केंद्र और राज्य सरकार को बिहार के विकास के लिए मिलकर काम करना चाहिए: प्रधानमंत्री मोदी
प्रधानमंत्री मोदी ने मोकामा में नमामि गंगे के तहत एवं विभिन्न राजमार्ग परियोजनाओं का शिलान्यास किया
हम एक योजना की शुरूआत करते हैं तो यह भी सुनिश्चित करते हैं कि उसे पूरा करने की रूपरेखा तैयार करें: प्रधानमंत्री
जिन परियोजनाओं का शिलान्यास किया जा रहा है, उससे बिहार के विकास को गति मिलेगी: प्रधानमंत्री मोदी

 

ভারতমাতা কি জয়। ভারতমাতা কি জয়। 

বিপুল সংখ্যায় সমাগত আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, 

সকল মোকামাবাসীকে আমার প্রণাম। ভগবান পরশুরামের পবিত্র ভূমিতে আপনাদেরসবাইকে সাদর নমস্কার। আমি আজ মোকামায় আসতে পেরে ধন্য। 

গোটা দেশ দীপাবলির প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। ছটপুজার প্রস্তুতিও চলছে। আপনাদেরসকলকে আমার দীপাবলি ও ছটপূজার অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাই আর এই পবিত্র উৎসবে প্রায়পৌনে চার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প আজ বিহারের এই অঞ্চল উপহার পাচ্ছে।  

ভাই ও বোনেরা, একটু আগেই আমাদের গড়করি মহোদয় বলছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারকতগুলি সড়ক নির্মাণ প্রকল্প শুরু করেছে, তাঁর বর্ণনায় পথের তালিকা এত দীর্ঘ ছিল যেআমি দেখছিলাম যে, আপনারা কেউ কেউ অধৈর্য্য হয়ে উঠছিলেন। সারা দেশের পাশাপাশি এত কমসময়ের মধ্যে বিহারের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কতগুলি প্রকল্প শুরু করা যেতে পারে, তাআমরা করে দেখিয়েছি।  

আমি নীতিশজি এবং তাঁর সম্পূর্ণ টিমকে হৃদয় থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই যে,কেন্দ্রীয় সরকারের সকল প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তাঁরা সম্পূর্ণ সহযোগিতা ওসমর্থন করেছেন। দেশের যেখানে যত সমস্যা আমরা সেগুলি সমাধানের চেষ্টা করি। আরবিহারের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার পরস্পরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজকরছি। সেসব কাজের পরিণামও এখন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। নীতিশজি তাঁর বক্তব্যে বেশ কিছুবিষয় স্পর্শ করেছেন। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া ছাড়াও দীর্ঘকাল ধরে লোকসভায়বিহারের সাংসদ ছিলেন। আপনাদের প্রতি তাঁর অনেক আবেগ রয়েছে। আর সেই আবেগ থেকেই তাঁরমনে হয় যে, এটা হওয়া উচিৎ, ওটা হয়নি, আর অমুকটা দ্রুত করে ফেলতে হবে। আমি তাঁর এই প্রবলমনোবাঞ্ছাকে সম্মান করি, আর আশ্বস্ত করি যে, কেন্দ্রীয় সরকার বিহারের কোটি কোটিজনগণের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার জন্য আপনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাবেআর বিহারকে উন্নতির নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে। 

