মঞ্চে উপস্থিত মহারাষ্ট্রের মাননীয় রাজ্যপাল বিদ্যাসাগর রাও মহোদয়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেবেন্দ্রজি, বিধানসভার অধ্যক্ষ হরিবাবুজি, আমার মন্ত্রী পরিষদের সহযোগী সুভাষ ধামরেজি, সাঁইবাবা সংস্থান ট্রাস্টের চেয়ারম্যান সুরেশ হাওরেজি, রাজ্যের সমস্ত মন্ত্রী, সাংসদ সদস্য, রাজ্যের সব বিধায়ক এবং এখানে বিপুল সংখ্যায় সমাগত আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আপনাদের সবাইকে এবং দেশের সমস্ত নাগরিককে দশহরা ও বিজয়া দশমীর অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
আমরা সবাই নিজের প্রিয়জনদের সঙ্গে আনন্দ উৎসবগুলি কাটাতে চাই। আমিও চেষ্টা করি যে, প্রত্যেক উৎসব জনগণের মধ্যে গিয়ে পালন করতে। এই ভাবনা থেকেই আজ আপনাদের কাছে উপস্থিত হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। আপনারা যেমন বিপুল সংখ্যায় আমাকে এই পবিত্র উৎসব উপলক্ষে আশীর্বাদ জানাতে এসেছেন …….. আমি দেখতে পাচ্ছি যে, কোনও জায়গা খালি নেই, অর্ধেক লোক রোদে দাঁড়িয়ে আছেন – আপনাদের এই আপন করে নেওয়া ও ভালোবাসা নিরন্তর আমার মনে নতুন প্রাণশক্তির সঞ্চার করে।
বন্ধুগণ, দশহরার পাশাপাশি আজ শিরডির এই পবিত্র ভূমি আরেকটি পবিত্র উপলক্ষের সাক্ষী হতে চলেছে। আজ এখানে সাঁইবাবা সমাধির শতাব্দী সমারোহ উৎসবের সমাপন হতে চলেছে। একটু আগেই আমি সাঁইবাবার দর্শন করে তাঁর আশীর্বাদ নিয়ে এসেছি। যখনই পূজনীয় সাঁইবাবার দর্শন করি, তখন কোটি কোটি ভক্তদের মতো, আপনাদের মনে যেমন ভাবনা জেগে ওঠে, তেমনই জনসেবার ভাবনা এবং জনসেবার জন্য নিজেকে সমর্পিত করা এক নতুন উৎসাহ এই মাটি থেকে আমি গ্রহণ করি।
ভাই ও বোনেরা, শিরডির প্রতিটি ধূলিকণায় সাঁইবাবার মন্ত্র, তাঁর বাণীগুলি মিশে আছে। জনসেবা ত্যাগ ও তপস্যার জন্য প্রবাদপ্রতিম এই শিরডি তাঁতীয়া পাটিলজির নগরী, দাদা কোতে পাটিলজির নগরী, মাধবরাও দেশপান্ডে, মালসাপতির মতো মহাপুরুষরাও এই মাটিরই সন্তান। কাশীরাম শিপি আর আপ্পা জাগলে সাঁইবাবার অন্তিম সময় পর্যন্ত তাঁকে সেবা করেছেন। কোন্ডাজি, গওয়াজি এবং তুকারাম-কে কে ভুলতে পারেন? আমি এই পবিত্র মাটির মহান সুপুত্রদের উদ্দেশে প্রণাম জানাই।
ভাই ও বোনেরা, সাঁইবাবার মন্ত্র ছিল ‘সবকা মালিক এক হ্যায়’। এই চার শব্দ সমাজকে একসূত্রে গেঁথে দেওয়ার মন্ত্র হওয়ায় সাঁই যতটা সমাজের ছিলেন, সমাজও ততটা সাঁইয়ের ছিল। তিনি সমাজের সেবার কিছু পথ দেখিয়েছিলেন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, তাঁর প্রদর্শিত পথেই শ্রী সাঁইবাবা সংস্থান ট্রাস্ট নিরন্তর সমাজের সেবা করে যাচ্ছে।
