of heritage tourism: PM Modi
Five iconic museums of the country will be made of international standards: PM Modi
Long ago, Swami Vivekananda, at Michigan University, had said that 21st century would belong to India. We must keep working hard to make sure this comes true: PM

আমার সোনার বাংলা, সকলকে নমস্কার জানাই!!

পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় রাজ্যপাল শ্রী জগদীপ ধনকর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার মাননীয় সহকারী শ্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল, এখানে উপস্থিত কলা ও সাহিত্য জগতের বন্ধুরা, বিশিষ্টজনেরা, সুধীবৃন্দ!

সাহিত্য-সংস্কৃতির পীঠস্থান কলকাতায় এই পরিবেশে এসে আমার মন, প্রাণ আনন্দে ভরে যায়। এই অবকাশে আমি বাংলার সমৃদ্ধশালী শিল্প-সংস্কৃতির পরিচয়কে আরও একবার প্রণাম জানাই।

বন্ধুগণ,

 

কিছুক্ষণ আগে যখন আমি এখানে পৌঁছলাম তখন এখানকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি দেখে খুব পুরনো একটি কথা মনে পড়ল।

 

তখন বয়স কম ছিল। জীবনের মূল্যবোধ এবং সেগুলির বিষয়ে জানার জন্য আগ্রহ ছিল প্রচুর। মনের কোণে অনেক প্রশ্ন ছিল যার সব উত্তর জানা ছিল না।

 

সেইসব প্রশ্নের জবাব পেতে, সুস্পষ্ট ধারণা পেতে কলকাতার এই অঞ্চলের বেলুড় মঠ আমাকে পথ দেখিয়েছিল, আমার প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়ার ফলে মন শান্ত হয়েছিল।

 

এখন যখন এই প্রদর্শনী দেখছিলাম, তখন আমার মন সেইসব মহান শিল্পী, যাঁরা এগুলির সৃষ্টি করেছিলেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জন্মাচ্ছিল।

 

বাংলার এই মাটির যে অদ্ভূত শক্তি রয়েছে, তা আমাকে মুগ্ধ করে। আমি এই শক্তিকে প্রণাম জানাই। আর এর সঙ্গে জড়িত অতীত এবং বর্তমান দিনের সকলকে আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করছি।

বন্ধুগণ,

 

আজ পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যুক্ত ভারতের শিল্প-সংস্কৃতি এবং সাহিত্য জগতের এক অন্যতম দিন। ভারতের শিল্প-সংস্কৃতি এবং নিজের ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে একবিংশ শতকের সময়োপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দেশ জুড়ে যে অভিযান শুরুর পরিকল্পনা করা হয়েছিল, আজ পশ্চিমবঙ্গে তা শুরু হল।

 

এই উদ্যোগ থেকে কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গ অনেকটাই লাভবান হবে। এই কারণে পশ্চিমবঙ্গে শিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে আপনাদের সবাইকে এবং শিল্প-সংস্কৃতিমনা বাংলার জনগণকে অনেক অনেক অভিনন্দন।

 

বন্ধুগণ,

 

ঐতিহ্য এবং পর্যটন – এই দুটি বিষয় যার সঙ্গে আমাদের সভ্যতার ইতিহাস এবং ভাবাবেগ জড়িয়ে আছে, আমাদের পরিচয় এর সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। ভারতের সাংস্কৃতিক পরিচয়কে দুনিয়ার সামনে নবরূপে উপস্থাপিত করা যার মাধ্যমে ভারতের ঐতিহ্যশালী পর্যটন গড়ে উঠবে সেই লক্ষ্যে কেন্দ্রের এই উদ্যোগ। এই ঐতিহ্যশালী পর্যটনের প্রসারে পশ্চিমবঙ্গ সহ পূর্ব ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা দেশে কর্মসংস্থানের অনেক সুযোগ তৈরি হবে।

 

এই অবকাশে রবীন্দ্র সেতু – হাওড়া ব্রিজকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার লক্ষ্যে ইন্টার‍্যাক্টিভ লাইট অ্যান্ড সাউন্ড প্রদর্শনী শুরু হতে চলেছে।

বন্ধুগণ,

 

আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগুলির সংরক্ষণ এবং তার আধুনিকীকরণ প্রয়োজন। এই ভাবনা থেকে কেন্দ্র দেশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপত্যগুলিকে সংস্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রথম পর্যায়ে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বাই, আমেদাবাদ এবং বারাণসী শহরকে বাছাই করা হয়েছে। এই ভবনগুলিতে নতুন নতুন গ্যালারি ও প্রদর্শশালা তৈরি করা হচ্ছে যেখানে থিয়েটার, নাটক এবং সঙ্গীতের অনুষ্ঠান আয়োজন করার পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে।

 

এই প্রসঙ্গে বলা ভালো দেশের পাঁচটি ঐতিহ্যশালী সংগ্রহশালাকে আন্তর্জাতিক মানের করে তোলা হচ্ছে। বিশ্বের সবথেকে পুরনো মিউজিয়াম কলকাতার ভারতীয় সংগ্রহশালা দিয়ে এই উদ্যোগ শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি, দিল্লি, চেন্নাই, হায়দরাবাদ ও শ্রীনগরের সংগ্রহশালাগুলিরও মানোন্নয়নের কাজ করা হচ্ছে।

 

বন্ধুগণ,

 

দেশের এই শহরগুলির সৌন্দর্যায়নের অত্যন্ত প্রয়োজন। এগুলির ব্যবস্থাপনার জন্য আরও সম্পদের প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ এইডেড কনজারভেশন’ গঠন করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটিকে একটি ডিম্‌ড ইউনিভার্সিটিতে পরিণত করা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।

 

বন্ধুগণ,

 

কলকাতা ভারতের সর্ববৃহৎ সাংস্কৃতিক পীঠস্থান। আপনাদের চিন্তাভাবনা অনুযায়ী কলকাতার সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্যকে নবরূপে বিশ্বের সামনে হাজির করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

 

কলকাতার চার ঐতিহ্যশালী গ্যালারি, ওল্ড কারেন্সি বিল্ডিং, বেলভেডিয়ার হাউজ, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, মেটকাফে হাউজ-এর সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। বেলভেডিয়ারকে ‘মিউজিয়াম অফ দ্য ওয়ার্ল্ড’ বানানো নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। আমরা এখন সেই লক্ষ্যে ব্রতী হয়েছি। এখানে ভারত সরকারের টাঁকশাল ছিল। সেটিকে ‘মিউজিয়াম অফ কয়েনেজ অ্যান্ড কমার্স’ হিসেবে গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

বন্ধুগণ,

 

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের পাঁচটি গ্যালারির মধ্যে দুটি গ্যালারি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল যা মোটেই ঠিক নয়। এগুলিকে দ্রুত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

 

আমি চাই তৃতীয় গ্যালারিটিতে স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলার অংশগ্রহণের বিষয়টি স্থান পাক। ‘বিপ্লবী ভারত’ নামে একটি সংগ্রহশালা তৈরি হোক যেখানে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, অরবিন্দ ঘোষ, রাসবিহারী বসু, ক্ষুদিরাম বসু, দেশবন্ধু, বাঘাযতীন, বিনয়-বাদল-দীনেশের মতো মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জায়গা হবে।

 

বন্ধুগণ,

 

স্বাধীনতা-পরবর্তী দশকগুলিতে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে নিয়ে যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে আমরা সকলেই অবগত।

 

দেশের সকলের চিন্তাভাবনাকে সম্মান করে নেতাজির নামে লালকেল্লায় সংগ্রহশালা গড়ে তোলা হয়েছে। আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে একটি দ্বীপের নাম তাঁর নামে করা হয়েছে।

 

আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে লালকেল্লা থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সৌভাগ্য আমার হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে নেতাজিকে নিয়ে যে সমস্ত ফাইলগুলি ছিল তা সর্বসমক্ষে উন্মোচিত করা হয়েছে।

বন্ধুগণ,

 

নতুন বছরে, নতুন দশকে দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেরও যথাযথ সম্মান পাওয়া উচিৎ।

 

আমরা এখন সবাই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০০তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন করছি। ২০২২ সালে দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আরেকটি সুবর্ণ সুযোগ আমাদের সামনে আসবে। ২০২২ সালে মহান সমাজ সংস্কারক এবং শিক্ষাবিদ রাজা রামমোহন রায়ের ২৫০তম জন্মজয়ন্তী এগিয়ে আসছে।

 