ভাই ও বোনেরা, আজ আমার মোকামার মাটিতে আসার সৌভাগ্য হয়েছে। যে সেতুটির আজশিলান্যাস হ’ল, আমি যখন মঞ্চে উঠে আসছিলাম, তখন নীতিশজি সেই সেতুর নকশা আমাকেদেখাচ্ছিলেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, এ ধরনের সুদৃ্শ্য একটি সেতু গোটা বিহারেরআকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে। এই সেতু বিহারের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ডঃ কৃষ্ণজিৎ-এরকর্মভূমি বেগুসরাইয়ের সঙ্গে রাজধানী পাটনাকে সংযুক্ত করবে। ডঃ কৃষ্ণজি বেগুসরাইয়েতেল শোধনাগার, সার কারখানা এবং তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং বরৌনী’তে ডেয়ারি স্থাপন করেঐ অঞ্চলকে বিহারের শিল্প রাজধানী গড়ে তুলেছিলেন, সেজন্য আমি তাঁকে সাদর প্রণামজানাই। আজ আমি সেই মাটিতে এসেছি, যেখান থেকে কয়েকশো কিলোমিটার দূরে রয়েছে সেইতীর্থ ক্ষেত্র, সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেটি জাতীয় কবি দিনকরের শৈশব গড়ে তুলেছে।দিনকরজির আদর্শ আজও আমাদের প্রেরণা যোগায়। তিনি আমাদের অন্ধ শ্রদ্ধা থেকে মুক্তিরপথ দেখিয়েছেন। দলিত-পীড়িত-শোষিত-বঞ্চিত, গরিব, গ্রাম, কৃষক এবং শ্রমিকদের প্রতিআমাদের মনে সম্মানের স্থান গড়ে তুলতে দিনকরজি প্রেরণা যুগিয়েছেন। দিনকরজি বলতেন – 

“ধূপ নিয়ে কাকে খুঁজছো মূর্খ, মন্দিরে, রাজপ্রাসাদে কিংবা কোষাগারে, 

আরে দেবতা কোথাও ইঁট ভাঙছেন পথের ধারে, তাঁকে পাওয়া যাবে ফসলের ক্ষেতেকিংবা আলে”।। 

দেখুন। কিভাবে তিনি অন্ধ ভক্তিকে কষাঘাত করেছেন। আজ যে সড়ক প্রকল্পের কাজচলছে, সেই সড়ক নির্মাণকারী ঈশ্বররাই ইঁট ভেঙে রাস্তা বানিয়ে আমাদের ভাগ্য গড়ছেন।কেন্দ্রীয় সরকার দিনকরজির সেই স্বপ্নগুলিকে বাস্তবায়িত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণপদক্ষেপ গ্রহণ করছেন।  

ভাই ও বোনেরা, এই অঞ্চল ভগবান পরশুরামের তপস্যাভূমি। প্রাচীনকালের তিনমহাজনপদ - অঙ্গ, মগধ ও মিথিলার সঙ্গমভূমিতে অবস্থিত মা গঙ্গার এই পবিত্রসিমরিয়াতটে গৌরবময় ইতিহাস কেউ ভুলতে পারবেন না। এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে আজ আমি এই পবিত্রসিমরিয়াতটকে প্রণাম জানানোর সৌভাগ্য পেয়েছি। এই মাটিতেই সামান্য দূরে প্রতি বছরবীর শিরোমণি বাবা চোহরমলের নামে মেলা বসে। অসংখ্য মানুষ এখানে প্রণাম করতে আসেন।আমি এই পবিত্র ভূমিকেও প্রণাম জানাই।  

আমার বিহারের ভাই ও বোনেরা, যতদূর দেখতে পাচ্ছি মানুষের মাথা দেখা যাচ্ছে।এই বিশাল সামিয়ানার নীচে যতজনের স্থান হয়েছে, তার দ্বিগুণ-তিনগুণ মানুষ বাইরে রোদেদাঁড়িয়ে আছেন। এত দীর্ঘ সময় ধরে কষ্ট করে আমাকে আশীর্বাদ দেওয়ার জন্য আপনারা রোদেদাঁড়িয়ে আছেন, আপনাদের সবাইকে আমি প্রণাম জানাই। আপনাদের অভিনন্দন জানাই। আমারপ্রিয় বিহারবাসী, আপনারা এত কষ্ট করে রোদে দাঁড়িয়ে আছেন, আমি আপনাদের ভরসা দিচ্ছিযে, কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার আপনাদের এই তপস্যাকে ব্যর্থ হতে দেবে না। 