শিক্ষার মাধ্যমে সমাজকে শক্তিশালী করা, আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে মানুষের মনের পরিবর্তন করে সমাজে সমতা ও সহযোগিতার অনুপ্রেরণা যোগানোর ক্ষেত্রে আপনাদের প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আজও এই মাটিতে আস্থা, অধ্যাত্ম এবং উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু প্রকল্পের সূত্রপাত হ’ল। গরিবের কল্যাণে এই প্রকল্পগুলি শুরু করার জন্য আমি মহারাষ্ট্র সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। দর্শনার্থীদের জন্য নির্মীয়মান নতুন পরিসরের ভূমি পূজন উপলক্ষে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আজকের দিনেই সাঁইবাবা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, কন্যা বিদ্যালয় এবং কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হচ্ছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সাঁই-এর জীবন ও দর্শন নিয়ে গড়ে ওঠা সাঁই নলেজ পার্ক মানুষকে সাঁইবাবার জীবন ও দর্শন সহজভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।
বন্ধুগণ, আজ এখানে ১০ মেগাওয়াটের একটি সৌরশক্তি উৎপাদন কেন্দ্রের কাজ শুরু হ’ল। এর মাধ্যমে সংস্থানের সম্পদ বৃদ্ধি পাবে এবং পরিবেশ-বান্ধব শক্তি উৎপাদনে সংস্থানের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি পাবে। সাঁই ট্রাস্টের পক্ষ থেকে কোটি কোটি শ্রদ্ধালুদের জন্য এটি দশহরা ও বিজয়া দশমীর একটি বড় উপহার।
বন্ধুগণ, নবরাত্রি থেকে দীপাবলী পর্যন্ত সময়ে আমাদের দেশে মানুষ, বাড়ি-ঘর, গাড়ি, গয়না ইত্যাদি অনেক কিছু কেনেন। এই সময়ে অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে আমার মহারাষ্ট্রের আড়াই লক্ষ ভাই ও বোনেদের নিজস্ব বাড়ির চাবি তুলে দেওয়ার সৌভাগ্য হ’ল। এই নতুন বাড়ি আপনাদের নিজস্ব স্বপ্নের প্রতীক। এই বাড়ি আপনাদের আকাঙ্খাকে নতুন মাত্রা দেবে, আপনার ছেলেমেয়েদের জীবন সার্থক করে আপনার জীবনে পরিবর্তনের পথকে সুগম করবে। এটি দারিদ্র্যকে জয় করার লক্ষ্যে একটি বড় পদক্ষেপ।
বন্ধুগণ, নিজস্ব বাড়ি আমাদের জীবনকে সহজ করে তোলে, দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন উৎসাহ যোগায়। সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে সাহায্য করে। একথা মাথায় রেখেই আমরা ভেবেছি যে, ২০২২ সালে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির আগেই দেশের প্রত্যেক গৃহহীন পরিবারের হাতে তাঁদের নিজস্ব বাড়ির চাবি তুলে দেব।
আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, এত কম সময়ের মধ্যেই আমরা প্রায় আর্ধেক পথ পেরিয়ে এসেছি। আমাদের আগেও সরকার এক্ষেত্রে অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, গরিবদের মাথার ওপর ছাদের ব্যবস্থা করে দারিদ্র্য দূরীকরণের লক্ষ্যে কাজ না করে তাঁরা শুধুই একটি বিশেষ পরিবারের নাম প্রচার করার জন্য এই কাজ করেছে। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল, ভোট ব্যাঙ্ক তৈরি করা। আরে যে বাড়িতে হাত-পা ছড়িয়ে থাকা যাবে না, শৌচালয়, বিদ্যুৎ সংযোগ, পানীয় জল, রান্নার গ্যাস সংযোগ থাকবে না – সেটি কেমন বাড়ি। কিন্তু তাঁরা এভাবে ভাবেননি। কোনও প্রকল্পের গোড়াতে যদি রাজনৈতিক স্বার্থ থাকে, তা হলে তাঁরা কেমন করে ভাববেন! আমরা সেই রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে শুধু দরিদ্র কল্যাণের কথা ভেবেছি বলেই তাঁদের জীবনকে সহজ করে তোলার কথাও ভেবেছি। এই প্রেরণাই আমাদের কাজের গতিকে ত্বরান্বিত করেছে। ফলস্বরূপ, এত অল্প সময়েই অর্ধেক পথ পেরিয়ে আমরা জীবন উদাহরণ পেশ করতে পেরেছি।