দেশের আত্মবিশ্বাস পুনর্জাগরণে সমাজে কন্যা, ভগিনী ও যুবসম্প্রদায়ের মর্যাদা প্রদানের জন্য তাঁর যে প্রচেষ্টা সেই ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। তাঁর ২৫০তম জন্ম জয়ন্তী বর্ষকে আমরা একটি উৎসব রূপে পালন করি, এটা আমাদের সকলের কর্তব্য।

বন্ধুগণ,

 

দেশের ঐতিহ্যের সংরক্ষণ, আমাদের মহাপুরুষদের, আমাদের ইতিহাসের এই বর্ণন রাষ্ট্র নির্মাণের প্রধান অঙ্গ।

 

এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে ব্রিটিশ শাসনকালে এবং স্বাধীনতার পরও দেশের যে ইতিহাস লেখা হয়েছে সেই ইতিহাসে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে তেমনভাবে দেখানো হয়নি।

 

বন্ধুগণ,

 

গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০৩ সালে তাঁর একটি নিবন্ধে যা লিখেছেন আমি সেটি এখানে উল্লেখ করতে চাই। তিনি লিখেছেন, “ভারতের ইতিহাস এটা নয় যা আমরা পরীক্ষার জন্য পড়ি এবং মুখস্থ করি। কিছু মানুষ বাইরে থেকে এসে বাবা ছেলেকে হত্যা করে, ভাই ভাইকে হত্যা করে, সিংহাসনের জন্য লড়াই করে। এটি ভারতের ইতিহাস নয়। এই ইতিহাসে একথার কোন বর্ণনা নেই যে তখন ভারতের নাগরিক, ভারতের জনগণ কি করছিলেন। তাঁদের কি কোন অস্তিত্বই ছিল না।”

 

বন্ধুগণ,

 

গুরুদেব তাঁর নিবন্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ দিয়েছিলেন ঘূর্নিঝড় ও তুফানের। তিনি লিখেছিলেন, “যত তুফানই আসুক না কেন, তার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল সেই সঙ্কটকালে সেখানকার মানুষ কিভাবে সেই তুফানের মোকাবিলা করেছেন।”

 

বন্ধুগণ, গুরুদেব একথাও বলেছেন যে, “ঐতিহাসিকরা সেই তুফানকে ঘরের বাইরে থেকেই দেখেছেন। যাঁরা সেই ঝড়-তুফানের মোকাবিলা করছিলেন, ঐ ইতিহাসকারেরা তাঁদের বাড়িতে যাননি। এখন যিনি বাইরে থেকে দেখবেন তিনি তো শুধুই ঝড়-তুফান দেখতে পাবেন, তাই না !  তখন সেখানকার সমাজ, সেখানকার সাধারণ মানুষ কিভাবে সেই তুফানের মোকাবিলা করেছেন সেদিকে ইতিহাসবিদদের চোখ পড়েনি।”

 

এভাবে ভারতবর্ষের ইতিহাসের অনেক কথা বাদ থেকে গেছে।

বন্ধুগণ,

 

আমাদের দেশের ইতিহাস আর তার ঐতিহ্যের দিকে যদি নজর দিই তাহলে দেখব যে, কিছু মানুষ সেই ইতিহাসকে ক্ষমতার জন্য সংঘর্ষ, হিংসা, উত্তরাধিকারের জন্য লড়াই পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রেখেছেন। কিন্তু এসবের মাঝে গুরুদেব যেমন বলেছিলেন, ইতিহাসের আরেকটি মাত্রা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ আমি আপনাদের মাঝে সেই বিষয়টি তুলে ধরতে চাই।

 

বন্ধুগণ,

 

সেই অস্থিরতার সময়কালে, হিংসারপরিবেশে তাঁদের মোকাবিলা করা, দেশের চেতনাকে জাগ্রত রাখা, সামলে রাখা, তাঁকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়াও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

 

দশকের পর দশক, প্রজন্মের পর প্রজন্ম, শতাব্দীর পর শতাব্দী এ কাজ কারা করেছেন? আমাদের কলা, সাহিত্য, আমাদের সঙ্গীত, আমাদের মণীষী, আমাদের সাধু, আমাদের দার্শনিকেরা এই কাজ করেছেন।

 