আমাদের দেশে এমন মানুষও আছেন, যাঁরা দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যেতে চান। কোথাওকোনও ভালো সড়ক নির্মাণের প্রসঙ্গ এলে আমি এমন নেতাদেরও দেখেছি, তাঁরা বলতে শুরুকরেন, খবরের কাগজে বিবৃতি দিয়ে বলেন, অমুক সড়কপথের প্রয়োজন কী ছিল, আমাদের গরিবমানুষদের তো আর গাড়ি নেই, তা হলে সড়কের কী প্রয়োজন? এ ধরনের বিকৃত মানসিকতারনেতারা দেশের কত ক্ষতি করেছেন, তা আমরা কল্পনাও করতে পারব না! আজ আমি যেখানেই যাই,সেখানকার সাংসদরা এসে বলেন যে, আমার এলাকার অনেক গ্রামে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়কযোজনার কাজ বাকি রয়েছে, এবার আমাদের অগ্রাধিকার দিন। যেখানেই গ্রামের মানুষদেরসঙ্গে দেখা হয়, তারাও প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার মাধ্যমে তাঁদের গ্রামে সড়কপৌঁছে দেওয়ার দাবি রাখেন। ভাই ও বোনেরা, বিগত তিন বছরে আমরা দেশের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতির জন্য অনেক বেশি বাজেট বরাদ্দ করেছি। আগে একদিনে যত কিলোমিটারসড়ক তৈরি হ’ত, বিগত তিন বছরে আমরা সেই তুলনায় দিনে দ্বিগুণ সড়ক নির্মাণে সফলহয়েছি। এই সড়কগুলি গ্রামের জীবন উন্নত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকরছে। কিন্তু শুধুই গ্রামীণ সড়ক পর্যাপ্ত নয়, আমরা বড় বড় অর্থ লেনদেন কেন্দ্র,উন্নয়ন কেন্দ্র গড়ে তুলছি, যার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠবে আর সেজন্যইঐ অঞ্চলগুলিকে দেশের প্রান্তিক অঞ্চলগুলির সঙ্গে যুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। 

আজ যে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস হ’ল, সেগুলি শুধু গাড়িচলাচলের সুবিধা বৃদ্ধির জন্য নয়, এই সড়ক এই অঞ্চলের আর্থিক জীবনে পরিবর্তন আনারজন্য, এর মাধ্যমে এই অঞ্চলের সমৃদ্ধি সুনিশ্চিত করার জন্য।  

ভাই ও বোনেরা, গঙ্গা আমাদের প্রত্যেকের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। মাগঙ্গা না থাকলে, আমাদের এই ভূপ্রকৃতির কেমন ভয়ঙ্কর চেহারা হ’ত, কে জানে! কিন্তুসেই গঙ্গাকে রক্ষার জন্য আমরা কখনও সচেষ্ট থাকিনি। আমাদের এই ক্রমবর্ধমান উদাসীনতাদূর করতে হবে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমাদের গঙ্গাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে, এর জলকেনির্মল করে তুলতে হবে, তবেই গঙ্গা বাধাহীন প্রবহমান থাকবে। গঙ্গানদী সংস্কারেরজন্য সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। কিন্তু মানুষ সচেতন না হলে, এর পরিণাম হবেমারাত্মক। শুধু গঙ্গা নয়, দেশের প্রতিটি নদীকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য জনগণকে সক্রিয়হতে হবে। তাঁরা সচেতন হলে তবেই নদী সংস্কার অভিযান সুফলদায়ক হবে। ভারতকে ভবিষ্যতেজল সঙ্কট থেকে রক্ষা করতে হলে এটাই একমাত্র পথ। আমাদের অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে এইঅভিযানকে সাফল্যমণ্ডিত করতে হবে। গঙ্গা সংস্কারের ক্ষেত্রে গঙ্গোত্রী থেকে শুরুকরে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত মা গঙ্গা যত রাজ্যের ওপর দিয়ে গেছেন, ততভাগে ভাগ করেপরিচ্ছন্ন রাখার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। গঙ্গানদীতে যাতে দূষিত জল এবংরাসায়নিক কারখানাগুলি থেকে নিষ্কাষিত দূষিত পদার্থ এসে না মেশে, তা দেখার জন্যঅভিযান শুরু হয়েছে। আজ বিহারে এক সঙ্গে বেশ কিছু প্রকল্পেরও শিলান্যাস হচ্ছে, যাআগামীদিনে মা গঙ্গাকে আমরা যেরকম শ্রদ্ধার চোখে দেখি, সেই রূপে নিয়ত প্রবহমানরাখার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। মা গঙ্গা আমাদের স্বপ্নের অনুরূপ হয়ে উঠবেন। তবেইছটপূজার আনন্দ অন্যরকম হবে। 