বন্ধুগণ, পূর্ববর্তী সরকার তাদের শেষ চার বছরে সারা দেশে মাত্র ২৫ লক্ষ গৃহহীনের জন্য গৃহ প্রদান করতে পেরেছিল। আর আমরা সরকারে আসার পর ১ কোটি ২৫ লক্ষ বাড়ি বানিয়েছি। এই কাজ করতে আগের সরকারের ২০ বছর বছর প্রয়োজন হ’ত। অথচ, আমরা একই কর্মচারী, একই ব্যবস্থা, একই সম্পদের উৎস নিয়ে পাঁচ গুণ বেশি কাজ করতে পেরেছি। স্বচ্ছ মন নিয়ে গরিব মানুষের সেবার কথা মাথায় রেখে কাজ করলে এত দ্রুত ফল পাওয়া সম্ভব।
ভাই ও বোনেরা, পূর্ববর্তী সরকারের একটি বাড়ি বানাতে প্রায় ১৮ মাস সময় লাগত। আমরা সেই সময় কমিয়ে ১২ মাস করেছি। সময় কমানোর পাশাপাশি ঘরের আকার বানিয়েছি। আর সরকারি সাহায্য ৭০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দিয়েছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হ’ল এই অর্থ এখন সরাসরি উপকৃতদের নিজেদের ব্যাঙ্কের খাতায় জমা হয়। উপকৃতদের নির্বাচনও বৈজ্ঞানিক ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় করা হয়। সেই বাড়ি যেন দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং শৌচালয় সহ সমস্ত মৌলিক সুবিধা থাকে – সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।
আমি আরেকবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে যাঁরা আজ নিজের বাড়ি পেয়েছেন, তাঁদের সবাইকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। আজ ভিন্ন ভিন্ন জেলার বেশ কিছু পরিবারের গৃহিনীদের সঙ্গে কথা বলার সৌভাগ্য হয়েছে। সেই বোনেদের আত্মবিশ্বাসপূর্ণ চেহারায় খুশির ঝলক আমাকে অত্যন্ত আনন্দ দিয়েছে। আমাদের কাজে সন্তুষ্ট হয়ে গরিব মানুষের মুখে হাসি ফুটলে আমাদের জীবন ধন্য হয়ে যায়। নতুন কাজ করার প্রাণশক্তি অর্জন করি। আজ এই বোনেদের আশীর্বাদ কুড়িয়ে তেমনই আরেকবার সেই সংকল্পকে উচ্চারণ করছি যে, তাঁদের সেবার জন্য আমরা প্রতি মুহূর্তে আমাদের জীবন উৎসর্গ করে যাব।
ভাই ও বোনেরা, দেশের প্রত্যেক বাড়িতে শৌচালয় গড়ে তোলার অভিযান এখন অন্তিম পর্যায়। মহারাষ্ট্র এক্ষেত্রে প্রশংসনীয় কাজ করেছে, নিজেদের রাজ্যকে উন্মুক্ত স্থানে প্রাকৃতিক কর্মমুক্ত ঘোষণা করেছে। সেজন্য আমি রাজ্যের ১১ কোটি নাগরিককে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। ফলে, মহারাষ্ট্রের প্রতিটি গ্রাম ও শহরের অলিগলি পরিচ্ছন্ন থাকবে। পাশাপাশি, ডায়েরিয়ার মতো অসংখ্য রোগ থেকে গরিব কৃষক পরিবারের শিশুরা সুরক্ষিত থাকবে।
বন্ধুগণ, এখন সারা বিশ্বে আমাদের সম্প্রতি চালু করা আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা নিয়ে প্রশংসার স্রোত বইছে। এর মাধ্যমে প্রতি বছর দেশের প্রায় ৫০ কোটি নাগরিক কঠিন রোগের ক্ষেত্রে বিনামূল্যে চিকিৎসার নিশ্চিত সুযোগ পাবেন। মহারাষ্ট্রের লক্ষ লক্ষ পরিবারও এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হবে। এখনও এক মাসও হয়নি, ইতিমধ্যেই সারা দেশের হাসপাতালগুলিতে প্রায় ১ লক্ষ রোগী এই প্রকল্প দ্বারা উপকৃত হয়েছেন। কারও বিনামূল্যে শল্য চিকিৎসার মাধ্যমে পাথর বের করা হয়েছে, কারও বা টিউমার কাটা হয়েছে, কারও মেডিকেল বিল হয়েছিল ৫০ হাজার টাকা আবার অন্য কারও ৩ লক্ষ। এখনও পর্যন্ত যতজন দাবি করেছেন গড়ে মাথাপিছু প্রায় ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