আর সেজন্য, ভারতের প্রত্যেক প্রান্তে আপনারা নানারকম কলা ও সঙ্গীতের বিশেষ পরম্পরা দেখতে পাবেন।

 

ভারতের প্রত্যেক প্রান্তে মণীষী ও সাধুদেরপ্রভাব দেখতে পাবেন।

 

এই মণীষীদের বিচারধারা কলা ও সাহিত্যের ভিন্ন ভিন্ন স্বরূপ ইতিহাসকে নিজের মতো করে সমৃদ্ধ করেছে।

 

আপনারা সবাই এটা খুব ভালোভাবেই জানেন যে এই মহান ব্যক্তিরা ভারতের ইতিহাসের কয়েকটি বৃহত্তম সামাজিক সংস্কারের নেতৃত্ব দিয়েছেন।

 

ভারতবাসী আদি শঙ্করাচার্য, থিরুনাবুক্কারাসার-এর মতো সাধু কবীরদের আশীর্বাদ পেয়েছে। অন্দাল, অক্কা মহাদেবী, ভগবান বশবেশ্বর, গুরুনানক দেবজির প্রদর্শিত পথ আজও আমাদের প্রেরণা যোগায়।

 

যখন ভারতের ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় ভক্তি আন্দোলন শুরু হয়েছে সেই দীর্ঘ কালখণ্ডে অনেক সাধু ও সংস্কারকদের রচিত গীত ও দর্শন তাকে সমৃদ্ধ করেছে। সন্ত কবীর, তুলসীদাস, একনাথ, নামদেব, সন্ত তুকারাম সমাজকে জাগ্রত করে গেছেন।

 

সমাজ পরিবর্তনের জন্য রাজা রামমোহন রায় এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রয়াস আজও ততটাই প্রেরণা যোগায়।

 

এভাবে আমরা জ্যোতিবা ফুলে, সাবিত্রীবাঈ ফুলে, গান্ধীজি, বাবাসাহেব আম্বেদকরের মতো অসংখ্য ব্যক্তিত্বকে ভারত ও ভারতের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করতে দেখি।

 

সামাজিক সংস্কার, সমাজের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, সেই সময়ে নারী ক্ষমতায়নের জন্য এত প্রচেষ্টা এই রাষ্ট্র চেতনাকে জাগ্রত রাখারই তো প্রচেষ্টা ছিল।

 

আর যত নাম আপনারা দেখেছেন, অনেকের নাম আমি স্মরণ করতে পারিনি কিন্তু তাঁরা সাহিত্য, কলা এবং সঙ্গীতকে নিজেদের বার্তার মাধ্যম করে তুলেছেন। এটাই হল কলা, সঙ্গীত সাহিত্যের শক্তি।

 

তাঁরা অস্ত্রের শক্তিতে নয়, জনগণের মনে পরিবর্তন এনে শক্তিশালী করার মাধ্যমে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।

 

বন্ধুগণ,

 

কোন অঞ্চলের মানুষের ভাবনাই সেই অঞ্চলের আত্মার প্রতিনিধিত্ব করে। গীত, সঙ্গীত, কলা, সাহিত্যের মাধ্যমে যা বলা হয় সেটাই গণভাবনা।

 

রাজনীতিবিদ এবং সৈন্যশক্তি অস্থায়ী হয়। কিন্তু কলা ও সংস্কৃতির মাধ্যমে যে জনভাবনা অভিব্যক্ত হয় সেটাই স্থায়ী প্রভাব ফেলে।

 

আর সেজন্য নিজেদের সমৃদ্ধ ইতিহাসকে, নিজেদের ঐতিহ্যকে সংরক্ষিত করা, সংবর্ধিত করা ভারতের জন্য, প্রত্যেক ভারতবাসীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি এমন এক সম্পদ যা আমাদের বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে আলাদা করে।

 

বন্ধুগণ,

 

সংস্কৃতির সংরক্ষণ প্রসঙ্গে ডঃ মুখার্জি বলেছিলেন, “পশ্চিমী জ্ঞানের দরজা আমাদের জন্য খুলুক এতে আমাদের কোন সমস্যা নেই। আমাদের সমস্যা হল এই জ্ঞান ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে সমঝোতা করার জন্য আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রয়োজন ছিল উভয়ের মধ্যে একটি সমন্বয়ের, যাতে ভারতীয় সংস্কৃতিকে ছোট করে না দেখা হয়, তাকে শেষ করে না দেওয়া হয়।”