ভাই ও বোনেরা, সম্প্রতি ভারতের রেল মন্ত্রক পূর্ব উত্তর প্রদেশ ও বিহারেরজনগণের সুবিধার্থে কিছু গুরুত্বপূর্ণ রেল পরিষেবা চালু করেছে। এবারের দীপাবলি ওছটপূজায় এই অঞ্চলের অসংখ্য মানুষ এই পরিষেবা দ্বারা উপকৃত হবেন। মুম্বাই থেকেগোরখপুর অন্ত্যোদয় এক্সপ্রেসটি ছিল দেশের প্রথম অন্ত্যোদয় এক্সপ্রেস। আর সপ্তাহখানেক আগে আমি সুরাট থেকে পাটনার জয়নগর পর্যন্ত দ্বিতীয় অন্ত্যোদয় এক্সপ্রেসকেসবুজ পতাকা প্রদর্শন করেছি। কোনও সংরক্ষণ ছাড়াই দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম ব্যক্তি শেষমুহূর্তে এসে এই রেলগাড়িতে বসে নিজের বাড়ি যেতে পারবেন।  

মহামানা এক্সপ্রেস বরোদা থেকে সুরাট হয়ে বেনারস আসা-যাওয়া করবে। যাঁরাসুরাট, বরোদা, অঙ্কলেশ্বর এমনকি মহারাষ্ট্রে থেকে জীবিকার্জন করে তাঁরা এই ট্রেনেরমাধ্যমে দীপাবলি এবং ছটপূজার সময় আরামে বাড়ি আসতে পারবেন। এই বিষয়টি মাথায় রেখেইতাড়াহুড়ো করে চারটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের মাধ্যমে আমরা মহানগরগুলির সঙ্গে বিহার ওউত্তর প্রদেশকে যুক্ত করার কাজ করেছি। 

ভাই ও বোনেরা, একটু আগেই নিতিনজি বলছিলেন যে, গড়করিজি দায়িত্ব নিয়ে দেশেরপরিকাঠামো উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন বলেই দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিহারের মাটিতেযতটা কাজ হয়নি গত তিন বছরে তার থেকে বেশি পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ হয়েছে। শুধু সড়কনির্মাণের জন্য ... একটু আগেই নীতিনজি বলছিলেন যে , ইতিমধ্যেই প্রায় ৫৩ হাজার কোটিটাকার কাজ মঞ্জুর হয়েছে এবং অনেক ক্ষেত্রে সেসব প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে গেছে। এইপরিকাঠামো উন্নয়ন ভবিষ্যতে বিহারের উন্নয়নকে নিশ্চিতভাবেই ত্বরান্বিত করবে বলেআমার বিশ্বাস। 