বন্ধুগণ, আয়ুষ্মান ভারত যোজনার মাধ্যমে দেশে আধুনিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। বিশেষ করে, টিয়ার-টু, টিয়ার-থ্রি শহরগুলিতে হাজার হাজার নতুন হাসপাতাল খোলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই হাসপাতালগুলি দেশে লক্ষ লক্ষ নবীন প্রজন্মের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
ভাই ও বোনেরা, সমাজের প্রত্যেক মানুষের জীবন সরল ও সুখী করে তুলতে সরকার কাজ করে চলেছে। আমি জানি যে, এ বছর মহারাষ্ট্রে বরুণদেবের কৃপাদৃষ্টি তেমনভাবে পড়েনি, কম বৃষ্টি পড়েছে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি যে, প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমার মাধ্যমে আপনারা দ্রুত ভর্তুকি পাবেন। এছাড়া, মহারাষ্ট্র সরকার যে যে পদক্ষেপ নেবে, সমস্ত ক্ষেত্রে কেন্দ্র কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পূর্ণ সহযোগিতা করবে।
ভাই ও বোনেরা, জল সঙ্কট থেকে কৃষকদের মুক্তি দিতে সরকার প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঁচাই যোজনার মাধ্যমে বছরের পর বছর ধরে থেমে থাকা অনেক প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করছে। মহারাষ্ট্রেও অনেকগুলি প্রকল্পের কাজ চলছে। মহারাষ্ট্র সরকারও নিজেদের ‘জলযুক্ত শিবির অভিযান’-এর মাধ্যমে জলসঙ্কট নিবারণের একটি অভূতপূর্ব প্রকল্প শুরু করেছে। এটি অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে, এই অভিযানের মাধ্যমে রাজ্যের ১৬ হাজার গ্রাম খরামুক্ত হতে পেরেছে। আর প্রায় ৯ হাজার গ্রামকে খরামুক্ত করার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।
আমি মহারাষ্ট্রের জনগণকে এজন্য প্রশংসা করব যে, তাঁরা অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে সেচের ট্যাংকগুলি পরিষ্কার করার লক্ষ্যে ‘ডিসিল্টেশন’ অভিযান এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। এত কম সময়ে ৯ কোটি কিউবিক মিটার কাদামাটি পরিষ্কার করে ফেলা সহজ কাজ নয়। কিন্তু আপনারা গণঅংশীদারিত্বের মাধ্যমে এই অভূতপূর্ব কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে দেশবাসীকে পথ দেখিয়েছেন। আমাকে বলা হয়েছে, কোনও ঠিকাদারকে দিলে এই কাজ করাতে ৬০০ কোটি টাকারও বেশি খরচ হ’ত কিন্তু আপনারা নিজেদের পরিশ্রম দিয়ে এটি করে ফেলেছেন।
বন্ধুগণ, অধিক ফলনের ক্ষেত্রেও অনেক সময় সঠিক দাম না পেলে কৃষকদের ক্ষতি হয়। এদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের সরকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ণয়ে কৃষকদের অনেক বছরের পুরনো দাবি পূরণ করেছে। আখ সমেত খরিফ এবং রবি-র ২১টি ফসলের সহায়ক মূল্য বিনিয়োগের ওপর ৫০ শতাংশ লাভ সুনিশ্চিত করেছে। এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের ফলে এ বছর দেশের কৃষকদের হাজার হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত আয় সুনিশ্চিত হবে।