 

ডঃ মুখার্জির এই বক্তব্য সেই সময়েও গুরুত্বপূর্ণ ছিল আর আজও প্রাসঙ্গিক। আমাদের বিশ্বের প্রত্যেক সংস্কৃতি থেকে কিছু না কিছু শেখার থাকতে পারে। কিন্তু আমাদের এটা মনে রাখতে হবে যাতে ভারতীয় সংস্কৃতির মূল্যবোধে কোন আঁচড় না পড়ে।

 

বন্ধুগণ,

 

বঙ্গভূমিতে জন্মগ্রহণ করে বড় হয়ে ওঠা দেশের সুপুত্ররা, সাধুরা ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গুরুত্বকে সর্বদা বুঝেছেন, তাঁদের বৌদ্ধিক নেতৃত্ব দিয়েছেন।

 

আকাশে যদিও একটাই চাঁদ জ্বলজ্বল করে কিন্তু বিশ্বকে ভারতের আলো দেখানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ অনেক চন্দ্র দিয়েছে। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র, শরৎচন্দ্র, বঙ্কিমচন্দ্র, ঈশ্বরচন্দ্র, জগদীশ চন্দ্র, কেশবচন্দ্র, বিপীন চন্দ্র এমনই অনেক চন্দ্র ভারতের পরিচয়কে আরও উজ্জ্বল করে তুলেছেন।

 

চৈতন্য মহাপ্রভু থেকে শুরু করে রাজা রামমোহন রায়, স্বামী বিবেকানন্দ এবং গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গোটা বিশ্বকে এবং সম্পূর্ণ ভারতকে জাগ্রত করার কাজ করেছেন।

 

এইসব মহাপুরুষেরা সমগ্র বিশ্বকে বলেছেন, ভারত আসলে কী, আর তার আসল শক্তি কী। তাঁরা ভারতবাসীকেও অনুভব করিয়েছেন যে আমাদের আসল পুঁজি আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের অতীতের জ্ঞান-বিজ্ঞান।

 

নজরুল ইসলাম এবং লালন ফকিরের কবিতা আর সত্যজিৎ রায়ের সিনেমাগুলি এই ভাবনাকে আরও বিস্তারিত করেছে।

 

বন্ধুগণ,

 

ভারতের জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং আদি পরিচয় দেশ এবং বিশ্বের সঙ্গে পরিচিত করানোর কাজ বাংলার মাটি যেভাবে করেছে, সেই ঐতিহ্য নতুন ভারতেও সঞ্চারিত করার দায়িত্ব আপনাদের সবার। এখানকার যুব সম্প্রদায়ের।

 

এখন সময় এসেছে যখন এখান থেকে প্রত্যেক ক্ষেত্রে নতুন এবং সক্ষম নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে যাঁরা গোটা বিশ্বে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

 

আমাদের সবাইকে স্বামী বিবেকানন্দের সেই উক্তি সর্বদা মনে রাখতে হবে যা তিনি মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকজনের সঙ্গে বার্তালাপের সময় বলেছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দ তাঁদের বলেছিলেন – “এই বর্তমান শতাব্দী যতই আপনাদের হোক, কিন্তু একবিংশ শতাব্দী ভারতের হবে।”

 

স্বামী বিবেকানন্দের সেই বিশ্বাস, সেই সঙ্কল্পকে সিদ্ধ করতে আমদের সবাইকে, প্রত্যেক দেশবাসীকে সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে নিরন্তর কাজ করে যেতে হবে।

 

আর এই অভিযানে যখন পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবিরা আপনাদের সমস্ত বন্ধুদের প্রাণশক্তি, আপনাদের আশীর্বাদ পাবেন, তখন সঙ্কল্পকে সিদ্ধ করার গতিও আরও বৃদ্ধি পাবে।

 

আমি নিজে এবং কেন্দ্রীয় সরকার আপনাদের প্রত্যেক পদক্ষেপ, আপনাদের প্রত্যেক প্রচেষ্টার পাশে থাকার চেষ্টা করব। আপনাদের থেকে শেখার চেষ্টা করব।

 

আপনারা যে আত্মীয়তার সঙ্গে আমাকে স্বাগত জানিয়েছেন, সেজন্য আপনাদের সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই।

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।