 আমরা একথা খুব ভালভাবেই জানি যে কোনও অঞ্চলের উন্নয়ন সুনিশ্চিত করতে হলে,সেখানকার সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা, ইন্টারনেট সংযোগ, গ্যাস গ্রিড, বিদ্যুৎসংযোগ, শুদ্ধ পানীয় জলের পাইপলাইন থাকা জরুরি। এই যোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে সকলদরিদ্র মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে দেওয়া যায় সেটা আমাদের দেখতে হবে। গড়করিজিরনেতৃত্বে জল পরিবহণ ব্যবস্থা উন্নয়নের অভিযানও শুরু হয়েছে। আমরা যদি একবার এই জলপরিবহন ব্যবস্থাকে উন্নত করতে পারি, তাহলে দেখবেন অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেনদীগুলির গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে, তখন নদীগুলির প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা ও সমীহঅনেক বাড়বে। এই পরিবর্তনের ফলে দেশের বাণিজ্য কেন্দ্রগুলির মধ্যে অনেক সুলভে পণ্যপরিবহণের সৌজন্যে বাজারদরও কমবে। গরিব মানুষ অনেক সুলভে তাঁর নিত্য প্রয়োজনীয়জিনিসপত্র কিনতে পারবেন। ইংরেজ আমলে জলপথের সুবন্দোবস্ত থাকায় আমাদের এই মোকামা’কেঅনেকে মিনি কলকাতা বলতেন। সেই গৌরব পুনরুদ্ধার করতে কেন্দ্রীয় সরকার আবার পণ্যপরিবহণ ব্যবস্থাকে গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে।  

বিগত দিনে আমরা দেখেছি, যে যে গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ নেই, সেই সকল গ্রামেসরকার বিদ্যুৎ পৌঁছনোর অভিযান শুরু করেছে। বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় গরিবপরিবারে, বিশেষ করে, মহিলা ও শিশুদের যে ধরনের সমস্যা হয়, তা উপলব্ধি করে সরকার এধরনের ১৮ হাজার গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার সংকল্প নিয়েছিল যে, গ্রামগুলিতেস্বাধীনতার এত বছর পরও বিদ্যুতের খুঁটি পৌঁছয়নি। আমি লালকেল্লার প্রাকার থেকে ১হাজার দিনের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আজ ঐ ১৮ হাজারগ্রামের মধ্যে ১৫ হাজার গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। আমার বিশ্বাস যে, নির্দিষ্টসময়ের মধ্যে বাকি গ্রামগুলিতেও বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে। ভাই ও বোনেরা, নতুন ভারত-এদেশের প্রত্যেক গ্রামে শুধু বিদ্যুৎ পৌঁছবে না, প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগথাকবে। প্রধানমন্ত্রী সহজ বিজলী হর ঘর যোজনা অর্থাৎ এই সৌভাগ্যের সূত্রপাত সরকারেরইচ্ছাশক্তি আর দেশে শক্তি বিপ্লবের পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রতীক। শক্তির সমস্যা দূর নাকরে, চালু ব্যবস্থার সংস্কার না করে, পুরনো ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ না করে – এ ধরনেরপ্রকল্পের সূত্রপাত অসম্ভব। এই প্রকল্প তাই বিগত তিন বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকারেরসকল প্রচেষ্টার প্রতীক স্বরূপ।  

ভাই ও বোনেরা, বর্তমান সরকারের বৈশিষ্ট্য হ’ল এই যে, তিন বছর পর আজ আমাদের সমালোচকরাওস্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছেন যে কাজ হয়েছে। আগে সরকারের স্বভাব ছিল যে, নির্বাচনকেমাথায় রেখে প্রকল্পগুলি ঘোষিত হ’ত আর তারপর সরকার সেগুলি বাস্তবায়িত করতে ভুলেযেত। আর বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার কোনও প্রকল্পের কথা ভাবলে আগে তার রোডম্যাপ তৈরিকরে। আর সেই প্রকল্পকে আমাদের চোখের সামনে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সম্পূর্ণ করারজন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, ইতিমধ্যেই ৩ কোটিরও বেশিদরিদ্র থেকে দরিদ্রতর পরবারে কিভাবে রান্নার গ্যাসের সংযোগ পৌঁছে গেছে। তাঁরা এখনগ্যাসের উনুনে রান্না করেন। আগামী দু’বছরে আরও ২ কোটি পরিবারের রান্নাঘরে গ্যাসসংযোগ পৌঁছে দেওয়ার স্বপ্ন রয়েছে। সেই স্বপ্নও আমরা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেবাস্তবায়িত করব এবং গরিব মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনব।  