বন্ধুগণ, চাষের পাশাপাশি পর্যটনকেও সরকার উৎসাহ যোগাচ্ছে। মহারাষ্ট্রে শিরডির মতো অনেক বড় বড় তীর্থ স্থানের পাশাপাশি অজন্তা-ইলোরার মতো ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে, যেখানে সারা পৃথিবী থেকে পর্যটকরা আসেন। আমরা ধর্ম ও ইতিহাসের সঙ্গে স্থানীয় যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানকে যুক্ত করার একটি বড় অভিযান শুরু করেছি।
দেশের পর্যটন সার্কিটগুলিকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে, সমস্ত আধুনিক পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। এই শিরডিতেই গত বছর যখন শতাব্দী সমারোহ সূচনার জন্য মাননীয় রাষ্ট্রপতি এসেছিলেন, তখন তিনি শিরডিবাসীকে একটি বিমানবন্দর উপহার দিয়েছিলেন। আমাকে বলা হয়েছে যে, এখন এই বিমানবন্দরে যত বিমান আসা-যাওয়া করে সেগুলির সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হবে।
ভাই ও বোনেরা, মহারাষ্ট্রের মাটি সর্বদাই দেশকে সামাজিক সাম্যের শিক্ষা দিয়েছে। বীর শিবাজী থেকে শুরু করে বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকর কিংবা পূজনীয় মহাত্মা জ্যোতিবা ফুলে প্রত্যেকেই সাম্য ও ঐক্যকে সমাজের শক্তি বলে মনে করতেন। তাঁদের শিক্ষা গ্রহণ করে এগিয়ে গেলে সমাজ বিভাজন সৃষ্টিকারী প্রতিটি অপশক্তি ও অন্যায়কে পরাজিত করতে পারবে। আসুন এই বিজয়া দশমীতে আমরা ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ এবং ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর সংকল্প আরও দৃঢ় করি। সাঁইবাবা আমাদের যে পথ দেখিয়ে গেছেন, সেই পথেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
বন্ধুগণ, আজ এই পবিত্র স্থানে সাঁইবাবার সমাধির শতবর্ষ উদযাপন সমারোহের সমাপন হচ্ছে। আগামী ৩১ অক্টোবর মহারাষ্ট্রে আপনাদের প্রিয় সরকারের চার বছর পূর্তি হবে, সেজন্য আমি মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং তাঁর পুরো টিমকে আগাম শুভেচ্ছা জানাই। আপনারা এমনভাবেই পূর্ণ শক্তি দিয়ে মহারাষ্ট্রবাসীর সেবা করে যান, আর প্রত্যেক মানুষের আশীর্বাদ পেতে থাকুন – এটাই কামনা করি।
এই বিশ্বাস নিয়ে আরেকবার যাঁরা দশহরার পর নিজেদের স্বপ্নের বাড়ি পেলেন, তাঁদেরকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁদের জীবনের সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করে নিজের বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি। আপনাদের সকলকে এই পবিত্র অনুষ্ঠানে আমাকে এখানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। সাঁই ট্রাস্টের প্রতিও অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই। আগামী প্রতিটি উৎসব আপনাদের সকলের জীবনে অনেক আনন্দ নিয়ে আসুক – এই শুভেচ্ছা জানিয়ে আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।