আমরা যে সারা দেশে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছি, সেই অভিযানের গোড়ায়রয়েছে মা-বোনেদের সম্মানের প্রশ্ন! পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে আমার মনে একটাই মাপকাঠিরয়েছে। আমি এখানে উপস্থিত আধিকারিকদের জিজ্ঞেস করতে চাই, শিক্ষিত যুবকদের জিজ্ঞেসকরতে চাই, আপনারা তো প্রাকৃতিক প্রয়োজনে যেখানেই আড়াল পান, সেখানেই দাঁড়িয়ে পড়তেপারেন। ক্ষমা করবেন, আমি এরকম ভাষা প্রয়োগ করছি বলে। কিন্তু সেই মা-বোন কিংবামেয়েটির কথা ভাবুন। তিনিও তো মানুষ। বাজারে কিছু কিনতে গিয়ে তিনিও কোনও প্রাকৃতিকসমস্যায় পড়তে পারেন। কিন্তু তিনি তো আর আপনাদের মতো পারবেন না! তাঁদেরকে বাড়ি ফেরাপর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হয়। ঐ আমাদের বাড়ির মা-বোন কিংবা মেয়ের মতো সংস্কার আমাদেরকেন নেই? আমরা পুরুষ, সেজন্য? যতদিন পর্যন্ত আমাদের ভাবনায় এই পরিবর্তন না আসবে,ততদিন আমরা পরিচ্ছন্নতার সঠিক অর্থ বুঝতেই পারব না। আপনারা কল্পনা করুন, গ্রামকিম্বা শহরের বস্তিতে যে মা বোনেরা বসবাস করেন, তাঁদেরকে ভোরের আলো ফোটার আগেই ঘুমথেকে উঠে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে যেতে হয়, জঙ্গলে যেতে হয়। ভয়ে তাঁরা পাঁচ–সাতজনএকসঙ্গে দলবেঁধে যান। ইচ্ছে না থাকলেও যেতেই হয়। কারণ, একবার ভোরের আলো ফুটলে যতপ্রয়োজনই হোক, চেপে রাখতে হবে। আবার অন্ধকারের অপেক্ষা করতে হবে। তাঁদের শরীরেরওপর কতটা অত্যাচার হয়, তা কল্পনা করুন। যে মায়ের সকাল ৯-১০ টায় প্রাকৃতিক বেগ পায়,তাঁকে যদি সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অন্ধকারের জন্য অপেক্ষা করতে হয়, তা হলে তাঁর শরীরঅসুস্থ হবে না! এজন্যই আমাদের দেশের অধিকাংশ মহিলা নানা শারীরিক সমস্যায় ভোগেন।নিজের মা-বোন ও কন্যার প্রতি এটুকু সমবেদনা থাকলে কোনও টিভি চ্যানেলে প্রচারিতপরিচ্ছন্নতা বিষয়ক অনুষ্ঠান দেখার প্রয়োজন পড়ে না।  

আজ দেশের ৫ কোটিরও বেশি পরিবার নতুন শৌচালয় নির্মাণ করেছে। যেখানে দেশে ৫০শতাংশেরও কম পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা ছিল, সেখানে আজ আমরা ৮০ শতাংশেরও বেশিপরিচ্ছন্নতা অর্জনে সফল হয়েছি। কিন্তু আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। সেজন্য আমিবিশেষভাবে আমার বিহারবাসীদের অনুরোধ করব যে, আপনার গ্রামের প্রতি আরও দায়িত্ববানহন। ইতিমধ্যেই দেশে আড়াই লক্ষেরও বেশি গ্রাম উন্মুক্ত স্থানে প্রাকৃতিক কর্মমুক্তঘোষিত হয়েছে। আমি বিহারকে আমন্ত্রণ জানাই যে, আসুন, আমরাও আমাদের গ্রামগুলিকেউন্মুক্ত স্থানে প্রাকৃতিক কর্মমুক্ত ঘোষণা করি। আমাদের তহশীল এবং জেলাগুলিকেউন্মুক্ত স্থানে প্রাকৃতিক কর্মমুক্ত ঘোষণা করার উপযোগী করে তুলি। যে মাটিতেমহাত্মা গান্ধী চম্পারণ সত্যাগ্রহ শুরু করেছিলেন, যে মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি দেশকে পরিচ্ছন্নতারবার্তা দিয়েছিলেন, যে মাটিতে দাঁড়িয়ে দেশকে স্বাবলম্বী হতে বলেছিলেন, সেই মাটি আজআপনাদের কাছে এই পরিচ্ছন্নতার বার্তা পেতে চাইছে। আপনারা এগিয়ে আসুন আর বিহারকেনতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিন। এই অভিযান শুধু সরকারি রাজকোষ থেকে অর্থ খরচ করলেইসম্পন্ন হবে না, এর জন্য চাই বিপুল জনসমর্থন। সেজন্যে আমি আপনাদের আহ্বানজানাচ্ছি। 

আমার ভাই ও বোনেরা, আজ এত বিপুল সংখ্যায় আপনারা উপস্থিত হয়ে আমাকে আশীর্বাদদিয়েছেন, সেজন্য আরেকবার আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনাদের আমি আশ্বস্ত করতেচাই যে, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার পূর্ব ভারতের উন্নয়নে সংকল্পবদ্ধ। আমরা যেউন্নয়নের মডেল নিয়ে এগিয়ে চলেছি, তার মাধ্যমে পূর্ব উত্তর প্রদেশ, বিহার,পশ্চিমবঙ্গ, ওডিশা, আসাম এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির উন্নয়নকে নতুন উচ্চতায়পৌঁছে দেব। আপনাদের এখানে আমরা সার কারখানা গড়ে ওঠার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি।আগামীদিনে আমাদের কৃষকরা এর দ্বারা লাভবান হবেন। 
  
আর এই উন্নয়নযাত্রার সঙ্গে আপনারা সবাই যুক্ত হবেন। এই প্রত্যাশা নিয়েইআপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি যে, আমার সঙ্গে সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে বলুন – 
  
ভারতমাতা কি জয়, 
  
ভারতমাতা কি জয়, 
  
ভারতমাতা কি জয়, 
  
অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Snacks, Laughter And More, PM Modi's Candid Moments With Indian Workers In Kuwait

Media Coverage

Snacks, Laughter And More, PM Modi's Candid Moments With Indian Workers In Kuwait
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Under Rozgar Mela, PM to distribute more than 71,000 appointment letters to newly appointed recruits
December 22, 2024

Prime Minister Shri Narendra Modi will distribute more than 71,000 appointment letters to newly appointed recruits on 23rd December at around 10:30 AM through video conferencing. He will also address the gathering on the occasion.

Rozgar Mela is a step towards fulfilment of the commitment of the Prime Minister to accord highest priority to employment generation. It will provide meaningful opportunities to the youth for their participation in nation building and self empowerment.

Rozgar Mela will be held at 45 locations across the country. The recruitments are taking place for various Ministries and Departments of the Central Government. The new recruits, selected from across the country will be joining various Ministries/Departments including Ministry of Home Affairs, Department of Posts, Department of Higher Education, Ministry of Health and Family Welfare, Department of Financial Services, among others.